সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরা কারা মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলাসাতক্ষীরায় গ্রিলের তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরিসাতক্ষীরার লাবসা বাইপাস সড়কে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টদেবহাটায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে স্কুল শিক্ষক ও আয়া আটক কালিগঞ্জে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩সাংবাদিক কামরুজ্জামানের শ্যালকের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

9f9f7340f93a4c1f8ba9bcc3402d05a4-5836ed21c7c8eআন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করতে (এথনিক ক্লিনজিং) তাদের ওপর হত্যা-ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন- ও ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া এবং লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে এই অভিযোগ করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার ওই মুখপাত্র জন ম্যাককিসিক বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষীরা মিলে জাতিগত নির্মূলের এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের হিসেবে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ৮৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৩০,০০০ মানুষ।
জাতিসংঘের দাফতরিক সংজ্ঞা অনুযায়ী এথনিক ক্লিনজিং অথবা জাতিগত নিধন হলো সেই প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে ‘হুমকি দিয়ে অথবা শক্তি প্রয়োগ করে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভূখ- থেকে বিভিন্ন জাতিগত অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নির্মূল করে একক জাতিগত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়।’ ওপর হত্যা-ধর্ষণ-শিশু নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ ওই নির্মূল প্রক্রিয়ারই অংশ।
২০১২ সালে উগ্র জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের সরকারের মদদপুষ্ট তা-বে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা হত্যাকা-ের শিকার হন। ঘর ছাড়তে বাধ্য হন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। আর এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে  ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তারা বলছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইসলামী চরমপন্থা দমনে কাজ করছেন তারা। সেখানে সংবাদমাধ্যমকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মিয়ানমারে রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের দেশ তাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করে থাকে। রাখাইন রাজ্যে চলমান দমন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়িটি অস্বীকার করেছে সে দেশের সরকার। রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে বলেও দাবি করছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়  নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই চেনে। জাতিসংঘের অবস্থানও আলাদা নয়। সে কারণেই মিয়ানমারকে জাতিগত নিধন চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে তারা।
বাংলাদেশ নীতিগতভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিরোধী হলেও এখানকার বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে তারা জানিয়েছে,  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরও অনেক বিপন্ন মানুষ সীমান্তে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের চেষ্টায়।
শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ম্যাককিসিক বলেন,  ৯ অক্টোবরে ৯জন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা মিলে ‘সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘবদ্ধ প্রতিশোধ’ নিচ্ছে। তারা দাবি করছে, রোহিঙ্গারাই ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত।
জন ম্যাককিসিক বলেন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে ‘মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে, শিশুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে, লুটপাট চালাচ্ছে, নদী পেরিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে’।
‘এখন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বলা খুব কঠিন যে তারা সীমান্ত উন্মুক্ত করে রেখেছে। কেননা এতে মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন প্রক্রিয়াকেই ত্বরান্তিত করা হবে। চূড়ান্ত অর্থে রোহিঙ্গাদের নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা হত্যাকা- এবং তাদের বিতাড়ন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।’ বলেন ম্যাককিসিক।
বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে ভৎসনা করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাখাইন রাজ্যে সেনা দমনকে ‘গভীর উদ্বেগ’-এর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৪০ দিন ধরে রাখাইন রাজ্যে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলো। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন। ‘আমাদের সহায়তার মূল উদ্দেশ্য হলো তারা যেন বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য না হয়।’ সম্প্রতি রয়টার্সকে বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার একজন মুখপাত্র।  তবে তারপরও যারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, বাংলাদেশকে তাদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে তাও বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। রাখাইনে নতুন করে গঠিত ইনফরমেশন ট্রাক্সফোর্স-এর সদস্য এবং প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জ তাই দাবি করেন, এ নিয়ে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের কোনও আলামত তারা পাননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

imagesন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ বগুড়ার মহাস্থানগড় সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেল। বৃহস্পতিবার সার্ক কালচারাল সেন্টারের ঢাকায় সফররত পরিচালক ওয়াসান্থে কোতুবেলার নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল এ ঘোষণা চূড়ান্ত করে। আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রাচীন পু-্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পু-্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় সুমহান ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে সারা বিশ্ব আমাদের এই প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে জানবে। আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এর ফলে যেমন প্রসার পাবে, আবার এর মাধ্যমে পর্যটনের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক সাড়া মিলবে।’
২০১৫ সাল থেকে সার্ক কালচারাল সেন্টার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোনো একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলকে সার্কের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে আসছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের ভিত্তিতে দেশগুলোর স্থান বেছে নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আফগানিস্তানের বামিয়ানকে গত বছর সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। মহাস্থানগড়কে যে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে, তা গত বছরই জানানো হয়েছিল বলে জানান বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। ২০১৭ থেকে এক বছরের জন্য মহাস্থানগড় সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে থাকবে।
খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে মহাস্থানগড়ে মানববসতির চিহ্ন পাওয়া যায় বলে জানান এ অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্যের গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। মহাস্থানগড়কে সার্কের রাজধানী হিসেবে বেছে নেওয়ার ঘোষণাকে সঠিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, ‘কেবল ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। এই সাংস্কৃতিক রাজধানীকে পর্যটন ও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কাজে লাগাতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পর্যটন বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হওয়ার পর মহাস্থানগড়ে সারা বছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শুধু সেখানেই নয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠান চলবে। এসব অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সম্ভারকে।
১৮৭৯ সালে প্রাচীন পু-্রবর্ধন রাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ প্রতœতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম। পু-্ররাজ্যের রাজধানী বর্তমানের রাজশাহী, দিনাজপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সুফি মোস্তাফিজ বলেন, পু-্র সিলেট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে মনে করা হয়। তবে এর যথার্থ প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
বগুড়ায় আনন্দ মিছিল: বগুড়া প্রতিনিধি জানান, সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করায় বগুড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনন্দের বন্যা বইছে। ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে আনন্দ মিছিল বের করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এতে সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মী এবং সংগঠকেরা ছাড়াও নানা পেশাজীবীরা অংশ নেন।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মহাস্থানগড়কে ঘিরে রয়েছে পু-্র সভ্যতার কয়েক শ বছরের ইতিহাস। সার্কের রাজধানী ঘোষণার ফলে মহাস্থানগড় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। এর ফলে বগুড়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও আঞ্চলিক লোক ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা সহজ হবে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে। এতে শুধু বগুড়ার সংস্কৃতি বিকশিত হবে না, হোটেল-মোটেল ব্যবসা ও খাবারের হোটেল ব্যবসা, নকশিকাঁথা, হস্তশিল্পের বিকাশ ঘটবে। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু দই বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাবে। এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি চাঙা হবে।
কবি ও লেখক তোফাজ্জল হোসেন (শোয়েব শাহরিয়ার ) বলেন, ইতিহাসের দলিল অনুযায়ী মহাস্থানগড়ে প্রাচীন ১৬টি সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে পুরোনো এই সভ্যতা এত দিন সুপ্ত ছিল। সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণার মাধ্যমে এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল এবং পু-্র নগরের প্রাচীন ইতিহাসের দ্বার উন্মোচিত হলো।
সার্ক কালচারাল সিটি ঘোষণায় আবেগাপ্লুত বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আশির দশকে ইয়্যুথ কয়্যারের মাধ্যমে বগুড়ার আঞ্চলিক গান দেশজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছিলাম। এখন সার্কের রাজধানী হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বগুড়ার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি তুলে ধরা সহজ হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎয়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ উপলক্ষে তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে শতভাগ শুভ বিদ্যুৎয়ানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তালা কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এসময় পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার রবিন্দ্র নাথ দাস, জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক প্রণাব ঘোষ বাবলু, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ১৪দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ১০ম দিনের জাঁকজমকপূর্ণ খেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে জয়লাভ করে সদর উপজেলা দল সেমিফাইনালে খেলার জন্য উন্নীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযেগিতায় ৬ষ্ঠ জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ১০ম দিনের খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এাইনুদ্দিন,জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ট্রেজারার শেখ মাসুদ আলী, নির্বাহী সদস্য ইমাদুল হক খান, আনোয়ার হোসেন আনুসহ অসংখ্য ক্রীড়ামোদি দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন। শ্যামনগর উপজেলা দল প্রথমার্ধের খেলায় ১টি গোল করে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় গোল পরিশোধের জন্য তুমুল আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১০ম  দিনের খেলায় কালিগঞ্জ উপজেলা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শ্যামনগর উপজেলা দল। খেলার রেফারী ছিলেন আব্দুল গফ্ফার। সহকারি রেফারী ছিলেন রফিক, নাসির ও আসাদ। আজ শুক্রবার খেলবে আশাশুনি উপজেলা দল বনাম কলারোয়া উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1479998688সারা দেশে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের সমর্থন চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণভবনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বিষয়ে দলটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়।

এ বৈঠক থেকে জেলা পরিষদে দলীয় সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়।

আবেদন যাচাই-বাছাই করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের গত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল জনমত ও জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি জেলায় দলের সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে।

আগামী মাসে সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযানে চালিয়ে ২৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে। বুধবার দিবাগত ভোর রাতে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ব্রোজপাটলি এলাকা থেকে এ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কার জায়াদুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক রমজান আলী নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ব্রজপাটুলি গ্রামের শাহাদাৎ শেখের পুকুর পাড় থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দুই‘শ ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করলেও মাদক ব্যবসায়ীদের কাউকে আটক করা সম্ভাব হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত রবিউল ইসলাম হত্যাকা-ের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে তার ভাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন মানিকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতায় নিহত রবিউল ইসলাম হত্যাকা-ের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সংশ্লিষ্টরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে ২০ নভেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নানা অভিযোগে কুচক্রীরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার সুনাম ক্ষুণœ করতে এবং তার ভাইয়ের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে কুচক্রীরা ওই মানববন্ধন করে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় তার সাথে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পাইকগাছা ব্যুরো: পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। পৌর সদরের শহর রক্ষা বাঁধ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা আর্বজনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার (ডাস্টবিন) অভাবে দুর্গন্ধে পৌরবাসী অতিষ্ট। দেখার কেউ নেই, কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবি। জানাযায়, খুলনা জেলা হতে ৬৬ কিলোমিটার দক্ষিণে পাইকগাছা পৌরসভা দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার লাখও জনতা পাইকগাছাকে সুন্দরবন জেলার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। যার ফল শ্রুতিতে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. শেখ মোঃ নুরুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাইকগাছাকে পৌরসভা ঘোষণা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সময় উতরীয়ে প্রায় ২০ বৎসর পার হলেও এখনও পর্যন্ত পৌরসভার (গাইডওয়াল) শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়নি। অথচ, পৌরসভার তিন পাশেই রয়েছে শিবসা নদীও কপোতাক্ষ নদ। প্রতিনিয়ত উপচে পড়া জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ করে অলিগলি তলিয়ে যায়। পৌর নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা শহর রক্ষা বাঁধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আবার পৌর সদরের পাশে ময়লা আর্বজনা নষ্ট করার ডাম্পিং না থাকায় পৌর সদরের বাজার সংলগ্ন নদীর পার্শ্বে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দূর্গন্ধে বাজারের ব্যবসায়ী সহ সকলের চলাফেরা কষ্ট হয়ে পড়ে। এক পর্যায় সকলকে নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এমনকি ব্যবসায়ীরাও নাকে রুমাল বেঁধে দোকানে বসে। সুইপারদের ময়লা ফেলার সুযোগে নদীর পার্শ্বে গরু ছাগল হাঁস মুরগী জবাই করে তার মলমুত্র ফেলে। এযেন দুর্গন্ধের নরকে পরিনত হয়েছে। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ তৈরি করার কারণে বাজার থাকে সব সময় অপরিচ্ছন্ন। মাংস মার্কেট, কাঁকড়া ডিপো মার্কেট, স্বর্ণপটিতে জোয়ারের সময় ড্রেন দিয়ে নদীর পানি উঠে তলিয়ে যায়। অনেক ড্রেনের পাট না থাকায় নদী হতে ময়লা আর্বজনা বাজারে প্রবেশ করে। তখন বাজারের রাস্তায় জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সব কিছুই মিলে পৌর সদর চলছে হ-য-ব-র-ল ভাবে। পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব। উপরোক্ত সমস্যাগুলি নিরসনের জন্য পৌরবাসী মেয়র মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest