সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমানশ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় সিগারেটের প্যাকেট চুরির অভিযোগে এক শিশুকে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মো. মাজাহারুল ইসলাম (৮)। তার বাবা মো. আজাহারুল ইসলাম পৌর শহরের বাসিন্দা। তিনি শ্রমিকের কাজ করেন।
আজ রোববার দুপুর দুইটার দিকে মদন উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে শান্ত মুন্সির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে মদন এলাকা থেকে শিশু মাজাহারুল উপজেলা পরিষদের সামনে যায়। এ সময় শান্ত মুন্সির দোকান থেকে সিগারেটের একটি প্যাকেট হাতে নেয় শিশুটি। টের পেয়ে দোকানদার শিশুটিকে ধরে দোকানের পাশে একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন শিশুটির বাঁধন খুলে দেন।
দোকানদার শান্ত মুন্সি বলেন, ‘শিশুটি দোকান থেকে সিগারেটের প্যাকেট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে আটক করে কিছু সময়ের জন্য গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারধর করা হয়নি।’
শিশুটির বাবা আজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যবসায়ী শান্ত মুন্সি আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো বেঁধে রেখেছেন। তাঁকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ কার কাছে বিচার চাইব।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমানকে ফোন করা হলেও উপপরিদর্শক মো. মারুফ তাঁর ফোন ধরেন। তিনি প্বলেন, ‘ঘটনাটি প্রথমে আমাদের কেউ জানায়নি। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে শান্ত মুন্সিকে পাওয়া যায়নি। তাঁর সঙ্গে থাকা দোকানদারেরাও মুখ খোলেননি। শিশুটিও বাড়িতে ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

লর্ডসে এক জমজমাট ফাইনাল উপহার দিল মেয়েদের বিশ্বকাপ। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মর্যাদা ভারতের হাত ফসকে বেরিয়ে গেল। রবিবার আনিয়া শ্রাবসোলের অবিশ্বাস্য বোলিং নৈপুণ্যে তাদের ৯ রানে হারিয়ে চতুর্থবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড।

লরেন উইনফিল্ড ও ট্যামি বিউমন্টের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ৪৭ রানে রাজেশ্বরী গায়েকোয়ারের বলে এ জুটি ভাঙতে বাধে বিপদ। পুনম যাদবের জোড়া আঘাতে ১৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সারা টেলর ও নাটালি স্কিভার হাল ধরেন দলের। তাদের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে স্বস্তি ফেরে। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে যখন টেলর আউট হন তখন ভাঙল ৮৩ রানের জুটি। ঝুলন গোস্বামী টানা দ্বিতীয় উইকেট পান ফ্রান্সেস উইলসনকে ফিরিয়ে।

স্কিভার ৫১ রানে প্রতিরোধ গড়েন অনেকক্ষণ। তার সঙ্গে ক্যাথেরিন ব্রান্টের ৩৪ ও জেনি গুনের অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে দলীয় স্কোর দুইশ ছাড়ায়। ৭ উইকেটে ২২৮ রান করে ইংল্যান্ড।

খুব বড় স্কোর নয়। ভারতও লক্ষ্যে ছুটছিল স্বাচ্ছন্দ্যে। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পুনম রাউত ও হারমানপ্রীত কৌরের জুটিতে সহজ জয়ের ইঙ্গিত পেয়েছিল ভারত। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা হারমানপ্রীত আউট হন ৫১ রানে। ভারতকে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলেনি তার উইকেট। কারণ সেঞ্চুরির হাতছানি পাচ্ছিলেন পুনম। কিন্তু ১৪ রানের আক্ষেপ থেকে যায় এ ওপেনারের। দলীয় ১৯১ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হয়ে শ্রাবসোলের দ্বিতীয় শিকার হন পুনম। তার ৮৬ বলের ইনিংস সাজানো ১১৫ বলে, চারটি চার ও ১টি ছয়ের।

পুনম আউট হন দলকে ৩৮ রান দূরে রেখে। তখনও ভারতের হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এ ওপেনারকে ফেরানোর পরই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। শ্রাবসোলের ডানহাতি পেসে বিপর্যস্ত ভারত। দুই ওভারে তার জোড়া আঘাতে ২৩ রানের ব্যবধানে বাকি ৬ উইকেট হারায় দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে আসা দলটি। ৪৮.৪ ওভারে ২১৯ রানে অলআউট হয় ভারত।

৯.৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন শ্রাবসোল। অ্যালেক্স হার্টলি নেন ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট গেছে রানআউটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে আ.লীগদলীয় মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশায় জনসংযোগ করলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ।
শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামি জাতীয় সংসদ নিবাচনে নৌকাকে বিজয়ী করার আহবান জানিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা ও আঞ্চলিক যুদ্ধাপরাধ নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুজ্জামান সোহাগ কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতায় এ গণসংযোগ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় ৮নং কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস কক্ষে জনসাধারণেরর সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
সভায় উপস্থত ছিলেন কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আ. হামিদ সরদার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম লিটনসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ত্রাণ পেয়েও না পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করায় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কান ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

কান ধরে ক্ষমা চাওয়া ওই ব্যক্তি দাউদপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইনাতআলীপুর গ্রামের লুৎফুর রহমান ওরফে লকুস মিয়া। তাঁর কান ধরে মাফ চাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যাকবলিত এলাকাবাসীদের নিয়ে একটি সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে লুৎফুর রহমান ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ করেন। এ কারণে ওয়ার্ড সদস্যসহ স্থানীয় লোকজন সুধী সমাবেশে লুৎফুরকে হাজির করেন। পরে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ত্রাণ নেওয়ার তালিকায় তাঁর নাম আছে। এ নিয়ে সমাবেশে লুৎফুরকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাছিত ওরফে বাবুল তাঁর কান টেনে ধরেন। এ সময় লুৎফুর হাত জোড় করে সবার সামনে ক্ষমা চান।

লুৎফুরের কান ধরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এইচ এম খলিল।

আজ রোববার যোগাযোগ করা হলে খলিল বলেন, ছবিটি আসলে ভুল বার্তা দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। ত্রাণ পেয়েও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ শুনে সমাবেশে উপস্থিত সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তখন এ পরিস্থিতিতে লুৎফুরকে তাঁর আত্মীয়রা সমাবেশে হাজির করেন। তিনি হাত জোড় করে মাফ চাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

কান ধরা প্রসঙ্গে খলিল বলেন, এ কাজ ব্যক্তিগতভাবে করা। যিনি কান টেনে ধরেছিলেন, তিনি লুৎফুরের এলাকার মানুষ। এক কথায় জনরোষ থেকে বাঁচাতে তিনি এ কাজ করেছেন।

লুৎফুরের কান টেনে ধরা আবদুল বাছিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা একই এলাকার। ওই দিন সমাবেশটা ছিল সর্বদলীয়। ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে সমাবেশ অইছে। ত্রাণ পাইয়াও না পাওয়ার কথা মিডিয়াতে কওয়ায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়। লুৎফুর তখন নিজ থেকেই মাফ চান।’

আপনি কান টেনে ধরলেন কেন—এমন প্রশ্নে বাবুল বলেন, ‘আফনারা সত্য ঘটনা খোঁজ নিয়া দেখউকা, আমি তাঁরে বাঁচাইবার লাগি হালকাভাবে কান ধরছি। লুৎফুরের এই নিয়া কোনো অভিযোগ নাই।’

লুৎফুর একজন দিনমজুর। মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ‘ভুল করছিলাম’ বলে ঘটনাটি এড়িয়ে যান। এ নিয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

তবে, ওই দিন সমাবেশে উপস্থিত সাতজন প্রত্যক্ষদর্শী ও তিনজন সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, লুৎফুরকে জোর করে সমাবেশে হাজির করা হয়। টানাহেঁচড়া করে কান ধরাতে বাধ্য করা হয়। এ সময় উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দ্রুত সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।

অবশ্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান দাবি করেন, তিনি এ ঘটনাটি পরে শুনেছেন। ঘটনা ঘটার আগে তিনি সেখান থেকে চলে গেছেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহেদ মোস্তফা বিকেলে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, যেভাবে তাঁকে কান ধরা হয়েছে, মাফ চাওয়ানো হয়েছে, সেটা অন্যায় হয়েছে। আমি সমর্থন করি না। তবে এর পেছনের ঘটনা হচ্ছে, ওই লোক বিগত তিন মাস ত্রাণসহায়তা পাচ্ছেন, এরপরও তিনি বলেছেন ত্রাণ পাইনি। মানুষ ক্ষুব্ধ এ কারণেই।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, যে লোক তাঁর কান ধরেছেন, তিনি তাঁরই এলাকার। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরা নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগও নেই।’ অভিযোগ পেলে প্রশাসন এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানান তিনি।

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কে এম রেজাউল করিম : ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার একজন আদর্শ শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সংস্কারক। তার আদর্শ চেতনাকে আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। তার আদর্শে অনুপ্রেণিত হতে পারলে ভালো মানুষে পরিণত হওয়া সম্ভব। তিনি ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টারের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি প্রতিশুতি প্রদান করেন ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টারের স্মৃতি রক্ষার্থে টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলে একটি অফিস কক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি স্মৃতি পাঠাগার তৈরি করে দেবেন। তার স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শাহজাহান মাষ্টার স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক আনিছুর রহমানের সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা জজকোর্টের পিপি এ্যাড. ওসমান গনি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাসদের সভাপতি কাজী রিয়াজ, সাধারন সম্পাদক সুধাংশু শেখর সরকার, দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইয়াছিন আলী, শাহজান মাস্টারের পুত্র ও বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফারুক মাহবুবুর রহমান, টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম, পারুলিয়া ইউপি সদস্য শহিদুল্লাহ গাজী প্রমুখ। এছাড়া মিলাদ মাহফিল, দোয়া অনুষ্ঠান, মোনাজাত এবং দুপুরে তাবারুক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ নম্বর সেক্টরের প্রতিষ্ঠাতা ও সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টারের শাহজাহানপুর গ্রাম উদ্বোধন, বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান, সরকারিভাবে দিবসটি পালন, কল্যাণ ট্রাস্ট জোরদারকরণ, জেলায় শাহজাহান স্মৃতি স্থম্ভ, স্কুল, হাসপাতাল নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তায়নের জোর দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিতে গিয়ে পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলে’ দুই চোখে আঘাত পাওয়া সিদ্দিকুর রহমানের অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ডান চোখে কোনো আলো দেখছেন না। বাঁ চোখে কখনো আলো দেখার কথা বলছেন। কখনো বলছেন, আলো দেখছেন না।

গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সিদ্দিকুরের দুই চোখে অস্ত্রোপচার করেন। আজ সকালে চিকিৎসক বোর্ড বসে পরে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মনির সিদ্দিকুরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্ক এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইফতেখার মনির বলেন, গতকালের অস্ত্রোপচারের পরও সিদ্দিকুর ডান চোখে কোনো আলো দেখছেন না বলে জানিয়েছেন। বাঁ চোখের বিষয়ে কখনো বলছেন আলো দেখছেন, কখনো বলেছেন দেখছেন না। এটাকে কিছুটা ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর স্নাতক শেষে সরকারি চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিলেন সিদ্দিকুর।

পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলের’ আঘাত লাগে তাঁর দুই চোখে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের একজন সদস্য দৌড়ে এসে খুব কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছেন। তার পরপরই মাটিতে পড়ে যান সিদ্দিকুর। রাস্তার ওই স্থানটি রক্তে লাল হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট তালা উপজেলা শাখা। রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে তালা ডাকবাংলা চত্ত্বরে সমাবেশ আনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে তালা উপ-শহরে একটি মিছিল বের হয়। সমাবেশে সভাপত্বি করেন তালা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টে’র আহবায়ক ও বাকশিস’র জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান।
অধ্যাপক নাজমুল হক এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টে’র যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যক্ষ এনামুল হক, অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু, অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম সেলিম,উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, অধ্যাপক সরদার নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক নিলুফা ইয়াসমিন, অধ্যাপক এস এম মজিবার রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মালেক শেখ ও কর্মচারী ফ্রান্টের তালা শাখার সভাপতি এস এম কায়কোবাদ প্রমুখ।
সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, সরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের সাথে আমাদের বেতন বৈষম্য ছাড়াও সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেও আমাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরন করছেন সরকার। আমাদের বেতন প্রবৃদ্ধি নেই, উৎসব ভাতায় বৈষম্য, বৈশাখী ভাতা নেই, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ভাতা নেই, বাড়িভাড়া এমনকি পূর্ণাঙ্গ পেনসনও নেই। দেশের পাঁচ লাখ শিক্ষক কর্মচারী যারা বিরতিহীনভাবে শিক্ষার কারিগর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা এমন বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন।
এ সময় তারা আরো বলেন এমন সব নানা বৈষম্যের মধ্যেও সরকার ঘোষনা দিয়েছেন যে চলতি জুলাই থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা থেকে শতকরা ১০ টাকা করে কর্তন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অচিরেই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন এতে শিক্ষক কর্মচারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের রুটি রুজির ওপর আঘাত পড়বে। কল্যাণ ভাতা ও অবসরের টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে এখনও দেশের ৭০ হাজার শিক্ষক কর্মচারি তালিকাভূক্ত হয়ে সিরিয়ালে রয়েছেন। দিন দিন এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। এখন এই ভাতা পেতে কমপক্ষে সাড়ে চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এ ছাড়াও অনুপাত প্রথা ব্যাতিরিকে শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভূক্তকরণ, কর্মচারিদের চাকুরিবিধি প্রণয়ন, ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সভাপতি করে বিধিমালা সংশোধন, বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের সরকারি সহকারী শিক্ষকদের ন্যায় স্কেল প্রদান, কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষার বৈষম্য দুরীকরণ, পরিক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও শিক্ষা উপকরণের মূল্য হ্রাস, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : আল ইমরান আদনান ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে গোল্ডেন এ + পেয়েছে । সে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক ও একুশে টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জি এম মনিরুল ইসলাম মিনি ও খুরশিদা ইসলামের ছেলে । সে এর আগে জেএসসি ও এস এস সি তে ও জিপিএ গোল্ডেন এ+ পেয়েছিল। সে বর্তমান বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী ভাটিয়ারি চট্রগ্রামে ৭৮ লং কোর্স কমিশন্ড অফিসার হিসাবে প্রশিক্ষরত । সে ভবিষ্যতে বড় সেনা অফিসার হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে চায়। সে সকলের দোয়া প্রার্থী ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest