সর্বশেষ সংবাদ-
সরকারি কে বি এ কলেজের শিক্ষক এর বিদায় সংবর্ধনাসাতক্ষীরা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় আনন্দ মিছিলসাতক্ষীরা জেলা গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশবুধহাটায় সার ও মিষ্টির দোকানে মোবাইল কোর্ট: জরিমানা ৩০ হাজার টাকাদরগাহপুরে বাড়ির লোকদের অজ্ঞান করে লুটপাটবিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সার্বিক কার্যক্রমের উপর গণশুণানীহত্যা মামলায় পলাতক প্রধান শিক্ষক আ: মান্নান: শ্যামনগরের নকিপুর পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেন শাহাদাৎসাতক্ষীরায় ১৪৪ জন পেশাজীবী গাড়ি চালক পেল লাইসেন্স নবায়নসাতক্ষীরায় অশোক লেল্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধনসাতক্ষীরায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা: গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

_92638554_923b4da1-5bfa-449f-8d22-6ab86eeede7fআন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বার্মিজ সরকার এ পর্যন্ত যা বলছে তা সবই মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন একজন রোহিঙ্গা নেতা।
ব্রিটেনে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা নুরুল ইসলাম বলেছেন, “বার্মিজ সরকার এ পর্যন্ত যা বলেছে সবই মিথ্যা কথা, বিশ্বাসযোগ্যই না”।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতির পেছনে আরএসও’র বিদ্রোহী তৎপরতা অনেকাংশে দায়ি বলে মিয়ানমারের সরকার দাবি করছে। তবে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গনাইজেশনের চেয়ারম্যান ইসলাম বলেন, ওই সংগঠন বিলুপ্ত। এর কোনও কার্যক্রমই নেই। বার্মার কর্তৃপক্ষের এ বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য না।
রোহিঙ্গা এই নেতা বলেন, “আরাকানে নতুন করে সংকট সৃষ্টির পর কমপক্ষে পাঁচশো মানুষ মারা গেছে। দেড়শোর বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণকে তারা ব্যবহার করছে অস্ত্র হিসেবে”।
এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের নজরদারির মাঝেও মিয়ানমার থেকে গত কয়েকদিনে বহু রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কক্সবাজারের টেকনাফে ঢুকে পড়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঢোকার জন্য নাফ নদীর ওপারে জড় হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অক্টোবর মাসে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরু হবার পর থেকে জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশী মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রশংসা করতে হবে। সেখানে অনেক রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই আছে। প্রায় ৪/৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে সেখানে। সেখানকার লোকজনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
তিনি বলেন, ২০১২ সালে যখন রোহিঙ্গারা আসতে চেষ্টা করেছিল, বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কিন্তু পারেনি। পরে কিছু লোক ঠিকই ঢুকে গেছে এবং মানবপাচারের শিকার হয়ছিল।
রোহিঙ্গাদের সর্বসাম্প্রতিক সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন এই রোহিঙ্গা নেতা। “বার্মিজ সরকার রোহিঙ্গাদের যেখানে জুলুম নির্যাতন করছে সেখানে তাদের আভ্যন্তরীন কোনও সুরক্ষা নাই। এখন আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা নাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে এটা আলোচনা করে এ বিষয়ে বাধ্য-বাধকতা তৈরি করতে হবে”।
“বাংলাদেশেও আসতে দিচ্ছেন না, বার্মাতে থাকতে পারছে না। তাহলে যাবে কোথায় তারা?” প্রশ্ন তুলে রোহিঙ্গা এই নেতা বলেন, মংডু জেলায় তাদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা তৈরি করে দিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

su-14শিক্ষা ডেস্ক: মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছরই আমস্টারডাম এক্সিলেনস শিক্ষাবৃত্তি দেয় নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।

সম্প্রতি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডাম। বৃত্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়টির আমস্টারডাম ল স্কুল, অর্থনীতি ও ব্যবসায় অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, মানবিক গ্র্যাজুয়েট স্কুল ও সামাজিক বিজ্ঞান গ্র্যাজুয়েট স্কুল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যাবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আকর্ষণীয় বৃত্তি পাবেন। একজন স্নাতক শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা ও বসবাসের খরচ বাবদ এক বছরে ২৫ হাজার ইউরো দেওয়া হবে, বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য দাঁড়ায় ২১ লাখ টাকা। তবে বৃত্তির মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

স্নাতক শ্রেণি পর্যায়ে মেধাতালিকায় শীর্ষ ১০ শতাংশের মধ্যে থাকলেই আবেদন করা যাবে এ বৃত্তির জন্য। সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সঙ্গে স্নাতকের বিষয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইএ) দেশগুলোর কোনো শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের বিভিন্ন গ্র্যাজুয়েট স্কুলের মাধ্যমে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ওয়েবসাইটে ভর্তিসংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। গ্র্যাজুয়েট স্কুলভেদে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি বা ১ ফেব্রুয়ারি।

আমস্টারডাম এক্সিলেনস শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বৃত্তিটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (http://bit.ly/1kxo0JI) ঠিকানায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479996229আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হের ৩৬০ প্যাকেট ভায়াগ্রা কেনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে পার্কের আফ্রিকা সফরের সময় এই বিপুল ভায়াগ্রা কেনা হয়। বিপুল এই ভায়গ্রা কেনা নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম। আর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন এই প্রতিবেদন দেশটিতে বিপুল বিতর্ক তৈরি করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অনলাইন সংবাদমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ডের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, গত মে মাসে আফ্রিকা সফরে ইথিওপিয়া, উগান্ডা ও কেনিয়া গিয়েছিলেন ৬৪ বছর বয়সী নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক। এই সফরের শেষ পর্যায়ে আফ্রিকা গিয়ে ভায়াগ্রা কেনেন পার্কের প্রেমিক বলে পরিচিত চোই সুন সিল। আর এই বিপুল ভায়াগ্রা কেনার সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট পার্ক!
কোরিয়া হেরাল্ড প্রমাণ হিসেবে কেনিয়ার অবকাশকেন্দ্রের পাশের ওষুধের দোকান থেকে চোই সুন সিলের স্বাক্ষর সংবলিত রশিদের অনুলিপি প্রকাশ করে। আর প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট থাকার কথা জানায়।
এদিকে জনসম্মুখে আসতেই প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়। পরে অবশ্য কোরিয়া হেরাল্ডের অকাট্য প্রমাণের মুখে খবরটি আংশিক সত্য মেনে নিয়ে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এমন আরো অনেক ওষুধ কেনা হয়েছে যা ক্লান্তি দূর করতে ও বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য এই ঔষধ কেনা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এদিকে আন্দোলনের এই সময়ে পার্কের ‘ভায়াগ্রা কেলেংকারি’ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে পার্কের দল সেনুরি পার্টিতেও। দলটির অনেক নেতাই পার্কের প্রেমিকের সুবিধা নিয়ে চোই সুন সিলের বিভিন্ন অবৈধ কর্মকা-ের বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

9f9f7340f93a4c1f8ba9bcc3402d05a4-5836ed21c7c8eআন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করতে (এথনিক ক্লিনজিং) তাদের ওপর হত্যা-ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন- ও ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া এবং লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে এই অভিযোগ করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ওই মুখপাত্র জন ম্যাককিসিক বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষীরা মিলে জাতিগত নির্মূলের এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের হিসেবে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ৮৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৩০,০০০ মানুষ।
জাতিসংঘের দাফতরিক সংজ্ঞা অনুযায়ী এথনিক ক্লিনজিং অথবা জাতিগত নিধন হলো সেই প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে ‘হুমকি দিয়ে অথবা শক্তি প্রয়োগ করে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভূখ- থেকে বিভিন্ন জাতিগত অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নির্মূল করে একক জাতিগত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়।’ ওপর হত্যা-ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ ওই নির্মূল প্রক্রিয়ারই অংশ।
২০১২ সালে উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের সরকারের মদদপুষ্ট তা-বে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা হত্যাকা-ের শিকার হন। ঘর ছাড়তে বাধ্য হন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। আর এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে  ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তারা বলছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইসলামী চরমপন্থা দমনে কাজ করছেন তারা। সেখানে সংবাদমাধ্যমকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মিয়ানমারে রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দেশ তাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করে থাকে। রাখাইন রাজ্যে চলমান দমন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়িটি অস্বীকার করেছে সে দেশের সরকার। রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে বলেও দাবি করছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়  নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই চেনে। জাতিসংঘের অবস্থানও আলাদা নয়। সে কারণেই মিয়ানমারকে জাতিগত নিধন চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তারা।
বাংলাদেশ নীতিগতভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিরোধী হলেও এখানকার বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে তারা জানিয়েছে,  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরও অনেক বিপন্ন মানুষ সীমান্তে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের চেষ্টায়।
শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ম্যাককিসিক বলেন,  ৯ অক্টোবরে ৯জন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা মিলে ‘সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘবদ্ধ প্রতিশোধ’ নিচ্ছে। তারা দাবি করছে, রোহিঙ্গারাই ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত।
জন ম্যাককিসিক বলেন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে ‘মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে, শিশুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে, লুটপাট চালাচ্ছে, নদী পেরিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে’।
‘এখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বলা খুব কঠিন যে তারা সীমান্ত উন্মুক্ত করে রেখেছে। কেননা এতে মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন প্রক্রিয়াকেই ত্বরান্তিত করা হবে। চূড়ান্ত অর্থে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা হত্যাকা- এবং তাদের বিতাড়ন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।’ বলেন ম্যাককিসিক।
বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে ভৎসনা করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাখাইন রাজ্যে সেনা দমনকে ‘গভীর উদ্বেগ’-এর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৪০ দিন ধরে রাখাইন রাজ্যে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলো। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন। ‘আমাদের সহায়তার মূল উদ্দেশ্য হলো তারা যেন বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য না হয়।’ সম্প্রতি রয়টার্সকে বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার একজন মুখপাত্র।  তবে তারপরও যারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, বাংলাদেশকে তাদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে তাও বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। রাখাইনে নতুন করে গঠিত ইনফরমেশন ট্রাক্সফোর্স-এর সদস্য এবং প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জ তাই দাবি করেন, এ নিয়ে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কোনও আলামত তারা পাননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ বগুড়ার মহাস্থানগড় সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেল। বৃহস্পতিবার সার্ক কালচারাল সেন্টারের ঢাকায় সফররত পরিচালক ওয়াসান্থে কোতুবেলার নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল এ ঘোষণা চূড়ান্ত করে। আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রাচীন পু-্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পু-্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় সুমহান ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে সারা বিশ্ব আমাদের এই প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে জানবে। আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এর ফলে যেমন প্রসার পাবে, আবার এর মাধ্যমে পর্যটনের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক সাড়া মিলবে।’
২০১৫ সাল থেকে সার্ক কালচারাল সেন্টার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোনো একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলকে সার্কের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে আসছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে দেশগুলোর স্থান বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আফগানিস্তানের বামিয়ানকে গত বছর সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। মহাস্থানগড়কে যে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে, তা গত বছরই জানানো হয়েছিল বলে জানান বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। ২০১৭ থেকে এক বছরের জন্য মহাস্থানগড় সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে থাকবে।
খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে মহাস্থানগড়ে মানববসতির চিহ্ন পাওয়া যায় বলে জানান এ অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্যের গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। মহাস্থানগড়কে সার্কের রাজধানী হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘোষণাকে সঠিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, ‘কেবল ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। এই সাংস্কৃতিক রাজধানীকে পর্যটন ও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কাজে লাগাতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পর্যটন বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হওয়ার পর মহাস্থানগড়ে সারা বছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শুধু সেখানেই নয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান চলবে। এসব অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সম্ভারকে।
১৮৭৯ সালে প্রাচীন পু-্রবর্ধন রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রতœতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম। পু-্ররাজ্যের রাজধানী বর্তমানের রাজশাহী, দিনাজপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, পু-্র সিলেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে মনে করা হয়। তবে এর যথার্থ প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
বগুড়ায় আনন্দ মিছিল: বগুড়া প্রতিনিধি জানান, সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করায় বগুড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনন্দের বন্যা বইছে। ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে আনন্দ মিছিল বের করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এতে সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মী এবং সংগঠকেরা ছাড়াও নানা পেশাজীবীরা অংশ নেন।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মহাস্থানগড়কে ঘিরে রয়েছে পু-্র সভ্যতার কয়েক শ বছরের ইতিহাস। সার্কের রাজধানী ঘোষণার ফলে মহাস্থানগড় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। এর ফলে বগুড়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আঞ্চলিক লোক ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা সহজ হবে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে। এতে শুধু বগুড়ার সংস্কৃতি বিকশিত হবে না, হোটেল-মোটেল ব্যবসা ও খাবারের হোটেল ব্যবসা, নকশিকাঁথা, হস্তশিল্পের বিকাশ ঘটবে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু দই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাবে। এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি চাঙা হবে।
কবি ও লেখক তোফাজ্জল হোসেন (শোয়েব শাহরিয়ার ) বলেন, ইতিহাসের দলিল অনুযায়ী মহাস্থানগড়ে প্রাচীন ১৬টি সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে পুরোনো এই সভ্যতা এত দিন সুপ্ত ছিল। সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণার মাধ্যমে এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল এবং পু-্র নগরের প্রাচীন ইতিহাসের দ্বার উন্মোচিত হলো।
সার্ক কালচারাল সিটি ঘোষণায় আবেগাপ্লুত বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আশির দশকে ইয়্যুথ কয়্যারের মাধ্যমে বগুড়ার আঞ্চলিক গান দেশজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছিলাম। এখন সার্কের রাজধানী হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বগুড়ার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি তুলে ধরা সহজ হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎয়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ উপলক্ষে তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে শতভাগ শুভ বিদ্যুৎয়ানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এসময় পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার রবিন্দ্র নাথ দাস, জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক প্রণাব ঘোষ বাবলু, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ১৪দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ১০ম দিনের জাঁকজমকপূর্ণ খেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে জয়লাভ করে সদর উপজেলা দল সেমিফাইনালে খেলার জন্য উন্নীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযেগিতায় ৬ষ্ঠ জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ১০ম দিনের খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এাইনুদ্দিন,জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, নির্বাহী সদস্য ইমাদুল হক খান, আনোয়ার হোসেন আনুসহ অসংখ্য ক্রীড়ামোদি দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন। শ্যামনগর উপজেলা দল প্রথমার্ধের খেলায় ১টি গোল করে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় গোল পরিশোধের জন্য তুমুল আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১০ম  দিনের খেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শ্যামনগর উপজেলা দল। খেলার রেফারী ছিলেন আব্দুল গফ্ফার। সহকারি রেফারী ছিলেন রফিক, নাসির ও আসাদ। আজ শুক্রবার খেলবে আশাশুনি উপজেলা দল বনাম কলারোয়া উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479998688সারা দেশে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের সমর্থন চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণভবনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বিষয়ে দলটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়।

এ বৈঠক থেকে জেলা পরিষদে দলীয় সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়।

আবেদন যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের গত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল জনমত ও জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি জেলায় দলের সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে।

আগামী মাসে সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest