সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

আমেরিকার উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার জোসেফ ডানফোর্ড মার্কিন সিনেটে বলেন, শীঘ্রই আমেরিকাকে পরমাণু অস্ত্রে আঘাত করতে পারে উত্তর কোরিয়া। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন এক মার্কিন এই সেনা অফিসার। তিনি বলেন, হয়ত খুব তাড়াতাড়িই আমেরিকার মূল ভূ-খণ্ডে আঘাত করতে পারে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র।

‌তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমেরিকায় পরমাণু অস্ত্র ফেলার মত ক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার রয়েছে। আমেরিকার তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এই হামলা হতে পারে খুব কম সময়ের মধ্যেই। তাঁর দাবি উত্তর কোরিয়া নিজেদের যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজ একেবারে অন্যভাবে সাজাচ্ছে।

ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন, আমেরিকা ইতিমধ্যেই একাধিক গোয়েন্দাকে নির্দিষ্ট করেছে উত্তর কোরিয়ার জন্য। উত্তর কোরিয়ার সামরিক কার্যকলাপের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আমেরিকা।

কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ পাশাপাশি আরও আটটি দেশের নাগরিকদের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় উঠে এসেছে ভেনেজুয়েলারও নাম৷ দক্ষিণ আমেরিকার এই তেল সমৃদ্ধ দেশটির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ৷

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্প ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আমেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার প্রথম অগ্রাধিকার। ফলে যাদেরকে আমরা পুরোপুরি নিরাপদ বলে বিবেচনা করতে পারছি না, তাদেরকে আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব না।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডাবের ভেতরের স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি নিয়ে আমাদের কৌতুহলের শেষে নেই। ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে, পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এবং শক্তির উৎস হিসেবে কচি ডাবের পানি ভীষণ জনপ্রিয়। আসুন জেনে নেই ডাবের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ
ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটাশিয়াম শরীরে লবণের ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক রাখে।

২। ওজন হ্রাস করেঃ
ডাবের পানিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি এনজাইম হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে থাকে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা এত ভাল ভাবে হজম হয়ে যায় যে বদ হজম হওয়া খাবার মেদ হিসেবে জমার সুযোগ পায় না। ফলে ওজন কমতে শুরু করে।

৩। দাঁত ভাল রাখেঃ
ডাবের পানিতে খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতিও উচ্চমাত্রায়। এসব খনিজ লবণ দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। দাঁতের মাড়িকে করে মজবুত। অনেকের দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে।

৪। ত্বক সুন্দর করেঃ
ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, লোশন ইত্যাদি তৈরিতে নারকেলের পানির ব্যবহার থেকেই বোঝা যায় ত্বক সুন্দর করতে বা রাখতে এটা কতখানি কার্যকরী। ব্রণ, মেছতা বা ত্বকের অন্য কোনো দাগ দূর করে মুখ উজ্জ্বল করতে এটি সাহায্য করে।

৫। মাথা যন্ত্রণা দূর করেঃ
ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনর অ্যাটাক হওয়ার মত ঘটনা ঘটলে যতদ্রুত সম্ভব এক গ্লাস ডাবের পানি খেয়ে নিলে নিমেষেই কষ্ট কমে যাবে। ডাবে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এই ধরণের শারীরিক সমস্যার উপশমে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চলতি মৌসুমে বার্সার দুর্দান্ত ফর্মের দুই কারিগর লিওনেল মেসি ও আত্মঘাতী গোল। মেসি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চের খেতাবটা যাচ্ছে আত্মঘাতীর ঝুলিতে। প্রতিপক্ষের মাধ্যমে নিজেদের সংগ্রহে চারটি গোল এসেছে বার্সেলোনার। বুধবার রাতে যার সর্বশেষটির কল্যাণে স্পোর্টিং লিসবনের মাঠ থেকে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে ফিরেছে কাতালানরা।

এই জয়ে ‘ডি’ গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বার্সেলোনা। রাতের অন্য ম্যাচে অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে জুভেন্টাস। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে স্পোর্টিং।

বরাবরের মতই ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল নিয়ে খেলেছে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষ রক্ষণে ভীতি জাগানোর মত কোনও আক্রমণ তৈরি করতে পারছিল না। ২৮ মিনিটে সার্জিও রবের্তোর বাড়ানো বলে লুইস সুয়ারেজ স্বাগতিক গোলরক্ষক লুই প্যাট্রিসিও বরাবর শট নিলে সুযোগ হাতছাড়া হয়। দুই মিনিট পর সুয়ারেজের ক্রসে মেসির হেড আটকে যায় সেই গোলরক্ষকের দেয়ালেই।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৪৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বল সুয়ারেজের মাথা ছুঁয়ে গোলমুখ থেকে নিরাপদ দূরত্বেই সরে যাচ্ছিল, কিন্তু ডিফেন্ডার সেবাস্টিয়ানের শরীরে লেগে সেটি বাঁক বদলে নিজেদের জালে জড়িয়ে গেলে স্তম্ভিত হয়ে যায় স্বাগতিক স্পোর্টিং সমর্থকরা।

ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজের বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে বসেছিলেন মেসি। সাবেক বার্সা-সতীর্থ জেরেমি ম্যাথিউয়ের দৃঢ়তায় সেদফা বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

পরে ৭১ মিনিটে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ব্রুনো ফার্নান্দেজের বুলেট শটে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালে বেঁচে যায় বার্সাও। ম্যাচের শেষদিকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ফেরাতেই মন দেয় আর্নেস্টো ভালভার্দের দল। সফলও হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলা ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে বান্দরবান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবার যশোর থেকে উদ্ধার হয়েছে।

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ছয় শিশু, দুই নারীসহ নয় সদস্যের এই পরিবারটি বুধবার যশোর এসে পৌঁছায়। বিকেলে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা জানান, মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিবারটি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের থানায় আনা হয়। এরপর পরিবারটিকে কক্সবাজারের টেকনাফ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের পানিগাজিরি এলাকার মৃত ইমাম শরীফের ছেলে তফুর আলম (৪০), তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (৩০) মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (৯), তাসনিম আক্তার (৫), ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৭), সাইফুল ইসলাম (৩), সহিদুল ইসলাম (নয় মাস) এবং ভাইজি জান্নাত আরা (২০) এবং জান্নাত আরার ছেলে হামিদ হুসান (নয় মাস)।

তফুর আলম জানান, কিছু লোক তাঁদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলে সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা নিয়ে একটি বাসে উঠিয়ে দেয়। এরপর বাসটি তাঁদের কোথায় নামিয়ে দিল সেটিও তাঁরা বলতে পারেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় প্রথমবারের মতো একশর ঘরে ঢুকল বাংলাদেশ। সাত ধাপ উন্নতি করে বাংলাদেশ উঠে এসেছে সূচকের ৯৯তম অবস্থানে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বিশ্বের ১৩৭টি দেশে ১২টি সূচকের ওপর চালানো জরিপের প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি জানায়, গত পাঁচ বছরে এই সূচকে ১৯ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। ব্যবসা-বাণিজ্যের মৌলিক প্রয়োজনগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক, অবকাঠামো, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষায় এগিয়েছে বাংলাদেশ।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রযুক্তিগত আমাদের যে প্রস্তুতি এবং দক্ষতা, লেবার মার্কেট বলি, ক্যাপিটাল মার্কেট বলি বেসিক কিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচার হয়েছে। কিন্তু সেসব জায়গায় উৎকর্ষতা এবং সার্ভিস ডেলিভারি যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এগুলোর সম্বন্ধে কিন্তু খুব ভালো স্কোর আসেনি। কিন্তু আগামীতে বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে যেতে হয়, তখন কিন্তু আমাদেরকে ওগুলোতে ভালো না করলে আমরা আর অগ্রসর হতে পারব না।’

আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে ১৬টি অন্তরায় চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। তাতে বলা হয়েছে, দুর্নীতিই বাংলাদেশে এখন প্রথম সমস্যা; যা গত বছর ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। তারপরই রয়েছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অদক্ষ শ্রমিক ও তাদের কাজের প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতার অভাব।

বৈশ্বিক এ সূচকে গতবারের মতো এবারও এক নম্বর দেশ সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরকে তিনে নামিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত একধাপ অবনতি হয়ে ৪০-এ থাকলেও ১১৫তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের উন্নতি ঘটেছে সাত ধাপ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাবা হতে চান সালমান

কর্তৃক Daily Satkhira

শুরুটা করেছিলেন তুষার কাপুর। ২০১৬ সালে সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে বলিউডের প্রথম তারকা হিসেবে পুত্রসন্তানের পিতা হয়েছিলেন তিনি, যার নাম রাখা হয়েছিল লক্ষ্য। এরপর সারোগেসির মাধ্যমে নির্মাতা করণ জোহরের দুই সন্তান ইয়াশ ও রুহির জন্ম হলে বলিউড দুনিয়ায় বেশ সুপরিচিত হয়ে ওঠে পদ্ধতিটি। এবার তাঁদের দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’খ্যাত সালমান খান। ভারতের একটি দৈনিক পত্রিকার বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমেই পিতৃত্বের স্বাদ উপভোগ করতে চাইছেন সালমান।

সালমানের মা সালমা খানের বরাত দিয়ে সেই দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমা খান চান সালমানের একটি সন্তান হোক। এ জন্য সারোগেসিকেই বেছে নিতে পারেন সালমান, যা ঘটবে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই। তবে এ বছরের ডিসেম্বরে ৫২ বছর বয়সে পা দিতে যাওয়া সালমান এ বিষয়টাও মাথায় রেখেছেন যে যখন তার ছেলের বয়স ২০ হবে, তখন তিনি ৭০-এর কোঠায় পৌঁছবেন। কিন্তু এরপরও তিনি সারোগেসি পদ্ধতির ব্যবহার করতে চান। কারণ, মা-বাবার হৃদয়ে আঘাত করতে চান না সালমান।

বর্তমানে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন সালমান খান। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এক থা টাইগার’-এর দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। ছবিটি পরিচালনা করছেন আলি আব্বাস জাফর। জাফরের পরিচালনায় এটি সালমানের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এর আগে সুলতান ছবিটিও পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার একসঙ্গে পর্দায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন।
১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। জন্মদিনটি আওয়ামী লীগ জাঁকজমকভাবে পালন করবে না। মানবিক রোহিঙ্গা ইস্যু ও পরপর বন্যার কারণে দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে এবারের জন্মদিন আড়ম্বর পরিবেশে হবে না বলে আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ও রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশের প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আনন্দ শোভাযাত্রা করবে বেলা ১১টায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আলোচনা সভা, অর্ধদিবস মিলাদ মাহফিল, স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি ও রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করবে। এ ছাড়া সভা, সেমিনার, ত্রাণ বিতরণ ও রোহিঙ্গাসহ দেশের দরিদ্রদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করবে।

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং ইডেন কলেজের নির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী, তিনবার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা এবং ৩৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে কেটেছে। কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের সময় অনেক রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। দলের খবর বঙ্গবন্ধুর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছেন নেতাদের কাছে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে ১১ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাসিত শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের। তাঁর সফল দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ তিন-তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে।

এদিকে গত কয়েক বছরের মতো এবারের জন্মদিনেও শেখ হাসিনা দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিবছরই শেখ হাসিনার জন্মদিন কাটে দেশের বাইরে। প্রতিবছরই সেপ্টেম্বরের এই নির্ধারিত সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হয়।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশী বাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। এরপর জার্মানি থেকে ভারতে এসে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে থাকেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি ভারত থেকে দেশে ফেরেন।

দেশে ফেরার আগেই ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক চ্যালেঞ্জিং জীবন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তাঁকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে।

আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বারবার তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হন। তাঁর ওপর গুলি, বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাঁকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি কারানির্যাতন ভোগ করেন।

টানা ৩৭ বছর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বন্ধুকন্যা হয়ে ওঠেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালে, ১৯৯১ সালে এবং ২০০১ সালের সংসদে তিনি বিরোধী দলের নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপরিচালনায় সফলতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নানা পুরস্কার ও সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক কর্মব্যস্ত জীবনে ব্যস্ততার মাঝেও তিনি বেশ কিছু গ্রন্থও রচনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’ ইত্যাদি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

না খেলেও ভারত-নেপালের ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। আর প্রার্থনায় ছিল নেপাল যেন জিততে না পারে। ফুটবলদেবতা শোনেননি সেই প্রার্থনা। ভারতের বিপক্ষে ২-০ গোলের সহজ জয় পেয়েছে নেপাল, যাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও ঘরে তুলেছে তারা। বুধবার দিনের আগের খেলায় ভুটানকে ২-০ গোলে হারানো বাংলাদেশের যুবাদের মিশন শেষ হলো তাই রানার্স আপ হয়ে।

নেপালের শিরোপা জয়ের নায়ক দিনেশ হেনজান। তার গোলে তৃতীয় মিনিটেই ভারতের বিপক্ষে লিড নেয় টিম নেপাল। ৩৭ মিনিটে আবারও হেনজান জাল খুঁজে পেলে প্রথমার্ধের ওই ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত করে তারা। এই জয়ে ৪ ম্যাচ শেষে নেপালের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৯। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্টও সমান। তবে হেড টু হেডে নেপাল এগিয়ে থাকায় জিতে যায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

আগের ম্যাচটাতেই হয়েছে বাংলাদেশের সর্বনাশ। নেপালের বিপক্ষে ১০ জনের দল নিয়ে লাল-সবুজরা হেরেছিল ২-১ ব্যবধানে। মুখোমুখি লড়াইয়ে সেখানেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তাই নেপালের সমান পয়েন্ট নিয়েও মিশন শেষ করতে হয়েছে রানার্স আপ হয়ে।

এর আগে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পায় ২-০ গোলের জয়। যেখানে ভুটানের বিপক্ষে সব দিক থেকে এগিয়ে ছিল মাহবুব হোসেনের দল। সেটা যেমন বল পজেশনে, তেমনি সুযোগ তৈরিতে। নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশের যুবাদের মধ্যে ছিল শুরু থেকেই। যদিও ভাগ্য সহায় না হওয়ায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না লাল-সবুজরা। প্রথমার্ধ শেষ হয় তাই গোলশূন্যভাবে।

শিরোপা জিততে হলে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততেই বাংলাদেশকে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নটা ফ্যাকাশে হয়ে যায় অনেকটাই। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ভুটানের বিপক্ষে। আক্রমণাত্মক ফুটবলে বারবার স্বাগতিকদের রক্ষণ কাঁপিয়ে দিলেও বল জড়াচ্ছিল না জালে। তবে হাল ছেড়ে দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। ফুটবলদেবতাও নিরাশ করেননি; ৮১ থেকে ৮৩- ২ মিনিটের ঝড়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় লাল-সবুজরা।

জাফর ইকবালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রাণ ফেরে বাংলাদেশ দলে। চমৎকার প্লেসিং শটে ৮১ ‍মিনিটে তিনি এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। মিনিট দুয়েক পর বাংলাদেশের আবারও গোলোৎসব, এবারও স্কোরে নাম তোলেন সেই জাফর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest