সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

আশাশুনি হরিষখালীর বেড়িবাঁধের ভাঙন অবশেষে আটকানো সম্ভব হল

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর হরিষখালী বেঁড়িবাঁধ ভাঙন আটকানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রায় দু’হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি আটকানোর কাজ করলে এ বাঁধটি আটকানো সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বাধ ভেঙে যায়। এতে প্রথমে হরিশখালি ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম সর্বশেষ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর শুক্রবার তালতলা ও প্রতাপনগর নামে আরো দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত ৪ দিন সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ করে মঙ্গলবার দুপুরে আটকানো সম্ভব হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা কৃষকলীগ আহবায়ক স ম সেলিম রেজা, আ’লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মোল্যা, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুনিল কুমার এসময় উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিশোরী সুন্দরীদের বাবার বিছানায় এনে দিত পোষা বিষকন্যারা!

আধ্যাত্মিক ঋষি, জনহিতৈষী, বহুমুখী গায়ক, চৌকস ক্রীড়াবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গীতিকার, জীবনীকার…।

ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পরিচয় ভারতের স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের। অ্যাকাউন্টে আবার নামের আগে ‘ড.’ উপাধিও উল্লেখ করা।

একদিকে সিনেমার হিরো, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘ইনসান’-এর মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তি – এই সব কিছুর মিশেলেই প্রায় আড়াই দশক ধরে গড়ে উঠেছে গুরমিত রাম রহিম সিং-এর ভক্তকুল।

নিজের দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে হরিয়ানার কারাগারে বন্দি রয়েছেন ভারতের এই আলোচিত ধর্মগুরু।

গুরমিত সিংহ রাম রহিমের ছিল ধর্ষণ চেম্বার। এর নাম ‘বাবা কি গুফা’ (বাবার গুহা)। বিলাসবহুল আসবাব, রঙ-বেরঙের পর্দায় সাজানো সেই প্রাসাদেই তিনি বসবাস করেন।

গুফায় তাকে ঘিরে থাকেন ২০০ জনেরও বেশি বাছাই করা শিষ্য। তাদের চুল খোলা। পরনে সাদা রঙের পোশাক। এমনই দুই শিষ্যকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাবা রাম রহিম।

যত কাণ্ড রাম রহিমের ডেরায়। কীর্তির শেষ নেই ভণ্ড বাবার। নিজের ডেরায় অপরাধের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল সে। আর এই সাম্রাজ্যে রাজত্ব করার জন্য রাম রহিম তৈরি করেছিল মহিলা গুণ্ডাবাহিনী।

এক সময় যে সমস্ত মহিলারা গুরমিতের যৌন লালসার শিকার হত তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হত এই বিশেষ দেহরক্ষীদের। যাদের বলা হত বিষকন্যা।

মায়া-মমতা কোনও কিছুই নাকি ছিল না রাম রহিমের এই গুণ্ডাবাহিনীর। রীতিমতো মগজ ধোলাই করা হত এদের। বোঝানো হত ঈশ্বরের দূত রাম রহিমের ইচ্ছেপূরণের জন্যই এদের জন্ম হয়েছে।

এদের কাজ ছিল, ডেরায় আসা মহিলা ও কিশোরীদের মধ্যে থেকে সুন্দরীদের বেছে নেওয়া। তারপর তাঁদের তুলে এনে ভণ্ড বাবার বিছানায় ফেলে দেওয়া।

যুবতী ও কিশোরীদের আর্ত চিৎকারেও মন গলত না এই মহিলা দেহরক্ষীদের। ভাবলেশহীনভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তারা। মাঝে মধ্যে নাকি গুরুর ইচ্ছেমতো তার শয্যাসঙ্গীও হত। এমনকী, রাম রহিমের জন্য রান্না করা, নোংরা জামাকাপড় কেচে দেওয়ার মতো কাজও করত।

রাম রহিমের গ্রেপ্তারির পর থেকেই সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর অনেক প্রাক্তন অনুরাগী। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেও ভুক্তভোগী।

ধর্ষক বাবার এক প্রাক্তন মহিলা দেহরক্ষীর কথায়, প্রত্যেকদিন রাতে রাম রহিমের যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য নতুন নতুন শরীরের প্রয়োজন হত। সেই চাহিদা মেটাত এই বিষকন্যারা। আর বাবার ইচ্ছে পূরণ না করতে পারলে বিষকন্যাদেরই নিজেদের শরীর দিয়ে তার মূল্য চোকাতে হত। গুরমিতের গুহার বিষয়ে বাইরে মুখ বন্ধ রাখতে হত। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখত বিষকন্যারাই।

গুরমিতের ডেরার এমন স্থান গুলিতেই সার্চ অপারেশন চালিয়ে ছিলেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গিয়েছি রাশি রাশি কন্ডোম ও আপত্তিকর জিনিসপত্র। অবৈধভাবে চালানো হাসপাতালে বৈআইনি গর্ভপাত করানো হত বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত নাকি ভণ্ড বাবা এই কীর্তি চালিয়ে গিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার আসছে ১০০ টাকার কয়েন!

এবার ভারতের বাজারে আসতে চলেছে নতুন একশ টাকার কয়েন।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় সোমবার এই প্রসঙ্গে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

এআইডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ড. এমজি রামাচন্দ্রণ ও কর্নাটকের বিখ্যাত গায়িকা ড. এমএস সুব্বালক্ষ্মীর জন্মবার্ষিকীতে এই নতুন কয়েন বাজারে ছাড়া হবে।

৪৪ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট কয়েনটি তৈরি হয়েছে রূপো (৫০ শতাংশ), তামা (৪০ শতাংশ), নিকেল (৫ শতাংশ) এবং জিঙ্ক (৫ শতাংশ) দিয়ে।

ইতোমধ্যে নতুন এই কয়েন তৈরির নির্দেশও দেয়া হয়েছে। শুধু নতুন একশ টাকার কয়েন নয়, বাজারে আসবে নতুন ৫ এবং ১০ টাকার কয়েন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ভিটামিন সি

ভিটামিন সি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। ভিটামিন সি মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস।

ভিটামিন সি’র আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ ও ডিএনএ-এর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই ভিটামিন প্রায় সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বিজ্ঞানীদের মতে, ভিটামিন সি সরাসরি ক্যান্সারের কোষে আঘাত করে না। বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রেখে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

২) হাড় মজবুত করে- ভিটামিন সি হাড়ের ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মেনোপজ পরবর্তী সময়ে যেসব নারীরা ভিটামিন সি বেশি গ্রহণ করেন তাদের হাড় অন্যদের তুলনায় বেশি মজবুত থাকে।

৩) মানসিক চাপ কমায়- দুর্ভাবনা বা মানসিক চাপের জন্য অনেকের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার মানসিক চাপ বা স্ট্রেস প্রভাবে দেহের ভিটামিন সি-র পরিমাণ কমে যায়। যেমন কমে যায় মদ্যপান, ধূমপান, ইত্যাদির জন্য। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি দেহে থাকা সুস্থ দেহের লক্ষণ।

৪) ওজন হ্রাস করে- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করে শরীর থেকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি কমানো সম্ভব। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল-কারনাইটাইন সমন্বয় করে এবং চর্বি হজম করে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

৫) দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে- ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আড়াই মাস বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করবে না ভারত

১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করবে না ভারত। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারতে চালের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় এবং খাদ্য সংকট সৃষ্টি না হয়, সে কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বাসমতি চাল এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকছে।

বন্যায় বোরো এবং আমনের ক্ষতির ফলে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ জন্য আমদানির শুল্কহার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ২ শতাংশ করা হয়েছিলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘুষ গ্রহণকালে ‌দুদকের হাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী আটক

ঘুষ গ্রহণকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) জাকির হোসেনকে আটক করেছে দুদক।

বুধবার সকালে টাঙ্গাইল বার সংলগ্ন ‘মজা হোটেল’ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ‘ক’ অঞ্চলের বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেনকে আটক করা হয়।

টাঙ্গাইল দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সমর কুমার ঝা জানান, ‘‘স্থানীয় স্বপন মিয়ার একটি ব্যাংক চেক হারিয়ে গেলে কে বা কারা ওই চেক পেয়ে ২৬ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে চেকটি উত্তোলণ করতে যায়। চেক হারানোর বিষয়টি স্বপন ব্যাংককে অবহিত করলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলণ পক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর চেকটি পাওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা করা হয়। চেক পাওয়ার বিনিময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ‘ক’ অঞ্চলের পেশকার/বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন চেকপ্রাপ্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।’’

সেই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার সময় টাঙ্গাইল বার সমিতি সংলগ্ন মজা হোটেল থেকে তাকে দুদকের একটি দল আটক করে।

আটককৃত জাকির হোসেনের নামে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনা: বিশ্ব গণমাধ্যমে এক মানবিক রাষ্ট্রনায়কের প্রতিচ্ছবি

বিশ্ব গণমাধ্যমে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন আরো বেশি জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী সব গণমাধ্যমে প্রশংসিত হচ্ছেন। ওইসব গণমাধ্যমে তাকে মানবিক এক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই তার একটি কথাকে উদ্ধৃত করা হচ্ছে: আমার ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে আরো সাত লাখকেও খাওয়াতে পারবো।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়ে শেখ হাসিনা তাদের সাহস এবং আশা ধরে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো একদিন নিশ্চয়ই তাদের নিজদেশে ফিরতে পারবে।

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযান ও সহিংসতায় রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে এরইমধ্যে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ উঠে এসেছে বিশ্ব গণমাধ্যমে।

ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, এই সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতি তাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।

হিন্দুস্থান টাইমসও একই ধরণের শিরোনাম করে লিখেছে, শেখ হাসিনা মিয়ানমারের কাছে নিজ দেশের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। যতক্ষণ সেটা না হচ্ছে ততক্ষণ রোহিঙ্গাদের সাময়িক সহায়তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি।

নিউজ১৮ প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের ওপর ফোকাস করে শিরোনাম করেছে। লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার বর্বরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পায় সেজন্য সেখানে সেফ জোন বা নিরাপদ এলাকা তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।রোহিঙ্গা-শেখ হাসিনা

অন্যদিকে ফার্স্টপোস্ট বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের বলেছেন, তার দেশ এমন অবিচার সহ্য করবে না।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের প্রতি বর্বর আচরণের কারণে ভর্ৎসনা করেছেন এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

পাকিস্তান টুডেও একই ধরণের সংবাদ প্রকাশ করেছে।রোহিঙ্গা-শেখ হাসিনা

পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ হয়েছে শেখ হাসিনার খবর।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি উখিয়ায় অবস্থানকালে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের এক মিনিট ১৫ সেকেন্ড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালাতে দেয়া মিয়ানমার সরকারের ঠিক হয়নি।

সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, কেউ অমানবিক হলেও আমরা অমানবিক হতে পারি না। আমরা আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোকে আবার বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারি না, কারণ আমরা মানবিক।

 

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের বিষয়টি দিয়ে শিরোনাম করে সংবাদ করেছে। লিখেছে, রাখাইনে সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট অন্যান্য বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মতোই বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের সহায়তা করার আশ্বাসের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তবে শিরোনাম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে হলেও সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনের মূল কথা একই: এক মানবিক রাষ্ট্রনায়কের প্রতিচ্ছবি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর বহুদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।

৬৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। তারপরই হামলার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের দায়ী করে জবাব হিসেবে সেনাবাহিনী পুরো অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫শ মানুষ মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। নৌপথে পালিয়ে আসার পথে নৌকাডুবিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন না করার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ড শুরু করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সেবাগ্রহিতা ও অংশীজনের মুক্ত সংলাপ

এম বেলাল হোসাইন : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সেবাগ্রহিতা ও বিভিন্ন অংশীজনের মুক্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সদর হাসপাতালের সভাপক্ষে অনুষ্ঠিত মুক্ত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান। সনাক’র পক্ষ থেকে স্বাগত ও সভার উদ্দেশ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল। সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) সাতক্ষীরা’র আয়োজনে “চাই স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছাতা ও জবাব দিহিতা” শ্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবি সাতক্ষীরা’র এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মোঃ আব্দুল আহাদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান,প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাংবাদিক আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ, সনাক সভাপতি কিশোরীমোহন সরকার, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, চারুকলা এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ জলিল, উন্নয়নকর্মী মাধব দত্ত, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন,সুন্দরবন ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির মহিবুল্লাহ, হাসানুজ্জামান ও কয়েকজন ভুক্তভোগী সেবাগ্রহণকারী।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সাতক্ষীরাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চিত করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজ সাতক্ষীরাবাসী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসরা আজ তাদের ক্লিনিকের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসক রোগী দেখার পর তাকে কিছু রিপোর্ট পরীক্ষা করা দরকার। কিন্তু ওই পরীক্ষাগুলো করার জন্য তার ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যদি ওই রোগী অন্যস্থান পরীক্ষা করেন তাহলে তার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সাথে সাথে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে ঔষুধের সরবরাহ নেই বলে ঔষধ কেনার জন্য আদায় করা হয় টাকা। মাঝে মাঝে রিসিভ ছাড়াও টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও বর্হিবিভাগে রোগীদের জন্য কোন শৃঙ্খলা নেই। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের উপর প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই লাইনে না দাড়িয়ে সেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালে দামি দামি মেশিন ও যন্ত্রপাতি থাকার পরও অনেক চিকিৎসক লাভের আশায় রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ফরওয়ার্ড করে থাকেন। যা খুবই দু:খ জনক ঘটনা।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন ডা. তহিদুর রহমান বলেন, সদর হাসপাতালের প্রধান সমস্যা হলো জনবল সংকট। সদর হাসপাতাল ৫০ বেড থাকা অবস্থায় যে জনবল ছিলো সেই জনবল নিয়ে ১০০ বেডের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আবার সে তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যেকারণে সকলরে সেবা দেওয়া অনেকটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে দামি দামি মেশিন রয়েছে ঠিক। কিন্তু ওই মেশিন চালানোর জন্য দরকার ৪৪০ ভোল্টেজ। কিন্তু আমাদের রয়েছে ২২০ ভোল্টেজ। যে কারণে মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার করার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকের বিষয়ে তিনি বলেন এটি চিকিৎসরা কোনভাবেই করতে পারে না। এটি স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ। তারা সুবিধা পাওয়ার জন্য এটা করে থাকে। তিনি আরো বলেন, আমি নতুন এসেছি। যে কারণে সব বুঝে উঠতে পারিনি। তবে আশা করছি শীঘ্রই হাসপাতালের সকল অসঙ্গগতি গুলো বন্ধ করতে না পারলেও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest