সর্বশেষ সংবাদ-
প্রথম আলো বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যা সমাজ বদলে কাজ করেজামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা খলিলুর রহমানের পিতার মৃত্যুজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস সফল করতে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের প্রস্তুতি সভাসাতক্ষীরায় একটি ৯ এমএম পিস্তল, গুলি, ১লক্ষ ইরাকি দিনারও নগদ টাকাসহ ২ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটকভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণশ্যামনগরে জেলা প্রশাসকের সাথে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের মতবিনিময় সভাদেবহাটায় জামায়াতের অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশশিক্ষক ও এনজিওকর্মী শম্পা গোস্বামীকে হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

full_2127363706_1476659306ডেস্ক রিপোর্ট: ঝালকাঠির দুই বিচারককে হত্যার দায়ে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা জেলা কারাগারে এ রায় কার্যকর করা হয়। এ সময় সেখানে খুলনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন।
২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাতজনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। এরই মধ্যে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।
আসাদুলের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। আসাদুল ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। ফাঁসির দণ্ড কার্যকরকে কেন্দ্র করে কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফকে কারাগারের ৩ নম্বর কনডেম সেলে ছিলেন। দুপুর ১টা দিকে খুলনা জেলার সিভিল সার্জন এস এম আব্দুর রাজ্জাক আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
এর পর দুপুর ২টার দিকে স্ত্রী, তার দুই কন্যা, ছয় বোনসহ মোট ১২ জন আরিফের সঙ্গে কারাগারে দেখা করে। ঘণ্টাখানেক পর তারা করাগার থেকে বেরিয়ে আসে। পরে বিকেল ৫টার দিকে আরিফের স্ত্রী তার দুই কন্যাকে নিয়ে আবারো স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
আরিফের ভাইপো মো. জামাল জানান, আরিফ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, তাকে যেন অপরিচিত কোনো স্থানে দাফন করা হয়। সে কারণে আরিফকে নিজ এলাকায় দাফন না করে তার শ্বশুরবাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর তিনি আপিল করেন। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

018-2এম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরা সিটি কলেজ- এক অদ্ভুত প্রতিষ্ঠান। এখানে যিনিই ক্ষমতা পান, তিনিই নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে ওঠেন! আর এ কারণে ভবিষ্যতে কলেজটিতে শ্রেণিকক্ষে যতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবে তার চেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন অভিভাবকরা! সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ¯œাতক শ্রেণির বিভিন্ন বর্ষে শ্রেণিকক্ষে ৫/৭ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করেন। কিন্তু টিচার্স রুম গমগম করে শিক্ষকে। যেমন- গতকাল রবিবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তয় বর্ষের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী!
এদিকে, উচ্চ আদালতের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নিয়োগের নামে ঘুষ বাণিজ্য জায়েজ করতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন সিটি কলেজ প্রশাসন। অভিযোগ, পূর্বে নিয়োগকৃত নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সাত মাস ধরে বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও আবারো গত ২৮ সেপ্টেম্বর নতুন আটজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত ও জাতীয় দৈনিক সমকালে ১৮জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ওইসব পদে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজের ১৪ জন শিক্ষক গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মাহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন(৯০৮১/১৫) দাখিল করেন। মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ সাতজনকে বিবাদি করা হয়। আদালত বিবাদিদের বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের রুল জারি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিলকারি কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, হাইকোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও গত বছরের ১৫ নভেম্বর সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, দর্শন ও ভুগোলসহ কয়েকটি বিষয়ে ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। গত বছেরর পহেলা ডিসেম্বর ওইসব শিক্ষক কলেজে যোগদান করেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কলেজ অধ্যক্ষ রিট পিটিশনকারি শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশে কলেজ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করা কেন বেআইনি হবে না এবং চাকুরিবিধি অনুযায়ী কেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে না তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জবাব প্রদান করেন। বিচারাধীন বিষয়ের উপর এ ধরণের নোটিশ দেওয়া আদালত অবমামননার শামিল। শিক্ষকদের জবাব পেয়ে ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ ২০১৫ সালের মে মাস থেকে বকেয়া বেতনভাতাদিসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সুযোগ সুবিধা বর্তমান অক্টোবর মাস পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছেন, যা’ আইনের পরিপন্থী। বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষকরা চলতি বছরের ১০ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে আজো তারা কোন প্রতিকার পাননি। অথচ নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জেল খাটা জামায়াতপন্থী শিক্ষক ও কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত না হয়ে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও কলেজের অভ্যন্তরীণ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। এদিকে রিটকারি শিক্ষকদের বেতনভাতা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আইন পরিপন্থি উল্লেখ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপনকারি ওইসব শিক্ষকদের বেতন ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা জানান, গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর হ্ইাকোর্টের রুলটি চলমান থাকা স্বত্বেও হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অধ্যক্ষ আবু সাঈদ। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে রিটকারি শিক্ষকরা নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেজিষ্ট্রি ডাকডোগে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদের ০১৭২০-৫০৬০৮৩ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ বলেন, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ১৮ জন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ সম্পর্কে তিনি অবহিত আছেন। তিনি সম্প্রতি হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাড. ফরহাদ মাহমুদ উল্লাহের পাঠানো একটি উকিল নোটিশ পেয়েছেন। তাতে বিচারাধীন হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলাটি বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামীরা একের পর এক মামলার বিরুদ্ধে রিভিশন করছে বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ওসমান গনি জানায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে জেলা বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও বিএনপি নেতা রঞ্জুর নির্দেশে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলে নেতা কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তাঁর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। দীর্ঘ ১৩ বছর পর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনে ৫০ জন বিএনপির নেতা কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাজর্শীট দাখিল করা হয়। যার আদালতের জিআর নং-২৫৯/১৪। এঘটনার পর আসামীরা নি¤œ আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে আসামীরা একে একে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা মামলাটি বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে আসামী এড. আব্দুস সাত্তার চার্জের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন দায়ের (যার নং-৪৩৬/১৫) করে। রিভিশন করার পর জেলা জজ আদালত রিভিশন শুনানীঅন্তে গত ২৪ মার্চ তা খারিজ করে দেয়। রিভিশন খারিজের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে এড. আব্দুস সাত্তার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে গত ১২জুলাই তাও খারিজ হয়ে যায়। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তারা প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা মামলাটি পুনরায় বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে মামলার সিএস ভূক্ত ২৩নং আসামী জহুরুল ইসলাম জেলা জজ আদালতে আরো একটি ক্রিমিনাল রিভিশন (যার নং-১৩৮/১৬) করে। যার শুনানী গতকাল রবিবার জেলা জজ আদালতে শুনানী হয়েছে। জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. ওসমান গণি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলার মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে আসামী পক্ষরা একের পর এক মামলার বিরুদ্ধে রিভিশনর দায়ের করছে। গত রবিবার আরো একটি রিভিশনের শুনানী হয়েছে। আদালত যদি ওই শুনানী খারিজ করে দেয় তাহলে আগামীকাল মঙ্গলবার স্বাক্ষীর দিন ধার্য হবে। মামলাটি যাতে সুষ্ঠভাবে বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি এবং আসামীদের যাতে শাস্তি প্রদান করতে পারি এজন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : জালাল গাজী। অতি পরিচিত একটি নাম। কালিগঞ্জের ফতেপুরে জ্বালাও পোড়াও মামলার অন্যতম চার্জশিটভূক্ত আসামী জালাল উদ্দিন গাজী আ’লীগ নেতাদের অন্তরালে থেকে জামায়াতের কার্যক্রম ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময় কালিগঞ্জ আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন জমির দখলবাজি ও জামায়াতের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে ২০১২সালের কালিগঞ্জের ফতেপুরে নিরিহ মানুষের বাড়িতে আগুন দেয়। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি। জালাল উদ্দিন গাজী (৫০) কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুরের মৃত মান্দার গাজীর ছেলে। জালাল উদ্দিন গাজী  ২০১৩ সালের ২ ফেব্র“য়ারি দেলোয়ার হোসেনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় দেয়ার পর দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতায় তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত ছিল। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী ওই সময় এলাকার অন্যান্য জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সাথে রাস্তা কাটা, গাছ কাটা, ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াও থেকে শুরু করে সব ধরনের কার্যক্রম চালায়। এমনকি হরতালের নামে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন আরো দীর্ঘস্থায়ী করতে বিভিন্ন সময় অর্থ, খাওয়ার জন্য নইলে চাউল, পোল্ট্রি মুরগী ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করে। স্থানীয়রা আরো জানায়, পরবর্তীতে জালাল গাজী গা ঢাকা দিয়ে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও পুলিশ কে ম্যানেজ করে আবারও তার গতি ফিরে আনে। এত কিছু করার পরও তার বিরুদ্ধে একটাও সহিংসতা ও নাশকতার মামলা হয়নি। এখনও সে বুক ফুঁলিয়ে বিভিন্ন এলাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর সে শুরু করে বিভিন্ন হিন্দু পরিবারসহ বিভিন্ন মানুষের জমি দখল। বর্তমানে তার কাজ অসহায় মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে জালজালিয়াতি করে জমি দখল করা। এর জন্য স্থানীয় কিছু আ’লীগ নেতাদের মাধ্যমে সে তার কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে চায় না। কারণ সে এখন আ’লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায়। তবে তাকে বিভিন্ন সময় উপজেলা সেটেলমেন্ট, ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেক চলাচল অনেক বেশী। স্থানীয়রা জানায়, জালাল গাজী কয়েক বছর পূর্বে কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত কার্তিক মূখার্জীর সম্পত্তি তার ভাই জলিল গাজী ও পিতা মৃত মাদার গাজীর নামে রেজিষ্ট্রি করে নেয়। রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার পর তার যে প্রাপ্য টাকা না দিয়ে তাকে হুমকির মূখে জোর পূর্বক ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সেই জমি কৌশলে তাদের কাছ থেকে নিজ নামে করে নিয়ে সবাই কে ফাঁকি দেয়। যার ফলে তার ভাইদের সাথে তার দ্বন্দ্ব বাধে। এদিকে, জমি নেয়ার পর রেজিষ্ট্রিকৃত জমির ওপর বাড়িতে জালাল তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। কিন্তু অপর পুলিনের অপর ভাইরা জমি না দিলেও তাদের জমি দখল করার পায়তারা চালায়। পরবর্তীতে তা একটি শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে পুলিন ওরফে দারোগা মূখার্জীর অপর তিন ভাই পুনরায় বসবাস শুরু করে। জালাল আবারও দখলবাজিতে নেমেছে। পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে দখলের। স্থানীয়রা আরো জানায়, জালাল গাজী ২০১২সালের জ্বালাও পোড়াও মামলার চার্জশিট ভুক্ত ৬নং আসামী হয়ে ও দেশব্যাপি নাশকতা ও সহিংসতার সময় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ সে এখন নতুন করে তার ভোল পাল্টে হাইব্রীড আ’লীগ নেতা হবার স্বপ্ন দেখছে। স্থানীয়রা এব্যাপারে পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন সহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কুলিয়া প্রতিনিধি: সদর থানার আলিপুর ইউনিয়নের আলিপুর হাট খোলায় রাত ৮টায়  আলিপুর হাট-ব্যবসায়ী এ্যাসোসিয়েশন কমিটির সহ-সভাপতি খুরশীদ আলম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ডাঃ অহিদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও আলিপুর আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, মফিজুল ইসলাম ময়না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম দেবনাথ, সহ-সাংগঠিনক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহিন, প্রচার সম্পাদক আফছার আলী, আবুল হাসান ও কওছার আলী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক নিমাই চন্দ্র ও জাকির হোসেন, কার্যকারী সদস্য আতাউর রহমান, আমিরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, এবাদুল্লাহ ও বাবু। এ সময় সকল সদস্যের সর্ব সম্মতি ক্রমে কাঁচা বাজারের পট্রিতে কেউ স্থায়ী ভাবে কাঠের র‌্যাক নির্মান করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বাজারের নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাটকেলঘাটা ও আশেপাশের বাজারগুলোতে খোলামেলাভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ। বাজারে, রাস্তার পাশে এমনকি গ্রামাঞ্চলের মোড়ে মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রল,ডিজেল, সহ দাহ্য পদার্থ। পাটকেলঘাটা বাজারের মটর পার্টসের দোকান, টাইলসের দোকান, রড সিমেন্টের দোকান, কুড়োর দোকান, স্টেশনারীর দোকান এমনকি মুদি দোকানেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। ক্রেতাদের   মনযোগ আকর্ষণ করার জন্য দোকানের বাইরে রাস্তার পাশে গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখছেন দোকানীরা। গ্রামাঞ্চলের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলও ডিজেল। খরিদ্দারদের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য পেট্রোলের বোতল রাস্তার পাশে টেবিলের উপর সাজিয়ে রাখা হয়। এ সকল দাহ্য পদার্থ খোলামেলাভাবে রাখা বা বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক এবং বে-আইনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে কাঁকড়া চাষ বিষয়ক ৭দিনের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে টেংরাখালী আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আশাশুনি আত্মকর্ম সংস্থান জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭দিনের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। স্থানীয় ৪০ জন কাঁকড়া চাষীর অংশ গ্রহণে প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের। ইউপি চেয়ারম্যান দীপংকর কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আশাশুনির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অফিসের ট্রেইনার বিল্লাল হোসেন, এনজিও ট্রেইনার জহির আলিম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এসআই সুধাংশু হাওলাদার অভিযান চালিয়ে সিআর ৯৭৫/১০ মামলায় ২ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে পলাতক আসামি বড়দল গ্রামের মৃতঃ মহাতাব সরদারের পুত্র জলিল সরদারকে গ্রেফতার করেন। পিএসআই হাফিজুর রহমান অভিযান চালিয়ে সিআর ২৬/১৬ মামলায় ওয়ারেন্টের পলাতক আসামি মধ্যম একসরা গ্রামের মৃতঃ বসির সানার পুত্র আজিজ সানাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের আাদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest