সর্বশেষ সংবাদ-
অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশ

5jonডেস্ক রিপোর্ট: প্রায় তিন মাস পর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর শেফ সাইফুল চৌকিদারের লাশ আজ বৃহস্পতিবার দাফন করা হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (সিএমএইচ) লাশগুলো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে। পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম লাশগুলো জুরাইন কবরস্থানে দাফন করে।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরের কাছে দুপুর ১২টার দিকে ছয়টি লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজন এবং আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের নয়জন প্রতিনিধি ছিলেন।
পাঁচ জঙ্গি হলো রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম পায়েল।
গত ১ জুলাই গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্দুকধারী ঢুকে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। রাতভর জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশি, ৩ জন বাংলাদেশি ও পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী নিহত হন। এরপর থেকে এ ছয়টি লাশই সিএমএইচে ছিল।
মাস খানেক পর পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁ ওই কর্মীর অভিভাবকদের দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আবেদন না করায় তা আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হলো। আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়টি লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

পাঁচ জঙ্গির বিস্তারিত পরিচয়
রোহান : অভিযানে নিহত রোহান ইবনে ইমতিয়াজের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা। রোহানের মা শিক্ষিকা। দুই ভাইবোনের মধ্যে রোহান বড়। তিনি ঢাকার স্কলাসটিকা থেকে ‘এ’ লেভেল শেষ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন।

মোবাশ্বের : গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে মীর সামেহ মোবাশ্বের বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ওই বাসায় তাঁর বাবা মীর এ হায়াৎ কবিরের সঙ্গে  কথা হয়। তিনি বলেন, সামেহ স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করেছে। ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যে দিন সামেহ নিখোঁজ হয়, সে দিন তার গুলশানের আজাদ মসজিদের পাশের একটি কোচিং সেন্টারে যাওয়ার কথা ছিল।
বাবা মীর এ হায়াৎ কবির একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে চাকরি করেন। মা একটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক।

নিরবাস: মনোশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের ছাত্র ছিলেন নিরবাস ইসলাম। ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে নিরবাস বড়। বাসা ঢাকার উত্তরায়। তাঁর নিকটাত্মীয়রা সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে চাকরি করেন।

খায়রুল: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুতিনগর ইউনিয়নের ব্রিকুষ্টিয়া গ্রামের দিনমজুর আবু হোসেনের ছেলে খায়রুল। ব্রিকুষ্টিয়া দারুল হাদিস সালাদিয়া কওমি মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়েছিলেন খায়রুল। এরপর ডিহিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসা থেকে তিনি দাখিল পাস করেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।

শফিকুল: শফিকুলের বাবা বদিউজ্জামান (৫৫) ও বড় ভাই আসাদুল ইসলাম (৩২) দুজনই কৃষিশ্রমিক। বদিউজ্জামান  বলেন, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছিল যে টেলিভিশনে শফিকুলের ছবি দেখাচ্ছে, তিনি ঢাকায় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে মারা গেছেন।
শফিকুল ধুনটের গোঁসাইবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

13স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছরের ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে অস্ট্রেলিয়ায় আবারও একটি ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প করার আলোচনা আগে থেকেই চলছিল। এবার সেটা চূড়ান্ত রূপ পেলো। দেশটির রাজধানী সিডনিতে ১০ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে মাশরাফিরা।
এই সিরিজে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৯ ডিসেম্বর সিডনির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। ক্যাম্প চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর সেখান থেকেই দল চলে যাবে নিউজিল্যান্ডে। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডেতে ক্রাইস্টচার্চে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হজ পালন শেষে দেশে খালেদা

কর্তৃক Daily Satkhira

khaleda-1ডেস্ক রিপোর্ট: পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. শাহজাহানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দলের চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যাওয়া নেতা-কর্মীদের সবাই ভেতরে ঢোকার সুযোগ পাননি। নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ ছিলেন বিমানবন্দর সড়কে। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসায় যান খালেদা জিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার মাসিক এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলার মাসিক এনজিও সমন্বয় সভায় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা তাদের উন্নয়নের কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন। জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে এবং তাদেরকে পুর্নবাসন  করতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। এছাড়া স্বস্থ্য,  শিক্ষা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক দেবাশিষ সরদার, সহকারি কমিশনার সাদিয়া আফরিন, ডিআই ও ওয়ান মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের জেলা প্রতিনিধি মুন্নী জাহান, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিপ্লব কুমার ঠাকুর,  সুশীলন এনজিও’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার জি.এম মনিরুজ্জামান, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর মনিরুজ্জামান টিটুসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক:সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ^র এলাকা থেকে অপহৃত ৮ জেলেকে উদ্ধারে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, গত ২দিনে এখনও পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ মেলেনি বলে জানান ফিরে আসা জেলেরা। র‌্যাব ও পুলিশ জানায়, অপহৃতদের উদ্ধারে সুন্দরবনে অভিযান চলছে।এ ব্যাপারে, র‌্যাব-৮ উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে ইতিমধ্যে সুন্দরবনে র‌্যাবের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে আপনাদেরকে জানানো হবে। এদিকে, শ্যামনগর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মহাসীন আলী জানান, অপহরণের ঘটনাটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরে অপহৃতদের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভিতর নৌ-পুলিশের একটি দল কাজ করছে।  সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের এসিএফ শোয়েব খান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও পর্যন্ত তাদের উদ্ধারের কোন খবর পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত ঃ মুক্তিপনের দাবিতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ্বর এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে মাছ ধরার সময ২৫ টি নৌকা থেকে ৮ জেলেকে অপহরন করে জলদস্যু নোয়া মিয়া বাহিনী। ফিরে আসা জেলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের মোজাম গাজীর ছেলে ইকবাল হোসেন ও লিয়াকত মোল্যার ছেলে ইউছুফ মোল্যা জানান, অপহৃত জেলেদের কাছ থেকে জন প্রতি ৩০ হাজার টাকা মুক্তি পনের দাবিতে অপহরন করে জলদস্যু নোয়া মিয়া বাহিনী। অপহৃত জেলেরা হলেন, চাদনী মুখা গ্রামের শাহাদাৎ, শামসুর রহমান, রাজুসহ মোট ৮ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_mg_5484-large

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘‘পরীক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষা নয়, পরীক্ষা পদ্ধতিতে সহনশীলতা চাই ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পূর্বের ছয় বিষয়ের পাশাপাশি নতুন একটি বিষয়ে সৃজনশীল প্রদ্ধতিতে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানব বন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা জাহী, পিয়াল, অনামি, ইমরোজ রাতিম, রিজভি, সাদী, রুহান, নওশীন, অভিভাবক নাসরিন সুলতানা লিনা প্রমুখ। শিক্ষার্থীরা এ সময় সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক অবরোধ করে সেখানে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এসময় বক্তরা, পরীক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষা নয়, পরীক্ষা পদ্ধতিতে সহনশীলতা চেয়ে শিক্ষা মনন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল দাবী করে ২০১৭ সালের পরিবর্তে এই পদ্ধতিতে ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর করার জোর দাবী জানান। এসময় মানবন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ  বিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

police-arrest-without-warenনিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশি গ্রেফতার বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধে পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর থানা, কলারোয়া থানা ও সাতক্ষীরা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দ্বারা যাতে সাধারণ ও নিরীহ মানুষ পুলিশি হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য তারা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কার্যালয়ে যান। তারা সেখানে সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু পুলিশি হয়রানির এবং পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের ঘটনা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ অহেদুজ্জামান, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, কালারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার প্রমুখ।
সেখানে উপস্থিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, বেশ কিছু দিন ধরে সাধারণ মানুষ কতিপয় পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে এনে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে আ’লীগ নেতাদের কাছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর থানা, কলারোয়া থানা এবং সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এ গ্রেফতার বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন।
নেতোরা আরও বলেন, নবাগত পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন সাতক্ষীরায় যোগদানের পর আমরা আশা করে ছিলাম, সাধারণ মানুষ পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন। কিন্তু তা কমেনি। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেড়েছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্বকভাবে নষ্ট হচ্ছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সেখানে উপস্থিত একজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি সাতক্ষীরাকে বলেন, “আমি এসপি সাহেবকে বলেছিÑ আওয়ামীলীগের নেতারা যখন আটককৃত কারও জন্য ফোন করেন। তখন পুলিশ বলে নেতারা জামাতের পক্ষে তদবির করেন। কিন্তু যখন পুলিশ কাউকে রাতে নাশকতার পরকিল্পনাকারী বা সহিংসতার মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ধরে নিয়ে আসার পরদিন মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় তখন সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এর মাধ্যমে আ.লীগ নেতাদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। সরকারি দলের নেতাদের এভাবে অপমান করে প্রকান্তরে সরকারকেই ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।” ওই নেতা আরও বলেন, আমাদের সাথেও একজন নেতা সরাসরি পুলিশ সুপারকে বলেনÑসুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে তুলে আনার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি উল্টো আমাদের ফোনে উত্তর দেনÑ আপনাদের আওয়ামীলীগ নেতাদের ক্ষমতা আমাদের(পুলিশের) জানা আছে। তারা কিছুই করতে পারবে না।”
এ বিষয়ে জেলা আ.লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, নতুন এসপি আসার পরে আমরা বুধবার প্রথম দলগতভাবে সবাই মিলে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। আমরা সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি তাকে অনুরোধ করেছিÑ যেন দোষী ব্যক্তিতে আইনের আওতায় আনা হয় এবং কোন নিরপরাধ মানুষ অযথা হয়রানির শিকার না হয়। সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারি দলের জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কোনভাবেই চাইব না সরকারের কোন বিভাগের আচরণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।”
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে জানান, পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও হয়রানির সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ঘটনা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে আবহিত করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হোক। কিন্তু যারা নিরাপরাধী তাদেরকে ধরে নিয়ে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা খুবই দু:খজনক। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ, সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ও কলারোয়া থানা পুলিশ এ ধরনের ঘটনা সব চেয়ে বেশি ঘটাচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সাতক্ষীরার নবাগত পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে জানানোর জন্যই আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সাথে বুধবার দুপুরে সাক্ষাত করেছেন। পুলিশ সুপার অভিযোগগুলো মন দিয়ে শুনেছেন।
নবাগত পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে আশ^স্ত করে বলেন, সাতক্ষীরার কোন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের হাতে সাধারণ নিরাপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এখন থেকে কোন নিরাপরাধ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা কোন ধরণের হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সদস্যেদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠলে তা পুলিশ সুপারকে সাথে সাথে অবহিত করার জন্য তিনি বলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474473556ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ইরাকের তেলসম্পদ নিজেদের করে নিবেন। পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট (আইএস) অধিকৃত এলাকার তেলও নিজেদের করে নিবেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি এ ধারণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতে, এটা কেড়ে নেওয়া না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ব্যয়ের পরিবর্তে অর্জন। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান এ তথ্য দিয়েছে।
চলতি মাসেই ট্রাম্প একটি অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিয়েছেন ইরাক যুদ্ধের বিনিময়ে প্রাপ্তি হবে তেলসম্পদটা। তিনি বলেন, ‘আমরা গেলাম। খরচ করলাম তিন ট্রিলিয়ন ডলার। হারালাম হাজার হাজার জীবন আর এরপর… কী ঘটবে আমরা কিছু না পেলে। আপনারা জানেন, জয়ী হওয়া মানে প্রতিপক্ষকে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আইএসের কাছ থেকে তেল কেড়ে নিলে সুবিধাটা হচ্ছে, এরা আর নিজেদের চালাতে পারবে না।’
আর ইরাকের ব্যাপারে ট্রাম্পের এক কথা, ‘আমি এভাবে ইরাকের তেল ফেলে রাখতে পারি না, তা চলে যাবে ইরানের কাছে।’
বেশ খোলাখুলিভাবেই নিজের মত ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন এ রিপাবলিকান। আর এ মতের কারণেই সমালোচনার তীর ছুটে যাচ্ছে ট্রাম্পের দিকে। নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না।
আন্তর্জাতিক বিষয় ও কৌশল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি কোর্ডসম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আপনি নাগরিকের সম্পদ নিজের আয়ত্বে আনতে পারেন না। আর এটা হলে তা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তেল রপ্তানি করাই ইরাকের একমাত্র উপার্জনের উপায়। খরচ করতে হবে আরো অর্থ, সেনাবাহিনী রাখতে হবে, তৈরি করতে হবে ঘৃণার পরিবেশ, যা আগেও করা হয়েছিল। এটা হবে নব্য-উপনিবেশের সবচেয়ে বাজে ধরন। কাজটা ব্রিটেনও করেনি।’
‘আ ডিক্লারেশন অব এনার্জি ইনডিপেনডেন্স’ বইয়ের লেখক জে হেকস মনে করেন, ট্রাম্পের এ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল শত্রু সংখ্যাই বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘ইরাকের তেলে হাত দেওয়া কেবল নতুন শত্রুই বাড়াবে।’ মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ব্যয় কমানোর পরামর্শও দেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest