সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

বলিউডে এবার ইলিয়ানার বিয়ের খবর

বলিউডে এখন চলছে আনুশকা শর্মার বিয়ের উত্তাপ। এরইমধ্যে আরও এক সুন্দরী হাজির বিয়ের খবর নিয়ে। তিনি হলেন ‘বরফি’ খ্যাত ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। তবে এই নায়িকার বিয়ের খবরে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। পুরো ব্যাপারটাই রয়েছে ধোঁয়াশায়।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে, বড়দিন, নতুন বছর নিয়ে নানা পরিকল্পনায় ব্যস্ত বলিউড তারকারা। তার উপর এখন বিয়ে সাজো সাজো রব বি-টাউনের চারদিকে। সেই সাজেই নাকি চুপিসারে সেজেছেন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। প্রেমিক অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি এমন খবর উড়ে বেড়াচ্ছে বাতাসে।

অবশ্য গুজবটা উস্কে দিয়েছেন নায়িকা নিজেই। অ্যান্ড্রিউ ও তার পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস পালন করেছেন ইলিয়ানা। সে ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে ফটো ক্রেডিট দিয়েছেন ‘হাবি’ অ্যান্ড্রিউকে।

অ্যান্ড্রিউকে ‘হাবি’ বলে উল্লেখ করাতেই বি-টাউনে শুরু হয়েছে যত গুঞ্জন। তাহলে কি অ্যান্ড্রিউর সঙ্গে বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন দক্ষিণের এই সুপারস্টার! এই উত্তরটা পেতে আপাতত ইলিয়ানার অফিসিয়ালি ঘোষণার অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সারা দেশে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু বৃহস্পতিবার

সারা দেশে চার দিনব্যাপী শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’। উৎসব চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী মুস্তাফা মানোয়ার, চলচ্চিত্র সংগঠক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।

‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’ উপলক্ষে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি সিলেকশন কমিটির সদস্যবৃন্দ উৎসবে শিশুতোষ ও শিশু নিমার্তাদের চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে প্রদর্শনীর জন্য ৪০টি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছেন। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রদান করা হবে।

‘শিশুতোষ চলচ্চিত্রে’র ক্ষেত্রে ক্রেস্ট ও সনদ পত্রের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা এবং শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৩০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও উৎসবের সমাপনী দিনে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থন দিল চীন-রাশিয়া

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়াল শক্তিধর দুই রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া। শুধু এই দুই দেশই নয়, আরও সাতটি রাষ্ট্রও জাতিসংঘে মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

চলতি বছরের অাগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী তাণ্ডব শুরু করে। ওই অভিযান শুরুর পর থেকে লাখ লাখ শরণার্থী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এই অভিযানকে জাতিসংঘ এবং আমেরিকা জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে অভিহিত করেছে। এছাড়া এটাকে আন্তর্জাতিক আইনে মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ বলেও জানানো হয়। ফলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জাতিসংঘে মিয়ানমার প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করে।

রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীয় হয় ওআইসি-র প্রস্তাব। যেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। ওই প্রস্তাবে মিয়ানমারে মানবিক সহায়তাকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে দেশটির প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল শরণার্থীকে সেখানে নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পাকাপাকিভাবে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ১২২টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১০টি। চীন ও রাশিয়া ছাড়াও কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, বেলারুশ, সিরিয়া ও জিম্বাবুয়ে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়। ২৮টি দেশ ভোট দান থেকে বিরত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেদ কমাতে যেসব ফল খাবেন

শরীরের ওজন কমাতে কতজন কতকিছুই না করে থাকেন। শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে কেউ কেউ খাওয়া-দাওয়াই কমিয়ে দিয়েছেন। মেনে চলছেন অনেক বিধি-নিষেধ। তারপরও কমছে না ওজন। তবে প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে একটু সচেতন থাকলেই শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না। দ্রুত শরীরের ওজন কমাতে ফলের বিকল্প নেই। নিচে ওজন কমাতে সহায়ক ৭টি ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো :

আপেল : আপেলের পেকটিন ফাইবার পেট ভরানোর পাশাপাশি দেহে মেদের পরিমাণও কমাবে। ভারী খাবার খাওয়ার আগে আপেল খাওয়া তাই উপকারী।

তরমুজ : তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। দিনে একটা তরমুজ খিদে কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে মেদ জমতেও দেবে না।

লেবু : লেবুতে আছে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ওবেসিটির পরিমাণ কমায়।

নারকেল : নারকেল যকৃতের বিপাক হার বাড়িয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রকারান্তরে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।

বেদানা : বেদানা দেহে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের হার কমায়। খিদের হার কমায়।

পেঁপে : পেঁপে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রক্তে শর্করা ওবেসিটির লক্ষণ।

কমলালেবু : কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোগ প্রতিরোধে আখের রসের গুণাগুণ

সাধারণত আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক বলা হয়। আখের রস খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এর থেকে মেলে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকরা জন্ডিস আক্রান্ত রোগীদের আখের রস খাওয়ার কথা বলেন। কারণ, আখের রস লিভারে সংক্রমণ হওয়া রক্ষা করে এবং বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আখের রস প্রকৃতিগতভাবে ডাইইউরেটিক। ফলে কিডনি ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই।

রূপচর্চাতেও আখের রসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আখের রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রণ উধাও। এছাড়া আখে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উচ্চমাত্রার খনিজ থাকার জন্য এর রস দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ৷ তাই চকচকে দুধ সাদা দাঁত পেতে হলে প্রতিদিন এক গ্লাস আখের রস অবশ্যই মেনুতে রাখুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘুষর সৌদি স্টাইল; ৪৮ হাজার কোটি টাকা দিলে মুক্তি মিলবে প্রিন্স ওয়ালিদের!

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। ত্যাগের ধর্মের নামে রাষ্ট্র চালালেও ভোগ-বিলাসিতায় বিশ্বব্যাপী পরিচিত দেশটির শাসক পরিবার। কথা হচ্ছে সৌদি আরবের। ঘুষ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও দেশটির ক্রাউন প্রিন্স সালমন মুক্তিপণ বাণিজ্য শুরু করেছেন প্রকাশ্যে। ঘুষ নিয়ে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে আটকদের মুক্তি দিচ্ছেন তিনি।
দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে কারাবন্দী করেছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান। যেখানে রয়েছেন প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদও। আর তার মুক্তির জন্য এবার বিপুল পরিমাণ অর্থ ঘুষ চাইল কর্তৃপক্ষ। এ অর্থের পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। যদিও এর আগে প্রিন্স মুতয়িব বিন আব্দুল্লাহ ক্রাউন প্রিন্স সালমানের কথা মতো এক বিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।

তবে প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ অর্থ দিতে অস্বীকার করেছেন। ওয়ালিদ বিশ্বজুড়ে যিনি ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে পরিচিত।

গেল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরব দুর্নীতির অভিযোগে যে কয়জন প্রিন্স ও মন্ত্রীকে আটক করেছে তার মধ্যে ওয়ালিদও রয়েছেন। আটকের পর থেকে বিশ্ব মিডিয়াতে তাকে নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বর্তমানে দেশটির কারাগার ‘বিলাসবহুল রিজ কার্লটন হোটেলে’ দুই মাস ধরে বন্দি রয়েছেন ওয়ালিদ।

ওয়ালিদের মুক্তির জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ে দেনদরবার এখনও চলছে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওয়ালিদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ দাবি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ওয়ালিদ অর্থের বিনিময়ে মুক্তি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার বদলে রিয়াদের শেয়ার মার্কেটের তালিকায় থাকা কিংডোম হোল্ডিংসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন।

ওয়ালিদের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ। তিনি একাধারে সৌদি রাজ পরিবারের সদস্য, একজন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সমাজকর্মী।

২০০৮ সালে প্রভাবশালী ও ঐতিহ্যবাহী মার্কিন সাময়িকী টাইম বিশ্বের শীর্ষ একশ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যে তালিকা করে তাতে স্থান করে নেন তালাল বিন আবদুল আজিজ।

সৌদি রাজ পরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তালাল সৌদি আরবের প্রথম রাজা ইবনে সৌদের নাতি এবং তারপর সৌদি আরবের সিংহাসনে বসা সব রাজাদের সৎ ভাইপো। তার আর একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি লেবাননের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রিয়াদ আল সোলহ’র ও নাতি।

তালাল রাজকীয় পরিবারের বাইরে একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি রিয়াদভিত্তিক বিনিয়োগ বিষয়ক হোল্ডিং প্রতিষ্ঠান ‘কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসের তৈরি করা বিশ্বের শীর্ষ ২ হাজার কোম্পানির তালিকাতে থাকা কিংডম হোল্ডিং কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে অর্থনৈতিক সেবা, পর্যটন, গণমাধ্যম, বিনোদন, খুচরা ব্যবসায়, কৃষি, পেট্রোক্যামিকেলস, এভিয়েশন, প্রযুক্তি এবং নির্মাণ শিল্প।

আল-ওয়ালিদ মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক, ব্যাংকিং, বিনিয়োগ সেবা প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত শেয়ারের মালিক, মার্কিন গণমাধ্যম কোম্পানি টোয়েনটি ফাস্ট সেঞ্চুরি ফক্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ারের মালিক, প্যারিসে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল ‘ফোর সিজনস হোটেল জর্জ ভি’র মালিক এবং নিউইয়র্কে অবস্থিত অপর পাঁচ তারকা হোটেল ‘প্লাজা হোটেল’র আংশিক মালিক। তাছাড়া তালাল বিনিয়োগ করেছেন টুইটার,অ্যাপল, রুপার্টি মার্ডকের নিউজ কর্পোরেশনস এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানি লিফট এ।

২০১৩ সালের এক হিসেবে দেখা গেছে তালালের কোম্পানির মূলধনের বাজার মূল্য ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তবে বর্তমানে তা আরও অনেক বেশি।

২০১৭ সালের নভেম্বরে ফোর্বস তালাল বিন আবদুল আজিজকে বিশ্বের শীর্ষ ৪৫তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ সময় তার সম্পত্তির নেট মূল্যমান ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। টাইম ম্যাগাজিন তালাল বিন আবদুল আজিজকে ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারেন বাফেট’ নামে আখ্যায়িত করে।

গত বছর তালাল বিন আবদুল আজিজ ভবিষৎতে তার সম্পত্তি মানবসেবায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি নারী ক্ষমতায়ন ও সাংস্কৃতিক বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেন। এতকিছুর পর তাকে কেন আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রিন্স তালালের প্রতিষ্ঠান কিংবা নিকটাত্মীরাও এখনও মুখ খোলেননি।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সৌদিতে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রাজপরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুকুরদের জন্য পিকনিক!

বড়দিনের ছুটি বলে কথা! একটু ধুমধাম করেই করা হোক। ব্যানার টানানো হলো। লিখে দেওয়া হলো ‘আজ আমাদের পিকনিক’। করা হলো বিশাল রান্নার আয়োজন। ১৫০ কেজি চাল আর ৫০ কেজি পনির দিয়ে রান্না হবে বিরিয়ানি। সেই বিরিয়ানি কিন্তু দেওয়া হলো রাস্তায় ঘুরে ঘুরে। এই বিশাল আয়োজন ছিল রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরদের জন্য!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে সোমবার ওই ভিন্ন ধর্মী আয়োজন করা হয়। সেখানকার পশুপতি অ্যানিমেল লাভার্স সোসাইটি নামে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন বিরিয়ানি রান্না করে শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে খাওয়ায়।

পাঁচটি ভ্যানে বিশাল বিশাল পাত্রে বিরিয়ানি তোলা হয়। এরপর রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কুকুরদের খুঁজে বের করা হয়। ছোট ছোট পাত্রে দেওয়া হয় বিরিয়ানি। এভাবে এক হাজারেরও বেশি কুকুরকে খাওয়ানো হয়। তবে পথচারীদের চোখ আটকে গেছে ব্যানারে ‘আজ আমাদের পিকনিক’ লেখা দেখে।

সকাল থেকে শুরু হয় এই কুকুর খাওয়ানো। তবে বিকেলের মধ্যেই বিরিয়ানি শেষ হয়ে যায়। ফের ২০ কেজি চাল ও ১০ কেজি পনির দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করা হয়। এরপর বিতরণ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রঙ ফর্সা ক্রিমে বাড়ছে চর্মরোগের ঝুঁকি

বাজারে বিভিন্ন ধরনের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম পাওয়া যায়। মূলত নারী ক্রেতাদের টার্গেট করেই এসব ক্রিম বাজারজাত করা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রচার করা হয় চটকদার সব বিজ্ঞাপন। সেসব বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই এসব ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে রঙ ফর্সাকারী এসব ক্রিম ব্যবহারে চর্ম রোগের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর বিশ্লেষকদের দাবি, নারীর ব্যক্তিত্ব প্রকাশে রঙ নয়, গুণই প্রধান হাতিয়ার হওয়া উচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, ‘রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (সাইড ইফেক্ট) আছে। এগুলো ব্যবহারে অনেকের শরীরে এলার্জি হয়,কারও  আরও লাল দানা ওঠে, চুলকায় এবং ফুলে যায়। অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে ক্ষত তৈরি করে।’

তিনি বলেন, ‘বিউটি পার্লারগুলোয় যেসব ভেষজ হারবাল ব্যবহার করা হয় সেগুলোও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এসব ক্রিম তৈরিতে অনেক অবৈজ্ঞানিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এমনকি যারা এসব ক্রিম তৈরি করেন তাদের উপাদানেরপরিমাপ ও কোনটা কোন ত্বকে লাগালে উপকার হবে সে বিষেয়ে কোনও ধারণা থাকে না। সুতরাং এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একটু বেশি।’

ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার বলেন, ‘ক্রিম বিক্রির জন্য আমরা আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখি। কিন্তু রঙ ফর্সা করার পরিবর্তে এসব ক্রিম ব্যবহারের পর মুখে আরও বেশি দাগ দেখা যায়। মানুষের ত্বকে কেমিক্যাল লাগানোর পর সেখানে সূর্যের আলো পড়লে বিক্রিয়ার ফলে ত্বকে দাগ পড়ে যায়। এক্ষেত্রে ক্রিমটি দেশি বা বিদেশি হওয়ার বিষয় নয়। আমরা রোগীদের মুখের দাগের কারণ খুঁজতে বলি। তবে অন্তঃসত্ত্বা বা হরমোনজনিত কারণে মুখে দাগ পড়ে। শুধু নারী নয়, পুরুষদের মুখেও বিভিন্ন কারণে দাগ হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার বা রোগের কারণে মুখে দাগ হতে পারে। তাই রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার না করে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করলে সহজে সুস্থ হওয়া সম্ভব। আর প্রাকৃতিক রঙই সর্বোৎকৃষ্ট রঙ। তাই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়।’

রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘ফর্সা রঙকে উচ্চতর মর্যাদা দেওয়া একটি আরোপিত ধারণা। আর্যদের আমল থেকে শুরু করে উপনিবেশিক শাসন আমল পর্যন্ত ফর্সা বর্ণের মানুষদের আধিপত্য এই বর্ণের প্রতি অধিক আগ্রহের সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে সেই আগ্রহকে আরও বাড়িয়েছে বিভিন্ন ত্বক ফর্সাকারী প্রসাধন সামগ্রীর বাণিজ্যিকীকরণ। যাদের বিজ্ঞাপন দেখে মনে হবে গায়ের রঙ ফর্সা না হলে জীবনে কোনও কিছু অর্জন করাই সম্ভব নয়। গায়ের কোনও নির্দিষ্ট রঙ এককভাবে কোনও কিছু অর্জন করতে সক্ষম নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে রঙ নিয়ন্ত্রণ শুধু ত্বকের ক্ষতিই নয়, শারীরের নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছে।’

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) চর্ম ও যৌন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, ‘বাজারে প্রচলিত রঙ ফর্সাকারী ক্রিমগুলো একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা প্রতিদিন যে রোগী দেখি এরমধ্যে কমপক্ষে ২-৪ জন রোগী থাকে যারা রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করে সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে গৌরী ক্রিম, পাকিস্তানি ক্রিমগুলো ব্যবহার করে মেয়েরা বেশি বিপদে পড়ছেন।’

তিনি বলেন, ‘রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে গায়ের রঙ খুব কমই ফর্সা হয়। অনেক সময় এই ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করে দিলেও ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের কোনও অংশ সাদা আবার কোনও অংশ কালো হয়ে যায়। এই ক্রিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে পরবর্তীতে গায়ের রঙ আরও কালো হয়ে যেতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোগীকে সুস্থ থাকতে কাউন্সেলিং করি। স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্রিম যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে তাহলে তার হাই প্রেসার ও ডায়াবেটিস হতে পারে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চর্ম ও যৌন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তুষার কান্তি সিকদার বলেন, ‘রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার খুবই পরিচিত একটি বিষয়। কিছু কোম্পানির ক্রিম বিশ্বব্যাপী চলছে। এসব ক্রিম ব্যবহার সব সময় খারাপ হয় বিষয়টি তেমন নয়। যাদের ত্বক সেনসিটিভ তাদের জন্য ক্ষতিকর। ত্বক সেনসিটিভ না হলে অনেকের জন্য উপকারী।’

রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সংগঠন জেন্ডার ইন মিডিয়া ফোরামের সদস্য নাসিমুন আরা হক (মিনু) বলেন, ‘আমরা মানুষকে বিচার করি রূপ ও রঙ দিয়ে। ফর্সা হলে চাকরি  হবে, বিয়ে হবে, ফেলোশিপ হবে- সবই হবে এমন সব বিজ্ঞাপন আমরা গণমাধ্যমে দেখি। এই ধরনের চিন্তা ভাবনা বর্ণবাদী। রঙ নয়, মানুষের গুণ দিয়ে আমরা তাকে বিচার করবো। রঙয়ের বিষয়টি মাথায় ঢুকিয়ে মেয়েদের মনটাকে ছোট করে ফেলা হয়। এসব কারণে আমরা রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের বিরুদ্ধে সচেতন করতে আন্দোলন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই ক্রিম ব্যবহার করে কেউ ফর্সাও হয় না। রঙ ফর্সার এই আচরণটাই ভুল। সব মানুষকে ফর্সা কেন হতে হবে? এই চিন্তাটাই আমাদের সব আগে আসা দরকার।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest