আশাশুনি বড়দলে কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বড়দল প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া ফকরাবাদ কানুর মোড়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক স ম সেলিম রেজার সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি প্রভাষক সুবোধ কুমার চক্রবর্তী,।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল আলিম, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক আব্দুস সামাদ বাচ্ছু, আ-লীগ নেতা জাকির হোসেন, ছেদাম চন্দ্র বাছাড়, আবুবাক্কার ছিদ্দিক, বড়দল ইউনিয়ন আ-লীগ সাঃ সম্পাদক আঃ রহমান ফকির,।বীর মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমাণ্ডার লিয়াকত, মুক্তিযোদ্ধা আকবার মাস্টার, বিল্লাল হোসেন গাজী, বজলু সরদার, পউল সরকার, মন্তেজ গাজী, ইউসুপ আলী খাঁ,।যুবলীগ নেতা টিটু সানা, বি এম আলাউদ্দীনসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ।

প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের সকল ভেদাভেদ ভূলে নৌকা প্রতীককে জয়যুক্ত করতে হবে এবং কৃষকলীগে যেন কোন জামাত-শিবির, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ডুকতে না পারে সে ব্যাপারে সবার সজাগ থাকতে হবে।
উক্ত সম্মেলনে মোঃ সোহরাব হোসেন মোড়ল সভাপতি, বিধান চন্দ্র মন্ডল সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ শুকুর মালী সাংগঠনিক সম্পাদক করে বড়দল ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সমগ্র অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন এম এম সাহেব আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দলিত শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা পরিষদের চেক বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা দলিত পরিষদের শ্যামনগর উপজেলার দলিত পরিবারের সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদের হল রুমে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এ শিক্ষাবৃত্তি চেক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এএনএম মঈনুল ইসলামসহ জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন দলিত শ্যামনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মতীন্দ্রনাথ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কানাই লাল দাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত

দেবহাটা ব্যুরো: সাতক্ষীরা জেলার ভারত বাংলা সীমান্তে অবস্থিত দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত টাউন শ্রীপুর নামক গ্রাম। যেটি তৎকালীন বৃটিশ শাসন আমলে সাত জমিদারের বসতি ও বাংলাদেশের প্রথম পৌরসভা টাউন শ্রীপুর গ্রামে ১৯১৬ সালে কোলকাতা হাই কোর্টের এ্যড.বাবু শরৎচ্চন্দ্র রায় চৌধুরীর হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় টাউন শ্রীপুর শরৎচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। যা চলতি ইংরেজি সালের দিনগুলো পার করে ১০১ বছরে উপনিত হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। ইতোপূর্বে বিদ্যালয়টি বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সর্বগুণে বিদ্যালয়টির বেশ যশ রয়েছে। তাছাড়া যশোর শিক্ষা বোর্ডেও ১ম স্থান অর্জন করেছে বিদ্যালয়টি। সে সময়ে নির্মিত দুটি ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরির হয়েছে। বিদ্যালয়টি ঔপনিবেশিক শাসন, পাকিস্তানের শোষণ-নিপীড়ন আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়সহ তিনকালের স^াক্ষী হয়ে শতবছর পূর্ণ করলো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯১৬ সালে যাত্রা শুরু করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেবহাটার ১০১বর্ষ বিদ্যালয়টির বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পবিত্র কোরআরন ও গীতা পাঠের পরে শপথ বাক্য পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উদযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়ের যুগ্ন-সচিব সলিমুল্লাহ বক্তব্য রাখেন। পরে বর্ণাঢ্য আনন্দর‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে দিনব্যাপী ক্রীড়া, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়ের যুগ্ন-সচিব সলিমুল্লাহ, সাবেক শিক্ষক আফসার আলী মাস্টার, দিলিপ কুমার ব্যানার্জি, মিসেস মনিরা বেগম, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল ফজল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক হযরত আলী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, প্রক্তন ছাত্র ফিরোজ শাহ আলম, ঢাকা থেকে আগত সাবেক ছাত্র আব্দুল মালেক, এড ওহিদুজ্জামান বাচ্চু, ছাত্রী মমতাজ বেগম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক, আব্দুর রউফ প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: “বিনা উদ্ভাবিত সম্প্রসারণযোগ্য প্রযুক্তিসমূহের পরিচিতি, লবণাক্ত সহিষ্ণু বোরো ধানের জাতসমূহের বৈশিষ্ট্য ও চাষাবাদ পদ্ধতি, বোরো ধান, সরিষা ও মসুরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নতুন শষ্য বিন্যাস উদ্ভাবন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা এবং ডিএই, খামারবাড়ি, সাতক্ষীরার আয়োজনে পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষিতাত্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডাল, তেলবীজ এবং দানাজাতীয় ফসলের উচ্চ ফলনশীল এবং প্রতিকূলতা সহনশীল জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সাতক্ষীরা মিলনায়তনে বিনা ময়মনসিং এর কর্মসূচির পরিচালক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান।

এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর ৬০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি কমে যচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে কৃষকের হাতে নতুন নতুন জাত তুলে দিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও খাদ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিং এর কর্মসূচির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবির প্রমুখ। এসময় প্রশিক্ষণ নিতে আসা কৃষক মো. জালাল উদ্দিন, মো. আব্দুল হান্নান ও মো. মোমরেজ সরদার জানান আমরা এ প্রশিক্ষণ থেকে আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমরা লবাণাক্ত এলাকায় উচ্চ ফলনশীল শষ্য ফলাতে পারব এবং এলাকার কৃষকদের এব্যাপারে উৎসাহিত করতে পাবো। তাহলে সকলেই উপকৃত হবে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৭৫ জন কৃষক ও ১০ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অংশগ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাবুরায় উপ-নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুল আলম জয়ী

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আইলা বিধ্বস্ত গাবুরা ইউনিয়নে উপ-নির্বাচপনে বিএনপি প্রার্থী মাসুদুল আলম ধানেরশীষ প্রতিক নিয়ে ৮০৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্রার্থী রবিউল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২৯৬ ভোট। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এছাড়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোটরসাইকেলে ৮১০ ভোট, রবিউল জোয়ারদার আনারসে ১৬৭ ভোট ও হেনা গাজী দোয়াতকলমে ১০ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই শ্যামনগরের গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আযম টিটো স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যাওয়ায় ‘চেয়ারম্যান’ পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় আছিয়া-নজির স্মৃতি ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

তোষিকে কাইফু: “মাদক ও অন্যান্য সামাজিক অসঙ্গতিকে না বলুন, ফুটবলকে হ্যাঁ বলুন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২.৩০ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানীয় এমপি ডা. আ ফ ম রুহুল হক’র পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্জ মো. নজির আহম্মেদ এবং মাতা মরহুমা মোছা. আছিয়া খাতুনের নামে আছিয়া-নজির স্মৃতি ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট-১৭ উদ্বোধনী খেলা।
গুণী ব্যক্তিদ্বয়ের স্মরণে দেশী-বিদেশী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে লাবণ্যবতি ইয়াং স্টার ক্লাব. দেবহাটা,কুলিয়া বনাম সৈকত স্পোটিং ক্লাব.তালা,সাতক্ষীরা এর মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ উদ্বোধনী খেলার সম্পন্ন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত খেলার দ্বিতীয়ার্ধে দারুন ছন্দে ফিরে টাইব্রেকারের মাধ্যমে তালা সৈকত স্পোটিং ক্লাব কুলিয়া লাবণ্যবতি ইয়াং স্টার ক্লাবকে ৫-৩ গোলে পরাজিত করে।
উক্ত খেলায় নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও অত্র ফুটবল টুর্নামেন্টের তত্ত্বাবধায়ক মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
উদ্বোধন শেষে তিনি উভয় দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিতি হন। উদ্বোধন পূর্বে প্রধান অতিথি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন- মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। যেসব পরিবার বা সমাজে মাদকের থাবা পড়েছে সেসব জায়গায় চরম অশান্তি বিরাজ করছে। মাদকাসক্ত যুব সমাজ ধ্বংস করছে নিজেদের জীবন তথা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে। তাই মাদক ছেড়ে খেলাধুলার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া এদেশের সকল কর্মকান্ডে যুব সমাজকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
উদ্বোধনী খেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন-কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসান, কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত, সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. শেখ শাহাজান আলী, নলতা এ এম আর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউনুস আলি, নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, নলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মুজিবর রহমান, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আনিছুজ্জামান খোকন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা,সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাইফুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন খোকন, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শাহরীয়ার,দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ ফুটবল খেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার ক্রীড়ামোদী দর্শক।
খেলা পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি শেখ ইকবাল আলম বাবলু এবং সহকারী ছিলেন সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু,সাজিদুর রহমান শাহীন ও সৈয়দ মমিনুর রহমান।
এছাড়া প্রথম রাউন্ডের অন্যান্য খেলাগুলো হলো-০৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় ঈশ্বরীপুর মুসলিম স্পোটিং ক্লাব বনাম কুশুলিয়া ফুটবল একাদশ। আনন্দঘন ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিতব্য সমস্ত ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করার জন্য নলতা শরীফ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি ক্রীড়ামোদী দর্শকদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
থানায় নারীকে উলঙ্গ করে নির্যাতন, তদন্তের নির্দেশ আদালতের

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় এক নারীকে উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনায় ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ৫ নং আমলী আদালতের বিচারক হাফিজ আল আসাদ জেলা পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ দেন।

গত ২১ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম মিয়াসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত নারী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী আলহাজ নজরুল ইসলাম সরদার জানান, গত ১১ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ধুরাইল বাজারে সিরাজুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে ঝর্ণা বেগমকে ধরে নিয়ে যায় ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া। থানায় নিয়ে তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওইদিন রাত ৩টার দিকে নারীকে ওসির রুমে নিয়ে আসে। এ সময় ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন এবং ওসি তাকে উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন করে।

তিনি আরও জানান, পরদিন রাতেও তাকে নির্যাতন করা হয়। ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরদিন জেলহাজতে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে কারা হাসপাতালের মাধ্যমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে পুনরায় হাজতে নেয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে হালুয়াঘাট থানায় ৪টি গরু চুরির মামলা দেয়া হয়।

গত ৪ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পায় ঝর্ণা বেগম। পরে চিকিৎসা শেষে ২১ ডিসেম্বর নির্যাতনের অভিযোগ এনে হালুয়াঘাট থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া, ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন।

বুধবার নির্যাতনের বিষয়টি আদালত আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ঝর্ণা বেগম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমনের পক্ষে কাজ না করায় আমাকে এ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমি দর্জির কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাই। চেয়ারম্যান আমার দিকে কয়েক বছর ধরে নজর দিয়েছে। আমি তার কথা না শুনাই সে আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে থানায় তিনদিন আটকে রেখে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এখন আমি অন্যের বাড়িতে প্রাণ ভয়ে আত্মগোপনে আছি। চেয়ারম্যান এবং ওসি আমার পরিবারের লোকজনকেও নানাভাবে হয়রানি করছে। আমরা এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই।

নির্যাতিতার বাবা বাবুর হাট কওমি মাদরাসার শিক্ষক শামসুল আলম জানান, আজ আমার পরিবারের ওপর এমন নির্যাতন কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমাদের এখন মরণ ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। চেয়ারম্যান ও ওসি তারা দুই বন্ধু তাই তাদের সঙ্গে আমরা কোনোভাবেই পারছি না। মেয়েটাকে থানায় আটকে রেখে এমন নির্যাতন কোনো বাবা-মা কি সহ্য করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন সুমন জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই নারী নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

হালুয়াঘাট থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, চুরি মামলায় ঝর্ণা বেগমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। তবে তাকে থানায় রেখে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ আমরা এখনও পাইনি। নির্দেশ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ প্রমুখ। এ ছাড়া সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলার মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, বল্লী ইউপি চেয়াম্যান মো. বজলুর রহমান, ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্রক্ষèরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি, লাবসা ইউপি সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম মিষ্টিসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest