সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

ppp-largeনিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজের শিক্ষক হবেন শিক্ষা ক্যাডার বর্হিভুত এবং বেসরকারি কলেজ জাতীয় করণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুযায়ী বিধিমালা প্রনয়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সরকারি  কলেজ  ইউনিটের আয়োজনে সরকারি কলেজের মূল ফলকের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লিয়াকত পারভেজ, কলেজ শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী আসাদুল ইসলাম, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নাছরিন আক্তার লিপিসহ সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sam_4409-copyনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ ও এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. মশিউর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, নিরক্ষর মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার বছরের শুরুতে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অগামী প্রজন্মকে যুগপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার দেশকে নিরক্ষর মুক্ত করতে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে প্রায় ৩৪ কেটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে। যা বিশ্বের কোথাও এমন নজির নেই। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জি.এম নুর ইসলাম, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডাঃ একরামুল ইসলাম, সীমান্ত কলেজের প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য গণেশ সরকার ও ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহসহ শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। সাতক্ষীরা সদরের ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের জে.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। মোট ১শ’ ৬ জন শিক্ষার্থী জে.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯ জন এ প্লাস, ৬৩ জন এ গ্রেডসহ শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাড়–খালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3333মীর খায়রুল আলম: দেবহাটা উপজেলায় ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে শীতকালীন অতিথি পাখি শিকারের উৎসব। শীতের তীব্রতায় ও খাদ্যের অভাবে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উপজেলার বিভিন্ন বিল এলাকায় আসতে শুরু করেছে। আর সেই সুযোগে ঘিরে পাখি শিকারীরা সরকারি আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে পাখি শিকার করছে। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালে বন্য প্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে দ-ের বিধান রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের কোনো প্রয়োগ হচ্ছে না। পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না, বরং ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে। কিন্তু আইন থাকলেও পাখি নিধন বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে দেশ থেকে নানা প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে। এতে একদিকে জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে। এসব অতিথি পাখিগুলো ইয়ারগান, কাটিজ বন্দুক, ফাঁদ ও কিটনাশক দিয়ে নির্দিধায় শিকার চলছে যা প্রশাসন দেখেও যেনো দেখছে না। পাঁচপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতের সময়ে হরেক রকমের পাখিদেখে সকলের মন ভরে যায়। বিরল প্রজাতির এসব পাখি গুলো শিকার করেছে একশ্রেণির কুচক্রিমহল। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন পেশাদার পাখিশিকারি জানান, বাজারে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কোনোমতে ধরতে পারলেই বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। প্রতি জোড়া সাদা বক ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কাইয়ুম পাখি ৩৫০ থেকে ৪০০ ও বালিহাঁস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া মাংশ ভেদে পাখির দাম নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে, উপজেলার ঘলঘলিয়া, ভাতশালা, সখিপুর, সুবর্ণবাদ, চারকুনি, নোঁড়া, খলিসাখালি, চালতেতলাসহ বিভিন্ন বিল এলাকাগুলোতে প্রতিদিন এসব অতিথি পাখিগুলো শিকারীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে। এসকল পাখির মধ্যে বকধনু, সাইবেরিয়ান হাঁস, মানিকজোড়, শারোস, আয়ালান্ডের পাখি, বিলপেঁচাসহ দেশি ও বিদেশী পাখি বিল এলাকায় খাদ্য সংগ্রহের জন্য বিচরণ করে থাকে। ঠিক তখনি পাখি শিকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাখি শিকার করে। পরে অনেকেই বাজারে বিক্রি ও পরিবারের মাংস হিসাবে রান্না করে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এসব বিদেশী পাখি গোপনে বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার ঘলঘলিয়া, দেবহাটা, সখিপুর, পারুলিয়া এলাকায় পাখি শিকারের প্রকোপ বেশি। শিকারিরা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছে এবং ক্রেতা পেলেই বিক্রয় করে দিচ্ছে। এসব পাখি শিকার রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন সচেতনমহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি(কালিগঞ্জ) : কালিগঞ্জে এক মাছ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা ছিনতাইকালে জনতা দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের উজায়মারী গ্রামের মৃত বাবর আলী কারিকরের ছেলে। ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুতর আহত ওই মাছ ব্যবসায়ী  আব্দুল্লাহ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ী ও থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিগঞ্জের খাঁনবাহাদুর আহছান উল্লা (রহঃ) সেতুর নিচে অবস্থিত ‘সাথী ফিস’ এর মালিক পিয়ার আলীর ছোট ভাই বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকর প্রতিদিনের ন্যায় সাথী ফিস্ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দুদলী চরের বিল তৈয়েবের বাড়ির ভাগাড় নামক স্থানে পৌছালে মৌতলা ইউনিয়নের নরহরকাটি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ মাহমুদুল হাসান মুন্না (১৬) ও মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের হযরত আলী গাজীর ছেলে ট্রাকের হেলপার হাবিব গাজী (১৬) মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকরের পথরোধ করে। এসময় ওই দুই ছিনতাইকারী আব্দুল্যাহ কারিকরের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার কাছে থাকা ৫২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে এবং ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করে। তারা আহত অবস্থায় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ কারিকরকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উত্তেজিত জনতা ওই দুই ছিনতাইকারীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনুরুজ্জামান মনোয়ারের মাধ্যমে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কার জায়াদুল হক বলেন এ ঘটনায় আব্দুল্লার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

a_002আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে বুধবার ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। ৭.৩০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। ১০.৩০ টায় আওয়ামলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক চত্বরে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির সুমনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান বিপুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, ঢালী সামছুল আলম, আছাদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মন্টু, আক্তারুজ্জমান, সৈনিকলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রাসেল, রাকীব, আজম, বাবু, তোফায়েল, মিঠুন, রেজাউল, খায়রুল, প্রকাশ, বিদ্যুৎ, নাইম, লাবণ্য, মলয়, শামীম, আশীক, পাপ্পা, সৈয়দ, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল হাসান, তরুনলীগ সভাপতি রবি, মোতাহার, কাজল, উপজেলা ছাত্রলীগের আমিরুল, শংকর, নিশান, রাজু, আনারুল, জহুরুল, শাহীন প্রমুখ। সবশেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

kaligonj-ews-picকালিগঞ্জ ব্যুরো: প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কালিগঞ্জে কককাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম কুমার লস্কারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি আদর্শের সংগঠণ, এই সংগঠণ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ‘৫২ ভাষা আনন্দোলন, ‘৫৪ যুক্তফ্রন্ট, ‘৬৬ দফা, ‘৬৯ গনঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর শৈরাচার বিরোধী আনন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে অগ্রণি ভূমিকা পালন করে।  উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাওন আহম্মেদ সোহাগে‘র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র মেহেদী হাসান সুমন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান জামু, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সবুর, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, তারালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ধলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত কুমার ঘোষ, মৌতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম শাহারিয়ার, নলতা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে কেককেটে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

abu-jarশ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরের আবু জার কৃষি কাজে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ৮ বিঘা জমিতে সবজি চাষ ও পুকুরে সমন্বিত মৎস্য চাষ করে ৬ মাসের ব্যবধানে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আয় করে সফলতা লাভ করেছে এই কৃষক। আবু জার শংকরকাটি গ্রামের মৃত জবেদ আলীর পুত্র। গোবিন্দপুর ব্লকের শংকরকাটি গ্রামে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ১ বিঘা পরিমান একটি পুকুর খনন করে রুই ,কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে সফলতা পেয়েছে। পুকুরের পানি দ্বারা অবশিষ্ট ৭ বিঘা জমিতে ফুল কপি ,বিট কপি, বাঁধা কপি, পালং শাক, শিম, সরিষা,বেগুন,কাঁচাঝাল,লাউ,পুইশাক, ঢেঁড়শ, টমেটো লাগিয়ে বাম্পার ফসল পেয়েছে। ক্ষেতের চারিপাশে পেঁপেঁ, নারিকেল গাছ, মেহগনি, কুলগাছ,কদবেল সহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। এ মৌসুমের প্রথম দিকে সবজীর দাম বেশি হওয়ায় প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। সম্পন্ন রাসয়নিক সার ছাড়াই জৈব দিয়ে অভূতপূর্ব ফলন হওয়ায় দাম পেয়েছে বেশ চড়া। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শামসুর রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ৪ জন কৃষক নিয়ে সার্বক্ষনিক ক্ষেতে কাজ করায় ফসল বাম্পার হয়। বিল জমিকে উঁচু ভিটায় রুপান্তরিত করতে এবং প্রথম পর্যায়ে বড় ধরনের পরিকল্পনায় কৃষি ক্ষেতে কাজ করতে কয়েক লক্ষ্য টাকা খরচ হয়। আবু জার বিভিন্ন সমিতি ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার এ কাজ করতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বৈজ্ঞানিক বা আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা ছাড়াও ঐ জমিতে গরুর ফার্ম করতে কার্যক্রম শুরু করেছে। পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেলে তার ফার্ম কাজটি শেষ হবে। আবু জারের এ ধরনের কার্যক্রম বিভিন্ন সরকারী ও বে-সরকারী কর্মকর্তারা ছাড়াও শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তার কৃষি ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে চোখ ধাঁধানো ফসল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রত্যহ কয়েক ডজন চাষীরা তার কর্মকান্ড দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন  জানান, আবু জারের কর্মকান্ড এলাকার একটা মডেল, কৃষিখাতে তার দক্ষতা সত্যিই প্রশংসনীয়। কৃষক আবু জার বলেন, আমি এ ধরনের কার্যক্রম অব্যহত রাখবো, তবে সরকারি বে-সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

20170104_112636ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: একই সাথে আমের এবং বিভিন্ন ফসলের চাষ করে সফল উদ্যাক্তা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের ফেরদাউস মোড়ল। মৌতলা পানিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে ১২ বিঘা(১ হেক্টর ৫)জমি ২০ বছরের জন্য  ডিড নিয়েছেন ফেরদাউস মোড়ল। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায় সেই জমিতে তিনি ৪৫০টি আমগাছ লাগিয়েছে এর সাথে সাথে আলুর চাষ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি এইজমিতে এই মিশ্র চাষ আরম্ভ করেছেন। এজমিতে তিনি আমবাগানের পাশাপাশি চাষ করেন ধান,আলু,মিষ্টি কুমরা সহ বিভিন্ন রকম ফসলের। এই আমের বাগানের এবং মিশ্র ফসল চাষের  থেকে বাৎসরিক আয়ের পরিমান ৩ লক্ষ টাকা এমনটাই জানালেন উদ্যাক্তা ফেরদাউস। তিনি বলেন যশোরে তার আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে আমের বাগানের পাশাপাশি মিশ্র ফসল চাষ দেখে তার ভাললাগে। তিনি ভাবতে থাকেন কিভাবে এমন একটি মিশ্র ফসলের চাষ কারাযায় এজন্য তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার আনারুল ইসলামের পরমর্শনেন। উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের জমি না থাকায় ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে  ১২ বিঘা জমি ডিড নিয়ে এক সাথে ৪৫০টি আমের চারা রোপন করেন এর সাথে সাথে তিনি বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করে চলেছেন। প্রতিনিয়ত এখন তিনি উপসহকারী কৃষি অফিসার আব্দুস সোবহানের পরমর্শ অনুযায়ী এই আমের বাগানে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। নিজের সপ্ন পুরনের পাশাপাশি সবার মাঝে আজ পরিচিতি লাভ করেছেন সফল উদ্যাক্তা হিসাবে।ফেরদাউস এর উদ্দ্যেগ সফল হওয়ায় এলাকার অনেকেই আমের বাগানের পাশাপাশি মিশ্র ফসলের চাষের জন্য উদ্বুব্ধ হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest