ন্যাশনাল ডেস্ক: নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠনেরও কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৎ, সাহসী, অবাধ ও সুষ্ঠু স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
একজন নারীসহ চারজন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করেন খালেদা জিয়া। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের হতে হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দলনিরপেক্ষ। বাছাই কমিটির কাছে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো দুজন করে নাম প্রস্তাব করতে পারবে। সেখান থেকে বাছাই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর কেউ যদি দায়িত্ব পালন করতে অসম্মতি বলেন, আঠারো বছর বয়সী সব নাগরিককে ভোটার তালিকায় প্রকাশ করেন, তবে একই প্রক্রিয়ায় আবারও বাছাই করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার দাবি জানান খালেদা জিয়া। তিনি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রবাসীদেরও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
নির্বাচনকালীন প্রশাসন যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ছবিসহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করতে হবে। যাতে কেউ জাল ভোট দিতে না পারে। যাঁদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তাঁরা যেন কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর নিযুক্ত এজেন্টকে রেখে অবাধে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনা শুরু করতে হবে। কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষক রাখতে হবে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এসব বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
এ ছাড়া নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকার গঠন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পরবর্তীকালে বিস্তারিত প্রস্তাব তুলে ধরা হবে।

ডেস্ক: ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের (১৯৬৭-৬৮ সালের) ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সৈয়দ মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যায় জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের জড়িত থাকার প্রমাণ্য দলিল পাওয়া গেছে। ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট ছাত্রনেতা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যার জন্য তৎকালীন চট্টগ্রাম রেডিওতে কর্মরত ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তির কাছে দলীয় প্যাডে ইংরেজিতে হাতের লেখা একটি চিঠি পাঠান মকবুল। এই চিঠি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন হত্যার দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এখনও রয়ে গেছে।
একই চিঠিতে ওয়াজ উদ্দিনকে ‘চীনপন্থী মেনন গ্রুপের নেতা’ ও ‘চট্টগ্রাম সেক্টরের মুক্তি বাহিনীর প্রধান সহকারী’ উল্লেখ করে তার সন্ধান বের করতে ফজলুল হককে অনুরোধ করেন। তিনি এ বিষয়ে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের স্পেশাল ক্যাডেট শাহ জালাল ও নশেরের সহযোগিতায় যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফেনী শহর কমান্ডার হানিফ ও উপদেষ্টা মাওলানা মোস্তফাকে ওই রাতে চট্টগ্রামে পাঠানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেন।
ডেস্ক: মেয়ে আমান্ডা বলেন, “বাবার সঙ্গে যৌন দৃশ্য নিজে হাতে, দাঁড়িয়ে থেকে শুট করেছেন মা”, মাথা তুলে কথা বলতে পারেননি মা জাস্টিন। চোখের পাতা যেন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মৌনতায় জড়িয়েছে নিজেকে, শুধু জল পড়ছে বৃষ্টির মত। এ কেমন মা!
ডেস্ক: বিশ্ব টয়লেট দিবস শনিবার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘টয়লেট অ্যান্ড জবস’। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’।
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার বামনখালী কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক ও জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভানেত্রী মনিরা বিশ্বাস (৩০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না–রাজিউন)। শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রভাষিকা। মৃত্যুকালে তিনি ১ মেয়ে ও স্বামীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরুহুম প্রভাষিকা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের স্ত্রী ও সাতক্ষীরার সদর থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের মেয়ে। শনিবার স্বামীর বাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে কবরস্থ করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাঁর এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে গতকাল সাতক্ষীরা পৌরসভাকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয় পেয়েছে শ্যামনগর।
কালিগঞ্জ ব্যুরো: সত্য-সুন্দর-সম্প্রীতির উৎসব কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমি সম্মেলন ২০১৬ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আবদুস সামাদ ফারুক। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, কবি হোসেন উদ্দীন হোসেন, মাকিদ হায়দার, ভারতীয় কবি নৃপেন চক্রবর্তী ও নলিনী বেরা প্রমুখ। এ্যাডভোকেট জাফরুল্যাহ কুতুবুদ্দিন ইব্রাহিম ও সুকুমার দাশ বাচ্চু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ সাহিত্য একাডেমির সমন্বয়ক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কার জায়াদুল হক, সুশীলনের পরিচালক মোস্তফা নুরুজ্জামান, জেলা সাহিত্য একাডেমির সম্পাদক পল্টু বাসার প্রমুখ। সম্মেলনের আহবায়ক ও বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল কুমার সাহা। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ফারুক অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ২২ জন ভিক্ষুককে প্রথম পর্যায়ে কর্মসংস্থানের জন্য প্রত্যেককে ভ্যান ও সেলাই মেশিন প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারাফ হোসেন, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, দক্ষিণশ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যার প্রশান্ত কুমার সরকার প্রমুখ। সম্মেলনের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কবি সাহিত্যিকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ ও মনোজ্ঞ সাংকৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।