সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

দক্ষিণ সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
দক্ষিণ সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ভারতের দশদিনের সফল সফর শেষে দেশে ফেরায় রবিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে তাকে এ শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব কাজী ফিরোজ হাসান, প্রধান শিক্ষক মাছুরা খাতুন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য প্রাক্তন শিক্ষক কাজী রফিক উদ্দীন, রমজান আলী, মনোয়ারা আমিন, দপ্তরী আফজাল হোসেন সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ। এসময় বিদ্যালয়ের পড়া লেখা ও অবকাঠামো সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সার্বিক বিষয় আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার প্রথম বর্ষপুর্তি পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক: “সংবাদ সৃৃষ্টি করিনা, পরিবেশন করি” বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার এমন এক মুল তন্ত্রকে ধারন করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হলো যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার প্রথম বর্ষপুর্তি অনুষ্ঠান। রবিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যদিয়ে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও প্রতিদিনের কথা পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ আলীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি এম. কামরুজ্জামান, ভোরের ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী সুজন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর সাতক্ষীরা রিপোর্টার আমিনা বিলকিস ময়না, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দেশ টিভি ও বিডি নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন, প্রতিদিনের কথার সাতক্ষীরা পৌর প্রতিনিধি জি.এম মোশারফ হোসেন, কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুকী, তালা উপজেলা প্রতিনিধি জলিল আহমেদ, দেবহাটা উপজেলা প্রতিনিধি গোপাল কুমার দাস, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মো: ফরিদুল কবির, সুন্দর বন টাইমস এর স্টাফ রিপোর্টার ঢালী নজরুল, সাতক্ষীরা কিউ.এস.এ বেষ্ট ওয়াটার টেকনোলোজী আছাদুজ্জামান, তাঁতীলীগ নেতা আহাম্মদ আলীসহ সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, দৈনিক প্রতিদিনের কথা তাদের জন্মলগ্ন থেকে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে। গত ১বছরে বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে প্রতিদিনের কথা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে এবং পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি পত্রিকাটির আরো উত্তরাত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বীরমুক্তিযোদ্ধা সোবহানের পাশে জেলা মানবাধিকার কমিশন

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা, সাংবাদিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সোবহান কে দেখতে গেলেন সাতক্ষীরা জেলা মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকাল ৪টায় কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের গণপতি গ্রামে অসুস্থ্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুস সোবহানের নিজস্ব বাসভবন যান নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এড. ওসমান গনি(পিপি), সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. ইউনুছ আলী, সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম মেনন, সদস্য শেখ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ অসুস্থ্য প্রবীণ এই নেতার সু চিকিৎসার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌর ০২নং ছাত্রসমাজের আহবায়ক কমিটি গঠন

জাতীয় ছাত্রসমাজ সাতক্ষীরা পৌর শাখার ০২নং ওয়ার্ড কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রসমাজের আহবায়ক মাসুদ রানা মনা ও স দস্য সচিব মনোয়ার হোসেন রুমি স্বাক্ষরিক এক পত্রে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত এবং সাথে সাথে মেহেদীহাসান রাহুল কে আহবায়ক, মাসুদ রহমান রানা, মাসুম বিল্লাহ কে যুগ্ম আহবায়ক ও সাকিব জামান দিপ্ত কে সদস্য সচিব করে আগামী ৩ মাসের জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্টারের বিদায়ী সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্টার লুৎফর রহমান মোল্লার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর দলিল লেখক সমিতির আয়োজনে রোববার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সদর দলিল লেখক সমিতির আহবায়ক আলহাজ্ব খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার মুন্সী রুহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা আবুল কাশেম। এছাড়া দলিল লেখক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ এস এম মাকছুদ খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা সংস্কার: ঢাবিতে মিছিলে ‘ছাত্রলীগের হামলা’, শিক্ষক লাঞ্ছিত

দেশের খবর: কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের মিছিল হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েকটি ঘটনার মত এবারও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার দুপুরের পর শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামনে এসে ঘিরে দাঁড়ায় এবং আন্দোলনকারীদের মারধর শুরু করে।

মিছিলের সামনের দিকে থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খানসহ শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয় তারা।

পরে শিক্ষকরা একপাশে গিয়ে দাঁড়ালে শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে মানবপ্রাচীর তৈরি করে। এসময় ছাত্রীরা হামলা থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারসহ আশেপাশের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় আশ্রয় নেয়।

সাংবাদিকরা শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরেকদফা তাদের দিকে তেড়ে আসে। তবে সাংবাদিকরা ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও অনেকেই স্থান ত্যাগ করেন।

এসময় কর্মসূচিতে উপস্থিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রাব্বানীকে ফোন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাইলেও প্রক্টর তার অনুরোধে সাড়া না দিয়ে উলটো ‘পরিস্থিতির জন্য শিক্ষকদেরই দায়ী করেন’ বলে তিনি জানান।

বেলা পৌনে একটার দিকে প্রক্টরিয়াল টিমের একটি গাড়ি শহীদ মিনারে আসে। এরপর ১টায় সহকারী প্রক্টর কামরুল আহসান ও সোহেল রানা আসেন। তারা সবাইকে জায়গা ছাড়তে বলেন; কিছুক্ষণ পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান।

পরে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, “আমরা সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছিলাম। দুই পক্ষের সাথেই তারা কথা বলেছে। তবে তারা কেউই তেমন সহায়তা করেনি।

“এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী যারাই জড়িত ছিল, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বিধিমোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

এর আগে রোববার সকাল ১১টায় শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিকককে সঙ্গে নিয়ে কোটা আন্দোলনের কয়েকশ কর্মী শহীদ মিনারে মানববন্ধন শুরু করে। এই সময় সেখানে কয়েক গজ দূরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা বক্তব্য শুরু করে।

সর্বপ্রথম এনেক্স ভবনের সামনের ফুটপাতে প্রায় ২০০ ছাত্রলীগকর্মী ‘গুজবে কান দেবেন না’, ‘ক্যাম্পাস অস্থিতিশীলতা রুখে দাঁড়ান’,ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ায়। একই সময়ে শহীদ মিনারের উত্তর পাশে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানার নিয়ে দাঁড়ায় অন্তত ১৫ জন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। একই সময়ে বিপরীত পাশে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তাক করে আমিনুল বলেন, “এখানে এরা জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এই শিক্ষকরা জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী শিক্ষক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরা যুবক ছিল, কিন্তু এরা যুদ্ধে যায় নাই। তাদের চুল-দাঁড়ি পেকে গিয়েছে। এই যে ৬০-৭০ বয়সী শিক্ষকরা- এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কই ছিল?”

অধ্যাপক ফাহমিদ সাংবাদিকদের বলেন, “যখন দেখেছি নিপীড়িতরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র তখন আমরা আমাদের নায্যতা, বিবেক ও বোধের জায়গা থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াই। এই প্রশাসন না অতীতেও যখনই নিপীড়ন হয়েছে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি।

“আজকের কর্মসূচি যখন চলছিল তখন ক্ষমতাসীন সরকারের ছাত্রসংগঠনও এখানে আসে। তারা কর্মসূচি পালন করতেই পারে। তবে তারা নিপীড়কের ভঙ্গিতে আচরণ করেছে। এরপর শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বসে পড়লে তারা আরো কাছে চলে আসে, যেখানে একটা ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি হয়। যখন সবাই চলে যাচ্ছিল তখন ওরা সামনে ঘিরে দাঁড়িয়ে মারধর শুরু করে। তারা শিক্ষকদের নামে কটূক্তি করে। ”

তিনি বলেন, “আমার জন্ম একাত্তরে আর তানজিমের জন্ম বাহাত্তরে। তারা বলছে, আপনারা একাত্তর সালে কি করেছিলেন? এরকম হাস্যকর কথা বলছে তারা।”

মানববন্ধনে উপস্থিত অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুশাদ ফরীদির জন্ম ১৯৭২ সালে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক খানের জন্ম ১৯৬৫ সালে।

অধ্যাপক ড. রাজ্জাক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি আমার মনে আছে। আমি খুব ছোট ছিলাম। আমার পরিবার আর আত্নীয়-স্বজনের মধ্যে একশো জনের বেশি শুধু সম্মুখযুদ্ধেই প্রাণ হারাণ। আর ওরা আমাকে রাজাকার বলছে।”

এরপর অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী মাইক হাতে নিয়ে বিপরীত পাশ থেকে আসা বক্তব্যের নিন্দা জানাতে থাকেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য দিতে থাকেন।
এর আগে বদরুন্নেসা মহিলা মহিলা কলেজের একটি বাস এসে শহীদ মিনারের পাশে থামলে বাস অন্তত ৫০ জন ছাত্রী নেমে ছাত্রলীগের মানববন্ধনে যোগ দেয়। গার্হস্থ অর্থনীতি কলেজের কিছু ছাত্রীও এতে যোগ দেয়।

খাদিজা ইসলাম নামে বদরুন্নেসা কলেজের এক নেত্রী বলেন, “আমরা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে এখানে এসেছি। স্বাধীনতাবিরোধীরা এখানে দাঁড়াইছে। আজকে একটা পবিত্র জায়গাকে এই স্বাধীনতাবিরোধীরা অপবিত্র করতেছে।”

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক গ্রেপ্তারকৃত রাশেদ খানের মা।

সন্তানকে ফেরত দেওয়ার আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনিকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। আমার বাবা সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করেনি। আমার মনি কেবল একটা চাকরি চেয়েছে।”

তানজীম উদ্দিন খান সমস্বরে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ঘোষণা দেন। জাতীয় সঙ্গীতের পর ছাত্রলীগের এক নেতা আন্দোলনকারীদের মাইকের তার ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর শিক্ষকসহ আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে পড়েন।

তারপর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের অংশটিও আরো এগিয়ে এসে মুখোমুখি বসে পড়ে; পাল্টাপাল্টি স্লোগান চলতে থাকে।

উপস্থিত চারজন শিক্ষক বিপরীত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তারা তাদের দালাল, জামাত-শিবির বলতে থাকেন। একাধিক জনকে শিক্ষক তানজীম উদ্দিনের দিকে টাকা ছুড়ে মারতেও দেখা যায়।

পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাজু ভাষ্কর্যের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসে। ছাত্রলীগের অংশটিও সমান্তরালে তাদের সাথে আগায়। এক পর্যায়ে তারা হামলা চালায়।

ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে শিক্ষার্থী পরে লীগ। সেখানে যদি কেউ গিয়ে থাকে তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেতে পারে। ছাত্রলীগের হয়ে কেউ যায়নি। হামলাকে ছাত্রলীগ কখনো সমর্থন করে না। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে।

যদি ছাত্রলীগের কেউ গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যাবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে জাকির বলেন, “আমরা খোঁজ নেব। তবে আমি নিশ্চিত করেই বলছি, ছাত্রলীগের কেউ ছিলো না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মিয়ানমার সংলাপে আছে, তবে কাজ করছে না’

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে নেপিডো এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর রয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সংকটের সমাধান চাই বলে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালাচ্ছি, কিন্তু মিয়ানমার সব কিছুতে রাজী থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কোন কিছুই করছে না।’

আজ রোববার রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস অ্যাডভোকেসি অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডিকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেরি কেনেডি।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, তাঁরা মূলত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েই আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা। সাধারণ মানুষ তাদের চাষাবাদের জমি, গাছপালা, বনভূমি হারিয়ে ক্ষতির সন্মুখীন হলেও তারা স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণও এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছিল।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদেরকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে আরো ভালো অবস্থায় বসবাস করতে পারে সেজন্য সরকার নতুন জায়গার ব্যবস্থা করছে।’

কেরি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, রোহিঙ্গা জনগণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাই হচ্ছে তাঁর বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য।
কেরি বলেন, ‘তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যও পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোন অবকাঠামো বা কোন আশ্রয়ের ব্যবস্থা দেখেননি।’

কেরি আরো বলেন, ‘মিয়ানমার প্রত্যাবর্তনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ তিনি মনে করেন, তাদের নিরাপত্তা দেয়া এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিৎ।

কেরি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (এসএসএন) কর্মসূচি ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাঠে নামছে অভিজ্ঞ ফ্রান্স আর দৃঢ় মানসিকতার ক্রোয়েশিয়া

খেলার খবর: ফুটবলপ্রেমীদের চমকে দেওয়া ক্রোয়েশিয়া আর শক্তিশালী ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়েই পর্দা নামছে রাশিয়া বিশ্বকাপের। পুরো টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের চলতি আসরে একের পর এক চমক দেখিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে শিরোপা জয়ের ম্যাচটি।

ক্রোয়েট ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখছেন শিরোপা জয়ের। ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামা ক্রোয়েশিয়ার সামনে আছে ইতিহাস লেখার হাতছানি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নবম দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ক্রোয়েটদের সামনে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে, এখনো হয়তো অনেকের বিশ্বাস হবে না। কিন্তু তারা করে দেখিয়েছে। এখান থেকে শিরোপা তুলে ধরলেও অবিশ্বাসের কিছু থাকবে না।

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ক্রোয়েটরা ছিল ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ২০ নম্বরে। র‌্যাংকিংয়ের এত পিছনে থেকে এর আগে কোনো দেশ কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেনি। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে তৃতীয় হওয়া দেশটি সেবার যে বিস্ময় জাগিয়ে গিয়েছিলো ফুটবল ভক্তদের মনে সেই বিস্ময়ই যেনো আরও কয়েকধাপ বাড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করে ক্রোয়েটরা।

অন্যদিকে আছে ফ্রান্সের সম্মান আরও একটু বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। নিজেদের জার্সিতে আরও একটি তারকা বাড়িয়ে নেওয়ার এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করবে না তারা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে রোনাল্ডো-রিভালদোর ব্রাজিল ছিল ফেভারিট, কিন্তু জিদানরা সেদিন ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন।

২০০৬ বিশ্বকাপেও এই ফ্রান্সই ছিলো ফেভারিট, কিন্তু ইতালির বিপক্ষে কান্না নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ফরাসিদের।

এদিকে, প্রথমবার ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও ফরাসিরা জানে ক্রোয়েশিয়া কতটা কঠিন দল। পরিসংখ্যান হোক আর অভিজ্ঞতা, সবদিক থেকেই ক্রোয়েশিয়ার থেকে এগিয়ে ফ্রান্স।

তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে যে সব সময় ফেভারিটরা জেতে না সেটা ফরাসিরা খুব ভালো করেই জানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest