সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা

সাতক্ষীরায় চেয়ারম্যান আনারুল হত্যায় সাবেক পুলিশ কর্মকতা মঞ্জুরুল কবির ও মনিরুজ্জামানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান সহ পুলিশ এবং আওয়ামীলীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২১ আগস্ট সাতক্ষীরা আমলি ১ নং আদালতে নিহতের ভাই জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্যান্যা আসামীরা হলেন, সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, সাবেক এস আই হেকমত আলী, সখিপুর গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দীন গাজীর পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ও জিপি গাজী লুৎফর রহমান, কাশেমপুর গ্রামের মৃত নাজির উদ্দীন সরদারের পুত্র জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, তার ভাই আব্দুল হান্নান, একই এলাকার মৃত কালাচাদ সরদারের পুত্র হবিবার রহমান, মাহাবুবুর রহমান, ইন্দিরা গ্রামের মৃত মোহর আলীর পুত্র হাশেম আলী,মৃত আবুল কাশেমের পুত্র তহিদুল ইসলাম, মৃত জব্বারের পুত্র নজরুল ইসলাম, মৃত কওছার আলীর পুত্র সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শওকত হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ, রসুলপুর গ্রামের মৃত কোমর উদ্দীন সরদারের পুত্র জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ, কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র রবিউল ইসলাম, মৃত. নুর ইসলাম গাজীর পুত্র ইয়াহিয়া গাজী এবং শাল্যে গ্রামের মৃত আব্দুল গফফারের পুত্র সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।

মামলার বিবরনে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুর কবির এবং পুলিশের অন্যান্যা সদস্যসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সাদা গাড়ীতে করে আগরদাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে সদর থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। পরে চোখ বেধে সদর উপজেলার শিকড়ী ফাকা মাঠে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সে সময় নিহতের স্বজনরা মামলার করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো বিভিন্ন ধামকি প্রদর্শণ করে। যে কারনে সে সময় মামলা করতে পারেনি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসায় ভাই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন বলে জানান বাদী জিয়ারুল ইসলাম। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির সদ্য সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আশাশুনি প্রতিনিধি :
বাড়িতে অবৈধ মাদক দ্রব্য রাখার অভিযোগে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএমডি মোস্তাকিম কে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির সামনে থেকে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় থানা থেকে তাকে নিয়ে চাপড়ার নিজ বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে তার বাড়ি থেকে বিদেশী ৪ বোতল মদ জব্দ করে যৌথ বাহিনী।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ অধিকার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানার এস আই বিশ্বজিৎ ঘোষ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) উপজেলার টাউনশ্রীপুর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গির কবির পল্টুর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবু, যুগ্ম-সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, সদর ইউনিয়ন আহবায়ক মহসিন আলী, সদস্য সচিব হাবিবুল্লাহ, সখিপুর ইউনিয়ন আহবায়ক বেল্লাল হোসেন, বাবুল হোসেন, শিমুল হোসেন সহ বিভিন্ন পর্যয়ের নেতৃবৃন্দরা।

এছাড়া পারুলিয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা করেছে উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের অপর একটি গ্রুপ। এতে উপজেলা সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আহম্মাদ আলী মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক সাইদুর রহমান মিন্টু, যুগ্ম- আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, সখিপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনারুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রশিদ,
সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক সুমন হোসেন, পারুলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, বেল্লাল হোসেন সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সময় বক্তরা বলেন, আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি, খুনি হাসিনা আমাদের শান্তিতে ঘুমাতে দেই নি। আপনারা কেউ আইন হাতে নিবে না, আমরা সব কিছু সমাধান করবো আইনের মাধ্যমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে আশাশুনিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে আশাশুনিতে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে জনতা ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক স ম আসাদুজ্জামান আসাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম, সাদিক আনোয়ার ছট্টু, সরদার রুহুল আমিন, আব্দুর রহিম ছোট, শফিউল আলম সুজন।

ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল নেতা আসিফ ইকবাল শিমুল, হুমায়ূন কবির লিমন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র নেতা সানাউল হক নিরু প্রমুখ।
বক্তারা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করেন এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল জনতা ব্যাংক চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সরকার পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাবুলিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সরকার পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাবুলিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মনিন্দ্র নাথ ভারতী সেনা বাহিনীর সাতক্ষীরা কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুলিয়া গ্রামের মৃত রাম গোপাল ভারতীর পুত্র মনিন্দ্র নাথ ভারতী পৈত্রিক সূত্রে বাবুলিয়া বাজারস্থ সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছিলাম।

কিন্তু এলাকার মৃত তকিম মোল্যার পুত্র চিহ্নিত চাঁদাবাজ হোসেন আলী অবৈধভাবে মনিন্দ্র নাথের সম্পত্তি দখলের চক্রান্ত করে। একপর্যায়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আইন শৃৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে থাকা ঘরবাড়ি এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়।

সে সময় ওই প্রতিষ্ঠানে থাকা ৫ লক্ষাধিক টাকা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এরপরও হোসেন আলী মনিন্দ্র নাথ কে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে অফ সিজন  তরমুজ চাষে সফলতা

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলায় অফ সিজনে তরমুজ চাষ করে কৃষক মেহদী হাসান সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। স্বল্প খরচ করে স্বল্প সময়ে অফ সিজন তরমুজ চাষ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করায় এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুকতে শুরু করেছে।

আশাশুনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এলাকায় অসময়ে অধিক ফলন সম্ভব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছিলেন। কৃষি বিভাগ এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে এই প্রথম বারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।

কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনুধাবন করতে পেরে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে কুল্যার কৃষক মেহদী হাসান ৫০ শতক জমিতে এই ব্লাক জায়েন্ট জাতের তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষাবাদে তার সর্ব সাকুল্যে খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ্ব ও সহযোগিতা নিয়ে কৃ্ষক মেহদী হাসান কাজে নিয়োজিত থেকে চাষাবাদ করেন। এবং আশাপ্রদ ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছেন।
কৃষক মেহদী হাসান জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ্ব নিয়ে অসময়ে তরমুজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার আশায় বুক বেধে কাজ করেছি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে তরমুজ উঠাতে পেরে লাভের মুখ দেখতে পেয়ে দম ছেড়ে শান্তি পেয়েছি। প্রথম চালানে আমি ক্ষেত থেকে ১২ শ’ কেজি তরমুজ উঠাই। প্রত্যেকটি তরমুজ ৫/৭ কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ৪০ টাকা কেজি দরে ক্ষেত থেকে পাইকারী হিসেবে তরমুজ বিক্রয় করে ৪৮ হাজার টাকা পেয়েছি। এতে আমার খরচ উঠে ২৩ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। ক্ষেতে এখনও যে ফল আছে তা বিক্রয় করে অন্ততঃ আরও ৫০/৬০ হাজার টাকা পাব ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তা স্যারেরা নিয়মিত খোঁজ কবর নিয়ে থাকেন। তাদের পরামর্শ্বে রোগ বালাই দমন করে ভালভাবে চাষ করতে পেরে আমি লাভবান হতে পেরেছি। অসময়ে বড়বড় তরমুজ, দেখতে সুন্দর ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেক বেশী।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে এবছর আশাশুনিতে এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহন করি। এবছর প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। মাঠ থেকে পাইকারী ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রয় হচ্ছে। প্রথম চাষের কারণে খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে। সে তুলনায় কৃষকরা তরমুজ বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে খরচ কমে আসবে। তখন লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তিসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবীতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারন সম্পাদক পরিষদ শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখিত দাবী গুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে মনগড়া মিথ্যা চার্জশীট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে বিতর্কিত চার্জশিট ও মিথ্যা স্বাক্ষর ভিত্তিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। নি¤œ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দী বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ইতোমধ্যেই এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চারজন বিএনপি নেতা কর্মী কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেছে। সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৬ জন বিএনপি নেতাকর্মী অদ্যবধি কারা ভোগ করে চলেছে। অবিলম্বে কারাবন্দি বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। একই সাথে মামলায় ১২ বছর পর যাদের কাছ থেকে আলামত হিসেবে অস্ত্র জব্দ করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করার দাবী জানানো হয়। কারন অস্ত্র আইনে উল্লেখ রয়েছে যাদের কাছ থেকে আলামত উদ্ধার হবে তারাই আসামী হবে, এছাড়া ইংরেজী ২১৫ সালের ১৪ জুলাই ও আরবী ২৭ রমজান তারিখে কলারোয়া সেনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও জোড়া খুনের মামলা পূনারাজ্জীবত করে এর সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামীলীগ নেতাদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ উপজেলা পরিরষদ ভাইস চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বোমা প্রস্তুতকালে নিজেদের তৈরী বোমা বিস্ফোরিত হয়ে শুকুর আলী নামে একজন মারা যায়। আহত হয় আরো তিনজন। এ ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।

এছাড়া ২০০০ সালের ৫ অক্টোবর বন্যায় প্লাবিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সড়ক পথে কলারোয়া আসার সময় পথিমধ্যে ঝাউডাঙ্গা কলেজের সামনে পৌছালে কলারোয়া আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালায় ও নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষন করে। যে কারনে তিনি সেখান থেকে বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান। এরপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও পুলিশ প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কলারোয়া চৌরাস্তায় নির্মিত সভামঞ্চে হামলা চালায়, ভাংচুর করে ও পুলিশ প্রশাসন রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এরপর তারা ৪৬ বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে জননিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্তি পাই। এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের এবং সকল প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ মুক্ত করার জোর দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন, শহর বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজীব, কলারোয়া উপজেলার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়া, সাধারন সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, যুবদল নেতা সবুজ, পারভেজ, পলাশ, মোশরাফ, মোতাহার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তারিকুল হাসান বলেন, শেখ হাসিনার গাড়ীবহর হামলার মিথ্যা মামলায় ফরমেয়শী রায়ে ৭০ বছরের কারাভোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিবসহ ৪৬ নেতা-কর্মী। ইতিমধ্যে চার জন কারান্তরীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেছেন। তাদেরকে জেলখানায় শারিরীক নির্যাতন করায় তারা বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি এই হত্যার পিছনে জেল কৃর্তৃক্ষকে দায়ী করেছেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্রিশমাইল এলাকা থেকে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনা সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ত্রিশমাইল এলাকা থেকে হাসানুর রহমান নামের এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ত্রিশমাইল নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত হাসানুর রহমান (৩২) নগরঘাটা ইউনিয়নের চকেরকান্দা গ্রামের ওজিয়ার রহমানের ছেলে।

নিহতের পরিবার জানায়, হাসানুর একজন গ্রাম্য চিকিৎসক। পোড়ার বাজারে তার একটি চেম্বার রয়েছে। কে বা করা তার চেম্বারে একটি দা রেখে যায়। সন্ধ্যায় স্থানীয় দূর্বৃত্তরা তার চেম্বার থেকে ধরে নিয়ে তরুন সংঘ নামের একটি ক্লাবে আটকে রাখে। এরপর রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ত্রিশমাইল নামক স্থানে ফেলে রেখে যায় তারা। ভোরে হাসানুরের মরদেহ উদ্ধার করে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।

তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার জানান, সকালে উপজেলার ত্রিশমাইল এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তালা উপজেলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টহলরত আবস্থায় নগরঘাটা ইউনিয়নের ত্রিশমাইল এলাকা থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest