জিম্বাবুয়েকে ২ দিনেই হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

ইতিহাসের প্রথম চারদিনের দিবা-রাত্রির টেস্ট দুই দিনেই জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গোলাপী বলে মরনে মরকেল ও কেশভ মহারাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে।

প্রথম দিন ৯ উইকেটে ৩০৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৬৮ ও ১২১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে একমাত্র টেস্ট ইনিংস ও ১২০ রানে জেতে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল।

বুধবার পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে ৪ উইকেটে ৩০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। আগের দিন ১৬ ওভার ব্যাটিং করা অতিথিরা এদিন প্রথম ইনিংসে ১৪.১ ওভারেই গুটিয়ে যায়।

আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া মরনে মরকেল সকালেই তুলে নেন রায়ান ব্রুল ও সিকান্দার রাজাকে। ২০১২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পান তিনি। সব মিলিয়ে সপ্তমবারের মতো পেলেন পাঁচ উইকেট।

এছাড়া অন্য বোলাররাও মরকেলকে অনুসরণ করে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ফেরাতে থাকেন। এতে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টেস্টে দেশটির এর চেয়ে কম রানের ইনিংস আছে মাত্র চারটি। ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার মরকেল।

বিধ্বস্ত হওয়া অতিথিরা ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এবার মাত্র ৪২.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় তারা। ইনিংসে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন মহারাজ। এই লেগ স্পিনার ৫৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।

এছাড়া অলরাউন্ডার ফেলুকওয়ায়ো ৩ উইকেট নেন ১৩ রানে। একটি করে উইকেট নেন ফিল্যান্ডার ও রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া মরকেল মাত্র ৪ ওভার বল করে থাকেন উইকেট শূন্য।

তবে প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন এইডেন মারক্রাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৯/৯, ইনিংস ঘোষণা

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩০/৪) ৩০.১ ওভারে ৬৮ (মাসাকাদজা ০, চিবাবা ৭, আরভিন ৪, টেইলর ০, ব্রুল ১৬, জার্ভিস ২৩, রাজা ০, মুর ৯, ক্রেমার ২, পোফু ০, মুজারাবানি ৪*; মর্কেল ৫/২১, ফিল্যান্ডার ১/২১, রাবাদা ২/১২, ফেলুকওয়ায়ো ২/১২)

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৪২.৩ ওভারে ১২১ (চিবাবা ১৫, মাসাকাদজা ১৩, আরভিন ২৩, টেইলর ১৬, ব্রুল ০, রাজা ৫, মুর ১, ক্রেমার ১৮*, জার্ভিস ৫, পোফু ০, মুজারাবানি ১০; মর্কেল ০/১২, ফিল্যান্ডার ১/১০, মহারাজ ৫/৫৯, রাবাদা ১/১২, ফেলুকওয়ায়ো ৩/১৩)

ফল: ইনিংস ও ১২০ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

সিরিজ: ১-০ ব্যবধানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এইডেন মারক্রাম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্ধুত্বের ৬০ বছর পর জানলেন তারা একই মায়ের সন্তান!

আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হল বন্ধুত্ব। আর ভাই হচ্ছে রক্তের বন্ধন। অ্যালান রবিনসন ও ওয়াল্টার ম্যাকফারলেন নামে দুই ব্যক্তি ভিন্নভাবে এই দুই বন্ধনেরই স্বাদ উপভোগ করলেন। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে এই দুই ব্যক্তি বন্ধু হিসেবে ৬০ বছর কাটানোর পর জানতে পারেন তারা আসলে আপন ভাই। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারা এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এপি।

জানা যায়, মাত্র ১৫ মাস বয়সের পার্থক্য রবিনসন ও ওয়াল্টারের মধ্যে। কিন্তু কেউ তাদের বাবার পরিচয় জানতেন না। যার ফলে তাদের মা ম্যাকফারলেন ওয়াল্টারকে নিজের কাছে রেখে দেন এবং রবিনসনকে দত্তক দিয়ে দেন। যার ফলে এই দুই ভাইয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। তবে নিয়তি হয়তো তাদের জোড় লিখেই রেখেছিল। জন্মের পর পরই আলাদা হয়ে যাওয়া দুই ভাই আবার একে অপরের সঙ্গ পান ছয় বছর পর হনুলুলু প্রিপারেশন স্কুলে। সেখানেই ফুটবল মাঠে একই দলের হয়ে খেলতে গিয়ে পরস্পরের বন্ধুত্ব হয়।

হনলুলু খোন টিভির রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাবার পরিবারের তথ্য আবিষ্কার করতে ডিএনএ ম্যাচিং ওয়েবসাইটগুলোতে চেষ্টা করতে লাগল ম্যাকফারলেনের মেয়ে চিনডি ম্যাকফারলেন ফ্লোরেস।

রবিনসনও একইভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার পারিবারিক পরিচয় জানার জন্য চেষ্টা করছিল। পরে তারা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে জানতে পারল রবিনসন ও ম্যাকফারলেন আসলে একই মায়ের সন্তান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দর্শক পিটিয়েছেন সাব্বির!

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ড চলাকালে দর্শক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারি এ অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির একটি সূত্র।

লিগের শেষ রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পান রাজশাহীর ক্রিকেটার সাব্বির। কিন্তু কোনো রান না করেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এতে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ ছিল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ওই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। ওই ম্যাচেই গ্যালারি থেকে কেউ সাব্বিরকে উদ্দেশ্যে করে গালি দেন।

ম্যাচ রেফারি রিপোর্টে বলেছেন, ফিল্ড আম্পায়ারদের অনুমতি নিয়ে সাব্বির কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান। মাঠ থেকে বেরিয়ে গালি দেয়া দর্শককে ডেকে এনে সাইড স্ক্রিনের পেছনে নিয়ে মারধর করেন। খেলা শেষে শুনানির সময় ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের সঙ্গেও বাজে আচরণ করেন সাব্বির।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রেফারির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তি হতে পারে সাব্বিরের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের উৎসাহ জুগিয়েছে কিছু এনজিও!

মিয়ানমার সামরিক জান্তা, বিজিপি ও উগ্রপন্থী সশস্ত্র রাখাইন জনগোষ্ঠীর অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট আটক করে পৈষাচিক নির্যাতনের ঘটনায় পালিয়ে আসা প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের নেপথ্যে কতিপয় নিবন্ধনহীন এনজিও উৎসাহ জুগিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার বিভিন্ন অবলম্বে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক ওইসব এনজিওকে দায়ী করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত তথ্যে জানা গেছে, সরকারের সামনে অন্যতম বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। মিয়ানমার সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে প্রায় ৭লাখ রোহিঙ্গা এদেশে প্রবেশ করে উখিয়া-টেকনাফ ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতায় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও ভরণ-পোষনের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কক্সাবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে বিভিন্ন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা শাখা ও সংস্থা গুলোর রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ সংক্রান্ত কোন তথ্য উপাত্ত পায়নি। যে কারণে ১২টি এনজিও’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। উক্ত নির্দেশনায় উল্লেখ্য করা হয়েছে সাফ্জ, কালব, ওফকা, জাগরণ, এমপিডিআর, মানবাধিকার, শেড ওয়াশ, টাই বিডি, এসআরপিবি, গ্রামীণ ব্যাংক, লাচুন ও শিলাফ এর নাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব সনজীদা শারমিন স্বাক্ষরিত এ আর্দেশ ২৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এ সংক্রান্ত অনুলিপি বাংলাদেশ সচিবালয়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সুরক্ষা বিভাগের একান্ত সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অনৈতিক কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক উক্ত ১২টি এনজিওদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝুলন্ত পাথরের আসল রহস্য !

ছবিটি ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করে থাকেন! বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের মানুষ এটিকে অলৌকিক পাথর হিসেবে জেনে থাকেন। অনেকেই বলে থাকেন ভিন্ন ধরনের কথাবার্তা! কেউ আবার এটাকে কুদরতি বলেও চালিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন ১৪০০ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পাথর দুটি বেধে রেখে গেছিলেন। সেই পর্যন্ত পাথর দুইটি আজও শুন্যের মধ্যে ঝুলে আছে বলে অনেকেই দাবি করেন।

ইসলামা ধর্মবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, আল্লাহ মানব জাতির মুক্তির জন্য পৃথিবীতে অনেক নবী ও রসূল প্রেরণ করেছিলেন এবং তাদের প্রদান করেছিলেন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা। যেমন মুসা (আঃ) এর লাঠি সাপে পরিণত হওয়া, সাগর এর মাঝে রাস্তা তৈরি হওয়া, ইউনুস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়া, ঈসা এর ঊর্ধ্বগমন, মোহাম্মদ (সাঃ) এর হাতের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া ইত্যাদি।

কিন্তু এই পাথর আসলে সেধরনের কিছু নয়। আসলে এটা একটা ভাস্কর্য! ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মনে হওয়া এই ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে মিশরের কায়রো বিমানবন্দরের প্রবেশপথে। ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয় পাথরটি। এর নির্মাতা ভাষ্কর শাবান আব্বাস। ভাষ্কর্যটির এভাবে অবস্থান করতে পারার কারণ পাথরগুলো আসলে পাথর নয়, বরং পাতলা মাইল্ড স্টিলের শিট যার বাইরের দিকে পাথরের মতো রং করা হয়েছে। দড়িটি মূলত লোহার রড যা নিচের পাথরের ভুমি সংলগ্ন অংশের ভেতর দিয়ে ভুমির সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করা! শুধু মাত্র মানুষের দৃষ্টি ভ্রম বিনোদনের জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কেন খাবেন কাঁচা টমেটো!

কম বেশি সবারই পছন্দের সেরা তালিকায় রয়েছে টমেটো। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও, সবজি হিসেবেই সারা বিশ্বে টমেটো পরিচিত। মুখ রোচক এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি।

প্রতিদিন দুটো করে কাঁচা টমেটো খেলে, বায়ু দূষণ যতই বাড়ুক না কেন, ফুসফুসের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তাই করতে হবে না। লাং-এর দেখাশোনার দায়িত্ব সেক্ষেত্রে নিয়ে নেবে এই লাল সবজি টমেটো। ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক স্বাস্থ্য গবেষকদের করা একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, টমেটোর অন্দরে এমন অনেক শক্তিশালী উপাদান রয়েছে, যা ধূমপান এবং বায়ু দূষণের কোনও প্রভাব যাতে ফুসফুসের উপর না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং নরওয়ের প্রায় ৬৮০ জন বাসিন্দার উপর প্রায় ১০ বছর ধরে এই গবেষণাটি চালানোর পর টমেটোর এইসব গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন যে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন লাং ফাংশনের উন্নতি ঘটে, তেমনি ভঙ্গুর শরীরও বল ফিরে পায়।

আমাদের কাঁচা টমেটো খাওয়ার অভ্যাস খুব কম, রান্নার পরিবর্তে যদি নিয়মিত ২-৩টি করে কাঁচা টমেটো খাওয়া যায় তাহলে দারুন উপকার হয়। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং আয়রনের চাহিদাও পূরণ হয়। অন্যদিকে আয়রন, রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই তো বুড়ো বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে এখন থেকেই টমেটো খেতে হবে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন প্রস্টেট, কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সার রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে লাইকোপেন হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের বিভাজন ঠিক মতো হতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যদি একবার ক্যান্সার কোষ জন্ম নিয়েও নেয়, বৃদ্ধি গতি কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরকে ক্ষয় করার সুযোগ পায় না

টমেটো যেহেতু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, তাই তো শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, যাদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড প্রেসার রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা আজ থেকেই কাঁচা টমেটো খাওয়া শুরু করুন, আয়ু বাড়বে সুস্থ থাকবেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বীজ সমেত টমেটো খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন নামে একটি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। সূত্র: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় আছিয়া-নজির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন আজ

নলতা প্রতিনিধি: “মাদক ও অন্যান্য সামাজিক অসঙ্গতিকে না বলুন, ফুটবলকে হ্যাঁ বলুন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২:৩০ মিনিট হতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. রুহুল হকের পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মরহুম মো. নজির আহম্মেদ এবং মাতা মরহুমা মোছা. আছিয়া খাতুনের নামে আছিয়া-নজির স্মৃতি ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট-১৭ উদ্বোধনী খেলা।
উক্ত গুণী ব্যক্তিদ্বয়ের স্মরণে লাবণ্যবতি ইয়ং স্টার ক্লাব, কুলিয়া বনাম সৈকত স্পোটিং ক্লাব,তালা এর মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য আজ ২৮ ডিসেম্বরের উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাম-লীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
খেলা উপলক্ষে নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠকে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে। আনন্দঘন ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিতব্য সমস্ত ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করার জন্য নলতা শরীফ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি ক্রীড়ামোদী দর্শকদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলোচনায় ‘ঘুষ’

আলোচনায় ‘ঘুষ’

কর্তৃক Daily Satkhira

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘সহনশীল ঘুষ’ নেওয়ার কথা উল্লেখ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষামন্ত্রী ‘সহনশীল ঘুষ’ এর কথা বলেননি বলে প্রথমে সংবাদের প্রতিবাদ ও পরে ২৭ তারিখ সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যা দিলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষা বিভাগের ঘুষের কথা অস্বীকার না করে এখন সময় এটি প্রতিরোধ করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দেশের সাতটি খাতের দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন হাজির করলেও দুর্নীতির পরিমাণ বিবেচনায় শিক্ষাখাতের দুর্নীতি লাগামছাড়া বলে তাদের বিভিন্ন জরিপে উঠে আসে। শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগ ধরে ধরে যখন তারা গবেষণা হাজির করছেন তখন একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে চলছে এসব জরিপকে ‘একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অস্বীকারের প্রবণতা। শিক্ষাবিদরাও বলছেন, শিক্ষার দুর্নীতি অস্বীকার না করে এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। একশভাগ দায়িত্ব নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান নিতে হবে।

দেশের ৬৭ শতাংশ সেবা গ্রহীতা কোনও না কোনোভাবে ঘুষ দিতে বাধ্য হন বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক জরিপে বেরিয়ে আসে। এই জরিপ উল্লেখ করে গত ১০ ডিসেম্বর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি খাতে সেবা নিতে গিয়ে সেবা গ্রহীতারা দুর্নীতির শিকার হন। যারা ঘুষ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মনে করেন, এছাড়া (ঘুষ) সেবা পাওয়ার অন্য কোনও উপায় নেই।’ এর আগে গতবছর জুন মাসে এই প্রতিষ্ঠানেরই আরেক জরিপে উঠে আসে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পাসপোর্ট ও বিচারিকসহ অন্তত ১৬টি খাতের সেবা পেতে বছরে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

পরবর্তীতে গত ১৬ ডিসেম্বর ‘সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রভাষক নিয়োগের প্রতিটি ধাপেই হচ্ছে দুর্নীতি। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়ে থাকে। এতে দাবি করা হয়, প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে প্রাধান্য না দিয়ে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় দলীয় পরিচয়, স্বজনপ্রীতি এবং অঞ্চলপ্রীতি।

তবে জরিপ কিংবা শিক্ষাবিদদের পর্যবেক্ষণ যাই বলুক না কেন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বারবারই এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরাসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, ঘুষ লেনদেন হয় এবং এ টাকা কোথায় যায় তা সবার জানা।

বছরের পর বছর ধরে এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থেকে কোচিং-বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্প্রতি সুপারিশ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে ২৪টি সরকারি বিদ্যালয়ের ৫২২ জন শিক্ষককে একই কারণে বদলির সুপারিশ করে দুদক। তবে দুঃখজনক হচ্ছে এখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কোনও কার্যক্রমও শুরু হয়নি।

শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী মনে করেন ঘুষকে নিয়ে এধরনের অস্বীকার প্রবণতা ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ‘তিনি (শিক্ষামন্ত্রী)এমন বক্তব্য দেওয়ার অর্থই হচ্ছে ঘুষ মেনে নিলেন। এই পর্যায়ে তিনি এধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কেন দেবেন? শিক্ষা প্রশাসনের বাস্তবচিত্র যে কী ভয়াবহ তা রোজ পত্রপত্রিকায় আমরা আমাদের আশেপাশে দেখতে পাচ্ছি। অস্বীকার না করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন, সেটা কাজের হবে। আজকের যে পরিস্থিতি তাতে একজন শিক্ষক নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া মানে তার সব অপরাধের বিরুদ্ধে যে শক্ত মেরুদণ্ড আমরা আশা করি, তা জাতি পাবে না।’

টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অনেক রকমের দুর্নীতি হয়। আমরা তো মনে করি শিক্ষা বিভাগটা দুর্নীতির বড় আখড়া। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যা হচ্ছে কে জানে না? সবাই জানে, কিন্তু কেউ বলে না। এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ড) নিয়েও টিআইবি কাজ করেছিল। মাউশিতেও অনেক ঘুষের লেনদেন হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন কোনও বিভাগ নেই যেখানে ঘুষ লেনদেন হয় না। এটি স্বীকার না করে আজকে দেখলাম শিক্ষামন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এসব দুর্নীতি বিএনপি জামায়াত আমলের। আমার পর্যবেক্ষণ বলে, বিএনপির আমলের যে ঘুষ লেনদেন পরিস্থিতি ছিল তার কোনও উন্নতি হয়নি। জিরো টলারেন্স ছাড়া অন্য যেকোনও মন্তব্য বা আচরণ ঘুষ লেনদেনকারীদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। তারা সতর্ক না হলে আরও বেশি ঘুষ নেবে। বালিতে মাথা না গুঁজে একশভাগ দায়িত্ব নিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। কারণ শিক্ষা হলো মগজ। মগজে পচন ঘটলে আর কিছু করা সম্ভব না।

শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অনেক অভিযোগ আছে ঠিকই কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রমাণিত সেভাবে হয়নি। মাঝে মাঝেই এমন অভিযোগ আসে। যেমন সর্বশেষ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এ এম এম শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়ার একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। তিনি সেটা স্বীকারও করেছেন।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল টিআইবি জরিপ না দুদক থেকেও এমন অভিযোগ এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এসেছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তদন্ত করেছি এবং এর প্রতিবেদনও জমা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এত বড় একটি সেক্টর এবং যেটা জাতির অন্যতম শ্রদ্ধার জায়গা সেই জায়গায় যদি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা তো খুবই লজ্জার। শিক্ষক, উপাচার্য এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসে। এগুলো তো খুবই লজ্জার এবং মারাত্মক অভিযোগ। এই জায়গাকে যদি ঠিক রাখতে না পারি তাহলে দেশকে কিভাবে ঠিক রাখবো।’

ঘুষের টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘুষের টাকা যারা নেয় তাদের কাছে যায়। ঢাকা শহরের কোন সরকারি কর্মকর্তার কতটা বাড়ি আছে, গুলশান বনানীতে কতটি বাড়ি আছে তা খতিয়ে দেখলেই তো বোঝা যাবে ঘুষের টাকা কোথায় যায়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest