mlm
আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের একটি বিল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার বালিয়া গ্রামের টি আর এম খাল এলাকা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বালিয়া গ্রামের টি আর এম এলাকায় একটি বিলের মধ্যে এক নারীর গলিত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ যেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। তবে, ওই নারীর নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির মিঞা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চি করে জানান, অজ্ঞাত ওই নারীর লাশটি খুলনা জেলার পাকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকা থেকে ভাসতে ভাসতে তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের বিলের মধ্যে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ২/৩ দিন আগে পানিতে পড়ে মারা গেছেন। তিনি আরো জানান, তার গলিত লাশটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কি কারনে মারা গেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1474827998ডেস্ক রিপোর্ট: পাঁচ মাস ২২ দিন গর্ভে থাকার পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গালিবা হায়াত। কিছু সময় পরই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছিল। এর পর দাফনের সময় কেঁদে ওঠে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল সে। বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা হিসেবে গত শনিবার হেলিকপ্টারে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আনাও হয়েছিল তাকে। জেগেছিল আশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হলো তার নিয়তি।
গতকাল রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গালিবার মৃত্যু হয়।
দাদা আবুল কালাম জানান, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক আফতাব ইউসুফ রাজের তত্ত্বাবধানে গালিবার চিকিৎসা চলছিল। তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আবুল কালাম আরো জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে। এরপর ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকেলে গালিবার লাশ শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। গত শনিবার বিকেলে গালিবাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা (২৬) ও নাজনীন আক্তার (২৩) দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল গালিবা। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্মের দেড় ঘণ্টা পর শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা দেন চিকিৎসক। পরে সকাল ৬টার দিকে শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করার সময় শিশুটি কেঁদে ওঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91365242_elephantzambia2ডেস্ক রিপোর্ট: নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে এই মহাদেশে হাতির সংখ্যা কমেছে এক লাখ ১১ হাজারের মতো। আফ্রিকান এলিফ্যান্ট স্ট্যাটাস রিপোর্টে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এর পেছনে মূল কারণ হাতি শিকার। বলা হচ্ছে, গত সিকি শতাব্দীতে হাতির জন্যে এখনই সবচে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে গবেষকরা বলছেন, হাতির বসতি ধ্বংস হয়ে যাওয়াও দীর্ঘ মেয়াদে এই প্রাণীটির জন্যে বড়ো ধরনের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ধারণা করা হয়, আফ্রিকায় আর চার লাখের মতো হাতি রয়েছে।
হাতি বাঁচানোর আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে নতুন কিছু প্রস্তাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। হাতির মল গণনা করে আর প্রত্যক্ষদর্শীদের হিসাব বিবেচনায় নিয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। হাতির মূল্যবান দাঁতের জন্যে প্রতি বছর আফ্রিকাতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হাতির শিকার করা হয়। সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র এই হাতির দাঁতের ব্যবসা করে থাকে।
এই হারে হাতি শিকার অব্যাহত থাকলে আফ্রিকায় আর কতো দিন হাতি থাকবে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
এবছরেরই আরো আগের দিকে গ্রেট এলিফ্যান্ট সেনসাসে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছিলো তাতে বলা হয়েছে আফ্রিকায় গত সাত বছরে হাতির সংখ্যা কমেছে ৩০ শতাংশের মতো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_494832053_1474775037ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রুনাইয়ের সুলতানের ছেলের বিয়ে নিয়ে আলোচনা চলছে সারা বিশ্বে৷ বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশটিতে বিয়ের আয়োজন চলেছে ১১ দিন ধfull_494832053_1474775037রে৷ ব্যবহৃত হয়েছে শত শত ভরি সোনা, খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
বর-কনের সিংসাহনটা পুরোপুরি সোনার তৈরি৷ সিংহাসনে সোনালী আলোয় যেন ঝিকমিক করছিল চারদিক৷ ৬ হাজার গণ্যমান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে৷ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি বেশ কিছু দেশের রাজা-রানিরাও ছিলেন সেখানে৷আজকাল ফুলের তোড়া কাগজের ফুল দিয়েও হয় – এটা সবাই জানেন৷ কিন্তু সোনার ফুল দিয়েও যে হয় তা কি জানেন? এক অতিথির কাছ থেকে কনে একটি তোড়া নিয়েছেন সেটা কিন্তু পুরোপুরি সোনার তৈরি!
কনের জুতোটাও সাধারণ কোনো জুতো ছিলনা৷ মহামূ্ল্যবান সব পাথরে খচিত জুতোটিও সোনার তৈরি৷ বিশাল হলরুমে মধ্যেই হয়েছে ব্রুনাইয়ের সুলতানের ছেলে আব্দুল মালিকের বিয়ে৷বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় প্রত্যক্ষভাবেই অংশ নিয়েছেন সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ৷ ছেলে আব্দুল মালিক যাতে সব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকভাবে পালন করতে পারেন তা কাছ থেকেই দেখেছেন তিনি৷
বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে এই ইস্তানা নুরাল ইমান প্রাসাদে৷ ব্রুনাইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানের এই প্রাসাদে রয়েছে ১ হাজার ৭৮৮টি কক্ষ, বিশাল বিশাল স্নানাগার আছে ২৫৭টি আর সুইমিং পুল ৫টি৷রাজ পরিবারের বিশেষ পোশাকে বর আব্দুল মালেক এবং আইটি বিশেষজ্ঞ কনে দায়াংকু রাবিয়াতুল আদাওইয়াহ পেনগ্রিয়ান হাজি বলকিয়াহ৷বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে খাওয়া-দাওয়া হয়৷ সেখানেও এলাহি কাণ্ড৷ মেনুতে কী কী ছিল তা শুনলে যে সবাই বিস্মিত হবেন তা বলাই বাহুল্য৷ ৬ হাজার রাজকীয় অতিথির জন্য স্মরণীয় করে রাখার মতো সব কিছুই পরিবেশিত হয়েছে ভোজন অনুষ্ঠানে৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

full_824291388_1474821911ডেস্ক রিপোর্ট: শেষ মুহূর্তে তাসকিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জবাবে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারের শেষ বলে মাশরাফিকে মোকাবেলা করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মোহাম্মদ শাহজাদ। বিদায়ের আগে ২১ বলে তিনি করেন ৩১ রান। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার আর একটি ছক্কার মার। পরের ওভারে সাকিবকে আক্রমণে আনেন মাশরাফি। দলপতির আস্থা রাখতে সাকিব এলবির ফাঁদে ফেলে তুলে নেন আরেক ওপেনার সাবির নুরিকে। আর এই উইকেটের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক আবদুর রাজ্জাককে (২০৭) স্পর্শ করেন সাকিব।
দলীয় ৪৬ রানের মাথায় দুই ওপেনার ফিরে গেলেও বড় জুটি গড়েছেন রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদি। এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি গড়েছেন ১৪৪ রানের। ইনিংসের ৪১তম ওভারে সেই জুটি ভাঙেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ৭১ রান করা রহমত শাহ। বিদায় নেওয়ার আগে এই আফগানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯৩ বলে দুটি চার আর তিনটি ছক্কায়। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় আফগানদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর তাইজুল ফিরিয়ে দেন হাসমতকে। ব্যক্তিগত ৭২ রান করে ফেরেন ১১০ বলে ছয়টি চার হাঁকানো হাসমত। ৪৪তম ওভারে দলীয় ২১০ রানের মাথায় আফগানদের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।
ইনিংসের ৪৬তম ওভারে মাশরাফির বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরান। দলীয় ২৩০ রানের মাথায় আফগানদের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। ৪৮তম ওভারে তাসকিন ফেরান ৩০ রান করা মোহাম্মদ নবীকে। একই ওভারে টাইগার এই পেসার ফিরিয়ে দেন ১০ বলে ১০ রান করা আফগান দলপতি স্তানিকজাইকে।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারে রুবেল বোল্ড করেন রশিদ খানকে। শেষ ওভারে আফগানদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। তবে, তাসকিনের করা সেই ওভারের প্রথম বলে দুই রান নিলেও দ্বিতীয় বলে এলবির ফাঁদে পড়েন মিরওয়াইস আশরাফ। তৃতীয় বলে এক রান নেয় সফরকারীরা। চতুর্থ বলে আরও দুই রান। পঞ্চম বলে লাইন মিস করে কোনো রান তুলে নিতে পারেননি দৌলত জাদরান। আর শেষ বলে জাদরানকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: খরস্রোতা পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের আশ্বাস সম্বলিত প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি চিঠি আজ সোমবার পটুয়াখালীর স্কুলfull_1757223523_1474857718ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাসকে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্র গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির মির্জাগঞ্জে যাওয়ার পথে পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন গত ১৫ আগস্ট।
পরে প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠি পেয়ে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, শীর্ষেন্দুর চিঠি পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। নৌকায় নদী পার হবার ঝুঁকি নিয়ে ছেলেটির উদ্বেগের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠি সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুটির হাতে তুলে দেবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী। তিনি রোববার বলেন, “একটি শিশুর চিঠি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তাতে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। আমাদের জেলার একটি শিশুর চিঠিতে মির্জাগঞ্জে খরস্রোতা একটি বড় নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পেয়ে সকলে আনন্দিত হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি গত ২০ সেপ্টেম্বর স্কুলের ঠিকানায় আসে। চিঠিটি তার কাছেই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জবাব পেয়ে শীর্ষেন্দু খুব খুশি হয়েছে। সে ভেবেছিল তার এই চিঠি হয়তো প্রধানমন্ত্রী পড়বেন না। সেখানে ফিরতি চিঠিতে তার দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ছেলেটি খুব উচ্ছ্বসিত।
শীর্ষেন্দু চিঠিতে লিখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। নাম শীর্ষেন্দু বিশ্বাস, পিতা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, মাতা শীলা রাণী সন্নামত। আমি পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার দাদু অবিনাস সন্নামত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
“আমি আপনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আমি আপনার পিতার শৈশব কাল রচনা লিখে তৃতীয় স্থান অধিকার করি।”
আমার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। আমাদের মির্জাগঞ্জে নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। এটি পটুয়াখালী জেলার একটি উপজেলা। এ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। মানুষ ভয় পায়। কখনও নৌকা ডুবে যায়, কখনও ট্রলার ডুবে যায়। এতে আমার থেকে ছোট ভাই বোন তাদের মা বাবাকে হারায়। আমি আমার মা বাবাকে প্রচণ্ড ভালবাসি। তাদের হারাতে চাই না। তাই আপনার কাছে একটাই অনুরোধ যে আপনি মির্জাগঞ্জ নদীতে ব্রিজের ব্যবস্থা করুন। তা যদি আপনি পারেন তা হলে আমাদের জন্য একটু কষ্ট করে এই ব্রিজ তৈরির ব্যবস্থা করুন। চিঠিতে ১৫ অগাস্ট তারিখ দিয়ে প্রেরকের ঠিকানায় লেখা হয় পুরান বাজার, পটুয়াখালী।
জবাবে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরে পাঠানো চিঠিতে তারিখ রয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর।
এতে লেখা হয়, “স্নেহের শীর্ষেন্দু, তুমি শুধু দেশের একজন সাধারণ নাগরিক নও, দেশের ভাবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার অগ্রজ সৈনিক। আমি জানি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীটি অত্যন্ত খরস্রোতা। নিজের পিতামাতাসহ অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই নদীকেন্দ্রিক তোমার নিরাপত্তা সচেতনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি বুঝতে পারি তোমার বীর মুক্তিযোদ্ধা দাদুর প্রভাব রয়েছে তোমার ওপর। মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে বলে তোমাকে আশ্বস্ত করছি।

শেষের দুই লাইনে শীর্ষেন্দুসহ পরিবারের সবার মঙ্গল কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ছেলের চিঠির জবাব দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত শীলা সাংবাদিকদের বলেন, “আমার এখনও বিশ্বাস হয় না যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ছেলের চিঠি পড়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে হাজার হাজার প্রণাম জানাই। আমি খুবই গর্বিত।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: অস222-696x426হায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী ও কন্যার উপর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে অমানুষিক নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষ।
প্রতিবন্ধী ফজলের দাবি গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিপক্ষরা কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা কাজীর বটতলা এলাকার অসহায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের মেয়ে রোজিনা খাতুন খুকুমনিকে অশ্লীলভাষায় কটুক্তি করায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে ফজলের গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে রোজিনা খাতুনের উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর রোজিনা খাতুনের মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়।
সদর থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০৫.০৯.১৬ তারিখ সন্ধ্যায় সদরের থানাঘাটা কাজীর বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। আসামি থানাঘাটা কাজীর বটতলা এলাকার মো. আরিজুল ইসলাম, মো. আরিজুল ইসলামের স্ত্রী শাকিলা বেগম (গুরো), মো. বুলু’র স্ত্রী ভদো খাতুনসহ অন্যান্যরা পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামিরা প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী গর্ভবতী সেলিনা বেগমকে পেটে লাথি ও কিল ঘুষি মারে এবং তার মেয়ে রোজিনা খাতুন (খুকু মনি) কে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সে কারণে তার মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং একাধিক সেলাই দিতে হয় ও তার হাতে দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে মাংস তুলে নেয় আসামিরা।
ফজলের পরিবারে দাবি, এর ফলে সেলিনা খাতুনের গর্ভের সন্তান মারা যায়। সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৪.০৯.১৬ তারিখ রাতে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে এস. আই এনামুলকে মামলা তদন্তের দায়িক্ত দেওয়া হয়েছে। অসহায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী-সন্তানের উপর যারা এই অমানবিক অত্যাচার করলো তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ  কামনা করেছে ফজল ও তার পরিবার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4-large
দেবহাটা প্রতিনিধি: শান্তি-সম্প্রীতির স্বপক্ষে তরুণ-যুবরা ঐক্যবদ্ধ হও শ্লোগান কে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল হতে উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থা অগ্রগতি ও রূপান্তরের আয়োজনে উক্ত কর্মসূচি পালিত হয়। উপজেলার কুলিয়ার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পারুলিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, সুবর্ণাবাদের সেন্টাল হাইস্কুল, সখিপুর আলিম মাদ্রাসা, সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেবহাটা মডেল হাইস্কুল, নওয়াপাড়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা, জগন্নাথপুর দাখিল মাদ্রাসা, টাউন শ্রীপুর শরৎচ্চন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের র‌্যালি শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুন্দর মানবিক জীবন যাপনের জন্য মানসিক সচেতনতার পাশাপাশি সমাজের বা এলাকার শান্তি বিনষ্টকারী বা বেআইনী বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখতে বলা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শান্তি রক্ষায় সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। তাছাড়া লেখাপড়ায় দূর্বল শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা মূলক কাজে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে মাদকসক্ত এবং উগ্রবাদে ধাবিত না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন অগ্রগতি সংস্থার উপজেলা ফিল্ড অফিসার তহিদুজ্জামান ও রূপান্তরের দিলারা পারভীন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest