সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

কপোতাক্ষ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন; বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বসে পড়ার আশংকা

কৃষ্ণ দাস, তালা : ছেলে পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয়ে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে কপোতাক্ষের পাটকেলঘাটার আচিমতলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন একই থানার লাল চন্দ্রপুরের নূরুল ইসলাম শেখ। এতে অদূর ভবিষ্যতে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বসে পড়ার পাশাপাশি সর্বশেষ সরকারের ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন প্রকল্পে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ।
কপোতাক্ষ নদের সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের আচিমতলা এলাকা থেকে সরকারি অনুমোদন না নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন ঐ এলাকার লাল চন্দ্র পুরের মৃত মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে নূরুল ইসলাম শেখ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে এর সত্যতা মেলে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, যশোরের কেশবপুরের বাউশোলা গ্রামের জনৈক শফিকুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদারকে প্রতি ঘন ফুট ৩ টাকা চুক্তিতে নূরুল ইসলাম তার নিচু জমিতে বালু উত্তোলন করে উঁচু করছেন। তিনি জানান, গত প্রায় ১০ দিন ধরে তারা সেখান থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কথা হয় সেখানে উপস্থিত জমি মালিক নূরুল ইসলামের সাথে। এব্যাপারে তিনি জানান, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই তারা বালু উত্তোলন করছেন।
তাৎক্ষণিক এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, বালু উত্তোলনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এসময় তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অনিমেষ বিশ্বাসের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এনিয়ে সরুলিয়া ইউনিয়নের তহশীলদার তারক চন্দ্র মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের আশ্বাস দেন।
এদিকে সাংবাদিকরা বালু উত্তোলনের তথ্য সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে বালুর মালিক নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা আস্ফোলন করতে থাকেন এবং বলেন,তারা ছেলে যশোরের সার্জেন্ট মনিরুল সব কিছু সেই মিটিয়ে ফেলবেন। এসময় তিনি তার ছেলে মনিরুলের মোবাইল নং দিয়ে তার সাথে কথা বলতে বললে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ফোন ব্যাক করে তিনি সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটুক্তি করেন।
প্রসঙ্গত,এক কালের ¯্রােতসীনি কপোতাক্ষ নদ গত কয়েক বছরে পলি জমে নব্যতা হারিয়ে দির্ঘ দিন বর্ষা মৌসুমে উপকূলীয় এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছিল। এর পর এলাকাবাসীর আন্দোলনের ফলে সরকার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ নদ খননের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সেখান থেকে বালু উত্তোলন গোটা প্রকল্পকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে মনে করছেন নদী সংশ্লিষ্টরা।
এলাকাবাসী জানান,মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ঐএলাকার পার্শ্ববর্তী ভূমির তলদেশ থেকে জালের ন্যায় বালু সরে যায়। এতে কয়েক বছরে আক্রান্ত এলাকা ধ্বসে পড়তে পারে। আর এমনটি হলে আগাম আশংকায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। এব্যাপারে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জনিয়েছেন।
সর্বশেষ সরুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিন মোবাইলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে,ইউএনও’র নিদের্শে তারা ঘটনাস্খলে গিয়ে মৌখিকভাবে সেখান খেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করেও দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই- কালিগঞ্জে ডা. রুহুল হক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : মাদক ও সন্ত্রাস থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখাতে খেলা ধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলা ধুলা শলীর মন পরিস্কার রাখে। এ জন্য যুব সমাজকে খেলাধূলার জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সরকার খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বেশী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার সাদপুর ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে ৪ দলীয় লাখ টাকার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সাদপুর ফুটবল মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শ্যামনগর উপজেলার ভ্ররুলিয়া মহসীন রেজা ফুটবল একাদশ ও কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ফুটবল একাদশের মধ্যেকার খেলাটি আক্রমণ পাল্টা আক্রমনের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। খেলার প্রথম অর্ধে ৭ মিনিটের মাথায় উত্তরশ্রীপুর একাদশের বেলাল ১ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মহসীন রেজা একাদশের নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় সিও খেলার ৯ মিনিট, ২৮ মিনিট ও ৬৫ মিনিটের মাথায় পর পর ৩ গোল করে হেট্্িরক করে। দলের অপর গোলটি করেন ৬৯ মিনিটের মাথায় গোল করে দল ৪-১ গোলে এগিয়ে যায়। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে মহসীন রেজা ফুটবল একাদশ ৪-১ গোলে উত্তরশ্রীপুর ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলাটি পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি ইকবাল আলম বাবলু, সহকারী ছিলেন সুকুমার দাশ বাচ্চু, সৈয়দ মোমিনুর রহমান, আব্দুস সামাদ। সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জাফরুল্লাহ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, ওসি (তদন্ত) মোহাম্মাদ রাজিব হোসেন, ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরমোহাম্মাদ বিশ্বাস, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুর রহমান সেলিম, নুরুজ্জামান জামু, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মাদ আলী গাজী, সাবেক ইউপি সদস্য ডাঃ আব্দুল কাদের, আব্দুর রাজ্জাক, জিএম শাহাবুদ্দিন গাজী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা শামছুল হুদা কবির খোকন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রহ্মরাজপুরে নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি পেল ‘প্রান্তিক বসতি’

মাস্টার আছাদুল, ধুলিহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টায় নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি পেল ‘প্রান্তিক বসতি’। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেলারডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন ভিক্ষুক দম্পতির হাতে নব-নির্মিত ‘প্রান্তিক বসতি’ নামের ঘরের চাবি তুলে দেন। চেলারডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আমের আলী মালী (৯০) ও আছিরন খাতুন (৭০) এই ভিক্ষুক দম্পতি উপস্থিত থেকে নব-নির্মিত ঘরের চাবি গ্রহন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নুর হোসেন (সজল), ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম শহিদুল ইসলাম, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুপারভাইজার আব্দুল মকিব ও ব্রহ্মরাজপুর ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সাংবাদিক মোঃ রেজাউল করিম মিঠু। এছাড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিপুল সংখ্যক লোকজন চাবি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন। চাবি হস্তান্তর শেষে জেলা প্রশাসক ভিক্ষুক দম্পতির খোঁজ-খবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের জন্য নব-নির্মিত ঘরটি ঘুরে দেখেন। পূনর্বাসিত (পূর্বে ভিক্ষুক ছিলেন) ব্যক্তিদের জন্য উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ‘প্রান্তিক বসতি’ নির্মিত হয়েছে। অসহায় নিঃসন্তান ভিক্ষুক দম্পতি মাথা গোজার ঠাই নব-নির্মিত ঘরটি পেয়ে খুব আনন্দ প্রকাশ করেছে ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অনুদানের চেক বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অসহায়, হতদরিদ্র, অসুস্থ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম এ অনুদানের চেক বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু। পাঁচ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকার সর্বমোট ১৪৫ জনকে মোট ৯ লক্ষ ৪ হাজার টাকা অনুদানের চেক বিতরণ করেন।এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এদেশের কোনো মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় থাকে সে জন্য সকল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ানে কমিউনিটি ক্লিনিকের তৈরি করে দিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ পূর্বের তুলনায় এখন অনেক ভালো অবস্থানে আছে। কোনো শিশু যাতে অশিক্ষিত না থাকে সে জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও বছরের প্রথমে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও বর্তমান সরকার গৃহহীনদের জন্য করে দিচ্ছেন আবাসনের ব্যবস্থা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রতিদিন দারচিনি এবং মধু খাওয়ার উপকারিতা

সবাই বলে এই প্রজন্মের এত রোগে ভোগার পিছনে নাকি ভেজাল খাবার দায়ি। কথাটা যে একেবারে ভুল, এমন নয়! কিন্তু আমাদের শরীর ঠিক না থাকার পিছনে আমাদের দোষও কম নেই।
এই যেমন দেখুন না প্রকৃতি আমাদের হাতে একাধিক অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তবু আমরা সেগুলি ব্যবহার করি না। ফলে সহজেই নানা রোগ আমাদের ঘিরে ধরে তাণ্ডব করে।

সবাই তো সুস্থভাবেই বাঁচতে চায়। এমন কাউকে কি খুঁজে পাবেন যে বলবে যে আমি অসুস্থ হতে চাই! তাই যদি হয় তাহলে মধু এবং দরচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেননি কেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই দুই প্রকৃতিক উপাদান একসঙ্গে যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন…

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়:
নিয়মিত যদি পরিমাণ মতো দারচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:
পরিবারে কি এই মরণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো আজ থেকেই দরচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমায়। অন্যদিকে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি এবং মধু খেলে স্টমাকে উপস্থিত গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্লাডার ইনফেকশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপ কমায়:
নিয়মিত গরম জলে পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৬. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
সপ্তাহে ২-৩ দিন পরিমাণ মতো দারচিনি পেস্ট নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে যদি মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে স্কিনের যে কোনও সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কোষের উপরের স্থরে জমতে থাকা মৃত কোষের স্থর সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং বয়সের ছাপও কমতে থাকে।

৭. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারচিনি এবং মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের অন্দরে প্রদাহ কমায়। ফলে কোনও ধরনের হার্ট ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে কমে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফ্রিজে ডিম রাখলে কি হতে পারে?

১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন এই ভুল কাজটা করে থাকেন। আর এই কারণে তাদের শরীরকেও যে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই! একাধিক গবেষণায় একথা প্রণামিত হয়েছে যে ফ্রিজের দরজার যে অংশে ডিম রাখার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে ভুলেও ডিম রাখা উচিত নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রেফ্রিজারেটরের এই অংশে চাপমাত্রা মারাত্মকভাবে ওঠা-নামা করে। যে কারণে ডিম খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই। সেই সঙ্গে নানাবিধ ব্যাকটেরিয়া আক্রামণে ডিম খারাপ হয়ে যায়। এসব ডিম খেলে শরীরের যে কী হাল হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। সেই কারণে এবার থেকে ভুলেও ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখবেন না। পরিবর্তে একটি এয়ার টাইট পাত্রে ডিম রেখে তা ফ্রিজের পেটের ভিতরে রাখবেন। এমনটা করলে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ডিমগুলো থাকবে। ফলে সেগুলো খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।

প্রসঙ্গত, আরও কতগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
যেমন- রান্না করা ডিম ভুলেও ৩-৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা চলবে না। এর বেশি সময় ফ্রিজে রেখে সেই খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। আর কাঁচা ডিম কখনই ৩০ দিনের বেশি রেখে খাবেন না।

এই নিয়মগুলো মেনে ফ্রিজে ডিম রাখলে খাবারটির শরীরে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান, যেমন- ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি২, বি১২, বি৫, ভিটামিন ডি, ই, বায়োটিন, কোলিন, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন একেবারে ঠিক ঠিক অবস্থায় থাকবে। ফলে এমন ডিম খেলে নানাভাবে শরীরের উপকারও হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে খাবারগুলো পরপর খাওয়া ঠিক নয়

অনেকে বলে থাকেন, শরীরে কোন কাটা-ছেঁড়ার পর টক খাওয়া ঠিক নয়। কারণ টক খেলে ক্ষত বাড়বে, যদিও এটি ঠিক নয়।
আবার কেউ বলে থাকেন, ফল খাওয়ার পরে পানি খাওয়া উচিত নয়। এ কথাটা ঠিক। কারণ, ফল খাওয়ার পর এটা হজম হতে সময় লাগে। আর হজমে যেন অসুবিধা না হয়, সে জন্য যেকোনো ফল খাওয়ার পর পানি না খাওয়াটা ভালো। আরও জেনে নিন-

* সকালের খাবারের পরই চা পান করা ঠিক নয়। ভরপেট সকালের নাশতা খাওয়ার পরে চা খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। নাশতা খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চা পান করা উচিত।

* কলা এবং দুধ: কলা এবং দুধ একসঙ্গে সবাই খাই ঠিকই, কিন্তু এতে বিষক্রিয়া সম্ভাবনা প্রচুর।

* মাংস এবং আলু: মাংসের সঙ্গে ম্যাসড আলু খেলেই বিপদ।
কেন না ফাইবারের স্বল্পতায় শরীরে নানা রকম ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।

* ডিম এবং বেকন: ডিমে রয়েছে হাই প্রোটিন আর বেকনে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। যা এক সঙ্গে খেলে হজম হতে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। এমনকী শরীর থেকে বেমালুম এনার্জি উধাও হয়ে যেতে পারে।

* বার্গার এবং ভাজাভুজি: বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-ই খাওয়া হয় সাধারণত। ডুবো তেলে ভাজার কারণে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি রক্তচাপ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

* পিৎজা এবং সোডা: পিৎজায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তার সঙ্গে সোডা জাতীয় পানীয় গ্রহণ করা হলে মুশকিলে পড়তে পারেন। কেন না সোডায় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। যার জেরে হজমে বেশ সমস্যা দেখা যেতে পারে।

* অলিভ অয়েল এবং বাদাম: বাদামে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। আর অলিভ অয়েলে ফ্যাট। যা হজমে বেশ সমস্যা করতে পারে। শরীর বিগড়েও যেতে পারে।

* মাফিন এবং জুস: মাফিনে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। তার সঙ্গে জুস খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এই কারণে রক্তচাপ বেশ বেড়ে গিয়ে গোল বাধে।

* টোমেটো এবং পাস্তা: পাস্তা প্রচণ্ড ভারী খাবার এবং টোমেটোর মধ্যে অ্যাসিডিক উপাদানও ভরপুর। দুইয়ে মিলে শরীর বিগড়ে যাওয়ায় প্রভূত সমস্যা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে রাখার উপায়

পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ যেতেই হালকা হতে থাকে সুগন্ধ। তাই দিনের শেষ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখবেন যেভাবে-

* গোসলের ঠিক পর: গোসলের পরই পারফিউম বা ব়ডি স্প্রে ব্যবহার।
এক্ষেত্রে জামা কাপড় পরার পর পারফিউম ব্যবহার করবেন।

* ঘষবেন না: অনেকেই পারফিউম স্প্রে করার পর দুই কব্জি ঘষে নেন, বা আঙুলের মাথা দিয়ে কানের পিছনে ঘষতে থাকেন। এটা করলে সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

* ময়াশ্চারাইজ: পারফিউম ব্যবহারের পর ময়াশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ থাকবে বেশিক্ষণ। ত্বকের যে অংশে পারফিউম বা সুগন্ধী লাগিয়েছেন তার উপর নন-সেন্টেড ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

* ঠাণ্ডা জায়গা: গোসলের পর ব্যবহারের জন্য অনেকেই পারফিউম বাথরুমে রাখেন। কিন্তু আলো জ্বালালে, গোসল করলে গরম বাষ্পে সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। অন্ধকার, ঠাণ্ডা, শুকনো জায়গায় পারফিউম রাখুন। এতে সুগন্ধ ধরে রাখতে পারবেন।

* ভেসলিন: পারফিউম ব্যবহারের আগে কব্জি বা ত্বকের অন্যন্য অংশে ভেসলিন লাগিয়ে নিন। এতে আর্দ্র ত্বকে সুগন্ধ আটকে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest