বিনোদন ডেক্স:
বছরখানেক আগের কথা। বিজয় দিবস এলে লাল-সবুজ রঙের পোশাক বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তেন ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। কারণ, বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান তাঁকে উপস্থাপনা করতে হতো। এখন সেই ব্যস্ততা নেই।
এ প্রসঙ্গে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘এখন যেহেতু উপস্থাপনা করছি না, তাই ১৬ ডিসেম্বর আমার আগের মতো ব্যস্ততা নেই। পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে, কিন্তু এখনকার জীবনটাও আমি অনেক উপভোগ করি। এখন কাজের চাপ কম। ইচ্ছামতো বিশ্রাম নিতে পারি।’
উপস্থাপনা থেকে বেরিয়ে এসে নুসরাত ফারিয়া অভিনেত্রী হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। এখন পর্যন্ত বড় পর্দায় গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয় করলেও ভবিষ্যতে চরিত্রনির্ভর কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রেও অভিনয় করতে চাই। স্কুল-কলেজে মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা অনেক বই পড়ছি। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে গিয়েও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি। এবার যদি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পারি, তাহলে আমার ভালোই লাগবে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে হয়তো তখন আরো বেশি কিছু জানতে পারব। ’
নুসরাত ফারিয়া আরো যোগ করেন, ‘একজন শিল্পীকে পরিচালক বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করানোর যোগ্যতা রাখেন। আশা করছি, আমার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হবে না। ’
দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে ফারিয়া জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি শিল্পী হিসেবে গর্ববোধ করেন। বিদেশেও বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য কাজ করবেন তিনি।
গত বছর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’তে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় জনপ্রিয় উপস্থাপক নুসরাত ফারিয়ার। চলতি বছর ‘হিরো ৪২০’ ও ‘বাদশা’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ফারিয়া অভিনীত ‘প্রেমী ও প্রেমী’ চলচ্চিত্রটি।


ন্যাশনাল ডেস্ক: আজ মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যূদয়ের দিন।
আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি প্রকাশের পর সকলের ধারণা ছিল এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইবুনালে মামলার উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সকল মহান মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে হতাশ করে এদের বিরুদ্ধে আজও কোনরূপ মামলা হয়নি। কুখ্যাত রাজাকার শিরোমণি বাকি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সাথে এখনও বলে, “বাংলাদেশে আমার বিচার করার ক্ষমতা কারও নেই।”