সর্বশেষ সংবাদ-
ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতির মৃত্যুতে শোকতালায় অনিয়মের তথ্য চাওয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, মারপিট: সাংবাদিক টিপুকে ১০ দিনের কারাদণ্ডসাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মহিবুল্লাহ মোড়লের মৃত্যুসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সুস্থ্যতা কামনায় বিবৃতিখাস জমি উদ্ধারসহ ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবিতে সমাবেশসাতক্ষীরায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারসাতক্ষীরায় বজ্রপাতে নারী শ্রমিকের মৃত্যুবিডিএফ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়স্বপ্ন সিঁড়ি’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনউপজেলা পরিষদের কর্মচারী সাবের মিস্ত্রির পুকুর থেকে ৩৪ পিচ হাসুয়া উদ্ধার

৩শ পিচ ইয়াবাসহ সাতক্ষীরার শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি আরিফ ও তার দুই সহযোগী আটক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি আরিফ সহ আরও দুই জনকে ৩শ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর কাজীপাড়া ওয়ার্ড ভিশনের মোড় এলাকা থেকে ইয়াবাসহ ওই তিন জনকে আটক করাহয়।
আটককৃতরা হলেন জেলার শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি সাতক্ষীরা সদরের কাটিয়া দাসপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুস সাত্তার এর ছেলে মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ (৩৮), চালতেতলা বাগানবাড়ি গ্রামের মৃত মোক্তার সরদারের ছেলে আলাউদ্দীন সরদার(৩৫) ও একুই গ্রামের রেজাউল সানার ছেলে মোঃ রায়হান বিপ্লব(৩২)।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলাম জানান, শহরের সুলতানপুর এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকের চালান বেচা-কেনা করছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে থানার এসআই ফকির জুয়েল রানা’র নেতৃত্বে এএসআই জিয়াউর রহমান, এএসআই গোলাম মোস্তাফা সঙ্গীও ফোর্স এর সহায়তায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ-সময় আটককৃতদের কাছথেকে ৩শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করাহয়। আরিফ সহ অপর দুজন পেশাদার মাদক চোরাকারবারি। তারা বহুদিন যাবত চুপিসারে জেলা ব্যাপি ইয়াবা’র চোরাকারবার চালিয়ে আসছিল। তাদের নামে একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে।
আটককৃতদের নামে নিয়মিত মাদক মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করাহয়েছে বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরীয়তপুরে কিশোরী হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ডেক্স রিপোর্ট ,: শরীয়তপুরে গোসাইরহাটে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট এক কিশোরী হত্যা মামলায় একমাত্র আসামী একই উপজেলার পূর্ব লাকাচুয়া গ্রামের আব্দুর রব বাঘার ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বাঘাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রোববার (২৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এক জনাকীর্ণ আদালতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে আসামীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন।

সরকার পক্ষে মামলটি পরিচলনা করেন পিপি এড. মীর্জা হজরত আলী এবং আসামী পক্ষে ছিলেন এড. মোঃ শাহ আলম। পিপি এড. মীর্জা হজরত আলী বলেন, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আদালত ন্যায় বিচার করেছে। এদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী এড. মোঃ শাহ আলম বলেন, রায়ে আসামীপক্ষ সংক্ষুদ্ধ। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৪ আগষ্ট সকাল অনুমান সাড়ে ৮টায় গোসাইরহাট উপজেলার লাকাচুয়া গ্রামের মানিক সরদারের নাবলিকা কন্যা সাহিদা আকতার নিপা (১২) পার্শ্ববর্তী তার বড়বোন সালেহা আকতারের বাড়িতে দুধ আনতে যায়। পথে একই উপজেলার পূর্ব লাকাচুয়া গ্রামের আব্দুর রব বাঘার পুত্র ঘাতক মিজানুর রহমান বাঘার সাথে দেখা হয়।

সে আত্মীয়তার সুবাদে নিপাকে কেক কিনে খাইতে দেয় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিপাকে পাশের রাস্তার নির্জন স্থানে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী খালের পাড়ে ফেলে রাখে যায়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ গং নিপার বাড়িতে খবর দেয়। এ বিষয়ে নিপার বাবা মানিক সরদার বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার পাখিমারা বিলে টিআরএম চালু না হলে ৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবার আশংকা

তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে কপোতাক্ষ নদ খননের পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার ও টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালু না হওয়ায় ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প। প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে পাখিমারা বিলের কৃষকদের ১৫৫৬.৬২ একর জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই বছরের জন্য ১৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অদ্যবধি কোনও কৃষক তা পায়নি। ফলে টিআরএম ভুক্ত বিলের জমি মালিকরা তাদের জমি নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে এখন মাছ চাষ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ২য় পর্যায়ের ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকার কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক না হওয়ায় প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নদ অববাহিকার জনগণ। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ  পাশর্^বর্তী এলাকার আরও  দুইজন সংসদ সদস্য চলতি সংসদে টিআরএম বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদ অববাহিকার ভূক্তভোগী ১৫ লক্ষ মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ অনুমোদন করেন। ২৬১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্পটি ২০১১ -১২ অর্থ বছরে শুরু  হয়ে ২০১৭ সালের জুনে শেষ হয়। প্রকল্পটির প্রধান দুটি বিষয় ছিল: ৯০ কি.মি নদী খনন এবং তালা উপজেলার জালালপুর, খেশরা ও মাগুরা ইউনিয়নে অবস্থিত পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন। পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন হওয়ায় বিশাল বিলে নদের পলি অবক্ষেপিত হয়ে কপোতাক্ষ নদ খনন পরবর্তীতে নাব্যতা ধরে রাখে। এতে নদ অববাহিকার ১৫ লক্ষ অধিবাসী জলবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অগ্রগতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে জুলাই’ ২০২০ থেকে জুন’ ২০২৪ পর্যন্ত (২য় পর্যায়) প্রকল্প সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটির মূল কাজ: পাখিমারা বিলে টিআরএম অব্যাহত রাখা এবং নদী খনন। কিন্তু ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের ২বছর অতিবাহিত হলেও টিআরএম ব্যবস্থা পুনরায় বাস্তবায়নে কোন অগ্রগতি নেই। এদিকে ২০২০ সালে জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের চাপে পাখিমারা বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জালালপুর, খেশরা ও মাগুরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে তৈরি ওই বাঁধ কিছুদিনের মধ্যে ভগ্নদশায় পরিণত হয়। এমতাবস্থায় প্রকল্পের স্বার্থে ও জনগণের দাবীর মুখে পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কারের লক্ষ্যে ২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিলে টিআরএম বিলের সংযোগ খালের মুখ বেঁধে দেয়া হয়, যা’ এখনও রয়েছে। একারণে, কপোতাক্ষ নদের ভবিষ্যৎ ও নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নের সফলতা নিয়ে এখন আশংকা দেখা দিয়েছে।
তালার বালিয়া গ্রামের আব্দুল আলিম মোড়ল ও ফিরোজ সানা জানান, টিআরএম বিলে তাদের ৮ বিঘা করে জমি আছে। ২০১১ ও ২০১২ সালে সরকার থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও অদ্যবধি আর কোনও টাকা তারা পাননি। এবিষয়ে সাতক্ষীরা ডিসি অফিসে অনেক বার যোগাযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি।

গৌতমকাটি গ্রামের মো. আলাউদ্দীন সরদার বলেন, এই বিলে তাদের ২২ বিঘা জমি রয়েছে। ২০১১ সালে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও আর কোনও টাকা না পাওয়ায় তিনি এখন সেখানে মাছের ঘের করছেন।
তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম বলেন, কপোতাক্ষ নদ খননের প্রথম পর্বে ২৬১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় পর্বে ৫৩১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও টিআরএম ভুক্ত বিলের জমি মালিকরা মাত্র দুই বছর ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। যে কারণে জমি মালিকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন সেখানে চাষাবাদ করছে। এছাড়া বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কারে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নাই। এরফলে সরকারের প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়াসহ কপোতাক্ষ নদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, ঠিকমতো ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় পাখিমারা বিলের কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জমি মালিকরা ক্ষতিপূরণ পেলে তাদের কোনও আপত্তি থাকতো না।
ভুক্তভোগী এলাকার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, বকেয়াসহ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কার অতিব জরুরি হলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নেওয়াতে টিআরএম চালুর বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক অফিসের একটি সূত্রে জানায়, দ্বিতীয় ফেইজের টাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড জমা না দেয়ায় কৃষকের ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে কপোতাক্ষ নদ খননের দাবীতে আন্দোলন করা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পাখিমারা বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধ অতিদ্রুত সংস্কার পূর্বক টিআরএম কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ এবং স্বচ্ছতার সাথে নদ পুনঃখননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় ফেইজে নদী খনন সাতক্ষীরা অংশে প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় কাজ আপাতাত বন্ধ রয়েছে।

টিআরএম এলাকার ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে তিনি বলেন, রেভিনিউ খাতে টাকা ধরা আছে। কৃষকরা ডিসি অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবে। তবে দ্বিতীয় ফেইজে ২বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও টিআরএম কেন চালু হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষকরা ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় সেখানে কোন কার্যক্রম করা যাচ্ছে না।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, টিআরএম চালু না করলে অত্র এলাকার নদী রক্ষা সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।
##
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা 
কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ২৬ জুন, সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (রুটিন দায়িত্ব) রিফাতুল ইসলাম, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) নূর সালাম ছিদ্দিক,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি,এম স্পর্শ,  উপজেলা প্রকৌশলী শোভন সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার অধীর কুমার গাইন, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদে ও মন্দিরে উপহার চাউল বিতরণের উদ্বোধন করেন। এসময় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলামসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৈকারি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির মতবিনিময়

জাকজমকপূর্ন আয়োজনের মাধ্যমে বৈকারি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির মতবিনিময় ও কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি সদর উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নে কর্মসুচি অনুযায়ী ২৬ জুন কাথনদা বাজারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বৈকারি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি অহিদুজ্জামান।প্রধান অতিথি হিসেবে উপ্সথিত ছিলেন জেলা জাপার সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আজহার হোসেন,প্রধান বক্তা হিসেবে উপ্সথিত ছিলেন জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ্সথিত ছিলেন সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন,সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বিপুল,জেলা জাপার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাখায়াতুল করিম পিটুল,যুব সংহতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের,জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেল, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ।

সভায় বক্তারা বলেন গত ৩৩ বছরে দেশে কেউ সুশান এনে দিতে পারে নাই।জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন তখন এদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন সহ অসংখ্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জি এম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে কর্মীদেরকে সুসংগঠিত হওয়ার নির্দেশ দেন।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় সাতক্ষীরার বৃহৎ পারুলিয়া পশুরহাট জমজমাট
কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা :  কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ২৯ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানি করবেন সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মত সাতক্ষীরার দেবহাটা পারুলিয়া পশুরহাটে ব্যাপক গরু-ছাগল কেনাবেচা হয় প্রতিবছর।সপ্তাহের প্রতি রবিবার এখানে হাট বসে।
সেই হিসেবে রবিবার ২৫ জুন ছিল ঈদের আগে শেষ হাট। এবছর গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন খামারিরা। তাছাড়া সাম্প্রতিক লাম্পিং স্কিন ডিজিজ এ আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদীপশু মারা গেছে। এতে অনেকটাই পশু সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পারুলিয়া পশুরহাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় চড়াও দাম হাকাচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
রবিবার বাজারে বড় গরু না থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এবছর অধিকাংশ মধ্যবিত্তরা এবার ঝুঁকছেন ছোট বা মাঝারি সাইজের পশু কোরবানিতে। অন্যদিকে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বছর জুড়ে গরু পালন এবং পরিচর্চায় খরচ বেশি হওয়া স্বত্বেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে কম দামে গরু বিক্রি করছেন অনেকে। ঈদের আগ মূহুর্তে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু আমদানী না হলে কিছুটা ক্ষতি পোষাতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন খামারীরা।
এদিকে রবিবার সরেজমিনে পারুলিয়া পশুহাটে গিয়ে অন্যান্য বারের মতো বিশালাকৃতির সারি সারি গরুর দেখা মেলেনি। হাতে গোনা ২ থেকে ৩টি বড় সাইজের গরু হাটে তুললেও ঘন্টার পর ঘন্টা রোদ-বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে বিক্রেতা গরুর দাম চাহিদানুযায়ী চাচ্ছে না। পাশাপাশি দুইটি বড় ছাগল উঠেছিল। যার দাম ছিল ৬০ হাজার টাকা। আনুমানিক তার গায়ে মাংস আছে ৪০ থেকে ৪৫ কেজির মতো। হাটে সবচেয়ে বড় সাইজের গরুর দাম ছিল ৪ লাখ টাকা। মাংসের পরিমান ছিল আনুমানিক দশ মন।খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে রীতিমত হতাশার কথা জানিয়েছেন গরু বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম বেশি। যার কারনে সক্ষমতা না থাকায় অনেকেই পশু কিনতে পারছেননা। সবদিক মিলিয়ে ছোট পশু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পারুলিয়া পশু হাটের ইজারা গ্রহিতা।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরের বনজীবী মন্টু অপহরণ : গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক মিজানুরের এক দিনের রিমাণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বনজীবি মন্টু গাজী অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের এক দিনের রিমা- মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক মহিদুল ইসলাম মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজির সাত দিনের রিমা- আবেদন শুনানী শেষে  সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে এ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন।
রিমা- আবেদন শুনানীকালে আসাসামী রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. আতাউর রহমান ও অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বলেন, পহেলা এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনি স্টেশন থকে পাস (অনুমতি) নিয়ে গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মন্টু গাজীসহ নয়জন সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যান।

একইসাথে যাওয়া নয়জনের মধ্যে মন্টু গাজী ফিরে আসেননি এবং তাকে তালপট্টি এলাকা থেকে বাঘে ধরে নিয়ে গেছে বলে এলাকায় ফিরে অন্য আটজন মন্টুর স্ত্রী ছবুরন্নেছাসহ পরিবারের সদস্যদের জানায়। একপর্যায়ে ২৪ এপ্রিল ডুমুরিয়া এলাকা থেকে মন্টু গাজী নিখোঁজ হয়েছেন মর্মে তার বিমাতা ভাই আবুল হাসান ১০ মে শ্যামনগর থানায় ৫৬৭ নং সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আবার তিনিই ডুমরিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়ির পাশে নদী থেকে ট্রলারযোগে মন্টু গাজীকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে ১৮ জুন আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় প্রতিপক্ষ নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান, তার কাছের লোক বলে পরিচিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান, খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান, দাকোপের কুমারেশ রায়সহ ১১জনকে আসামী করা হয়েছে। আবুল হাসান মন্টু গাজীর বিমাতা ভাই হলেও আপন ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তার জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা শহরের মধুমল্লারডাঙি হলেও গ্রাম গাবুরা এলাকায় দেখানো হয়েছে। তাছাড়া রিমা- নেওয়ার আগে মন্টু গাজী বুড়িগোয়ালিনি থেকে পাস নিয়ে গিয়েছিলেন কিনা (সিল সহি মারা কপি দেখানো হয়) তা যাচাই করতে সুন্তরবনের সহকারি বণসংরক্ষক এর কাছে প্রতিবেদন চাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
তবে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ফারাজী ও আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ভিকটিম উদ্ধারে রিমা- প্রয়োজন বলে দাবি করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায় গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে শ্যামনগরের ডুমুরিয়া গ্রামের সাবুত আলী গাজীর ছেলে মন্টু গাজীকে(৫২) ডুমুরিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিমাতা ভাই আবুল হাসান গত ১০ মে শ্যামনগর থানায় ৫৬৭ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে স্ত্রী ছবিরুন্নেছা মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করলে আবুল হাসান বাদি হয়ে গত ১৮ জুন সাতক্ষীরার ৫নং আমলী আদালতে অপহরণ মামলা করেন। মামলায় রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য আবিয়ার গাজী, সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্তি মুখ্য বিচারিক হাকিম মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। গত ২০ জুন শ্যামনগর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজীর উপর ন্যস্ত হয়। ২০ জুন নিজ নিজ বাড়ি থেকে নৌকার মাঝি রুহুল আমীন গাজী ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে ডুমুরিয়া গ্রামবাসি প্রতিবাদ সমাবেশ করে মিজানুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজী জানান, সোমবার আদালত থেকে মিজানুরকে রিমা-ে থানায় নিয়ে যাবেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন আবার তাকে আদালতে পাঠাবেন।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩ শ কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

তালা  প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে তালা শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে উপজেলা কৃষি পুর্নবাসন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ১৩০০ কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশ শেখর দাশ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান ঘোষ সনৎ কুমার।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রুমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা পারভীন পাঁপড়ি, খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest