সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

দেশের খবর: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ি মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় যুবলীগের সদস্যরা।
সকালে যাত্রাবাড়ি মোড়ে ২০/৩০ শিক্ষার্থী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স চেক করছিল। এর আধাঘন্টা পর সায়েদাবাদগামী একটি প্রাইভেট কারের লাইসেন্স চেক করার সময় পেছন থেকে ৪০/৫০ জনের একটি দল ওই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী মাথায় ও পিঠে আঘাত পাওয়ায় নিরাপত্তার ভয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী জানান,এখানে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়তো শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে তারা যে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে এসেছে এমন তথ্য আমার জানা নেই। তারা যদি সাধারণ নাগরিক হিসেবে রাস্তায় দাঁড়ায় তাহলে আমাদের কি বলার আছে। তাদেরকে তো আমরা বাঁধা দিতে পারি না।’ তবে কেউ অপ্রীতিকর কিছু করার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উ. কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান পম্পেওর

বিদেশের খবর: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন। পিয়ংইয়ং তাদের নিরস্ত্রীকরণের কাজ এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ধীরে চল নীতি অনুসরণ করছে বলে ক্রমেই উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ আহবান জানানো হলো।
সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের প্রাক্কালে পম্পেও পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখার আহবান জানান।
আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের এ বৈঠকে অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হোও বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে পম্পেও বলেন, এ সম্মেলনের ফাঁকে এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে রি ইয়ং হোওর সাক্ষাত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুগান্তকারী সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে একটি অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি পত্র স্বাক্ষর করেন।
এ সম্মেলনের পর দেশটির নিরস্ত্রীকরণ কাজের অগ্রগতি তেমন আশা ব্যঞ্জক না হলেও পিয়ংইয়ং তাদের রকেট তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে বিভিন্ন খবরে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আর এক্ষেত্রে উদ্বেগের কথা হচ্ছে কিছু সদস্য রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষার্থীরা সপ্তম দিনের মতো রাস্তায় নেমে এল

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবারও ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সপ্তম দিনের মতো রাস্তায় নেমেছে তারা। বিআরটিসির বাস ছাড়া রাস্তায় অন্য কোনো বাস চলতে দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য যানবাহন চলাচলও কম রয়েছে।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীরা শান্তিনগর মোড়ে জড়ো হয়। সেখানে ২০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে জড়ো হতে দেখা যায়। একই সময় বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝিগাতলা মোড়ে এসে জড়ো হয়। মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে অবস্থান নেয় একদল শিক্ষার্থী।মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে আজও শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবস্থান নিয়েছে। সকাল ১০টার পর তারা গোলচত্বরে হারুন মোল্লা ট্রাফিক কন্ট্রোল বক্সের সামনে অবস্থান নেয়। সড়কের চারপাশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও গাড়ির লাইসেন্স যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে।
ঢাকার রাস্তায় বাস নেই। রাজধানীর কোনো আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়া হচ্ছে না। বাসমালিক ও পরিবহনশ্রমিকেরা বলছেন, নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁরা বাস বের করছেন না। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এরপর থেকে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিকেরা।জুরাইন মোড়ে সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসি ছাড়া কোনো বাস চলতে দেখা যায়নি। তবে কোনো কোনো সড়কে কোনো যানবাহন চলতেই দেখা যায়নি।
বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা যায় পুলিশকে।
২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া: জাতিসংঘ

বিদেশের খবর: জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জমা দেয়া এক গোপন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শুক্রবার এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এখনো এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম আজ প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে।
এতে আরো বলা, উত্তর কোরিয়া অবৈধভাবে সাগরে জাহাজ থেকে জাহাজে তেল ও তেলজাত পণ্য কেনার পরিমাণ ‘মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে’ দিয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে অস্ত্র বিক্রিরও চেষ্টা করছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ প্যানেলের এ তথ্য সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, পিয়ংইয়ং দৃশ্যত নয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি এবং নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়া এ কাজ শুরু করেছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করে।
অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দেয়, আমেরিকার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একটি স্থাপনায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন চলছে।উত্তর কোরিয়াকে তার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করার জন্য গত জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। অবশ্য কী প্রক্রিয়ায় কতদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ওই অঙ্গীকারে তার কোনো রূপরেখা ছিল না।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির জের ধরে দেশটির ওপর আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গুজব চলছে আন্দোলনকে ঘিরে

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজবও ছড়াচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার পুরনো কিছু ছবি ঘুরছে ইন্টারনেটে; আবার পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, এমন শিক্ষার্থীর নাম আসার পর ওই শিক্ষার্থীরাই আবার তা গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
এক ছাত্রের কলার ধরে আছেন এক পুলিশ সদস্য- এরকম একটি ছবি গত কয়েকদিন ধরে ঘুরছে ফেইসবুকে, যা দেখে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মধ্য থেকেও প্রতিবাদ এসেছে, অথচ ওই ছবিটি ২০১৫ সালের আরেক ঘটনার।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হলে তাদের বিক্ষুব্ধ সহপাঠিরা সড়কে নেমে আসে। পরদিন সারা ঢাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
এই বিক্ষোভের মধ্যে কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশও চড়াও হয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দাবি করেছেন, পুলিশ চূড়ান্ত ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
এর মধ্যে আফজাল হোসেন রহিম নামে একটি ফেইসবুক পাতা থেকে বলা হয়, খিলগাঁওয়ের এক কলেজছাত্রকে পুলিশ বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লুটপাটে ব্যর্থ হয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের প্রকল্প বন্ধে সক্রিয় ‘সিন্ডিকেট’

দেশের খবর: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা দিতে সরকারের নেওয়া একটি প্রকল্প বন্ধের উপক্রম হয়েছে। লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে প্রকল্প কর্মকর্তার (পিডি) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে সরানোর পর পুরো প্রকল্পটিই বন্ধের তৎপরতা চালায় একটি সিন্ডিকেট। তবে সিন্ডিকেটের এই তৎপরতা আঁচ করতে পেরে সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা এই প্রকল্পটিকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রচলন (২য় প্রকল্প)’ প্রকল্প শুরু করে সরকার। প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, মডেম ও সাউন্ডবক্সসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করার কথা ছিল।
প্রকল্পের আওতায় প্রথম কিস্তিতে গত এপ্রিলে প্রায় ১৪ হাজার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনার জন্য ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্টের (ই-জিপি) মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রজেক্টরের উন্নতমানের স্পেসিফিকেশন ও প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ ও ইনস্টলেশনের শর্ত দেওয়া হয় দরপত্রে। এই শর্ত মানতে চায়নি স্মার্ট টেকলোজিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এরপর প্রকল্পকে ঘিরে একটি চক্র স্মার্ট টেকনোলজি লিমিটেডকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। এর অংশ হিসেবে দরপত্রের শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয় পিডিকে। কিন্তু প্রজেক্টরের উন্নতমানের স্পেসিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ ও ইনস্টলেশনের শর্ত শিথিল করতে রাজি হননি পিডি।
এই পরিস্থিতিতে পিডির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যামিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করে স্মার্ট টেকনোলজি লিমিটেড । যদিও তখন পর্যন্ত প্রকল্পের কেনাকাটা শুরুই হয়নি। অভিযোগের কোনও তদন্ত না করেই গত ৭ জুন প্রকল্প কর্মকর্তাকে এসডি করা হয়। পরে গত ১০ জুন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (নিরীক্ষা) আহমদ শামীম আল রাজীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ জুন ১৩টি পর্যবেক্ষণসহ প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অতি উৎসাহী হয়ে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মাউশি।
অন্যদিকে, প্রকল্প পরিচালক না থাকায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বরাদ্দ ১৪৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই ফেরত যায়। এতে পুরো প্রকল্পে স্থবিরতা শুরু হয়। দুই মাস ধরে প্রকল্পটি স্থবির হয়ে রয়েছে। প্রকল্পের ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অলস সময় পার করছেন।
এ অবস্থা নিরসনে গত ২৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পের কেনাকাটা ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পদ্ধতির পরিবর্তে ডিপিএম (ডিরেক্ট প্রকিউরম্যান্ট মেথড) পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। সিদ্ধান্তের আলোকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘টেসিস’ থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর,কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়।
প্রকল্পে সিন্ডিকেটের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্প ভালভাবেই চলছিল। কিন্তু একটি চক্র সুযোগ নিতে নানা তৎপরতা শুরু করে। ভিত্তিহীন অভিযোগও করতে থাকে। এখন সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা এ প্রকল্পকে বাঁচাতে সরকারি সংস্থা টেসিসের মাধ্যমে সরঞ্জাম কেনার আলোচনা হয়েছে। প্রকল্প থেকে যারা অনৈতিকভাবে সুযোগ নিতে পারেনি তারাই প্রকল্প বন্ধের চক্রান্ত করেছে।’
প্রকল্পে দুর্নীতি ও মাউশির সুপারিশ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে আর্থিক দুর্নীতির কোনও প্রমাণ হয়নি। কিন্তু কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মাউশি সুপারিশ করেছে তা আমার বোধগম্য নয়। প্রকল্প নিয়ে যে চক্রান্ত হয়েছে,আমার বিরুদ্ধে যে অবিচার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিতভাবে বিচার চেয়েছি।’
প্রকল্প কর্মকর্তাকে দরপত্রের শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলে কি-না জানতে চাইলে স্মার্ট টেকনোলজির আবুল বাশার মোহাম্মদ বলেন, ‘আমিসহ আরও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শর্ত শিথিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। পিডি এমনভাবে শর্ত দিয়েছেন যে, আমরা যেন অংশ নিতে না পারি।’ সরকারের প্রকল্পটি বাতিল হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আবুল বাশার মোহাম্মদ। যদিও প্রকল্পটি বাতিল হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিন হাজার ৩৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং আড়াই হাজার স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনসহ পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মকর্তাকে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডবক্স, মডেম ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৯ দফা দাবির কী পেল শিক্ষার্থীরা

দেশের খবর: বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ছয় দিন ধরে রাস্তায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের এসব দাবির ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি সামনে এনেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি দীর্ঘদিন ফাইলচাপা পড়ে ছিল। সরকারের নীতিনির্ধারকরাও বলছেন, শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসায় সড়ক ঘিরে দীর্ঘদিনের জঞ্জাল ও আবর্জনা দূর হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। রাস্তায় নামলেই নিত্যদিনের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি যেন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই অহিংস পন্থায় শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে শুরু থেকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয় সরকারও। নেতা বা সাংগঠনিক ভিত্তি ছাড়া দাবি আদায়ের এমন জোরালো পদক্ষেপ অতীতে খুব কম দেখা গেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে রাজপথের কর্মসূচি সহিংস মাত্রায় পৌঁছার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাস ভাংচুর, আগুন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলার মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে তার কিছু আলামতও মিলেছে। আবার কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। তাই সংশ্নিষ্টরা বলছেন, সরকারকে দাবি মানার শর্ত দিয়ে হলেও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ ছেড়ে যাওয়া উচিত।
সংশ্নিষ্টরা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এরই মধ্যে সরকার ১৫টি পদক্ষেপ নিয়েছে। তা হলো- শহীদ রমিজ উদ্দীন কলেজকে পাঁচটি বাস বরাদ্দ, স্কুল-সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কে আন্ডারপাস নির্মাণ, দেশের সব স্কুল সংলগ্ন সড়কে গতিরোধক নির্মাণ, স্কুলের পাশে বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ, নিহত দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীবের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে প্রদান, সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে নতুন সড়ক পরিবহন আইন, দ্রুত মামলা শেষ করার বিধান রেখে আইন সংশোধন, জাবালে নূরের দুটি বাসের রুট পারমিট বাতিল ও ফিটনেসবিহীন সব বাসের রুট পারমিট বাতিলের উদ্যোগ, লাইসেন্সবিহীন ভুয়া চালকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ, নৌপরিবহনমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া, গাড়ির মালিককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া, এ মামলায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা, জাবালে নূরের চালককে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়া ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া। শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাস আজ সকালে হস্তান্তর করা হবে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের যে দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে তা শুক্র ও শনিবারের মধ্যে হয়তো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে রোববার থেকেই যেন আমরা দেখতে পাই- সেই কাজগুলোয় নীতিনির্ধারকরা হাত দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারকে দাবি মানার পদক্ষেপ নেওয়ার শর্ত দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে এরই মধ্যে বলেছি, সরকার শিক্ষার্থীদের কোনো দাবির সঙ্গে দ্বিমত করেনি। সব দাবি পূরণ করা হবে। অনেক দাবি এরই মধ্যে পূরণও হয়েছে। ওভারপাস নির্মাণসহ কিছু দাবি রয়েছে যা রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এর জন্য পরিকল্পনা হাতে নিতে হয়। তা শুরু হয়েছে। দাবি পূরণের পরও রাস্তায় থাকা যৌক্তিক নয়।
পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। এখন তারা রাস্তায় থাকলে দুর্ভোগ বাড়বে। গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে বা তাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে কেউ যাতে আইন অমান্য করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এখন তাদের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করব। কারণ এখন যেটা আশঙ্কার বিষয়, আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্বার্থান্বেষী মহল ঢুকে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কারও মুখ থেকে এমন সব অশ্নীল শব্দ বের করানো হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় থাকলে তাদের নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ সবাইকে অনুরোধ করব- সন্তানদের এখনই রাস্তা থেকে সরিয়ে নিন।
শিক্ষার্থীরা তাদের স্লোগান, ফেস্টুন, ব্যানার ও ফেসবুকের মাধ্যমে যে ৯ দফা দিয়েছে তার মধ্যে এক নম্বর দাবি ছিল- জাবালে নূরের সেই ঘাতক চালককে ফাঁসি দিতে হবে। এ ছাড়া ফাঁসির শাস্তি আইনে যুক্ত করতে হবে। এক নম্বর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাস মালিককেও। চালককে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আইনমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন, দ্রুত এ মামলার বিচার সম্পন্ন করবে সরকার। এ ছাড়া মামলায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর সঙ্গে অপরাধজনিত হত্যার ধারা সংযোজন করা হয়েছে। আগামী সোমবার এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনা মন্ত্রিপরিষদে তোলা হবে। সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নে প্রস্তাবনাটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চলমান বিক্ষোভের পর এ বিষয়টিতে গতি এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে নতুন আইন শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
শিক্ষার্থীদের দুই নম্বর দাবি ছিল দুর্ঘটনার পর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ভারতের দুর্ঘটনার উদাহরণ দিয়ে হাসতে হাসতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। এরই মধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। মীমদের মহাখালীর দক্ষিণপাড়ার বাসায় গিয়ে তিনি তার হাসির ব্যাখ্যা দেন ও ক্ষমা চান। তবে আন্দোলন চলাকালে রাস্তায় কেউ কেউ মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিয়েছে। তবে শাজাহান খান বলেছেন, শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ চায়নি। বিএনপি তার পদত্যাগ দাবি করেছে।
আন্দোলনকারীদের তিন নম্বর দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে চলাচলে বিকল্প ব্যবস্থা করা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ঘটনাস্থলে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস নির্মাণে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে ৫টি বাস দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমকালকে বলেন, একটি নকশা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে রাতারাতি কোনো ওভারপাস ও ফুটওভার ব্রিজ তৈরি সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীদের চার নম্বর দাবি হলো- প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা। এরই মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্পিডব্রেকার নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সড়ক থাকলে সেখানে ট্রাফিক পুলিশ রাখা হবে। ৫ নম্বর দাবি ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। এরই মধ্যে নিহত দু’জনের পরিবারকে ২০ লাখ করে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। ছয় নম্বর দাবি ছিল- শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে। এরই মধ্যে ট্রাফিক পুলিশকে এ নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। সাত নম্বর দাবি হলো- শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করা। একসময় ঢাকায় প্রায় সব পরিবহনে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখালে হাফ ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে পারত। এখন দু-একটি বাস ছাড়া কোনো যানবাহনে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় না। এ দাবির ব্যাপারে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সরকার এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজও শুরু করেছে। আট নম্বর দাবি ছিল- রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করতে হবে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে লাইসেন্সবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চালকদের লাইসেন্স সঙ্গে রাখতে বলা হয়। যাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের দ্রুত নবায়ন করার ব্যাপারে নির্দেশ এসেছে। ৯ নম্বর দাবি ছিল- বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ও যততত্র লোক ওঠানোর ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। কারণ পাল্লা দিয়ে যততত্র জায়গায় যাত্রী তুলতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পরিবহনশ্রমিক মাদকাসক্ত’

দেশের খবর: ঢাকা শহরের পরিবহনশ্রমিকদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুক্রবার বিকেলে মহাখালী বাস টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ বিষয়টিকে দুর্ঘটনার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাসমালিকেরা পরিবহনশ্রমিকদের কাছে একরকম জিম্মি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আপনারা ভালো করে তুলে ধরুন।’ তিনি আরও বলেন, অনেক মালিক পরিবহনশ্রমিকদের চুক্তিতে বাস চালাতে দেন। তখন বেশি মুনাফার জন্য বাসগুলো সড়কে রেষারেষিতে লিপ্ত হয়। চুক্তিতে বাস না দেওয়ার জন্য মালিকদের উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু অনেক সময় মালিকেরা সেটা শোনেন না।
এনায়েতউল্লাহ বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ছয় দিনে চার শর মতো বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আটটি বাস সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বাসে বাইরে থেকে পেট্রল এনে গাড়ির কাচের পর্দায় ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মালিক-শ্রমিকেরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। যে কারণে ঢাকাসহ সারা দেশে মালিক-শ্রমিকেরা যাঁর যাঁর গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিকেরা নিরাপদ বোধ করলেই গাড়ি চলবে।
খন্দকার এনায়েতুল্লাহ দাবি করেন, ‘এটা আমাদের মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ধর্মঘট নয়। মালিক-শ্রমিকদের কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। নাইট কোচ, ট্রাক তো চলছে।’ এ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতা দাবি করেন, তাঁরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। সরকার এর মধ্যে অনেক দাবি মেনে নিয়েছে। মোটরযান আইনকে সংশোধন করে সড়ক পরিবহন আইন অনেক পরে গিয়ে সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আগামী সংসদেই এটা আইন আকারে পাস হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিয়মশৃঙ্খলা আনার জন্য এটাও একটা পদক্ষেপ। সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। এখন শিক্ষার্থীদের উচিত ফিরে যাওয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest