
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের কাটিয়াস্থ হালিমা শিশু সনদ চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি রাহমাতউল্লাহ পলাশ। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, শের আলী, আবিদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, প্রচার সম্পাদক শাহিনুল করিম, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আহাদুজ্জামান আর্জেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক, সাইফুল ইসলাম বাবলু, ফারুক হোসেন, হাসান শাহরিয়ার রিপন, আনারুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, সদর থানা কৃষক দলের মাহমুদুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক মেম্বর গোলাম সরোয়ার, রবিউল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাসুম রাজ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকের এইদিনে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করেছিল। এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা খুব মনে পড়ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানে কথা জাতি কখনো ভুলবে না। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেনা। কিন্তু বর্তমান সরকারের জনগনের মতামত উপেক্ষা করে দেশে পরিচালনা করছেন। তিনি ভুলে গেছেন আজীবন ক্ষমতায় থাকা যায় না। যতই নির্যাতন করা হোক না কেন বিএনপির কর্মীরা রাজ পথে আছে থাকবে। আগামীতে দেশ নেত্রীর যাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সকল ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ গ্রহণ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

ন্যাশনাল ডেস্ক: আজ মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যূদয়ের দিন।
আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি প্রকাশের পর সকলের ধারণা ছিল এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইবুনালে মামলার উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সকল মহান মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে হতাশ করে এদের বিরুদ্ধে আজও কোনরূপ মামলা হয়নি। কুখ্যাত রাজাকার শিরোমণি বাকি অত্যন্ত ঔদ্ধত্যের সাথে এখনও বলে, “বাংলাদেশে আমার বিচার করার ক্ষমতা কারও নেই।”