সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

‘কোহলি ওয়ানডেতে, টেস্টে স্মিথ সেরা’

উপমহাদেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার ফাঁড়াটা কাটছেই না। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পর এ বছরের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ হারে স্মিথের দল। এরপর সম্প্রতি বাংলাদেশের বিপক্ষেও সিরিজ ভাগাভাগি করতে হয়েছে একসময়ের মহাপরাক্রমশালী দলটিকে। এবার ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডের পরীক্ষায় নামবে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক হওয়ার কারণে সিরিজ শুরুর আগেই ভারতকে এগিয়ে রাখছেন অনেকে। এদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

দুই দলে দারুণ সব ক্রিকেটার থাকায় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজটা বরাবরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিরাট কোহলি ও স্টিভেন স্মিথ এমন দুজন ক্রিকেটার। এই দুজনই দল দুটিকে নেতৃত্বও দেবেন। তবে ওয়ানডে ফরম্যাট বলেই স্মিথের চেয়ে কোহলিকে এগিয়ে রাখছেন মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘তারা দুজনই অসাধারণ ক্রিকেটার। তবে ওয়ানডে বলে কোহলিকেই সেরা বলতে হবে। কারণ এই ফরম্যাটে তাঁর অবদান অসামান্য। ওর নেতৃত্বে ভারত অনেকগুলো ম্যাচ জিতেছে। তবে টেস্টে স্মিথ এগিয়ে।’

স্মিথকে এগিয়ে রাখলেও অস্ট্রেলিয়া দলের বেহাল অবস্থার কথাও ভাবাচ্ছে মাইকেল ক্লার্ককে। সাবেক অসি অধিনায়ককে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, স্মিথের নেতৃত্বে ভারত সফরে আসার দলটাই কি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল দল? জবাবে কৌশলী ক্লার্ক বলেন, ‘আমি বোকাসোকা মানুষ হলেও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিরোনাম হতে চাই না।’

এবারের ভারত সফর নিয়ে আশাবাদী ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘দলটির বেশির ভাগ ক্রিকেটার আইপিএলে খেলেন। ভারত তাদের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো। আমি আশাবাদী। দলটাকে অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে। আর তা ছাড়া ৪-১ ব্যবধানে জিতলে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠবে অস্ট্রেলিয়া। ভারতে খেলার অভিজ্ঞতাটা আগামী বিশ্বকাপে কাজে লাগবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাখাইনে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে নোবেলজয়ীসহ বিশিষ্টজনদের চিঠি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপে চেয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন নোবেলজয়ী ও বিশিষ্টজনরা। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১২ নোবেলজয়ী, ১৫ বিশিষ্টজন। এঁদের মধ্যে শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকায় ইউনূস সেন্টার থেকে চিঠিটি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।

চিঠিটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো :

নিরাপত্তা পরিষদের প্রিয় সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ

রোহিঙ্গা সংকট পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহ্বান করার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আবার মনে করিয়ে দিতে চাই যে, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় মানবীয় ট্র্যাজেডি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে – তার অবসানে আপনাদের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আপনাদের এই মুহূর্তের দৃঢ়সংকল্প ও সাহসী সিদ্ধান্তের ওপর মানব ইতিহাসের ভবিষ্যৎ গতিপথ অনেকটাই নির্ভর করছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক আক্রমণে শত শত রোহিঙ্গা জনগণ নিহত হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। বহু গ্রাম সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, বেসামরিক মানুষদের নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আতঙ্কের বিষয়, মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে এই এলাকায় প্রায় একবারেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে দারিদ্র্যপীড়িত এই এলাকায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্থানীয় সরকার সূত্রগুলোর মতে, গত দুই সপ্তাহে তিন লাখেরও বেশি মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মৃত্যুর মুখে নারী, পুরুষ ও শিশুদের এই ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অভিবাসন থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতি প্রতিদিন আরো খারাপ হচ্ছে।

সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে গত বছরের শেষে আমরা কয়েকজন নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এ বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আপনাদের নিকট অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আপনাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে নিরীহ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার বন্ধ এবং রাখাইন এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা আবার আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্ভাব্য সকল হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে নিরীহ বেসামরিক মানুষদের ওপর নির্বিচার সামরিক আক্রমণ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়, যার ফলে এই অসহায় মানুষগুলোকে নিজ দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে এবং রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত হতে না হয়।

মিয়ানমার সরকার যে যুক্তিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করছে, তা একেবারেই আজগুবি। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে বার্মা স্বাধীন হওয়ার পর এবং পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের সময়কালে বার্মা তার সীমানাভুক্ত রোহিঙ্গাসহ সকল জাতিগোষ্ঠীকে পূর্ণ নাগরিক বলে স্বীকার করে নেয় এবং সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্বও দেয়।

এটা আশ্চর্যজনক যে, ১৯৮০-র দশকে সে দেশের সামরিক শাসকরা হঠাৎ করেই আবিষ্কার করে বসে যে, রোহিঙ্গারা বার্মিজ নয়। এরপর তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় এবং তাদেরকে সে দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য বিভিন্ন সামরিক ও রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করে। শুরু হয় জাতিগত ও ধর্মীয় নিধনের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সুপরিকল্পিত নির্যাতন।

জাতিসংঘ মহাসচিব যথার্থই বলেছেন যে, “রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অমীমাংসিত দুর্দশা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার একটি অনস্বীকার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের শাসকদের অবশ্যই সহিংসতার এই দুষ্ট চক্র বন্ধ করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং নিপীড়িত সবার নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।”

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার ২০১৬ সালে যে “রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন” গঠন করেছিল তার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারকে উদ্বুদ্ধ করতে আপনারা যেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন – সেজন্য আমরা আবার আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। কফি আনানের সভাপতিত্বে গঠিত এ কমিশন – যার অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন মিয়ানমারের নাগরিক-রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান, অবাধ চলাচলের সুযোগ, আইনের চোখে সমান অধিকার, রোহিঙ্গাদের স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যার অভাবে স্থানীয় মুসলিমরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এবং নিজ ভূমিতে ফিরে আসা মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সহায়তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছিল। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গিদের আক্রমণ এই আশঙ্কাকেই সত্য প্রমাণিত করল। স্থায়ী শান্তির জন্য গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা নিম্নলিখিত প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপগুলো সুপারিশ করছি :

১. আনান কমিশনের সদস্যদের নিয়ে অবিলম্বে একটি ‘বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা, যার কাজ হবে কমিশনের সুপারিশগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করা।
২. দেশটি থেকে শরণার্থীর প্রবাহ বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ।
৩. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নিয়মিতভাবে পীড়িত এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে আমন্ত্রণ জানানো।
৪. যেসব শরণার্থী এরই মধ্যে দেশ ত্যাগ করেছে, তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।
৫. ফিরে যাওয়া শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতিসংঘের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপন।
৬. বাস্তবায়ন কমিটির কর্তৃত্বে আনান কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান।
৭. রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই ক্রমাগত সহিংসতা বন্ধ করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কর্মপন্থায় সাহসী পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। মিয়ানমার সরকারকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে, সে দেশের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও অর্থায়ন রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল। অপপ্রচার, ঘৃণা ও সহিংসার উসকানি বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পরিচালিত সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও আইন বাতিল করতে হবে এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশ্ববাসী জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সমস্যা সমাধানে তার ভূমিকা পালন করেছে – এটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।

 

আপনাদেরই বিশ্বস্ত,

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬ জয়ী
মেইরিড মাগুইর,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী
বেটি উইলিয়ামস,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী
আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৪ জয়ী
অসকার আরিয়াস সানচেজ,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৭ জয়ী
জোডি উইলিয়ামস,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৭ জয়ী
শিরিন এবাদি,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৩ জয়ী
লেইমাহ বোয়ি,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী
তাওয়াক্কল কারমান,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী
মালালা ইউসুফজাই,
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৪ জয়ী
স্যার রিচার্ড জে রবার্টস,
চিকিৎসাশাস্ত্রে ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী
এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ন,
চিকিৎসাশাস্ত্রে ২০০৯ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী
সাইয়েদ হামিদ আলবার,
মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এমা বোনিনো,
ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন,
ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজসেবী
গ্রো হারলেম ব্রান্ড্টল্যান্ড
নরওয়ের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
মো. ইব্রাহীম,
উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী
কেরি কেনেডি,
মানবাধিকার কর্মী
আলা মুরাবিত,
লিবীয় নারী অধিকার প্রবক্তা, এসডিজি সমর্থক
নারায়ণ মূর্তি,
ব্যবসায়ী নেতা
কাসিত পিরোমিয়া,
থাইল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুরিন পিটসুয়ান,
আসিয়ানের সাবেক মহাসচিব
পল পোলম্যান,
ব্যবসায়ী নেতা, এসডিজি সমর্থক
ম্যারি রবিনসন,
আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট
জেফরে ডি সাচ,
পরিচালক, জাতি সংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন্স নেটওয়ার্ক
ফরেস্ট হুইটেকার,
অভিনেতা, এসডিজি সমর্থক
জোকেন জাইট্জ,
ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজসেবী
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষকেরা কোচিং বাণিজ্য করতে পারবেন না- খুলনায় শিক্ষামন্ত্রী

খুলনা প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষকেরা কোচিং-বাণিজ্য করতে পারবেন না। বাড়িতে শিক্ষার্থী নিয়ে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। কোনো নোট বা গাইড বই চলবে না। এগুলো বন্ধে আইন তৈরি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না।’ অবশ্য এসময় হলভর্তি যেসব শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন তাদের অধিকাংশই এখনও আইন ও নীতিমালার তোয়াক্কা করে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য।

আজ বুধবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষার গুণগত মান ও নৈতিকতার উন্নয়ন এবং জঙ্গিবাদবিরোধী ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল।

শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেন শিক্ষার্থীরা যায় আপনাদের বাড়িতে পড়তে? ক্লাসে ভালো করে পড়ানো হয় না বলেই তো সেখানে যায়। শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয় পড়তে যেতে। এটা করে কেউ রেহাই পাবেন না। কারণ, এতে আমাদের সব শিক্ষকের বাঁচার দলিল “ইজ্জত” নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা পরিবারের মধ্যে এবং আমাদের মাথার মধ্যে যদি পোকা ঢুকে যায়, তাহলে আমরা যাব কোথায়? তাই আমাদের সবার নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা যেন কলুষিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকেরা যদি নৈতিকতা ও আদর্শ শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে দেশের সর্বনাশ। কেবল অর্থ নয়, মানমর্যাদাই হচ্ছে শিক্ষকদের বড় সম্পদ। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে। নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। শ্রেণিকক্ষে তাদের আরও বেশি পাঠদান করতে হবে।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতিমধ্যে দেশে জঙ্গিবাদবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী কানমন্ত্রে আকৃষ্ট হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। তাই আর যাতে দেশে জঙ্গিবাদ না আসতে পারে, এ জন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে ও এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাউশি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক টি এম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে ২০টি মণ্ডপে চলছে প্রস্তুতি

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেবহাটা উপজেলা ও থানা প্রশাসন সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে এগিয়ে চলেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আর মাত্র কিছুদিন পরেই সনাতন ধর্মাবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, এবছর উপজেলার ২০ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে যে ২০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলো সেগুলো হলো কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, কুলিয়া ঘোষপাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ, শ্যামনগর পশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ, বালিয়াডাঙ্গা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, হিজলডাঙ্গা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, শ্যামনগর পূর্বপাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ ও সুবর্নাবাদ দুর্গাপূজা মণ্ডপ, পারুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসখোলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ, উত্তর পারুলিয়া চারা বটতলা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, দক্ষিন পারুলিয়া জেলেপাড়া দুর্গাপূজা ম-প, নোড়ারচক দুর্গাপূজা মণ্ডপ, বড়শান্তা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, উত্তর কোমরপুর দুর্গাপূজা মণ্ডপ, সখিপুর ইউনিয়নের পালপাড়া দুর্গাপূজা ম-প, কোড়াঁ পাকড়াতলা দুর্গাপূজা মণ্ডপ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের গাজীরহাট দুর্গাপূজা মণ্ডপ, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ দুর্গাপূজা মণ্ডপ, দেবহাটা বাজার দুর্গাপূজা মণ্ডপ, টাউনশ্রীপুর দুর্গাপূজা মণ্ডপ ও টাউনশ্রীপুর পালপাড়া দুর্গাপূজা মণ্ডপ। ইতিমধ্যে পূজা উদযাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া তারা বিভিন্ন আয়োজন সম্পন্ন করছে। কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীতে। কোন কোন কারিগরেরা একাধিক স্থানে প্রতিমা তৈরী করছেন। কারিগরেরা জানান, তারা দুর্গা প্রতিমা তৈরীতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে পূজা উদযাপনে আইনশৃ্খংলা শান্তিপূর্ন রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন জানান, এবছর দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আইনশৃ্খংলা বাহিনী সদা তৎপর। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে এবং ৩/৪ টি মন্ডপে জনসমাগম বেশী হওয়ার জন্য সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সকল পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের নিয়ে মতবিনিময় করে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষন করা হবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে ওসি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা যাতে নির্বিঘেœ ও শান্তিতে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া সকল মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সভা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি হরিষখালীর বেড়িবাঁধের ভাঙন অবশেষে আটকানো সম্ভব হল

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর হরিষখালী বেঁড়িবাঁধ ভাঙন আটকানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রায় দু’হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি আটকানোর কাজ করলে এ বাঁধটি আটকানো সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বাধ ভেঙে যায়। এতে প্রথমে হরিশখালি ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম সর্বশেষ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর শুক্রবার তালতলা ও প্রতাপনগর নামে আরো দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত ৪ দিন সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ করে মঙ্গলবার দুপুরে আটকানো সম্ভব হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা কৃষকলীগ আহবায়ক স ম সেলিম রেজা, আ’লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মোল্যা, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুনিল কুমার এসময় উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিশোরী সুন্দরীদের বাবার বিছানায় এনে দিত পোষা বিষকন্যারা!

আধ্যাত্মিক ঋষি, জনহিতৈষী, বহুমুখী গায়ক, চৌকস ক্রীড়াবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গীতিকার, জীবনীকার…।

ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পরিচয় ভারতের স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের। অ্যাকাউন্টে আবার নামের আগে ‘ড.’ উপাধিও উল্লেখ করা।

একদিকে সিনেমার হিরো, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘ইনসান’-এর মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তি – এই সব কিছুর মিশেলেই প্রায় আড়াই দশক ধরে গড়ে উঠেছে গুরমিত রাম রহিম সিং-এর ভক্তকুল।

নিজের দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে হরিয়ানার কারাগারে বন্দি রয়েছেন ভারতের এই আলোচিত ধর্মগুরু।

গুরমিত সিংহ রাম রহিমের ছিল ধর্ষণ চেম্বার। এর নাম ‘বাবা কি গুফা’ (বাবার গুহা)। বিলাসবহুল আসবাব, রঙ-বেরঙের পর্দায় সাজানো সেই প্রাসাদেই তিনি বসবাস করেন।

গুফায় তাকে ঘিরে থাকেন ২০০ জনেরও বেশি বাছাই করা শিষ্য। তাদের চুল খোলা। পরনে সাদা রঙের পোশাক। এমনই দুই শিষ্যকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাবা রাম রহিম।

যত কাণ্ড রাম রহিমের ডেরায়। কীর্তির শেষ নেই ভণ্ড বাবার। নিজের ডেরায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল সে। আর এই সাম্রাজ্যে রাজত্ব করার জন্য রাম রহিম তৈরি করেছিল মহিলা গুণ্ডাবাহিনী।

এক সময় যে সমস্ত মহিলারা গুরমিতের যৌন লালসার শিকার হত তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হত এই বিশেষ দেহরক্ষীদের। যাদের বলা হত বিষকন্যা।

মায়া-মমতা কোনও কিছুই নাকি ছিল না রাম রহিমের এই গুণ্ডাবাহিনীর। রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হত এদের। বোঝানো হত ঈশ্বরের দূত রাম রহিমের ইচ্ছেপূরণের জন্যই এদের জন্ম হয়েছে।

এদের কাজ ছিল, ডেরায় আসা মহিলা ও কিশোরীদের মধ্যে থেকে সুন্দরীদের বেছে নেওয়া। তারপর তাঁদের তুলে এনে ভণ্ড বাবার বিছানায় ফেলে দেওয়া।

যুবতী ও কিশোরীদের আর্ত চিৎকারেও মন গলত না এই মহিলা দেহরক্ষীদের। ভাবলেশহীনভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তারা। মাঝে মধ্যে নাকি গুরুর ইচ্ছেমতো তার শয্যাসঙ্গীও হত। এমনকী, রাম রহিমের জন্য রান্না করা, নোংরা জামাকাপড় কেচে দেওয়ার মতো কাজও করত।

রাম রহিমের গ্রেপ্তারির পর থেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর অনেক প্রাক্তন অনুরাগী। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেও ভুক্তভোগী।

ধর্ষক বাবার এক প্রাক্তন মহিলা দেহরক্ষীর কথায়, প্রত্যেকদিন রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হত। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হত। গুরমিতের গুহার বিষয়ে বাইরে মুখ বন্ধ রাখতে হত। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখত বিষকন্যারাই।

গুরমিতের ডেরার এমন স্থান গুলিতেই সার্চ অপারেশন চালিয়ে ছিলেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গিয়েছি রাশি রাশি কন্ডোম ও আপত্তিকর জিনিসপত্র। অবৈধভাবে চালানো হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানো হত বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত নাকি ভণ্ড বাবা এই কীর্তি চালিয়ে গিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার আসছে ১০০ টাকার কয়েন!

এবার ভারতের বাজারে আসতে চলেছে নতুন একশ টাকার কয়েন।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় সোমবার এই প্রসঙ্গে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

এআইডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ড. এমজি রামাচন্দ্রণ ও কর্নাটকের বিখ্যাত গায়িকা ড. এমএস সুব্বালক্ষ্মীর জন্মবার্ষিকীতে এই নতুন কয়েন বাজারে ছাড়া হবে।

৪৪ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট কয়েনটি তৈরি হয়েছে রূপো (৫০ শতাংশ), তামা (৪০ শতাংশ), নিকেল (৫ শতাংশ) এবং জিঙ্ক (৫ শতাংশ) দিয়ে।

ইতোমধ্যে নতুন এই কয়েন তৈরির নির্দেশও দেয়া হয়েছে। শুধু নতুন একশ টাকার কয়েন নয়, বাজারে আসবে নতুন ৫ এবং ১০ টাকার কয়েন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ভিটামিন সি

ভিটামিন সি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। ভিটামিন সি মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস।

ভিটামিন সি’র আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ ও ডিএনএ-এর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই ভিটামিন প্রায় সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বিজ্ঞানীদের মতে, ভিটামিন সি সরাসরি ক্যান্সারের কোষে আঘাত করে না। বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রেখে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

২) হাড় মজবুত করে- ভিটামিন সি হাড়ের ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মেনোপজ পরবর্তী সময়ে যেসব নারীরা ভিটামিন সি বেশি গ্রহণ করেন তাদের হাড় অন্যদের তুলনায় বেশি মজবুত থাকে।

৩) মানসিক চাপ কমায়- দুর্ভাবনা বা মানসিক চাপের জন্য অনেকের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার মানসিক চাপ বা স্ট্রেস প্রভাবে দেহের ভিটামিন সি-র পরিমাণ কমে যায়। যেমন কমে যায় মদ্যপান, ধূমপান, ইত্যাদির জন্য। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি দেহে থাকা সুস্থ দেহের লক্ষণ।

৪) ওজন হ্রাস করে- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করে শরীর থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি কমানো সম্ভব। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-কারনাইটাইন সমন্বয় করে এবং চর্বি হজম করে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

৫) দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে- ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest