সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

mlm
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার সীমান্তবর্তী নদী ইছামতি নদী থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে দেবহাটা থানা থেকে কয়েক গজ দূরে জোয়ার শেষে ভাটার সময় ব্লকের ধারে লাশটি আটকা পড়ে। বিজিবি সূত্রে জানাযায়, লাশটি একজন হিন্দু মহিলার লাশ। মহিলাটিকে সাপে দংশন করেছে। হিন্দু ধর্মীয় অনুসারে মৃত দেহটিকে কলার ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-kindargaten
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা কিন্ডার গার্টেন স্কুলের আয়োজনে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল হাসান নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী মানববন্ধন স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতনতামুলক বক্তব্য রাখেন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক রাফিজা খাতুন, আমিরুল ইসলাম, দিবাশিষ দাশ, শহীদুল ইসলাম, সুশান্ত সানা, আবু মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে স্কুলের কচি কচি শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের থাবায় দিশেহারা। এ পর্যন্ত যেসব জঙ্গিরা আটক হয়েছে। তারা বেশির ভাগই ছাত্র। যারা ছিলো দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম। কিন্তু তাদের ব্রেনে জঙ্গিবাদের ভাবনা ঢুকিয়ে দিয়ে অকালে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সরকারের সাথে সাথে সকল পর্যায়ের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo
নিজস্ব প্রতিবেদক : মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজেদের বিদ্যালয়ের ছবি একে পুরস্কার জিতে নিল শিশুরা। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ১৫৬নং দক্ষিণ বংশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিশু শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশ ও প্রতিবেশীয় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।  প্রতিযোগিতায় ‘আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ’ বিষয়ে ৪র্থ শ্রেণির ৩০জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। আর নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের ছবি একে প্রথম স্থান অধিকার করে খাদিজা খাতুন, দ্বিতীয় সুমাইয়া খাতুন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে আলামিন হোসেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়জুল হোসেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিএম খাজা নাজিমউদ্দিন, শিরিন সুলতানা, বারসিক কর্মকর্তা মননজয় মন্ডল, আল ইমরান ও রামকৃষ্ণ জোয়ারদার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেহাল জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো

বেহাল জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও মহাসড়কগুলোর ছাল চামড়া উঠে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তার উপর পানি জমে থাকা ও ঠিকাদারী কাজে ব্যাপক পুকুর চুরি ও অনিয়মের কারণে বছরের অধিকাংশ সময় সড়ক-মহাসড়কগুলোর অবস্থা বেহাল থাকে। আর এ বেহাল দশার কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম দুর্ভোগ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হচ্ছে এ সব পথে যাতায়াত করে। অন্যদিকে শীর্ষ জনপ্রতিনিধিরা কোটি কোটি টাকা দামের এসি গাড়িতে যেগ দিচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানেÑ বক্তৃতা দান, পুরস্কার বিতরণ আর উদ্বোধন করে শেষ হচ্ছে তাদের উপর অর্পিত গুরু দায়িত্ব! জেলার ২২ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন যে অবর্ণনীয় ঝাঁকুনি আরা ব্যাথা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই হুমান আজাদের ভাষায়Ñ উন্নতি তথা উপরের দিকে পতন হওয়া এসব জনপ্রতিনিধিদের।
সম্প্রতি বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসেছিলেন সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন যশোর বিমানবন্দর থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত আসতে তিনি যে ভোগান্তি রাস্তার দুরাবস্থার কারণে সয়েছেন তা সহ্য করে কোন ট্যুরিস্ট এখানে আসতে চাইবেন না!
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা-খুলনা ও সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কসহ পৌর এলাকা এবং বিভিন্ন উপজেলার সড়ক-মহাসড়কগুলো দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে যান চলাচলে একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন সড়কের কার্পেটিং, ঝিল ও পাথর উঠে, বৃষ্টির পানিতে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কগুলো বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও যত্র-তত্র যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এ সব সড়ক-মহাসড়কে। বৃষ্টি হলেই এ সব সড়কে কাদা ও হাঁটু পানি থাকে, আর রোদ্র হলেই ধুলোয় সাধারণ মানুষের পাশাপশি স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের পোষাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদারী কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে মেরামতের ৩ থেকে ৬ মাস যেতে না যেতেই রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়।

বেহাল সড়কে বিকল গাড়ি, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

বেহাল সড়কে বিকল গাড়ি, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে খুলনা এবং সাতক্ষীরা থেকে যশোর মহাসড়ক অন্যতম। ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকসহ হাজার হাজার বাস-ট্রাক-পিক আপ চলাচল করে এ মহাসড়কে। বর্তমানে যানবাহনের চাপ আরো বেড়েছে। তবে নির্মাণের ছয় মাস যেতে না যেতেই সাতক্ষীরা শহর থেকে মেডিকেল কলেজ, নিউমার্কেট থেকে চায়না-বাংলা মোড়, হাসপাতাল মোড়, বাস টার্মিনাল ও বিজিবি হেড কোয়ার্টার্স হয়ে তালতলা পর্যন্ত ৭ কিঃমিঃ রাস্তা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানা খন্দে ভরা মহাসড়কের এইসব অংশটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগের অন্ত নেই পথচারীদের। এছাড়া সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েকজন ড্রাইভারসহ সাধারণ মানুষ জানান, সাতক্ষীরা- খুলনা মহাসড়কের সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস গেট থেকে শুরু করে বিনেরপোতা পর্যন্ত সড়কের উপর ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত তালতলা বিজিবি হেডকোয়ার্টারের সামনে বিভিন্ন সময় খাদে পড়ে যানবহন বিকল হয়ে পড়ে। বিজিবি হেডকোয়ার্টারের সামনে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার ওই সড়কে বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।
সম্প্রতি একটি যাত্রীবাহি বাস সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলগেট সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে সড়কের উপর খাদে পড়ে বিকল হয়ে যায়। যাত্রীবাহি ওই বাস বিকল হয়ে পড়লে এক ঘণ্টা যাবত সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে, মিলগেট থেকে তালতলা পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সাতক্ষীরা থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট যেয়ে ওই যানজট নিরসন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছয় মাস আগে নির্মাণকৃত এ মহাসড়কটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মুল কারণ ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর যৌথ দুর্নীতি। আর রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের কমিশন দিতে দিতে ঠিকাদারদের যথাযতভাবে কাজ করা সম্ভব হয়না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার জানান।
অন্যদিকে জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের নির্মাণ কাজের মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যথাযথ দৃঢ়তা দেখাতে না পারলে নি¤œমানের নির্মাণ কাজের কারণে জেলাবাসীর কষ্টের বিশেষ লাঘব হবে না বলে মনে করেন সচেতন সাতক্ষীরাবাসী।
অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময় এ জেলায় ভাঙাচোরা সড়কগুলো অবিলম্বে টেকসইভাবে নির্মাণের দাবি জেলাবাসীর।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম মহাসড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে জানান, ইতিমধ্যে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডাারও হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভাঙা চুরা রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আরো জানান। কিন্তু মানুষ ১৬ কোটি টাকার বরাদ্দ আর বিল ভাউচার নয়, মানসম্পন্ন কাজ দেখতে চায়। সরকারের সুনাম অক্ষুণœ রাখতে কাজের সঠিক মান নিশ্চিত করাও জরুরি বলে মনে করেন তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Atokআসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ০৬ কর্মীসহ ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৬ জন, তালা থানা ০২ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৪ জন, শ্যামনগর থানা ০৪ জন, আশাশুনি থানা ০৪ জন, দেবহাটা থানা ০১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৩ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473225752তুলসী ও মধুর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। এটি রোগ প্রতিরোধ কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ।

একটি কাপের মধ্যে চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা নিন। ভালো করে একে পরিষ্কার করুন। কাপের মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু দিন। মিশ্রণটি সকালে খালি পেটে খান।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে তুলসী-মধুর গুণের কথা।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

তুলসী-মধুর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

২. ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে

তুলসী-মধু ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।

৩. কাশি কমাতে

তুলসী-মধু একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান কাশি কমানোর জন্য। এটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে কাজ করে।

৪. অ্যালার্জি কমায়

তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং অ্যালার্জি কমায়।

৫. অকালবার্ধক্য কমায়

এই ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের অকালবার্ধক্য কমায়।

৬. কিডনিতে পাথর

এই ঘরোয়া উপাদান কিডনির পাথর দূর করতে কাজ করে। কিডনির বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে দিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে।

৭. হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে

তুলসী ও মধু কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473273788ক্রীড়া বিভাগ: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে (৪০) মারধর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর বাজারের মহিলা মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের নয় খেলোয়াড় ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় জুবেদ তালুকদার ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনায় যেতে মানা করেন খেলোয়াড়দের। তিনি তাঁদের স্কুল টিমের হয়ে খেলতে বলেন। এতে উপস্থিত অভিভাবক ও খেলোয়াড়রা অপারগতা জানালে জুবেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টায় কলসিন্দুর বাজার মহিলা মার্কেটে জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে (সবুজ) কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠিপেটা করেন। ওই সময় তাঁকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।
তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় খেলোয়াড় ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রাতে তাসলিমা  বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি।’
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ থাকা কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর হায়াত খান নঈম কলসিন্দুরের ফুটবলার তাসলিমার বাবাকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কোনো খেলোয়াড়কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খেলতে বলপ্রয়োগ, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও তার অভিভাবককে মারধর করায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473260638ক্রীড়া বিভাগ: ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের কিশোরী মার্জিয়া। এ বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বেও মার্জিয়া করেছেন তিনটি গোল।
সব ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে এখন চলছে মার্জিয়াদের গুণকীর্তন। তবে মার্জিয়াকে যে এই পর্যায়ে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অনেকেই হয়তো জানেন না, এখনো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মার্জিয়ার বাবা মোতালিব।
মেয়েদের ফুটবলের বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে বড় অবদান কলসিন্দুর গ্রামের। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এই গ্রামের বেশ কয়েকজন ফুটবলার খেলেছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের অপরাজিত দলে। সবাই ছোটবেলা থেকে লড়াই করেছে দারিদ্র্যের সঙ্গে।
কলসিন্দুরের রাস্তায় এখনো রিকশা চালাতে দেখা যায় মার্জিয়ার বাবা মোতালিবকে। ফুটবলার মেয়ের চাহিদা অনুযায়ী খাবার জোগাতেও কষ্ট হয় তাঁর। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে তাই তিনি বলেছেন, ‘তার (মার্জিয়া) খাওয়াদাওয়া সব কিছুই আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়। সে খেলার জন্য অনেক পরিশ্রম করে। কিন্তু সে অনুযায়ী তাকে খেতে দিতে পারি না।’
ফুটবল মাঠে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী। মার্জিয়ার বাবা অবশ্য কিছু দাবি করেননি সরকারের কাছ থেকে।
সরকার নিজ ইচ্ছেয় কিছু করলে করবে, নিজে থেকে কোনো কিছু চাইবেন না- এমনটাই শোনা গেছে মোতালিবের কণ্ঠে, ‘আমরা আশা করি যে সরকার তাদের জন্য কিছু একটা করবে। কিন্তু আমরা কিছু চাইব না। চেয়ে আনব কেন? এখানে তো চাওয়ার কিছু নাই।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest