সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ কর্মকর্তাকে বদলি

অনলাইন ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আনিসুর রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফরেজসহ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় বদলির অনুমোদন দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো: আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো রেজিস্ট্রার জেনারেল, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারসহ ১০ জনের বদলির সুপারিশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়ার পাঠানো কিছু ‘প্রশাসনিক পরিবর্তন’ এর প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ওইদিন বিকাল ৩টা থেকে ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় বৈঠক করেন মন্ত্রী। ওই বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিছু অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ চেঞ্জ (প্রশাসনিক পরিবর্তন) করতে চান, সেগুলো উনি আমাকে অবহিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুশফিকের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ২৭৯

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনার জবাব মাঠে দিলেন মুশফিকুর রহিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে তার ব্যাটে এলো সেঞ্চুরি। তার ঝলমলে ইনিংসে প্রোটিয়াদের ২৭৯ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ২৭৮ রান করেছে সফরকারীরা।

কিম্বার্লিতে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ইনজুরিতে ছিলেন না তামিম ইকবাল। তার অনুপস্থিতিতে উদ্বোধনী জুটিতে নামেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। অর্ধশতাধিক রানের জুটির আভাস দিলেও সেটা হতে দেননি কাগিসো রাবাদা। দ্বিতীয় স্লিপে দারুণ লেন্থের বলে লিটনকে তালুবন্দী করেন ফাফ দু প্লেসিস। লিটন ফেরেন ২১ রানে।

এরপর ধীরস্থির হয়েই খেলার চেষ্টা ছিলো ইমরুলের। ১৪তম ওভারে প্রিটোরিয়াসের বলে ফাইন লেগে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হাল্কা টোকা দিয়েছিলেন। ঠিকমতো না হওয়াতে বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের হাতে। ৪৩ বলে ৩১ রানে ফেরেন ইমরুল। যাতে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়। ৬৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল সফরকারী দল। সেই অস্বস্তি পরে কাটিয়ে উঠেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। ‍তাদের জুটিতে ভর করেই শত রান পার করে বাংলাদেশ।

এক পর্যায়ে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানটাও পূরণ করে সাকিব। দুর্ভাগ্যক্রমে ইমরান তাহিরের বলে আর থিতু থাকতে পারলেন না। স্লিপে আমলার হাতে বল দিয়ে বিদায় নেন সাজঘরে। সাকিবের তখন স্কোর ছিল ২৯ রান।

সাকিব বিদায় নিলেও নিজের স্বাভাবিক খেলাটা ধরে রাখেন মুশফিক। তুলে নেন বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে আক্রমণাত্মক ছিলেন স্বাগতিকদের ওপর। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রহ বাড়ানোর দিকেই মনোযোগী ছিলেন দুজন। কিন্তু প্রিটোরিয়াসের বলে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি। উঠিয়ে মারতে গিয়েই ধরা পড়েন ডেভিড মিলারের হাতে। মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন ২৬ রানে। তাতে ছিল ৩টি চার ও একটি ছয়।

মুশফিকের সেঞ্চুরির আগেই সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। আগ্রাসী খেললেও রাবাদার বলে তালুবন্দী হন তিনি। মুশফিক ১১৬ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসিস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, অ্যান্ডিল ফেলুকায়ো, কাগিসো রাবাদা, ডেন প্যাটারসন, ইমরান তাহির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় দুদক ব্যবস্থা নিতে পারবে?

রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের যে ১১ অভিযোগ এবং সে বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেটা কি সিনহা প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সম্ভব হবে? হলে কীভাবে? না হলে কখন?

প্রশ্নের উত্তরে দুদকের আইনজীবী খুরসিদ আলম খান বলেন: দুদকের পক্ষে কোন ব্যবস্থা নিতে হলে দুদকের কাছে আগে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আসতে হবে।

‘ওইরূপ কোন অভিযোগ এলে দুদক সে অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবে,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট এরকম একটি অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত দুদককে তা চিঠির মাধ্যমে বন্ধ করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন, কোন চিঠিতে দুদক কারো বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করেনি বা রাখেনি।

বিচারপতি জয়নুল অাবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের চিঠির বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরে বারবারই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নাম এসেছে। এখন স্বয়ং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধেই দুদকের মাধ্যমে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

ছুটিতে বিদেশে যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিবৃতি এবং ওই বিবৃতিকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতির পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন: যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই এন্টি করাপশন কমিশনের আওতায়। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন, কে এটার অনুসন্ধান করবে”

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগের যে দালিলিক তথ্যাদি আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির কাছে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তুলে ধরেছেন তার মধ্যে আছে: দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলন।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত করতেই হবে। কারণ যেসব অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর।

‘অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত,’ বলে মন্তব্য করেন সাবেক আইনমন্ত্রী।

আইন বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান কার্জন বেলেন, প্রধান বিচারপতি যদি অসদাচরণ করেন কিংবা মানসিকভাবে অসু্স্থ বা শারীরিকভাবে অসমর্থ হন, অথবা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক স্খলনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে অপসারণ করা যেতে পারে।

‘তবে তদন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত কার্যক্রম চলতে দিতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশির দণ্ড

মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অপরাধে দণ্ডিত হয়েছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুল হাসান জনি। গত ১২ অক্টোবর ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি জেলা কোর্ট তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, ফিনল্যান্ডের বেসরকারি খাতে একজন কর্মীর গড় মাসিক আয় সাড়ে তিন হাজার ইউরো। তবে ফিনিশ আয়কর বিভাগের হিসাবে প্রবাসী জনির প্রতিদিন আয় মাত্র ৬ ইউরো।

মিথ্যা সাক্ষ্য সাজানোর দায়ে প্রবাসী কামরুল হাসান জনিকে ২০ দিনের আর্থিক উপার্জন জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিন ৬ ইউরো ধরে মোট ১২০ ইউরো তাকে পরিশোধ করতে হবে।

রায়ে একইসঙ্গে আদালতে খরচ ও বাদীর আইনজীবীর যাবতীয় ফি পরিশোধ করতে বলা হয়েছে দোষী সাব্যস্ত জনিকে।

তবে আদালতে তার দাখিল করা কাগজপত্র অনুযায়ী আর্থিক দীনতা বিবেচনায় নিয়ে আইনজীবীর ওই অর্থ প্রাথমিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

জনির ওই মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর ঘটনাটি কয়েক বছর আগের। ইতালী প্রবাসী এক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে ঘর-সংসার করেন। কিন্তু ফিনিশ আইন অনুযায়ী স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় কামরুল হাসান জনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

পরে ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল ধর্ষণের ওই মামলায় জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা হওয়ার পর এক ব্যক্তিকে (ফিনিশ আইনে বিধিনিষেধ থাকায় নাম প্রকাশ করা গেল না) সাক্ষী সাজিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন জনি। পরে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের সদস্যদের জেরার মুখে জনির ‘সাজানো সাক্ষী’ যাবতীয় সঠিক তথ্য দেন।

ওই সাক্ষ্য দেওয়ার জের ধরেই গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে হেলসিংকির বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় তাণ্ডব চালান কামরুল হাসান জনি ও তার অনুসারীরা। সেদিন হামলায় চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করার পর জনিসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। দুই দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও হামলার তদন্ত চলছে।

মসজিদ এলাকায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেলসিংকি পুলিশর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একইসঙ্গে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও শুনেছেন। ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজনের মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ও আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরাগুলিতে থাকা এই পুরো ঘটনার রেকর্ডকৃত ভিডিও পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

উল্লেখ্য, রায়ের একটি অনুলিপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোন গুজবে কান দিবেন না : অপু বিশ্বাস

আমি অপু বিশ্বাস, একজন পেশাদার অভিনেত্রী। অভিনয় আমার পেশা এবং নেশা।
আমি দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত কারণে চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলাম।

খুব শীঘ্রই আমি আবার চলচ্চিত্রে ফিরছি। যেহেতু অভিনয় আমার পেশা সে কারণে অনেকেই আমার কাছে আসছে। নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি আগ্রহ সহকারে গল্প শুনছি।

ব্যাটে বলে মিলে গেলে খুব তাড়াতাড়ি নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আবার আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো।

আপাতত কোন গুজবে কান দিবেন না, সবাই ভালো থাকুন।

(নায়িকার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট; হুদার বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা সাহাদাতের এজাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেইসবুকে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কলেজের শিক্ষক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক হুদাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টে শেয়ার করেছেন নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন তার ফেইসবুক আইডিতে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়েও গালিগালাজের কমতি করেননি। প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত ছবি আপলোড করা পোস্টেও তিনি শেয়ার করেছেন। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীরীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশ পেলেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, আল জাহিদ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে আপলোড করা পোষ্টে মোদাচ্ছেরুল হক হুদা শেয়ার করে এই অপকর্মগুলি অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে আপত্তিকর কথা লিখে শেয়ার করছেন। Modasserul Haque Huda নামের আইডি থেকে বিএনপি অনলাইন উইং, বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী, ইরা চৌধুরী আইডি থেকে সরকার বিরোধী ও দেশ বিরোধী আপলোড করা ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে আসছেন। সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসাবে তিনি কেন এ সব অশ্লীলতা চালিয়ে যাচ্ছেন তা কারও বোধগম্য নয়। অনেকে বলছেন, হুদার বেহুদা কারবারের সমুচিত জবাব দেওয়া উচিত। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যে হুদার এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে তিনি প্রশাসন থেকে সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাকার্মীদের কাছে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তবে, সচেতন মহলের দাবি হুদাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার করা হোক।

এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা জানান, আমি অনেক সময় কলেজে ক্লাস নেয়ার সময় মোবাইল ফোনটি অফিস রুমে রেখে যায়। এ সময় কেউ আমার মোবাইল ফোন থেকে শেয়ার করেছে কিনা তা আমি বলতে পারবোনা।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, পৌর আওয়ামীরীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতেই সদর থানায় বিএনপি নেতা হুদার বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশ পেলেই এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনায় বাবাকে বখাটেদের মারধর, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা!

ন্যাশনাল ডেস্ক : বখাটেরা বাড়িতে ঢুকে বাবাকে মারধর করছিল -খুলনার স্কুলছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী এ দৃশ্য দেখে আত্মহত্যা করেছে। সে সরকারি করনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বখাটেরা বাড়িতে ঢুকে মারধর করছিল স্কুলছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনীর বাবা মো. রবিউল ইসলামকে। বাবাকে হেনস্তার এই দৃশ্য দেখে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। শুক্রবার রাতে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হরিণটানা এলাকার দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খুলনা নগরের সরকারি করনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল শামসুন নাহার চাঁদনী (১২)। তার বাবা মো. রবিউল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল চাঁদনী।
রবিউল ইসলাম বর্তমানে এক্সিম ব্যাংকের যশোর শাখায় কর্মরত আছেন। চাঁদনীর বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তার ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়িতে মূলত থাকতেন চাঁদনী ও তার মা ফিরোজা পারভীন। প্রতি শুক্রবার বাড়িতে আসতেন বাবা রবিউল।

এলাকাবাসী ও চাঁদনীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চাঁদনীকে উত্ত্যক্ত করছিল হরিণটানা মধ্যপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে শুভ। সে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। চাঁদনীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে। এ ঘটনা মাকে জানিয়েছিল চাঁদনী। এরপর রবিউল শুভর বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানান। তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করার অনুরোধ করেছিলেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে যশোর থেকে বাড়িতে আসেন রবিউল। সন্ধ্যার দিকে শুভ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে রাখে। কিছুক্ষণ পর মাফিয়া কবির নামের এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে শুভর বাবা চাঁদনীদের বাড়ি যান। সঙ্গে শুভ ও তার সঙ্গীরাও ছিল। এ সময় মাফিয়া কবির রবিউলকে বলেন যে চাঁদনীর সঙ্গে শুভর প্রেমের সম্পর্ক আছে।
রবিউলের অভিযোগ, চাঁদনী প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে মাফিয়া মেয়ের গালে থাপ্পড় মারেন। এর প্রতিবাদ করলে শুভ ও তার সঙ্গীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে রবিউলকে মারধর শুরু করে। এ ঘটনা দেখে চাঁদনী ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয় এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। চাঁদনীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে তার মা চিৎকার করে উঠলে শুভ ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুভর বিরুদ্ধে ওই এলাকায় আরও অনেক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে মধ্যপাড়া এলাকার দশম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করায় এলাকায় তাকে নিয়ে সালিস হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উত্ত্যক্তের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকায় আসার পর থেকেই শুভ তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। পরে সালিস ডেকে শুভকে সতর্ক করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর শুভদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই বাড়ির ভাড়াটিয়া মাছুরা বেগম বলেন, শুক্রবার রাত নয়টার দিকে শুভর মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে কাউকে না পেয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে মাফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে শুভর বিরুদ্ধে আগে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জীবনযুদ্ধে জয়ী বড় ছেলের বিসিএস ক্যাডার হয়ে ওঠার গল্প

সাত ভাইবোনের মধ্যে পরিবারের বড় ছেলে তিনি। জীবনের শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ একজন সফল মানুষ। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। ৯ সদস্যের বড় পরিবারে বাবার একার আয় ছিল খুবই অপ্রতুল। অার তাই ছোট বেলাতেই ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুতের আলো না থাকায় হারিকেনের আলোয় করেছেন পড়াশোনা। এর মাঝেই এসএসসি, এইচএসসিতে করেছেন বোর্ড স্ট্যান্ড। টিউশনি করে ছোট ভাই-বোনদের স্বাচ্ছন্দ্যের সব ব্যবস্থা করলেও নিজে একই শার্ট গায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ায় হয়েছেন বন্ধুদের তিরস্কারের শিকার। তবে সবকিছুকে জয় করে, জীবনের সকল বাঁধা অতিক্রম করে তিনি একজন সফল মানুষ। নাম মো. রবিউল ইসলাম। কর্মরত অাছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার হিসেবে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন জীবনের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর গল্প।
৩৩তম বিসএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নের দীননাথ পাড়া গ্রামে। দুরন্ত শৈশব আর কৈশোর কেটেছে সেখানেই। স্কুলে বরাবরই প্রথম ছিলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। এরই ধারাবাহিকতায় মেধাতালিকায় বৃত্তি পান পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। তবে বিপত্তি বাঁধে অষ্টম শ্রেণি পাশের পর। সেসময় কমার্সে পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। তবে তাদের গ্রামের স্কুলে কমার্স না থাকায় বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দুরের এক স্কুলে ভর্তি হন। যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত অনুন্নত থাকায় রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় করে মাইলের পর মাইল কাঁদামাটির পথ ভেঙ্গে যেতে হতো স্কুলে। এরমধ্যেও এসএসসিতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় যশোর বোর্ডে হয়েছেন দশম।

১৯৯৮ সালে এসএসসি পাশের পর মেধার জোরে ভর্তি হন ঢাকা কমার্স কলেজে। সেখান থেকে প্রতি মাসে স্কলারশিপ বাবদ পেতেন ৯০০ টাকা। তখন থেকেই শুরু টিউশনির। অনেকগুলো টিউশনি করাতেন সেসময়। সেখান থেকে প্রতিমাসে বাবার হাতে তুলে দিতেন টাকা। এর ফলে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে সংসারের।

এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ঢাকা বোর্ড থেকে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করাটা তার কাছে ছিলো বিলাসিতার নামান্তর। তাই বই কিনে নিজে নিজেই করেছেন পড়াশোনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়াকালে বন্ধুদের দেখে অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাহী অফিসার পদের পরীক্ষায়। সেখানে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ঘুরে যায় জীবনের মোড়। হলে থেকেই করতে থাকেন চাকুরি। পাশাপাশি চালিয়ে যান পড়াশোনা। এর মাঝেই ঢাকা ব্যাংকের প্রবেশনারি পদের সার্কুলার হয়। সেখানের পরীক্ষায়ও সফল হন। বেতন ভালো হওয়ায় যোগ দেন সেখানে। এরই মাঝে ঢাকায় বাসাভাড়া করে ভাই-বোনদের নিয়ে আসেন ঢাকাতে। ভর্তি করিয়ে দেন বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

বিসিএসের প্রতি কখনোই তেমন আগ্রহ ছিলোনা মেধাবী এ পুলিশ কর্মকর্তার। তবে ঢাকা ব্যাংকে চাকুরি করাকালে ক্রমশই হাঁপিয়ে উঠছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল। তিনি বলেন: ব্যাংকে প্রবেশ করার পর থেকে বের হবার আগ পর্যন্ত বাইরের পৃথিবী থেকে থাকতে হতো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। রোদ-ঝড় বৃষ্টি কিছুই টের পেতাম না সেসময়। আর তখনই মনে হতে থাকে জীবন এভাবে চলতে পারে না।

এরই মাঝে প্রজ্ঞাপণ জারি হয় ২৯তম বিসিএসের। তবে আবেদন করার পর পুরোপুরি ভুলেই গেছিলেন সে কথা। হঠাৎ একদিন শুনতে পান আগামী শুক্রবার বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞাণ ও গণিতের ভিতটা ছোট থেকেই ভালো হওয়ায় মোটেও বেগ পেতে হয়নি তাকে। সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন সেখানে।

তবে বিড়াম্বনার মুখে পড়েন লিখিত পরীক্ষার আগে। ব্যাংক থেকে মঞ্জুর হয় না ছুটি। অার তাই খানিকটা রাগ করেই পরীক্ষার আগের দিন ম্যানেজার স্যারের কাছে গিয়ে বলেন: ‘স্যার যা পারেন করেন, আমি চলে গেলাম।’ এই একটি সিদ্ধান্তই আমূল পরিবর্তন এনে দেয় এ কর্মকর্তার জীবনে। আনসার ক্যাডারে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর ট্রেনিং করে চাকুরিতে যোগদান করতে করতে চলে যায় ৩০ ও ৩১তম বিসিএস।

৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপণ জারি হলে রবিউলের এক বন্ধু অনলাইনে তার ফরমটি পূরণ করে দেন। সেখানেও প্রিলিমিনারিতে সফল হন তিনি। সৌভাগ্যবশত লিখিত পরীক্ষার আগে অফিস থেকে পেয়ে যান লম্বা ‍ছুটি। সেজন্য প্রয়োজন হয় না আলাদা করে অফিসকে জানিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতির। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। মৌখিক পরীক্ষার সময় অফিস থেকে ছাড়পত্র চাইতে গেলে দেয়া হয় না ছাড়পত্র।

মৌখিক পরীক্ষা ছিলো সোমবার। পূর্বেই অবেদন করে রাখার পরও বৃহস্পতিবার অফিসে যেয়ে মেলে না ছাড়পত্র। সেদিনই অফিস করে চলে আসেন ঢাকায়। অপেক্ষায় থাকেন রোববারের। রোববার সকালে চলে যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে সারাদিন অপেক্ষার পর বিকেলে মেলে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি। এরপর ৩৩তম বিসিএসে ৩৩তম হয়ে যোগ দেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে। বর্তমানে কর্মরত অাছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার হিসেবে।

বাবাকে হারিয়েছেন ৫ মাস আগে আর তাই মায়ের মুখের হাসি আর ভাইবোনদের সুখই তার এখন একমাত্র চাওয়া। ভাইবোনের নিমিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া পুলিশ কর্মকর্তা রবিউলের প্রার্থনা, ভাই-বোনগুলো যেন বেড়ে ওঠে প্রকৃত মানুষ হয়ে আর সৎভাবে যেন করতে পারে জীবন নির্বাহ। তিনি বিশ্বাস করেন, সদিচ্ছাই বদলে দিতে পারে সবকিছু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest