সর্বশেষ সংবাদ-
বুধহাটায় মোটরসাইকেল ও ট্রলির সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মর্নিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পসাতক্ষীরার শিয়ালডাঙ্গায় বসতঘরে আগুন : ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিদেবহাটায় তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষসাতক্ষীরায় সরকারি গোরস্থান বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ছাদ ঢালাইয়ের উদ্বোধনখাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ

0d2c3f36c634283e3f4ba6b18e61293f-junaid-headshot_square_highres-jpgttভারতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ জুনাইদ আহমেদ। চলতি মাস থেকেই তিনি এ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর পুরো নাম জুনাইদ কামাল আহমেদ।

বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আউটলুকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অর্থনীতিবিদ জুনাইদের অভিজ্ঞতা অনেক। ১৯৯১ সালে তিনি বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন। আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপে তিনি অবকাঠামো সংক্রান্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেন।

জুনাইদ অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে। হার্ভার্ডে অর্জন করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পরে ‘অ্যাপলায়েড ইকনোমিকস’ নিয়ে পিএইচডি করেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।

ভারতে নতুন পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের চিফ অব স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কাজ করছেন জুনাইদ।

জুনাইদ আহমেদ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেত্তি ডিক্সন জানান, পানি, নগরায়ন, সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে জুনাইদের দৃঢ় অভিজ্ঞতা ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় বিশ্বব্যাংকের কৌশল গ্রহণে সহায়তা করবে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যোগ দেন জুনাইদ। এর আগে বিশ্বব্যাংকের পানি সংক্রান্ত কর্মসূচি ‘ওয়ার্ল্ড গ্লোবাল প্র্যাকটিসে’র জ্যেষ্ঠ পরিচালক ছিলেন। এ সময় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের নেতৃত্ব দেন জুনাইদ।

এ ছাড়া এর আগের ১০ বছর মাঠে কাজ করেছেন জুনাইদ।  জোহানেসবার্গে সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ২০০৪ সালে ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টের সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে কাজ করেন। এরপরই চলে যান আফ্রিকায়। ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা এলাকার টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নামে  মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্ডীচরণ মন্ডল। মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনেরimg_0846-copy আয়োজনে এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিত্য ভঞ্জন চৌধুরির পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাতক্ষীরা জজকোর্টের এডিশনাল পিপি এড. মোজাহার হোসেন কান্টু, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দীন, ডি এম সিরাজুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ারুল কবির লিটু, সাবেক যুবলীগ নেতা ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শফিকুল ইসলাম, অমল কৃষ্ণ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, সাঈদ মেহেদীকে বাদ দিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। তিনি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি বিগত ২০১৩ সাল থেকে জামায়াত-শিবিরের সকল নাশকতা প্রতিরোধে সরাসরি নেতৃত্বে দিয়েছেন। তিনি এই উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু যে ঘটনায় তাকে আসামী করে মিথ্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেদিন তিনি কালিগঞ্জে ছিলেন না। তার মত এক জনপ্রিয় নেতার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া মানে তাকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আজ সাঈদ মেহেদীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশে হাজারো মানুষ উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী পক্ষে ভয়ভীতি ও পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে সাঈদ মেহেদীর নামে মিথ্যা প্রত্যাহার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এর আগে পানিয়া স্কুল মাঠে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাঈদ মেহেদীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

og-jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিপনের দাবীতে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাঠেশ্বর এলাকা থেকে ২৫ টি নৌকা থেকে ৮ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যু নোয়া মিয়া বাহিনী। মঙ্গলবার বিকেলে কাঠেশ্বর এলাকায় মাছ ধরার সময় জলদস্যুরা তাদের অপহরন করে।
ফিরে আসা জেলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের মোজাম গাজীর ছেলে ইকবাল হোসেন ও লিয়াকত মোল্যার ছেলে ইউছুফ মোল্যা জানান, সুন্দবনের কাঠেশ্বর এলাকায় মাছ ধরার সময় ২৫ টি নৌকা থেকে ৮ জেলেকে জন প্রতি ৩০ হাজার টাকা মুক্তি পনের দাবীতে অপহরন করে জলদস্যু নোয়া মিয়া বাহিনী। অপহৃত জেলেরা হলেন, চাদনী মুখা গ্রামের শাহাদাৎ, শামসুর রহমান, রাজুসহ মোট ৮ জন। সুন্দরবন বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, এ ব্যাপারে আমারা একনও কোন কিছু জানতে পারেনি। তবে বিষয়টি লোকমুখে শুনার পর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

large
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রাইস মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় আলিপুরস্থ একটি গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব আব্দুস সবুর। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি এনছান বাহার বুলবুল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রাইস মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রণয় কুমার পাল, সদর থানা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর গফফার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মোঃ মশিউর রহমান ও মোঃ কামরুজ্জামান। সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আব্দুল মোকাদ্দেস খান মিন্টু চৌধুরীকে সভাপতি ও মোঃ মশিউর রহমান বাবু কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা রাইস মিল মালিক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

m-p
নিজস্ব প্রতিবেদক :‘ কৃষিই সমৃদ্ধি’ রাবি/২০১৬-১৭ এর পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের গম, ভূট্রা, সরিষা, গ্রীস্মকালিন তিল ও গ্রীস্মকালিন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা সহায়তা কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সার ও বীজ আগে কৃষক খুঁজতো আর এখন সার ও বীজ কৃষককে খোজে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জি.এম.এ গফুর,বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমানসহ কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩শ’ ৬০ গম চাষি, ১শ’ ২০ জন ভূট্রা চাষি, ৯শ’ জন সরিষা চাষি, ১শ’ ৫০ জন গ্রীস্মকালীন তিল চাষি ও ১শ’ ৫০ জন মুগ চাষির মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ সহকারি কৃষি অফিসার অমল ব্যানার্জী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

dsc01816
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘শান্তির স্বপক্ষে তরুণ ও যুবরা ঐক্যবদ্ধ হও’ এই শ্লোগানে সাতক্ষীরায় উগ্রপন্থা প্রতিরোধে সামাজিক সম্পৃক্তকরণ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বেসরকারি এনজিও অগ্রগতি সংস্থা, রুপান্তর, রেডিও নলতা ও পিস কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।
এসময় তিনি বলেন, সমাজের উগ্রপন্থা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে নিজ নিজ পরিবার থেকে মানুষের কল্যাণে রোল মডেল হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের মানবতাবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো মহামানব বাঙালী জাতির রোল মডেল খুবই অভাব হয়ে পড়েছে। তরুণ সমাজের মাঝে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা ও দেশ প্রেমিক হিসেবে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যত মহামনিষী আছে তারা তাদের কর্মের মাঝে আজও বেছে আছে। জঙ্গি ও উগ্রপন্থা শুধু আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে না। এটিও এখন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও ক্যাডেট কলেজ থেকে সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য পারিবারিকভাবে সন্তানদের প্রতি অবিভাবকদের যতœবান ও সতর্ক্য থাকতে হবে। যাতে তাদের সন্তানরা বেপথে ধাবিত না হতে পারে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন র‌্যাব-৬ এর অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানাজী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, জেলা সমাজসেবা অফিসার দেবাষিস সরদার, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুস সবুর,  মোস্তফা নুরুল আমিন, রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রুপান্তরের প্রতিনিধি সাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

fredoom-figher-medium
আসাদুজ্জামান: বঙ্গবন্ধুর ডাকে একাত্তরের রণাঙ্গণে যারা অস্ত্রহাতে নিয়ে পাক সেনাদের পরাজিত করেছিলেন। যাদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে, সেই সব বীর সেনাদের কেউ কেউ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হলেও আজও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। পাননি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। এমনই একজন সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত নেছার উদ্দীন মোড়লের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। বাইসাইকেল যোগে পথে পথে ভাজা বিক্রি করে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এখন অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটে এই বীর সৈনিকের। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের সনদপত্র থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রণক্ষেত্রে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কাকডাঙ্গা সম্মুখযুদ্ধ। কমান্ডার শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাকবাহিনীর বিপক্ষে তিনি সেখানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার ফলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৯ম সেক্টরের সর্বাধিনায়ক মেজর জলিলের তিনি নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধে নিজের ব্যবহৃত অস্ত্র জমা দেয়ার সনদপত্র থাকলেও সেটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘটনা বর্ণনাকালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার সহযোদ্ধা তিনজনের সনদপত্রসহ মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত সুপারিশকৃত বিভিন্ন কাগজপত্র দেখান। তিনি আরো জানান, তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন উর্দ্ধতন দপ্তরে এবং সাবেক ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অবহেলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার সাথে যুদ্ধকালীন সময়ের তিন জন মুক্তযোদ্ধা সুপারিশও করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন একাত্তরের এই বীর যোদ্ধা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বেঁড়িবাধটি এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ১০ হাজার লোক বাধটি সংস্কারে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, জোয়ারের প্রবল চাপে সেখানে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি। পানি আটকা হয়ে পড়েছে তিন হাজার পরিবার। প্লাবিত গ্রাম গুলো হল, কুড়িকাউনিয়া, কল্যাণপুর, শ্রীপুর, সনাতনকাটি, প্রতাপনগর ও তালতলা। এর আগে সোমবার ভোররাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ৭/২ পোল্ডার সংলগ্ন এলাকায় কপোতাক্ষের প্রায় দেড়’শ ফুট বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই বাধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রবল জোয়ারের চপে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার ভোর রাতে বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে গতকাল সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ে, পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
তারা আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় বেড়িবাধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেড়িবাধটি সংস্কার করা না গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বেঁড়িবাধটি সংস্কার করার জন্য ভিতর দিয়ে একটি ৩০০ মিটারের রিংবাধ দেয়া হচ্ছে। সেখানে ঠিকাদার ও স্থানীয় লোকসহ ১০ হাজার মানুষ কাজ করছেন। ইতিমধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পর জোয়ার এসে যাওয়ায় আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার বাকী অংশের কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি আরো জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest