সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

আশাশুনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্টু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জেলার নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে চলতি কমিটির মেয়াদ পর্যন্ত আবু হেনা বিল্টুকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সোমবার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তথ্য জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেজা চাল বাংলাদেশের মানুষ খেতে চায় না’

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেজা চাল বাংলাদেশের মানুষ খেতে চায় না।’

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। দূতাবাস ঘেরাওয়ে পুলিশ বাধা দিলে গুলশান-২ এর গোলচত্বরে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পরে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার দূতাবাসে গিয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির জন্য চুক্তি করে সরকার। রোহিঙ্গা নির্যাতন ও এ কারণে বাংলাদেশ অভিমুখে তাদের ঢল নামার মধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী দেশটিতে গিয়ে এই চাল কেনার চুক্তি করেন। এর তীব্র বিরোধীতা করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘জনগণ এই চাল আমদানিতে বাধা দেবে। আমরা চাই, এর আগে সরকারই চাল আমদানি বন্ধ করুক।’ মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির চুক্তি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তিনি।

ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘আপনাদের টাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ কিনে মিয়ানমার সরকার সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে। তাই আমি আহ্বান জানাই, সারা দেশে মিয়ানমারের সব পণ্য বর্জন করুন। মিয়ানমারকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে তাদের গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে মিয়ানমারকে প্রত্যাখ্যান, প্রতিহত ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা জানেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাওয়ের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।’

ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা বলব, একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্মায় মুসলিম বিরোধী এক উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুর কথা

মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হিংসাত্মক বক্তব্য তুলে ধরার জন্য অনেকের কাছেই পরিচিত উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু ।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে বৌদ্ধদের মনে ভীতি ছড়ানোর জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

এমনকি জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি-কে ‘বেশ্যা’ বলে গালমন্দ করেছেন এ বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু।

১৫ বছর আগেও এ বৌদ্ধ ভিক্ষু কারো কাছে পরিচিত ছিলেন না। ১৯৬৮ সালে জন্ম নেয়া আশ্বিন উইরাথু ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে ভিক্ষু হতে গিয়েছিলেন।

২০০১ সালে তিনি মুসলিম-বিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী একটি গ্রুপ গঠন করেন, যার নাম ছিল ৯৬৯ গ্রুপ। এ সংগঠনটিকে উগ্রপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

যদিও উগ্রপন্থার বিষয়টি মি: উইরাথুর সমর্থকরা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

২০০৩ সালে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে অন্যান্য রাজবন্দীর সাথে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।

সরকার নিয়ম শিথিল করার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেন।

তিনি ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাঁর নানা ধরনের বক্তব্য ছড়াতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর ৩৭ হাজারের বেশি ফলোয়ার ছিল ।

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে মুসলমান এবং বৌদ্ধদের মধ্যে যখন তীব্র সংঘাত শুরু হয়। সে সময় আশ্বিন উইরাথু তাঁর জ্বালাময়ী বক্তব্য নিয়ে জনসমক্ষে আসেন।

তাঁর একটি পরিচিত উক্তি ছিল, ” তুমি যাই করো, সেটা একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে করবে।”

তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি ‘বার্মার বিন লাদেন’ কি না? জবাবে মি: উইরাথু বলেছিলেন, এ বিষয়টি তিনি অস্বীকার করবেন না। বিভিন্ন জায়গায় তিনি বলেছেন, তিনি শান্তির জন্য কাজ করছেন।

২০১৩ সালের ১ জুলাই টাইম ম্যাগাজিন আশ্বিন উইরাথুকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছিল। সেটির শিরোনাম ছিল, “একজন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ”।

তাঁর বক্তব্য হিংসা ছড়িয়েছিল এবং সেগুলোর মূল টার্গেট ছিল রোহিঙ্গা মুসলমানরা।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের তৃতীয় কোন দেশে স্থানান্তরিত করার দাবী নিয়ে তিনি সমাবেশও করেছেন।

মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বেশি – এমন বক্তব্য প্রচার করেছেন আশ্বিন উইরাথু। তিনি অভিযোগ করেন, বৌদ্ধ নারীদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।

অনেকে মনে করেন, আশ্বিন উইরাথুর বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে টার্গেট করা হবে।

তাছাড়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেবার বিরুদ্ধে তিনি যেসব কথা বলতেন, সেগুলো ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল।

এমনকি মিয়ানমারের অন্য অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু তাঁর বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না।

যদিও ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।

আশ্বিন উইরাথু খুব দ্রুত বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন বার্মার বৌদ্ধদের প্রতীক হিসেবে।

তবে তিনি বাস্তবে বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না সেটি নিয়ে বেশ সংশয় আছে।

প্রায় অর্ধ শতাব্দী সামরিক শাসনের পরে মিয়ানমারে এখন নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

অনেকে মনে করেন, উগ্রপন্থী ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু রোহিঙ্গা বিরোধী যে মনোভাব দেখিয়েছেন সেটি মিয়ানমারের ভেতরে অনেকেরই মনের কথা।

সরকারের ভেতরে অনেকেই কূটনৈতিক কারণে রোহিঙ্গা বিরোধী কথা সেভাবে বলতে পারেন না।

ফলে মি: উইরাথু রোহিঙ্গা বিরোধী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাঁর পেছনে সরকারের সমর্থন রয়েছে।

মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, আশ্বিন উইরাথুর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেলে তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না।

( বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুকে নিয়ে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারী বিবিসি নিউজ অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ লেখাটি অনুবাদ করা হয়েছে।)

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যেভাবে পদ্ধতিগত-ভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, সেটি ‘জাতিগত-ভাবে নির্মূল’ করার শামিল।

মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে যেভাবে সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে , সেটি মনে হচ্ছে পাঠ্য বইয়ের জন্য ‘জাতিগত নিধনের’ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

অবিলম্বে মিয়ানমার সরকারকে সামরিক অভিযান বন্ধের আহবান জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের তদন্তকারীদের রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে না দেয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নির্ণয় করা যাচ্ছে না।

গত মাসে মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমারের সরকার বলছে সন্ত্রাসীদের হামলার জবাবে এ সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে মিয়ানমারের সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান চালাচ্ছে।

তখন কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের প্রধান কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠতরাজ চালাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন দেয়া স্বচক্ষে দেখলেন বিবিসির সাংবাদিক

গত দু সপ্তাহে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন, তারা এসেছে তিনটি জেলা থেকে: মংডু, বুথিডং, এবং রাথেডং।

এ তিনটিই হচ্ছে মিয়ানমারের শেষ তিনটি এলাকা যেখানে বড় সংখ্যায় ‘মুক্ত পরিবেশে’ রোহিঙ্গা বসতি আছে। এ ছাড়া বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গারা আছে শুধু মাত্র বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শিবিরে।

এসব জেলায় যাওয়া খুব কঠিন, রাস্তা খারাপ – তা ছাড়া সেখানে যেতে সরকারি অনুমতিপত্র লাগে। আর সাংবাদিকরা এ পারমিট খুব কমই পায়।

বিবিসির জোনাথন হেড এক রিপোর্টে লিখছেন, সম্প্রতি তারা ১৮ জন দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের এক দলের অংশ হিসেবে মংডু জেলায় যাবার এক বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সফরের একটা সমস্যা হলো, আপনি শুধু সেসব জায়গাই দেখতে পারবেন যেগুলোতে কর্তৃপক্ষ তাদের যেতে দেবে।

কিন্তু কখনো কখনো এমন হয় যে এসব বিধিনিষেধের মধ্যেও আপনি অনেক কিছু বুঝে নিতে পারবেন।

তা ছাড়া সরকারের কিছু যুক্তি আছে যা শোনা দরকার। মিয়ানমার সরকার এখন একটা বিদ্রোহ পরিস্থিতি মুখোমুখি, তবে অনেকে বলতে পারেন যে তারা নিজেরাই এ সমস্যা তৈরি করেছে। রাখাইন প্রদেশের এই জাতিগত সংঘাতের এক বিরাট ইতিহাস আছে, এবং যে কোন সরকারের পক্ষেই এটা মোকাবিলা করা কঠিন।

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়েতে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের বলে দেয়া হলো, কেউ গ্রুপ ছেড়ে গিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। সন্ধ্যে ৬টা থেকে কারফিউ, তাই এর পর ঘুরে বেড়ানো যাবে না। সাংবাদিকরা যেখানে যেতে চান তারা সাংবাদিকরা যেখানে যেতে চান সেসব অনুরোধ নিরাপত্তার কারণে প্রত্যাখ্যান করা হলো। হয়তো তারা সত্যি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।

সিটওয়ে থেকে বুথিডং যেতে লাগে ৬ ঘন্টা। সেখান থেকে এক ঘন্টা পাহাড়ি পথ ধরে গেলে পেীঁছবেন মংডু।

যারার পথে পড়লো মাইও থু গি গ্রাম। সেখানে প্রথমবারের মতো পুড়িয়ে দেয়া গ্রাম দেখতে পেলাম। এমনকি তালগাছগুলোও পুড়ে গেছে।

মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য হলো, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকে তাদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ধবংসযজ্ঞ চলার বর্ণনা দিচ্ছে, সেই নেতিবাচক প্রচারের একটা জবাব দেয়া।

কিন্তু এসব প্রয়াস ভালোভাবে কাজ করছে না।

বিবিসির জোনাথন হেড বলছেন, “আমাদের প্রথম নেয়া হলো মংডুর একটি ছোট স্কুলে, এখানে আশ্রয় নিয়েছে ঘরবাড়ি হারানো হিন্দু পরিবার। সবাই বলছে একই গল্প – তাদের ওপর মুসলিমদের আক্রমণ, এবং তার পর ভয়ে পালানোর কাহিনি”।

“কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, যে হিন্দুরা বাংলাদেশে পালিয়েছে তারা সবাই বলছে, তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে রাখাইন বৌদ্ধরা, কারণ তারা দেখতে রোহিঙ্গাদেরই মতো।”

“এই স্কুলে আমাদের সাথে ছিল সশস্ত্র পুলিশ ও কর্মকর্তারা । তারা কি মুক্তভাবে কথা বলতে পারছিল?”

“একজন লোক বলতে শুরু করলো কিভাবে সেনাবাহিনী তাদের গ্রামের ওপর গুলি করলো। কিন্তু খুব দ্রুত একজন প্রতিবেশী তার কথা সংশোধন করে দিল।”

“কমলা রঙের ব্লাউজ এবং ধূসর-বেগুনি লুঙ্গি পরা এক মহিলা উত্তেজিতভাবে মুসলিমদের আক্রমণের কথা বলতে লাগলো।”

“এর পর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানে একজন ভিক্ষু বর্ণনা করলেন, কিভাবে মুসলিমরা তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। অগ্নিসংযোগের ছবিও আমাদের দেখানো হলো। ছবিগুলো অদ্ভূত।”

“হাজিদের সাদা টুপি পরা কিছু লোক একটি ঘরের পাতার তৈরি চালায় আগুন দিচ্ছে। মহিলাদের দেখা যাচ্ছে – তারা নাটকীয় ভঙ্গিতে তলোয়ার এবং দা ঘোরাচ্ছে, তাদের মাথায় টেবিলক্লথের মতো লেসের কাজ করা কাপড়।”

“এর পর আমি দেখলাম, এই মহিলাদের একজন হচ্ছে স্কুলের সেই হিন্দু মহিলাটি – যে উত্তেজিতভাবে নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিল। আর এই ঘর পোড়ানো পুরুষদের মধ্যে একজনকে আমি সেই বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের মধ্যে দেখেছি।”

“তার মানে, তারা এমনভাবে কিছু ভুয়া ছবি তুলেছে, যাতে মনে হয় মুসলিমরা ঘনবাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে।”

বিবিসির জনাথন হেড বলছেন, তাদের আরো কথা হয় কর্ণেল ফোনে টিন্ট-এর সাথে। তিনি হচ্ছেন স্থানীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী্ ।

তিনি বর্ণনা করলেন, কিভাবে বাঙালি সন্ত্রাসীরা (আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির জঙ্গীদের তারা এভাবেই বর্ণনা করে) রোহিঙ্গা গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, এবং গ্রামের লোকদের চাপ দিয়েছে যেন প্রতি বাড়ি থেকে যোদ্ধা হিসেবে একজন লোক দেয়া হয়। যারা একথা মানছে না তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই কর্নেল আরো অভিযোগ করলেন, জঙ্গীরা মাইন পাতছে এবং তিনটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে।

জোনাথন হেড তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তার মানে তিনি কি এটাই বলতে চাচ্ছেন যে – এই যে এতসব গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে – এগুলো জঙ্গীরাই করছে?

তিনি নিশ্চিত করলেন যে এটাই সরকারের বক্তব্য। সেনাবাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা উড়িয়ে দিলেন। বললেন, “এর প্রমাণ কোথায়? যেসব মহিলারা এ দাবি করছে, আপনি তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। এদেরকে কি কেউ ধর্ষণ করতে চাইবে?”

মংডুতে যে মুসলিমদের সাথে আমরা কথা বলতে পেরেছি, তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলার সাহস করতে পারে নি। আমাদের পাহারাদারদের নজর এড়িয়ে এদের দু’একজনের সাথে কথা বললাম। তারা বললো, নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে গ্রাম ছাড়তে দিচ্ছে না। তারা খাদ্যাভাব এবং তীব্র আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

একজন যুবক বলছিল, তারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু তাদের নেতারা কর্তৃপক্ষের সাথে এক চুক্তি করেছে যাতে তারা চলে যেতে না পারে। এখানকার বাঙালি বাজার এখন নিরব। এজনকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা কিসের ভয় করছেন। “সরকার” – তার জবাব।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভায় বহুতল বিশিষ্ট কমপ্লেক্স’র নকশা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক, সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, আলহাজ্ব কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী সিরাজুল হক, সহ সম্পাদক মুজিব হোসেন নান্নু, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু দাউদ, সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, মো. হাদিউজ্জামান, আলহাজ্ব এড. মোনায়েম খান চৌধুরী, শেখ আব্দুল মাসুদ, কাজী আমিরুল হক (আহাদ), মো. সেলিম, আব্দুর রহমান প্রমুখ। নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিনিধি ডাঃ নজরুল ইসলাম, ইউনাইডেট প্রিন্টিং প্রেস’র ডাইরেক্টর আবু সোয়েব এবেল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আহসান হাবীব টিপু, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সদস্য আলহাজ্ব মো. ইনামুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ‘সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ¯্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্ট্রের সেবা করা। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনে খুব শীঘ্রই একটি মাল্টিকমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।’ এসময় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে ৪তলা বিশিষ্ট মাল্টিকমপ্লেক্স এর ডিজাইন অনুমোদন করা হয় এবং দ্রুত কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্রীলংকার বিপক্ষে জোর করে টস জিতে ভারত!

সম্প্রতি শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ হওয়া টি২০ সিরিজের একমাত্র ম্যাচে ভারতের টস জয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ তোলপাড় হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই টসে ভারতকে জোর করে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

সেই টসের ভিডিও ক্লিপিং নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে খেলার সম্প্রচারকারী সংস্থা। এরপরেই বিতর্ক ছড়ায় অনলাইন আর অফলাইনে। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অবশ্য শনিবার এক টুইটবার্তায় নিজেদের মতামত জানায় শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড।

বলা হয়, ম্যাচ রেফারি ‘হেড’ বলেছিলেন বলেই মেনে নিয়েছে শ্রীলংকার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড মেনে নিলেও এখনও প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে- ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের সিদ্ধান্ত নিয়ে।

পাইক্রফটের আওয়াজ থেকে এখনও পরিষ্কার নয় আদৌ তিনি ‘হেড’ বলেছেন কিনা! তার শারীরিক ভাষা দেখে বারবার মনে হচ্ছিল টসে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করায় তিনি হতবাক। এই পরিস্থিতিতে আসলে কে টস জিতেছিল তার সত্যতা হয়তো আর কখনই জানা সম্ভব হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার গণহত্যা চালাচ্ছে- মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে এখনও নৃশংসভাবে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক।

সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে

আজ সোমবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।

রিয়াজুল হক বলেন, রাখাইনে মুসলমান নিধন অভিযান চলছে। ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কিছু প্রভাবশালী রাষ্ট্রের মদদে আরাকানকে খালি করা হচ্ছে।

এই গণহত্যাকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম ও জঘন্যতম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যূতে আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নসহ রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত করা এবং গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে গতকাল রোববার থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন রিয়াজুল হক। এ সময় তিনি রোহিড়ঙ্গাদের মুখ থেকে মিয়ানমারে গণহত্যা ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের করুণ বর্ণনা শোনেন। রোহিঙ্গাদের নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest