সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

রোহিতের তৃতীয় ডাবল

রোহিতের তৃতীয় ডাবল

কর্তৃক Daily Satkhira

মোহালির জায়ান্ট স্ত্রিনে ঘুরে ফিরে তাকেই দেখাচ্ছে। চিন্তায় ততক্ষণে মুখ ঢেকে ফেলেছেন রিতিকা সাজদে। ১৯৭ রানে রোহিত শর্মা লং অফে শট খেলে দুই রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন। থ্রো ভালো হলে নিশ্চিতভাবেই আউট হয়ে যেতেন তিনি। ততক্ষণে রিতিকার চোখে জল চলে এসেছে। সে দফায় অবশ্য বেঁচে যান রোহিত। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ট্রিপল ‘ডাবল’ জয়ের আনন্দে অনামিকায় চুমু দিয়ে ব্যাটটা উচিয়ে দেখালেন স্ত্রী রিতিকার দিকে। তাঁর জন্য যার এত চিন্তা ডাবল সেঞ্চুরিটা তো তাকেই উৎসর্গ করবেন রোহিত শর্মা।

আগের ম্যাচটা লজ্জাজনকভাবে হেরে যাওয়ায় তেতে ছিল পুরো ভারতীয় দল। এই ম্যাচে যে কোনোমূল্যে জয় চাচ্ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ওয়ানডেটা হারায় সেই ম্যাচের রাগটা এই ম্যাচে ঝেড়ে দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ইনিংস শেষেও কমেনি রোহিতের রাগ। ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলির বদলে দলের নেতৃত্ব পাওয়া এই ওপেনার।

আজ দারুণ সাবধানী ছিল ভারতের শুরুটা। প্রথম পাঁচ ওভারের ২২ আর ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৩৩ রান। আর ৫০ ওভার শেষে সেই দলটির সংগ্রহ ৩৯২! মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে আজো টস হেরে বসে ভারত। কুয়াশায় কারণে বল ঠিকমতো দেখছিলেন না ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান।

দশ ওভারের পর হাত খোলেন ধাওয়ান। লঙ্কান বোলারদের পিটিয়ে ১৬তম ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি তুলের নেন বাহাতি এই ব্যাটসম্যান। রোহিতের রান তখন ২৩। হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টেকেননি ধাওয়ান। ৬৮ রান করে ফিরে আসেন তিনি। ৬৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা রোহিত শর্মা এগোতে থাকেন শ্রেয়াশ আয়ারকে নিয়ে।

ধাওয়ানের মতো রোহিতকে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে ফেলেন আয়ার। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। রোহিত তখন ৯৮ রানে অপরাজিত। ১১৫ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১৬তম শতক। পরের শতকটি করলেন মাত্র ৩৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে তৃতীয়বার ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

ভারতের হয়ে আজ রোহিত ছাড়া আয়ার ৮৮ ও শিখর ধাওয়ান করেন ৬৮ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডেমোক্র্যাটের অ্যালাবামা জয়ে ঝুঁকিতে ট্রাম্প

নির্বাচনের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যে সিনেট পদে জয়লাভ করেছেন ডেমোক্র্যাট পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ডগ জোন্স। দীর্ঘ ২৫ বছর পর অ্যালাবামায় বিজয়ের মুখ দেখল ডেমোক্র্যাট পার্টি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ডগ জোনস। রিপাবলিকান পার্টি সমর্থিত প্রতিপক্ষ রয় মুর পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট।

গণনা শেষ হওয়ার আগে সমর্থকদের মুর বলেন, ভোট গণনা পুরোপুরি শেষ হলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত ভোটের ফারাক আরো কমে আসবে। তাহলে নিয়মানুযায়ী ভোট পুনর্গণনা হবে।

অ্যালাবামার সেক্রেটারি অব স্টেট জানান, ভোটের পার্থক্য যদি দশমিক ৫ শতাংশের কম হয়, সে ক্ষেত্রে ভোট পুনর্গণনার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।

তবে সর্বশেষ গণনায় ফারাক দশমিক ৫ শতাংশের বেশি থাকায় পুনর্গণনার প্রয়োজন পড়বে না।

এদিকে মুরের পরাজয়ের পেছনে নির্বাচনী প্রচারের সময় বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় জনসমক্ষে আসাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচারকালে মুরের বিরুদ্ধে কিশোরীদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া সমকামিতার বিপক্ষে কথা বলায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে মুসলিমরা অযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে অ্যালাবামা থেকে সিনেট প্রার্থী হারানোয় ট্রাম্পের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে মার্কিন সিনেটে একজন সমর্থক হারালেন ট্রাম্প। এতে যেকোনো প্রস্তাব পাসে প্রেসিডেন্টকে আরো বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ডেমোক্র্যাট সমর্থিত সিনেট সদস্য ৪৯ এবং রিপাবলিকান সমর্থিত সিনেট সদস্য ৫১ জন। ২০১৮ সালে মধ্যবর্তী নির্বাচনে দুই দলের সিনেট সদস্যের ব্যবধান আরো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে ডুগের এই বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘ডুগ জোন্সকে এই বিজয়ে অভিনন্দন।’

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘বিজয় বিজয়ই। অ্যালাবামার জনগণ খুবই ভালো এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই আসনে রিপাবলিকানরা ঘুরে দাঁড়াবে। এটাই শেষ নয়!’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আকায়েদ জঙ্গি হয়েছেন আমেরিকায়!

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাস টার্মিনালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর বাংলাদেশে অবস্থানের সময় কোনো ধরনের অপরাধ পায়নি পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, আকায়েদ আমেরিকায় গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারেন।

আকায়েদের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে রাজধানীর বাসা থেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের একদিন বাদে আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা জানান কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসির) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

‘আকায়েদ বাংলাদেশে থাকার সময় তাঁর সম্পর্কে পুলিশের কাছে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সে হয়তো আমেরিকায় গিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন’, যোগ করেন সিটিটিসির প্রধান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, জিরো টলারেন্সের বাংলাদেশের একজন নাগরিকের এমন কর্মকাণ্ড দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই এই ঘটনা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত সোমবার সকালে ম্যানহাটন পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ উল্লাহ। এতে তিনি নিজে এবং আরো তিনজন আহত হন।

গতকাল মঙ্গলবার প্রসিকিউশন আকায়েদের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া এবং জনবহুল এলাকায় অস্ত্র ও বোমার ব্যবহার।

আকায়েদ বাংলাদেশি। ২০১১ সালে অভিবাসী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। নিউইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন আকায়েদ। নিউইয়র্কে ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন তিনি। তবে সম্প্রতি তাঁর লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়।

এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জিগাতলায় মনেশ্বর রোডের একটি বাসা থেকে আকায়েদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই, শ্বশুর জুলফিকার হায়দার ও শাশুড়ি মাহফুজা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন সিটিটিসি সদস্যরা।

আজ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে জানা গেছে, আকায়েদ ২০১১ সালে পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় গিয়েছে। তখন তিনি ঢাকা সিটি কলেজের বিবিএর ছাত্র ছিলেন।

বাংলাদেশে আসার পর আকায়েদ কাদের সঙ্গে মিশেছিলেন, এ দেশে তাঁর কোনো সহযোগী আছে কি না বা জঙ্গিবাদে জড়িত এমন কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান মনিরুল।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেন আকায়েদ। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। চলতি বছর ১০ জুন সন্তানের জন্ম দেন জুঁই। সন্তানকে দেখতে গত ২২ সেপ্টেম্বর আকায়েদ বাংলাদেশে এসেছিলেন। এরপর তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। নিউইয়র্কে ব্রুকলিনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন মার্কিন গ্রিনকার্ডধারী আকায়েদ। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের শীতকালীন মহড়া অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিশের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি সন্ত্রাস জঙ্গি দমন ও অপরাধীদের সতর্ক করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পুলিশের শীতকালিন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন থেকে মহড়াটি বের হয়। মহড়াটি শহরের নিউমার্কেট, পৌরদিঘী, সরকারি কলেজ সড়কসহ শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইন মাঠে এসে শেষ হয়।

মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তালা সার্কেল মোঃ আতিকুল হক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল মীর্জা সালাহউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ হুমায়ুন কবির, শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শামীম হোসেন, শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা, জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশমী, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ। জেলা পুলিশের সকল ইউনিটের পুলিশ সদস্যগণ এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বৃদ্ধিসহ জঙ্গী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী ও দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থানের অগ্রীম বার্তা সকলের মাঝে পৌঁছে দেয়াই ছিল এই মহড়ার মূল লক্ষ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্থিতিশীল রাখাইনে জাতিসংঘের নিবিড় পর্যবেক্ষণ চায় বাংলাদেশ

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে জাতিসংঘ ‍নিরাপত্তা পরিষদকে সেখানকার ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ’র আওতায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাখাইন সহিংসতা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উত্তর ও মধ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে আবারও আগুন দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এর মাধ্যমে ওই এলাকার পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা ও স্থিতিশীলতা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।

২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি চুক্তিতে সই করেন। এতে বলা হয়, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে ২ মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন শুরু করা হবে। নাম-পরিচিতিমূলক ফরম পূরণ করে, পরিচয়ের প্রমাণপত্রসহ তা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। প্রত্যাবাসনের ভিত্তি হবে ১৯৯২-৯৩ চুক্তি।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবাসন চুক্তিতে খুবই কম সুযোগ রাখা হয়েছে। যে কারণে এমন ‘পরিকল্পিত জাতিগত নিধন’ হয়েছে সেই দীর্ঘস্থায়ী সংকটটির আসল কারণ বিষয়ে কিছুরই উল্লেখ নেই। এমনকি চুক্তিটি যদি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়ে থাকে তাহলেও সেখানে ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্য বা দীর্ঘ মেয়াদে থাকার কোনও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়নি। বক্তব্যে স্বাধীনভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের চাহিদা নিরুপণ করে সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে আক্রান্ত এলাকায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে অবাধ ও দীর্ঘমেয়াদে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানান জাতিসংঘের বাংলাদেশ দূত।

এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে। নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ও মানবতার পক্ষের মানুষেরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের বৈঠকেও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মানবাধিকার রক্ষার নামে বিভিন্ন কৌশলে তাদের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যমূলক ও একতরফা’ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আপত্তি তোলেন।

জাতিসংঘ বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ দো সুয়ানের উদ্দেশে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে কোনও ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে। ‍তিনি বলেন, ‘যদি কোনও অপরাধীর বিরুদ্ধে সঠিক প্রমাণ থাকে তাহলে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মোমেন বলেন, রাখাইন রাজ্যের সমস্যার মূল কারণ নির্ধারণ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশগুলো মিয়ানমার সরকার মেনে নিয়েছে। সরকার উপদেষ্টা কমিশন ও মঙগু আঞ্চলিক তদন্ত কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের সহকারী রাষ্ট্রদূত জোনাথান অ্যালেন বলেন, ‘শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরে আসার বিষয়ে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মৌলিক সুবিধা ও জীবিকাসহ রোহিঙ্গাদের সব অধিকারকে সম্মান করতে হবে। তাদের দীর্ঘদিন শরণার্থী ক্যাম্পে না রেখে বাড়িতে ফিরে যেতে দিতে হবে। তাদেরকে নাগরিকত্বও দিতে হবে।’ এই ব্রিটিশ কূটনীতিক বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি উন্নয়নের প্রাথমিক দায়িত্ব মিয়ানমার সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর। তাদেরকে অবশ্যই এই কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল বিবৃতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংঘাতে যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা পাটেল তার বক্তব্যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের বর্ণনা আবার তুলে ধরেন। তিনি জানান, গণহারে বিতাড়িত করার জন্য রোহিঙ্গাদের বিরুরেদ্ধ যৌন সহিংসতাকে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিষয়ক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেফরি ফেল্টম্যান নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, রাখাইনে সংহিসতা কমে আসলেও এখনও নতুন নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে আসছে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার এতিম শিশু রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তিকে তিনি স্বাগত জানান। জানুয়ারির মধ্যেই উপদেষ্টা কমিশন ও কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ঘোষণা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানান ফেল্টম্যান।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি রাখাইনে সব মানবাধিকার কর্মীদের অবাধে প্রবেশের সুযোগ দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১ মণ আলুর দামে ১ কেজি পেঁয়াজ
পেঁয়াজের দামে মুরগি পাওয়ার খবর নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়াতে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। এরইমধ্যে দেশের বাজার ব্যবস্থায় চরম অস্থিরতার খবর পাওয়া গেছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায়। এখানে এক কেজি পেঁয়াজের দামে পাওয়া যাচ্ছে এক মণ আলু।
বৈরী আবহাওয়া, অতিবৃষ্টি ও অসময়ে বন্যা কাটিয়ে পরবর্তী শীতের জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাতে গত বছরের চেয়ে এবার চাল ও সবজির উত্পাদন বেশি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সব ধরনের সবজির দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে থাকলেও ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ ও চালের দাম আকাশছোঁয়া। প্রকার ভেদে চালের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার সকল পর্যায়ের মানুষেরা। প্রতি কেজি চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে এবং প্রতি কেজি বিদেশি পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে আর প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯২ থেকে ৯৫ টাকা দরে। অন্যদিকে, আলুর বাজারে চরম ধস নেমেছে। হিমাগারে আলু রেখে লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বর্তমান উপজেলা বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি মণ আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে আমন মৌসুমে ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চাল উত্পাদন হয় ৭১ হাজার ৯১ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে ১২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উত্পাদন হয় ১ হাজার ২০ মেট্রিক টন ও চলতি মৌসুমে ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে এবং গত মৌসুমে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু উত্পাদন হয় ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৮৪ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে উপজেলাতে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে গ্যানোলা, ডায়মন্ড, মিউজিকা, রোমানা, পাকড়ী, এস্টোরিক, কার্ডিনাল, কারেজ ও লরা জাতের আলু আবাদ হচ্ছে। তবে, বর্তমান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন জাতের বিভিন্ন আলু প্রতি মণ গ্র্যানুলা আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিউজিকা আলু ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, অ্যাসটোরিক আল ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং কারেজ আলু ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম নিম্নমুখী হওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়েছে। আলুর দাম কম হওয়ায় অনেক গরু খামারিরা গরুকে খাওয়াচ্ছেন আলু।
অন্যদিকে, উপজেলাতে বর্তমান বিভিন্ন হাট-বাজার প্রকারভেদে চাল বিক্রি হচ্ছে  প্রতি কেজি ৪৯ জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে, প্রতি কেজি কাঠারীভোগ ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে, প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৫৭ থেকে ৫৯ টাকা দরে, প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে আর প্রতি কেজি বিদেশী পিঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে এবং প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ৯২ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লাগামহীন ভবে ও অস্বাভাবিকহারে পিঁয়াজ ও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকার ভেদে পিঁয়াজ ও চালের দাম দফায় দফায় ও লাফিয়ে লাফিয়ে উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে উপজেলার কৃষকসহ নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।
কালাই পৌরসভার থুপসাড়া মহল্লার আলু ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমান হিমাগারে আমার ১০০ বস্তা এস্টোরিক জাতের আলু আছে। ১০০ বস্তা আলুর পিছনে সব মিলে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। বর্তমান আলুর বাজারে যে অবস্থা তাতে করে ওই সব আলু বিক্রি করলে মাত্র ১৫ হাজার টাকা হবে। সেই কারণে আমি এখন এক বস্তাও আলু বিক্রি করেনি।
কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের ভ্যান চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সারাদিন ভ্যান চালে আয় করি ৩০০ টাকা। আমার পরিবারে ৪ জন সদস্যর প্রতিদিন চাল ও পিঁয়াজ কিনতে আয়ের বেশিরভাগ খরচ হয়। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে অন্যান্য বাজার করতে হয়। যেভাবে প্রতিনিয়ত দফায় দফায় চাল ও পিঁয়াজের দাম বাড়ছে তাতে করে চাল ও পিঁয়াজ কিনে খাওয়া আমার পক্ষে সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কালাই উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, সারাদেশে অসময়ে বন্যার কারণে ইরি-বোরো ও আমন ধানের উত্পাদন কম হওয়ার কারণে বর্তমান বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে এই সমস্যা থাকবেনা।
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ও আলুর দাম নিম্নমুখীর বিষয়ে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউর করিম বলেন, গত মৌসুমে উপজেলাতে আলু উত্পাদন অনেক বেশি হয়েছিল, সেই অনুযায়ী আলুর চাহিদা তেমন ছিলনা। বর্তমান খুচরা বাজারের আলুর দাম অনেক বেশী আর পাইকারি বাজারেই দাম কম। খুচরা বাজারের সাথে পাইকারি বাজারের কোন মিল নেই। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার কৃষকেরা ধান ও আলুর চাষ করতে বেশী অগ্রহী হয়। তারা অন্য কোন ফসল আবাদ করতে চান না। চলতি মৌসুমে ১৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ হয়েছে। বর্তমান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পিঁয়াজের দাম বেশি, তবে বিভিন্ন হাট-বাজারে পাতাআলা বা মুড়িকাটা নতুন পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চার বছরে ৩৫ টেস্টসহ ১২২ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

আইসিসির প্রস্তাবিত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) ৩৫টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সব ফরমেট মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১২২ ম্যাচে।

বাংলাদেশের জন্য সুখবর আছে। এই এফটিপিতে বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দেশ আগের থেকে কম টেস্ট পেলেও বাংলাদেশ বছরে দুটি করে টেস্ট বেশি পাচ্ছে। বর্তমান এফটিপিতে পাঁচ বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ৩৩টি। প্রস্তাবিত নতুন এফটিপিতে চার বছরেই ৩৫টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা।

বিশেষ করে বিগ থ্রি-ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে আছে পূর্ণাঙ্গ হোম এন্ড অ্যাওয়ে সিরিজও।

বিস্তারিত আসছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাঁচবারের চারবারই ‘চ্যাম্পিয়ন’ মাশরাফি

তিনি নেতা, তিনি প্রেরণা, তিনি শক্তি। মাশরাফি বিন মর্তুজা একটি নাম, যার তুলনা তিনি শুধু নিজেই। মাশরাফি কেনো আর দশজনের থেকে আলাদা সেটা এর আগেও অনেকবার মানুষ দেখেছে। দেখলো আরও একবার। বিপিএলের সব মিলিয়ে পাঁচটি আসর শেষ হলো। এর মধ্যে চারবারই চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক মাশরাফি!

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া, উজ্জীবিত রাখার সঙ্গে খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জোগানোর বেলায় মাশরাফির মত দ্বিতীয়টি কেউ নেই। তাই তো তার অধীনেও মন খুলে খেলতে পারেন গেইল-ম্যাককালামের মতো বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকারা। অবলীলায় তারা মেনে নেন মাশরাফির শ্রেষ্ঠত্ব।

সহযোদ্ধাদের সাহস জোগানো, ফর্মহীন পারফরমারকে ফর্মে ফেরাতে সাহস, আস্থা ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলাই শেষ নয়। মাঠেও ‘ক্যাপ্টেন’ মাশরাফি দারুণ পারফরমার। বিপিএলেও অধিনায়ক মাশরাফি সবার সেরা।

বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক নড়াইলের সাহসী সেনাপতি। তার নেতৃত্বে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স বিপিএলে প্রথম দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও তৃতীয় বিপিএলে শেষ হাসি হাসে মাশরাফির হাত ধরেই। এবার হাসলো রংপুর রাইডার্স।

আর কোন অধিনায়কের এমন সাফল্য ও কীর্তি নেই। পরপর তিন বিপিএলের ফাইনালে প্রধান অতিথির হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নেয়া গর্বিত অধিনায়ক মাশরাফি শুধু গতবারই শেষ হাসি হাসতে পারেননি। তার নেতৃত্বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২০১৬ সালে শেষ চারে নাম লেখাতে পারেনি।

এবার দল পাল্টে নতুন শিবিরে যোগ দেন মাশরাফি। দলের নাম নয়। শিরোপা জেতার জন্য যে তার নামটিই যথেষ্ট, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। প্রথম ও একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে চার চারবার শিরোপা জয়ী অধিনায়ক হলেন। মাশরাফির পক্ষেই এমন কীর্তি গড়া সম্ভব!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest