সর্বশেষ সংবাদ-
স্কাউটদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের সমাপ্তিসাতক্ষীরা সরকারি গোরস্থান মসজিদে আলোচনায় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদসাতক্ষীরায় সেনাবাহিনীর হাতে প্রতারক চক্রের ২ সদস্য আটকআইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের মাসিক সভাসাতক্ষীরায় খেলাধুলার মাধ্যমে সুরক্ষা প্রদান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভাসাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক’কে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কর্মশালাআশাশুনিতে পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু দেবহাটায় ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্সের সুরক্ষা প্রদান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভাআনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট সভাসাতক্ষীরা শহরের রহমতপুর ক‌লোনী‌তে বারসিকের স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

arr
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা ৪জন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৪), তার ভাই সিরাজুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) ও শেখ মিজানুর রহমানের ছেলে শহীদুজ্জামান রাজা (৩০)। বাঁশদহা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে নাজমুল বাসার জানান, সোমবার ভোর চারটার দিকে বাড়ির গ্রীলের দরজার চারটি তালা ভেঙে ঘরের দরজা ভাঙার পর একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে ঢোকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার সাতক্ষীরা- ল-১১=২৯৭৯নং এপাচি মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে উঠে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর দুর্বত্তদের ফেলে যাওয়া একটি গামছা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে গামছাটি প্রতিবেশি আলমগীরের বলে সকলে সনাক্ত করে। এর সূত্র ধরে আলমগীরকে স্থানীয় বাড়ি থেকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আজিজুর, তার ভাই সিরাজুল, শহীদুজ্জামান রাজা ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেনসহ যশোরের অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত জড়িত থাকার কথা বলে। সে অনুযায়ি আজিজুল, সিরাজুল ও শহীদুজ্জামানকে আটক করা গেলেও ফারুক পালিয়ে যায়। পরে চারজনকে গণধোলাই দিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা হচ্ছে জানতে পেরে ফারুক পলাতক অবস্থায় মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাজমুল। সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, আটকের পর জনতার গণধোলাইয়ের শিকার চার মোটর সাইকেল চোরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আটককৃতরা এলাকার আরো দু’টি মোটর সাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা নাজমুল বাসার বাদি হয়ে আটককৃত চারজন ও ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_1814332411_1478519954অনলাইন ডেস্ক: ভারতীয় সন্ত্রাসী দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির খবর জানেন না ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। নিয়মানুযায়ী এ ধরনের কোন বড় ধরনের সন্ত্রাসীকে মুক্তি দেয়া হলে তা প্রশাসনের গোয়েন্দা ও পুলিশকে জানাতে হয়। এছাড়াও কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও জানানো হয়নি তার মুক্তির খবর। তবে কারা প্রশাসন বলছে, এটা আমাদের দায়িত্ব আমরাই ভালো জানি, কাকে জানাবো আর কাকে জানাবো না।

গতকাল কঠোর গোপনীতার মধ্যে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় ভারতীয় সন্ত্রাসী আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে। যা আজ সোমবার বিকালে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে কারা অধিদপ্তর।

ভারতের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি ছিলেন এই দাউদ মার্চেন্ট। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়। ২০০৯ সালের ২৭ মে তাকে এক সহযোগীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।  জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকাণ্ড বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এদেশে পাঠিয়েছেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দাউদ জামিন পেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পরপরই তাকে আবার আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে দাউদকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হলেও বিষয়টি দীর্ঘদিন আটকে থাকে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে মুক্ত করা হয়েছে।  তার মুক্তির বিষয়টির প্রশাসনের কোনো গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, এটা আমার দায়িত্ব। কাকে জানাতে হবে আর কাকে জানাতে হবে না, সেটা আমি আপনার থেকে বেশি জানি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির ব্যাপারে কোনো তথ্যই নেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। আজ সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, দাউদের মুক্তির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, দাউদ মার্চেন্টের মুক্তির খবর আমি জানি না। আদালতের নির্দেশনানুযায়ী তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের জানানোটা মুখ্য বিষয় নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_2123675539_1478526157অনলাইন ডেস্ক: চৌম্বক ক্ষেত্রকে আমরা যতটা নিরাপদ ভেবেছিলাম এটা ততটা নিরাপদ নয় বলে দাবি করেছে গবেষকরা। এরই মধ্যে ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে ফাটল ধরেছে বলেও দাবি করেছে তারা।

টেলিস্কোপে দেখা তথ্য বিশ্লেষণ করে যেখানে ছায়াপথসংক্রান্ত মহাজাগতিক রশ্মির একটি বৃহদায়তন বিস্ফোরণ তারা দেখতে পান।

এটি অনেক শক্তিশালী এবং এটি খুব সহজেই একটি মহাকাশযানের দিক পরিবর্তন করে দিতে পারে।

গবেষকরা ধারণা করছেন যে ভূচৌম্বকীয় ঝড় আসলেই উন্মুক্ত দূর্বল দাগ তৈরি, প্রিজিং বিকিরণ এবং মহাজাগতিক রশ্মির মাধ্যমে আমাদের চৌম্বক ঢালকে ‘পুনরায় কনফিগার’ করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।

দৈত্যাকৃতির মেঘ সূর্যের পুষ্পমুকুট থেকে নির্গত হয় এবং শেষ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার গতিবেগ ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে তাড়িত করে।

ওই সময়ে একটি গুরুতর ভূচৌম্বকীয় ঝড় আলোড়ন তৈরি করে যে কারণে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক উচ্চ অক্ষাংশের দেশে রেডিও সংকেত ব্ল্যাকআউট হয়ে যায়।

ভারতের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এর একটি দল গ্রেপস-৩ থেকে অসংখ্য সিমিউলেশন সম্পাদিত করেন। যেটি সুস্পস্ট ইঙ্গিত দেয় যে ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে সাময়িকভাবে ফাটল ধরেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6অনলাইন ডেস্ক: আজব একটি ফলের সন্ধান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি ক্যান্সার-বিরোধী ফল। ঘাড় ও মাথার টিউমার ধ্বংস করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের এমনটিই দাবি করছেন তারা।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গাছে এ ফল পাওয়া গেছে। ফলটি দেখে রীতিমত বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। আট বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর ব্রিসবেনের একটি ইন্সটিটিউট এই ফলটি আবিষ্কার করেছে। এখনও পর্যন্ত ওই ফল থেকে তৈরি ওষুধ ৩শ’ প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর ফিরে আসছে না।

গবেষকদের মতে, এ ফল থেকে ওষুধ তৈরি করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। এই ওষুধের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে বিজ্ঞানীদের যা আরও বেশি চমক দিয়েছে, তা হলো মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ওষুধ কাজ করা শুরু করে দেয়। কয়েক দিনের মধ্যে উধাও হয়ে যায় টিউমার এমনটাই দাবি করেছেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

bnp
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি রাহমাতউল্লাহ পলাশ বলেছেন, মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের মন থেকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। শহীদ জিয়া রয়েছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ে। হৃদয়ের লেখা নাম কখনো মুছে ফেলা যায় না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের ভবিষ্যতের কথা না চিন্তা করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানতেন এই বিদ্রোহ করা মানে নিজের মৃত্যুকে ডেকে নেওয়া। যেকারণে তাকে বন্দি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৭নভেম্বর বাংলার জেলের তালা ভেঙ্গে শহীদ জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে আনেন। ৭নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। জনগনের মতামত কে প্রধান্য দিতেন। জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবে সেই দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু গায়ের জোরে ক্ষমতা থাকা নই। এটাই ছিলো তার আদর্শ। এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সোমবার সকাল ১১টায় শহরের আমতলা মোড় এলাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হুদা, শের আলী, আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, হাফিজুর রহমান মুকুল, আহাদুজ্জামান আর্জেদ, সালাউদ্দিন লিটন, খায়রুজ্জামান রঞ্জু, শফিকুল আলম বাবু, এম এ রাজ্জাক, ফারুক হোসেন, শাহিনুল করিম, মাহমুদুল হক প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান, দেশবরেণ্য শিশু চিকিৎসক ও সমাজসেবক জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের মরদেহ ঢাকা থেকে যশোর হয়ে সাতক্ষীরায় পৌছানোর পর সকাল ১০টায় রসুলপুর ফুটবল মাঠ তথা রসুলপুর হাইস্কুল মাঠে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাযে অংশ গ্রহন করেন সাতক্ষীরা ১আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লা, ৪আসনের সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জমান বাবুসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক শ্রেনী পেশার মানুষ। জানাযা শেষে তাকে রসুলপুরস্থ পারিবারিক গোরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। এর আগে রবিবার রাতে তার মরদেহ ঢাকা থেকে যশোর এসে পৌছলে যশোর শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রবিবার সকাল থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিশু চিকিৎসক ও জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান গত শনিবার বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি শিশু চিকিৎসক হিসেবে তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। নিজ জন্মস্থান সাতক্ষীরার প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, শিশু হসপিটালসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1স্পোর্টস ডেস্ক: ইদানীং টেলিভিশন খুললেই একটা বিজ্ঞাপন খুব চোখে পড়ছে-তামিমের পটানোবিষয়ক বিজ্ঞাপন। তামিম কখনো বোলার, কখনো আম্পায়ার, কখনো রোদ্দুর, কখনো আরও কাকে কাকে যেন পটাচ্ছেন!
তা হয়তো আম্পায়ার, বোলার বা সমর্থকদের পটাতেও পারেন তামিম ইকবাল খান। কিন্তু পটানো বলতে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে, সেই বান্ধবী পটানোর ব্যাপারে তামিম একেবারে শুরু থেকেই বড় আনাড়ি। আসলে আনাড়ি না বলে, বলা ভালো সে চেষ্টাও খুব একটা করেননি চট্টগ্রামের খানবাড়ির এই যুবরাজ!

কেন করেননি?
কারণ, সেটা দরকারই হয়নি। কারণ, অন্যদের পটাবেন কখন? পুরো কৈশোর তো গেছে একজনকে পটাতে পটাতে। তিনি আয়েশা সিদ্দিকা। হ্যাঁ, সারা জীবন এই একজনকেই পটাতে পটাতে কেটে গেল তামিমের।

তামিম ছিলেন তখন সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র। আয়েশা ওই একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। হঠাৎ একদিন কী করে যেন তামিমের চোখে পড়ে গেলেন আয়েশা। তারপর সিনেমায় যা হয় আর কী!

তামিমের জীবনের তখন ধ্যানজ্ঞানই হয়ে দাঁড়াল এই আয়েশাকে পটানো। কিন্তু জীবন তো আর সিনেমা নয়। চাইলেই পটিয়ে ফেলা যায় না। প্রথম প্রথম ইশারা-ইঙ্গিতে চেষ্টা করলেন, কাজ হয় না। এরপর আয়েশার এক বান্ধবীকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠানো, এটা চিরায়ত উপায়। কিন্তু এতেও কাজ হলো না।

অবশেষে তামিম ঠিক করলেন, আর ডিফেন্স করে লাভ নেই। হোক পেস বোলিং, এবার সামনে বেড়ে তুলে মারতে হবে। এগিয়ে গেলেন। সোজা হেঁটে গিয়ে বললেন, ‘আই লাভ ইউ’।

টি-টোয়েন্টির যুগ। এতে নাকি কাজ হয়ে যায়। কিসের কী! কাজের ‘ক’-ও হলো না। একেবারে শোনামাত্র প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন আয়েশা। ঠিক কী বলে খারিজ করেছিলেন, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিতর্ক আছে। তবে কেউ কেউ বলে, আয়েশা নাকি বলেছিলেন, ‘আই হেইট দিস ওয়ার্ড-লাভ’!

তাহলে কীভাবে হবে!
তামিম মারকাটারি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝে স্পিন করেন? স্পিনারদের মাথায় বলের মতোই বাঁক নেওয়া কিছু বুদ্ধি থাকে। এবার তামিম পার্টটাইম স্পিনার বুদ্ধিটা কাজে লাগালেন। বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাব দিলেন, আচ্ছা প্রেম করে কাজ নেই! ওটা ভালো কথা না। ওর চেয়ে আমরা বন্ধু হিসেবেই থাকি।

হ্যাঁ, এটা ভালো প্রস্তাব। এমন নিরীহ প্রস্তাবে আর ‘না’ করলেন না আয়েশা। আর যায় কোথায়! যে লোক অ্যান্ডারসন, ব্রেসনান, টিনো বেস্টদের ঘুম হারাম করে দিতে পারেন, তার সঙ্গে থেকে থেকে ভালোবাসবেন না, যাবেন কোথায়। আয়েশা টেরও পেলেন না, কবে তামিমের পার্টটাইম স্পিনে কাবু হয়ে গেছেন তিনি।

আয়েশা কাবু হলেন, তামিম আগে থেকেই পড়ে ছিলেন, অতএব শুরু হয়ে গেল ভালোবাসা, প্রেম এবং ভালোবাসা।

প্রেম হয়ে গেলেও ‘পিকচার আভি বি বাকি হ্যা ’-
চট্টগ্রামের দুই সম্ভ্রান্ত রক্ষণশীল পরিবারের ছেয়েমেয়ে রাস্তায় ড্যাং ড্যাং করে হাত ধরে প্রেম করে বেড়াবে, সে কল্পনারও সুযোগ নেই। একবার প্রেম শুরু হয়ে গেলে শুরু হলো আসল যন্ত্রণা। স্কুলের দারোয়ান, বাসার পাহারাদার, অভিভাবকদের লাল লাল চোখ ফাঁকি দিয়ে দেখাই করা দায়। প্রেম হবে কী করে? ভাগ্যিস তত দিনে মোবাইল এসে গেছে দেশে। নইলে আরেকটা লাইলি-মজনু লিখতে হতো কি না, কে জানে।

মোবাইলে আবার বেশি কথা বলার উপায় নেই। তাহলে ধরা পড়ে যাবে। তাই ছোট ছোট টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে চলে প্রেম। আর ফাঁকে ফুসরতে একবার চোখের দেখা মিললেই যেন আকাশ হাতে মেলে। এর মধ্যে আয়েশা একবার বাসায় টেক্সট পাঠালে ধরা পড়ে কেলেঙ্কারিও নাকি হতে বসেছিল।

সমস্যাটা দিনকে দিন আয়েশার তরফেই বাড়তে থাকল। তামিম ওপেনার মানুষ তো মাকে বলে আগেই প্রেমের জানাজানির সূচনাটা করে রেখেছিলেন। তামিমের মাও খুব সেকেলে মানুষ নন। তাই মেনেই নিয়েছিলেন ব্যাপারটা। কিন্তু আয়েশার হলো ঝামেলা, বাড়ি বলতেও পারেন না, সইতেও পারেন না। আত্মীয়-স্বজনরা যা গিফট দেয় লুকিয়ে তামিমকে পাঠিয়ে দেন, আর গুমরে ফেরেন।

এর মধ্যে আয়েশাকে মুক্তি দিল মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চলে গেলেন আয়েশা। ব্যস! তামিমের পৃথিবীতে প্রিয় শহর হয়ে গেল কুয়ালালামপুর, প্রিয় পরদেশ মালয়েশিয়া, প্রিয় বিমান মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস!

তত দিনে তামিম জাতীয় দলের তারকা। সিরিজের মাঝে মাঝেই ছুটি পান। ছুটি পেয়েই সো করে চলে যান মালয়েশিয়া। আমরা যারা ক্রীড়া সাংবাদিকতা করি, তত দিনে জেনে ফেলেছি। কিন্তু পত্রিকায় লেখার উপায় নেই। কারণ, তামিমের এই মালয়েশিয়া অভিসারের তাহলে কপালে দুঃখ আছে।

দেশে যতই বাধা থাক, মালয়েশিয়াই আসলে প্রথম সিনেমার মতো প্রেম জমল। রেস্টুরেন্ট, সিনেমা, বেড়ানো এসব না হলে আর কিসের প্রেম। আর এই সবই হলো মালয়েশিয়ায়।

কিন্তু এভাবে আর কত দিন? নাহ। আর বেশি চেপে রাখলেন না তামিমের মা। বুঝলেন ছেলে বড় হয়েছে, মেয়েও যোগ্য তাহলে আর কিসের বাধা। তিনি মাথা নাড়াতেই কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আকরাম খান, নাফীস ইকবাল। শুরু হয়ে গেল বিয়ের মহাযজ্ঞ।

তারপর? তারপরের গল্প তামিম আর আয়েশার কাছ থেকেই শুনে নেবেন না হয়। শুধু তামিম মাঝে একদিন গোপনে বলার মতো করে বলছিলেন, ‘সে জীবনে আর এই জীবনে একটা বড় পার্থক্য আছে, শুনবেন? এখন আর ওর সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করতে হয় না।’

আহ্! এই না হলে পটানোর সুফল!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

23ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা কলেজের একটি ছাত্রাবাসের ছাদ থেকে লাফ দিয়েও আশ্চার্য জনকভাবে বেঁচে গেছে এক কিশোর। কলেজের দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাসের পঞ্চম তলার ছাদ থেকে লাফ দেওয়া ওই কিশোরের নাম আবু জাফর মোহাম্মদ রাফি (১৪)।

০৬ নভেম্বর জুম্মার নামাজের পরপরই ওই ঘটনা ঘটে। ৫তলা থেকে লাফ দেওয়া ওই কিশোর গত মার্চ মাস থেকে মানসিক সমস্যায় ভূগছে বলে পরিবার সূত্রে যানা গেছে।রাফির বাবার নাম হাফিজুর রহমান। সে ঢাকা কলেজ চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

হাফিজুর রহমান জানান, তার ছেলে নীলক্ষেত হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত আট মাস ধরে সে মানসিক রোগে ভুগছে। তাকে বাসার বাইরে যেতেদেওয়া হত না। শুক্রবার রাফিকে বাসায় রেখে নামাজ পড়তে গেলে ওই ফাকে সে ছাত্রাবাসের ছাদে উঠে বসে। কেউ তাকে ধরতে গেলে সে লাফ দেবে বলে জানায়।

ঢাকা কলেজের আবাসিক ছাত্র ও ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান হুসাইন বলেন, রাফিকে ছাদের প্রান্তে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে দেখে ছাত্ররা মসজিদ থেকে কার্পেট নিয়ে নিচে ধরে এবং অন্য একদল ছাত্ররা তাকে ছাদ থেকে নামার জন্য ছাদে উঠলে সে লাফ দেয়। কার্পেটের উপরে পড়লেও ছাত্ররা তার ওজন পুরোপুরি ধরে রাখতে পারেনি। ফলে সে কিছুটা আহত হয়।”

রাফির বাবা জানায়, বর্তমানে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (পিজি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার চোখের উপরের একটি হাড় ভেঙ্গ গেছে এবং মুখমন্ডল ফুলে গেছে।

দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাসের পাশের বিশ্বাস বিল্ডার্স ভবনের ১৪ তলার ছাদ থেকে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছে ফজলুল করিম রিয়াদ নামক ব্যাক্তি। ফজলুল করিম রিয়াদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি আপলোড করলে ফেইসবুকে ভাইরাল হয় ভিডিওটি।

নিচের লিংকে ভিডিওটি দেখতে পাবেন-

https://www.youtube.com/watch?v=zyHAjcCR4Jo

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest