সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনাশ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা-সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারিসাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা

সাতক্ষীরার সাবেক দুই এসপি মঞ্জুরুল কবীর ও মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঃ ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার শহরের কামাননগরের একটি ছাত্রবাসে ঢুকে আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে নিহত আমিনুর রহমানের ভাই সিরাজুল ইসলাম(৫৪) বাদি হয়ে সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে একজন সহকারি পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ সদর থানার চারজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারি উপপরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক, আট জন সিপাহী ও কামাননগরের তিন ব্যক্তি।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে আমিনুর রহমান ২০১৪ সালে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স শেষ করে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগর কবরস্থানের পাশে জনৈক মুকুল হোসেনের বাড়িতে একটি ছাত্রাবাসে থাকতো। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ভাত খাওয়া চলাকালিন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। ছাত্রাবাসে ঢুকে পুলিশ ছাত্রাবাসের আটজন সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম ছাত্রাবাসে থাকা আমিনুর রহমানের পিঠের বাম দিকে গুলি করে। আমিনুর মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়েও গুলি করা হয়। একপর্য়ায়ে অধিক রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা কয়েকজন গুলিতে জখম হন। তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার তারিখে রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত আমিনুরসহ কয়েকজন জখমীর নামে সদর থানায় জিআর-৩২৮/১৪ ও ৩২৯/১৪ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গীসহ পাঁচজন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. তোজামম্মেল হোসেন তোজাম ২৫ পুলিশ সদস্যসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৯.০৮.২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আপন ও বে-মাতা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় আপন ও বে-মাতা ভাইয়ের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগিতায় অরেক ছোট ভাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনী গ্রামের মোঃ বাবর আলী মোড়লের ছেলে মোঃ মুজিবর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনী মৌজায় ৭৯৯ নং দাগে ১.১১ শতকের মধ্যে .৪৩ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু বিগত ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর আমার ভাই শহিদুল আলম, বে-মাতা ভাই আরশাদ আলী, বাইগুনী গ্রামের ছালাম বিশ^াসের ছেলে আ’লীগ নেতা জামাল বিশ^াস, আবুল খায়েরের ছেলে রফিকুল বিশ^াসসহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে জমির মূল দলিলপত্রসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে। পরে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে স্থানীয় আদিত্য কুমারের বাড়িতে ফেলে অস্ত্রেও মুখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমার সন্তানসহ স্থানীয় লোকজন তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে। আমার ভাই শহিদুল আলম এবং বেমাতা ভাই আরশাদ এর প্রাপ্ত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এ জন্যই তারা আমাকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,এসব ঘটনার পর বিগত ২০১৯ সালের ৬ জুন আমি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক তদন্ত পূর্বক আমার পক্ষে রায় প্রদান করে। রায় প্রদানের পর কিছুদিন তারা থেমে থাকলেও আবারো বিভিন্নভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। এক পর্যায়ে তারা অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মাললায়ও তদন্ত পূর্বক আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন আদালত। এরপরও জামাল, রফিকুল, ফারুক, কামাল, জামশের মেম্বরসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের নেতৃত্বে তারা অবৈধভাবে ফের আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাইকে জানালেও আ’লীগ নেতাদের চাপের মুখে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মুজিবর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায় আমাদের পক্ষে থাকলেও উল্লেখিত ব্যক্তিরা আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি রায় বের করে। এঘটনায় আমরা আদালতে জালিয়াতির মামলাও দায়ের করি। আমাদের মূল দলিলগুলো লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার কারনে আমরা জজকোর্টেও যেতে পারছি না। বছরের পর বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যু জামাল, কামাল, রফিকুল, আরশাদ, ফারুক ও জামশের আমার সম্পত্তি দখল করে প্রাচীর নির্মান করে। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ওই প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের ভয়ে আমরা ওই সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিশেষ করে থানা পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা বর্তমানে চরম আতংকের মধ্যে দিনপার করছি। তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজের সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় দলিত জনগোষ্ঠির দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক ২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষনের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি :
জাতপাত পেশাভিত্তিক বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি শ্লোগানে সাতক্ষীরায় দলিত জনগোষ্ঠির দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক ২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার অগ্রগতির সংস্থার কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাশ। দলিত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাশ।

ইসলামিক রিলিফ সুইডেন এর সহযোগিতায় দলিতের বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন, দলিত সংস্থার হেড অব প্রোগ্রাম উত্তম কুমার দাশ, টেকনিক্যাল অফিসার হোসনেয়ারা, মিডার নির্বাহী দুলাল দাশসহ অন্যরা।
এসময় বক্তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দক্ষ হতে হবে। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অধিকার আদায়ে সকল এগিয়ে আসতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বুধহাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় আলোচনা সভা

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা দক্ষিণপাড়া হযরত আলী (রাঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণকাজ সম্পর্কে পরামর্শ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার এশার নামাজ পর এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসান, বুধহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইকবাল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত ড্যানিস, কোষাধ্যক্ষ বাবুল হোসেন, বুশরা গ্রুপের এরিয়া ম্যানেজার ইয়াসিন আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুর রব, জয়নাল আলি প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাফেজ মোঃ আসাফুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে জামায়াতের আলোচনা সভা ও বিভিন্ন মন্দিরে মতবিনিময়

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫ টায় গোয়ালডাঙ্গা বাজারে বকুলতলা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বড়দল ইউনিয়ন জামাত সভাপতি শেখ হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামাতের নায়েবে আমির মাও: নুরুল আফসার মুর্তজা। সভায় শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাও: আবুবক্কার সিদ্দিক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাও: আতাউর রহমান, বড়দল ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফেজ মারুফ বিল্লাহ, ছাত্র শিবিরের পশ্চিম শাখা সভাপতি মো: ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে ইউনিয়ন সেক্রেটারি মো: সেকেন্দার আলী, হাফেজ রুহুল আমিন, আলহাজ্ব আ: মালেক সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গোয়ালডাঙ্গা বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাও: শফিউল আলম।

এর আগে গোয়ালডঙ্গা সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে এবং পরে বড়দল সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির ও ফকরাবাদ দুর্গাপূজা মন্দিরের পূজা আয়োজক কমিটির সাথে মতবিনিময় করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আলোচনা ও পট গান

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও সুশীলনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও পট গান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ১৮ আগস্ট, ২৪ ইং সকাল ১১টায় দেবহাটা উপজেলার উঃ পারুলিয়া গ্রামে এ আলোচনা সভা ও পট গান অনুষ্ঠিত হয়।

উঃ পারুলিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক জি.এম তারেকের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুশীলনের দেবহাটা এরিয়া প্রোগামের সিডিও মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উঃ পারুলিয়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আনিকা আক্তার, শরিফা খাতুন, কাকুলি রানী, মমতা দাস, উঃ পারুলিয়া বেলি শিশু ফোরামের সভাপতি মারজিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক অমিত দাস, ফারজানা ইয়াসমিন, সুশীলনের ফ্যাসিলিটেটর শামিমা সুলতানা, মাসুদ রানা প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বাল্যবিবাহের কুফল ও ক্ষতিসমূহ আলোচনা করেন এবং সকলকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অভিভাবকদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করান যাতে তারা তাদের সন্তানদের বাল্য বিবাহ না দেন। উক্ত অনুষ্ঠানের পটগান পর্বে শিল্পীরা গানে গানে বাল্যবিবাহ এর কারন, ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং কিভাবে বাল্যবিবাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে সেগুলো বর্ণনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে শতাধিক অভিভাবক ও কিশোর কিশোরী উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলার মিথ্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবসহ সকল আসামিদের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরার বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কথিত শেখ হাসিনার গাড়ি বহর হামলা মামলার নামে সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে বিভিণœ মেয়াদে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে ও সকল আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কলারোয়া উপজেলা বিএনপির আয়োজনে রবিবার দুপুর ১২টায় পোষ্টঅফিস মোড়ে অনুষ্ঠিত কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান।

উপজেলার বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়ার সভপিতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা কৃষক দলের সাবেক আহবায়ক আহসানুল কাদির স্বপন, কলারোয় পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিকী, সহ-সাধারন সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, শওকাত হোসেন, যুবদল নেতা সবুজ, পলাশ, পারভেজ, আবু জাফর, মোজাফ্ফর ছাত্রদল নেতা সোহেল, রাসেল, প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোশারফ, কারিম, সিরাজ প্রমুখ।

উপজেলা বিএনপির কর্মসুচি থেকে ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সহসাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু।

প্রধান অতিথি বিএনপি নেতা তারিকুল হাসান এ সময় বলেন, শেখ হাসিনার গাড়ীবহর হামলার মিথ্যা মামলায় ফরমেয়শী রায়ে ৭০ বছরের কারাভোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৭ জন নেতা-কর্মী কারান্তরীন রয়েছেন। ইতিমধ্যে চার জন নেতা-কর্মী কারান্তরীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেছেন। তাদেরকে জেলঅখানায় শারিরীক নির্যাতনে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি এই হত্যার পিছনে জেল র্কৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি আরো বলেন, কলারোয়া উপজেলা যে ৫দফা কর্মসুচি ঘোষনা করেছেন অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশকে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
রিমান্ডের নামে পুলিশের নেওয়া ঘুষ ফেরত চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সাথে মোবাইলসহ অন্যান্য ব্যবহার্য্য জিনিসও ফেরত চেয়েছেন তারা। অন্যথায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আইনী সহায়তা দেওয়া আইনজীবীরা।

রোববার চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইনজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আইনজীবী এড. শহীদ হাসান বলেন, তারা ঝুকি নিয়ে ছাত্রদের মামলায় বিনামুল্যে আইনী সহায়তা দিয়েছেন। বিবেক আর মানবতার কল্যাণে তারা এ কাজ করেছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় রিমান্ডের নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম,তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্যা মো: সেলিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনতিবিলম্বে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরার অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ২টি মামলা এখনো চলমান আছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়,অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে ৭ হাজার,শাহারুজ্জামানের কাছ থেকে ৬ হাজার,কাজী সাকিবের কাছ থেকে ৫ হাজার,ইব্রাহিম হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন পুলিশ পরিদর্শক মোল্যা মো: সেলিম। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তারেক বিন আব্দুল আজিজ মঈনুল ইসলামের কাছ থেকে নেন ১৪ হাজার টাকা। সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম এসএম রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে ঘুষ নেন ৩৫ হাজার টাকা। এভাবেই পুলিশ কর্মকর্তারা রিমান্ডে থাকা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন থেকে রেহাই দেওয়ার অযুহাতে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া পুলিশ শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কমপক্ষে ১০টি এ্যান্ড্রয়েড ফোন কেড়ে নেন ।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকে দমন করতে সদর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলায় আসামী করা হয় ১৮ জনকে ও আরেকটি মামলায আসামী করা হয় ১৩ জনকে। প্রথম মামলায় ১৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোল্যা মো: সেলিম।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, ‘‘ বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest