সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা পৌর ৬নং ওয়ার্ড তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনআশাশুনিতে সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকিসাতক্ষীরা পৌর ৭নং ওয়ার্ড তাঁতীদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরায় কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার বিতরণআশাশুনিতে বিএনপির ইফতার মাহফিলের প্রস্ততি সভাশহীদ আসিফ পরিবারে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইফতার উপহারনারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় ভিবিডির মানববন্ধনসাতক্ষীরায় মাছের ঘের থেকে কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরায় সোয়াবের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেলো ১১৫ পরিবারপ্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন করে খ্রিস্টান ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্টের

আশাশুনিতে নেটপাটা ও জাল অপসারনে অভিযান

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো:

আশআশুনি উপজেলার ভিমতলার খালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ নেটপাটা, খালের বাধ অপসারন ও অন্যান্য ক্ষতিকর জাল নির্মূলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদারের নেতৃত্বে ভিমতলা খালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ ২০ টি নেট পাটা অপসারন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ১২ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মেহেরপুর থেকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ১২ মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ৩ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি লুৎফুর রহমান জুয়েল (৪৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নাজিমগঞ্জ বাজারের রংধনু কসমেটিকস এর স্বত্বাধিকারী।

পুলিশ জানায়, জুয়েল ১২ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও ৩ টি নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন। সোমবার মেহেরপুরের গাংনী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় পার্টি সদর উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির ইফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টি সদর উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১৯ মার্চ ) বিকালে সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বার সাহেবের বাসভবনে জাতীয় পার্টি, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি ও পৌর জাতীয় পার্টির আয়োজনে পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ পাপা’ র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ তপন, সহসাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বাবু, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সাদেক, জেলা যুবসংহতির সভাপতি আশিকুর রহমান বাপ্পী, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি কাজী আমিনুল হক ফিরোজ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইসরাইল গাজী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কায়সারুজ্জামান হিমেল, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রী কমল বিশ্বাস, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, বদরুজ্জামান বদু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় জেলা জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ,পৌর জাতীয় পার্টির ৯ টি ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ টি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহম্মেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তরুণ পার্টির আহ্বায়ক আবু ইয়াছিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোজাদারদের মাঝে আসাদুজ্জামান বাবুর ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পবিত্র মাহে রমজানের অষ্টম দিনও রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা বৌ-বাজার ও ওয়াপদা মোড় এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ পথচারী রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেন এবং রোজাদারদের সাথে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী মাসব্যাপী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রোজাদারের হাতে ইফতার পৌছে দিবেন তিনি।

ইফতার বিতরণী কার্যক্রমে এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালুসহ আরও অনেকে ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষক বাবাকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ প্রতারকের পরিকল্পনায় শিক্ষক সুভাষ দাসকে নির্যাতন ও পাঁচদিন পর থানায় ডেকে নিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দিয়ে শ্লীলতাহানির মামলার প্রতিবাদ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সস্মেলন করেন তালা উপজেলার নুরুল্লাহপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র দাসের মেয়ে রমা রাণী দাস।

রমা রানী দাস বলেন, ঠাকুরদাদা নিতাই দাসের দান করা এক বিঘা জমিতে ১৯৭৮ সালে তার বাবা সুভাষ দাস ফতেপুর রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে তাতে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০১৩ সালে ওই বিদ্যালয়টির সরকারিকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তার বাবা ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ার পর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ফতেপুর গ্রামের ইষ্টম দাস ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি(রমা) দুই বার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের ভাইপা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন। বিশেষ ব্যবস্থায় এক সপ্তাহের মধ্যে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ঘুষের চুক্তিতে তার কাথ থেকে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রথমে এক লাখ টাকা নেন ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইস্টম দাস।

এক সপ্তাহের মধ্যে চাকুরি দেওয়া না হলে টাকা সুদাসলে ফেরৎ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন ইষ্টম দাস। চাকুরি না হওয়ায় টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করায় ইষ্টম ও তার স্ত্রী অঞ্জলী দাসের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তাকে ৫০ হাজার টাকা ফেরৎ দেন ইষ্টম দাস। নিজের চিকিৎসার জন্য টাকা ফেরৎ দিতে বলায় তার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ইষ্টম দাস ও তার স্ত্রী অঞ্জলি দাস।।

রমা দাস লিখিত আরো বলেন, গত ১০ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ের মাঠে পৌঁছানোর পর তার বাবাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশি প্রদীপ দাসের ছেলে ও ইষ্টম দাসের সুশ্রী স্ত্রীর ঘনিষ্ট বলে পরিচিত আকাশ দাস। এরপরপরই দরজা আটকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাসের ইন্ধনে বাবাকে বেধরড়ক পেটান আকাশ দাস। ইষ্টম দাসের কাছে টাকা চাওয়ার সাধ মিটিয়ে দেব, ধর্ষণ মামলা দেবো এমন কথা বলতে বলতে পাঁচ মিনিট ব্যাপি মারপিটের ফলে চশমার ফ্রেম ভেঙে চোখের কোনে ও নাকের উপরে ঢুকে রক্তাক্ত জখম হন বাবা। এরপরপরই সেখানে হাজির হন বিকাশ দাস। দরজা খুলে আকাশ দাস বেরিয়ে আসলে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় সহকারি শিক্ষক সাঈদা খানম, মা ছায়া রানী দাসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে ছুটে এসে ঘটনা জেনে প্রতিবাদ করেন। । এতে ক্ষুব্ধ আকাশ ও তার ভাই বিকাশ দাস বাঁশের লাঠি নিয়ে বাবা ও মা ছায়া রানীকে মারতে যান। এরপর বাবা বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্যপদ পালকে অবহিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন ১১ মার্চ বাবা থানায় ৪২৯ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। গত ১৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১২টার পরে পুলিশ বাড়ি থেকে বাবাকে ডেকে থানায় নিয়ে পরদিন আকাশ দাসের শিশু কণ্যাকে গত ৭ মার্চ দুপুর সোয়া ১২টায় বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। বাবাকে পরিকল্পিত ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ভূমিকা পালন করেছে আকাশ দাসের ছোট ভাই কক্সবাজারে টেকনাফ থানার আর্মস ব্যাটালিয়ন পুলিশে কর্মরত সহকারি উপপরিদর্শক প্রকাশ দাস।

রমা রানী দাস জানান, ৯ মার্চ গোপালপুর বলাই ঘোষের আমবাগানে পিকনিক উপলক্ষে ৭ মার্চ থেকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয় কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য ‘উত্তরণ’ নাটকের রিহার্সাল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সে অনুযায়ি ৭ মার্চ বাবা বিদ্যালয়ে সাড়ে ৯টায় হাজিরা দিয়ে সকাল ১০টার দিকে বের হয়ে সাড়ে ১০টায় গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন। সেখানে রিহার্সাল চলাকালে ইসলামকাটি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্যপদ পালসহ ২৬ জন শিক্ষক বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। এরপরও বাবাকে ইস্টম দাসের পরিকল্পনায় আকাশ দাসের মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ও পরিকল্পিত মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ওই দিন গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা সংক্রান্ত ভিডিও এবং স্থির চিত্র রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপরাধ বাবার নিঃশর্ত মুক্তি, ইষ্টম দাসের কাছে পাওনা ৫০ হাজার টাকা ঘুষের টাকা ফেরৎ ও বাবার উপর হামলাকারি ও মিথ্যা মামলা দায়েরর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রমা রানী দাসের মা ছায়া রানী দাস।
ইসলামকাটি সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি গত ৯ মার্চ বলাই ঘোষের আমবাগানে পিকনিক অনুষ্ঠানে “উত্তরণ” নাটক মঞ্চস্ত করার অংশ হিসেবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্যপদ পাল ও সুভাষ দাসসহ ২৬ জন শিক্ষক ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোপালপুর সরকারি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাঈদা খানম জানান, ঘটনার সময় ও তারিখে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রিহার্সালে থাকার পরও সুভাষ স্যারকে নির্যাতনের পর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইষ্টম দাস বলেন, সুভাষ দাসকে বাঁচাতে তার মেয়ে রমা রাণী দাস সংবাদ সস্মেলনে বাদিসহ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। তবে ৭ মার্চ সুভাষ দাস সঠিক কোন সময়ে বিদ্যালয় থেকে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
তালা উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা অসীম কুমার সরকার বলেন, ১০ মার্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে অভিভাবক আকাশ দাস মারপিট করার বিষয়টি তাকেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান সুভাষ দাস। ১২ মার্চ আকাশ দাস ত ার মেয়েকে শ্লীলতাহানির করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে পরদিন তারা ঘটনাস্থলে যান। সুভাষ দাস গোপালপুর সরকাাির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কখন গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবারে প্রধান শিক্ষক বলেছিলেন ৭ মার্চ ১০টার পরপরই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সুভাষ দাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছিলেন মর্মে লিখিত দেওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সুভাষ দাস গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রিহার্সালে ছিলেন বলে সেখানে উপস্থিত দলনেতা শিক্ষক এনামুল হকসহ বেশ কয়েকজন তাদের কাছে শিক্ষক লিখিত দিয়েছেন।
তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্যপদ পাল বলেন, তিনি এবং সুভাষ দাসসহ ২৬ জন শিক্ষক ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকলেন আর ওইদিন দুপুর সোয়া ১২টায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে ডেকে শ্লীলতাহানির ঘটনা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ছাড়া কোনরুপ অভিযোগ না করে কর্মরত অবস্থায় অফিসককক্ষে ডেকে সুভাষ দাসকে মারপিট মেনে নেওয়া যায় না।
তালা থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় বালুর পরিবর্তে কাদা মিশ্রিত মাটি দিয়ে রাস্তার বালু ফিলিং এর অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালায় খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী বিলপাড়া এলাকার হেরিং বোন বল্ড পদ্ধতিতে ৫০০ মিটার রাস্তার প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের কাজে বালি ফিলিং এর নামে মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প কাজটি করছেন সাতক্ষীরার মেসার্স নয়ন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর অভিযোগ রাতের আধারে বালুর পরিবর্তে কাদা মিশ্রিত মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করে উপরে সামান্য বালু ছড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসেম মোল্লা জানান, রাত ১১ টার পরে আমাদের এই রাস্তায় বালি পরিবর্তে কাদা মিশ্রিত মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করে উপরে সামান্য বালি ছড়িয়ে এই রাস্তা তৈরী করলে তা টিকবে না। সখিনা বেগম জানান, আমরা মহিলা মানুষ আমরা বললে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কথা শুনেনা।

রহমত মোল্লা জানান, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি সে এসে কাজের মান খারাপ দেখে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া যেই ইট আনা হয়েছে তা নিম্ন মানের ইট। রাস্তার কাজে যদি এই নিম্ন মানের ইট পাতানো হয়, তাহলে রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না, আবার আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে পরিদর্শন করে মাটি মিশ্রিত মাটির তৈরি ফিলিং ও ইটের মান খারাপ দেখে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যাতে নতুন করে বালি ফেলে ও ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করা হয়।

এবিষয়ে মেসার্স নয়ন এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, নতুন করে আবার বালি দিয়ে রাস্তা ফিলিং করে কাজ করা হবে।

তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ায়দুল হক জানান, রাস্তার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না, সঠিকভাবে বালি ফিলিং করে ও ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভূমিদস্যূদের হাত থেকে খাস জমি মুক্ত করা ও ইজারা গ্রহীতাদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে গোকুলনগর মৌজার খাস সম্পত্তি ভূমিদস্যূদের দখল থেকে মুক্ত ও ইজারা গ্রহীতাদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (১৯মার্চ) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসক বরাবর বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কোপাত আলী কোপাত আলি বলেন, ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আশাশুনি এসিল্যান্ড অফিস থেকে ২১৪/১৪৩০ কেসমুলে ৭৩ শতক খাস জমি ইজারা নেন তিনি। একই সাথে মোট ২৫ জন খাস জমিতে মাছ চাষ করে আসছিলেন।

কিন্তু স্থানীয় একটি মহল এই ইজারার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল বিভাগে ১৪০(কন) এফ/২০১৮ নং মামলা দায়ের করে। এই মামলায় কোপাত আলী গংদের খাস জমির কোন অন্তর্ভূক্তি নেই। কারন এই জমি এসএ ৬৯ ও ৭০ খতিয়ানভুক্ত ১৬৮ হাল ৪৮৯ দাগের সম্পত্তি, এটি মামলায় লেখা নেই এবং তা নালিশী সম্পত্তি নয়।

কিন্তু তার পরেও স্থানীয় ভূমিদস্যূরা ঢাকায় বসবাস করা এক ব্যক্তির সহায়তায় হাইকোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে আসে। এই আদেশে আশাশুনির সহকারী ভূমি কমিশনার অফিস থেকে ২১৪/১৪৩০ নং ইজারাটি বাতিল করা হয় যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

মানববন্ধনে ইজারা গ্রহীতা সাহেব আলী বলেন, প্রভাব খাটিয়ে এবং নানা কৌশলে ভূমিদস্যূরা এই জমির দখল নিতে চাইছে। এভাবে চলতে থাকলে ওই এলাকার সব সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যূরা দখল করে নেবে। ভূমিদস্যূরা ইতিমধ্যেই তাদেরকে হয়রানি করতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করে চলেছে। এই পর্যন্ত ৪টি মিথ্যা মামলা করেছে তারা যার মধ্যে ২টি মামলা ইজারা বাতিলের পর করা হয়েছে। এই ৭৩ শতক জমিতে তিনি সহ এলাকার অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ মাছ চাষ করতেন। বর্তমানে তারা মাছ চাষ না করতে পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অর্ধাহারে অনাহারে থাকছেন।
ভূমিদস্যূদের এসব হয়রানি থেকে রেহাই পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফাতেমা খাতুন ও কদবানু বলেন, তারা মিথ্যা মামলা করা ছাড়াও রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে হামলা করছে, ইটপাটকেল মারছে। রাস্তাঘাটে দেখা হলে হেনস্থা করছে, মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এভাবে তাদের বেঁচে থাকা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। অতি দ্রুত জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হওয়া দরকার।

আশাশুনির থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান প্রতাপনগর ইউনিয়নের গোকুলনগর বিরোধপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমান স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রতাপনগরের গোকুলনগরের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ইমাম হোসেন, জলিল মোড়ল, আব্দুস সালাম, সাহেব আলী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীদলের অধীনস্থ সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত

সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীদলের অধীনস্থ সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

১৯ মার্চ জেলা তাঁতীদলের আহবায়ক হাসান শাহরিয়া রিপন ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একপত্রে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশ মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীদলের অধীনস্থ সকল উপজেলা,

পৌর ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে সক্রিয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রত্যেক ইউনিট কমিটি গঠন করা হবে ওই পত্রে জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest