সর্বশেষ সংবাদ-
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রাইবেকারে ৩-২ গোলে সাতক্ষীরার জয়লাভসাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে জামায়াতের স্মারকলিপিসংবাদ সম্মেলনে আয়া : ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে অপবাদ দেওয়া হচ্ছেমেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার প্লাটফর্ম চালানো ২ যুবক সাতক্ষীরায় গ্রেফতারআমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সাতক্ষীরা জেলা কমিটি পুর্নগঠনশিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্তআশাশুনিতে পরিচর্চাকারীদের পজেটিভ প্যারেনটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা মুক্তির একমাত্র পথ টিআরএম: আলোচনায় বক্তারাসাতক্ষীরায় তরুণ নেতৃত্বে নির্বাচনী সংলাপ: জনগণকেন্দ্রিক ইশতেহারে স্থানীয় উন্নয়নের চাহিদা উপস্থাপনদেবহাটার টাউনশ্রীপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও আয়াকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন

দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে ইউএনওর বিদায়ী সংবর্ধনা

দেবহাটা প্রতিনিধি।। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের আয়োজনে দেবহাটা উপজেলার বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে বুধবার ৩০ জুলাই দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আর.কে.বাপ্পা। সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান।

দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজলের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিএনপি নেতা আব্দুল হাবিব মন্টু, দেবহাটা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার মন্ডল, দেবহাটা উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক মুকুল, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন মোড়ল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছাদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম আলম, অর্থ সম্পাদক মজনুর রহমান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতির সম্পাদক তারেক মনোয়ার, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদল, ক্রীড়া সম্পাদক আবু হাসান, কার্য্যনির্বাহী সদস্য জাফর ইকবাল, কার্য্যনির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ, সাইফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সদস্য হারুন-অর রশিদ প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান তার দেবহাটা উপজেলায় ১বছর ১১মাসের দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকবৃন্দসহ দেবহাটাবাসীর সার্বিক সহযোগীতার স্মৃতি তুলে ধরে উপজেলার সকল সেক্টরের উন্নয়নে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। আসাদুজ্জামান বলেন, দেবহাটাবাসী অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুসুলভ আচরন করার কারনে তিনি যথাসম্ভব সরকারী দায়িত্ব পালন করে উপজেলার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পেরেছেন। তিনি আজীবন এই স্মৃতি মনে রাখবেন। উল্লেখ্য, মো. আসাদুজ্জামান সম্প্রতি এডিসি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহ জেলাতে বদলী হয়েছেন। শেষে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানকে দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরিবেশ রক্ষায় সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণ করলো ভিবিডি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সাতক্ষীরা জেলা।

খুলনা ডিভিশন বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত”Green Mission Phase-1 কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়াম ব্রিজসংলগ্ন প্রাণসায়ের খাল পাড়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিবিডির সদস্যরা একযোগে গাছের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও চারা বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভিবিডি খুলনা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী। তিনি বলেন, “আজকের তরুণদের হাতে যদি পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব যায়, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা সম্ভব। সাতক্ষীরায় এই আয়োজন সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।”

ভিবিডি সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের সভাপতি বলেন, “গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, বাঁচিয়ে রাখে পৃথিবীকে। আমরা স্বপ্ন দেখি এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি তরুণ পরিবেশ রক্ষায় একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভিবিডি সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক অর্পণ বসু, ট্রেজারার নাইমুর রহমান, প্রজেক্ট অফিসার হৃদয় মন্ডল, কমিটির সদস্য শান্তা ও রোহানসহ আরও অনেকে।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভিবিডি সাতক্ষীরা জানায়, ভবিষ্যতেও তাদের এই সবুজ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প ব্র্যাকের উদ্যোগে জনসচেতনতা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আজকের পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তন একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে এই প্রভাব আরও বেশি প্রকট। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচীর অধীনে “জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প” বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বুধবার( ৩০) জুলায় সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সোনারগাঁ কমিউনিটি সেন্টারে, এক গুরুত্বপূর্ণ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার আয়োজন ও অবহিতকরণ সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, জলবায়ু সংবেদনশীল রোগসমূহ যেমন—ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ইত্যাদি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা, এছাড়াও কোন কোন রোগে আক্রান্ত এবং জরুরি অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরহাদ জামিলের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শোয়াইব আহমাদ, সাতক্ষীরা সদর ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো :নুরুল ইসলাম, ব্রাক হেলথ এর জেলা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা, টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম অফিসার আলমা হাবিবা, ব্রাকের সিসিএইচ প্রজেক্ট ম্যানেজার সাদিয়া সুলতানা,কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার আসমা আক্তার,বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেচ্ছাসেবী, স্কুল শিক্ষক,আনসার ভিডিপি, মিডিয়া ও প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিক,প্রমখ।

এসময় প্রধান অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পমরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরহাদ জামিলের বক্তব্যে বলেন, ডেঙ্গু ও মশার ধারণ এখন পাল্টিয়ে ফেলেছে।
এখন ডেঙ্গু মশা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আগে ডেঙ্গু মশার সারাদিন কামড়ালেও কিছু হতো না। আর এখন একটা কামোড় দিলেই শরীরের রোগের বাসা বাঁধছে।
তিনি আরো বলেন প্রতি বছর যক্ষার রোগি মৃত্যু হয় প্রায় ৬ থেকে ৭০ হাজার, যক্ষার লক্ষণ জ্বর ও বেশি বেশি কাশি।এসময় আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ও কতা বলেন।

ব্রাক হেলথ এর জেলা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সংকট হলেও এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে আমাদের মতো দরিদ্র ও গ্রামাঞ্চলের জনগণের উপর। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে হলে আমাদের সকলের সচেতনতা এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, ভেক্টর কি এবং তা থেকে কি কি রোগ ছড়ায় , যেমন ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, চর্মরোগ টিপিরোগ ইত্যাদি নিয়ে সচেতন করেন।

সাতক্ষীরা সদর ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর মো :নুরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতি কে রক্ষা করার আমাদের দায়িত্ব।আমরা যদি সবাই যার যে জায়গা থেকে কাজ করি তাহলে সাতক্ষীরাকে সুন্দর করে গড়তে পারবো। আপনারা একটি দূর্ঘটনা হলে তথ্য দিতে দেরি করেন, সেই ক্ষেত্রে আমাদের যেতে দেরি হয়, কাজ করতে সমস্যা হয়। আমরা ২৪ ঘন্টা রেডি থাকি যে কোন দূর্ঘটনার কথা শুনার সাথে সাথে ৪৫ সেকেন্ডের ভিতর বাহির হয়ে যাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি থেকে বঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

তালা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) এর উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৫ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় তালা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা বিকপ সভাপতি আব্দুল হালিম এবং সঞ্চালনা করেন শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিকপ-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, দীলিপ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, শিক্ষক আব্দুর জলিলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, “সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া চরম বৈষম্য ও অমানবিক সিদ্ধান্ত। এতে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন সৃষ্টি হবে এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থী ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।” মানববন্ধনে তালা উপজেলার ২৭টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অবিলম্বে বিতর্কিত পরিপত্রটি বাতিলের দাবি জানান এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিখোঁজ আব্দুর সামাদ সন্ধান চেয়ে থানায় জিডি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কলারোয়ার উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়ন পূর্ব কোটা নিজ বাড়ি থেকে (২০ জুলাই) সাকালে একাই বের হয় মো: আব্দুর সামাদ (৭৮)। এরপর থেকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। নিখোঁজ সামাদ সন্ধান চেয়ে কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার পরিবার।
গত বুধবার (২৩ জুলাই ) এ জিডি করা হয়। ডায়েরি নং ১১৬৪

হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পরনে ছিল সাধা কালারের জামা -লুঙ্গি , গামছা । তার গায়ের রং শ্যামলা , উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। স্বাস্থ্য মোটামুটি ।

নিখোঁজ সামাদ বাবার নাম-মৃত কাশেম আলী, মায়ের নাম-মৃত ।

আব্দুস সামাদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা কলারোয়া থানার কেরালকাতা ইউনিয়ন পূর্ব কোটা এলাকায়। সামাদ সন্ধান পেলে নিচের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডিবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুরের বিরুদ্ধে স্কুল ফান্ডের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত সম্পন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ডিবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে স্কুল ফান্ডের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল।
তদন্ত শুরুর পূর্বে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমানের ভাই বাবুর নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি তদন্ত কার্যক্রম ব্যহত করার চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরবর্তীতে অভিযোগকারী শিক্ষকদের বক্তব্য গ্রহণসহ তদন্ত কার্যক্রম শুরুর একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে বলেন আমি কোন জবাব দিতে পারবো না। আদালতের মাধ্যমে আসেন। যদিও তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং তদন্ত সম্পন্ন করেন।

এদিকে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জ, বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায় করে ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখেন। পরবর্তীতে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ওইসব অর্থ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ৬ লক্ষ টাকার একটি এফডিআর কার্যনির্বাহী কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নিজের ক্ষমতা বলে তিনি উত্তলন করে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের সামনে ১০টি দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ১১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অগ্রিম জামানত হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু এই জামানতের টাকা বিদ্যালয়ের কোন ব্যাংক একাউন্টে না জমা দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।
শিক্ষকরা জানান, ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ নতুন অ্যাডহক কমিটি হওয়ার পরে প্রধান শিক্ষক কোন রেজুলেশন ছাড়াই ২০২৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ড জনতা ব্যাংক ব্রহ্মরাজপুর শাখা হতে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তলন করেন এবং ২০২৫ সালের ২৬ জুন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি টিউশন ফি এর দুই লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা হতে উত্তলন করেছেন। এছাড়াও অর্ধ বার্ষিক পরিক্ষার পূর্বে ২০২৫ সালের জুন মাসে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন, পরীক্ষার ফি ও সেশন চার্জ বাবদ প্রায় ছয় লক্ষ ২০ হাজার টাকা আদায় করলেও বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু নুতন এডহক কমিটি হওয়ার পরে এই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করলেও সভাপতি এই বিষয়ে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
একজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টের অপারেটর হিসেবে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তলন করবে। কিন্তু আমাদের স্কুলের জেনারেল ফান্ড জনতা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অপারেটর হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে কমিটির কোন সদস্য না হয়েও তপন কুমার সাহা নামে এক অভিভাবক সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে অবৈধ ভাবে টাকা উত্তলন করে আসছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি টিউশন ফি এর টাকা সাতক্ষীরা অগ্রণী ব্যাংক থেকে শেখ আব্দুল আহাদ (যিনি বর্তমান কমিটির কোন সদস্য নন) নামে একজনের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোল করেন প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও নীতিমালা লঙ্ঘন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান মুকুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তে আমার অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। সমস্যা নেই। এছাড়া আপনার ভাইয়ের নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনি বলেন, আমার ভাই একজন অভিভাবক হিসেবে অন্যদের সাথে আসতে পারে। কিন্তু সে কোন বিশৃঙ্খলা করেনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মন্ডল বলেন, উভয়পক্ষের বক্তব্য নিয়েছি। কাগজপত্রে কিছু সমস্যা আছে। তারা উভয় পক্ষই ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় নিয়েছি। সেদিন তারা কাগজপত্র দেবে। এর আগে আর কোন বক্তব্য আমি দিবো পারবো না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির প্রধান সড়ক এখন মরণ ফাঁদ : দেখার কেউ নেই

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে আমিনের মোড় পর্যন্ত এলজিইডি’র পিচের রাস্তা ভেঙ্গে বড়-বড় আকৃর্তির কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন উল্টে গর্তে পড়ে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাশেদ হোসেন খোকার রাইস মিলের সামনে ২২ফিট চওড়া সড়কটির লম্বা ৯০০ফিট।
এতে তৈরি হয়েছে বড় আকৃর্তির কয়েকটি গর্ত। এটি আশাশুনি উপজেলার চলাচলের একটি প্রধান সড়ক। এই সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরা টু কোলা ও সাতক্ষীরা টু বড়দলে যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। এছাড়া এই রাস্তার পাশে সোনালী ব্যাংক ও সেটেলমেন্ট অফিস রয়েছে। সেখানে শতাধিক লোকের কর্মস্থান। তাদের যাতায়াতের খুবই দুরবস্থা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই রাস্তার পাশে একটি জামে মসজিদ রয়েছে। মুসল্লিদের নামাজ কায়েম করতে গেলে এই রাস্তার অপরিষ্কার পানিতে ভিজে পুড়ে যেতে হয় নামাজ কায়েম করতে। আশাশুনি বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স ও সড়কের পাশে চা ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান (বাবু) বলেন, গত তিন বছর ধরে এই রাস্তার পিচ উঠে বড়-বড় গর্ত হয়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে রাস্তা দিয়ে ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের খুবই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কজনক। রাস্তাটি বড়দল কোলা, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর ও দেবহাটার সংযোগ স্থল রাস্তা। আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, পাইকগাছা, কয়রা, প্রতাপনগর ও শ্রীউলা এবং শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, দেবহাটার বড়-বড় ব্যবসায়ীদের মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। আমরা উপজেলা এলজিডি’র কর্মকর্তাকে বারবার বলেছি ওনারা কয়েকবার মেপে গিয়েছে কিন্তু রাস্তা সংস্কারের কোন কার্যক্রম দেখিনি। যদি আপাতত কিছু ইটের ‘খ’ দিয়ে রাস্তাটি সমান করে দিত তাহলে দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা রেহাই পেতাম। আশাশুনি সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার শ্রী নরেশ কুমার মন্ডল ও সেটেলমেন্ট অফিসের অফিস সহকারি তাহাজ্জত হোসেন জানান, ব্যাংকে ও সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকের খুবই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অনিন্দ্য দেব বলেন, এসটিভিটিল করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আমি এক্ষুনি অফিসের লোক পাঠাচ্ছি মাফ জরিপ করার জন্য। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। দ্রুত সড়কটি মেরামত করে সুন্দরভাবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় একদিনে দুটি আ*ত্ম*হত্যা*র ঘটনা

তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় একদিনে দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘটনাগুলো ঘটে সুজনশাহ ও কলাগাছি গ্রামে।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে তালার সুজনশাহ গ্রামে। আব্দুল মান্নান শেখ (৬০), যিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে মৃত আব্দুল মালেক শেখ ছেলে। পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকায়, তার ছেলে দুপুর ১:৩০ মিনিটে বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

অন্যদিকে, খেশরা কলাগাছি গ্রামের তারক মন্ডল (৫৫) দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি বাড়ির বারান্দায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার পরিবারও দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসার বিষয়ে চাপে ছিল। ওই গ্রামের সুধান্ন মন্ডলের ছেলে ।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাইনউদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি আত্মহত্যার পেছনে পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপের কারণ রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest