সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীন আ’লীগ নেতা সরদার হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা আ’লীগ সেক্রেটারী এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, শাহজাহান আলি, ঢালী সামছুল আলম, সরদার মুজিবুর রহমান, আব্দুল্লাহেল বাকী বাচ্চু, প্রভাষক মাহবুবুল হক ডাবলু, এটিএম আক্তারুজ্জামান, তহমিনা রহিম, আছাদুল হক, শাহিন রেজা, বনমালী দাশ, শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম হুমায়ুণ কবির সুমন, সেক্রেটারী বিপুল, শ্রমিকলীগ সভাপতি প্রভাষক মিজানুর রহমান, সেক্রেটারী নবু, বাস্তুহারালীগ সভাপতি মোক্তার হোসেন টুকু, সেক্রেটারী বদরুজ্জামান, সাংগঠনিক মিজানুর, তরুনলীগ সাবেক যুগ্মআহবায়ক রবিউল ইসলাম, সৈনিকলীগ সভাপতি আলমগীর, সেক্রেটারী খোকা, ছাত্রলীগ কলেজ সভাপতি রাসেল, ইদ্রিস, শামীম, আমিরুল, আজম, আশীক, রাকীব, শংকর, আনারুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সরদার হাফিজকে আহবায়ক ও বাচ্চু, মুজিবরসহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি গঠন এবং এমপি ডাঃ আ ফ ম রুহুল হকসহ পৃথক একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, জাতীয়, দলীয় ও সহযোগি সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বিজয় মিছিল, আলোচনা সভা এবং মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

picture-kaliganj-satkhira-11-dec-2
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবু’র সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১১টায় কলেজের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এড. হাবিব ফেরদাউস শিমুল। কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃত মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া’র জীবন ও কর্মকান্ড সম্পর্কে আলোচনা করেন সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, সুফিয়া খাতুন, আব্দুর রউফ, শ্রীবাস চন্দ্র রায়, গোবিন্দ দুলাল বর, প্রবীর কুমার দেবনাথ এবং ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিজা ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা মারিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc02571-copy-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব -১৪ ও অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০১৬-১৭ এর খুলনা বিভাগীয় দলে অংশগ্রহণ উপলক্ষে জেলা দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে বিসিবি’র আয়োজনে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, এনডিসি মো. আবু সাঈদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম হাসান শানু, মুফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান, কাজী কামরুজ্জামান, আ.ম.আক্তারুজ্জামান মুকুল, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, স.ম সেলিন রেজা, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, হাফিজুর রহমান খান বিটু, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী সান্টু, মুফাচ্ছিনুল  ইসলাম তপু, ফজলুর রহমান ফজলু প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট দলের খেলা ২৫ ডিসেম্বর বাগেরহাট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন সাইফুল ইসলাম বাপ্পী ও অনূর্ধ্ব- ১৬ ক্রিকেট ২ জানুয়ারী থেকে ঝিনাইদহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন শাহ আলম হাসান শানু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

paikgacha-health-complex
বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলার প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্ঠির সেবায় কর্মকর্তাসহ মাত্র ২ জন ডাক্তার সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া জনবলের অভাবে যন্ত্রপাতিসহ আসবাবপত্র বিনষ্ট হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সকে ২ ডিসেম্বর’২০০৯ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৩৩জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ জন। এদিকে পাইকগাছা ছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকেও অনেকেই এখানে সেবা নিতে আসে।  যা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ও ১জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার দ্বারা সেবা কার্যক্রম চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান। ফলে উপজেলার ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ৪ জন ডাক্তার নিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ চলছে। ফলে, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো তালাবদ্ধ থাকায় সংশ্লি¬ষ্ট এলাকার জনগণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের দেয়া অগ্রগতির প্রতিবেদনে ৫৬০ জন রোগী ভর্তি, বর্হিবিভাগে চিকিৎসা ২ হাজার ৯১৩জন, মেজর অপারেশন ৩৬জন, মাইনর অপারেশন ৫২জন, ডায়ারিয়া রোগীর চিকিৎসা ৮৩৬জন, যক্ষ্মা ৩১জন, আর্সেনিক ৮১জন, নিউমোনিয়া ২৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দেখা যায়। কোনো কোনো মাসে এর অধিকও রোগীর চাপ পড়ে বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়। নার্সের কোটা পূরণ হলেও তৃতীয় শ্রেণির ৪১টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৯ সালের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর ভবন সংস্কার, সম্প্রসারণ, বেশ কিছু উপকরণ বৃদ্ধি করা হলেও সেগুলো ব্যবহার না হওয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে। ৩১ শয্যার জনবল ও আসবাবপত্র দিয়ে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের কার্যক্রম চলায় সর্বক্ষেত্রে বিহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপুল অর্থে নির্মিত ভবনগুলো অকেজো পড়ে আছে। নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দেয়া এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো মেশিন। গত ৫ ডিসেম্বর হাসপাতাল কর্তৃক থানায় করা এক জিডিতে দেখা যায়, ডাক্তার ও নার্সদের জন্য নির্মিত ডরমিটারগুলো ব্যবহার না হওয়ায় তার ভিতরে থাকা ৩৬টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। সর্ব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানালেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে চালালেও জনবল সংকট থেকে গেছে অনেক। আমিসহ দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে এতো বড় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দেয়া অসম্ভব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_3294-large
কুলিয়া প্রতিনিধি : বিল পরিশোধের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এতে করে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগিরা। সূত্র জানায়, দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না থাকার কারনে চলতি সালের গত ৩০ মে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কালিগঞ্জ জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সমুদয় বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের  ৬ মাস অতিবাহিত হলেও ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ( যার মিটার নং- ৮৫২৯৯৯, হিসাব নং- ১৩০০, মিটার বহি নং ৮১৪) এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। সেখানে প্রতিদিন প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে ৬০ থেকে ৭০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। তাছাড়া সেখানে কমলমতি শিশুদের টিক প্রদান ও করা হয়। এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। তবে এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে জানিয়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ ও এলাকার সুধী মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন রোগীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3fef2501ad15177a5d511502bc4beac0নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বোমা তৈরির সময়ে তা বিস্ফোরণে দুই ডাকাত গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার বাজারগ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের গ্রামের মৃত দবিরউদ্দীন গাজীর ছেলে ডাকাত ফজর আলী গাজী (৬০) ও কালিকাপুর গ্রামের মৃত জনাব আলী শেখের ছেলে ইছা শেখ (৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের সাবেক মেম্বর শেখ জামাল উদ্দীনের পরিত্যক্ত ভিটায় বসে তারা দুজনে বোমা তৈরি করছিল। হটাৎ অসাবধানবশতঃ সেটি বিস্ফোরিত হয়ে বিকট আওয়াজ হয়। স্থানীয়রা বিকট আওয়াজ শুনে সেখানে গিয়ে বোমার স্প্রিন্টারে গুরুতর আহত ডাকাত ফজর আলী গাজী ও ইছা শেখকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের আশংকাজনক অবস্থায় পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম ককটেল তৈরির সময় দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে জানান, গুরুতর আহত দুইজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারী মাসুদ রানাসহ ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৭জন, কলারোয়া থেকে ৬ জন, তালায় ৫ জন, কালিগঞ্জে ৫ জন, শ্যামনগরে ৩ জন, আশাশুনিতে ২জন, দেবহাটায় ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা ২ জন আটক করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারী নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় চেয়ারম্যান মনিরুলসহ তাঁর দুই সহযোগী চৌকিদার ইসলাম ও জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে সাতক্ষীরা সদর থানাহাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোববার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের নির্যাতন ও প্ররোচনায় আত্মহননকারী নারী আফরোজা খাতুনের (১৬) লাশের ময়নাতদন্ত রোববার সকালে সম্পন্ন করা হয়েছে। আফরোজার পরিবারের সদস্যরা জানান, আফরোজা নিজ বাড়িতে দর্জির কাজ করতেন। গত শুক্রবার দুপুরে কাজের ফাঁকে বাড়ির পাশে সোনাবাড়িয়ায় হাসানের দোকানে যান মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে। তাঁরা জানান, এ সময় পলাশ নামের এক যুবক আসে হাসানের কাছে তার পাওনা টাকা নিতে। এক পর্যায়ে পলাশ ও আফরোজাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয় হাসান ও তার বন্ধু হাফিজ। পরে তারা চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে। পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে টেলিফোনে জানানো হয়। চেয়ারম্যান পলাশ ও আফরোজাকে ধরে আনতে বলেন। হাসান ও হাফিজ তাদের দুজনকে বেঁধে নিয়ে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, এরপর বিচারের নামে মেয়েটিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাস করেন চেয়ারম্যান মনিরুল। আফরোজা চেয়ারম্যানকে জানায়, সে কারো সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়নি। একপর্যায়ে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেন চেয়ারম্যান মনিরুল। এ জন্য পলাশের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করে তাঁকে নির্দোষ বলে ছেড়ে দেন। আর আফরোজাকে নানাভাবে অপমানিত করে মারধর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান। এরপর, আফরোজা বাড়িতে গেলে তার চাচা আবদুল হাকিম ও আবদুর রাজ্জাক আবারও তাকে মারধর করেন। এই অপমান সইতে না পেরে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আফরোজা। এদিকে, এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যেয়ে আফরোজার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। এ ব্যাপারে আফরোজার ভাই ইsatchearmanব্রাহীম খলিল শনিবার রাতে ৭জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামীরা হলেন, চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, হাফিজ, হাসান, চৌকিদার ইসলাম, জয়, হাকিম (আফরোজার চাচা) ও পলাশ। ওসি আরো জানান, শনিবার রাতেই এ মামলার অন্যতম আসামী চেয়ারম্যান মনিরুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest