নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের গৌরব অর্জন ও নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে রুমানা ইয়াসমিন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছেন শিক্ষার্থী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগের রুমানা ইয়াসমিন। রুমানা ইয়াসমিন ভূগোল বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে ১ম বর্ষে জিপিএ ৩.৭১, দ্বিতীয় বর্ষে জিপিএ ৩.৫২, ৩য় বর্ষে জিপিএ ৩.৬৯ এবং চতুর্থ বর্ষে জিপিএ ৩.৮২ পেয়ে মোট সিজিপিএ ৩.৭১ পায়। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের মো. অলিউল ইসলাম ও রাজিয়া বেগমের একমাত্র কন্যা। তার পিতা একজন সফল কৃষক ও মাতা গৃহীনি। ২০১৪ সালে ভূগোল বিভাগ থেকে মোট ২৯ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশের হার এবং সি.জি.পি.এ অনুসারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ৪র্থ বর্ষের ফলাফলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভূগোল বিভাগ ১ম স্থান অর্জন করেছে।
রুমানা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভালো রেজাল্ট করতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস ছিল এমন ভালো কিছু করবো। আসলে ভালো কিছু করতে হলে, অনেক বেশি পরিশ্রমী হতে হয়। তবেই ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। সত্যিই এমন সাফল্য অর্জনের পিছনে আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অকল্পনীয়। তবে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ভূগোল বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু না থাকায় আমাকে যশোর এম.এম কলেজে ভর্তি হতে হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের সাফল্য অর্জন করবো এই আশা রাখছি এবং ভবিষ্যতে বিসিএস পরীক্ষায় টিকে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে ব্রত রাখতে চাই।’
রুমানা ইয়াসমিনের বাবা অলিউল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা আসলেই অকল্পনীয়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সে আরো ভালো কিছু করতে পারবে। পড়াশুনার পাশাপাশি সে যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। আমি দোয়া করি ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে নিজের জীবনকে যেন সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।
ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক আনম গাউছার রেজা বলেন, রুমানা ইয়াসমিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফলে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আমাদের বিভাগের একজন একনিষ্ঠ, দায়িত্ববান ও পরিশ্রমী ছাত্রী। সে নিয়মিত ক্লাস ও ক্লাসে অত্যন্ত মনোযোগী ছিল। শিক্ষার প্রতি তার এ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাস যদি ধরে রাখতে পারে তাহলে সে অনেক বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ বলেন, ‘আমাদের মূল কথা হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ বরাবরই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে আসছে। অনার্স পর্যায়ে আমাদের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী রুমনা ইয়াসমিন যে সাফল্য অর্জন করেছে এ জন্য কলেজের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তবে আমাদের কলেজের শিক্ষক ও আসন সংকট মারাত্বক রুপ নিয়েছে। অনার্স পর্যায়ে প্রতি বিভাগে ১২জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলে এখানে আছে মাত্র ৩/৪ জন। আমরা আশা করি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স পর্যায়ে আসন বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখে তাহলে আমরা আরো ভালো ফলাফল করতে পারবো।



স্বাস্থ্য ও জীবন: গ্রামের মেয়েদের দিনের শেষে পানি ভর্তি কলসি নিয়ে ঘরে ফেরার দৃশ্য খুবই পরিচিত। সেই কলসি হয় মাটির তৈরি নয় তামার। নানী-দাদীদের সময় থেকে চলে আসছে এ ঐতিহ্য। বর্তমানে আমরা পানি সংরক্ষণে নানা ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দেশ হিসেবে পাঠকের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। লন্ডনভিত্তিক ট্রাভেল গাইড বিষয়ক ওয়েবসাইট রাফ গাইডস বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দেশের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
তা রয়েছে। দেশটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক দিয়েও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ ছাড়া বৈচিত্র্যময়তা দেশটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাস। দেশটির কয়েক হাজার দ্বীপে এদের বাস।
বিনোদন ডেস্ক: শুধু নাচ-অভিনয় নয়, রূপ দিয়েও সবাইকে মুগ্ধ করেছেন বলিউড নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। কিন্তু বয়স তো আর বসে থাকে না। সময় তার ছাপ রেখে গেছে চেহারায়। মাধুরীর সেই চেহারাটা কেমন তা জানতে বলিউড প্রেমীদের আগ্রহের কমতি ছিল না। মেকআপ ছাড়া তাদের ক্যামেরাবন্দী করাই মুশকিল। ঘর থেকে তারা মেকআপ ছাড়া বেরই হন না।
ন্যাশনাল ডেস্ক: বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গৌরবোজ্জল অধ্যায়। বাংলা ভাষার প্রতি নি।স্বার্থ ভালোবাসা থেকে বায়ান্নর ভাষা সংগ্রামীরা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বুলেটের সামনে নিজেদের বুক পেতে দিয়েছিলেন। তখনকার সময়ের ছাত্র-শিক্ষক-জনতার বুকের সেই রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রাণের বাংলা ভাষার অধিকার। প্রায় দেড় যুগ আগে থেকে ভাষা শহীদদের বিরল এই আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে সারাবিশ্বের মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে কতোটুকু জানতে পারছে? বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের অবস্থা একেবারেই নাজুক। দু:খজনক হলেও সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলেক্ষ্যে রাজধানীর একটি ‘স্বনামধন্য’ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একটি ব্যানার আমরা লক্ষ্য করেছি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ভাষা শহীদদের ছবির বদলে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি! এর মানে হচ্ছে, ইংরেজি মাধ্যমের ওই স্কুলের শিক্ষক ও দায়িত্বশীলরা বায়ান্নর ভাষা শহীদ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠদের কাউকেই চেনেন না! আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে তারা শিক্ষার্থীদের কী শেখাচ্ছেন তা এই ঘটনা থেকে সহজেই বুঝা যায়। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়, বরং এর আগে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মরণে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলের ব্যানারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেগম রোকেয়া হলের’ শিক্ষার্থীরা দিয়েছিল আরেক মহীয়সী নারী নুরজাহান বেগমের ছবি! সেখানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও তারা শিক্ষার্থীদের এই ভুলের বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরা মনে করি, বিষয়গুলো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিছক ভুল নয়, বরং জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সীমাহীন উদাসীনতার বহি:প্রকাশ। পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর পাঠ্যবইয়ে আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস বাদ দিয়ে তাদের নিজস্ব পাঠ্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতার লাগাম শক্ত হাতে টেনে ধরতে হবে বলেও আমরা মনে করি। তাছাড়া আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে ইংরেজিটা ভালোভাবে শিখছে সেটাও কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি না। এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেবে দেখা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। একইসঙ্গে ভাষার মাসে ওই ভুলের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ওই স্কুলে পড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের জাতিসত্তার গৌরবোজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে তাদেরকে জানতে বাধ্য করতে হবে। তারা কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই ব্যানার করালেও নিজেরা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না। এটা কোনভাবেই ব্যানার তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মীর ভুল বলে গণ্য হতে পারে না।
বিনোদন ডেস্ক : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ (নো বেড অব রোজেস) চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।