সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

হাত-পা বাঁধা যাত্রী উদ্ধার; যাত্রী সেজে বাসে থাকা ২৮ ডাকাত আটক

মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এলাকা থেকে একটি বাসে যাত্রী সেজে বসে থাকা ২৮ জন ডাকাতকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধে ওসিসহ কমপক্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আটককৃতরা হলেন- এনামুল, শাহআলম, রুহল আমীন, বশির , বসির মোল্লা, স্বপন মোল্লা, আলামিন, মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, কাসেম, মুকসেদ, হাবিবুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, সানাউল্রাহ ব্যাপারী, জাহিদুল ইসলাম, আবু সাইদ, মামুন, রহিদ, কায়সার, মহসিন, আলামীন, কামরুল, ইকবাল, ফরহাদ, রফিকুল, বাবুল, বাহারুল ইসলাম, জাকির ও সুপন।

পুলিশ জানান, ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী বাস নিয়ে যাত্রী উঠিয়ে ডাকাতি করে আসছিলো একটি ডাকাত দলের সক্রিয় চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মনিকগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে যাত্রী বেসে ২৮ জন ডাকাত চলন্ত অবস্থায় ডাকাতির চেষ্টা করছিলো। আমাদের পুলিশের কয়েকটি দল বিভিন্ন ভাগে অবস্থান নেয়। তারমধ্যে একটি দল বাসটি পিছন থেকে নজর রাখছিলো।

অন্যদিকে আশুলিয়ার নবীনগরে পুলিশের আরো কয়েকটি দল মহাসড়কে অবস্থান নেয়। বাসটি নবীনগর এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। এসময় বাসের ভিতর থেকে ডাকাত দল গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কয়েক ডাকাত বাসের জানালা ভেঙ্গে পালানোর চেষ্টা করে।

বাসের ভিতর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আহত পাঁচ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হামলায় আহত আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল ও পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামসহ চার পুলিশ সদস্যকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিনস পরলেই নারীদের ধর্ষণের নির্দেশ!

টিভি চ্যানেলে ছেঁড়া-ফাটা জিনস পরা মহিলাদের ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন এক আইনজীবী। এক টেলিভিশন শো-এ দেহ ব্যবসা রুখতে একটি নয়া আইন নিয়ে আলোচনার অংশ নিয়ে এ হুমকি দেন আল-ওহাস।

তিনি বলেন, যারা রাস্তায় নাভী-কোমর প্রদর্শন করে হাঁটে, তাদের ধর্ষণ করা কর্তব্য। এমন বিস্ফোরক উক্তি করে বিতর্ক উসকে দিলেন মিসরের সেই আইনজীবী। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

প্রভাবশালী নাবিহ আল-ওহাস নামের ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মহিলাদের ‘উগ্র সাজ-পোশাকের’ জেরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। তাই তাদের নৈতিকতার পাঠ শেখানো উচিত।

এক টেলিভিশন শো-এ দেহ ব্যবসা রুখতে একটি নয়া আইন নিয়ে আলোচনার অংশ নিয়েছিলেন আল-ওহাস। তার বক্তব্য, “নৈতিকতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে মহিলারা। ছেঁড়া জিনস পরে মহিলারা অঙ্গ প্রদর্শন করলে কী আপনারা খুশি হবেন? যে মহিলা এমন পোশাক পরবেন তাদের ধর্ষণ করা প্রত্যেক দেশবাসীর কর্তব্য।’

আদালতে আইনের লড়াই লড়লেও আদতে নিজেই আইনের তোয়াক্কা করেননি আইনজীবী আল-ওহাস। তার এহেন মন্তব্যে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে মহিলাদের অধিকারের পক্ষে লড়াই করা বিভিন্ন সংগঠন।

এরই মধ্যে এ মন্তব্যের প্রতিবাদে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর উইমেন’। মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে চ্যানেলটির বিরুদ্ধে মামলা করবে ওই সংগঠন।

মহিলাদের প্রতি মধ্যপ্রাচ্য এমনিতেই খানিকটা অসহিষ্ণু। বোরখার আড়ালে যে আদৌ একজন মানুষ রয়েছেন তা মানতে নারাজ বিভিন্ন দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রিমান্ডে কাতালোনিয়ার ৮ মন্ত্রী

গত সপ্তাহে স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কাতালোনিয়া সরকারের বরখাস্ত হওয়া আট মন্ত্রীকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন মাদ্রিদের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার এক শুনানিতে বিচারক তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ান।

এদিকে, আট মন্ত্রীকে গ্রেফতারের খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কাতালোনিয়ান জনগণ। মন্ত্রীদের মুক্তির দাবিতে কাতালোনিয়ার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

স্পেনের জাতীয় আদালতের বিচারক চার্মেন লামেলা পুজেমনের আটমন্ত্রীকে গ্রেফতারের আদেশ দেন। গত সপ্তাহে পুজেমন এবং তার সরকারের বিলুপ্ত পার্লামেন্টের ১৩ রাজনীতিবিদকে তলব করে স্পেনের হাইকোর্ট এবং তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তাদেরকে তিনদিনের মধ্যে আদালতে ৬২ লাখ ইউরো জমা করার নির্দেশও দেয়া হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ১৩ মন্ত্রীর মধ্যে ৮ জন মাদ্রিদে একটি আদালতে হাজির হন। আদালতের বিচারক ক্ষমতাচ্যুত কাতালোনিয়ার ওই ৮ মন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত সপ্তাহে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় কাতালোনিয়া। ওই ঘোষণার পরই কাতালোনিয়ার সরকার ভেঙে দিয়ে সরাসরি শাসনের আওতায় নিয়ে আসে স্পেন। কাতালোনিয়ার প্রধানসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়।

স্পেন কাতালোনিয়াকে সরাসরি শাসনের আওতায় নিয়ে আসার পর কাতালোনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম ফর্ন, কৃষিমন্ত্রী মেরিতজেল সেরেত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যান্টনি কমিন, শ্রমমন্ত্রী ডলোর্স বাসা এবং আইন ও শাসনবিষয়কমন্ত্রী মেরিতজেল বোরসকে নিয়ে চার্লেস পুজেমন বেলজিয়ামে পাড়ি জমান। পুজেমনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্পেন সরকারের কাছ থেকে ন্যায্য শুনানির নিশ্চয়তা পেলেই তিনি দেশে ফিরবেন।

পুজেমনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুজেমন ছাড়াও আরও চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্পেনের প্রসিকিউটররা। পুজেমন বেলজিয়াম থেকে ফেরেননি। তিনি আদালতে হাজিরও হননি। ওই চার মন্ত্রীও আদালতের সমন উপেক্ষা করেছেন।

এদিকে কাতালোনিয়ার সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী শান্তি ভিয়ার জামিন আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। কারণ কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।

গত সপ্তাহে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় কাতালোনিয়ারর নেতা পুজেমনকে বরখাস্ত করেন এবং সরাসরি শাসনের আওতায় এনে আগামী ২১ ডিসেম্বর স্থানীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন।

স্বাধীনতার প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর কাতালোনিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে মত দিলেও তা অবৈধ ঘোষণা করে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত। এরপর থেকেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে হিন্দুদের মধ্যেও জঙ্গি মানসিকতা : কমল হাসান

ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও জঙ্গি মানসিকতার প্রবেশ করছে বলে দাবি করেছেন জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা কমল হাসান (৬২)। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু রাজ্য থেকে প্রকাশিত ‘আনন্দ ভিকেতন’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় তাঁর নিয়মিত কলামে তিনি এ দাবি করেন।

আগামী ৭ নভেম্বর নিজের জন্মদিনে ভারতে নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম দিতে চলেছেন কমল হাসান। তার আগে ভারতে জঙ্গিবাদ নিয়ে সোজাসাপ্টা মুখ খুললেন তিনি।

কমল হাসান জানান, জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গে বারবারই হিন্দু সংগঠনগুলো অন্য ধর্মের গোঁড়ামিকে দায়ী করে। কিন্তু আগে হিন্দু ধর্মও বিশ্বাস করত আলাপ আলোচনায়, সেখানে হিংসার স্থান ছিল না। কিন্তু ইদানীং সব পালটে গেছে। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মধ্যেই ঢুকে গেছে জঙ্গি মানসিকতা।

অভিনেতা বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে অন্য ধর্মকে দোষ দেওয়ার আগে হিন্দু সংগঠনগুলির উচিত নিজেদের দিকে ফিরে তাকানো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিসেম্বরে আসছে পরীর দুই ছবি

বছর শেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নায়িকা পরী মণির দুটি চলচ্চিত্র। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘অন্তর জ্বালা’ আর ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘ইনোসেন্ট লাভ’। দুটি ছবিরই মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরী। ‘অন্তর জ্বালা’ ছবিতে পরীর বিপরীতে আছেন জায়েদ খান। ‘ইনোসেন্ট লাভ’ ছবিতে নায়ক হিসেবে আছেন নতুন মুখ জাকারিয়া জেফ।

‘অন্তর জ্বালা ছবির পরিচালক মালেক আফসারি বলেন, ‘পরীর ছবি দর্শক এর আগেও দেখেছে, আমিও তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করেছি। আমার মনে হয়, দর্শক এই ছবিতে পরীকে দেখে অবাক হবে, এ অন্য পরী। দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগবে, কেন এত দিন পরীকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। অসাধারণ এই শিল্পীর অভিনয় দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকুন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর ছবিটি সারা দেশে মুক্তি পাবে।’

‘ইনোসেন্ট লাভ’ ছবির পরিচালক অপূর্ব রানা বলেন, ‘আগামী ২২ ডিসেম্বর আমরা ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী সপ্তাহ থেকে ছবির প্রচার শুরু করব। আশা করি, দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন। ছবির কাজ আমি বছরের শুরুতেই শেষ করে অপেক্ষা করছিলাম একটা ভালো সময়ের জন্য। আমার মনে হয়, এখন চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়ার মতো পরিবেশ হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি ভালো ব্যবসা করছে।’

পরী প্রসঙ্গে রানা বলেন, “পরী মণি দর্শকনন্দিত একজন অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয়গুণ এরই মধ্যে দেশের দর্শক জানেন। আমার পরিচালিত ‘পুড়ে যায় মন’ ছবিটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। আশা করি, এই ছবিটি আরো ভালো লাগবে। ছবিতে পরী মণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন নতুন নায়ক জেফ। সুদর্শন হিরো। আমরা এই ছবির জন্য তাঁকে ফাইট, ডান্স শিখিয়ে তৈরি করেছি। আমার মনে হয় শিল্পী সংকটের এই সময়ে চলচ্চিত্র আরেকজন হিরো পাবে।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাহরুখের জন্মদিনে সুহানার পার্টি

বলিউড তারকাদের জন্মদিন মানেই যেন একেকটি পার্টির উপলক্ষ। আর জন্মদিনটা যখন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের তখন পার্টির জাঁকজমক কতটুকু হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ৫২ বছর পূরণ করেছেন শাহরুখ। তবে নিজের জন্মদিন উদযাপনের জন্য নিজে থেকে কোনো পার্টি দেননি তিনি। পার্টির আয়োজন করেছে শাহরুখের একমাত্র কন্যা সুহানা খান।

ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, গতকাল বুধবার নিজেদের আলিবাগের ফার্মহাউসে শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করেন সুহানা। রাত ১২টার পর শুরু হওয়া সুহানার সে পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন করন জোহর, ফারহান আক্তার, দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভাটের মতো বলিউড তারকারা। বাবার জন্মদিনে শুধু বাবার সহকর্মীদেরই নিমন্ত্রণ করেননি সুহানা, বরং সুহানার পার্টিতে সরব উপস্থিত ছিল তাঁর বন্ধুদেরও।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন চাঙ্কি পান্ডে কন্যা অনন্যা, সঞ্জয় কাপুর কন্যা সানায়া। মজার ব্যাপার, শাহরুখ আর সানায়ার জন্মদিন একই দিনে ছিল। তাই শাহরুখের সঙ্গেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন সানায়া। পার্টিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজানা খান। অন্য তারকাদের তুলনায় সুহানা, অনন্যা, সানায়ার সঙ্গেই বেশি সময় কাটান তিনি।

তবে সুহানার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখের বড় ছেলে আরিয়ান। পড়াশোনার জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি। তবে বাবার সঙ্গে বেশ মজার সময় পার করেছেন সুহানা এবং শাহরুখের ছোট ছেলে আব্রাম।

অন্যদিকে জুম টিভির খবরে প্রকাশ, শুধু পার্টি করেই শেষ হচ্ছে না শাহরুখের জন্মদিনের উদযাপন। আজ রাতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে আয়োজন করা হয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ইত্তেফাক’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী। আর এ কাজের দেখভাল করছেন শাহরুখের সহধর্মিণী গৌরী খান। তাই গতকালের পার্টিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাঁকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় ছোট মাছ

পরিসংখ্যান বলছে কর্মব্যস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন সহ আরও নানা কারণে ২৫-৪০ বছর বয়সিদের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শরীরের সচলতা হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি চোখের ক্ষমতাও কমছে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে বিশেষ কিছু খাবারের থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।

আমাদের সবারই জানা যে ছোট মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। কিন্তু এই খাবারটি ছাড়াও যে আরও বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা নানাবিধ চোখের সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১। মাছঃ ছোট মাছ তো বটেই সেই সঙ্গে ম্যাকারেল এবং টুনার মতো সামুদ্রিক মাছও খেতে হবে। আসলে সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। তাই চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে প্রতিদিন খাবার টেবিলে মাছ রাখা খুব জরুরি।

২। ভূট্টাঃ এতে প্রচুর মাত্রায় লুটেইন এবং জিয়াক্সেনথিন রয়েছে। আর একথা তো সকলেই ইতিমধ্যে জানেন যে এই দুটি উপাদান হল চোখের বেস্ট ফ্রেন্ড। তাই ভুট্টা যত বেশি বেশি করে খাবেন, তত আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়তে শুরু করবে।

৩। বাদামঃ এতে উপস্থিত ভিটামিন ই ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা চোখের স্বাস্থ্যের অবনতি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি চশমা ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই রোজ বাদাম খাওয়া শুরু করতে পারেন।

৪। লেবুঃ কমলা লেবু এবং পাতি লেবু বেশি করে খাওয়া শুরু করুন। এই সব ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটায়।

৫। ডিমঃ প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে শরীরে লুটেইন, জিয়াক্সেনথিন এবং জিঙ্কের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানগুলি চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলহত্যা দিবস আজ

আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস। পচাঁত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। পনেরই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর আগে এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জাতি শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দল সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে পালিত হবে শোকাবহ এই দিবস।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণীর উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

দেশের এই চার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রথমে গুলি এবং পরে বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জাতীয় এ চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও নেতৃত্ব দান করেন।

বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগি এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মোশতাক ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮২ দিন। এরই মধ্যে দেশকে পাকিস্তানিকরণের দিকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া তার সবচেয়ে বড় দুটি কুকীর্তি হলো জেলে জাতীয় চার নেতাকে খুন এবং ১৫ আগস্টের খুনীদের বিচার করা যাবে না – দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা। পচাঁত্তরের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি এই অধ্যাদেশ জারি করেন। আর জেলে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটান ৩ নভেম্বর ভোর রাতে।

গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে লিখেছেন মোশতাক জেল হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কেবল ফারুক আর রশিদকে নিয়ে। তিনি ঠিক করেছিলেন যে, যে কোনো পাল্টা অভ্যুত্থান হলে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হবে। যাতে নতুন সরকার গঠিত হলেও এই নেতারা তাতে নেতৃত্ব দিতে না পারেন।

অন্যদিকে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে।

এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তবে সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি তখন ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest