সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

জয়মহা প্রভু সেবক সংঘের রথযাত্রা উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেল চারটায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, রথযাত্রা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, জেলা মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি এ্যড. সোমনাথ ব্যানার্জী, পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম, প্রাণনাথ দাস, ডাঃ হরষিৎ চক্রবর্তী, নারায়ন অধিকারী, ধীরু ব্যানার্জী, নিত্যানন্দ আমিন, বিকাশ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জগতের কল্যানে জগন্নাথদেব ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরীতে প্রথম আবির্ভাব হয়। পুরীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন দারুব্রহ্ম বা নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের মুর্তি তৈরি করেন। স্বয়ং ব্রহ্মা এ মুর্তি তৈরিতে সহায়তা করেন। এরপর থেকে ভারত , বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উদযাপিত হয়ে আসছে। জগন্নাথদেব শুধু মাত্র একটি বিশেষ ধর্ম বা সম্প্রদায়ের জন্য নন, সকল ধর্মের কল্যানকর হিসেবে পুজিত হয়ে আসছেন। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে সকল ভেদাভেদ ভুলে মানব কল্যানকর কাজের বিকল্প নেই।
এরপর জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরামকে রথে তোলার পর ফিতা কেটে রথের শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন। শোভাযাত্রাটি পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো মায়ের বাড়িতে এসে শেষ হয়। এ র‌্যালিতে অংশ নেয় শহরতলীর বেজুয়ারডাঙি রথ। আগামি ২২ জুলাই উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে আগামি আট দিনে মন্দিরে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসি তাহলে বাংলাদেশে আসছেন না!

খেলার খবর: বিশ্বকাপের উত্তেজনা এখনো শেষ হয়নি। এরই মাঝে বিশ্বকাপ থেকে বেশ আগেভাগেই বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। দেশটির অনেক বেশি সমর্থক রয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বকাপ থেকে আগেভাগে বিদায় নেওয়ায় আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থকই ভেঙে পড়েন। তবে মন প্রফুল্ল হয়েছিল যখন চাউর হয়েছিল, বাংলাদেশে আসছেন আর্জেন্টাইন প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি! দেশের কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে খবর এসেছিল, আগামী ২২ জুলাই ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে আসছেন তিনি। তবে আর্জেন্টাইন ভক্তদের হতাশ করে সেই খবর বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে ইউনিসেফের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক এএম সাকিল ফয়েজুল্লাহ। তিনি বলেন, মেসির এদেশে আসার খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন, গুঞ্জন মাত্র। তার আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

ফয়েজুল্লাহ বলেন, এ খবর শোনার পর আমরা আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেদেশের ইউনিসেফ অফিসেও যোগাযোগ করেছি। তবে মেসির বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে কোনো নিশ্চিত তথ্য পায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশে আসে আর্জেন্টিনা। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই মাঠ মাতিয়েছিলেন মেসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের ৪ জন অসুস্থ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের চার সদস্য অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে।
শুক্রবার দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামের কৃষক হারান মোড়ল (৪৫), স্ত্রী-তাসলিমা বেগম (৩০), কন্যা- স্বপ্না খাতুন (১৫) ও পুত্র- শাওন (১২) পরিবারের সাথে রাতের খাবার খান। ওই সময় তার স্ত্রী হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন। সাথে সাথে তারা তার চাচাতো ভাইদের খবর দিতেই একে একে সবাই ওই স্থানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে কি কারণে তাদের খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় পৃথক অভিযানে ৪২পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরের দিকে পৃথক স্থান থেকে তারা আটক হয়।
থানা সূত্র জানায়- ওসি বিপ্লব দেবনাথের নির্দেশনায় পুলিশের পৃথক টিম পৌরসভাধীন আলিয়া মাদরাসা মোড় থেকে ২১পিস ইয়াবাসহ রাকিবুল ইসলাম চঞ্চল (৩২)কে গ্রেপ্তার করে। সে তুলশীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লার পুত্র। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নং-১৩ তাং-১২/৭/১৮ইং) হয়েছে।
অপরদিকে, মুরারীকাটি কাজীপাড়া মোড় থেকে ২১পিচ ইয়াবাসহ কাজী শাহানেওয়াজ (৩৮)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের কাজী খবির আহম্মদ মঞ্জুর পুত্র। তার বিরুদ্ধেও মামলা (নং-১৫/২৪৪, তারিখ- ১৩জুলাই,২০১৮) হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই জনই একাধিক মামলার আসামি বলে থানা সূত্র জানায়।
শনিবার (১৪জুলাই) গ্রেপ্তারদের সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব উদযাপাতি হয়েছে।
শনিবার (১৪জুলাই) বিকেলে জয় ডাঙ্কার বাদ্য সহযোগে পৌরসভাধীন উত্তর মুরারীকাটি পালপাড়া শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গন হতে গোগ তুলশীডাঙ্গা শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির (মাসির বাড়ি) পর্যন্ত রথযাত্রা উৎসব পালন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
কলারোয়া সনাতন ধর্ম স্বেছাসেবক পরিষদ আয়োজিত ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় বিপুল সংখ্যক ভক্তবৃন্দ উৎসবে অংশ নেন।
দুপুরে রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা নারী মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদের সহধর্মীনি প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাঁন লিপি।
রথযাত্রা সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
কলারোয়া সনাতন ধর্ম স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের সভাপতি শ্রী সন্দ্বীপ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলির সদস্য উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিপ্লব রায়, সন্তোষ কুমার পাল, শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রমের সভাপতি অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলিপ অধিকারি, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল, শিলা রানী হালদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রদীপ পাল। সাবিক সহযোগিতা করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মনু, অসিম পাল বটু, গৌরাঙ্গ সোম, জয় দাস, মধু ঘোষ, আনন্দ ঘোষ, নিখিল অধিকারি, নিমাই অধিকারী, নিত্য গোপাল রায়, স্বপন পাল, মধুসৃদন হালদার, অধ্যাপক অসিম ঘোষ, উজ্জল দাস (প্রাণ) প্রমুখ।
রখের সারথি ছিলেন বাবু অর্জুন পাল। উৎসবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘কলারোয়া নিউজ’ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।
এর আগে সকালে মঙ্গল আরতি, শ্রী মদ্ভাগবত পাঠ ও ভজন কীর্ত্তন, ভোগ আরতি কীর্ত্তন ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিশ্ব শান্তি ও মানবতার মঙ্গল কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিকশিত হওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে আগতরা।
আগামি ২২জুলাই রবিবার শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের পূর্ণযাত্র বা উল্টোরথ অনুষ্ঠিত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, অস্ত্র-গুলি ও মাদক উদ্ধার

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।
গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

খেলার খবর: অ্যান্টিগার পর জ্যামাইকা টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের একই বেহাল দশা। তৃতীয় দিন সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য ছাড়া আর চোখে পড়ার মতো কিছু ছিল না। বাংলাদেশের অধিনায়ক বল হাতে নিলেন ৬ উইকেট, আর ব্যাটিংয়ে করলেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ। তাতে ১৬৬ রানের হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।

বাংলাদেশের আরেকটি হতাশার মাঝে সাকিব ছিলেন উজ্জ্বল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস ১২৯ রানে গুটিয়ে দিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। লক্ষ্যে নেমে সব ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে একপ্রান্ত আগলে রেখে করেছেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু অন্যদের সহযোগিতার অভাবে একা হাতে অলৌকিক কিছু করতে পারলেন না সাকিব।

জ্যামাইকা টেস্টে প্রায় তিন দিন হাতে রেখে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় দিন চা বিরতির আগেই ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে তারা। সাকিবের প্রতিরোধে সেটা কিছুটা সামলে উঠলেও শেষ সেশনে তাদের বাকি ৭ উইকেট তুলে নেয় উইন্ডিজ বোলাররা।

লক্ষ্যে নেমে ৭ বল খেলে রানের খাতা না খুলে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের কাছে এলবিডাব্লিউ হন তিনি।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ৩৮ রানের জুটিতে। কিন্তু তাদের দুজনের বিদায়ে শেষ হয় দ্বিতীয় সেশনের খেলা। লিটন ৩৩ ও মুমিনুল ১৫ রানে আউট হন।

রোস্টন চেজের বলে মুমিনুল এলবিডাব্লিউ হলে চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়ার। দিনের শেষ সেশনে সাকিবকে সঙ্গ দিতে নেমে মাহমুদউল্লাহ ৪ রানে বিদায় নেন। ৬৭ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারালে অধিনায়কের সঙ্গে মুশফিকুর রহিম পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু ৩১ রানে তাকে বোল্ড করেন হোল্ডার।

স্বাগতিক অধিনায়কের ওই ওভারেই প্রথম বল খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন নুরুল হাসান। মাত্র ১০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ বিদায় নেন। তবে সাকিব ফিফটি করে আউট হলে শেষ আশাটুকুও নিভে যায় সফরকারীদের।

৭৯ বলে ২৩তম ফিফটি হাঁকানো সাকিব দিন শেষ হওয়ার খানিক আগে বোল্ড হন হোল্ডারের বলে। ৮১ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কামরুল ইসলাম রাব্বি মাত্র ২ বল খেলে হোল্ডারের পঞ্চম শিকার হন। ওই ওভারেই আবু জায়েদ রাহীকে বোল্ড করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া হোল্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট।

তার আগে দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিন ১ উইকেট নেওয়া সাকিব তৃতীয় দিন পান আরও ৫ উইকেট। ১৯ রানে ১ উইকেট হারিয়ে এদিন খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। প্রথম সেশন তারা শেষ করে ৬ উইকেটে ১০৮ রানে। বাকি ৪ উইকেট স্বাগতিকরা হারায় দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই।

দিনের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভন স্মিথকে (১৬) নুরুল হাসানের স্টাম্পিং বানান সাকিব। ১৯তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার একইভাবে কিমো পলকে (১৩) সাজঘরে পাঠান। পরের ওভারে সাকিব তুলে নেন ক্যারিবিয়ানদের চতুর্থ উইকেট। কিয়েরন পাওয়েল ১৮ রানে এলবিডাব্লিউ হন।

পরের ওভারে তাইজুল ইসলাম এলবিডাব্লিউ করে ফেরান শাই হোপকে (৪)। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর স্বাগতিকরা প্রতিরোধ গড়েছিল শিমরন হেটমায়ার ও চেজের জুটিতে। হেটমায়ারকে (১৮) ফিরিয়ে ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙেন রাহী।

শেন ডাউরিচের সঙ্গে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে চেজ প্রথম সেশন শেষ করেন। লাঞ্চ বিরতির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৩২ রানে মিরাজের কাছে বোল্ড হন চেজ। অধিনায়ক হোল্ডার মাত্র ১ রান করে মিরাজের পরের ওভারে আউট হন। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে মিগুয়েল কামিন্সকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন সাকিব। ওই ওভারের শেষ বলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকেও ফেরান বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার।

১৭ ওভারে ৫ মেডেনসহ ৩৩ রান খরচায় সাকিব নেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ শেষ ইনিংসে পেয়েছেন ২টি।

প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়েছিল ১৪৯ রানে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মীমাংসা আজ

খেলার খবর: ৩২…১৬…৮…৪…২। কাউন্টডাউন চলছে এক মাস ধরে। চলবে আজ শেষ দিনের মতো। ৯০ মিনিট…১২০ মিনিট…বড়জোর টাইব্রেকার। ব্যস! ৩২ দল নিয়ে শুরু ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা নামবে এরপর। চার বছরের জন্য এই সাম্রাজ্যের নতুন সম্রাট পেয়ে যাবে বিশ্ব। এখন সবার প্রতীক্ষা সেই মহারাজের অধিষ্ঠানের জন্য।

হয় ফ্রান্স। নয় ক্রোয়েশিয়া।

এমন এক ফাইনাল যে হবে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ ভাবতে পারেননি। অন্যতম ফেভারিট হিসেবে ফ্রান্সের শেষ দ্বৈরথ পর্যন্ত টিকে থাকায় চমক নেই তেমন। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া! কেউ ভাবেননি। কিন্তু ভাবনার করিডর দিয়েই যদি এগোবে বিশ্বকাপ, তাহলে আর তা অমন রোমাঞ্চ ছড়াবে কী করে! তাইতো জার্মানি বাদ পড়ে যায় প্রথম রাউন্ডে, আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোতে, ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আর ক্রোয়েশিয়া ঠিকই উঠে আসে ফাইনালে। এবার রূপকথার পূর্ণতায় শিরোপা জয়ের উপলক্ষ লুকা মডরিচ-ইভান রাকিটিচ-মারিও মান্দজুকিচদের দলের সামনে।

কিন্তু ফ্রান্স কি আর ছেড়ে কথা বলবে! গৌরবের বিভা ছড়িয়ে ২০ বছর আগের বিশ্বকাপজয়ী বীরদের পাশে বসার সুযোগ তাদের সামনে। জিনেদিন জিদান, ফাবিয়ান বার্থেজ, লঁরা ব্লদের সঙ্গে ব্র্যাকেটবন্দি হওয়ার হাতছানি পল পগবা, আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের। তা কিভাবে হেলায় হারান তাঁরা!

ফ্রান্সের জন্য এই ফাইনালের আবহে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে ২০১৬ ইউরো। সেবারের ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে সংশয়াতীত ফেভারিট ছিল দিদিয়ের দেশমের দল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে নিজ দেশে হেরে যায় তারা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আজকের বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে সবাই ফেভারিটের মুকুট পরিয়ে দিলেও তাতে প্রবল প্রত্যাখ্যান। ‘দুই বছর আগে ইউরোর ফাইনালে খেলা ৯ জন আছে। ওরা জানে, সেদিন কী হয়েছিল! কী দুঃখজনক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে ওদের যেতে হয়েছিল’—কাল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে বলার সময়ও কোচ দেশমের মুখে বেদনার ছায়া। অধিনায়ক উগো লরি একটু আগে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, ‘দুই বছর আগে ফাইনালের প্রতিপক্ষকে যেমন হালকাভাবে নিয়েছিলাম, এবার সে ভুল আর করব না।’

ক্রোয়েশিয়ার জন্য আজ হারানোর কিছু নেই। পুরোটাই প্রাপ্তির হাতছানি। নক আউট পর্বের তিনটি ম্যাচে ১২০ মিনিট লড়াই করে ফাইনালে এসেছে। দেশটির ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে পারলে সবাই চলে আসে আজকের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে। ঘটনার গুরুত্ব ফুটে ওঠে কাল সকালে বলা ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচের কথায়, ‘গ্যালারিভরা স্টেডিয়ামে পুরো বিশ্বের সামনে খেলব আমরা। এখানে গুটিয়ে থাকার কিছু নেই বরং সময়টা উপভোগ করার। এটি আমাদের সবার জন্যই জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আমাদের দলের অনেকের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা আছে। তবে এ বিশ্বকাপ ফাইনাল সব ক্রোয়াটের জন্য। সেখানে নিজেদের সর্বোচ্চ দিতে আমরা প্রস্তুত।’ হেরে যাওয়া নিয়েও ভীত নন তিনি, ‘হারলেও তা মর্যাদার সঙ্গেই মেনে নেব। তার আগে চাই আমাদের দেশকে সবচেয়ে গৌরবময় অবস্থায় প্রতিনিধিত্ব করতে। বিশ্বকাপ জিতলে এত ছোট্ট দেশ থেকে আসা আমাদের চেয়ে গর্বিত কেউ হবে না। তা না পারলে প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানাব। কারণ এটাই জীবন। এটাই ফুটবল।’

মাত্র ৯ মাস আগে দায়িত্ব নিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে বদলে দিয়েছেন দালিচ। বাছাই পর্বে ধুঁকতে থাকা দলটিকে তুলে এনেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। অধিনায়ক লুকা মডরিচ মাঠের অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টর হতে পারেন, তবে ওই সুর-তাল-লয়ের তো হয় সব কোচের মাথা থেকেই। মডরিচও তাই দালিচকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘কোচের প্র্রভাব তো দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা এখন বিশ্বকাপ ফাইনালে। খুব কঠিন সময়ে তিনি দলের দায়িত্ব নেন। আমাদের বিশ্বকাপ খেলা ছিল ঝুঁকির মধ্যে। তিনি আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলে সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস গুঁজে দেন। তাঁর অধীনে ইউক্রেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আমরা জিতি। পরে বিশ্বকাপে খেলারও যোগ্যতা অর্জন করি। এটাই দলে দালিচের প্রভাব। দলে তিনি স্থিরতা এনেছেন। তাঁর মনোযোগ, কাজের ধরন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি—সব আমার পছন্দ। শুধু কোচ নয়, মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ।’

দালিচ এরই মধ্যে রূপকথার নায়ক। দিদিয়ের দেশমের সামনেও অমরত্বের হাতছানি। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারলে মারিও জাগালো ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে অধিনায়ক ও কোচের ভূমিকায় জিতবেন বিশ্বকাপ।

প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। সেখানে ফ্রান্সের তিন জয়; বাকি দুই ম্যাচ ড্র। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পিছিয়ে থেকেও ক্রোয়েশিয়াকে হারায় ফরাসিরা। এই পিছিয়ে থাকার ব্যাপারটায় এই বিশ্বকাপে বড্ড অভ্যস্ত ক্রোয়াটরা। নক আউট পর্বের তিনটি ম্যাচই পিছিয়ে থেকেও শেষ হাসি তাদের। অন্যদিকে পুরো টুর্নামেন্ট মিলে ফ্রান্সের মোট পিছিয়ে থাকা ১০ মিনিটও নয়। অবশ্য আজকের রেফারির শেষ বাঁশির পর কোন দল এগিয়ে থাকে, কোন দল পিছিয়ে—সেটিই এখন মুখ্য।

বিশ্বকাপ রংধনুর কত রং খসে পড়েছে এরই মধ্যে! আজ ঝরবে সর্বশেষটি। টিকে থাকবে কেবল ফ্রান্সের নীল অথবা ক্রোয়েশিয়ার লাল-সাদা। হয় ফরাসি সৌরভে মাতোয়ারা হবে ফুটবলবিশ্ব, অথবা ক্রোয়াট ফুটবল রূপকথা পাবে পূর্ণতা। কী যে হবে, ফুটবল দেবতা ছাড়া তা আর জানেন কে!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest