সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

ত্বকের যত্নে নারকেল তেল

শীত এসে যাবে আর কিছুদিন পরেই। এখনই বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া শুরু করেছে। সেই সাথে ত্বকেও শুষ্কতা দেখা দিয়েছে। এই আবহাওয়াতে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। কেবল চুল নয়, ত্বকের যত্নেও নারকেল তেল দারুণ কার্যকরী। জেনে নিন ত্বকের যত্নে নারিকেল তেলের কিছু ব্যবহার।

মেকআপ তুলতে
দিন শেষে মেকআপ ঠিক মতো না তুললে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। মেকআপ তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। যে কোনো দামি মেকআপ রিমুভারের চাইতে কোনো অংশে কম কার্যকরী নয় নারকেল তেল। নারকেল তেল ত্বকের গভীর থেকে মেকআপ এবং ময়লা তুলে আনবে এবং ত্বককে মসৃণ রাখবে।

ময়েশ্চারাইজার
নারকেল তেলে প্রচুর ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই আছে। ত্বকের শুষ্কতায় মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে কয়েক ফোটা নারকেল তেল পুরো মুখের ত্বকে লাগিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের দাগ দূর হবে এবং ত্বক কোমল থাকবে।

ব্রণ কমাতে
নারিকেল তেলে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি। যাদের ত্বকে ছোট ছোট ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা আছে তারা নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করলে এই সমস্যা দূর হবে। সেই সঙ্গে ব্রণের গর্তও কমে যায় অনেকটা।

ঠোটের শুষ্কতা কমাতে
বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকলে কিংবা শীতের শুরুতে অনেকেরই ঠোঁট ফাটে। এই সমস্যার দারুণ সমাধান হতে পারে নারকেল তেল। ঠোট শুকালেও এক ফোটা নারকেল তেল শুষ্ক ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর আগেও ঠোটে নারকেল তেল লাগান। নিয়মিত ব্যবহার ঠোঁট কোমল থাকবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার ট্রোলিংয়ের শিকার শ্রদ্ধা

সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকাদের সমালোচনা করাটা এখন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই জুহি চাওলাকে এমনই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
কারণ তিনি দিল্লিতে শব্দবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ডিজাইনার মাসাবা গুপ্ত, ফাতিমা সানা শেখও সম্প্রতি সমালোচিত হয়েছেন তাঁদের পোশাকের জন্য। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন শ্রদ্ধা কাপুর।

ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেন শ্রদ্ধা। আর তাতেই হয়েছে সমস্যা। আসলে পশুপ্রেমী হিসেবে শ্রদ্ধা তার ইনস্টাগ্রাম পেজের ভিডিওটিতে একটি বিশেষ আবেদন করেছিলেন। তার ফ্যানদের কাছে তিনি বলেছেন, এই দিওয়ালিতে শব্দবাজি বা আতসবাজির ব্যবহার না করতে। কারণ তিনি মনে করেন, এতে শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, পশুদেরও খুব কষ্ট হয়। বাজির আওয়াজে ভয় পায় পশুপাখিরা।

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই ভিডিও পোস্ট করতেই সমালোচিত হয়েছেন শ্রদ্ধা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এমন পোস্টে নাকি তিনি কতটা ভণ্ড সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন নায়িকা। কেউ কেউ আবার পাল্টা ছবির প্রচারে গিয়ে শ্রদ্ধার আতসবাজি জ্বালানোর ছবিও পোস্ট করেছেন। যদিও এ নিয়ে এখনও মন্তব্য করেননি ‘আশিকি গার্ল’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাভজনক পানিফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে দেবহাটার চাষীদের

কেএম রেজাউল করিম : পানিফল। যার বহুল অংশ চাষ হয় সাতক্ষীরার দেবহাটায়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সারা দেশে ফল হিসেবে পরিচিতি না থাকলেও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। পানি ফলের বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। হাটবাজার ও ফুটপাত ছাড়াও ক্ষেত থেকে তুলে মহাসড়কের ধারে পানিফল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। প্রতি কেজি পানিফল স্থান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণসম্পন্ন এ ফলটির চাষ সাতক্ষীরা জেলায় বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে।
ফলচাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারন করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তাছাড়া এ ফলে ৬৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পানিফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করা ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ। লৌহ অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ লবন। লৌহের অভাবে মানবদেহে অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অতি সহজে রোগের শিকার হয়। পানি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পানি ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ১৫ মিলিগ্রাম আর শসাতে আছে ভিটামিন ‘সি’ মাত্র ৫ মিলিগ্রাম । ভিটামিন ‘সি’ শরীরে চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ অস্ত্রে লৌহ শোষণে সাহায্য করে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৩ ভাগ পরিবার ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাপোকা কামড়ের যন্ত্রনায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এর উৎপাদন খরচ খুব কম। সাতক্ষীরা জেলার সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, সদরের আংশিক ও শ্যামনগর উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। সেই সাথে বাড়ছে ফলটির জনপ্রিয়তা।
জেলার সিংহাভাগ পানিফল চাষ হয় সাতক্ষীরার দেবহাটায়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সারা দেশে ফল হিসেবে পরিচিতি না থাকলেও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। পানি ফলের বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। পানি ফল বা পানি স্যাংড়া নামের ফল চাষে অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় দেবহাটাসহ সাতক্ষীরা জেলার চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও প্রিয় মৌসুমে ফল হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ব্যাপক পরিমান চাষ হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় দেবহাটাতে ১৪ হেক্টর জমিতে হেক্টর প্রতি ৩২ মেট্রিকটন ফলন হয়েছে। উপজেলার সখিপুর, গাজিরহাট, কামটা, কোঁড়া, দেবহাটা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চাষ ফসল চাষের জমি হিসেবে ডোবা, খানা, মৎস্য ঘেরে সুবিধাজনক। সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায়। তাছাড়া পানি ফল গাছ কচুরিপানার মত পানির উপরে ভেসে থাকে, পাতার গোড়া থেকে শিকড়ের মত ডগা বের হয়ে বংশ বিস্তার করে এবং তা থেকে ফল ধারণ করে। পানিফল চাষে খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সার ও কীটনাশকের পরিমান কম লাগে।
দেবহাটার সখিপুর গ্রামের পানিফল চাষি জিয়াদ আলীর পুত্র আকবর আলী বলেন, এ বছর তিনি একটি ২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানি ফলের চাষ শুরু করেছেন। শুরুতেই এই চাষ লাভের আশা দেখিয়েছেন তাকে। তিনি আগামী বছর আরও বেশি জমি নিয়ে চাষ করবেন বলেও জানান। আরেক পানিফল চাষি দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের মৃত এজাহার আলীর পুত্র ইসমাইল হোসেন ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পানিফল চাষ করে আসছেন। এবছর তিনি ১৫ বিঘা জমিতে এ চাষ করেছেন। তিনি ১৩/১৪ দিন পর পর ফল উত্তোলন করেন। যার বিঘা প্রতি ১২/১৫ মন ফলন পাচ্ছেন। যার প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন।
সখিপুর ও ডেল্টা মোড় এলাকার খুচরা পানিফল ব্যবসায়ী জামাল উদ্দীন ও আনছার আলী জানায়, বর্তমানে ২০ টাকা দরে পানিফল বিক্রয় করছেন। দিনে গড়ে ২০/৩০ কেজি ফল বিক্রয় করে ১০০/১৫০ টাকা লাভ করে। তাদের এটি মৌশুমী ব্যবসা।
পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী কামটা গ্রামের মৃত আব্দুল ছালেকের পুত্র খোকন বাবু সরদার বলেন, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধ শতাধিক চাষীর মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল ক্রয় করেন। এভাবে ২০ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চিটাগাং, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল রপ্তানি করেন। বর্তমান জেলার বাইরের বাজার ভেদে পাইকারীভাবে বিক্রি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জসীমউদ্দীন বলেন, পানিফল চাষ কৃৃষি খাতে চাষ হিসেবে ধরা না হলেও এটি অতিদ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এর আবাদ বেড়ে চলেছে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোন প্রকার বরাদ্দ না থাকলেও রয়েছে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা। এ অবাঞ্চিত ফলটি দেখতে স্বাদে সুস্বাদু ছোট বড় সব বয়সীদের নিকট জনপ্রিয়, দামেও সস্তা। তাছাড়া একদিকে কম খরচ অন্যদিকে অল্প পরিশ্রমে বেশ লাভবান হওয়ায় চহিদা বেড়েছে পানি ফল চাষিদের।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে নদী দখলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী মহল

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী মহলের নদী দখলের পায়তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়ায় বেতনা নদীর চর দখল চলছে ক্ষমতার মহড়া। কর্তৃপক্ষ বাঁধের কাজ বন্দ করে দেওয়ার পর পুনরায় শ্রমিক নিয়ে দেদারছে কাজ করিয়ে নদী দখলের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নওয়াপাড়া মৌজায় চন্ডিতলা সংলগ্ন বেতনা নদীর জোয়ারভাটা প্রবাহিত হয় এমন চর অবৈধ দখলে নিতে নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মনিরউদ্দিন সরদারের তিন ছেলে মুনছুর সরদার, এমদাদুল সরদার ও জিন্নাহ সরদার ২০-৩০ জন শ্রমিক নিয়ে ৭/৮ বিঘা জমিতে মাটি দিয়ে বাঁধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, রেজওয়ান আলি, প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানাকে অবহিত করলে বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আঃ বারীকে নির্দেশ প্রদান করলে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান বৃহস্পতিবার থেকে তারা নদী দখলের কাজ শুরু করে, তখন ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আব্দুল বারীকে অবহিত করলে তিনি অফিসের লোক পাঠিয়ে কাজ বন্দের কথা বললেও কাজ বন্দ হয়নি। তখন ইউপি সদস্যরা দুইবার গ্রাম পুলিশ পাঠালে কিছু সময় কাজ বন্ধ করে আবার কাজ শুরু করেন। সাময়িক কাজ বন্ধ রেখে আবার কাজ করার মাধ্যমে বাঁধের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে একসময় বাঁধ বাধার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধ দখলকারিদের দখল বহাল তবিয়তে বহাল থেকে যাবে। ভুক্তভোগি ও এলাকাবাসীর দাবী কেবল গ্রাম পুলিশ বা ভূমি অফিসের লোক পাঠিয়ে সাময়িক কাজ বন্ধ করার খেলা না করে যে টুকু বাঁধ বাধা হয়েছে তা ভেঙ্গে দেওয়ার সাথে সাথে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনা হোক। অন্যথায় একের পর এক অবৈধ দখল কাজ বাড়তেই থাকবে। ভুক্তভোগিরা জানান, ডিসিআর পরিবার হিসাবে পরিচিত মুনছুর দিং এক স্থানের ডিসিআর দেখিয়ে ডিসিআর না পাওয়া স্থানের জমি দখল করতে চাচ্ছে। আর একাজের সাথে ভূমি অফিসের কারো যোগসাজসের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এব্যাপারে যথাযথ তদন্ত পূর্বক অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আটক ৪

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটিতে আপত্তিকর অবস্থায় ৪ জনকে আটক করেছে আশাশুনি থানা পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২টায় দিকে গুণাকরকাটি গ্রামের মৃত: আব্দুল হান্নান সরদারের বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের আঃ রহিম শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলি গ্রামের রাজমিস্ত্রী রহমত সরদারের মেয়ে রুপা খাতুনকে নিয়ে উক্ত বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিল। এসময় মুকুন্দপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের পুত্র জাহিদ হোসেন ও কালিগঞ্জ উপজেলার কুষোডাঙ্গা গ্রামের করিম গাজীর পুত্র মাছুম বিল্লাহ সেখানে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রাম পুলিশ আঞ্জুয়ারা বেগম স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদেরকে আটক করেন। বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে এসআই উস্তার আলী ও এএসআই ফারুক তাদেরকে থানা হেফাজতে নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিষ ঢুকিয়ে প্রাচীন বটগাছ হত্যার প্রতিবাদে ভাদড়ায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : অর্ধ শতবর্ষী বটগাছকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়নের ভাদড়া বাজারে শনিবার বেলা ১১টায় এ মানববন্ধন করা হয়। ভাদড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সহ সভাপতি রাজীবুল আলম সোহেল, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা সজীবুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মজ্ঞুরুল ইসলাম, দুখুমিয়া, আব্দুল মজিদ, আয়নুর দফাদার, মনিরুল ইসলাম,হাফিজুর রহমান, একুব আলী প্রমূখ। এি সময় বক্তারা বলেন, নিজের নির্মাণাধীন মার্কেটের কারণে পরিকল্পিতভাবে অর্ধ শতবর্ষী বটগাছকে ড্রিলার দিয়ে ছিদ্র করে তার মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে গাছটি মেরে ফেলা হয়েছে। বিদেশ প্রবাসী মৃগীডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফসউদ্দীনের ছেলে আব্দুর রশিদ তার ভাই সিদ্দিক ও শালক মিজানের সহযোগিতায় গাছটি মেরে ফেলেছে। বটগাছটি হত্যা করার মাধ্যমে তারা একটি মানুষকে হত্যার চেয়ে অপরাধ করেছে। অবিলম্বে তাদের দৃষ্টান্তর্মলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে আমি অবশ্যই হতভম্ব: আইনমন্ত্রী

আমি সুস্থ আছি- এই মর্মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চিঠিতে হতভম্ব হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সচিবালয়ে রবিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের বিষয়। আমরা আশা করি দুদক তা করবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে যে চিঠি প্রধান বিচারপতি প্রকাশ করেছেন সেটি আসলেই তার চিঠি কি না, আমি জানি না। তবে একটা লিখিত জিনিস… আমি অবশ্যই এতে হতভম্ব। অসুস্থতার কথা বলে বিচারপতি এস কে সিনহা চিঠি দিয়েছেন। তখন ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর দরকার ছিল। যেহেতু করা হয় নাই তো এ নিয়ে কিছু বলতে পারবো না।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অসুস্থতার কথা বর্ণনা করে চিঠি দেয়ার সাত দিন পর প্রধান বিচারপতি আবার জানালেন তিনি সুস্থ। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তিনি যে চিঠি দিয়েছেন সে তারিখেই দেশ ত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছিল না। যাদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হাসিল হয় নাই তাদের এ মায়াকান্না।

সম্মেলনের শুরুতে প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে চালাচালি হওয়া একাধিক চিঠি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পড়ে শোনান। চিঠির উদ্ধৃতি দিয়েই আনিসুল হক বলেন, অবসরের সময় নিকবর্তী হওয়ায় প্রধান বিচারপতি মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। অবসাদ দূর করার জন্যই তিনি এক মাস আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের মনস্থির করেছেন। প্রধান বিচারপতির এ ছুটির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। আর সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ মেনেই জ্যৈষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়াকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ২৬ কেজি গাজা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ২৬ কেজি গাজা জব্দ করেছে বিজিবি। রোববার ভোরে সদর উপজেলা তলুইগাছা সীমান্তের একটি ধান ক্ষেত থেকে উক্ত গাজা গুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাজার দাম প্রায় এক লাখ টাকা। তবে, এ ঘটনায় বিজিবি কোন চোরাচালানীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
বিজিবি জানায়, সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ গাজা আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের তলুইগাছা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৬ কেজি গাজা জব্দ করে। বিজিবি ৩৮ ব্যাটালিয়নের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম এ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest