নিজস্ব প্রতিনিধি : সুন্দরবনগামী একটি পিকনিকের ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ মফিজুল হক গাজী (৬০) নামের এক চোরা শিকারীকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। শুক্রবার গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী খেয়াঘাট থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মফিজুল হক গাজী ধুলিহর গ্রামের মৃত কোরবান আলি গাজীর ছেলে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, বুধহাটা এলাকার বেতন নদী থেকে এন বি কাজী এন্ড তুহিন পরিবহন এম-২০২৯৪ নামের একটি ট্রলারে লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন লোক পিকনিকের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন রওনা হন। পথিমধ্যে আশাশুনির মানিকখালী খেয়াখাট এলাকায় পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জাহিদুল কবিরের নেতৃত্বে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এ সময় ট্রলারটি র্যাব সদস্যরা ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় ৩টি স্থানে লুকিয়ে রাখা একনালা বন্দুকের খন্ড খন্ড অংশ ও ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেন। এছাড়া ছুরি, চাপাতি সহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
ট্রলারের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী পিকনিক যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আশাশুনির মানিকখালী খেয়াঘাটের কাছাকাছি পৌছালে র্যাব সদস্যরা ট্রলারযোগে তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় তারা ট্রলার আটকিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালান। পরে তারা বন্দুক, গুলি ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে মফিজুলকে আটক করে নিয়ে যায়। তারা আরো জানান, এসময় র্যাবের সাথে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় সদর উপজেলার ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানার ছোট ভাই খিজির আহম্মেদ (৩৭), ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মেল্লেকপাড়া লোকমান হোসেন (৫৫), ধুলিহর গ্রামের মুরাদ হোসেন (৪০), একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মানিক (৪২) এবং ধুলিহর কোমরপুর গ্রামের আজিজুল সরদারকে (৬০) মারপিট করেন। পরে র্যাব সদস্যরা ট্রলারটিকে সুন্দরবনে না ভীড়তে নির্দেশ দেন। এছাড়া এই ট্রলারটি সুন্দরবন প্রবেশের অনুমতি পত্র বাতিলের জন্য র্যাব কর্তৃপক্ষ বন বিভাগকে অনুরোধ জানান। শেষ পর্যন্ত তাদের অনুমতি বাতিল হওয়ায় তাদের যাত্রা মানিকখালিতে শেষ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানার জন্য র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জাহিদুল কবিরের সরকারী ০১৭৭৭৭১০৬১১ নান্বারের মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি অন্য আর একজন রিসিভ করে জানান, স্যার ঘুমাচ্ছেন। রাতে ফোন দিবেন।
তবে, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা জানান, র্যাব সদস্যরা মানিকখালি খেয়াঘাটে থেকে সুন্দরবন গামী একটি ট্রলার থেকে একজনকে আটক করার বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। তবে তাকে ছেড়ে দিয়েছে কিনা তা জানিনা।
উল্লেখ্য, এই চক্রটি প্রতি বছর শীতকালিন সময় সুন্দরবনে যেয়ে হরিণ শিকার করে থাকেন।

 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						