সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিকী নির্বাচনসাতক্ষীরায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক চোরাচালানের হোতাসহ তিনজন গ্রেফতারনাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়

সোনা আবিষ্কারের রহস্য ভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা!

মহাজাগতিক বিশ্বে প্রতিনিয়ত যা ঘটে চলেছে তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতই। অতীতের ওপরই যে বর্তমান নির্ভর করে এমনই এক বাস্তব প্রমাণ মিলল এই মহাবিশ্বে।
প্রায় ১৩ কোটি বছর আগে দুটো মৃত তারার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে মহাকাশে তৈরি হয় এমন এক রশ্মির যা ভারী ধাতুকে সোনা বানিয়ে দিতে সক্ষম।

শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনই তথ্যের সত্যতা রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে এটা সম্ভব বলেই তাদের মতামত। সেক্ষেত্রে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরীক্ষিত সত্য তথ্য ফের প্রমাণ করে দিল, অতীতের ওপর বর্তমান আজও নির্ভরশীল। গবেষকরা বলছেন, বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তথ্যই এই রশ্মির চিহ্নিতকরণ করতে সাহায্য করেছে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড রিৎজি বলেন, “‌মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আতশবাজি দেখা বলা যেতে পারে এই অবস্থাকে। ‌ ১৯১৬ সালে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এই ধরনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তরঙ্গের কথা বলেছিলেন। যা আজ বাস্তব হয়ে উঠছে।
মহাজাগতিক বিশ্বে এই সংঘাতের ফলে সৃষ্ট রশ্মির জন্য বেশকিছু রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে ভারী ধাতু সোনা, রূপা, প্ল্যাটিনাম এবং ইউরেনিয়াম তৈরি করবে। “

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়া গেলেন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী

রধান বিচারপতি এসকে সিনহার স্ত্রী সুষমা সিনহাও অষ্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। গত ১৩ অক্টোবর রাতে এর আগে ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অষ্ট্রেলিয়া যান।

মঙ্গলবার রাত এগারোটা ৫৫ মিনিটে সুষমা সিনহা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৭ নম্বর ফ্লাইটে করে অষ্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত ৫ অক্টোবর অষ্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা গুলশান-২ এ দেশটির ভিসা সেন্টারে যান। সেখানে বেলা সাড়ে ১২ টার মধ্যে তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপর তারা দুজনই অষ্ট্রেলিয়ার ভিসা পান। হাতে ভিসা পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত ১৩ অক্টোবর রাতে অষ্ট্রেলিয়া যান। কিন্তু তার স্ত্রী সুষমা সিনহা দেশেই ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যেদিন রাতে দেশ ত্যাগ করেন সেদিন রাতে বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন সুষমা সিনহা।
প্রধান বিচারপতিকে বিদায় দিয়ে সুষমা সিনহা বাসায় ফেরেন। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে সুষমা সিনহাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তিনিও দেশ ত্যাগ করলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খান আতাকে নিয়ে যত বিতর্ক

নাট্যব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর একটি মন্তব্য নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার প্রয়াত খান আতাউর রহমানকে ‘রাজকার’ বলে মন্তব্য করেছেন।
আর সেই মন্তব্যের ভিডিও অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘‘খান আতা অনেক বড় শিল্পী। কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু খান আতা রাজাকার। হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি না হলে খান আতা বাঁচত না। আমি গৌরব করে বলি, আমি না হলে খান আতা একাত্তরে মারা যায়, ১৬ ডিসেম্বরের পরে। ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এটা নেগেটিভ ছবি। মুক্তিযোদ্ধাদের বলছে আবার তোরা মানুষ হ। আরে তুই মানুষ হ। তাই না! তুই তো রাজাকার ছিলি। ” তার এমন মন্তব্যে অনলাইন দুনিয়ায় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কোনো অনুষ্ঠানে সবার সামনে প্রয়াত সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এমন মন্তব্য কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মধ্যে। আবার কেউ কেউ বাচ্চুর মন্তব্য সমর্থনও করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খান আতাউর রহমানের সন্তান প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা আগুন বলেন, ‘আমি চাই, বাচ্চু চাচার সেই ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হোক। জনগণ তা দেখে রায় দেবে। যেহেতু আমার বাবা জনগণের কাছের একজন মানুষ, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার পরে প্রয়োজনে আমি প্রেস কনফারেন্স করব। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই আমার। ’

অন্যদিকে আগামী ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ সিনেমাটিও প্রদর্শন করা হবে। চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু কে বা কি করেন তাতে আমার কোনো যায় আসে না। খান আতার মতো একজন গুণী মানুষকে তার গুণ প্রকাশ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তার সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। তার মধ্যে যে দেশপ্রেম দেখেছি তা সত্যিই অভাবনীয়। তার কাজই তার প্রমাণ। তার মতো একজন মানুষকে আক্রমণ করে কথা বলা অনেক দুঃখজনক। ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিটি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কথা বলেছে। এইখানে দেখা গিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটি ছেলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে বাসায় গিয়ে যখন দেখে, তার বাবা অসুস্থ। চারদিকে হাহাকার। বাইরে এসে দেখে এক শ্রেণির মানুষ চোরাকারবার করে গাড়ি, বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। এখন তার প্রশ্ন এরা কারা। আমরা অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ আমাদের কেন এই দুরবস্থা। তখন তারা অস্ত্র জমা দেয় না। ’ বাচ্চু সাহেব এমন অবস্থা কখনো দেখেছে কিনা আমার জানা নেই। তিনি তো সুখে ছিলেন, সুখেই আছেন। খান আতার মতো একটি মানুষকে কে না চিনেন। সব শ্রেণির মানুষ তাকে ভালোবাসেন। আমার প্রশ্ন হলো, বাচ্চু সাহেব আপনি যে খান আতাকে বলেন, ‘আগে তুই মানুষ হ’। আপনার মধ্যে কি এতটুকু আদব-কায়দা সেই, একজন মৃত, সিনিয়র, গুণী মানুষকে কি করে সম্বোধন করতে হয়? আপনি বলেছেন ৫০ জনের রাজাকারের তালিকায় খান আতার স্বাক্ষর আছে। প্রকৃত পক্ষে ওই তালিকা ছিল ৫৫ জনের। তাহলে বাকি পাঁচজনকে অন্য পকেটে রাখলেন কেন। তারা কারা আমরা সবাই তা জানি। তখন পাকিস্তানি সরকার বাঙালি মেধাবীদের বিপদে ফেলে রাজাকারের তালিকায় জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে ছিল। খান আতাও তাদের মধ্যে একজন। নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে তিনি বাধ্য হয়ে এই স্বাক্ষর করেছিলেন। বাচ্চু সাহেব আপনি দেশের জন্য কি করেছেন, কতখানি করেছেন, আগে তা ভাবেন। তারপর এসব কথা বলুন। দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছর পর কার ইঙ্গিতে খান আতাকে হেয় করে এসব কথা বলছেন? এটি ঠিক নয়। যদি পারেন আরেকটি খান আতা বানিয়ে দেখান। দু-একটি সিনেমা বানিয়ে কখনো ‘আবার তোরা মানুষ হ’ বা ‘সিরাজউদ্দৌলা’র খান আতা হওয়া যায় না। কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফারুকের মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন না’।

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের দাবি করি, আদর্শগতভাবে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কয়জন করেছি? বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা ছিল জীবন বাঁচাতে গিয়ে যুদ্ধ করেছে। তাদের যুদ্ধ ছাড়া কোনো পথ ছিল না। এর মধ্যে ২০ ভাগ লোক ছিল যারা সত্যিকারভাবে মুক্তিযুদ্ধ বুঝে যুদ্ধে গিয়েছিল। আমি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে অনুরোধ করব ১৯৬৯ সালে রেডিও পাকিস্তানে প্রচারিত গানগুলো শোনার জন্য। ২৫ মার্চের আগে এখানকার রেডিও ও টেলিভিশনে যে গানগুলো প্রচারিত হয়েছিল তার ৩০ ভাগ গানের লেখক ও সুরকার খান আতাউর রহমান। এই গানগুলো যেন তিনি দয়া করে শোনেন। গানগুলোতে কী ছিল? গানগুলোতে কি পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ ছিল না আমাদের দেশের কথা ছিল? তখন বাচ্চু সাহেবকে কেউ চিনত না কিন্তু খান আতা সাহেবকে সবাই চিনত। পাকিস্তানিরা এ দেশের দশজন লোক চিনলে তার মধ্যে খান আতা একজন। ফলে বাচ্চু সাহেবের পালিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা যতটা সহজ ছিল, খান আতা সাহেবের জন্য ততটা সহজ ছিল না। যে কারণে তিনি সরাসরি যুদ্ধে যেতে পারেননি। অনেকেই রয়েছে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে পারেননি। কিন্তু স্বাধীনতার জন্য গান লিখেছেন, অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য টাকা সংগ্রহ করেছেন, খাবার দিয়েছেন। পুলিশ, বিডিআর, আর্মি, শিক্ষক, চিকিৎসক ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত তারা বেতন নিয়েছেন কার কাছ থেকে? পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে। এখন তাই বলে কি তারা রাজাকার? বাচ্চুকে শুধু একটি কথাই বলব, খান আতাকে রাজাকার বলার আগে একশবার ভাবা উচিত ছিল যে কাকে তুমি রাজাকার বলছ? স্বাধীনতার পরপর কয়েকজন শান্তিনগরে খান আতাকে ‘রাজাকার’ হিসেবে আটক করেছিল। তাকে মেরে ফেলবে। তখন আমি ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ভিপি। আমি খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই। আমি ওদের ১৫ জনকে পিটিয়ে আতা সাহেবের কাছে মাফ চাইতে বাধ্য করেছিলাম।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুমিরের পেট থেকে নারীর দেহ উদ্ধার

কুমিরের পেটের ভিতর বসে সবজি বিক্রি করার গল্প অনেকেই পড়েছেন। সেটা অবশ্য গল্পই।
বাস্তবে তার কোনও মিল নেই। কিন্তু যদি কোনও নারীর দেহ উদ্ধার হয় কুমিরের পেট থেকে, তাহলে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলাই স্বাভাবিক। এমনই এক বাস্তব ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল অস্ট্রেলিয়া।

জানা যায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ৭৯ বয়সের প্রৌঢ়া অ্যানি ক্যামারুন। যিনি বিস্মৃতির অসুখে ভুগতেন। অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন শহর পোর্ট ডগলাসে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার হাতের ছড়ি এবং জামাকাপড় পাওয়া গিয়েছিল ওখানের একটি জঙ্গলের মধ্যে। তখন আশঙ্কা করা হয় কোনও পশুর আক্রমণের শিকার হয়েছেন অ্যানি।

বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এই খবর পেয়ে মওব্রে নদীতেও তল্লাশি চালান। সেখানে দেখা যায় কুমিরের পেটের ভেতর অ্যানির নিহত দেহ রয়েছে। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই কৌতুহল ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অ্যানির দেহ পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় পোকা-মাকড় মনিটরিং-এ আলোর ফাঁদ

দেবহাটা ব্যুরো: দবহাটায় পোকা-মাকড় মনিটারিং-এ আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় সখিপুর ইউনিয়নের মাঘরী ব্লকে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের ক্ষেতে পোকা মাকড়ের উপস্থিতি নির্নয়ের জন্য আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়। এসময় আলোর ফাঁদের পোকা মাকড়ের উপস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরা এর উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য)আজগার আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল, জিএম আল মামুন, ইউপি সদস্য মোনাজাত আলী, ৯নং ওয়ার্র্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী সহ শতাধিক কৃষক।
আলোর ফাঁদ পরিদর্শন শেষে উপ-পরিচালক কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ধানের জন্য ক্ষতিকারক পোকার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি। তাই ধান পরিপক্ক হওয়া মাত্রই কর্তন করে আগামী রবি মৗসুমে বারি সরিষা-১৪ জাতের তৈল ফসল আবাদ করে দেশীয় ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে জাতে আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারি সে ব্যাপারে সকলে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ফসলের ক্ষতিকর পোকা দমনে বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার হয়। যা বেশ ব্যয়বহুল এবং পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর বিকল্প হিসেবে আলোর ফাঁদ বেশ কার্যকর। এর মাধ্যমে ক্ষেতের জন্য উপকারী পোকাও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরিবেশ বান্ধব এ পদ্ধতি দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনাদের কৃষি বিষয়ক যে কোন ধরনের পরামর্শের জন্য ইউনিয়ন কৃষি পরামর্শ কেন্দ্র অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগর মটর শ্রমিক নেতার মৃত্যু

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ শফিকুল সরদার সফি (৩৮)এর অকাল মৃত্যু হয়েছে। ১৫ই অক্টোবর সে নুরনগর ত্রিমোহনী মোড় সংলগ্ন মসজিদে মগরিবের নামাজরত অবস্থায় হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এসময় অন্যান্য মুসিল্লিরা তাকে তুলে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বলেন তার স্টোক হয়েছে। তাৎক্ষনিক তার স্বজনরা তাকে নিয়ে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে তার মৃত্যু হয়। সে নুরনগর রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সওকাত আলী সরদারের ছোট ছেলে। তার মৃত্যুতে স্ত্রী ও এক পুত্র সহ অত্র এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। মরহুমের নামাজে যানাযা যোহরবাদ তার নিজস্ব বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। যানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সর্ম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে নুরনগর মটর শ্রমিক ইউনিয়ন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক দিনের জন্য মটরসাইকেল চালানো বন্ধ রাখে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন জগলুল হায়দার এমপি

শ্যামনগর ব্যুরো : মানবসেবা ও জনসেবা মূলক বিভিন্ন কর্মকা-ের জন্য “মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক ২০১৭” পেয়েছেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দার। ভারতের কলকাতা বাংলা একাডেমীর রবীন্দ্র সদন নন্দন চত্বরের চারুকলা পর্ষদের অবনীন্দ্র সভা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গত ১৬ অক্টোবর মহাবঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ও মাদার পাবলিশিং এর সম্পাদক বাবু তপন সাহা জগলুল হায়দার এমপির হাতে এই পদক তুলে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আবর্তন’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শহরের এল্লাচর কাঁঠালতলা এলাকায় আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রে আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, মাদকাসক্তরা মানুষিক রোগী নয়। তারা অসুস্থ্য। তাদেরকে পারিবারিকভাবে যতœ নিতে হবে এবং সঠিকভাবে সেবা ও পরামর্শ প্রদান করতে হবে। তাহলে এই মাদকসেবীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালকসহ কর্মকর্তারা এ কাজটি করছেন এজন্য সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথি, অনিমা রানী মন্ডল, শফিকুল আলম বাবু, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশি, সিরাজ উদ্দিন খান প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে অতিথিবৃন্দ মধ্যর্ণভোজে মিলিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রের প্রিন্স, গিয়াস, মনোয়ার হোসেন অনু, মনি, জামান, নিত্যসহ আবর্তন মাদকাসক্ত নিরাময় ও পরামর্শ কেন্দ্রের সদস্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest