সর্বশেষ সংবাদ-
স্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভাসাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় ইসলামী সংগীত পরিবেশন : পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ বরখাস্তসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি ও তার ছেলেকে কারাগারে প্রেরণসাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২সাতক্ষীরায় বাস ইজিবাইক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু : আহত ৭তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের উদ্দোগে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (০৪ ডিসেম্বর ‘২৪) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ১৪ টি মামলার বিপরীতে ৯ হাজার ৮শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রণয় বিশ্বাস , বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান সহ সঙ্গীয় আনসার ফোর্স।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসীন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যে সকল যানবাহনের কাগজ পত্র এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নাই সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান চলমান থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার তালায় জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার নাগরিক কমিটির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এমএ হাকিম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর সঞ্চচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার, উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম দাদু ভাই, নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, গাজী শহিদুল্লাহ, ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল রাজ্জাক, শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তালা উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ পিছিয়ে থাকায় সাধারণ জনগণ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন, উপজেলায় একটি আধুনিক ভূমি অফিস স্থাপন, টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প চালুর পাশাপাশি তালাকে পৌরসভায় রুপান্তরের জোর দাবি জানানো হয়।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার বড়দলে জমিজমার বিরোধীকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুস সাত্তার (৬৭) নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হয়েছে। আশংকা জনক অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহতের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ঢালী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে বড়দল বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে সামাদ ঢালীর বাড়ির সামনের রাস্তার আব্দুস সাত্তারের গতিপথ রোধ করে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত ফজর ঢালীর পুত্র মান্নান ঢালী ও তার পুত্র মুস্তাকিম এবং মিন্টু ঢালী মিলে তার উপর হামলা করে।

এসময় হামলাকারীদের হাতে থাকা লোহার রড, শাবল ও লাঠি দিয়ে আব্দুস সাত্তারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার কাছে থাকা মাছ বিক্রির ২৫ হাজার ৫ শত ৬৫ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে আব্দুস সাত্তারের আত্ম চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে ছুটে আসতে দেখে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের খবরে ভিত্তিতে আহত আব্দুস সাত্তারের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এবিষয়ে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা: সজনী বলেন- সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে আহত অবস্থায় আব্দুস সাত্তার নামের এক বয়স্ক রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আমরা তার মাথায় সেলাই দেই। পরে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এব্যাপারে আহত আব্দুস সাত্তারের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ঢালী বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:
আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ ভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার সভাকক্ষে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত পরিচালনা করেন আশাশুনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান।

এসময় মাদ্রাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও আব্দুল মালেক সহ ১০ জন অভিযোগকারী তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন। অভিযোগকারীরা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমানাদি উপস্থাপন করলেও অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কোন প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেননি।

তদন্ত কার্যক্রম শেষে স্থানীয় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে ১০ জন অভিযোগকারী আঃ মালেক মল্লিক, কালামুজ্জামান, মাছুম বিল্লাহ, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ, শামীম রেজা রাজু, মাগফুর রহমান, আলামিন ইসলাম, আঃ রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম লিটু সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর কুড়িগ্রাম ইসলামিয়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসায় ২০১৮ সালে মিজানুর রহমান অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। এরপর থেকে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে তিনি নিয়োগ বানিজ্য, এতিমদের টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছেন। কোন এতিম ছাত্র না থাকা স্বত্ত্বেও ৩২টি এতিম ছেলে দেখিয়ে ১৬ জন এতিমদের বরাদ্দকৃত সরকারি ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। মাদরাসার ২৭ বিঘা জমির বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কোন হিসাব দেননি। মাদরাসায় এবতেদায়ী বিভাগে কোন শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও ৪ জন শিক্ষকের বেতন উত্তোলন করে বছরের পর বছর সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছেন। সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী আলাউদ্দীন লাকীকে মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বানিয়ে তার মাধ্যমে প্রভাব খাঁটিয়ে অপকর্ম করে গেছেন এবং তথ্য গোপন করে মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসাবে তার আপন চাচা সপ্তম শ্রেণী পাস শফিকুল ইসলামকে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছেন। মাদরাসার শুন্য পদে একজন উপাধ্যক্ষ, একজন অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী, একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, একজন নিরাপত্তাকর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করেন। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্বজন প্রীতির অভিযোগে তৎকালীন সংসদ সদস্য আ.ফ.ম রুহুল হকের হস্তক্ষেপে উক্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ তার মনোনীত প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সকল চাকুরী প্রার্থীদের না জানিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর বাদে অন্যান্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। যার মধ্যে নিজের ছেলে অহিদুর রহমানকে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী ও তার আপন চাচাতো ভাই এর বউ আছিয়া খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্ত অহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান জি, আর ২৪/২৪ (আশাঃ) মামলার শুনানিতে গত ২৮ অক্টোবর ধার্য তারিখে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাবা অধ্যক্ষ হওয়ায় তাকে সাসপেন্ড না করে স্বপদে বহাল রেখেছেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও জি, আর ৮/২৪ (আশাঃ), জি, আর-১৫০/২২ (আশাঃ) জি,আর-১৪৫/২২ (আশাঃ), জি, আর-৫৫/২২ (আশাঃ) মামলা চলমান আছে। অধ্যক্ষ অবশিষ্ট পদে নিজস্ব প্রার্থী না থাকায় কাউকে নিয়োগ না দিয়ে গত ৩০ অক্টোবর যুগেরবার্তা পত্রিকায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তিতে আত্মীয় রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দিবেন বলে জানা গেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো একদিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। প্রাথমিক তদন্তে বাদীপক্ষ অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণাদি দাখিল করেছেন। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান তদন্তের সময় স্বপক্ষে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। তাই তাকে ৪ দিনের মধ্যে স্বপক্ষের কাগজপত্রসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। বাদী পক্ষকেও তাদের অভিযোগের স্বপক্ষে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে কিছু জানার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে সুকৌশলে তদন্ত স্থল পরিত্যাগ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধীনস্থ বৈকারী, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা ও চান্দুরিয়া বিওপির সীমান্ত এলাকা এবং বাকাল ও ঝাউডাঙ্গা চেকপোস্ট হতে এসব মালামাল আটক করে।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়,

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চান্দুরিয়া বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়ার কাদপুর নামক স্থান হতে ০৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে এবং ঝাউডাংগা বিশেষ ক্যাম্পের আভিযানিক দল সদরের ভাদিয়ালী মাঠ নামক স্থান হতে ১০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে। বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সদরের ঈদগাহ নামক স্থান হতে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। কাকডাংগা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়ার ঝাউডাঙ্গা পাকা রাস্তা হতে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় তালা চাবি আটক করে। চান্দুরিয়া বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়ার কাদপুর নামক স্থান হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। তলুইগাছা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কলারোয়ার আমবাগান নামক স্থান হতে ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। বাকাল চেকপোষ্ট একটি বিশেষ আভিযানিক দল সদরের বাকাল চেকপোষ্ট হতে গাড়ী তল্লাশী করে ১৫ হাজার টাকা মূ্ল্যের ভারতীয় শাড়ী আটক করে। ঝাউডাংগা বিশেষ ক্যাম্পের আভিযানিক দল সদরের ভাদিয়ালী মাঠ নামক স্থান হতে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।

বিজিবি অধিনায়ক জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক উক্ত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় বন্যা-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পুর্নবাসনে সহায়তা করেছে খবরের কাগজ পত্রিকার পাঠক সংগঠন ‘বন্ধুজন’। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা বন্ধুজনের উদ্যোগে শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে জেলার সদর ও তালা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মাঝে এ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা বন্ধুজনের সভাপতি অর্পণ বসুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও বন্ধুজন সাতক্ষীরার উপদেষ্টা অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খবরের কাগজ পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও বন্ধুজন সাতক্ষীরার উপদেষ্টা নাজমুল শাহাদাৎ জাকির, মানগ্রোভ সাহিত্যের এডিটর স.ম তুহিন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বন্ধুজনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষ করে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে বন্যা পরবর্তী সহায়তা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনে সহায়তা করার লক্ষ্য নিয়ে বন্ধুজন যে পদক্ষেপ নিয়ে একযোগে কাজ করছে সেটা প্রশংসনীয়।

বক্তারা আরো বলেন, বন্ধুজন সাতক্ষীরার কমিটি গঠনের পর থেকে সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। বিগত মাসে চিকিৎসা-শিক্ষায় ৪৩ হাজার টাকা সহায়তা দিছে। একই সময়ে অসহায় পরিবারের মাঝে শতশত বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক মূলক কাজ করে তারা প্রমাণ করেছে জনমানুষের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ তারা।

এজন্য বর্তমানের ন্যায় ভবির্ষতেও সংগঠনটি জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগী ২০ পরিবারের মাঝে ৪০০ পিচ মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হয়।

খবরের কাগজের পাঠক সংগঠন বন্ধুজনের পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এমন উপহার পেয়ে উপকারভোগী পরিবারগুলো আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন।

এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভিতরে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুজন সাতক্ষীরার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ফাতিন, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান ফারিহা, নারীবিষয়ক সম্পাদক জামিলা উলফাতুন্নেছা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক (চলচ্চিত্র, নাট্য, আবৃত্তি) নুসরাত জাহান জিনিয়া, সাহিত্য, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক মেহেজাবিন খান, অর্থ সম্পাদক মো: আতিকুর রহমান আসিফ, যোগাযোগ ও প্রচার সম্পাদক মাগফুর হোসাইন, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো: রিফাত আহম্মেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আন্নিষা খান, পরিবেশ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ইসমত জেরিন আফরিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জুবায়ের তামিম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক তানভীর জামান নাফিস প্রমুখ।

উল্লেখ্য বন্যার্তদের পূনর্বাসনের জন্য খবরের কাগজের কর্মীদের একদিনের বেতন বন্ধুজন তহবিলে প্রদান করা হয়। এই তহবিল থেকে বন্ধুজন বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে যৌতুকের দাবীকৃত ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে নড়াইলের গ্রামীণ ব্যাংকের এক ব্রাঞ্চ মানেজার তার স্ত্রীকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। এতে কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আশিকুড়া গ্রামে ঘটেছে।

অভিযুক্ত (স্বামী) গ্রামীণ ব্যাংকের নড়াইল জেলার নলদী ব্রাঞ্চ মানেজার ও সাতক্ষীরার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের আশিকুড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান।

জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার আমিয়ান গ্রামের নুর ইসলাম ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে জামাতার চাকরি বাবদ নগদ ৪ লাখ টাকা দিয়ে তার কন্যাকে ২ লাখ টাকার কাবিনমূলে বিয়ে দেন মাহমুদুল হাসানের সাথে। এছাড়াও মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের পর জামাতাকে মোটর সাইকেল বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা এবং ২ লাখ টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ফার্নিচার দেন।

বিয়ের চার বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থ্যাৎ চলতি বছরের ১৬ আগস্ট মাহমুদুল হাসান কোন ঝামেলা ছাড়াই তার স্ত্রীকে টাকা আনার জন্য নড়াইল থেকে বাপের বাড়ি কালিগঞ্জে রেখে যান। এরপর মাহমুদুল হাসান বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে টাকা চাওয়া শুরু করে।

এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হলে মেয়ের সংসারের দিকে তাকিয়ে পিতা নুর ইসলাম সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের পিপি এড. আব্দুস সাত্তারের শরণাপন্ন হন। একপর্যায়ে পিপির বাসভবনে গত ২৪ অক্টোবর বসাবসির কথা থাকলেও মাহমুদুল হাসান ও তার স্বজনেরা সেদিন উপস্থিত হয়নি। এতো কিছুর পরেও ওই গৃহবধু তার শ্বশুরবাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতো।

একপর্যায়ে যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা না পেয়ে গত ২৭ অক্টোবর উক্ত গৃহবধুকে তার শ্বশুর নজরুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি মাহফুজা খাতুন ও মামা শ্বশুর মাহমুদের সহযোগীতায় স্বামী মাহমুদুল হাসান এলোপাতাড়ি ভাবে চড়, কিল, ঘুষি মেরে রক্ত জমানো জখম করে। এতে ওই গৃহবধু কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ২৯ অক্টোবর ছাড়পত্র নেয়। এরপর উক্ত ৪ জনকে আসামী করে আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫৬৯। তারিখ: ০৩/১১/২০২৪।

পরবর্তীতে উপায়ন্তর না পেয়ে যৌতুক লোভী মাহমুদুল হাসান তার মামা (পুলিশ সদস্য) মাহমুদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলেন। ভাগ্নের সরকারী চাকরীতে লাগবে বলে ওই টাকা চান তিনি। যার অডিও ইতোমধ্যে এ প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। অডিওতে মাহমুদুল হাসানের মামা মাহমুদকে স্পষ্ট ভাবে ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে গৃহবধুর মামা শ্বশুর মাহমুদের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা (বোন, বোনজামাই ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান) টাকা চাইতে বলেছে বলে চেয়েছি। এখন মামলা হয়েছে। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা মেনে নেবো।

তবে, গৃহবধুর স্বামী মাহমুদুল হাসান তালাকনামা পাঠানোর কথা স্বীকার করলেও আর কোন কথা না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

গৃহবধু বলেন, আমরা দুই বোন। কোন ভাই নেই। আমার বাবার টাকা বা সম্পত্তি আছে বলে তাকে দিতে হবে কেন? তাকে এর আগেও ৮ লাখ দেয়া হয়েছে। এমনকি বিয়ের দিন নগদে ৪ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। আমার বাবা যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে না বলে আমাকে তালাক দিবে? দেশে কি আইন-কানুন নেই? সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটায় বাজার সম্মুখে ইছামতি নদীর পাড় হইতে অভিযান চালিয়ে, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল ও মোটরসাইকেল সহ দুই মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আশরাফুল উপজেলার দেবহাটা গ্রামের সামাদ গাজীর ছেলে ও আল আমিন উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বারী গাজীর ছেলে।

শনিবার) ভোর রাতে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার ওসি হযরত আলীর নেতৃত্বে ও এস আই রিয়াজুল ইসলাম সহ সঙ্গীরা। দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা বাজারে পাশে দরগাবাটি জামে মসজিদের সামনে ইছামতী নদীর ধার থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সমক্ষ হয়। অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।

দেবহাটা থনার ওসি হযরত আলী জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদেশী মদ ও ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসা করেছে এমন তথ্য আছে।

এলাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও কৌশলে মাদকের চালান পাঠাত এই সব ব্যাবসীরা ভাতশালা, কোমরপুরসহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকাদিয়ে রাতের আধারে ইছামতি নদী পার করে মদ ও ফেনসিডিলের চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে এই সকল ব্যাবসায়ীরা। পরে চড়া দাম নিয়ে এসব মাদকদ্রব্য যুবসমাজের হাতে পৌঁছে দিত তারা। এতে করে যুব সমাজ ধংস হয়ে যাচ্ছে, তাই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। পরে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest