সর্বশেষ সংবাদ-
আমীরে জামায়াতের সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভাচিন্ময়ের জামিন বাতিল : মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহতদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা পুষ্টি কমিটির সভাআত্মসমর্পনকৃত বনদস্যুদের পুনরায় সুন্দরবনে তৎপর হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাত্র ১২০ টাকায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেল ৫৮ তরুণ-তরুণীসাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনসাতক্ষীরায় ৮৯ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দিল পুলিশআশাশুনিতে মাটি চাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যুঅবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন

হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণে ঠিক মতো তালিকা হচ্ছে না বলে সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা অভিযোগ করলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হতদরিদ্রদের চাল বিতরণের যে তালিকা করা হচ্ছে, বিষয়টি সাংসদরা পরীক্ষা করে দেখবেন। তারপরেও কোন অনিয়ম করলে, তার ডিলারশীপ বাতিল হবে। কোনো জনপ্রতিনিধি অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিরতণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের নেয়া কর্মসূচির বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি চালু হয়েছে জীবনের সবক্ষেত্রেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এজন্য ২০ লাখ তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবী সৃষ্টিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি-অনিয়ম দূর হওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রা আরো সহজ হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fn54a1zkdk8dভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে রামের লংকা জয়ের সাথে তুলনা করে বলেছেন, ‘আমরা কোনও দেশকে অধিগ্রহণ করতে চাই না। ভগবান রাম লঙ্কা জয় করে তা বিভীষণকে দিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা তাই করেছি। আমরা কারও ক্ষতি করতে চাই না। তবে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে চাইলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’
পাকিস্তানের উদ্দেশে ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন পারিকর। ভারতের উত্তরাখন্ড প্রদেশের পৌরি গাঢ়ওয়াল এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে শনিবার (২/৯/২০১৬) প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারিকার এমন মন্তব্য করেন। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তার এই বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়।
রামায়ণের কাহিনী অনুসারে লংকারাজ রাবণ যখন রামের পত্নী সীতাকে অপহরণ করেন, তখন রাম ও লক্ষণ বানর সেনার সহায়তায় (বানর বলতে গাছের বানর নয় , এটি ছিলো একটি টোটেম বা গোত্রীয় প্রতীক) সীতাকে উদ্ধার করেন এক ভয়াবহ যুদ্ধের মাধ্যমে। বিভীষণ রাবণের ভাই হওয়া সত্ত্বেও সেই যুদ্ধে ভ্রাতার অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ রামের পক্ষাবলম্বন করেন। যদিও এই ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক ঐতিহাসিকের মতেই, বিভীষণের ভূমিকা ছিলো স্রেফ মীরজাফরের মতো। ন্যায় অন্যায়ের বিবেকবোধ থেকে নয়, বরং রাজ সিংহাসনের লোভেই বিভীষণ এই কাজটি করেছিলেন। এই বিভীষণের চক্রান্তেই লক্ষণের হাতে রাবণের বীরপুত্র ইন্দ্রজিত নিহত হন। এই কারণে ইতিহাসে মীরজাফরের মতোই বিভীষণ নামটিও এক দেশদ্রোহী গাদ্দারের প্রতীক রূপেই ব্যবহৃত হয় অনেকের কাছেই।
মিঃ পারিকার এর কথা অনুযায়ী, লংকা যুদ্ধের সাথে একাত্তরের তুলনা তাই মেলাতে পারলাম না। তার কথার সূত্র ধরেই যদি বলি, তাহলে বিভীষণ ছিলো বীর বাঙালীরাই। কারণ যুদ্ধ শেষে তারাই তাদের ক্ষমতা ফিরে পায়। কিন্তু বাঙালীরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের কোন কিছু হরণ করে আনেনি। যেমনটি লংকারাজ করেছিল সীতাকে অপহরণ করে। বরং পশ্চিমা হানাদাররাই উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল বাংলার মাটিতে। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা। বিভীষণ করেছিল রাজ্যের আর সিংহাসনের লোভে, আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালীদের সংগ্রাম ছিলো ২৪ বছরের নির্যাতন আর অবিচারের বিরুদ্ধে মানুষের মুক্তির সংগ্রামের অমর কাব্যগাথা।
এই জায়গায় বিভীষণের সাথে বাঙ্গালীদের তুলনা নেহাতই অনভিপ্রেত ও দুঃখজনকও বটে। এখানে যদি ভারতীয় বাহিনীর তুলনা দিতেই হয়, তবে তা দেয়া যেতে পারে একমাত্র সুগ্রীবের বানরসেনার সাথেই। কেননা রামায়ণের কাহিনী অনুযায়ী রাম ও লক্ষণকে আশ্রয় প্রদান ও সীতা উদ্ধারের লড়াইয়ে পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছিলো এই কিস্কিন্ধার অধিবাসীরা। ঠিক যেমনটি ভারত করেছিলো একাত্তরে। এদেশের মুক্তিসেনাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১ কোটি শরণার্থীকে ৯ মাস আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে ভারতের অবদানও তাই ছিলো।
কিন্তু সেখানেও আছে আরেক ঝামেলা। ভারতের সাথে পাকিস্তানের শত্রুতা সেই জন্মলগ্ন থেকেই। সেই কারণে “শত্রুর শত্রু বন্ধু” বিবেচনায় ভারত বাড়িয়ে দিয়েছিলো সাহায্যের হাত। কিন্তু রামায়ণের কোথাও এমন কোন তথ্য সন্নিবেশিত নেই যে লংকা ও কিস্কিন্ধার মধ্যে কোনরূপ পূর্বশত্রুতার রেশমাত্র ছিলো। বরংচ সুগ্রীবের অগ্রজ ভ্রাতা বালী ছিলেন রাবণের পরম মিত্র। বালীকে হত্যা করে রাম সুগ্রীবকে সিংহাসনে বসানোর প্রতিদান দিতেই সুগ্রীব তার বানরবাহিনীকে নিয়ে রামের সাহায্যার্থে লংকায় আক্রমণ চালিয়েছিলেন। কাজেই এদিকটাও মেলেনা।
রামায়ণের কাহিনীর সাথে বরং বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যায় হোমারের ইলিয়াডের। রামায়ণের যুদ্ধ হয়েছিলো সীতা হরণকে কেন্দ্র করে, আর ইলিয়াডের যুদ্ধ হয়েছিলো হেলেন অফ ট্রয়কে নিয়ে। যদিও সীতার ঘটনাটি ছিলো অপহরণ, আর হেলেনেরটি ছিলো স্বেচ্ছাগমন। সীতাকে উদ্ধার করতে ছুটে এসেছিলেন তার স্বামী রাজা রাম, আর অন্যদিকে হেলেনকে উদ্ধার করতে ছুটে এসেছিলেন তার স্বামী রাজা মেনিউলাস। রামায়ণে লঙ্কাপুরী ধ্বংস হওয়ার পরে সীতা ফিরে গিয়েছিলেন তার স্বামীর কাছে, অন্যদিকে ট্রয় ধ্বংসের পরে হেলেন ফিরে যান মেনিউলাসের কাছে। কি অসাধারণ মিল বাল্মীকি আর হোমারের এই দুই মহাকাব্যের মাঝে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানীদেরechadohkp6jp মতো ভারতীয়রাও “পাক-ভারত যুদ্ধ” বলেই আখ্যা দিতে বেশী পছন্দ করে থাকেন। ভারতীয়দের এটা বলার কারণ যুদ্ধজয়ের কৃতিত্ব নিজেরাই একতরফাভাবে দাবি করা। আর পাকিস্তানীদের এটা দাবির কারণ তারা বাঙালীদের যে অস্পৃশ্য শুদ্র বলে বিবেচনা করতো, তাদের ভাষায় সেই “ইনফেরিয়র”দের হাতে পরাজয়ের চেয়ে শক্তিধর প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে পরাজয়ের ইতিহাসটাই অনেকখানি সম্মানজনক বলে বিবেচনা করে তারা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল মাত্র।
এদেশের মুক্তি সংগ্রামে ভারতের অকুন্ঠ সহোযগিতার কথা অবশ্যই স্মরণ করি কৃতজ্ঞচিত্তে। সেই সাথে এটাও তাদের উপলব্ধি করা উচিৎ যে এদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারো উপহার প্রদানের কাহিনীকাব্য নয়। এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৩০ লক্ষ বীর শহীদের আত্মবলিদানের ইতিহাস, এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ২ লক্ষ বীরাঙ্গনার আর্তনাদের ইতিহাস, ক্র্যাক প্লাটুনের রুমি বদি আজাদদের ইতিহাস, চট্টগ্রামের কিংবদন্তী ক্যাপ্টেন করিমের ইতিহাস, ভাটির বীর জগতজ্যোতির দাস পার্টির ইতিহাস, কাদেরীয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনীর ইতিহাস। বড় নির্মম, বড় গর্বের ইতিহাস।
“আমি দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়, আমি দাম দিছি প্রাণ লক্ষ কোটি, জানা আছে জগতময়।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

14569063_10209224949328545_1517378333_nশেখ তানজির আহমেদ: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা ‘সাতক্ষীরা’। পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে ভারতের ২৪ পরগণা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের কোলে অবস্থিত এ জেলাটিতে রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনা। বিদ্যমান সংকট দূর করে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে দেশের পর্যটন শিল্পে সাতক্ষীরা উঠে আসতে পারে শীর্ষে।
আর ঠিক এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ নামে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের একটি সচিত্র সংকলন প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
জেলার নামকরণের ইতিহাস থেকে শুরু করে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় আরও রয়েছে, জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী ৭৭টি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রসিদ্ধ পণ্য ও সুনির্দিষ্ট ১১১টি দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা। রয়েছে উপজেলাওয়ারি দর্শনীয় স্থানের ছবিও।
‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় যেমন স্থান পেয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ব্যাখ্যা, তেমনি ছোট হলেও বাদ পড়েনি শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন নির্মিত বাচ্চাদের খেলার পার্ক ‘শিশু স্বর্গ’।
মাঝে রয়েছে সুন্দরবনের কোলে মুন্সীগঞ্জে নির্মিত আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কলাগাছি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, দোবেকি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, কারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, কারাম মুরা পাখি পর্যটন কেন্দ্র, উরালমন আদিবাসী গ্রাম ও নৌকা ভ্রমণ সাইট, শ্যামনগর এগ্রো টেকনোলজি পার্কসহ অন্তত দেড় শতাধিক দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা।
আবার জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের রাজধানী সাতক্ষীরার  শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাটের মাটির গড় থেকে শুরু করে জাহাজঘাটা নৌ দুর্গ, সাতক্ষীরার ব্র্যান্ড চিংড়ি থেকে আম- সব কিছুই গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য়।
‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র প্রকাশনা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা জেলাকে পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের সচিত্র সংকলন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই ক্ষুদ্র প্রয়াস পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরায় পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কখনই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে নেমে বাসস্ট্যান্ড থেকেই যে সুন্দরবন দেখা যায়- এই বিষয়টিও প্রচারের অভাবে কেউ জানে না। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, আবাসন ব্যবস্থাসহ পর্যটন খাতে বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে কেউ কখনই ভাবেনি।
তবে, দেরিতে হলেও পর্যটকদের কাছে সাতক্ষীরাকে তুলে ধরতে বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরার প্রকাশনা বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

electifydeathjpg_2015-09-01_10-18-50-1এম বেলাল হোসাইন: ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের সাতানীতে বিদ্যুৎ এর সংযোগ লাইন টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঐ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম থাকলে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে ঠিকাদার কিছুই জানায়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে কোথায় কখন বিদ্যু লাইনের কাজ হবে তা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মনিটরিং করার কথা থাকলেও তার তা করেনি। যে কারণে ঠিকাদার ইচ্ছেখুশি কাজ করতে গিয়ে একজন শ্রমিকের অকাল মৃত্যু হলো।
বুধবার বিকাল ৪টায় এঘটনা ঘটে। মৃত শ্রমিকের নাম জহিরুল ইসলাম(২৬)। তার বাড়ি তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামে। সূত্র জানায়, বাঁশদহার সাতানী এলাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ লাইন টানতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে পাটকেলঘাটা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সাতানী এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানতে যায়। এসময় জহিরুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তার সাথে থাকা অন্যরা তাকে উদ্ধারকরে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এবিষয়ে বিষয়ে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নাজমুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, “ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে গিয়েছিল, যে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।” কিন্তু ঠিকাদারের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানান নি। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি কোন এক অদৃশ্য কারণে ঠিকাদারের পরিচয় গোপন করছেন।
অন্যদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছিল। পরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাটি বলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

heroin-drug_11033আমির হোসেন খান চৌধুরী: বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির পণ্য ভারতে রপ্তানি করে ফেরার পথে কাভার্ড ভ্যানে করে মদ চোরাচালান করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ’র ধাওয়ায় পালিয়ে যায় কাভার্ড ভ্যঅনের চালক। মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯.৩০ টার দিকে ভারত থেকে আসার সময় ওই কাভার্ড ভ্যানটিতে ভারতীয় দামি ৫০ বোতল মদ পায় ভ্যানটিকে চ্যালেঞ্জ করা বিএসএফ সদস্যরা। এ সময় প্রাণ কোম্পানির রপ্তানিপণ্য পরিবহনকারী কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্যানটি আটক করে বিএসএফ।
বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার দুপুর ১:৩০টা থেকে ২:৩০টা পর্যন্ত স্থায়ী ঘোজাডাঙা বিএসএফ’র এসি শিবদত্ত ও ভোমরা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেম এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কাভার্ড ভ্যানটি বিজিবি’র নিকট ফেরত দেয় বিএসফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01992-copy-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সাড়াদান কার্যক্রম সম্পর্কে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ও ক্রিস্ট্রিয়ান এইড ও সুশীলনের সহযোগিতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.এফ.এম এহতেশামূল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সুশীলনের ডেপুটি ডাইরেক্টর রফিকুল হক প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক, জেলা তথ্য অফিসার সিরাজুল হক মল্লিক, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, সুশীলনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জি.এম মনিরুজ্জামানসহ জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। কর্মশালায় আগামী ১৩ অক্টোবর দূর্যোগ ও প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে কাশিমাড়ীর গোদাড়া গ্রামের গাজী ফিস নামীয় মৎস্য ঘের থেকে ২ জন মাছ চোর আটক করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ অক্টোবর গভীর রাত্রে গোদাড়া গ্রামের জলিল মোল্যার পুত্র ইউনুচ মোল্যা (৩৫) ও আবুল কাশেম গাজীর পুত্র সায়েদ আলী (৪০) কে মাছ চুরি করা অবস্থায় গাজী ফিস ঘেরের কর্মচারী আফসার, মোস্তফা সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা আটক করে স্থানীয় ইউ,পি মেম্বরের নিকট নিয়ে আসে। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির(লাকী) জানান, চোরদের স্বীকারোক্তিতে  গোদাড়া গ্রামের আকবর মোল্যার পুত্র আলমগীর হোসেনের বাড়ী হতে দেশীয় রাম দা, হাসু, ছুরি,লোহার রড,মাছ ধরা জাল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম  উদ্ধার করে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে তাদেরকে শ্যামনগর থানায় প্রেরণ করা হলে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01983-copy
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সুষ্ঠভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় জানান হয় আগামী ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। ৩ দিন ব্যাপি  বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬  সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে ১৬, ১৭, ১৮ এই তিন দিন ব্যাপি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফ হোসেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিবি খাদিজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দীক,  সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিট অফিসার আতিকুল ইসলাম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ক্রীড়া শিক্ষক ভদ্র কান্ত, শংকর কুমারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest