সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

কোহলি-আনুশকার বিয়ে দেখুন ছবিতে

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং বলিউড সুপারস্টার আনুশকা শর্মার শুভ পরিণয় অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে। তাদের বিয়ের কয়েকটি ছবি পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো।

ছবি- আনুশকা শর্মার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অসময়ের বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন জেলার ইট ভাটাগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি নিম্ন চাপের ফলে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জেলার অধিকাংশ ইট ভাটা মালিকেরা। অসময়ে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জেলা শতাধিক ইটভাটার পাড়ান। নষ্ট হয়েছে লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট। মাথায় হাত উঠেছে ইটভাটা মালিকদের। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলার ইটভাটা মালিকরা।
সাতক্ষীরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম জানান, অসময়ে বৃষ্টির কারণে জেলা ইটভাটা গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। স্বরণকালের ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইটভাটা মালিকেরা।
অনেক ভাটা মালিকেরা ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু বছরের শুরুতেই এ বড় ধরনের ধাক্কায় সর্বশান্ত হয়ে গেছেন তারা। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে আর কিভাবেই বা নতুন করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন ভাটা মালিকেরা। অনেকেই ইতিমধ্যেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় প্রায় এক’শ ইট ভাটার মালিকেরা এখন দিশেহারা। প্রতিটি ভাটা মালিক ব্যাবসার শুরুতেই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অনেক ভাটা মালিকের পক্ষে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এদিকে হটাৎ বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কারনে জেলার সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ইটের সংকট দেখা দিতে পারে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেক ভাটা মালিক মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে ভাটা মালিকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বিমা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নবাগত পুলিশ সুপারকে শিক্ষক সমিতির শুভেচ্ছা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নবাগত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতি। সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারের অফিস কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সহ সভাপতি আব্দুর জব্বার, আব্দুল লতিফ, মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক বিএম শামছুল হক, প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইদুজ্জামান ইদ্রিস, মনোরঞ্জন মন্ডল, ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, এসএম নাজমুচ্ছায়াদাত পলাশ, নজরুল ইসলাম, আশাফুর রহমান, জহুরুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় নবাগত পুলিশ সুপার শিক্ষকদের আদর্শ বজায় রেখে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাবার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের কভার লাগানোর নামে মটরযান মালিকদের হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের কভার লাগানোর নামে দালালদের খপ্পরে পরে দিশেহারা হয়ে পড়ছে মটর সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনের মালিকরা। যেন ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের কভার লাগানো বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে দালাল চক্রের কাছে। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মটর সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনের মালিকরা। যদিও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের কভার লাগানো বাধ্যতামূলক না থাকলেও জোর পূর্বক অর্থ আদায় করছে দালাল চক্ররা।
সরজমিনে দেখা যায়, শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের ভিতরে শিল্পকলা একাডেমীর সামনে বিআর টিএ কর্তৃক ডিজিটাল নাম্বার প্লেট লাগানো হয়। পাশেই শহিদ মিনারের সামনে বসে থাকে আর একটি দল। তবে এরা বিআরটিএ’র কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নয়। এরা স্থানীয় কিছু দালাল। আর এ দালালরা চাতক পাখির মত পার্কেই বসে থাকে কখন মটর সাইকেল আসবে। আসলেই হয়রানী শুরু হয়ে যায় ওই দালাল চক্রের। তাদের কে দেখলে ও কথা শুনলে মনে হবে তারা বিআরটিএ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান, মটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের ডিজিটাল নাম্বার প্লেট লাগাতে বিআরটিএ’র কোন প্রকার অর্থের প্রয়োজন হয়না বা তারা কোন প্রকার অর্থ আদায় করে না। এদিকে, নাম্বার প্লেট নেয়ার পর প্লেটে একটি টিনের কভার লাগানো হয়। আর সেই কভার লাগাতে গিয়েই মালিকদের বিভিন্ন ভাবে ভোগান্তি ও হয়রানি পোহাতে হচ্ছে শুধু মাত্র ওই দালাল চক্রদের জন্য। শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর গ্রামের আব্দুস সোবহান, সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গত কয়েকদিন পূর্বে তার মটর সাইকেলে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট লাগাতে শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আসেন। তিনি তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট সংগ্রহ করেন। এসময় যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ভাইপো পরিচয়দানকারী জনৈক যাদু ও জিতুর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে তার কাছে নাম্বার প্লেটের টিনের কভার লাগাতে হবে বলে ৫শ টাকা দাবী করেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হয়। পরে আড়াই শ টাকায় তা রফাদফা হয়। আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামের মটর সাইকেল মালিক রফিকুল ইসলাম, কুদ্দুস ও আজিজ জানায়, তিনিও ডিজিটাল নাম্বার প্লেট সংগ্রহ করতে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আসেন। সেদিন খুব সকাল হওয়ায় তখনও পর্যন্ত বিআরটিএ’র কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেখানে উপস্থিত ছিল না। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিল স্থানীয় যুবলীগ ও জনপ্রতিনিধি পরিচয়দানকারী যাদু, জিতু, লিটু, সেলিমসহ কয়েকজন যুবক তাদের নিজেদেরকে বিআরটিএ’র কর্মকর্তা দাবী করেন। এসময় মটর সাইকেল চালক রফিকুল ইসলামের কাছে তার মোবাইলের ম্যাসেজ দেখতে চায়। রফিকুল ম্যাসেজ দেখাতে না পারলে অফিস খরচ বাবদ তার কাছে ৫শ টাকা দাবী করে জোর পূর্বক আদায় করে। এভাবেই স্থানীয় কিছু যুবক ডিজিটাল নাম্বার প্লেট লাগানোর নামে ও নিজেদের বিআরটিএ’র কর্মকর্তা পরিচয়ে সাধারণ মটর সাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের মালিকদের কে হয়রানি করছে। এদিকে গত ১২নভেম্বর বিআরটিএ’র খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এক সফরে এসে সব কিছু দেখেন এবং যারা নাম্বার প্লেটের কভার লাগাচ্ছে তারা কেউ পার্ক এরিয়ায় না থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশও মানছে না ওই দালাল চক্রটি। তারা কারো কথায় কোন তোয়াক্কা না করেই বীরদর্পে হয়রানি করে চলেছে। ওই দালাল চক্রটির বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করতে যায়, তাহলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও মারপিট করা হয় বলে ভূক্তভোগীরা জানায়। ভুক্তভোগীরা আর যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে বিআরটিএর সাতক্ষীরা সার্কেলের পরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, দালাল চক্রের হয়রানীর ব্যাপারে আমি অভিযোগ পেয়েছি। যার ফলে আমি খুলনা বিভাগীয় ডিডিকে নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু ওই সময় কেউ কোন অভিযোগ না করে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। আমরা সুনির্দিষ্ট কোন দালালকে চিহ্নিত করতে পারিনি। আপনারা এগুলো পত্রিকায় প্রকাশ করেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তাছাড়া যদি বিআরটিএর কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ওই দালাল চক্রের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আজ সাতক্ষীরা আসছেন ওবায়দুল কাদের; জেলা আ ‘লীগের নেই কোন কার্যালয়

অপ্রতিম/এম বেলাল হোসাইন : আজ সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তার আগমনকে ঘিরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠন সেজেছে নতুন সাজে। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সম্পাদকের সফরকে সফল করতে সকল প্রস্তুতিও কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর তার সাতক্ষীরা সফরের কথা থাকলে বিশেষ কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। তবে অবশেষে আজ সাতক্ষীরায় আসাছেন তিনি।
তার সফরকে কেন্দ্র করে জেলায় আ ’লীগের নেতাকর্মীরা চাইছেন, জেলার সড়ক যোগাযোগের যে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে সেদিকে যেন মন্ত্রীর সুনজর পড়ে। সরকারের সড়ক যোগোযোগ ও সেতু মন্ত্রী হিসেবে এটি তার মন্ত্রণালয়েরই বিষয়। বর্তমান সরকারের অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকা-কে ম্লান করে দেয়া সাতক্ষীরার বেহাল সড়কগুলোতে ইতিমধ্যেই প্রলাপ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। কিন্তু যথাযথভাবে সংস্কার করা না হলে স্বল্প সময়েই এসব রাস্তা আবারও ভগ্ন চেহারায় ফিরে যাবে বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে বিগত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ কার্যত দুটি ২টি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে কয়েকবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগকে এক করার জন্য ঢাকায় ডেকে বসাবসী করলেও তেমন কোন সমাধান হয়নি। আর এ কারণে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রমে তেমন উদ্দীপনা লক্ষ্যণীয় নয়। এছাড়া জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং এর প্রভা তৃণমূলেও রয়েছে। অধিকাংশ উপজেলায় দলীয় কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ফলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের চেয়ে বেশি ব্যক্তি বন্দনার রাজীনীতিই চলছে। এর পাশাপাশি ‘এমপি লীগ’তো আছেই। সম্প্রতি কলারোয়ায় উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য মারপিটে রূপ নেয়Ñ যা সারাদেশে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে।
উল্লেখ্য বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সাতক্ষীরা জেলা ৪টি সংসদীয় আসনে সম্মিলিতভাবে আওয়ামীলীগই সবচেয়ে বেশি সমর্থকের দল। কিন্তু প্রায় সকল আসনেই দলীয় কোন্দল থাকায় নির্বাচনে এক পক্ষ নমিনেশন না পেলে অপর পক্ষের প্রকাশ্য বিরোধিতা করে যার ফলে দলীয় প্রার্থীর ভোটের বাক্সে দলের সকল ভোট পড়ে না। আর এ সুবিধা নিয়ে জেলায় মৌলবাদি রাজনীতিকে শক্তিশালী করে জামায়াত। সুতরাং সাতক্ষীরাকে মৌলবাদি রাজনীতির করাল থাবা থেকে বাাঁচাতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আ’লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নইলে ২০১৩ সালের জামাতি নৃশংসতার ইতিহাস আবারও ফিরে আসতে পারে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। অথচ স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও সাতক্ষীরায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কোন কার্যালয় নেই। এতবড় একটি সংগঠনের দলীয় কার্যালয় না থাকায় দলীয় কার্যক্রম অনেকাংশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দলের দায়িত্বশীল নেতা অভিযোগ করেছেন। কার্যালয় না থাকায় নেতাদের ড্রয়িং রুম কেন্দ্রিক রাজনীতি কোন্দল আরও বাড়িয়ে তুলছে। আর এই কোন্দল আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলেও প্রার্থীদের জন্য দুর্ভাবনার কারণ হতে পারে। তাই জেলার অধিকাংশ আ ’লীগ নেতাকর্মীর দাবি নিজস্ব কার্যালয়।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আজকের সম্মেলন সফল করতে আমরা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমরা সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। তবে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে আমাদের অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। সম্মেলন স্থলের কাজও সম্পন্ন। বৃষ্টি যাতে সম্মেলনকে বাধাগ্রস্থ করতে না পারে এজন্যও বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জেলা আওয়ামীলীগের কোন কার্যালয় হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু জায়গার অভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে কিছু আগে আমার নামে একটি জায়গা ভাড়া নিয়েছি। কিন্তু অর্থের অভাবে সেখানে কার্যালয় করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে অবশ্য আমরা অর্থের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও করেছি।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, “আমরা আমাদের প্রিয় নেতা ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর কাছে আমাদের জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর আশু সংস্কারের দাবি জনাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক রেলালাইন স্থাপনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন চাইব।” দলের অফিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অবশ্যই দলীয় কার্যালয় আমাদের প্রয়োজন। আমরা একটি ভালো স্থান নির্বাচন করার চেষ্টা করছি। তা সম্ভব হলে অর্থ কোন সমস্যা নয়। আমরাও বিশ্বাস করি নিজস্ব কার্যালয় থাকলে সাতক্ষীরা আওয়ামীলী আরও গতিশীল হবে।”
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দীন বলেন, ২৫ বছর আগে পর পর দুইবার দলীয় সভানেত্রী বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা আ ’লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে বলেছিলেন আপনারা জায়গা দেখেন আমি টাকা দেব। কিন্তু সুস্পষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে সেটি করা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিনেমা প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি!

সৌদির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি সরকার। দীর্ঘ ৩৫ বছর সিনেমায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই দেশটিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রেক্ষাগৃহ বা সিনেমা হল চালু হবে বলে জানা যায়। সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমাদৃত হলেও এতে দেশটির বহু বছরের রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছেন অনেক সৌদি নাগরিক।

সম্প্রতি গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল শেখ বলেছিলেন, ‘নৈতিকতাকে দূষিত করবে সিনেমার অনুমোদন। ‘ তবে সেই যুক্তি মেনে নেননি যুবরাজ। এরপরেই এসেছে সিনেমা দেখানো সংক্রান্ত নতুন এ নির্দেশ।

এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আওয়াদ আলওয়াদ সোমবার জানান, প্রেক্ষাগৃহ সৌদির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিকাশকে প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি দেশের বিনোদন জগতও সমৃদ্ধ হবে। জানা যায়, আগামী ১২ বছরের মধ্যে সৌদিতে তিনশ’ প্রেক্ষাগৃহ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

বিবিসি জানাচ্ছে, ১৯৭০ এর দশকে সিনেমা দেখা যেতো সৌদি আরবে।
কিন্তু পরে ধর্মীয় নেতাদের চাপে সিনেমা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানো ও বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। যুবরাজ তথা ভবিষ্যৎ বাদশা মহম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিশন-২০৩০ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ফের সিনেমা প্রদর্শনের এ নির্দেশ দেওয়া হল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের সঙ্গে টেস্ট খেলবে আফগানিস্তান

ইতিমধ্যেই ১১তম দেশ হিসাবে টেস্ট খেলিয়ে দেশের সম্মান পেয়ে গেছে আফগানিস্তান। ২০১৯–২০ সালে তারা টেস্ট খেলবে ভারতের বিরুদ্ধেই।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে বিসিসিআইয়ের কার্যনির্বাহী সচিব অমিতাভ চৌধুরী জানান, ‘‌অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলার পরে ভারতে আসবে আফগান দল। ওদের স্বাগত জানাচ্ছি। ’

জুনে ক্রিকেট বিশ্বের ১২তম দল হিসেবে গত জুন মাসে আফগানিস্তানের সঙ্গেই টেস্ট খেলিয়ে হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল আয়ার্ল্যান্ডের নাম। খবরে আফগান ক্রিকেট মহলে খুশির হাওয়া।

আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‌ভারতে আইপিএল খেলার পাশাপাশি টেস্ট খেলার ইচ্ছা আমাদের বহুদিন ধরেই ছিল। এবার সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। মাঠে আমাদের ক্রিকেটাররা সেরাটাই দেবে। লড়াকু ক্রিকেটের জন্য আফগান ক্রিকেটারদের পরিচিতি আছে।
আমরা দর্শকদের হতাশ করব না। ’‌

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাড়ে ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ; স্ত্রীসহ সেই এসপিকে দুদকে তলব

সাড়ে আট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ ডিসেম্বর তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে তাদের তলব করা হয়। মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ দম্পতিকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে।

নোটিশে এসপি ও তার স্ত্রীকে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত দলিল, ব্যাংক হিসাবের শুরু থেকে হালনাগাদ বিবরণী, দায়-দেনা ও আয়ের উৎস সংক্রান্ত কাগজসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। সুভাষ চন্দ্র বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। গত ২৪ অক্টোবর ওয়ান ব্যাংকে ১৯টি এফডিআরের বিপরীতে সাড়ে আট কোটি টাকা পাওয়ায় সুভাষ ও রীনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দিয়েছিল কমিশন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর যৌথ নামে আট কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যা ওয়ান ব্যাংকের রাজধানীর বংশাল ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখায় গচ্ছিত ছিল। কিন্তু পুলিশ সুপার ওই অর্থের তথ্য দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী এবং আয়কর নথিতে উপস্থাপন না করে গোপন রেখেছেন। দুদকের অনুসন্ধানেও ওই আয়ের যথাযথ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গচ্ছিত টাকার মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখার ৬টি এফডিআরে দুই কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখায় ১২টি এফডিআরে পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest