সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রি

36f8240a41c63ae6e3981ceef065a2c1-58c9010f0c12bইরানের খ্যাতনামা ‘ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ যাচ্ছে তৌকীর আহমেদের ছবি ‘অজ্ঞাতনামা’। আগামী ২১ এপ্রিল শুরু হচ্ছে উৎসবটির ৩৫তম আসর। এর প্যানরোমা শাখার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ছবিটি।
ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনটি চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এর আয়োজক দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
তৌকীর জানান, সোমবার সকালে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘অজ্ঞাতনামা’ উৎসবটির অফিশিয়াল নির্বাচনে মনোনীত হয়েছে। প্যানরোমা শাখায় এশিয়ান ও ইসলামিক দেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে এটি।’’
‘অজ্ঞাতনামা’ ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার পাশাপাশি পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ।
চলচ্চিত্রটির মূল বিষয় গলাকাটা পাসপোর্টের মাধ্যমে তীব্র অভিবাসন সংকট ও মানবেতর জীবন যাপন।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোশাররফ করিম, নিপুণ এবং শহীদুজ্জান সেলিম। তাদের পাশাপাশি ছিলেন আবুল হায়াত, শাহেদ শরীফ খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, শাহেদ আলী সুজন, মোমেনা চৌধুরী, সুজাত শিমুল, নাজমুল হুদা বাচ্চু, শিশুশিল্পী আপন, সায়েম প্রমুখ।দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৌকীর আহমেদ
উল্লেখ্য, গত বছর অস্কারের ৮৯তম আসরের জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়েছিল ‘অজ্ঞাতনামা’। পাশাপাশি গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মে অংশ নিয়েছে চলচ্চিত্রটি। এ ছাড়া ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত গাল্ফ অব নেপলস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এটি অর্জন করেছে জুরি মেনশন অ্যাওয়ার্ড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

403f8eede3d576bf874c763810ef0cc5-58c8fd783867aশুরুতেই সরল প্রশ্ন, ‘আয়নাবাজি’র সিক্যুয়েল করছেন না? মানে প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত ভাব এমন ছিল, সুপটারহিট ছবিটির সিক্যুয়েল চলতি বছরের মধ্যেই মুক্তি দেওয়া উচিত!

অতি আকাঙ্ক্ষা নিয়ে করা এমন প্রশ্নের বিপরীতে জনাব শরাফাত করিম আয়না তথা চঞ্চল চৌধুরীর উত্তর একেবারেই শীতল ও নির্মোহ।
বললেন, ‘‘না, ‘আয়নাবাজি’র সিক্যুয়েল হবে না। যেমন হয়নি ‘মনপুরা’র। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই ছবিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের কাজকে নিজেরা প্রচণ্ড সম্মান করেন। ফলে ‘আয়নাবাজি’র চলমান জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে এটির কিস্তি নির্মাণের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই আমি জানি।’’
তাহলে!
চঞ্চল চমকে দিয়ে বললেন, ‘‘তাহলে আর কী! এখন আমি রাত-দিন নতুন আরেকটি ছবিতে ডুবে আছি। আমার নতুন ছবির নাম ‘দেবী’। নিশ্চয়ই জানেন, এটি নন্দিত সাহিত্যিক-নির্মাতা হ‌ুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছবিটি সরকারি অনুদানও পেয়েছে।’’

চঞ্চল চৌধুরী এমন তথ্য দিয়েছেন আরও এক মাস আগেই। তবে এই ছবির অন্যতম মুখ এবং প্রযোজক জয়া আহসান তখন অনুরোধের সুরেই বলেছেন, পুরো ছবির সূচি চূড়ান্ত না করে সংবাদটি আগাম প্রকাশ করতে চাইছেন না তিনি।
অতঃপর আজ, বুধবার (১৫ মার্চ) জয়া আহসান ‘দেবী’র খবর চূড়ান্তভাবে জানালেন। বললেন, ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে চঞ্চল অভিনয় করছেন হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি মিসির আলি চরিত্রে। আর তিনি থাকছেন রানু চরিত্রে।

যারা উপন্যাসটি পড়েছেন- তারা নিশ্চইয় এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন চরিত্র দুটির ধার।
প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম কোনও চলচ্চিত্রে জয়া ও চঞ্চল চৌধুরী  অভিনয় করছেন একসঙ্গে।
জয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘দেবী’তে তার (রানু) স্বামী আনিসের চরিত্রে অভিনয় করছেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ।
এদিকে উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুমোদন ও সরকারের অনুদান প্রাপ্তির পর থেকেই আমরা এটি নির্মাণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এটির শুটিং শুরু হচ্ছে।’
জয়া আরও বলেন, ‘‘আশা করছি দারুণ ‍কিছু হবে। আমরা শতভাগ চেষ্টা করবো শ্রদ্ধেয় হ‌ুমায়ূন স্যারের মূল উপন্যাসের বিষয়টি ধরে রাখতে। আর এটি নির্মাণ করছেন ‘আয়নাবাজি’র সংলাপ-চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস। তার ওপর আমাদের শতভাগ আস্থা রয়েছে।’’
সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ছবিটির প্রযোজক হিসেবে আছেন জয়া আহসান। তার ‘সি তে সিনেমা’ ব্যানার থেকে এটি নির্মিত হচ্ছে।
‘দেবী’র অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন শবনম ফারিয়া, ইরেশ যাকের প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9বিনোদন ডেস্ক : এবার দক্ষিণ ভারতের ছবিতে দেখা যাবে বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সানি লিওনকে। বেশ কয়েকটি ছবির জন্য অফার এসেছে তার কাছে, যোগাযোগ করছেন দক্ষিণ ভারতের পরিচালকরাও। এমনটাই জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে।

পরিচালক প্রবীণ সাত্তারু তার তেলুগু ছবির জন্য সানির দ্বারস্থ হয়েছেন। ছবির একটি গানের সঙ্গে কোমর দোলান সানি, পরিচালকের চাওয়া এমনই। প্রবীণ জানান, এই গানটির জন্য তার প্রথম পছন্দ ছিল সানি। ছবিতে গানটি এমন মুহূর্তে রয়েছেন, যার জন্য একটি পরিচিত মুখ তাদের দরকার ছিল। তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে বহু তারকা রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু দক্ষিণেও সানির জনপ্রিয়তার কথায় মাথায় রেখে তাকেই চেয়েছেন প্রযোজকরাও।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বরাবরই বেশ আলোচিত সানি লিওন। সম্প্রতি ‘রইস’ ছবির ‘লায়লা ও লায়লা’ গানে দুনিয়া কাঁপিয়েছেন তিনি। বলিউডে ছবির মুখ্য চরিত্র থেকে আইটেম সবখানেই নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন সানি। তারই ধারাবাহিতায় এবার দক্ষিণী ছবিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন তিনি। এখন শুধু অপেক্ষা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

vidya-balan-plays-jaan-owner-begum-brothel_88afcfee-02f0-11e7-87c7-5947ba54d240-1অপেক্ষার পালা বুঝি আরেকটু ঘুচলো। গতকাল মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছে ‘বেগম জান’ ছবির প্রথম ট্রেলার। পোস্টারের মতো এখানেও বিদ্যা বালানের উপস্থিতিটাই সবচেয়ে বেশি। ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের এ ট্রেলারে তাকে একজন সাহসী আর দাপুটে নারী হিসেবে দেখা গে

ছে। কখনো সবাইকে শাসাচ্ছেন আবার কখনো আরাম কেদারায় বসে হুকোর নলে টান মারছেন।

সব মিলিয়ে ভিন্ন ধারার চরিত্রে অভিনয়কে যেন রীতিমত অভ্যাসে পরিণত করছেন বিদ্যা বালান। ছবিতে তিনি গণিকালয়ের সর্দারনীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। গত বছর মুক্তি পাওয়া বাংলা ছবি ‘রাজকাহিনী’র হিন্দি ভার্সনই হলো ‘বেগম জান’।

ছবির কাহিনী জুড়ে রয়েছে দেশভাগ। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটি এই দেশভাগ। ১৯৪৭ সালে এর মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় পাকিস্থান আর ভারত নামের দুটি আলাদা ভূখন্ড। সীমান্ত মানে কাঁটাতার আর দেয়াল। সেই কাঁটাতারের বেড়ার রাজনীতিতে পড়ে যায় একটি ‘গণিকালয়’। সেই আলয়ের অন্তঃপুরে নারীদের অজানা অধ্যায়কে পরিচালক সৃ

জিত মুখার্জী তুলে এনেছেন সেলুলয়েডের পর্দায়।

‘বেগম জান’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে।

অপেক্ষাটা কেবল বিদ্যা বালানের জন্যই নয়! বাঙালি পরিচালক সৃজিতের দিকেও থাকছে অনেকটা। এর মধ্য দিয়ে সৃজিতও যে বলিউডের দরজায় পা রাখলেন! টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ছবির ভিডিও ট্রেলার দেখতে ক্লিক করুন :

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

miraz-ap-759স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কার নামের পাশে ৭০ রান, উইকেট ৪টি। বাংলাদেশের শততম টেস্টের প্রথম সেশনে এরচেয়ে স্বস্তি কি হতে পারে।

শুরুটা ছিল মোস্তাফিজের হাত ধরে, মাঝে মিরাজের জোড়া আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় লঙ্কান টপঅর্ডার। আর শুভাশিষ শিকার করেছেন চতুর্থটি।

কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে দিমুথ কারুনারত্নের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ওভারের প্রথম বলটি করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শততম মাইলফলকের ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার বাড়তি উপলক্ষ যোগ হলো তার ক্যারিয়ারে। পরে প্রথম সাফল্যটি এসেছে তার বলেই। সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাত, তাতে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের।

বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার দিমুথ কারুনারত্নে ও উপুল থারাঙ্গা শুরুতে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। টাইগার বোলাররাও রানের গতিতে লাগাম দিয়ে রাখেন। মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ডেলিভারিগুলো সামলাতে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হন লঙ্কান ওপেনাররা।

লঙ্কানদের তখন ৮ ওভারে মাত্র ১১ রান। দুই ওপেনার ক্রিজে জমে থাকার মিশন নিয়েছেন। তাদের পণে রণভঙ্গ দিলেন কাটার মাস্টার। নবম ওভারে এসে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে কারুনারত্নেকে (৭) সাজঘরে পাঠান ফিজ। কাটার মাস্টারের স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে গালিতে তালুবন্দী হন স্বাগতিক উদ্বোধনী।

পরে ১১তম ওভারে থারাঙ্গাকে প্রায় ফাঁদেই ফেলেছিলেন। মিডল ও লেগস্টাম্পের মাঝে ফেলা কাটার থারাঙ্গার প্যাডে লাগলে জোরালো আবেদন করেন ফিল্ডাররা। আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ব্যাটসম্যান।

পরের ওভারেই দৃশ্যপটে মিরাজ। এই অফস্পিনার কুশল মেন্ডিসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। এক ম্যাচ পরেই গ্লাভস হাতে ফেরা মুশফিকের কল্যাণে সাজঘরে মেন্ডিস (৫)।

তৃতীয় সাফল্যটিও এসেছে মিরাজের হাত ধরেই। এই তরুণ স্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সৌম্যর তালুবন্দী হয়েছেন থারাঙ্গা (১১)।

ম্যাচে ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। মিডল অর্ডারে দুই ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাসেলা গুনারত্নে ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন, ৩৫ রান যোগ করেন দুজনে। এরপরই পেসার শুভাশিষের আঘাত। লাঞ্চের আগে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন গুনারত্নেকে (১৩)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc04164_3ইতিহাসের প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে জানা যায়, যশোর, বুড়ন, সমতট, ব্যাঘ্রতট, বাগড়ি প্রভৃতি নামে নানা সময়ে এলাকাটিকে চিহিুত করা হয়েছে। আর সুলতান দাউদ খান কররানীর পতনের পর বিক্রামাদিত্য ও ভ্রাতা বসন্ত রায় স¤্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে। এবং তারা ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে স¤্রাট আকবরের কাছ থেকে যশোর রাজ্যের সনদ নিয়েছিলেন। অত:পর বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুরে এসে রাজ প্রাসাদ গড়ে তুলেছিলেন। ঐ সময়ে বসন্ত রায় বঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে আতœীয়-স্বজনকে এখানে এনে যশোর সমাজ নামে এলাকা তৈরি করেছিলেন। আর রাজা প্রতাপাদিত্যের পতনের পর তাঁর বিশাল সৈন্য বাহিনীর এক অংশ শ্যামনগর – কালিগঞ্জ এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। পাঠান বিদ্রোহ দমনের জন্য মুঘলদের পক্ষে সামান্ত রাজা প্রতাপাদিত্য ১৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যা অভিযান শেষ করে যশোর হয়ে বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলার গোপালপুরে এসে গোবিন্দ দেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সে মন্দিরের সেবাইত বল্লাভট্টাচার্যকে নিযুক্ত করেন। ১৬৬৭ খ্রিষ্ট্রাব্দে ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে হযরত শেখ মুহাম্মাদ শাহ ওরফে দরগাহ শাহ নামে এক ব্যক্তি বাগদাদ থেকে সস্ত্রীক নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বর্তমান আশাশুনি উপজেলার দরগাপুরে সংসার জীবন শুরু করে। তারপর তাঁরই নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয় দরগাপুর। মুঘল রাজত্বের অন্তিমকালে ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় চার্টারের বলে প্রেসিডেন্সী শহরের সৃষ্টি হয়েছিল। অত:পর ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে নদীয়ার জমিদার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মৃত্যুর পর তাঁর অধিকৃত জমিদারী পরগনাগুলো যখন নিলামে ওঠে তখন তাঁরই এক কর্মচারী বিষ্ণরাম চক্রবর্তী বুড়ন পরগনা নিলামে কিনে নেন। এবং পরে তিনি সাতঘরিয়া বা সাতক্ষীরায় এসে বসবাস শুরু করেন। তার আচার-আচারণ ও কর্মদক্ষতার কারণে ব্রিটিশরা তাকে রায় চৌধুরী উপাধি দিয়েছিলেন। ঐ সময়ে তাঁর বংশধরেরা সাত ঘরিয়ার আশে-পাশে জমি ক্রয়ের মাধ্যমে বসবাস শুরু করে। লর্ড ডালহৌসী (১৮৪৮-১৮৫৬) খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ ভারতের গভর্ণর জেনারেল হয়ে আসার পর তিনি সমগ্র বৃটিশ ভারতকে বিভিন্ন মহাকুমায় বিভক্ত করেন। তখন নীল বিদ্রোহ দমন ও স্থানীয় শাসন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যশোর জেলায় কয়েকটি মহাকুমা করার প্রয়োজন হয়েছিল। অত:পর ১৮৫১ সালে সাতক্ষীরাকে যশোর জেলার চতুর্থ মহাকুমা হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর এ মহাকুমার প্রধান কার্যালয় কলারোয়াতে স্থাপিত হয়েছিল। জানা যায়, পাবনা জেলার অধিবাসী নবাব আব্দুল লতিফ খান সাতক্ষীরা মহাকুমার প্রথম মহাকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা মহাকুমার ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন এ জনপদে নীল চাষীদের প্রতি অত্যাচার, জুলুম এবং শোষণের প্রতিকারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বৃটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিমাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, এ অঞ্চলে ইংরেজ বিরোধী গণ আন্দোলন শুরু হলে কলারোয়া উপজেলার পিছলাপোল গ্রামের মওদুদ বরকন্দাজ নামে এক কৃষক নেতা এ এলাকায় নীল চাষকে কেন্দ্র করে নীল কুঠিয়ালদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৮৫২ -১৮৫৩ সালে সাতক্ষীরা মহাকুমা স্থাপিত হলেও ১৮৬১ সালে সাতক্ষীরা মহাকুমা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। এবং তৎকালীন সাতক্ষীরার জমিদারদের প্রচেষ্ঠায় মহাকুমার প্রধান কার্যালয় কলারোয়া থেকে মহাকুমা কার্যালয় সাতক্ষীরাতে স্থানান্তরিত করেছিলেন। এবং সাতক্ষীরাকে মহাকুমা করে তা যশোর জেলার এবং ১৮৬৩ সালে চব্বিশ পরগনার অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অত:পর জেলা শহর আইন অনুসারে শহর কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর এই আইনের বলে ১৮৬৭ সালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাউন কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। জানা যায়, এখানে বহু আগে কয়েক ঘর জমিদার বসবাস শুরু করেছিলেন। আর এখানে গ্যাসের আলো, উন্নত রাস্তাঘাট ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ নগর জীবনের সকল সুযোগ-সুবিধা থাকায় এই এলাকার নামকরণ টাউন কমিটির নামানুসারে টাউনশ্রীপুর করা হয়েছিল। আর পরবর্তীতে টাউন কমিটির নাম পরিবর্তিত হয়ে পৌরসভায় রুপান্তরিত হয়। এবং এটিই প্রথম প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা। যার নামকরণ করা হয়েছিল টাউনশ্রীপুর পৌরসভা। আর এ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হলেন ফনীভূষণ সরদার। অত:পর ১৮৬৯ সালে সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর এ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হলেন প্রাণনাথ রায় চৌধুরী। এবং আরও পরে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলার সাথে সাতক্ষীরা সম্পৃক্ত হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে লোকাল সেলফ গভমেন্ট আইন অনুযায়ী ১৮৮৬ সালে তদানীন্তন খুলনা জেলায় প্রথম জেলা বোর্ড গঠিত হয়েছিল। অত:পর সাতক্ষীরা মহাকুমা পর্যায়ে লোকাল বোর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। আর প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এলাকাকে মহাকুমা বা জেলা যাই বলা হোক না কেন, এর ইতিহাস অতি প্রাচীন? প্রাচীন এই জনপদে মহাকালের সাক্ষী হয়ে যে সকল মহাকুমা বা জেলা প্রশাসকগণ উন্নয়নের জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ভাবে অবদান রেখে অনন্য ভুমিকা পালন করেছেন, তা সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে জানানোর জন্য এই পত্রিকায় আজকের লেখা।
আর মহাকুমার জন্মলগ্ন থেকে যে সকল মহাকুমা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসকগণ সাতক্ষীরার উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন। তারা হলেন- নবাব আব্দুল লতিফ (কার্যকাল জানা সম্ভব হয়নি), অক্ষয় কুমার স্বর ০১.০১.১৯০৯ – ০১.০১.১৯১১, আব্দুল হাই ০১.০১.১৯১৫ – ০১.০১.১৯১৬, শ্রী অনাদি রঞ্জন বোস ০১.০১.১৯১৬ – ০১.০১.১৯১৯, শ্রী এম সি মুখোপাধ্যায় ০১.০১.১৯১৯ – ০১.০১.১৯২৪, শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ০১.০১.১৯২৪ – ০১.০১.১৯২৮, শ্রী এ সি চট্টোপাধ্যায় ০১.০১.১৯২৮ – ০১.০১.১৯২৯, এস এ লতিফ ০১.০১.১৯২৯ – ০১.০১.১৯৩১, শ্রী কে সি মিত্র ০১.০১.১৯৩১ -০১.০১.১৯৩৩, শ্রী সুধারাম মিত্র ০১.০১.১৯৩৩ – ০১.০১.১৯৩৪, শ্রী সুরেন্দ্রনাথ সরকার ০১.০১.১৯৩৪ – ০১.০১.১৯৩৫, আহম্মদ মিয়া ০১.০১.১৯৩৫ – ০১.০১.১৯৩৬, শ্রী পি সি মজুমদার ০১.০১.১৯৩৬ – ০১.০১.১৯৪০, শ্রী জে সি চট্টোপাধ্যায় ০১.০১.১৯৪০ – ০১.০১.১৯৪১, সৈয়দ আহম্মদউল্লাহ ০১.০১.১৯৪১ – ০১.০১.১৯৪২, শ্রী এ সি রায় ০১.০১.১৯৪২ – ০১.০১.১৯৪৩, এরশাদ হোসেন ০১.০১.১৯৪৪ – ০১.০১.১৯৪৫, এ. এ. জি মহি ০১.০১.১৯৪৫ – ০১.১২.১৯৪৫, সুলতান আহমদ ০১.১২.১৯৪৫ – ০১.০১.১৯৪৬, এম. এইচ শাহ ২১.১২.১৯৪৬ – ১১.০৪.১৯৫০, আজিজুল্লাহ হাসান ১৯.০৪.১৯৫০ – ১৬.০৯.১৯৫১, মতিন উদ্দিন আহমেদ ২৪.০৩.১৯৫২ – ১৫.১২.১৯৫২, এ. এফ রহমান ০৮.০৩.১৯৫৩ – ২০.১১.১৯৫৪, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ২৪.১২.১৯৫৪ – ১৬.১২.১৯৫৫, বাহউদ্দিন আহমেদ ০১.০২.১৯৫৬ – ০৪.০৩.১৯৫৭, আতিকুর রেজা চৌধুরী ০৭.০৭.১৯৫৭ – ০৭.১২.১৯৫৭, এ.এন.এম সামছুল আলম ০৮.১২.১৯৫৭ – ২৭.১২.১৯৫৮, এ. মোমিন ২৮.১১.১৯৫৮ – ০৫.০৮.১৯৬১, এ.কে.এন সিদ্দিক উল্লাহ ০৫.০৮.১৯৬১ – ১৭.০৫.১৯৬৩, এন নুরুল আমিন খান ১১.০৬.১৯৬৩ – ০৬.০৬.১৯৬৪, এম রুস্তম আলী ০৬.০৬.১৯৬৪ – ১১.০৩.১৯৬৫, এম সাঈদ উদ্দিন ২৭.০৩.১৯৬৫ – ২০.০৪.১৯৬৬, মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ ২১.০৪.১৯৬৬ – ২৩.১০.১৯৬৭, সফিউর রহমান নভেম্বর ১৯৬৯ – ৩১.০৩.১৯৭০, সিকান্দার হায়াত জামালি ১৮.০৪.১৯৭০ – ০৭.০৭.১৯৭০, খালিদ মেহমুদ আহমদ ১৪.০৭.১৯৭০ – ১৮.০৪.১৯৭১, এম শাহাজান আলী ২৪.০৫.১৯৭১ – ১৮.০৪.১৯৭২, আমিনুর রহমান ১৮.০৪.১৯৭২ – ০৪.০৫.১৯৭৩, একিউএম কামরুল হুদা ০৬.০৫.১৯৭৩ – ২৩.০২.১৯৭৪, মোহাম্মাদ শহীদুল আলম ২৩.০২.১৯৭৪ – ১৪.০৬.১৯৭৫, এম সাইফুল ইসলাম ১৪.০৬.১৯৭৫ – ১৬.০৩.১৯৭৬, আলাউর রহমান চৌধুরী ১৬.০৩.১৯৭৬ – ১৬.০১.১৯৭৮, আব্দুল কাইউম ঠাকুর ২০.০১.১৯৭৮ – ০৮.০৩.১৯৮০, এম এন নবী ০৫.০৭.১৯৮০ – ২১.০১.১৯৮২, মোহাম্মাদ সাইফুজ্জামান ৩০.০১.১৯৮২ – ১৯.১২.১৯৮২, মোহাম্মদ আবুল ফজল ২০.১২.১৯৮২ – ১০.০৪.১৯৮৩, এম এ শকুর ১০.০৪.১৯৮৩ – ২৪.০২.১৯৮৪।
১৯৫৯ সালের ১৮ নং প্রেন্সিডেন্সী আদেশ বলে জেলা বোর্ডের নামকরণ জেলা কাউন্সিল করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালে নবগঠিত বাংলাদেশের প্রেন্সিডেন্টের আদেশ বলে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। আর এই অধ্যাদেশে জেলা বোর্ডের নামকরণ করা হয় জেলা পরিষদ। সে সময় প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ মুহম্মাদ আবুল হোসেন এমপি ১২.১০.১৯৮৮ – ১০.১২.১৯৯০) দায়িত্ব পালন করেছিলেন । অত:পর চেয়াম্যান এর পরিবর্তে জেলা প্রশাসক হিসেবে মো: কাতেবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে (১০.১২.১৯৯০ – ১৭.০৮.১৯৯২) দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর কোন নির্বাচন না হওয়ায় জেলা পরিষদের প্রশাসকের পদটি শূন্য হয়েছিল। আর জেলা পরিষদের সকল কাজ নির্বাহী কর্মকর্তা পালন করেছিলেন। আরও অনেক পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর সারা দেশে তিনটি জেলা বাদে বাকি জেলা গুলোতে একজন করে জেলা পরিষদ প্রশাসক নিয়োগ করেছিল। সে সময় সরকার মনোনিত হয়ে ২০.১২.২০১১ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মুনসুর আহমেদ ২৭.১১.২০১৬ সাল পর্যন্ত জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ এর ফলে মহাকুমা থেকে জেলা ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সে সময় থেকে যে সকল জেলা প্রশাসকরা সাতক্ষীরা উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছিল। তারা হলেন- আমিনুর রহমান ২৫.০২.১৯৮৪ – ০৪.০৬.১৯৮৫, খন্দকার শহিদুল ইসলাম ০৫.০৬.১৯৮৫ – ২৫.০৭.১৯৮৭, ভূইয়া রফিউদ্দিন আহমদ ২৬.০৭.১৯৮৭ – ০৭.০৭.১৯৯০, মো: কাতেবুর রহমান ০৮.০৭.১৯৯০ – ১৭.০৮.১৯৯২, মো: মুজিবুর রহমান ১৮.০৮.১৯৯২ – ০৪.০১.১৯৯৫, মুহাম্মদ আব্দুস সালাম ১৯.০১.১৯৯৫ – ০৭.০৯.১৯৯৭, দেবদত্ত খীসা ০৮.০৯.১৯৯৭ – ১১.০৮.১৯৯৮, সাইফুল আলম ১২.০৮.১৯৯৮ – ৩১.০৩.২০০০, মো: আব্দুল মতিন চৌধুরী ০১.০৪.২০০০ – ১২.০১.২০০৩, এ ওয়াই এম একরামুল হক ১২.০১.২০০৩ – ১৯.০৭.২০০৪, মো: ইলিয়াস ১৯.০৭.২০০৪ – ১১.০৯.২০০৬, এবিএম সিরাজুল হক ২৬.০৯.২০০৬ – ১৯.১১.২০০৬, মো: কেফায়েতউল্লাহ ১৯.১১.২০০৬ – ৩১.০৮.২০০৮, মো: মিজানুর রহমান ৩১.০৮.২০০৮ – ২০.০৪.২০০৯, মো: আব্দুস সামাদ ২০.০৪.২০০৯ – ০৪.০২.২০১২, ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ০৪.০২.২০১২ – ২৪.১২.২০১৩, নাজমুল আহসান ২৫.১২.২০১৩ – ২৬.০১.২০১৬, আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন ২৬.০১.২০১৬ চলমান দায়িত্ব পালন করে, খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়ে সাতক্ষীরার উন্নয়নে তাঁর অবদানকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর তিনি যতদিন সাতক্ষীরাতে আছেন ততদিন কোন বিরুদ্ধ শক্তি চলমান উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আর তিনি এ জেলা থেকে অন্য জেলায় চলে গেলেও সাতক্ষীরা বাসীর কাছে একজন সক্রিয় জেলা প্রশাসক হিসেবে স্মরণিয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র ও সহয়তা: ০৯.০৩.২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০: ১৩ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন সাতক্ষীরা কালেক্টর ভবনের নিজ অফিসে বসে সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেছিলেন।
০৯.০৩.২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল ০৩: ৫২ মিনিটে সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সভা কক্ষে লাইব্রেরিয়ান ওমর ফারুক ও সৈয়দ আনিসুর রহমান সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় ও ¯্রােত বইটি দিয়েছিলেন। আব্দুল হামিদ সম্পাদিত সাতক্ষীরা কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির প্রকাশনা থেকে ৩৭ ও ৪২ পৃষ্ঠার তথ্যাদি সংগৃহীত।

১১.০৩.২০১৭ তারিখ শনিবার সকাল ১১:১৫ মিনিটে এলিট স্টুডিও এর কক্ষে বসে মো: আহছানউল্লাহ সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আতিকউল্লাহ চন্দন, রনক বাসার।

১১.০৩.২০১৭ তারিখ শনিবার সকাল ১১.৫২ মিনিটে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা অফিসে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নিমাই চন্দ্র মন্ডল সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমানন মাছুম, আসাদুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম সহ নাম না জানা আরও কয়েকজন প্রতিনিধি।

১১.০৩.২০১৭ তারিখ শনিবার ০৩:৪৮ মিনিটে জেলা গণ-গ্রন্থাগার এর লাইব্রেরিয়ান কিনারাম নাথ সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেন। এবং লাইব্রেরিয়ান আবুল হোসেন সম্পাদিত সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাস বইটি দিয়েছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোবাশ্বের, নীলু।

১২.০৩.২০১৭ তারিখ রোববার সকাল ১১: ২৭ মিনিটে সাতক্ষীরা তথ্য অফিস কক্ষে মো: মনিরুজ্জামান ও মীর আজিবুর রহমান সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা তথ্য অফিসের স্টাফ শেখ মুনছুরুল হক, মো: বাসারুল হক, মাহফুজা খাতুন।

১৩.০৩.২০১৭ তারিখ সোমবার সকাল ১০: ১৭ মিনিটে সাতক্ষীরা তথ্য অফিস কক্ষে তথ্য অফিসার শাহনেওয়াজ করিম সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা লিখতে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা তথ্য অফিসের কম্পিউটার অপারেটর মো: জাহাঙ্গীর আলম।

১৩.০৩.২০১৭ তারিখ সোমবার সকাল ১১: ২২ মিনিটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে শাহানা পারভীন সাতক্ষীরা মহাকুমা প্রশাসকের তথ্যকথা রিখতে মতবিনিময় করেছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মো: আল মামুন, ওমর ফারুক।

তথ্যবিন্যাস : মুনসুর রহমান

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

black-magic_420170313115956ডেস্ক: কালোযাদুর কথা শুনলেই আমাদের চোখে ভুতুড়ে পরিবেশের ছবি ভেসে ওঠে। দীর্ঘদিন থেকে মানুষ নিজের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য এই বিদ্যার ব্যবহার করে আসছে। এই বিদ্যা কতটুকু ফলপ্রসু তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এর উপরে অনেকেরই অগাধ আস্থা। কিন্তু তন্ত্র-মন্ত্রে ব্যবহৃত পণ্যের বাজার কোথায় সেটি জানেন কি?

পশ্চিম আফ্রিকায় এমন একটি বাজার রয়েছে, যেখানে বাদরের শুকনো মাথা, হরিণের মাথার খুলি, এমনকি কুমিরের দেহের কাঠামো পাওয়া যায়। আফ্রিকার টোগোর রাজধানী লোমেতে বাজারটি বসে। সেই বাজারটিকেই বিশ্বের বৃহত্তম তন্ত্র-মন্ত্রের বাজার বলা হয়।

সেখানে বিভিন্ন ধরনের পাখির হাড়ও পাওয়া যায়। জেনে অবাক হতে হয়, সেখানকার লোকেরা বাদরের শুকনো মাথাকে যৌনশক্তি বাড়ানোর জন্য কেনেন। এছাড়া পাইথনের চামড়া, হায়েনার মাথা, জীবিত ঈগলও পাওয়া যায় সেখানে।

৩৪ বছরের ফটোগ্রাফার এমানুএনলা গ্রিকো বাজারটি পরিদর্শন করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি বাজার দেখেছি, যেখানে সবকিছু পাওয়া যায়।বিশেষ ধরনের প্রেমের ঘুট্টিও পাওয়া যায় সেখানে। আমি আশাই করিনি সেখানে গরুর শুকনো মাথাও পাওয়া যাবে। আপনি যখন সেখানে যাবেন, তখন মনে হবে আপনি একটি ভিন্ন জগতে প্রবেশ করেছেন।’

গ্রিকো জানান, টোগো একটি সুন্দর জায়গা। তবে তিনি কীভাবে সেই বাজারে ঘুরবেন তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না। সেখানে মৃত পশুদের সাথে কাঠ দিয়ে তৈরি করা মানুষের দেহের কাঠামোও পাওয়া যায়। সেসব জিনিস ব্ল্যাক ম্যাজিকের জন্য ব্যবহার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

vwvwvwvwvনিজস্ব প্রতিবেদক : ৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বেলা ১টায় বাকাল মেডিকেল কলেজের  সামনে। সে আলিপুর পাচানি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ইটাগাছা ফাড়ির এসআই বিল্লাল হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে। এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest