সর্বশেষ সংবাদ-
খাস জমি উদ্ধার পূর্বক ভ‚মিহীনদের মধ্যে বন্টনের দাবিতে সভাবাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন: জামায়াত নেতা ডাঃ তাহেরদেবহাটায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের সমাপনীইছামতি নদী থেকে জালে ধরা পড়লো বিশাল এক কচ্ছপসার্চ কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভসাতক্ষীরার পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবেতারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও সাইদুরের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলী

oprad
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামীলীগ নেতাদের তাবেদারি করেও শেষ রক্ষা হয়নি দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের অর্থদাতা কালু হাজীর। অবশেষে নাশকতা মামলার দায় নিতে হয়েছে তাকে। মামলা দায়ের হওয়ারপর বহাল তবিয়তে কালু হাজী। তার নামে নাশকতার মামলা থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক সময়ের জামায়াতের নাশকতার মদদ দাতা কালু হাজী।
সূত্র জানায়, হাজী কালু দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি বিগত সময়ে জামায়াতের অর্থদাতা ছিলেন। অর্থযোগানের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডে নেতৃত্বও  দিয়েছেন।
নওয়াপাড়া এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, কালু হাজী শুধু জামায়াতের  অর্থের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ সালের এ অঞ্চলের নাশকতার মদদ দাতা হিসেবে পরিচিত ছিলো। সে সময় তার অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো গ্রামবাসী। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভোলপাল্টে কালু হাজী স্থানীয় গুটি কয়েক আওয়ামীলীগ নেতাদের তাবেদারী শুরু করেন। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেবহাটা থানার জামায়াতের অর্থদাতাসহ ১৭ জনের নামে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় হাজী কালুকে ৯ নং আসামী করা হয়েছে। মামলাটির বাদী দেবহাটা থানার এস আই মাজরিহা।
এদিকে কালু হাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি সাতক্ষীরা ছেড়ে খুলনায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে বসেই স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। অবশ্য এ চেষ্টায় তিনি সফল হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কালু হাজী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে করে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে কালু হাজীর অর্থ দিয়ে জামায়াত জেলা ব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। যার কারণে ২০১৩ সালে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে অনেকে। অথচ সেই কালু হাজীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ প্রশ্ন জনমনে। এভাবে যদি প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। তাহলে সরকারের ভাবমূর্তির সাথে সাথে প্রশাসনের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবে বলে এলাকাবাসির দাবি।
অবিলম্বে ওই কালু হাজীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মামলার হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। যদি নাশকতার সাথে তিনি জড়িত থাকেন অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pic-kl-mediumনিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী, মহান মুক্তিযুদ্ধের গেরিরা কমান্ডার, ৬৯’র সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কলারোয়া আহবায়ক মোসলেম উদ্দীন গত ১২/০৮/১৬ তারিখে হার্ট এ্যাটাক জনিত কারণে অসুস্থ্য। বর্তমানে তিনি কলারোয়ার নিজ বাড়িতে বিছানা শয্যায়। তার শারিরীক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ‘বেশি কথা না বলা’। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ প্যারালাইসডে ভুগছেন। শনিবার তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে সাতক্ষীরা জেলা ও পৌর কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ তার শয্যাপাশে যান। নেতৃবৃন্দকে পাশে পেয়ে গেরিলা কমান্ডার মো. মোসলেম উদ্দীন আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি খুব সংক্ষেপে তুলে ধরেন তার মনের কথা। শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী মো. মোসলেম উদ্দীন বলেন, “অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, মামলাটি আমার পৈত্রিক। মামলাটি নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন লড়ব। আমি মারা গেলে হয়তো মামলাটি আর থাকবে না। আমাকে কোটি টাকার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু আমি লোভ মোহের উর্ধ্বে থেকে মামলাটি লড়ে যাচ্ছি। আমি মামলাটির রায় দেখে যেনো মরতে পারি এমন ইচ্ছা পোষন করেন গেরিলা কমান্ডার সাবেক ছাত্রনেতা মো. মোসলেম উদ্দীন। তিনি মামলাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে কলা- কুশলীদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, পৌর আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধালীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম মহিউদ্দীন, শেখ রাসেল স্মৃতি ক্রীড়াচক্রের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি মোঃ আবু তাহের, জেলা কৃষকলীগের প্রচার সম্পাদক মনোজ কুমার দে, কৃষি ও পূণবার্সন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম, ভূমি সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক শেখ ইয়াকুব আলী, যুগ্ম আহবায়ক খান আব্দুস সামাদ ও সৈয়দ আব্দুস সেলিম, কলারোয়া উপজেলা কৃষকলীগ নেতা এস এম আইয়ুব হোসেন, ইসলাম হোসেন ও নুর আলী সরদার প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tailars-picxএমএ মামুন: ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে ধনী-গরিব সবাই মিলে মিশে ঈদ উদযাপন করে থাকে। যেখানে ছোট ছোট শিশুদের থাকে নানা রকমের বায়না। ঈদের খুশি তাদের যেন আর ধরে না। যার কারেন ঈদের একমাস আগে থেকেই শিশুদের নতুন জামা-কাপর তৈরির জন্য অর্ডার দিতে হয়। সেই ঈদকে সামনে রেখে যেখানে সেলাই মেশিনের শব্দে মুখরিত হওয়ার কথা ছিল দেবহাটার দর্জি পল্লী। যেখানে দর্জি পল্লীর কারিগরদের দম ফেলার সময় থাকে না।  আর মাত্র কয়েক দিন পর কুরবানীর ঈদ। তাই দর্জি পাড়ায় নতুন করে অর্ডার নেওয়ার সুযোগ থাকার কথা না। সেখান এবার অন্য চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজারে নিত্য নতুন গার্মেন্টস সামগ্রি সরবরাহ করায় কদর বেড়েছে রেডিমেট তৈরি পোশাক গুলোর। ভারত-বাংলাদেশের টিভির বিভিন্ন চ্যানেলের সিরিয়ালের পোশাক দেখে মন কেড়েছে দর্শকদের। আবার সে সকল পন্য বাজারে চাহিদা মুলক ভাবে কম দামে বিক্রয় করা হচ্ছে। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। এদিকে দর্জি পাড়ায় বাড়ানো হয়েছে পোশাক তৈরির মজুরি- এ নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তুষ্টি থাকলেও দু’এক জন পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ছুটে যাচ্ছেন দর্জি পল্লীতে। টেইলার্স মালিকরা বলছেন, এক সময় পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাতো দর্জি পাড়ায়। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রেখে কাজ করেছি। ঈদুল ফিতরে শবে বরাতের আগে থেকে পোশাক কারিগরদের ছুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সরেজমিন দেখা গেছে, দেবহাটার ঈদগাহ বাজারস্থ সুরভী টেইলার্স, গাজী টেইলার্স, মাফরাফি টেইলার্স, মায়ের দোয়া টেইলার্সসহ বিভিন্ন টেইলার্সের কারিগরদের দু’একটি কাজ থাকলেও জমজমাট নেই বললেও চলে। তবে পাড়া-মহল্লার টেইলার্সে সামান্য ফিড় লক্ষ করা গেছে। সেখানে মহিলাদের থ্রিপিস ও ব্লাউজ বেশি তৈরি হতে দেখা গেছে। মায়ের দোয়া টেইলার্সের আবুল বাশার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে তাদের যে ব্যস্ততা থাকার কথা সে রকম খুব একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। রমযানের ঈদে শবে বরাতের আগে থেকে ক্রেতারা ঈদের পোশাকের অর্ডার দিয়েছিলেন। ২৫ রমজানের পর আর অর্ডার নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই টেইলার্স মালিকরা নতুন কারিগর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ বছরও রমজানের ঈদে তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু কোরবানীর ঈদে কারিগর নিয়োগ তো দুরের কথা নিজেদেরই বসে থাকতে হচ্ছে। কারিগরদের মজুরি, দোকান ভাড়া, সুতা ও বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্ডারের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। এজন্য ছেলেদের প্যান্ট-শার্টের অর্ডার গুলো খুব একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। দু’এক জন প্যান্ট-শার্ট নিচ্ছে তবে রেডিমেট তৈরি জিন্স,শাট, শর্ট পাঞ্জাবী কিনতে দেখা যাচ্ছে মার্কেট গুলোতে। এছাড়া কাপড়ের দোকানে যেয়ে দেখা যায়, বিশেষ করে সিল্ক জর্জেট, কাতান, লেলিন, বেনারসি কাপড়গুলো গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ক্রয় করছে। তবে অধিকাংশ দর্জিদের ধারনা রমজানের ঈদে মানুষের চাহিদা একটু বাড়তি থাকে এজন্য সকল দিক দিয়ে বাজার জমজমাট থাকে। কিন্তু কোরবানীর ঈদ রমজানের ঈদের প্রায় কাছাকাছি থাকায় কেনাকাটার চাহিদা কম। তবে বিশেষ করে কোরবানীর পশু ক্রয়ে ব্যস্ত থাকায় মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার চাহিদা একটু কম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত ছির্ন্নমূল অসহায় শিশুদের মাঝে ঈদ আনন্দ সহভাগিতা ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের কার্যালয়ে কেন্দ্রিয় শিশু ফোরামের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা এ ডিপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিন্নমূল এ সব শিশুদের হাতে ঈদের পোশাক তুলে দেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌল্লা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, কেন্দ্রীয় শিশু ফোরামের সভাপতি কাজল, সহ-সভানেত্রী মরিয়ম আশা, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. শামিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সদস্য চুমকি, হীরা মনি, মুক্তি রানীসহ শিশু ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ছিন্নমূল অসহায় ২০ জন শিশুর মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদের দুইধারে ০২ লাখ তাল বীজ রোপনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা কালিবাড়ি কপোতাক্ষ নদের ধারে এ তাল বীজ রোপনের উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা-০১(তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দীন, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন, সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান, খলিলনগর ইউপি চেয়াম্যান আজিজুর রহমান, তেতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা এ সময় বলেন, কপোতাক্ষ নদের দুই ধারে তাল গাছের বীজ রোপন করলে একদিকে যেমন তাল গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করবে, অন্যদিকে কপোতাক্ষের বেঁড়িবাধ বাধ টেকসই হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ডেস্ক রিপোর্ট: tongi-fire_127477টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড নামে একটি প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। কারখানাটির ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে দমকল বাহিনী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার ভোররাতে কারখানাটিতে আগুন লাগে। নিহতদের মধ্যে আটজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- কারখানার শিফট ইনচার্জ শুভাষ, প্রিন্টিং সহকারী রফিকুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী হান্নান, অপারেটর মামুন, আনোয়ার, জয়নাল, ক্লিনার শংকর ও রেদোয়ান। বাকি হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। বয়লার বিস্ফোরণে পাঁচতলা ভবনের একাংশ ধসে গেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। কারখানাটি কিসের ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো না হলেও স্থানীয়রা জানান, এটি একটি প্যাকেজিং কারখানা।

কতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো না হলেও টঙ্গী হাসপাতালে খোঁজ জানাযায়,
সেখানে ১৫ জনের লাশ আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। সকালে সাড়ে ১১টার দিকে কারখানাটি থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করতে দেখেছেন তিনি। হাসপাতালটিতে আরও কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে ২২ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করার পর সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কারখানাটিকে আর কোনো শ্রমিকের মৃতদেহ আছে কিনা দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা তা বলতে পারছেন না। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সার্স কমিটি করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়।

জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করছে। আহতদের টঙ্গী ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের বার্ন ইউনিটের ১০১ এবং ১০৩ নম্বর কক্ষে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভবনের ভেতরে আরও অনেক শ্রমিক আটকা পড়েছেন। তারা বেশ কয়েকজনের লাশ দেখতে পেয়েছেন। বাহির থেকে দু-তিনটি পোড়া লাশ দেখতে পেয়েছেন তারা। ভেতরে আটকেপড়াদের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। এছাড়া ভবনের ছাদে উপর একটি ট্যাংকির ওপর দুটি হাত দিয়ে ইশারা করতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, কারখানাটিতে বয়লার বিস্ফোরিত হওয়ার পরই ভবনটির একাংশ ধসে পড়ায় অনেক শ্রমিক ভেঙে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েন। এতে বের হতে না পেরে দগ্ধ হয়ে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে পুরো কারখানাটি ধসে পড়ে।

কারখানাটির এক শ্রমিক বলেন, এই শিফটে ২০০ থেকে ৩০০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করছিলেন। এছাড়া অনেকে রাতের ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ হলে ভবনটি কাঁপতে থাকে। ভূমিকম্প হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করলেও পরে তারা ধোঁয়া দেখতে পান। বেশ কয়েকজন দ্রুত বের হতে সক্ষম হলেও বুঝতে না পেরে অনেকে আটকরা পড়েন।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করা হলেও সকালে সোয়া ১১টায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এছাড়া আগুন ধসে পড়া ভবনটির পাশের একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়েছে। এখনো দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1473446325অপ্রতিম: জেলা পরিষদের নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে করার প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে নির্বাচনবিধি ও আচরণবিধির সংশোধনের খসড়াও গুছিয়ে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিসেম্বরের শেষ ভাগে জেলা পরিষদের ভোট আয়োজনে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা তৈরির কাজে তোড়জোড় চলছে। স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে আইন প্রণয়নের ১৬ বছর পর প্রথমবারের মতো পরোক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘জেলা পরিষদের আইনের গেজেটের কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। শুনেছি রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করেছেন। এটা হাতে পেলেই আমরা দ্রুত এ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধিমালা তৈরি করে ফেলবো।’
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ঈদুল আযহার পরে যত দ্রুত সম্ভব জেলা পরিষদের বিধি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের (যাচাই-বাছাই) জন্য পাঠানো হবে।
ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, এখন পর্যন্ত ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।
সূত্র জানায়, সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হলেও আইনে জেলা পরিষদে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরোক্ষ ভোটে। অর্থাৎ জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিলো। তবে পরে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে।
পাঁচ বছর মেয়াদী জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত ২৮ অগাস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায় ‘জরুরি বিবেচনায়’ ৫ সেপ্টেম্বর এ সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিধির গেজেট, সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এ নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ইসিতে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
এরই মধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণে বিধিমালা জারি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন বলেও জানান ইসি কর্মকর্তারা।
ভোট হবে নির্দলীয়: স্থানীয় সরকারের সিটি, পৌর, উপজেলা ও ইউপি দলীয়ভাবে প্রতীকে ভোট হলেও জেলা পরিষদে দলীয়ভাবে ভোট হচ্ছে না। গত নভেম্বরে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে ভোটের জন্য বিল উপস্থাপন করা হলেও পরে জেলা পরিষদের বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ভোটার যারা: প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও  সদস্য এ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন। এ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই ভোট দিতে পারবেন। সাধারণ ভোটারদের এখানে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।
এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভোটার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা সাড়ে চার চার হাজার। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে। ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার; ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
প্রার্থী : বাংলাদেশের ২৫ বছর  বয়সী যে কোনো ভোটার  জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না।
অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটই দিতে পারবেন তারা প্রার্থী হতে পারবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেরি করে গাঁজা বিক্রির সময় পুলিশের হাতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর সুপারিঘাটা ব্রীজ এলাকায় গাঁজা বিক্রিকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ২০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত দুই মাদক ব্যবসায়ী হলো ধুলিহর গ্রামের মৃত দাউদ গাজীর পুত্র নজরুল ইসলাম (৫০) ও ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত কালীপদ সাধুর পুত্র গৌর সাধু (৫৪)। পরে তাদেরকে ব্রহ্মরাজপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস,আই আব্দুল কাদের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিরা পারভীনের নিকট হাজির করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গৌর সাধুকে ৬ মাস ও নজরুল ইসলামকে ১ মাস কারাদন্ড প্রদান করেন। নজরুল ও গৌর সাধু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইতিপূর্বে তারা একাধিকবার আটক হয়ে জেল-হাজত খেটেছে। তাদের নামে বহু মাদক মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest