সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগশ্যামনগরে “সম্পদ ও আত্মার পরিশুদ্ধতায় যাকাত” শীর্ষক সেমিনারফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সামেকের ডা. পলাশসাতক্ষীরায় পাওয়ার ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শরবত বিতরণসাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমান

‘টিভিতে মুখ দেখানো’ নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হাতাহাতি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে কে বক্তব্য দেবেন, তা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাতাহাতি করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে আদালত ছাড়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের সামনে আদালতের কার্যক্রম তুলে ধরার সময় খালেদা জিয়ার দুই আইনজীবী খোরশেদ আলম ও মির্জা মামুনের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয় তা।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মমতা ব্যানার্জীকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস!

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

জানা গেছে, মমতাকে খুনের দায়িত্ব দিতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গেরই এক কলেজ ছাত্রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি মোবাইল নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠানো হয়।
পরে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা।

সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আদি গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমানে বহরমপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র কৃষ্ণেন্দু রোজ নামের এক ছাত্রের মোবাইলে ৯৪১ কোড নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানো হয়। তাঁকে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে খুন করার জন্য ভারতে এক জন লোক খোঁজা হচ্ছে। এ কাজের জন্য দেওয়া হবে এক লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। এই মেসেজের ভিত্তিতে অভিযোগ জানানো হলেও প্রথম দিকে জেলা পুলিশ তেমন গুরুত্ব দেয়নি। মঙ্গলবার সিআইডি তদন্ত হাতে নেওয়ার পর তৎরতা শুরু হয়েছে।

ওই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেসেজ পাওয়ার পর প্রথমে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু ওরা একটা ছবি পাঠিয়ে বলে আমার লোকেশন ফলো করা হচ্ছে। তার পরেই ভয় পেয়ে যাই।
সন্ধ্যা নাগাদ বহরমপুর থানায় গিয়ে পুরোটা জানানোর পর আমাকে বলা হয় মোবাইল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে রাখুন। তা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

আমি থানা থেকে বেরিয়ে সব ডিলিট করে দিয়ে ওই নম্বরটি ব্লক করে দিই। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ফের অন্য একটি নম্বর থেকে আমার লোকেশন জানানো হয়। তাতেই ঘাবড়ে যাই। বিষয়টি জানাই দুমকায় থাকা আমার দাদা সুমনকে। ’

পুলিশ আপাতত তদন্তে জানতে পেরেছে, কোড নম্বরটি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার। ইন্ডিয়ান স্কুল অফ এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুন্ত অবশ্য বলছেন, ‘বাইরের নম্বর ব্যবহার করে এ রাজ্যে বসেই এই কাজ করা সম্ভব। কেউ আমেরিকার নম্বর নিয়ে এখানে এলে কল না করলেও হোয়াটসঅ্যাপ চালু রাখতে পারেন। এটা সে ভাবেও হতে পারে। ’

সোমবার বেলা একটা নাগাদ বহরমপুরে কলেজ হোস্টেলে থাকার সময় কৃষ্ণেন্দুর মোবাইলে হঠাৎ করেই একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে। অন্য প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘আমার নাম লাতিন। আমেরিকায় থাকি। ’ কৃষ্ণেন্দু পাল্টা জানতে চান, ‘আমাকে কেন এসএমএস করেছেন ?’ এবার ও -প্রান্ত থেকে জবাব আসে, ‘আমরা এক জন জঙ্গি খুঁজছি। ভারতে এক জনকে চাই। এ জন্য এক লাখ পাউন্ড দেওয়া হবে। তোমার কোনও চিন্তা নেই। তুমি নিরাপদে থাকবে। তুমি কি তৈরি আছ ?’ কৃষ্ণেন্দু অপেক্ষা করতে বলেন। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘আমি পরিচিত এক বন্ধুকে ফোন করি। সে বলে কথা চালিয়ে যেতে।

এর পর ফের ওপার থেকে বলা হয়, ‘দ্রুত জানাও না হলে অন্য কাউকে খুঁজতে হবে। ’ এবার সরাসরি না করে দেন কৃষ্ণেন্দু। এও বলেন, ‘আমি দেশের ক্ষতি হয় এমন কোনও কাজ করব না। ’ উত্তর আসে, ‘আমরা ভারতের ক্ষতি করতে চাই না। শুধু এক জনকে মারতে হবে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ’ এর পরেই থানার দ্বারস্থ হন কৃষ্ণেন্দু। কিন্তু রাত আটটা পঞ্চাশ নাগাদ আবার মেসেজ আসে। বলা হয়, ‘আমরা থানার আশেপাশে তোমার লোকেশন পাচ্ছি। তুমি আমাদের বোকা বানাতে পারবে না। বেশি চালাকি করলে তোমাকেও মেরে ফেলা হবে। ’

মঙ্গলবার সকালে দুমকায় ফোন করে আতঙ্কিত কৃষ্ণেন্দু তাঁর দাদা সুমনকে বিষয়টি জানান। তিনি কলকাতা রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসকে জানান। অম্বরীশ সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকেও বিস্তারিত জানানো হয়। কলেজের পক্ষ থেকেও পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, সম্ভবত এখান থেকেই কাজটি করা হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জড়িত থাকায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা শিশু একাডেমির উদ্যোগে শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী পালন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবল এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু একাডেমী পরিচালনা পরিষদের সদস্য শেখ ফারুকুজ্জামান ডেভিট ও সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ শুভ্র প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবল বলেন, ‘১৯৭৫-এর পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিচিহ্ন করতেই বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে।

শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত। মানবিক চেতনা সম্পন্ন মানুষরা শেখ রাসেলের বিয়োগ দুঃখ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোঁটাতে প্রতিশ্রুতি।’ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী শেষে জেলা শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু একাডেমির লাইব্রেরিয়ার শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাবেক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়ার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল!

অনেক নাটকীয়তার পর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর মুকুট মাথায় উঠে জেসিয়া ইসলামের মাথায়। আগামী ১৯ নভেম্বর চীনে অনুষ্ঠিতব্য মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
আর এজন্য আজ বৃহস্পতিবার চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছেন জেসিয়া ইসলাম।

তবে দেশ ছাড়ার আগে সামাজিক যোগামাযোগ মাধ্যমে তার কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছে। যদিও ফেসবুকের যে পেজটি থেকে ছবিগুলো আপলোড করা হয় সেই পেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে নানান জনের ফেসবুক ওয়ালে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ছবির যুবকটি জেসিয়ার সাবেক বয়ফ্রেন্ড। ছবিতে যুবকটির সঙ্গে তাকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। কিন্তু নেটিজেনদের প্রশ্ন, তার দেশ ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে কেন ছবিগুলো ভাইরাল হলো।

এই নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, আজকের যুগের প্রায় সবারই বয়ফ্রেন্ড রয়েছে, সেখানে জেসিয়ারও বয়ফ্রেন্ড থাকতে পারে- এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কি আছে।
আবার তাও অতীত।

আবার কেউ কেউ বলছেন, শুরু থেকেই একটা পক্ষ ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাবটাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এখনও তারা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অন্য এক শ্রেণির নেটিজেন ভাইরাল হওয়ার ছবির মধ্যে নতুন কোনো রহস্য খুঁজছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমি কার কাছে যাব?—আদলতের কাছে খালেদার প্রশ্ন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। এর আগে তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। আজ বেলা ১১টার পর রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা জিয়া।

আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত জানান, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া।

পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়া বলেন, শাসকগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে মামলার বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আদালতে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি একটি উদাহরণ উল্লেখ করতে চাই। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুদক একটি মামলা করে। ওই মামলায় একজন বিচারক তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন, পরবর্তীতে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তৎপরতা চালানো হয়, যার ফলে সেই বিচারক সপরিবারে দেশ ছেড়ে চলে যান।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘মাননীয় বিচারক, আপনি যেখানে বসে বিচার করছেন, যে এজলাসে বসেছেন, এটা কোনো আদালতের প্রাঙ্গণ নয়। ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক আমলে সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ আদালত বসানো হয়, সেখানে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সাংসদদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।’

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ছিল এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলাগুলো একে একে প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, শাসক দলের মন্ত্রীরা বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিচারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মাননীয় আদালত, আমি কার কাছে যাব? আমি আদালতের প্রতি বিশ্বাস রাখতে চাই।’

১২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। যুক্তরাজ্যে থাকতেই ঢাকা ও কুমিল্লায় নাশকতা, দুর্নীতি ও মানহানির পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। হঠাৎ করে দুই দিনে এসব মামলায় আদালতের পরোয়ানা জারির প্রেক্ষাপটে নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উৎকণ্ঠা ছিল। কেউ কেউ গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য চলছিল।

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কা‌লিগ‌ঞ্জে পু‌লি‌শের অভিযা‌নে ৩ হাজার বোতল ফেন‌সি‌ডিল উদ্ধার

মোঃ আরাফাত আলীঃ কা‌লিগ‌ঞ্জে পু‌লি‌শের অভিযা‌নে বৃহস্প‌তিবার সকাল সা‌ড়ে ৬ টার সময় ৩ হাজার বোতল ফেন‌সি‌ডিল উদ্ধার ক‌রে‌ছে কিন্তু ঘটনার সা‌থে জ‌রিত কাউ‌কে আটক কর‌তে পা‌রে‌নি পু‌লিশ।

থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক জানান, মাদ‌কের এক‌টি বড় চালান পাচার হ‌চ্ছে গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে তার নেতৃ‌ত্বে পু‌লিশ উপ‌জেলার নলতা ইউনিয়‌নের বাগ নলতা গ্রা‌মের মৃত মিনহাজউদ্দী‌ন পাড়ের ছে‌লে বাবর আলীর বা‌ড়ির সাম‌নে অভিযান চালায়। এসময় পু‌লি‌শের উপ‌স্থি‌তি টের পে‌য়ে বাবর আলীর বা‌ড়ির সাম‌নে অব‌স্থিত ধান ক্ষে‌তে ‌তিন‌টি বড় সয়া‌বিন তে‌লের ড্রাম ফে‌লে রে‌খে মাদক ব্যবসা‌য়ীরা পা‌লি‌য়ে যায়। এরপর পু‌লিশ ওই ড্রাম তল্লাশী ক‌রে তিন‌টি ড্রাম থে‌কে ৩ হাজার বোতল ফেন‌সি‌ডিল উদ্ধার ক‌রে ।

এবিষ‌য়ে কা‌লিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক ব‌লেন, এই মাদ‌কের সা‌থে কারা সম্পৃক্ত আমরা জান‌তে পে‌রে‌ছি। তা‌দের বিরু‌দ্ধে মামলার প্রস্তু‌তি চল‌ছে। সা‌থে সা‌থে আসামী‌দের ধর‌ার জন্য অভিযান অব্যহত আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ হলো জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তৃতীয় দফা তদন্ত

গ্রেফতার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার নিজ জেলা ফেনীতে তৃতীয় ধাপে তদন্ত শেষ করেছেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাঁচ দিনব্যাপী তদন্তে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিভিন্ন ঘটনার শিকার ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নিয়েছেন তদন্তকারী কমকর্তা, ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক এএসপি মো. নুরুল ইসলাম। তদন্তের স্বার্থে ওইসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের তথ্য কিংবা তদন্ত পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি। তবে জেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডারসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ধারণা করছেন, মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হবে।
জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয় জামায়াত আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তৃতীয় দফার তদন্ত। তদন্তকারী কমকর্তা এএসপি নুরুল ইসলাম পাঁচ দিনের তদন্ত শেষ করে ফেনী ছেড়েছেন বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে তদন্তে জেলার মানবতাবিরোধী অপরাধের স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারী কমকর্তা। এসময় তিনি ঘটনাগুলোর প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একইসঙ্গে ওইসব অপরাধের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দিও নিয়েছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আব্দুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ধাপের তদন্ত শেষ হয়েছে। ফেনীতে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার অন্যতম হোতা এই মকবুল আহমাদ। আমরা ধারণা করছি, তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে শিগগিরই মামলা দায়ের হবে।’
জামায়াত আমিরের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে এএসপি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে ফেনীতে দুই দফায় তদন্ত হয়েছে। তদন্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী একটি প্রতিবেদনও ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয় দফা তদন্তে ওইসব ঘটনার শিকার ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নিয়েছি।’
এএসপি নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘৪৬ বছর আগের এসব ঘটনার অনেক আলামতই খোয়া গেছে। জড়িত অনেকের মৃত্যু হয়েছে। সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের অনেকেও মারা গেছেন। ১৯৭৫ সালের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্থানের ফলে অপরাধীরা অনেক আলামত নষ্ট করে ফেলেছেন। তবুও আমরা যতটুকু সম্ভব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছি।’ তবে তদন্তের স্বার্থে ও সার্বিক বিবেচনায় তদন্তে মানবতাবিরোধী ওইসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নাম গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করতে অপারগতা জানান এএসপি নুরুল ইসলাম।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন মকবুল আহমাদ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আব্দুল হান্নান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের (১৯৬৭-৬৮ সালের) ভিপি ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা, দাগনভূঞার জয়লস্করের খুশিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্যাহকে হত্যা করে লাশ সিলোনিয়া নদীতে ফেলে দেওয়া, একই এলাকার লালপুর গ্রামের পাল বাড়ির ১০ জনকে ধরে নিয়ে জীবিত হত্যার ঘটনাগুলোতে মকবুল আহমাদের নাম জড়িয়ে আছে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর ফেনী মহকুমা শাখার তৎকালীন আমির ও শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা মকবুল আহমাদ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন। একাত্তরের ১০ আগস্ট এক চিঠিতে তিনি ওয়াজ উদ্দিনকে ‘চীনপন্থী মেনন গ্রুপের নেতা’ ও ‘চট্টগ্রাম সেক্টরের মুক্তিবাহিনীর প্রধান সহকারী’ উল্লেখ করে তার সন্ধান বের করতে ফজলুল হককে অনুরোধ করেন। চিঠিতে লিখেন, ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যা করতে ইলিয়াছ, খালেক, জালালসহ তিনি (মকবুল) অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এ বিষয়ে ‘আগের চুক্তি অনুযায়ী সাহায্য করতে’ ফজলুলকে অনুরোধ করেন মকবুল।’’
অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মকবুলের ওই চিঠির নির্দেশ মেনেই ১৭ আগস্ট ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকায় থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই তার আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও তা গত ৪৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি।’
দাগনভুঞা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়তউল্যাহ বাঙ্গালী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় খুশিপুরের মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্যাহ গোপনে তার সাত মাস বয়সী সন্তানকে দেখতে আসেন। যেদিন তিনি বাড়ি আসেন, সেদিন রাত ১২টার দিকে মকবুলের নির্দেশে তাকে সিলোনীয়া ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় রাজাকার মোশাররফ হোসেন মশা। সেখানে তাকে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। আহসান উল্যাহর লাশ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ মুক্তিযুদ্ধের সময় আরও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া, নারীদের হত্যার মতো ঘটনায় মকবুল আহমাদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলেও দাবি করেন শরিয়তউল্যাহ বাঙ্গালী।
উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের ১৭ অক্টোবর দলের আমির হিসেবে শপথ নেন মকবুল আহমাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অভিষেক ম্যাচেই ইনজামাম ভাতিজার সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের সিরিজ জয়

পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেট ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা ইমাম-উল-হক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ (ওডিআই) খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। মূলত তার সেঞ্চুরিতে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচ সিরিজ জিতে (৩-০) নিলো পাকিস্তান।

২১ বছর বয়সী বামহাতি ইমাম-উল-হক তার ইনিংসে পাঁচটি চারের পাশাপাশি দু’টি ওভার বাউন্ডারিও মারেন। যদিও ৮৯ রানে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হন ইমাম। তবে টিভি আম্পায়ারের ফুটেজে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, উইকেটরক্ষকের হাতে পৌঁছানোর আগে বল মাটি স্পর্শ করে। পরে একশ’ রান করার পরপরই তিনি সাজঘরে ফেরেন।

উল্লেখ্য, ইমাম-উল-হকের আগে ১৯৯৫ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র পাকিস্তানি ছিলেন সেলিম এলাহী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest