সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট: ‘এল ক্লাসিকো’ রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব দে ফুটবল (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার (বার্সেলোনা) মধ্যে সংঘটিত যেকোন ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম। শুরুতে শুধুমাত্র স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোকেই এল ক্লাসিকো বলা হতো। তবে ব11র্তমানে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল ব্যতীত রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত সকল খেলাকে এই নামে ডাকা হয়। এটি বিশ্বের সর্বাধিক অনুসৃত ফুটবল ম্যাচ, যা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী উপভোগ করে থাকেন।

দুই দলের রোমাঞ্চকর সেই লড়াই দরজায় কড়া নাড়ছে। আজ লা লিগায় মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা । ৩ ডিসেম্বর শনিবার বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৫ টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি ইএসপিএন ও সনি সিক্স এইচডি।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ২৩১ বারের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা জয় পেয়েছে ৯৩ বার। ৯০ বার জিতেছে বার্সেলোনা। বাকি ৪৮টি ম্যাচে ড্র হয়েছে। এল ক্লাসিকোতে এখন পর্যন্ত মোট গোল হয়েছে ৭৬৬টি যার মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ করেছে ৩৯০ আর বার্সেলোনা ৩৭৬।

লা লিগায় দুই দলের সাক্ষাত ১৭২ বার। এখানেও এগিয়ে রিয়াল। বার্সার ৬৮ জয়ের বিপরিতে রিয়াল মাদ্রিদের জয় ৭২। বাকি ৩২টি ম্যাচে কেউ জেতেনি। এর মাধ্যে ঘরের মাঠে রিয়াল জিতেছে ৫২ বার। আর বার্সা জিতেছে ৪৯ বার। লা লিগায় বার্সার বিপক্ষে রিয়েলের গোলের সংখ্যা ২৮০টি। আর বার্সেলোনার ২৭২টি।

অপরদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ দুই দলের ৮ বারের সাক্ষাতে রিয়াল জয় পেয়েছে ৩টি আর বার্সা পেয়েছে দুইটি জয়। বাকি তিন ম্যাচে ড্র। কোপা ডেল রে’তে রিয়াল থেকে এগিয় বার্সেলোনা। ৩৩ বারে মোকাবেলায় বার্সার জয় ১৪ আর রিয়ালের ১২টি ম্যাচে। ড্র হয়েছে ৭টি।

এছাড়াও স্প্যানিশ সুপার কাপ এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এ লিগে রিয়ালের ১২ জয়ের বিপরিতে বার্সেলোনার জয় মাত্র ৬ ম্যাচ। ড্র এর সংখ্য ৪টি। লিগ ছাড়াও দুই দল এখন পর্যন্ত ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ৪টি ড্র ও বার্সা জয় পেয়েছে বাকি দুইটিতে।

দুই দলের প্রথম দেখা হয় ১৯০২ সালে কোপা ডি লা করোনেশনের সেমিফাইনাল। ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জয় পায় বার্সেলোনা। যদিও অফিশিয়াল এল ক্লাসিকোর তালিকায় নেই ম্যাচটি। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দুদলের প্রথম দেখা ১৯১৬ সালের কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে। এই ম্যাচেও ২-১ গোলে জয় পায় বার্সা । সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই ক্লাব। শেষবারের দেখায় ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

15স্পোর্টস ডেস্ক: শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দুইটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটি জয় পেয়ৈছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটস।

দিনের প্রথম খেলায় খুলনা টাইটান্সের মুখোমুখি হয় কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাটিয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে খুলনা। জবাবে ব্যাটিয়ে নেমে ৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে কুমিল্লা।

অপর খেলায় চিটাগং ভাইকিংসর বিপক্ষে খেলতে নামে ঢাকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে চিটাগং ভাইকিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ঢাকা ডায়নামাইটস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4অনলাইন ডেস্ক: এখন থেকে তিনজন মিলে একটি শিশুর জন্ম দিতে পারবেন বলে জানালেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। ‘থ্রি পেরেন্ট’ পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানের পদক্ষেপ গত বছর যুক্তরাজ্যে বৈধতা দেয়া হলেও বাস্তবায়ন হবে আগামী মাস থেকে।

নতুন প্রযুক্তিকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরল জেনেটিক ত্রুটি মায়েরাও আইভিএফ প্রক্রিয়ার সময় অন্য নারীর সঙ্গে তার ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্দ্রিয়াল ডিএনএ প্রতিস্থাপন করে সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিতে সক্ষম হবেন বলে জানান গবেষকরা।

তারা জানান, যার শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াজনিত কোনো ত্রুটি নেই৷ আসলে ভ্রুণের মাইটোকন্ড্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে হৃৎপিণ্ড, যকৃত, চোখ, পেশিতন্ত্র বা মস্তিষ্কে বড় ধরনের জটিলতা বা অসুস্থতা নিয়ে জন্ম নিতে পারে একটি শিশু৷

আর এই ‘থ্রি পেরেন্ট ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা ‘থ্রি পেরেন্ট আইভিএফ’ পদ্ধতিতে একজন দাতা সুস্থ্য নারীর সহায়তায় আইভিএফ মায়ের ডিম্বাণুর ত্রুটিপূর্ণ প্যাকগুলি সরিয়ে সুস্থ ভ্রুণের মাইটোকন্ড্রিয়া প্রতিস্থাপন করা যায়৷

ইতোমধ্যে দেশটির সংসদ বির্তকিত এ পদ্ধতিটি বৈধ করে। এর আগেও ‘থ্রি পেরেন্ট’ পদ্ধতিতে মেক্সিকোতে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম হয়েছে। এটাই এ পদ্ধতির সফলতা প্রমাণ করে।

অধ্যাপক রবিন লভেল বলেন, এটি আমাদের জন্য খুবই বড় একটি সুখবর। এটি চিকিৎসা শাস্ত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। আমাদের এ পদ্ধতিতে আরো কিছু শিশু জন্মানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং সাবধানতার সঙ্গে তা বিচারও করতে হবে।

এক্ষেত্রে মাইটোকন্দ্রিয়াল রোগে আক্রান্ত একজন নারীর ডিম্বাণু থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব ডিএনএ এর সঙ্গে অন্য সুস্থ নারীর মাইটোকন্দ্রিয়াল ডিএনএ বাবার শুক্রাণু দিয়ে একসঙ্গে নিষিক্ত করা হয়। এবং একমাত্র এই উপায়েই ওই দম্পত্তি একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

press-conference000নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসারসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাতে গুষ নিয়ে সকালে ফেরত দেয়ায় পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন হালিমা নামে এক গৃহবধু। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে কলারোয়া প্রেসক্লাবে উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগের সমর্থক আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হালিমা খাতুন কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আনোয়ার হোসেন ও এএস আই সাইদুর রহমানের বিচার চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামীসহ তার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক। তার দ্বিতীয় কন্যা বি-ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারতে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ২৩হাজার টাকা জোগাড় করে বাড়িতে রাখে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে কে বা কারা তার বাড়ির দরজায় প্রচন্ড জোরে ধাক্কা মারতে থাকে। এসময় তিনি দরজা খুলেই দেখতে পান পিস্তল হাতে ওই দুই দারোগাসহ কয়েকজন পুলিশ। কোন কিছু বলার আগেই তারা বলেন যে, বাড়িতে টাকা কত আছে? তিনি বললেন, তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক কষ্টে ২৩হাজার টাকা গুছিয়ে রেখেছি। বলা মাত্রই দুই দারোগা বলেন, টাকা গুলি নিয়ে আয়, তা নাহলে তোর স্বামীকে ক্রসফায়ারে দিয়ে দিব। তখনই তিনি প্রান ভয়ে ঘর থেকে ২৩হাজার টাকা এনে সাঈদ দারোগার হাতে দিয়ে দেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, এরপর দারোগা আনোয়ার আরো ২০ হাজার টাকা পাশ থেকে ধার করে নিয়ে আসতে বলেন। তখন তিনি ওই গভীর রাতে জীবনের বাজি রেখে পাশের বাড়ি রফিকুল ইসলামের নিকট ২০হাজার টাকা ধার চায়তে যান। কিন্তু ফিরে এসে যখন টাকা ধার পায়নি বলেন, তখন তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে  তাদের হাতপা ধরে অনেক অনুনয় বিনয় করায় দারোগা সাঈদ বলেন, ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছি তবে আগামিকাল শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে আরো ২০হাজার টাকা নিয়ে থানায় আসবি। এসময় তারা (দারোগা) যোগাযোগ করার জন্য একটি মোবাইল নং- ০১৭৯৯-১০০৬১২ দিয়ে আসেন। শুক্রবার সকালে হালিমা খাতুন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাতে বলেন। পরে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বাসায় গিয়ে তাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানালে তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) পুলিশের দেয়া নম্বরটিতে কল দিলে দারোগো সাঈদ ধরে বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওসি সাহেবকে বললে ওসি সাহেব তাকে (হালিমা) থানায় পাঠিয়ে দিতে বলেন। তিনি থানায় গেলে ওসি সাহেব ওই দুই দারোগাকে ডাকেন এবং চিনেন কিনা বলেন। ওই দুই দারোগা আসার সাথে তিনি বলেন, এনাদের দুই জনের কাছে টাকা দিয়েছি। ওসি সাহেব তখন দারোগা আনোয়ার ও সাঈদকে টাকা ফের দিতে বলেন এবং ওসি সাহেবের সামনেই তারা উক্ত ২৩ হাজার টাকা তাকে (হালিমা) ফেরত দেন। টাকা নিয়ে থানা থেকে বের হওয়ার সময়- ‘টাকা নিয়ে বাড়ি যা, এক সপ্তাহের মধ্যে বুঝতে পারবি’ বলে সাঈদ দারোগা হুমকি দিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হালিমা খাতুন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, কলারোয়া থানার দারোগা আনোয়ার হোসেন ও সাঈদ হোসেন উল্লেখিত আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ২৩হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তবে সকালে ওসি সাহেবকে বলার পর তারা টাকা গুলি ফেরত দিয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার হোসেন ও সাঈদ হোসেনেরে নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তারা ওই রাতে বাইরে কোন অভিযানে যাননি জানিয়ে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ জানান, আব্দুস সাত্তার নামে ওই গ্রামে একজন থানায় লিস্টেট ব্যক্তি আছে। তবে ওইদিন রাতে ভুল বশত: উল্লেখিত আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। এছাড়া টাকার লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শুক্রবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে (হালিমা) থানায় পাঠালে বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির একটা সুরাহা করে দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

indexআমির হোসেন খান চৌধুরী: আজ সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা। গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত দুই বছর ধরে এই সংস্থাটির বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করা হচ্ছে কিছুটা লুকোচুরি করে! ১১৪১ জন আজীবন সদস্যের এই ইউনিটের সাধারণ সভা এমন এক জায়গায় আয়োজন করা হচ্ছে যেখানে একসাথে ১০০ জনকেও বসানো সম্ভব নয়! অর্থাৎ সুপরিকল্পিতভাবে সদস্যদের উপস্থিত হতে নিরুৎসাহিত করে সাজানো সাধারণ সভার আয়োজন চলছে! অন্যদিকে ডাকযোগে সকল সদস্যদের নিকট বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিশ পাঠানোর কথা থাকলেও শত শত সদস্য কোনদিনই এ নোটিশ পান না। আবার অনেকেউ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর এ নোটিশ হাতে পান। কোরাম না পুরলেও ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে সভার উপস্থিতির কোরাম পূরণ হয়েছে দেখানো হয়।
rউল্লেখ্য, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। এ নিয়ে রেডক্রিসেন্টের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্যরা জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে চলছে হরিলুটের খেলা। একজন প্রভাবশালী নেতার দুই ভাই এসব হরিলুটের সাথে জড়িত বলে তারা বলছেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি সালে সাতক্ষীরা ইউনিটের প্রকল্পের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে একরামুল লিটন নামের এক অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শামীম নামের আরো একজন অফিসারকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে। তবে ঐ দুই ভাইয়ের দুর্নীতির কারণে এ সমস্যা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়নি ওই অফিসাররা।
এদিকে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বর্তমান আজীবন সদস্য সংখ্যা প্রায় ১১৪১ জনের মত। অথচ কার্যালয়ে মানুষের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় ১০০ জনেরও।
বিগত ২০১৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয়। এরপর অদ্যাবদি কোন নির্বাচন হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন বিগত ২০১৫ সালের নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কোন প্রতিদ্বিন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেয়নি। যে কারণে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ঐ দুই ভাইকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাদের অন্তর্ভূক্তির পর থেকে ব্যাহত হতে শুরু করে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা। কিন্তু ঐ কার্যালয়ের ধারণ ক্ষমতাই নেই সহ¯্রাধিক সদস্যের। কীভাবে এত সদস্যদের জায়গা দিবেন কর্তৃপক্ষ তা জানেন না কেউ।
এদিকে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে সতক্ষীরা রেডক্রিসেন্টের সেক্রেটারি শেখ নুরুল হককে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরে উপর্যুপরি কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি আন্তর্জাতিক সেবাদানকারী সংস্থা। তাই আজীবন সদস্যরা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটটিকে পূর্বের ন্যায় গতিশীল ও মূল স্রোত ধারায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর ইংরেজি নাম ডধঃবৎ পযবংঃহঁঃ এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ঞৎধঢ়ধ নরংঢ়রহড়ংধ। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। জানা যায় যে, প্রায় তিন হাজার বছর পূর্ব থেকেই চীনদেশে পানিফলের চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। এর শেকড় থাকে পানির নিচে মাটিতে এবং পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানি ফলের আরেক নাম ‘শিংড়া’। ফলগুলোতে শিংয়ের মতো খাঁজকাটা থাকে বলেই এরকম নামকরণ হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। কোথাও কোথাও একে ‘পানি সিংগাড়া’ নামেও ডাকা হয়। ফলচাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ন -পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারন করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তাছাড়া এ ফলে ৬৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পানিফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করা ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ। লৌহ অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ লবন। লৌহের অভাবে মানবদেহে অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অতি সহজে রোগের শিকার হয়। পানি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পানি ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমান ১৫ মিলিগ্রাম। আর শসাতে আছে ভিটামিন ‘সি’ মাত্র ৫ মিলি গ্রাম। ভিটামিন ‘সি’ শরীরে চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ অস্ত্রে লৌহ শোষণে সাহায্য করে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৩ ভাগ পরিবার ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাঁ পোকা কামড়ের যন্ত্রনায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে  উপকার পাওয়া যায়। পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এর উৎপাদন খরচ খুব কম। সাতক্ষীরা জেলার সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। জানা যায়, এ বছর জেলায় ৭১ হেক্টর জমিতে পানি ফলের চাষ হয়েছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সবার কাছে পরিচিত না হলেও ক্রমশঃ এ ফলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের দু’ধারে চোখে পড়ে এই পানিফল। এ জেলার হাটবাজারে ও ফুটপাতে ছাড়াও ক্ষেত থেকে তুলে মহাসড়কের ধারে পানিফল বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। প্রতি কেজি পানিফল স্থানভেদে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত ফলটি এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। লাভ বেশি হওয়ায় পানি ফলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। এতে জেলায় কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। অপরদিকে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এই সোনালি সম্ভাবনাকে সফল করার জন্য পানিফল চাষাবাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষনা করা আবশ্যক। সর্বোপরি সাতক্ষীরা জেলার জলাবদ্ধ পতিত জমির সদ্ব্যবহার, জনসাধারনের পুষ্টি নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে পানিফল চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উপকরণ সরবরাহ, বাজারজাতকরণ ও তত্ত্বাবধায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। মোঃ আবদুর রহমান, লেখক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিস, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলা আজ। শনিবার বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযেগিতায় ৬ষ্ঠ জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল খেলায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হবে দেবহাটা উপজেলা দল বনাম শ্যামনগর উপজেলা দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘মাদক ও সন্ত্রাসবাদকে না বলুন, ফুটবলকে হ্যা বলুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরায় আশিক এন্টারপ্রাইজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৬ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ভোমরা পদ্মশাঁখরা কোহিনুর ক্লাব মাঠে জাকজমকপূর্ণ ফাইনাল খেলায় মৌতলা ফুটবল একাদশকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে গাজীরহাট ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন ও চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, বিটিভি’র প্লানার সোনিয়া পারভীন শাপলা, ব্যবসায়ী আল-ফেরদৌস আলফা, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, এড. আজহারুল ইসলাম, ভোমরা পদ্মশাঁখরা কোহিনুর ক্লাবের সভাপতি মো. বাবর আলী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন ভোমরা বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার ফারুক হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোনাজাত আলী, পৌরযুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন ভোমরা স্থল বন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিবুর রহমান আলিমসহ অসংখ্য দর্শক ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন। খেলার রেফারী ছিলেন এ.কে আজাদ কানন। সহকারি রেফারী ছিলেন রফিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest