সর্বশেষ সংবাদ-
মণিরামপুরে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শুদ্ধাচার বিষয়ক সভাসম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে প্রকল্প অবহিতকরন সভাসকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, কোনো ধরণের অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না–সামেকের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ডা: রুহুল হকসাতক্ষীরার মেডিকেল এর সামনে বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টআশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদের বিপরীতে ১৩ প্রার্থীর শেষ মুহুর্তের বিরামহীন প্রচার প্রচারণা শেষ হলআশাশুনিতে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের উদ্বোধনশ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক মান্নানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ ধরে নেওয়ার অভিযোগআশাশুনিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনসাতক্ষীরায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যুসাতক্ষীরায় আইআরআই’র আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত

স্বদেশ সংবাদ: মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তৈরি আইনের খসড়া। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী গোপনাঙ্গের  কতটুকু অংশের ছবি ও ভিডিও গphoto-1471859841ণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে তা-ও নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৬’ নামের আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে নারী-পুরুষের গোপনাঙ্গের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পরিস্থিতির ক্ষেত্র’ বলতে আইনের ১৭ নম্বর ধারার ৪(ঘ) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো পরিস্থিতিতে কোনো ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা থাকিতে পারে যে-(অ) কোনো ব্যক্তি গোপনীয়ভাবে অনাবৃত হইতে পারেন, এমতাবস্থায় তাহার ব্যক্তিগত এলাকায় তাহার নজর এড়িয়ে চিত্রবন্দী করা হইয়াছিল। অথবা (আ) সরকারি বা ব্যক্তিগত জায়গা নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিগত এলাকার এমন কোনো অংশে ছিল যাহা জনসাধারণের নিকট দৃশ্যমান হইবে না।’

আইনে গোপনীয় ছবি প্রেরণের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক উপায়ে কোনো দৃশ্যমান ছবি প্রদর্শিত করিবার অভিপ্রায়ে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহের নিকট প্রেরণ করা।’

‘দৃশ্য ধারণ’ বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে, ‘যেকোনো উপায়ে ভিডিও টেপ, আলোকচিত্র, ফিল্ম বা রেকর্ড করা।’

আইনে অপরাধ ও সাজা

নীতিগত অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬-এর ১৭ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাহার ব্যক্তিগত ছবি তোলে এবং প্রকাশ করে বা প্রেরণ করে বা বিকৃত করে বা ধারণ করে তাহা হইলে এমন কার্য ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অপরাধ হইবে।’

আইনের একই ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদাধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোনো বিধানের অধীন কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত হইয়া, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিরেকে, কোনো ইলেকট্রনিক রেকর্ড, বই, রেজিস্টার, পত্র যোগাযোগ, তথ্য, দলিল বা অন্য কোনো বিষয়বস্তু অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করেন, তাহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।’

উল্লিখিত ধারার ১ নম্বর উপধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য সাজা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, ‘উপধারা ১-এর অধীনে কোনো অপরাধ করিলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

উপধারা ২-এ দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘এই ধারার অধীনে কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

পর্নোগ্রাফি ও শিশু পর্নোগ্রাফির দণ্ড

পর্নোগ্রাফি ও শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে  আইনের ১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল উপাদান উৎপাদন বা প্রকাশ করলে কিংবা সংরক্ষণ করলে অথবা এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে, বিজ্ঞাপনদাতা কর্তৃক পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীল উপাদানসমূহ বিতরণ বা প্রদর্শন করলে এই আইন লঙ্ঘন হবে। এর দায়ে কোনো ব্যক্তির এক বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

১৮ ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা কোনো ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি বা শিশু সম্বন্ধীয় অশ্লীল উপাদান উৎপাদন বা প্রকাশ বা সংরক্ষণ বা বিতরণ বা প্রদর্শন করলে বা এগুলোতে শিশু পর্নোগ্রাফি বা এ ধরনের অশ্লীল উপাদান প্রবেশ করলে আইন অনুযায়ী অপরাধ হবে। সে অপরাধে কোনো ব্যক্তির ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

আইনে এসব অপরাধের বিচার বিদ্যমান সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে।

শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে কঠোর বিধানের কথাও বলা হয়েছে খসড়া এই আইনে।  প্রস্তাবিত আইনের ১৭ নম্বর ধারার ৪ (গ) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘গোপনীয় অঙ্গ অর্থ নগ্ন বা অন্তর্বাস পরিহিত যৌনাঙ্গ, যৌনাঙ্গের আশপাশ, নিতম্ব বা মহিলার স্তন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

yousufএম. বেলাল হোসাইন : ২ বছর ধরে নিখোঁ‌জ বাঁশদহা আলহাজ্ব ম‌োহাম্মদ আলী দাখিল মাদরাসার সহকারী ম‌ৌলভী আবু তাহ‌ের জিয়াউদ্দিন ম‌োঃ ইউসুফ। দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় অনুপ‌স্থিত থাকায় ২১ অক্টােবর’১৪, ১৫ নভ‌েম্বর’১৪ ও ৩১ নভ‌েম্বর, ১৪ তারিখ ৩ দফায় মাদ্রাসায় অনুপ‌স্থিত থাকার সুস্পষ্ট জবাব দিয়‌ে প্রতিষ্ঠান য‌োগদান‌ের নির্দ‌েশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারপরও প্রতিষ্ঠান‌ে যোগদান বা উপস্থিত হননি ওই শিক্ষক এটিজ‌েডএম ইউসুফ।
ইউসুফ যশোর জ‌েলার ক‌েশবপুর উপজ‌েলার আগরহাটি গ্রাম‌ের আব্দুল বারী ওয়াদুদী’র ছ‌েল‌ে।
এবিষয়‌ে বাঁশদহা আলহাজ্ব মা‌েহাম্মাদ আলী দাখিল মাদ্রাসায় খোঁ‌জ নিয়‌ে জানা গেছ‌ে, ওই শিক্ষক বিগত ১৩ স‌েপ্ট‌েম্বর’১৪ সাল‌ের পর থ‌েক‌ে মাদ্রাসায় আস‌েন না। তব‌ে সর্বশ‌েষ গত ১৮ অক্টা‌েবর’১৪ পর্যন্ত মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আর‌ো জানায়, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান‌ে অনুপস্থিত থাকার কারণ‌ে ন‌োটিশ প্রদান‌ের পরও কা‌েন খবর না প‌েয়‌ে গত ১৬ জানুয়ারি’১৫ সাতক্ষীরা থ‌েক‌ে প্রকাশিত দ‌ৈনিক কাফ‌েলা ও ১৭ জানুয়ারি’১৫ ঢাকা থ‌েক‌ে প্রকাশিত দ‌ৈনিক খবরপত্র পত্রিকায় চূড়ান্ত ন‌োটিশ প্রদান করা হয়। এরপর গত ০২ ফেব্রুয়ারি’১৫ তারিখ শিক্ষক এটিজ‌েডএম ইউসুফ উপজ‌েলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার‌ের কার্যালয়‌ে হাজির হল‌ে তার সম্মতিত‌ে এ বিষয়‌ে তদন্তের জন্য ৭ ফ‌েব্রুয়ারি’১৫ তাদ‌ের দিন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তদ‌ন্তের পূ‌র্বেই ৫ ফ‌েব্রুয়ার‌ি শারিরীক অসুস্থতার কারণ দ‌েখান ওই শিক্ষক। তখন তদ‌ন্তের তারিখ পরিবর্তন কর‌ে ৯ ফ‌েব্রুয়ারি নির্ধারণ করেন উপজলা শিক্ষা অফিসার জয়নাল আব‌েদীন। অথচ ৯ ফ‌েব্রুয়ারিও তিনি উপস্থিত হত‌ে অপারগতা প্রকাশ কর‌ে ১৫ ফ‌েব্রুয়ারি নির্ধারণের জন্য অনুরা‌েধ জানান। স‌ে ম‌োতাবেক ১৫ ফ‌েব্রুয়ারি’১৫ তারিখ তদ‌ন্তের জন্য বাঁশদহা আলহাজ্ব মাহাম্মদ আলী দাখিল মাদরাসায় গ‌েল‌ে ওই শিক্ষকক‌ে পাননি উপজ‌েলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এটিজ‌েডএম ইউসুফ এর ব্যবহৃত ম‌োবাইল ফ‌োনও য‌োগাযা‌েগ করত‌ে না প‌ের‌ে এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ‌ের জন্য ১৮ ফ‌েব্রুয়ারি’১৫ তারিখ‌ে সদর উপজ‌েলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি প্রতিব‌েদন জমা দ‌েন উপজ‌েলা শিক্ষা অফিসার।

এবিষয় উক্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ম‌োহাম্মাদ রিয়াজুল ইসলাম এর সাথ‌ে য‌োগায‌োগ করল‌ে তিনি বল‌েন, ১৮ অক্টােবর’১৪ পযর্ন্ত তিনি উপস্থিত ছিল‌েন। তার বাড়ি যশ‌োর জ‌েলার ক‌েশবপুর উপজ‌েলায়। মটরসাইক‌েল যা‌েগ‌ে এস‌ে তিনি কমর্স্থ‌লে যোগ দিত‌েন। তব‌ে তিনি সাতক্ষীরার ক‌োথাও থাকত‌েন কি না স‌ে বিষয়‌ে আমাদ‌ের সাথ‌ে ওই শিক্ষক কিছু বল‌েন নি। এ বিষয়‌ে আমরা তার কাছ‌ে জিজ্ঞাসা করল‌ে তিনি এড়িয়‌ে য‌েত‌েন। এছাড়া ওই তারিখ‌ের পর থ‌েক‌ে আমরা ক‌েউ তাক‌ে আর দ‌েখিনি। ওই শিক্ষক জামায়াত বা ক‌োন সংগঠনর সাথ‌ে জড়িত ছিল‌েন কি না এমন প্রশ্নের জবাব‌ে তিনি বল‌েন, কা‌েন রাজনীতির সাথ‌ে জড়িত ছিল‌েন কি না স‌ে বিষয়‌ে আমার জানা ন‌েই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Picture-Kaliganjএসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু: উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২০ আগষ্ট বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে উত্তর কালিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যাগে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কবিতা পাঠের আসরে যেয়ে বিদ্যালয়ের  ভবন ও ছাদের বেহাল অবস্থা চোখে পড়ে। ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা ধ্বসে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে লোহার রড। এদিন ‘কবিতা রুখবেই জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসরের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ ভবন পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল কুমার সাহা, কালিগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যাপক বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, সাবেক অধ্যাপক মুনসুর আলী, অধ্যাপক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক শ্যামাপদ দাশ, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্যসচিব এড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিমুল, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ঘোষ জানান, ১৮৮৫ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টিতে ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এখানে ১১ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ৮ জন। এরপরও বিগত সমাপনী পরীক্ষায় ৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করেছে। তিনি আরও জানান, সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় চত্ত্বরে পানি জমে যায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিকুলতার মধ্যে পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই বিদ্যালয়টি অবকাঠামো নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয় চত্ত্বরের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ থাকলেও বর্তমানে একটি প্রভাবশালী মহল সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় চত্ত্বরে পানি জমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্দশা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রুত বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু: কালিগঞ্জে ৪৫তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবলে গতকাল বিকেল ৫ টায় কুশুলিয়া জোন চ্যাম্পিয়ন বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মৌতলা জোন চ্যাম্পিয়ন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরস্পর মুখোমুখি হয়। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যামিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলের ব্যবধানে মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়েছে। খেলা শুরুর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উভয় দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এড. শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন,উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবল আলম বাবলু প্রমুখ। খেলা পরিচালনা করেন গাজী আব্দুর রফিক এবং সহকারী হিসেবে ছিলেন শাহীন ও পলাশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20160822_172350-picsayডি. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন : দিনভর টানা বৃষ্টির কারনে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সমস্ত নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। খাল বিল পুকুর,নদী-নালা পানিতে ডুবে একাকার। অব্যাহত বৃষ্টির কারনে সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট নদী গুলোতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে ঝুকিপুর্ন কাশিমাড়ীর পাউবোর বাধগুলো যে কোন মুহর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে।

শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী এবং আটুলিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘোলার খেয়াঘাট। প্রায় প্রতিদিন এই দুটি ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই পথে যাতায়াত করে। তাছাড়া জেলা শহর সাতক্ষীরাতে এই পথে ঘোলার খেয়া পার হয়ে খুব অল্প সময়ে নির্বিঘ্নে জনসাধারন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে ঝাপালী তিন রাস্তার মুখ হইতে ঘোলা খেয়াঘাট পর্যন্ত ওয়াবদার রাস্তাটি বর্তমানে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে অবস্থান করছে। পায় ৩ কি.মি. রাস্তার ভিতরে অর্ধেকেরও বেশী অংশ ভাঙনের মুখে, কোথাও কোথাও ১ থেকে ২ হাত রাস্তা অবশিষ্ট চওড়া আছে। বাকী অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখান দিয়ে গাড়ী চলাচল করাতো দুরের কথা পায়ে হেটে যেতেও ভয় লাগে। কাশিমাড়ীর পাউবোর বেড়ীবাধে ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। যে কোন সময় বেড়ীবাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে নদীর পানি ঢুকতে পারে। দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করায়, ও টানা সারা দিনের প্রবল বর্ষনে দুর্বল পাউবোর বেড়ীবাঁধের ফাঁটল ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এছাড়া ফাঁটল স্থানে জোয়ারে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ফাঁটল টি প্রতিনিয়ত ভয়াবহ আকার ধারন করছে। আর এ কারনে কাশিমাড়ীর ঝাপালী পাউবোর বেড়ীবাঁধের যে কোন স্থান ভেঙ্গে যেতে পারে। ঝুকিপুর্ন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাধারন মানুষ বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এক্ষুনে সেখানে এই ওয়াবদার ভেড়ীবাঁধের ভাঙন রক্ষা না করা গেলে অতীতের ন্যায় সেখানে ভেঙে আবারও বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বর্তমানে এই এলাকায় অনেকগুলো ছোট বড় মৎস্য ঘের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক ধানী জমিও প্লাবিত হয়ে নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। সেই কারনে এলাকা বাসী এই ওয়াবদা সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে, যথাযথ কর্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করে যাতে এই বৃহৎ এলাকার জনসাধারনকে আবারও ভাঙনে প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesমাহফুজুর রহমান: ২২ অগাস্ট সাতক্ষীরা রেঞ্জাধীন কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামা প্রসাদ তার সঙ্গীয় স্টাফসহ ট্রলার যোগে টহল দানকালে পশুরতলা খাল নামক স্থানের নিকটবর্তী হলে ভোর আনু: ৪টার দিকে ২টি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি তাদেরকে নৌকা নিয়ে কাছে আসতে বলেন। এসময় নৌকা ২টি বনের বিপরীত দিকের কেওড়া বাগানের কাছে কিনারায় ভিড়িয়ে নৌকা হতে লোকজন লাফিয়ে পড়ে এবং বাগানের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

স্টেশন কর্মকর্তা জানান, আমি এবং আমার স্টাফগণ টর্চের আলোয় মুন্সীগঞ্জ আটির উপর নামক গ্রামের আব্দুর রহিম এবং আব্দুল করিম, উভয় পিং- ইসমাইল গাজীকে চিনতে পারি। অপর অজ্ঞাতনামা ৪জন আসামীকে চিনতে পারি নাই। এরপর তাদের নৌকা তল্লাশি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় সাড়ে ৪লিটার পরিমাণ মাছ মারার বিষ, ২টি ভেসালি জাল পাই। নৌকা ২টি, উক্ত জাল ও বিষ জব্দ করে কদমতলা ফরেষ্ট স্টেশনে নিয়ে আসি। এব্যপারে ২টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে। বন মামলা নং- পি,ও,আর নং ৮/কত /২০১৬-১৭ এবং পি,ও,আর নং ৯/কত /২০১৬-১৭। উল্লেখ্য, উক্ত ২জন ব্যক্তিসহ মোট ৬জনকে বিগত কয়েক মাস পূর্বে মাছ মারা বিষ, ভেসালি জালসহ হাতে নাতে ধরে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসানউল্লাহ শরিফী- এর নিকট হাজির করলে, তিনি প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে সর্বমোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সুন্দরবনের অভ্যন্তরের খালে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ শিকার করার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষ লক্ষ মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। এলাকার জেলে বাওয়ালীসহ সকলে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexএম বেলাল হোসাইন: পাচারকারীদের কবল থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের ৩ নারী উদ্ধার হলেও মামলা হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু উঠতি নেতাদের ছত্রছায়ায় রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে পাচারকারীচক্র। এতে করে এলাকায় সাধধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাচারের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া ওই নারীদের শাসানো হয়েছে মামলা না করার জন্য।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ ফিংড়ী গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী পারুল বিবি বিদেশে চাকুরি দেয়ার নাম করে একই গ্রামের আকের আলীর মেয়ে ছালমা খাতুন, রুহুল আমিনের স্ত্রী সাথী ও আবুবক্কারের স্ত্রী খাইরুন্নেছাকে পাচার করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু পারুলের চালাকি বুঝতে পেরে স্থানীয়ভাবে সাথী ও খায়রুন্নেছা কেটে পড়ে। ছালমা খাতুন পরিবহনে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরিবহনের মধ্যে ভাল না লাগায় ফরিদপুর থেকে নেমে পড়ে। ছালমা গাড়ি থেকে নামার পর পড়ে সমস্যায়। পাচারকারীর কবল থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তি পায়নি মুখোশধারীদের কবল থেকে। ছালমাকে রাতের আধারে একা পেয়ে ৪/৫ জন মুখোশধারীরা ছালমার কাছে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস পত্র কেড়ে নেয়। ছালমার চিৎকারে পার্শ্ববতী এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। ছালমা বাড়িতে ফিরে আসার পর ফিংড়ী এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসি পারুলের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে। কিন্তু এতে বাধ সাধে কিছু পাতি নেতা। তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য শালিসী বৈঠক বসায়। থানা পুলিশ না করার জন্য শাসানো হয় ছালমাকে। ছালমা জানায় পারুল বিবি তাকে বিদেশে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়। ফরিদপুর পৌছানোর পর পাচারকারীদের কথাবার্তা শুনে তার সন্দেহ হলে বাস থেকে নেমে পড়ে। এরপার সে এক পরিবহন চালকের মাধ্যমে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে এসে বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল তাকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়। এতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায়। এব্যাপারে এলাকাবাসি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20160822_113707~2জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪৪নং বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার স্কুল অনুমোদনের জন্য যে সব শর্ত রেখেছে তার মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে স্কুলে খেলার মাঠ থাকা। সরকারের শর্ত পূরণ করতে সদর উপজেলার সম্মুখে রয়েছে বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে বৃহৎ মাঠের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু অপ্রিয় সত্য হল সেখানকার চিত্র দেখলে মনে হয়, এটি খেলার মাঠ নয়, বরং মাছ চাষের আবাদ। বিদ্যালয়ে প্রায় ২শত জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্কুল শুরুর আগে ও পরে স্কুল মাঠ ছাত্রছাত্রীদের কলকাকুলিতে ভরে ওঠে। এলাকার শত শত ছেলেমেয়েদের স্কুল সময়ে মুক্ত আবহাওয়া প্রাপ্তি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ক্রীড়া-বিনোদনের জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু টানা বর্ষণের কারণে সেখানে বর্তমানে খেলার কোন সুযোগ নেই বরং হাটু পানিতে কিংবা তারও বেশী পানি জমে আছে। বাধ্য হয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের অনুষ্ঠান কোন রকমে সেরে নিতে হচ্ছে। মাঠটি এখন পানিতে টইটম্বুর। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি এলাকার খেলাধূলা ও মুক্ত অবকাশের জন্য ব্যবহৃত মাঠটি ব্যবহারের সুযোগ বঞ্চিত হয়ে শিশু ও যুব সম্প্রদায় মনোকষ্টে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য সুব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মাঠটি পানিতে তলিয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, স্কুলের মাঠ ১ থেকে দেড় ২ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত মাঠটি ব্যবহার করা যায়না। স্কুলের মাঠের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মল্লিকা পারভীন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে জামাকাপড়, বই খাতা ভিজে যায়। ৫ম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা স্কুল মাঠে এসময় খেলাধুলা করতে পারি না। পানিতে সবাই মিলে লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারি না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইকবাল আনোয়ার সুমন বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হয়। এব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান স্বপন সহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest