সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পানির ট্যাংক বিতরণবিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশু খাদিজারসাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক নোটিশ ছাড়াই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার দোকান লুটপাটের অভিযোগআশাশুনিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতারশ্যামনগরে একহাজার বিঘা জমির মালিকদের বকেয়া হারির টাকা পরিশোধ না করায় মানববন্ধনসাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভদেবহাটায় জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস পালনে প্রস্তুতি সভাদেবহাটায় সাংবাদিক তারেকের উপর হামলায় রিপোর্টার্স ক্লাবের নিন্দাশ্যামনগরে বজ্রপাতে ঘের কর্মচারির মৃত্যু

dsc07557-large
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের দায়িত্বভার গ্রহণ উপলক্ষে সংবর্ধা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা পরিষদ চত্বরে এ সংবর্ধা প্রদান করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এ এন এম মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ মিসেস রিফাত আমিন, তালা-কলারোয়া সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ মোখলেছুর রহমান, এড. এস এম হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবিব অয়ন, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী,  আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান সনৎ কুমার ঘোষ, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি ও তালা উপজেলা খলিশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফার রহমানসহ জেলা আওয়ামীলীগের, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ। দায়িত্বভার গ্রহণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ একটি অন্যতম জেলা পরিষদ হিসাবে সমগ্র বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। জেলা পরিষদ সমগ্র সাতক্ষীরা জেলাবাসীর পরিষদ। আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি আপনাদের কল্যাণে। আমি আজ থেকে চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারে বসবো। আমি মানুষ হিসাবে চলতি পথে ভূল করতে পারি। আপনারা আমাকে যেভাবে ভোট দিয়ে সহযোগীতা করেছেন সেভাবে আমাকে নিজের লোক মনে করে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবেন। আপনাদের সকলের সহযোগীতা আমার চলার পথকে আরোও সচল করবে। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি সকল ভেদাভেদ ভুলে শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন সেটি বাস্তবে রুপান্তিরিত হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা করেছিলেন। আমার সেই ২১ সালের আগেই নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছি। এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমুদ্ধশালী দেশ হিসাবে পরিনত হবে। জেলা পরিষদে যে বাজেট আসবে তা পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে জনগনের কাজে লাগে সেভাবে বাজেট ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা পেলে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদকে একটি দূর্নীতিমুক্ত জবাবদিহীতা মূলক জেলা পরিষদে রুপান্তরিত করা সম্ভব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ “বাল্য বিবাহ, মাদক ও জঙ্গীবাদকে না বলুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় একতা যুব সংঘের আয়োজনে মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্ত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম আলী‘র সভাপতিত্ব এবং সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জাফরুল্লাহ ইব্রাহীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার সেকেন্ড অফিসার অমল কুমার রায়, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, তারালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুল হুদা কবির খোকন, সমাজ সেবক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর। বাল্যবিয়ে, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের তথ্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, সাংবাদিক শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, জিল¬ুলর রহমান, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি শেখ তৌহিদুর রহমান, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী বরুণ কুমার ঘোষ, আশরাফুল বারী, একতা যুব সংঘের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম মিলনসহ সকল সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বহিরাগত শিল্পীদের সমন্বয়ে গভীর রাত ব্যাপি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sp-alfat-copy
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :  “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদকে ভূষিত হলেন সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন। ২০১৬ সালে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এই পদকে ভূষিত করা হয়। গত ১৫/০১/২০১৭ খ্রিঃ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ শাখা-২ হতে এ সংক্রান্তে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৩/০১/২০১৭ খ্রিঃ তারিখ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা সহ সকল পদকপ্রাপ্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক পরিয়ে দেবেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহে ২০১৬ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৬ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৪১ জন পুলিশ সদস্যকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৪ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা, ৪১ জন পুলিশ সদস্যকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদক প্রদান করা হচ্ছে। পিপিএম-সেবা পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

20170116_130653-large
শ্যামনগর প্রতিনিধি: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সারি ও স্বদেশের আয়োজনে শ্যামনগর সুনাম কমিটির সদস্যদের মধ্যে মানবাধিকার সুরক্ষিত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়। সোমবার সকল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীতে ২৩ জন প্রশিক্ষণার্থীদের উপস্থিতিতে ২ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, এ সময় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা সুনাম কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত, শ্যামনগর বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ নন্দী সাগর। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান,সাথে সাথে সমাজ সেবায় অবদান রাখতে আহবান জানান। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সারির প্রকল্প সমন্বয়কারী রঞ্জন বকসি, সহযোগী হিসাবে ছিলেন এডভোকেসি অফিসার পলাশ দাস, প্রোগ্রাম অফিসার অলোক পাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ফিচার: বিয়ে হয়েছে তার মানে এই নয় যে, কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে মতের অমিল হতে পারবে না। দুজন মানুষের ভালোলাগা-মন্দলাগা হুট করেই তো আর বদলে ফেলা যায় না। তাই সব জায়গাতেই যে দুজনের মতের মিল থাকতে হবে, এটা ভাবা ঠিক না। তবে এটাও ঠিক যে, মতের মিলের অভাবের কারণেই সম্পর্কের ওপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই আগে বুঝতে হবে কোন বিষয়গুলোতে অসম্মতি জানালে সম্পর্কের কোনো অবনতি হবে না। এ ক্ষেত্রে আইডিভা ওয়েবসাইটের এই তালিকা আপনাকে সাহায্য করবে। ১. হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আপনারা যদি একই ধরনের বই পড়তে পছন্দ করেন, তাহলে এ বিষয়ে কথা বলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন। তাই বলে সঙ্গীর পছন্দ, এ কারণে তার বাছাইকৃত বই আপনাকে বাধ্য হয়ে পড়তে হবে এমনটা ভাবা ঠিক না। আপনি আপনার ইচ্ছামতো পছন্দের লেখকের বই পড়ুন। এ বিষয়ে আপনার অসম্মতি খুবই স্বাভাবিক। ২. টিভিতে কোনো রিয়েলিটি শো বা সিনেমা বাধ্য হয়ে সঙ্গীর পছন্দের কারণে আপনাকেও দেখতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার সেই অনুষ্ঠান ভালো নাও লাগতে পারে। এখানে অসম্মতি জানালে আপনাদের সম্পর্কের খুব একটা অবনতি হবে না। ৩. সঙ্গী যদি আপনার বন্ধুদের বদলে ফেলতে বলে, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে আপনি অসম্মতি জানাবেন। কারণ, আপনার বন্ধুরা বহুদিন ধরে আপনার জীবনে রয়েছে। নতুন একজন মানুষের জন্য পুরোনো সবাইকে ভুলে যাবেন, এটা কি হয়? ৪. একজন আরেকজনের পরিবার সম্বন্ধে কী ধারণা রাখেন, এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সঙ্গীর পরিবারের মানুষকে সম্মান দেন, তাহলে সঙ্গীরও উচিত আপনার পরিবারের মানুষকে সম্মান করা। সে যদি আপনার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর কোনো কথা বলে, তাহলে এ বিষয়ে অবশ্যই তার সঙ্গে অসম্মতি জানাবেন। ৫. অবসরে আপনি কী করবেন, এটা নিশ্চয়ই সঙ্গী ঠিক করে দেবে না। এ বিষয়ে সঙ্গী যদি কোনোরকম নিজের পছন্দ আপনার ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে অবশ্যই অসম্মতি জানাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিনেদন ডেস্ক: আত্মজীবনীতে কাজল ও শাহরুখের সঙ্গে বন্ধুত্বে ফাটল কিংবা নিজের যৌনজীবন নিয়ে কথা বলতে বলিউডের পরিচালক করণ জোহর একবিন্দুও দ্বিধায় ভোগেননি। অপ্রকাশিত আত্মজীবনী বইতে তাঁর বর্তমানের বন্ধু কারিনা কাপুরের সঙ্গে ২০০২ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন অকপটে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে। করণ জোহর তাঁর আত্মজীবনী ‘অ্যান আনস্যুটেবল বয়’-এ প্রকাশ করেছেন যে, কারিনা ও তিনি একে অন্যের সঙ্গে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেননি।  ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর এই পরিচালক তাঁর বইতে আরো লিখেছেন, ‘আমার প্রথম সমস্যা হয় কারিনার সঙ্গে। সে কাজ করার জন্য আমার কাছে অনেক বেশি টাকা চায় এবং এ কারণে সে সময় আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। কুনাল কোহলি পরিচালিত ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ তখন সবেমাত্র মুক্তি পেয়েছিল। কারিনা তখন বলেছিল, আদিত্য চোপড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট কুনাল কোহলির কারণে ছবিটা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। তাই করণ জোহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট নিখিল আদভিসকেও বিশ্বাস করতে পারছি না।’৪৪ বছরের এই পরিচালক ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে লেখেন, “‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ ছবিটি মুক্তির পর আমি কারিনাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে কাজ করার জন্য বলেছিলাম এবং সে সময় শাহরুখকে যত টাকা দিই, ঠিক সেই পরিমাণ টাকাই সে চেয়েছিল। আমি তখন তাঁকে দুঃখিত বলেছিলাম।” কারিনার এই অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে করণ জোহর খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। আর এ কারণেই তাঁরা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কেন করণ জোহর প্রীতি জিনতাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে নিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন আমি আলোচনার রুম থেকে বের হয়ে এসেছিলাম এবং কারিনাকে ফোন করেছিলাম। সে আমার ফোন ধরেনি। আমি বাবাকে বললাম, আমরা কারিনাকে নিচ্ছি না। আর ওর পরিবর্তে প্রীতি জিনতাকে নিয়েছি। কারিনা ও আমি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় কথা বলিনি। এই সময়টাতে আমাদের শুধু পার্টিতেই দেখা হতো। এটা খুবই বোকার মতো আচরণ ছিল। সে একটা বাচ্চা মেয়ে, সে আমার চেয়ে ১০ বছরেরও বেশি ছোট।’ করণ আরো লেখেন, “আমরা নভেম্বরে ‘কাল হো না হো’ মুক্তি দিয়েছিলাম। জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আমরা শুটিং করেছিলাম এবং আমাকে গানের শুটিং করতে হয়েছিল, প্রোমো তৈরি করতে হয়েছিল এবং আরো অনেক কিছু। …তখন আমার বাবা নিউইয়র্কে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। ওই সময় কারিনা আমাকে ফোন করেছিল। তখন আগস্ট মাস। নয় মাস ধরে আমাদের মধ্যে কথা হয়নি। সে আমাকে ফোন দিয়ে বলল, আমি ইয়াশ আঙ্কেলের কথা শুনলাম। সে ফোনে খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল এবং বলল—আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং আমি খুবই দুঃখিত যে আমি দূরে ছিলাম, চিন্তা করো না।’ বলিউডে সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী এবং এই পরিচালক একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে, যার মধ্যে ‘গোরি তেরে পেয়ার মেয়’, ‘বোম্বে টকিজ’, ‘উই আর ফ্যামিলি’, ‘এক ম্যায় অর এক তু’ ও ‘কুরবান’ উল্লেখযোগ্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

rrrrrrrrrrrrপ্রেস বিজ্ঞপ্তি: আমার স্বামীর দোকানসহ পাশাপাশি দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। চোরচক্র বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। আমি মামলার এজাহার দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি। অথচ আমাদের প্রতিবেশি নিউ আধুনিক জুয়েলার্সে চুরির মামলাটি নিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের তুফান মোড় রাধানগরের অদ্রি জুয়েলার্সের মালিক গ্রেফতারকৃত গোপী শংকর দের স্ত্রী লীনা বিশ্বাস দে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বজন মাখন লাল দে, সমীর কুমার দে, আনন্দ বর্মন, রাকেশ দে, শিক্ষক মো. আসাদুজ্জান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লীনা বিশ্বাস দে বলেন, গত ১২ জানুয়ারি রাতে আমার স্বামী গোপী শংকর দে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে আসেন। পরদিন শুক্রবার থাকায় আমার স্বামী দোকানে যান নি। শনিবার সকালে জানতে পারেন রাতের কোনো এক সময়ে আমার স্বামীর দোকান অদ্রি জুয়েলার্স ও পার্শ্ববর্তী নিউ আধুনিক জুয়েলার্সে চুরি হয়েছে। খবর পেয়ে আমার স্বামীসহ আমরা দোকানে যেয়ে দেখতে পাই  চোরচক্র আমাদের দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে সিন্ধুকের তালা ভেঙ্গে খরিদ্দারের  জন্য প্রস্তুত সাত ভরি ওজনের স্বর্নালংকার ও নগদ ১৪ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া পাশের দোকান নিউ জুয়েলার্সে ঢুকে চোরেরা বিভিন্ন ধরনের অলংকার চুরি করেছে বলে জানতে পারি।
সংবাদ সম্মেলনে লীনা বিশ্বাস দে জানান পুলিশ নৈশ প্রহরী ওলিকে আটক করে । আমার স্বামী গোপী শংকর দেকেও পুলিশ তুলে নেয়। এ সময় পুলিশ বলে গোপীকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান আজ রোববার আমার  নিরপরাধ স্বামীকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। লীনা বিশ্বাস দে আরও বলেন আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমি বাদী হয়ে আজ রোববার থানায় আমাদের দোকানে চুরির বিষয়ে একটি এজাহার দেই। কিন্তু  সদর থানার অফিসার ইন চার্জ আমার দেওয়া এজাহারটি গ্রহন করেনি নি। একই সাথে একই রাতে পাশাপাশি দুটি জুয়েলারি দোকানে চুরি হলো, পুলিশ একটির মামলা নিলো অথচ আমারটির মামলা নিলো না কেনো, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ন্যায় বিচার পাবার লক্ষ্যে লীনা বিশ্বাস দে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

03-1অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন র‍্যাবের সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র‍্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।

সাত খুনের মামলায় মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁরা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর। কারাগারে থাকা বাকি আসামিরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তাঁর সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার ও মোর্তুজা জামান (চার্চিল)।

পলাতক আসামিরা হলেন করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান এবং নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest