সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

ফলের খোসাতেও আছে উপকারী উপাদান

ফলের মধ্যে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টেস থাকে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজে লাগে। জেনে হয়তো চমকে যাবেন যে, ফলের খোসাতেও লুকিয়ে আছে বিভিন্ন উপাদান যা শরীর ও সৌন্দর্যের উন্নতি ঘটায়।
এবার জেনে নিন, সেরকম কয়েকটি ফল- যার খোসা ফেলে দেবার আগে ভেবে দেখা যেতে পারে।

কমলালেবুর খোসা:
কমলা লেবু দেখতে যেমন চমৎকার এর পুষ্টিগুণও তেমন। এই ফলটি সবাই খেতেও পছন্দ করেন। ওজন কমানোর জন্য এটি খুব কার্যকারী। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ব্লিচ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ওরাল হেল্থ‚ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা‚ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বল দূর করতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।

কলার খোসা:
কলা আমরা সবাই খেয়ে থাকি। জানেন কি কলার খোসার ভেতরের সাদা অংশ দাঁতে ঘষলে তা আরো সাদা আর ঝকঝকে হয়ে যায়? এ ছাড়াও কলার খোসা পোড়া চামড়ার ওপর রাখলে ব্যথা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে এক সপ্তাহ কলার খোসা ঘষুন ঠিক হয়ে যাবে।

বেদানার খোসা:
বেদানার খোসা মিহি করে বেটে মেছতা‚ ব্রণ ও যেকোনো ফুসকুড়ির ওপর লাগিয়ে রাখুন সেরে যাবে। এ ছাড়াও হার্টকে ভালো রাখে। ঠান্ডা লেগে গলা খুস খুস ঠিক করে। হাড়ের মজবুতি বাড়ায় এবং দাঁত ভালো রাখে।
তরমুজের খোসা : তরমুজের খোসার সাদা অংশ খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ত্বকের ওপরের নোংরা খুব সহজেই তুলে ফেলতে পারে। এর আরো একটা উপকার হলো ত্বকের Free Radical কে নিউট্রিলাইজ করে দেয় ফলে ত্বক ভালো থাকে।

শসার খোসা:
আমরা অনেকেই জানি না শসার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে ওজন কমানো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শসার খোসায় বিটাক্যারোটিন‚ এক ধরনের ভিটামিন A ও ভিটামিন K আছে যা হাড় শক্ত করে‚ রক্ত জমতে দেয় না এবং চোখের দৃষ্টির উন্নতি ঘটায়।

আপেলের খোসা:
আপেলের খোসায় Flavonoids আছে যা ক্যান্সার সেল কে নষ্ট করে দেয় এবং ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। এ ছাড়াও আপেলের খোসায় উর্সোলিক অ্যাসিড আছে যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেসব খাবার ওজন বাড়ায় না

ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তুায় নিশ্চিন্তমনে খাওয়া দাওয়া করাটাই মুশকিল। কারণ ওজন বেড়ে গেলে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়।
ওজন ঠিক রাখতে অনেকেই তাই খাবার গ্রহণে নানা নিয়ম মেনে চলেন। তবে কিছু খাবার আছে যা ওজন বাড়ায় না। ক্যালরি কম থাকায় এসব খাবার যত ইচ্ছে তত খাওয়া যায়।

এসব খাবারের তালিকায় শুরুতেই আছে শসা। এটা উল্টো ওজন কমাতেও সাহায্য করে। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে নিশ্চিন্ত মনে বেগুন খান। কমলাতে ক্যালরির পরিমাণ কম। তাই কমলা খেতে পারেন। এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও ভিটামিন-সি আছে। তরমুজ খেলেও ওজন বাড়ে না।

মাখন বা চিনি ছাড়া ভাজা হলে খই ও পপকর্ন খেলেও ওজন বাড়ে না। নাশতায় যত ইচ্ছে আপেল রাখুন। কারণ তরমুজের মতো এ ফলটিতেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। ওজন ঠিক রাখতে লেটুসপাতার সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম।

ওজন বাড়ায় না এমন খাবারের তালিকায় আরও আছে বাদাম, ডিম, কলা, লেবু, ফুলকপি, পালং শাক, টমেটো ইত্যাদি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব

সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক স্পিকার হালিমা ইয়াকুব। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত হালিমা ইয়াকুব দেশটির নবম স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতাসীন পিপল’স অ্যাকশন পার্টির নেতা দেশের অস্টম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন।

নির্বাচনে হালিমা ইয়াকুবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোহাম্মদ সালেহ মারিকান ও মো. ফরিদ খান। কিন্তু নির্বাচনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় সোমবারে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া হয়।

এর আগে ৬৩ বছর বয়সী হালিমা ইয়াকুব ৪৭ বছরের বেশি সময় ধরে মালয় প্রদেশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে দেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন। সূত্র : রয়টার্স, চ্যানেল নিউজ এশিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেগুনের নানা গুণাগুণ

বেগুনের নাকি কোনো গুণ নেই! বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণার আমূল বদলে দিয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বেগুনের ওজন কমানোর গুণের কথা বলা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, এই সবজি প্রায়ই আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকে। তবে যখন স্বাস্থ্য রক্ষা বা ওজন কমানোর বিষয় দেখা হয় তখন বেগুনকে ধরা হয় না। অথচ ১০০ গ্রাম বেগুনে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে। খাদ্যআঁশে ঠাঁসা একটা সবজি এই বেগুন। তাই অনেকগুলো বেগুন খেয়ে ফেললেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে!

এছাড়াও বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন বি সিক্স, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন এবং থায়ামিন। এগুলো আমাদের দেহের ‘মেটাবোলিজম’ সক্রিয় রাখে। ফলে খাবার ভালো হজম হয় এবং শরীরে মেদ জমে না।

অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে আরও অনেক কারণেই বেগুন নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে —

হৃদপিণ্ডের রক্ষক : বেগুনে ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্থোসায়ানিনস থাকে যার কারণে বেগুনের রংটা এত চমৎকার দেখায়। তবে এটি আমাদের হৃদয়ের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করে। বেগুনে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেগুনে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টরেল দমিয়ে রাখে।

ক্যান্সার নিরাময় : অ্যান্থোসায়ানিনস এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ক্যান্সার নিরাময়ে কার্যকর।

ডায়বেটিস প্রতিরোধ : বেগুনে উচ্চ মাত্রায় আঁশ এবং কম পরিমাণে দ্রবণীয় শর্করা থাকে ফলে ডায়বেটিস প্রতিরোধের কাজেও বেগুন ভূমিকা রাখতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : বেগুণ একটা ক্ষারধর্মী খাবার। এটি পরিপাক তন্ত্রের অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সচল থাকে।

বেগুন রান্নার সঠিক পদ্ধতি : পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধু বেগুন খেলেই হবে না, এই সবজি সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করতেও জানতে হবে—

খোসা বেগুনের মতোই গুণী : বেগুন খোসায় আঁশ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এতে থাকা ফিনোলস মুক্ত আয়নের আবর্জনা খুঁটে খায়, যারা অগণিত রোগের কারণ।

ভাজলে গুণাগুণ নষ্ট হয় : বেগুণ ভাজলে তা সমস্ত তেল শুষে নেয়, এতে খাবারে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়, বেগুন খেতে হলে আলু বেগুনের চচ্চড়ি বা অল্প তেলে বেগুন ভাজার কোনো তুলনা হয় না। বেগুনের ভর্তাও একই রকমের উপকারী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আরো বেশি যন্ত্রণা’ দেবার হুমকি উত্তর কোরিয়ার

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারির পরদিনই কঠোর ভাষায় তার জবাব এলো উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে।

হুমকি পাল্টা হুমকির মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রকে ভীষণ রকমের ‘যন্ত্রণা’ দেবার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে সবশেষ যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া এমন ভাষাতেই এসেছে পিয়ং ইয়ং-এর পক্ষ থেকে।

জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান টায়ে সং জেনেভায় এক বৈঠকে বলেন, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হবে। যা সম্পর্কে দেশটির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আসলে যা ঘটতে যাচ্ছে তার তুলনায় এই অবরোধ কিছুই নয়। তিনি মনে করেন যে, নিরাপত্তা পরিষদে কোন ইস্যুতে সবার সম্মতি পাওয়াটা অনেক বড় ব্যপার।

তবে, সবশেষ অবরোধ উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে পুরো বিশ্বের একরকম ধৈর্য্যেরই বহি:প্রকাশ বলে জেনেভায় একটি নিরস্ত্রীকরণ বৈঠকে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড।

মি. উড বলেছেন যে, ‘গতকালের সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে খুবই পরিষ্কার একটি বার্তাই দেয়, আর তা হলো তাদের উস্কানিমূলক আচরণে পুরো বিশ্বই ক্লান্ত। আর বিশ্ব এখন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। এই অবরোধ দেশটিকে তাদের পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী বন্ধে সহায়তা করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

সর্বশেষ অবরোধে উত্তর কোরিয়ায় কিছু মাত্রায় অপরিশোধিত তেল, কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এসেছে দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস তৈরি পোশাকে এবং অন্যান্য দেশে কাজ করতে যাওয়া কর্মীদের ওপরও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়ানদের বেশি করে ক্যাঙ্গারুর মাংস খাওয়ার অনুরোধ

অস্ট্রেলিয়ার জমির মালিক ও পরিবেশবিদরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, সেখানকার বন্য ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা অস্থিতিশীল পর্যায়ে চলে গেছে।

আর এ কারণে অস্ট্রেলিয়ানদের বেশি করে ক্যাঙ্গারুর মাংস খাবার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালে ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লক্ষ, যা দেশটির মানুষের সংখ্যার দ্বিগুণ।

২০১০ সালে ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭০ লক্ষ, যা ছয় বছরে অনেক বেড়েছে।

আর বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে খাদ্য উৎপাদনও হয়েছে প্রচুর এবং এ কারণে উল্লেখযোগ্য হারে ক্যাঙ্গারুর বংশবৃ্দ্ধি হয়েছে।

তবে শুষ্ক মৌসুমে খরা পরিস্থিতি তৈরি হলে লক্ষ লক্ষ ক্যাঙ্গারু মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

অস্ট্রেলিয়ায় পশু শিকার নিয়ে কঠোর আইন রয়েছে। পশু শিকারের বিধিনিষেধ নিয়ে প্রত্যেকটি রাজ্যে নিজস্ব আইন ও কোটা রয়েছে। ব্যবসার জন্য লাইসেন্সতো রয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাবে পশু শিকার ও বিক্রির বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে যেন স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশুর মাংস ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও বাড়ছে না কারণ সেখানে এর চাহিদা তেমন নেই এবং এজন্য এর বাণিজ্যিক মূল্যও কম।

প্রতি বছর মাংস সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। কারণ বিরোধীদের অনেকের মতে, ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা কমলে যে পরিবেশের উন্নতি হবেএমন কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই।

জবাই করা ক্যাঙ্গারুর চামড়া বিক্রি হলেও এবং এগুলো রপ্তানি করা হলেও, মাংস বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। কারণ এই পশুর মাংসের চাহিদা অনেক কম।

আর এর অন্যতম কারণ হলো, ক্যাঙ্গারু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু, আর জাতীয় পশুর মাংস খাওয়াটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে যারা ক্যাঙ্গারুর মাংস খেতে নাগরিকদের উৎসাহিত করছেন তারা বলছেন, অন্য সব প্রাণীর তুলনায় ক্যাঙ্গারুর কম পরিমাণে মিথেন উৎপন্ন করে এবং তাই এই মাংসে ‘ফ্যাট’ কম। তাছাড়া এটি পরিবেশবান্ধব প্রাণী।

ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেডের অধ্যাপক ড্যাভিড প্যাটন এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ক্যাঙ্গারু জবাই করা ও এর মাংস খাওয়ার বিষয়টির প্রতি মানুষের সমর্থন প্রয়োজন। দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং এই প্রাণীটি ‘পচে যাওয়া’ রোধ করতে এটি প্রয়োজন”।

“ক্যাঙ্গারু যে এত বেড়ে গেছে এটা তাদের কারণে নয়, আমরা আসলে ক্যাঙ্গারুর ওপর ছুরি চালানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলাম। তাদের বধ করবো, খাবো এটা আমরা ভাবতে পারতাম না। আর এ কারণে প্রাণীটি অন্যভাবে ধ্বংস হয়ে যাবার মুখে পড়েছে”।

“আমরা যদি ক্যাঙ্গারু জবাই করে এর মাংসের ব্যবসা করি তাহলে সেটা মানবিকই হবে, তবে আমাদের এও ভাবতে হবে ক্যাঙ্গারুর মাংস ও চামড়াসহ অন্যান্য অংশগুলো কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে”-বলেন এই অধ্যাপক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানি ত্রয়ীতে পিএসজির বড় জয়

চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত সূচনা করেছে নেইমার, এডিনসন কাভানি আর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে আক্রমণভাগ গড়া পিএসজি। মঙ্গলবার রাতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেল্টিককে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে উনাই এমরির শিষ্যরা।

দলের হয়ে জোড়া গোল করেন এডিনসন কাভানি, একটি করেছেন গোল করেছেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। বাকি গোলটি আসে আত্মঘাতী থেকে।

সেল্টিকের ঘরের মাঠ সেল্টিক পার্কে এদিন শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে পিএসজি। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ১৯ মিনিটেই নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বিরতির আগে আরও দুই গোল করেন মোনাকে থেকে ধারে আসা তরুণ এমবাপ্পে ও উরুগুইয়ান তারকা এডিনসন কাভানি।

এর মধ্যে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে নেইমার বাড়ানো বল থেকে কাভানির নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে জালে বল জড়ান এমবাপ্পে। তবে ছয় মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দেন কাভানি।

বিরতির পর পিএসজির নামের পাশে আরও দুই গোল যোগ হয়। এর মধ্যে একটি ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মিকায়েল লুস্তিগের আত্মঘাতী গোল। এর দুই মিনিট পর লেইভিন কুরজাওয়ার ক্রসে ডাইভ দিয়ে দারুণ হেডে দলের শেষ গোলটি করেন কাভানি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির জোড়া গোলে বার্সার ‘প্রতিশোধ’

কোয়ার্টার-ফাইনালে জুভেন্তাসের কাছে হেরে গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। বুফোঁর বিরুদ্ধে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মেসি দাপট।

সেই দুঃস্বপ্নের ম্যাচ এখনও ভুলতে পারেননি বার্সা সমর্থকরা। পাওলো ডায়বালার জোড়া গোল বার্সেলোনার যাবতীয় ঔদ্ধত্য ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ন্যু ক্যাম্পে গিয়ানলুইগি বুফোঁকে হার মানাতে পারেননি লিওনেল মেসিরা।

মঙ্গলবার প্রতিশোধ নেওয়া নেওয়ার ম্যাচে জুভেন্টাসকে উড়িয়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় দারুণ সূচনা করল বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জুভেন্টাসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা।

জুভেন্টাসের রক্ষণকে অবশ্য খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি প্রথমার্ধে। ৪৫ মিনিটে মেসি-মুহূর্তের আগ পর্যন্ত। মাঝমাঠের একটু পরে ডেমবেলের কাছ থেকে বল পেলেন মেসি। সেটা নিজে অনেকটা টেনে নিয়ে ডি-বক্সের সামনে এসে সুয়ারেজের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু’ করে ঢুকে পরলেন বক্সে। বাঁ দিক থেকে তার ডানদিকের পোস্টঘেষা গড়ানো শট আটকানো সম্ভব ছিল না বুফনের পক্ষে। শুধু এমন এক মুহূর্তের কারণেই প্রথমার্ধটা জুভেন্টাস নয়, এগিয়ে থেকে শেষ করল বার্সেলোনা।

অথচ ম্যাচের শুরু থেকেই সুযোগ সৃষ্টি করেছে বেশি ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। বলের দখলে বার্সা এগিয়ে থাকলেও বারবার শটের সামনে পড়তে।

হয়েছে টের-স্টেগানকেই। ১৯ মিনিটে গিয়ে প্রথম শট নিতে দেখা গেছে সুয়ারেজকে। এর আগেই তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েছে জুভেন্টাস। বাকী সময়টা দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেও কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরতে পারত জুভেন্টাস। ৪৭ মিনিটে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন পাওলো দিবালা। ৫২ মিনিটে মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসায় কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি পায় জুভেন্টাস।

এর মাঝে ৫৪ মিনিটে ঘটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ঘটনা। পিয়ানিচ মেসিকে ফাউল করলে বাঁশি বাজান রেফারি। মেসি এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে হলুদ কার্ডের দাবি জানিয়ে রেফারির ঘাড়ে হাত দেন। এতে হলুদ কার্ড জোটে মেসির। মিনিট খানেক পরেই নিজের ক্ষোভ অন্যভাবে প্রকাশ করলেন মেসি। ডান প্রান্ত দিয়ে একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে পাস দেন মেসি। সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রাকিটিচের পায়ে বল তুলে দেন বদলি নামা ডিফেন্ডার স্তুরারো। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। ব্যবধানটা ৩-০ হলো ৬৯ মিনিটে। এরপর অবশ্য জুভেন্টাস বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest