সর্বশেষ সংবাদ-
পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন সাতক্ষীরার আহ্বায়কজাতীয়তাবাদী সাইবার দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাসাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  

চেলসি জিতলেও হেরে গেছে লিস্টার

আলভারো মোরাতা ও মার্কোস আলোনসোর লক্ষ্যভেদে বড়দিনের উৎসব মধুর করে তুললো চেলসি। ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা ব্রাইটন এন্ড হোভ অ্যালবিওনকে। লিস্টার সিটি অবশ্য ২-১ গোলে হেরে ফিরেছে ওয়াটফোর্ডের মাঠ থেকে।

স্টামফোর্ড ব্রিজে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেলসিকে এগিয়ে নেন মেরাতা। চেসার অ্যাজপিলিকুয়েতার চমৎকার ক্রস বক্সের ভেতর থেকে হেড করে জালে জড়ান স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। ৬০ মিনিটে স্বাগতিকরা ব্যবধান দ্বিগুণ করে মার্কোস আলোনসো জাল খুঁজে পেলে। এই গোলটাও হয়েছে হেডে। সেস্ক ফাব্রেগাসের নেওয়া কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মাথা ছুঁইয়ে জালে জড়ান আলোনসো।

এরপর আর কোনও গোল না হলে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। যাতে ২০ ম্যাচ শেষে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকলো ব্লুরা। তবে খুশির খবর হলো, ম্যানইউ ড্র করায় দ্বিতীয় স্থান থেকে চেলসির ব্যবধান এখন মাত্র ১ পয়েন্টের।

চেলসির জয়ের দিনে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিস্টারকে। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ওয়াটফোর্ডের মাঠ থেকে ফিরতে হয়েছে ২-১ গোলের হার নিয়ে। ৩৭ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে গিয়েছিল লিস্টার। যদিও বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তেই ওয়াটফোর্ড সমতায় ফেরে মোলা ওয়াগির লক্ষ্যভেদে। আর স্বাগতিকরা জয় নিশ্চিত করে লিস্টার গোলরক্ষক কাসপার স্মেইকেল নিজেদের জালে বল জড়ালে। গোল ডটকম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গার্ডিয়ানের সেরা টেস্ট একাদশে সাকিব-মুশফিক

বছর শেষে সারা বছরের টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে সেরা টেস্ট একাদশ তৈরি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথদের মতো একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

মূলত টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের হয়ে সাকিবের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরটাকেই প্রাধান্য দিয়েছে গার্ডিয়ান। তাতে বছরের হিসেবে ৪৭.৫ গড়ে সাকিবের রান ছিল ৬৬৫। উইকেট নিয়েছেন ২৯টি। স্কোয়াডে ৬ নম্বরে রাখা হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। সাকিবের নৈপুণ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ। আর সেই জয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এই পত্রিকা।

৭ নম্বরে থাকা মুশফিকের পারফরম্যান্স হিসেবে দেখা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হিসেবে। ৫৪.৭১ গড়ে তার রান ৭৬৬। আর উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ১২টি ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মুশফিক। স্টাম্পিং ছিল ২টি। জানুয়ারিতে এই সাকিবের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড ভাঙা জুটি ছিল তার। তাতে রান করেছিলেন ১৫৯।  ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ছিল ১২৭ রানের পারফরম্যান্স। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিফটির পসরাতো ছিলই।

গার্ডিয়ানের সেরা একাদশ

১. ডেভিড ওয়ার্নার (৮০৮ রান, গড় ৪৪.৮৮) ২. ডিন এলগার (১০৯৭ রান, গড় ৫৪.৮৫) ৩. চেতেশ্বর পূজারা (১,১৪০ রান, গড় ৬৭.০৫) ৪. স্টিভেন স্মিথ (১১২৭ রান, গড় ৭০.৪৩) ৫. বিরাট কোহলি (১০৫৯ রান, গড় ৭৫.৬৪) ৬. সাকিব আল হাসান (৬৬৫ রান, গড় ৪৭.৫/ ২৯ উইকেট) ৭. মুশফিকুর রহিম (৭৬৬ রান, ১২টি ক্যাচ) ৮. মিচেল স্টার্ক (২৬ উইকেট) ৯. নাথান লায়ন (৬০ উইকেট) ১০. জিমি অ্যান্ডারসন (৫১ উইকেট) ১১. কাগিসো রাবাদা (৫৪ উইকেট)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়াবা ব্যবসায়ী দুই বোনের শতকোটি টাকা

পুরান ঢাকায় একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের গোডাউনের মালিক নাছির উদ্দিন। চীন থেকে পণ্য এনে ঢাকায় বিক্রি করেন তিনি।
আশপাশের ব্যবসায়ীদের কাছে এমনই ছিল পরিচয়। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তদন্তে বেরিয়ে এলো তাঁর ভয়ংকর পরিচয়। জানা গেল, এই নাছিরই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিজ এলাকায় ইয়াবা নাছির নামে পরিচিত। তিনি তাঁর কথিত ইলেকট্রনিক পণ্যের গোডাউনটিতে ইয়াবা মজুদ করতেন। সেখান থেকে লাখ লাখ ইয়াবা বড়ি বিক্রি করতেন একটি নারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এ চক্রের দুই কোটিপতি নারী সদস্যকে ধরার পর বের হয় আসল তথ্য, যাঁরা পরস্পরের সহোদর বোন।

রাজধানীতে বসবাসকারী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আসমা আহমেদ ডালিয়া ও স্বপ্না আক্তার নামে এই দুই বোন ইয়াবার কারবার করে এখন শতকোটি টাকার মালিক। ঢাকার হাতিরপুলে ‘রেইন বাথ’ নামে একটি স্যানিটারি পণ্যের দোকানের আড়ালে চলে তাঁদের ইয়াবা কারবার। মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ গড়ে তোলা এই দুই বোনের ঢাকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি, রয়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা; যা মাত্র চার-পাঁচ বছরের মাথায় তাঁরা অর্জন করেছেন।
ইয়াবা তাঁদের কাছে রীতিমতো আলাদিনের চেরাগ। তাঁরা ইয়াবা নাছিরের সহায়তায় নিজেদের পুরো পরিবারকেই ইয়াবা কারবারে জড়িয়েছেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হচ্ছে না। গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর এখন তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাতে যাচ্ছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তবে চক্রটির শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নাছির এখনো পলাতক।

নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছেন ডিএনসির তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন আসমা আহমেদ ডালিয়া, তাঁর স্বামী রবিউল ইসলাম, মা মনোয়ারা বেগম ও ইয়াবা গডফাদার নাছির উদ্দিন। তদন্ত কর্মকর্তা, ডিএনসির পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন ভুইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, নাছির শীর্ষ ইয়াবা কারবারি। রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোডের এমএস মার্কেটের তৃতীয় তলায় তাঁর চীন ইলেকট্রনিক পণ্যের গোডাউনের আড়ালে চালিয়েছেন ইয়াবা কারবার। এসএ পরিবহনের কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের ব্রাঞ্চে আসত ইয়াবার চালান। তিনি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে নিজের নামেই ঢাকায় চালান পাঠাতেন। এরপর হোটেলে বসে সেই চালান গ্রহণ করতেন। পরে ইমোতে ডালিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইয়াবা সরবরাহ করা হতো। তিনি জানান, আরেকটি মামলায় ডালিয়ার বোন স্বপ্নাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।

গত ৯ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড ও পশ্চিম রাজাবাজারে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেন ডিএনসি কর্মকর্তারা। এর মধ্যে এলিফ্যান্ট রোডে বাটা সিগন্যালের কাছে ১৭৩ নম্বর সিদ্দিক প্লাজার নবমতলার ৮/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে ডালিয়া ও রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছে পাওয়া যায় ৩২ হাজার পিস ইয়াবা ও দেড় লাখ টাকা। আর উত্তর ধানমণ্ডির কলাবাগানের ৪৮ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বপ্না, তাঁর স্বামী শামিম আহমেদ ও ফুফু মাহমুদা রানীকে ছয় হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫২/এ নম্বর সাততলা বাড়ির তৃতীয় তলায় ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আসমা নামের এক নারী ও স্বপ্নার মা মনোয়ারাকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা এবং এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় ব্র্যাক ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের তিনটি অ্যাকাউন্টের কাগজপত্রও জব্দ করা হয়। এসব অভিযানের ঘটনায় নিউ মার্কেট ও শেরেবাংলানগর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তেই উঠে আসে শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নাছির উদ্দিন ওরফে ইয়াবা নাছিরের নাম।

সূত্র জানায়, গত ১২ অক্টোবর রাতে বংশালের নবাবপুর রোডের ১৬৭ নম্বর বাড়িতে এমএস মার্কেটের তৃতীয় তলায় নাছিরের গোডাউন থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিএনসি। তবে চতুর নাছির আগেই সটকে পড়েন।

ডিএনসির সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ খোরশিদ আলম বলেন, নাছির প্রতি চালানে এক থেকে পাঁচ লাখ ইয়াবা আনতেন। ইয়াবা মজুদের জন্যই নাছির বড় গোডাউন ভাড়া নেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দক্ষিণ ছহুদা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইসমাইল। এলাকায় ইয়াবা নাছির বলে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে সাতকানিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফ ও ঢাকায় এক ডজন মামলা আছে।

ডিএনসির সূত্র জানায়, ফ্ল্যাটে ও গুদামে রেখে নারীদের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করে পুরো চক্রটি গত চার বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আসামি ডালিয়ার ব্র্যাক ব্যাংকের দুটি ও রবিউলের একটি ব্যাংক হিসাব তল্লাশি করে ডিএনসি। সেখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন এবং স্থির দুই কোটি ২৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এসব টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্য আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। স্বপ্নার ব্যাংক হিসাবও তল্লাশি করা হবে। এলিফ্যান্ট রোডের সিদ্দিক প্লাজার নবমতলায় এক হাজার ৬৬০ স্কয়ার ফিটের ৮/বি নম্বর ফ্ল্যাটটির মালিক ডালিয়া। কলাবাগানের হাসনাহেনা অ্যাপার্টমেন্টের এক হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের মালিক স্বপ্না। ডালিয়ার এলিয়ন গাড়িটি ডিএনসি জব্দ করলেও হোন্ডা কম্পানির আরেকটি দামি গাড়ি পড়ে আছে স্বপ্নার বাসার গ্যারেজে। মাদক কারবারি তিনটি পরিবারের অন্যান্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করা হবে বলেও জানান তদন্তকারীরা।

সূত্র জানায়, ডালিয়া ও স্বপ্নার বাবা ছিলেন সরকারি কর্মচারী। একসময় ছিল অভাবের সংসার। চার-পাঁচ বছর আগে তাঁরা পারিবারিকভাবে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে। ইয়াবা বিক্রির টাকায় মালয়েশিয়ায় কেনা বাড়িতে বসবাস করছে ডালিয়ার বড় ছেলে ও তার খালা শিলা। ডালিয়ার ছোট ছেলে পড়ালেখা করছে ধানমণ্ডির একটি নামিদামি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। ডালিয়াদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের বড় পিপুলিয়া গ্রামে। ডালিয়ার স্বামী রবিউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। ২০০৯ সালে রবিউলের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় একটি মাদক মামলা হয়। ডালিয়ার বোন স্বপ্নার আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। তবে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। পরে তিনি শামিমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে ২০ হাজার বাংলাদেশি

এ বছরের শুরু থেকে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সাগরপথে অবৈধভাবে ইতালিতে পাড়ি জমানো এক লাখ ১৭ হাজার ৩৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ৮ শতাংশ বাংলাদেশি। ইউরোপে অবৈধভাবে অভিবাসন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তথ্য এটি।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, গত এক বছরে অন্তত ২০ হাজার ৫৫ জন বাংলাদেশি ইইউর সদস্য দেশগুলোয় প্রথমবারের মতো আশ্রয়ের আবেদন করেছে।

জানা গেছে, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে তিন হাজার ৮২৫ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে ৬৭৫ জনের। আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তিন হাজার ১৫০ জনের। যাদের আবেদন মঞ্জুর হয়নি বা হবে না, তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইইউর জোরালো সিদ্ধান্ত রয়েছে।

২০১৬ সালের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) থেকে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ইইউর সদস্য ২৮টি দেশে প্রথমবারের মতো আশ্রয় চেয়েছে ছয় লাখ ৮৭ হাজার জন, যারা ইউরোপীয় নয়। আশ্রয়প্রার্থীদের উৎস দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে আছে। তালিকায় শীর্ষে থাকা সিরিয়ার আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৭০৫ জন। এরপর আছে যথাক্রমে ইরাক (৪৭ হাজার ৮৮০), আফগানিস্তান (৫৪ হাজার ৪৫৫), নাইজেরিয়া (৪৫ হাজার ৬০০), পাকিস্তান (৩১ হাজার ২৭০), ইরিত্রিয়া (২৮ হাজার ৪৪০) ও আলবেনিয়া (২৪ হাজার ২৯০)।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রায় সবাই লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে। লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই দেশে না ফিরে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। আবার দেশি-বিদেশি মানবপাচারকারীচক্র বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়েও বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে পাঠিয়েছে অনেককে। গত মাসে সিএনএন মানবপাচারকারীদের তৎপরতা তুলে ধরেছে।

ইইউর তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—এ তিন মাসে চার হাজার ৮৩৫ জন বাংলাদেশি ইইউর কোনো না কোনো দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। গত বছরের জুলাই থেকে ধারাবাহিক আবেদনের সংখ্যা থেকে জানা যায়, কোনো মাসেই এ সংখ্যা হাজারের নিচে নামেনি। গত বছর সেপ্টেম্বরে আশ্রয়ের জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৯০ জন।

বাংলাদেশিরা সুনির্দিষ্টভাবে ইইউভুক্ত কোন দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করছে তার একটি ধারণা পাওয়া যায় তৃতীয় প্রান্তিকের তথ্য-উপাত্ত থেকে। এ সময়ের মধ্যে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশিদের ৬৩ শতাংশই ইতালিতে আবেদন করেছে। আশ্রয়প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের ইতালির পর পছন্দের দেশগুলো যথাক্রমে ফ্রান্স (১৩%), যুক্তরাজ্য (১০%), গ্রিস (৮%) ও জার্মানি (২%)। বাংলাদেশিদের বাকি ৫% ইইউর অন্য দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছে।

জানা গেছে, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে ৬৭৫ জনের। এর মধ্যে ১৬০ জন পেয়েছে শরণার্থী মর্যাদা। অর্থাৎ বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মাত্র ৫ শতাংশ শরণার্থী মর্যাদা পেয়েছে। ৪৫ জন সম্পূরক সুরক্ষা পেয়েছে। মানবিক কারণে আশ্রয় পেয়েছে ৪৭০ জন। আবেদনপত্র নাকচ হয়েছে তিন হাজার ১৫০ জনের।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জাতি, বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, কোনো বিশেষ সামাজিক গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে নিজ দেশে বা বসবাসরত দেশে সুরক্ষা পাবে না—এমন ব্যক্তিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ দেশগুলো আশ্রয় দেওয়ার কথা বিবেচনা করে থাকে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সিরিয়া, আফগানিস্তান বা ইরাকের মতো বিপজ্জনক নয়। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছে শরণার্থী মর্যাদার জন্য বাংলাদেশিরা আবেদন করলে তা গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকলেও ইউরোপে ৮০ থেকে ৯০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হয়। সরকারি পর্যায়ের আলোচনায় তাদের অভিহিত করা হয় ‘অনিয়মিত বাংলাদেশি’ হিসেবে। মনে করা হয়, তাদের মধ্যে একটি অংশ নানা কারণে ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসী হয়ে পড়েছে। তবে ইইউর মনোভাব হলো, যাদের ইইউয়ে বৈধভাবে থাকার যোগ্যতা নেই তাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশ এ বছর ইইউর সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে। গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এসওপি-সংক্রান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে জার্মানি কর্তৃপক্ষ ওই দেশে অবস্থানরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের একটি তালিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তালিকার ভিত্তিতে পরিচয় যাচাই করে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনার মহানগরীর চানমারি এলাকায় খলিলুর রহমান সিয়াম (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ৮টার দিকে সে মারা যায়।

নিহত সিয়াম মহানগরীর চানমারি চতুর্থ গলি এলাকার বাসিন্দা আইনাল হকের ছেলে। সে রূপসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক রাতে ১০৬ চিকিৎসককে ঢাকার বাইরে বদলি; যোগ না দিলে অবমুক্তি

কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে এক রাতেই ১০৬ জন চিকিৎসককে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বদলির আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ অন্যান্য পদের ডাক্তার রয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে ৪৪ জনকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উপজেলায়, অন্যদের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা জেলা সদরে। বদলি হওয়া বেশির ভাগ চিকিৎসকই ছিলেন সংযুক্তি নিয়ে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই আদেশ ছাড়া হয় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে পরদিন থেকেই অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবে, এমনকি তারা ওএসডি হিসেবে বেতন-ভাতাও পাবেন না। মন্ত্রণালয়ের এমন কঠোর পদক্ষেপের পরও নানাভাবে বদলি ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অনেক চিকিসক। তবে হঠাৎ করে এই বদলির ফলে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১০৬ চিকিৎসকের মধ্যে ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেরই আছেন ৫৩ জন। অন্যরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগাম জানান দিয়ে বদলি করলে তদবিরে অতিষ্ঠ হতে হয়, ঠিকমতো আর বদলি করা যায় না।
তাই এবার কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমেই এ বদলি করা হয়েছে। এখন থেকে এমন বদলি আরো হবে। আর সুযোগ দেওয়া হবে না। কারণ মাঠে ডাক্তার শূন্যতায় মানুষের সেবা যেমন বিঘ্নিত হয়, তেমনি নানা মহল থেকে আমরা সব সময় গালমন্দ শুনতে থাকি। এ ছাড়া অতিরিক্ত সংযুক্তির কালচার থেকেও আমরা বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। ’

এদিকে এই বদলির আদেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনি বলেন, ‘বদলির বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। কোনো পরিকল্পনা না করেই এমন বদলি কতটা সুফল বয়ে আনবে সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। বিশেষ করে একদিকে উপজেলা খালি করে জুনিয়র প্রায় সব ডাক্তারকে উচ্চশিক্ষার নামে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। সেটাও যেমন পর্যায়ক্রমে করলে ভালো হতো, তেমনি এখন ঢাকা থেকে এতজন সিনিয়র ডাক্তারকে একযোগে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হলো তাতেও কোনো পরিকল্পনা নেই। ’

অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের উচিত ডাক্তার বদলি ও পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আরো পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া, যাতে করে ডাক্তাররা গ্রাম ছাড়া না হয়, আবার ঢাকায় অতিরিক্ত সংযুক্তির সুযোগ না থাকে। ’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এত অতিরিক্ত ডাক্তারদের সংযুক্তি কেন এবং কিভাবে দেওয়া হয়েছিল সেটাও দেখতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকেই তো এই সংযুক্তির আদেশ নিয়ে আসে!’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে এখানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে এক দিনে দুটি আদেশের মাধ্যমে ৫৩ জন ডাক্তারকে বদলি করা ঠিক হয়নি। এখন এতগুলো পদের শূন্যতা হঠাৎ করে কিভাবে সামাল দেব বুঝতে পারছি না। পর্যায়ক্রমে বদলি করলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না। ’

বিএমএ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রভাবশালী নেতা ডা. উত্তম বড়ুয়া আরো বলেন, ‘নানা সময় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের এই হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানের ডাক্তারদের সংযুক্তি পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পদ না থাকলেও মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর থেকে আদেশ নিয়ে এখানে এসে যোগদান করেছেন। আমরা বাধ্য হয়ে তাঁদের জায়গা করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের নিয়ে নতুনভাবে সেটআপ তৈরি করে আমরা হাসপাতালের সেবার মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত করেছি। এখন সাধারণত কোনো রোগীকেই আর এই হাসপাতালে এসে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হয় না, সব ধরনের চিকিৎসাই দেওয়া হয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘বদলির ক্ষেত্রে আরেকটি ঘটনাও মানা যাচ্ছে না। সেটা হলো যাঁদের বদলি করা হয়েছে তাঁরা সবাই সরকার সমর্থক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতাকর্মী। অন্য দলগুলোর সমর্থক কেউ ওই তালিকায় পড়ল না কেন সেটা আশ্চর্য লাগছে। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরীর অনুশোচনা

পরীর অনুশোচনা

কর্তৃক Daily Satkhira

আমি তো এই আমিটা, আমার মুখে মায়ের বুলি।

আমি তো এই আমিটা, চোখটা জুড়ে স্বপ্ন বুনি।
আমি তো এই আমিটা, বুকটা ভরা মায়ার খনি।
আমি তো এই আমিটা, দু’হাত করে যত্ন ধরি।
আমি তো এই আমিটা, দুর্গম পথ দু’পায়ে মাড়ই।
আমি তো এই আমিটা, কণ্ঠে কোমল সুরও সাধি।
আমি তো এই আমিটা, সিঁথি কাটা চুলে বেনুনি বাঁধি।
আমি তো এই আমিটা, কষ্ট পেলে ডুকরে কাঁদি।

তবে আমি এ কোন আমি? যে রাগের কাছে
উগ্র চরি!

তবে আমি এ কোন আমি? যে নিকৃষ্ট সেই ক্ষণজন্মাতে আপোষ করি!
তবে আমি এ কোন আমি? যে গলা চরাই বিশ্রী ঐ উন্মাদনায়!

এই তো আমি, আমিই তো! শোধরাতে যে
অনুশোচনায়…………….

(পরীমণির ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাহাড়কে ‘ব্যক্তি’র মর্যাদা!

কথা বলতে পারে না, চলতে পারে না, অনুভূতি নেই- এসব কারণে একটি পাহাড়কে আপনি ‘বস্তু’ মনে করতে পারেন। কিন্তু সেই একই পাহাড়কে ‘বস্তু’ নয়, ‘ব্যক্তি’ মনে করেন নিউজল্যান্ডবাসী।

সম্প্রতি দেশটির বিখ্যাত মাউন্ট টারানাকিকে ‘আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তি’র মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় আইনে একজন ব্যক্তি যেসব সুবিধা ভোগ করেন, মাউন্ট টারানাকিও তা ‘ভোগ’ করতে পারবে!

অবশ্য কোনো ভৌগলিক অঞ্চলকে আইনের দৃষ্টিতে ‘ব্যক্তি’র স্বীকৃতি দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এই নিয়ে তিনবার এমন নজির স্থাপন করলো নিউজিল্যান্ড। এই আইনি স্বীকৃতির মাধ্যমে মূলত একটি এলাকার পরিচর্যা ও সংরক্ষণের বিশেষ দায়িত্ব সরকার নিজে কাঁধে নেয়। এখন থেকে কেউ কোনোভাবে পাহাড়টির ক্ষতি করতে চাইলে তা সংশ্লিষ্ট ‘উপজাতির ক্ষতির চেষ্টা’ বলে গণ্য হবে।

নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত পাহাড় মাউন্ট টারানাকি। পর্বতটি স্থানীয় মাউরি উপজাতির কাছে খুবই পবিত্র একটি জায়গা। আসলে ‘জায়গা’ নয়; তারা মনে করেন, এই পাহাড়ই তাদের এক পূর্বপুরুষ এবং গোত্রের সদস্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest