সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি  মাদক বিক্রিকালে গ্রেফতার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আল আমিনআশাশুনিতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নির্বাহী কমিটির নির্বাচন: ৭টি পদের বিপরীতে ২৬ টি মনোনয়নপত্র বিক্রিজুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভআশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

শ্যামনগরে মাদকাসক্ত স্বামীকে পুলিশে দিলো স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাদকাশক্ত স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করলো স্ত্রী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার সদরের চন্ডীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক মাদকাশক্ত স্বামীর নাম ফিরোজ গাজী। সে চন্ডীপুর গ্রামের মৃত নজির গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, স্বামী ফিরোজ গাজী তার স্ত্রীর কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সে তার স্ত্রীকে ব্যপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। স্ত্রীর আতœ চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তার স্বামী ফিরোজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্যামনগর থানার ওসি তদন্ত শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে সেখানকার বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ডিজিটাল হাজিরায় বিদ্যালয়ে বেড়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : জেলার প্রথম শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার আওতায় দেবহাটা উপজেলা। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রাথমিকস্থর থেকে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যববহারের সাথে সাথে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আর এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আধুনিকায় পদ্ধতির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। যার ধারাবাহিকতায় শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নেওয়ার পাশাাশি নতুন যোগ হচ্ছে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজিরা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি উপস্থিতর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্যে করছে। সেই সাথে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা কমিয়ে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়াচ্ছে। পাঠদান ও সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়ায় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রথামিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি এখন মোবাইল ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে অভিভাবকদের ভোগান্তি পাশাপাশি বাড়তি সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এমনকি বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা ঝরে পড়া রোধে গত ২৩ অক্টোবর সোমবার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে দেবহাটায় ডিজিটাল হাজিরা উদ্বোধন করেন। পরে উপজেলা ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন এবং ৬০ প্রাথমিক বিদ্যলয়ে ১৯ ইঞ্চি মনিটর, ১৬জিবি পেনড্রাইভ বিতরন করা হয়।
ডিজিটাল হাজিরার বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী তামান্না ইসলাম, ৪র্থ শ্রেণির লতা বিশ্বাস ও দেবজ্যেতি জানায়, প্রথমে ডিজিটাল হাজিরা দিতে তারা ভয় পেলেও বর্তমানে নিজেরা হাজিরা দিতে পারে। এতে তাদের ভিতর অনেক আনন্দ ও উৎসাহ কাজ করে। এমনকি সকাল হলে ডিজিটাল হাজিরা প্রদানের আনন্দে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসে। তাদের ভিতর নতুন শক্তি ও সাহস সঞ্চয় হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার দাশ বলেন, শিক্ষদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত বিদ্যালয়ে আসেন। কেননা জিডিটাল হাজিরায় কোন লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। এতে করে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের সময়মত বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাতে বেড়েছে উপস্থিতির সংখ্যা।
এদিকে পারুলিয়া জেলিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত ঘোষ জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৪ শতাধীক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একটি হাজিরা মেশিন হওয়ায় শিশুদের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলতে থাকে। যাতে হাজিরা প্রদানে সময় বিলম্ব হচ্ছে। আরো একটি মেশিনের ব্যবস্থা করা হলে হাজিরা প্রদানে সময় নষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেন তিনি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল-আসাদ জানান, ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক স্থর থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করছে। সাথে সাথে সময়ের মূল্য ও নিয়মনীতি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষিত করতে বর্তমান সরকারের এটি একটি মহত উদ্যোগ। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিশুদের দৈনিক হাজিরা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জিডিটাল পদ্ধতিতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সময় উপযোগী পদক্ষেপ এই ডিজিটাল হাজিরা। সাতক্ষীরার প্রথম দেবহাটা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সুশৃংঙ্খল ভাবে শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এমনকি আমার অফিসেও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরার আওতায় নিয়ে এসেছি। আগামীতে উপজেলার প্রত্যেকটি দপ্তর ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই হাজিরার আওতায় এনে প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করতে নিরালস ভাবে কাজ করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বেতনা নদী বাঁচাও’ দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘মরা নদী বেতনা বাঁচাও’ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ। নদী তীরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার দাবিও করেছেন তারা।
সোমবার সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, বেতনা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় তীরবর্তী চারটি ইউনিয়নের ৭০ টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়েছে। প্রতিবছর তারা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। সব ফসল তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে। এর প্রভাব পড়েছে মানুষের আর্থ সামাজিক জীবনের ওপর। বেকার হয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। এরই মধ্যে বেতনার তীর জুড়ে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুরা বৈরী পরিবেশের শিকার হচ্ছে।
অবিলম্বে বেতনা নদী খনন করে পানি প্রবাহ স্বভাবিক করার দাবি জানিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবদুস সামাদ, আবিদুর রহমান, কওছার আলি, শাহজাহান গাজি, আবদুর রশীদ, মফিজুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৪ ভুয়া চিকিৎসককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় প্রতারণার মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চক্ষু চিকিৎসা সেবার নাম করে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগে চার ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২ টার দিকে সদর উপজেলার ব্রম্মরাজপুর বাজার থেকে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, ক্যাম্প ডাইরেক্টর এসকে আবু তালাহ সবুর, মো: মিজানুর রহামনা ও মার্কেটিং অফিসার ফয়সাল আহমেদ আহমেদ রনিসহ চার জন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর রেজাউল করিম মিঠু ও সাবেক ইউপি মেম্বর অজিয়ার রহমান জানান, রোববার সারাদিন ধুলিহর ও ব্রম্মরাজপুর বাজার এলাকায় মাইকিং করে বলা হয় ঢাকা নিউ লায়ন্স চক্ষু হসপিটালের ব্যাবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সোমবার ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলে যথারিতি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। প্রথমে রুগি প্রতি ৩০ টাকা ফিস নিয়ে এই সেবা দেওয়া হবে বলে তারা জানায়। এরপর ঔষধ ও চশমা বাবদ জন প্রতি ৫’শত থেকে ৬’ শ টাকা নেয়া হবে।
মেম্বর রেজাউল করিম মিঠু আরও জানান, ১৫ দিন আগে এই প্রতারক চক্রটি ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে এসে এশিয়া ডিজিটাল আই হসপিটালেন নাম করে চিকিৎসা দিয়ে যায়। সেখান থেকে তার প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ধুলিহর গ্রামের মৃত জামালউদ্দিনের ছেলে সুজাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় জনতাকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় তারা কোন মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন এবং সিভিল সার্জনের অনুমতি আছে কিনা। এতে তারা কোন সদুত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে সদর থানা পুলিশে সোপার্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রতারক চক্রটি সুজাউদ্দিনকে ঢাকায় পাঠিয়ে লেন্স লাগোনোর নাম করে চিকিৎসা তো দেয়নি বরং তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রতারনা করে নিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, জেলায় চারটি প্রতারক চক্র এমন কাজ করছে। যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ, লম্পট আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এক লম্পট যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের নাটুয়ার বেড় নামক গ্রাম থেকে লম্পট নাজমুল হককে (২২) আটক করা হয়। সে ওই গ্রামের হান্নান মল্লিকের ছেলে।
পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানান, নূরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী ও নাটুয়ার বেড় গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ের সাথে একই এলাকার নাজমুল হকের সাথে ৪ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমুল ওই ছাত্রীর সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং অন্তরঙ্গ মুহুর্তগুলো ভিডিও ধারণ করে। কয়েক দিন আগে তাদের মধ্যে এ নিয়ে মন মালিন্য হলে ওই ধারনকৃত ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেয় বখাটে নাজমুল। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত (৫ নভেম্বর) রোববার ধর্ষক নাজমুলের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নংÑ৩। এর পরদিন সোমবার ভোরে পুলিশ ধর্ষক নাজমুলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক জানান, আটক নাজমুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণসহ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, ধর্ষক নাজমুলকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৮ আট জেলে অপহরণ

আসাদ্জ্জুামান : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মুক্তিপণের দাবিতে আট জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু জোনাব বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার ভোরে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া নদী সংলগ্ন ধানঘরা খালে মাছ ধরার সময় তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃত জেলেরা হলেন, শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামে আফসার গাজীর ছেলে ইমরুল গাজী, খালেক গাজীর ছেলে সামাদ গাজী, ফনি গাজীর ছেলে সেলিম গাজী, হালিম গাজীর ছেলে ডালিম গাজী, ধুমঘাট গ্রামের সুরত আলীর ছেলে রহমান, কালিঞ্চী গ্রামে মৃত নুর আলী গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, সাকাত গাজীর ছেলে মুজিবর গাজী ও বৈশখালী গ্রামে জিন্দার গাজীর ছেলে রহমান গাজী।
অপহৃত জেলেদের বরাত দিয়ে গাবুরা ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ জানান, সুন্দরবনের কলাগাছিয়া নদী সংলগ্ন ধানঘরা খালে মাছ ধরার সময় বনদস্যু জোনাব বাহিনীর সদস্য উক্ত ৮ জেলেদের অপহরণ করে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ব্যাপারে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, জেলে অপহরনের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যুকে আটক

আসাদুজ্জামান : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বড়কেয়াখালী খাল থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ এক বনদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলাধীন খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন সুন্দবনের বড়কেয়াখালী খাল থেকে র‌্যাব ৮ এর সদস্যরা তাকে আটক করে। আটক বনদস্যুর নাম শরিফুল ইসলাম (২৫)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার পার্শ¦খালী গ্রামের মোফাজ্জেল গাজীর ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পাইপ গান, একটি কাটা রাইফেল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব জানায়, সুন্দবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বড়কেয়াখালী খালে বনদস্যু জোনাব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের-৮ এর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যু শরিফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে, আটক বনদস্যু শরিফুল ইসলামের সঙ্গীরা এ সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেননি র‌্যাব সদস্যরা।
র‌্যাব-৮এর উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে শ্যামনগর থানায় হস্তাস্তর করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচারক বদলে খালেদা জিয়ার আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে গতকাল রোববার শেষ হয়েছিল। বিচারক আজ আদেশের দিন রেখেছিলেন।

পাশাপাশি লিভ টু আপিলের আরেকটি অংশ রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরার বিষয়ে আজ শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরা-সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

দুদকের আইনজীবী জানান, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। পরে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং নয় সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেন। তবে নয়জনের বিষয়ে এ মামলার অপর আসামি বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, তা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে (অ্যাডপ্ট) বলেছেন আদালত।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest