সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগ

বনানীতে আড়াই মিনিটের কিলিং মিশন

রাজধানীর বনানীতে অফিসে ঢুকে সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে হত্যার মিশনটি ছিল মাত্র আড়াই মিনিটের। এ সময়ের মধ্যে একজনকে হত্যা এবং তিনজনকে গুলি করে পালায় মুখোশধারীরা।

ঘটনার বর্ণনায় বনানীর চার নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়িটির দারোয়ান বাজি পুলিশকে এ তথ্য জানান। পরে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর সত্যতা পান।

বনানীর ওই ভবনের বাইরে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও বিকেল ৫টার পর দুটি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়া হয়। চালু থাকে মাত্র একটি। তদন্তের জন্য ওই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

ফুটেজে দেখা যায়, চার মুখোশধারী স্বাভাবিকভাবে হেঁটে রাত ৭টা ৪৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে প্রধান ফটক দিয়ে অফিসে প্রবেশ করছে। ৭টা ৫২ মিনিট ৬ সেকেন্ডে অর্থাৎ প্রায় আড়াই মিনিট পর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসছে।
ওই ঘটনার পর ওই ভবনের দুই দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আসামি শনাক্তের জন্য বনানী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের একজনের নাম বাজি।

জিজ্ঞাসাবাদে বাজি পুলিশকে জানায়, তার সামনে দিয়ে চার মুখোশধারী ভেতরে প্রবেশ করে। আড়াই মিনিট পর বের হয়ে আসে। তবে বের হওয়ার সময় তাদের মুখে মুখোশ ছিল না। ভেতর থেকে একজন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছিল, তার শব্দ শুনে তিনি বাইরে থেকে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে সবাইকে এলোপাতাড়ি মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখেন। তবে গুলির কোনো শব্দ শুনতে পাননি বলে পুলিশকে জানান তিনি।

নিহত সিদ্দিক মুন্সির বাসা উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।

মুন্সির অফিসের পাশের ভবনে মুসা গ্রুপ নামে আরেকটি জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া ভবনটিও মুসা গ্রুপের মালিকের। মুসা গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে এস. মুন্সি ওভারসিজের সঙ্গে ব্যবসা করছে।

মুন্সি সম্পর্কে মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, মুন্সি সাহেব গত ৭-৮ বছর ধরে এ ব্যবসা করছেন। বর্তমান অফিসে প্রায় তিন বছর ধরে আছেন। তার লেনদেন খুবই ভালো ছিল। কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে- এমন কিছু শুনিনি। ফোনে তাকে হত্যার বিষয়ে শুনে আমরা হতবাক হয়েছি।

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। সন্ত্রাসীরা মুখোশ পরে এসেছিল। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক, স্থানীয় কিংবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার রাতে ওই ঘটনায় সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বানানী থানার পরির্দশক (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনাটি স্পর্শকাতর। আশা করছি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গলায় রক্তক্ষরণে গাইতে পারছেন না শাকিরা

অতিরিক্ত সংগীত চর্চার ফলে গত মাস থেকে পপ সুপারস্টার শাকিরার গলায় একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতে করে জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী বিপাকে পড়েছেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে শাকিরা এখন পুরোপুরি বিশ্রামে রয়েছেন। এই মুহূর্তে গান গাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে তাকে।

কিছু দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিরা জানিয়েছিলেন, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি দারুণ ব্যস্ত আছেন। খুব তাড়াতাড়িই ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বের হবেন। কিন্তু হঠৎ গলায় একাধিকবার রক্তক্ষরণে পুরোপুরি বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। যারা কনসার্টের টিকিট কিনেছিলেন, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে শাকিরা তার ফ্যান পেজে এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শাকিরার পুরো নাম শাকিরা ইসাবেল মেবারাক রিপোল। ভক্তরা তাকে শাকিরা নামেই চেনেন। এই কলম্বিয়ান তারকা দুইবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, সাতবার ল্যাটিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। পৃথিবীর অন্যতম আবেদনময় শিল্পী হিসাবে দারুণ জনপ্রিয় ৪০ বছর বয়সী এই তারকা শুধু গুণেই নয়, রূপেও অনন্যা।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের থিম সং ছিল ‘ওয়াকা ওয়াকা’। গানটিতে কণ্ঠদেন শাকিরা। অন্যান্য অনেক গানের চেয়ে অধিক জনপ্রিয়তা পায় শাকিরার এই থিম সংটি। একইসঙ্গে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জয় করেন এই পপ তারকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনে র‌্যাব-বনদস্যু গুলি বিনিময়ে নিহত ২, অস্ত্র উদ্ধার

শ্যামনগর প্রতিনিধি : সুন্দরবনে দুর্ধর্ষ বসদস্যু আব্বাস বাহিনীর সাথে র‌্যাব-৮ এর ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে আব্বাস বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়। নিহত দুই সদস্য হলো- ইউসুফ ফকির(৩৪) ও রুহুল আমিন শেখ (৪৮)। এঘটনায় র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ১টি দোনালা বন্দুক, ১টি কাটা রাইফেল, ১টি এয়ার রাইফেল, ২টি পাইপগান, ১২৪ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ১টি ছোট ট্রাভেল ব্যাগ, ২টি গুলি রাখার বান্ডুলিয়ার, ৩টি দেশীয় তৈরি রামদা ও ২টি দেশীয় ধারালো রাম দা উদ্ধার করে। র‌্যাব-৮ এ অধিনায়ক উইং কমান্ডার রাজিব জানান, গোপনীয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আব্বাস বাহিনীর অবস্থানের একটি অস্থায়ী আস্তানা সনাক্ত হওয়ার পরে, র‌্যাব সদস্যরা সুন্দরবনে কাতলার খালে অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি আঁচ পেয়ে আব্বাস বাহিনীর সদস্যরা গুলি বর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি বর্ষন করে। উভয়ের মধ্যে ৪০ মিনিট ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু আব্বাস বাহিনী দলবল নিয়ে পিছু হটে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ওই বাহিনীর দুই সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে, তাদের ঠিকানা উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক দম্পতি হতাহত

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় নছিমন ও ইজিবাইক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষক দম্পতি হতাহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের শিববাটী ব্রিজ সংলগ্ন স্মরণখালী নামক স্থানে যাত্রীবাহী নছিমন ও ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে শিক্ষক দম্পতি মনিরুজ্জামান মোড়ল (৫৭) ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫) গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত দম্পতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মনিরুজ্জামান উপজেলার চাঁদখালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ও একই এলাকার মৃত ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে। ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, ঘটনার দিন শিক্ষক দম্পতি মনিরুজ্জামান মোড়ল ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম বুধবার তাদের মেয়েকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে বাড়ি ফিরছিলেন। উপজেলা সদর থেকে তারা ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন, পথিমধ্যে শিববাটী ব্রিজ সংলগ্ন স্মরণখালী নামক স্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি নছিমন সামনের দিক থেকে ইজিবাইকে আঘাত করে। এতে শিক্ষক মনিরুজ্জামান নিহত হন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার স্থান থেকে নছিমনটি জব্দ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় মায়ের উপর অভিমানে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটায় মায়ের উপর অভিমান করে সীমা নামের এক স্কুল ছাত্রী আতœহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে পাটকেলঘাটার ভারসা গ্রামের কবিরুল মোড়লের পঞ্চম শ্রেণির স্কুল পড়–য়া কন্যা সীমা খাতুন (১২) মায়ের উপর অভিমান করে সবার অজান্তে ঘরের আড়ায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়াবায় দেশ ছেয়ে গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক : ইয়াবায় দেশ ছেয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে রুস্তম আলী ফরাজীর এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আনীত মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, দেশ মাদকের আগ্রাসনে জর্জরিত। প্রতিটি শহর, গ্রাম, এমনকি বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের মাদক পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অতি সহজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও বান্দরবানের একটা দুর্গম এলাকায় নজরদারি করতে পারি না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সীমানা সড়ক তৈরির চেষ্টা করছি। মিয়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে ইয়াবা না আসে, কিন্তু এখনো চুক্তিতে যেতে পারিনি।
‘টেকনাফে মৎসজীবীদের নাফ নদীতে চলাচল না করতে বলা হয়েছে। কোস্ট গার্ডকে সতর্ক করা হয়েছে। আধুনিক স্পিড বোড ও জাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ডার দিয়ে যাতে মাদক না আসে সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে’।
তিনি বলেন, এর পরেও ভয়াবহতা অনেক, এটা এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে জনসাধারণকে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি এ বিষয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের বলে। এছাড়া মসজিদের খুতবায় এ বিষয়ে বলার জন্য বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। জেলখানায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বর্ডার লাইন সিল করছি। তবে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। তাহলে ঐশীর মতো আর কোনো সন্তান নিজের বাবা-মাকে হত্যা করতে পারবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় সিডরে নিহত ৭ ব্যক্তির পরিবারের খোঁজ রাখে না কেউ

কৃষ্ণ দাস, তালা : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডর। লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় জনপদ। এর আঘাতে নিশ্চিহ্ন হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। গৃহহারা হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। সমুদ্রে মাছধরারত বহু জেলের আর স্বজনদের কাছে ফেরা হয়নি। ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৭ জন লোক নিহত হয়, আহত হয় শতাধিক লোক।
দুবলারচর ও আলোরকোল নামক স্থানে মাছ ধরতে গিয়ে নিহত হয় তালা উপজেলার মালোপাড়ার গৌর হালদার (৪৮), অজিত হালদার (৪৩) এবং বাউখোলা গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস (৫৮)। এছাড়া উপজেলার জাতপুর গ্রামের নূর বেগম (৬০), জালালপুরের ফেলি বিবি (৫৮), টিকারামপুর গ্রামের হাসান গাজী (৫০) এবং মাগুরা বাজারে অজ্ঞাত ব্যক্তি (২৫) নিহত হয় সিডরের রাতে। নিহত পরিবারগুলোর অনেকেই না খেয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কোন মতে দিন কাটাচ্ছে। তাদের খোঁজ এখন কেউ রাখে না।
সিডরে নিহত তালা সদরের মালোপাড়া অজিত হালদারের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী রিতা হালদার জানায়, “এই দিনে দানব সিডর তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অজিত হালদারকে কেড়ে নেয়। ঐ সময় সরকারি ও বেসরকারিভাবে নগদ টাকা এবং সাহায্য পেলেও এখন তাদের খোঁজ-খবর কেউ নেয় না। দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তিন বেলা দুমুঠো ভাতও জোটেনা। বর্তমানে আমি অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছি। আমার বৃদ্ধা মা উর্মিলা অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে পড়ে আছে। একমাত্র মেয়ে সুপ্রিয়া হালদারের বিয়ে দেয়া হলেও সংসার চালাতে সে স্বামীর সাথে ইটের ভাটায় কাজ করে। কলেজে পড়–য়া বড় ছেলে বিপ্লব হালদারের পড়াশুনার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রায় ১০ বছরের শিশুপুত্র কৃষ্ণ হালদারকে টাকার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সে বর্তমানে প্রাইমারী স্কুলে ২য় শ্রেণির ছাত্র। এছাড়া আমার স্বামীর রেখে যাওয়া ২০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা এখনও শোধ করতে পারিনি। এখন আমাদের খোঁজ কেউ নেয় না !”
এদিকে সিডরে নিহত একই গ্রামের গৌর হালদারের স্ত্রী আরতি হালদার জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁর স্বামীর প্রায় ২ লক্ষ টাকা ধার-দেনা শোধ করার জন্য আমার তিন ছেলে আবারও সাগরে মাছ ধরতে গেছে। বর্তমানে তাদের সংসার চালানো খুবই দুরুহ হয়ে পড়েছে। ঐ সময় অনেক সহায়তা পেলেও বর্তমানে তাদের খোঁজ কেউ রাখে না বলে তিনি জানান। সিডরে নিহত উপজেলার বাউখোলা গ্রামের গোবিন্দ বিশ্বাসের স্ত্রী আরতি বিশ্বাস জানান, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে নেওয়া লক্ষাধিক টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। ঘূর্ণিঝড় সিডর তাঁর স্বামীকে কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি আমার সংসার তছনছ করে দিয়েছে। আমরা এখন সবকিছু হারিয়ে পথে বসেছি। একই রকম আক্ষেপ করেন সিডরের আঘাতে নিহত অন্যান্য পরিবারগুলো। কিছু পরিবার সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ এবং বিধবা ভাতার কার্ড পেলেও অনেকের ভাগ্যে তাও জোটেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে বঙ্গাব্দ ১৪২৪ সনের পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বার্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন সকাল সাড়ে ১০ টায় এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আকতার হোসেন, সমবায় অফিসার জি এম আনছারুল আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, এসআই দেলোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার কচি, প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার মন্ডল প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest