সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

জেলা আ. লীগ সভাপতির স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা!

রাজনীতির খবর: ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইতে গিয়ে নির্যাতিত হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফারজানা ববি নাদিরা (২৫)। এরপর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ফারজানা ববি নাদিরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নাদিরা ঝালকাঠি জেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেন। কাজের মাধ্যমে শাহ আলমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানান তিনি।

নাদিরার অভিযোগ, সরদার মো. শাহ আলম তিন বছর ধরে তাঁকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করলেও আইনগতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছিলেন না। এ জন্য আজ দুপুর ১২টায় তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার শাহ আলমের কক্ষে গিয়ে বিয়ে করার কথা বলেন। এ খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে শাহ আলমের স্ত্রী জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী শাহানা আলম এসে নাদিরাকে মারধর করেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার শাহ আলম তাঁর কক্ষে থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে নাদিরা বার বার হাত চেপে ধরেন। তাঁকে যেতে বাধা দেন। এ সময় শাহ আলম তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। আবার সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দিলে শাহ আলম ধাক্কা দিয়ে নাদিরাকে সরিয়ে দেন। ওই সময় শাহ আলমের লোকজনও নাদিরার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর শাহ আলম দুইতলা থেকে নেমে গাড়িতে ওঠেন। নাদিরাও পিছু নিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করতে বাধা দেন। নাদিরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাঁকে বিয়ের দাবি জানাচ্ছিলেন। এরপর লোকজন নাদিরাকে গাড়ির দরজা থেকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর তিনি দৌঁড়ে গিয়ে জেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলার দিকে যেতে চাইলে কয়েকজন তাঁকে বাধা দেয়। এরপরও নাদিরা দৌঁড়ে ওই ভবনের ছাদে যান। পেছন থেকে একজন তাঁকে ধরে ফেলে। এ সময় নাদিরা অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাদিরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরদার মো. শাহ আলম, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। উনার সাথে আমার প্রায় তিন বছর ধরে পরিচয়, এই জেলা পরিষদের কাজ নিয়ে। আমি ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে এখানে জয়েন করি। উনি আমাকে ভালোবাসে এবং উনি আমাকে ভালো পায়। এই জিনিসটা উনি জানে। বিয়ে করবে না কিন্তু উনি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন নাকি উনার সাথে আমার থাকতে হবে।’

নাদিরা আরো বলেন, ‘আজকে আমি শুধু জেলা পরিষদে গেছি। যাওয়ার পর বলছি দেখেন, পরিস্থিতি তো খুব খারাপ, কী করব? আপনার তো সব আছে। আমার কী হইল, আমার তো কিছুই থাকল না। আপনি আমার জন্য কী করবেন। উনি বলছেন, আমার পক্ষে তো আর বিয়ে করা সম্ভব না। কারণ আমি তো বিয়ে করে তোমার ফিউচার (ভবিষ্যৎ) নষ্ট করে দিব বা অমুক সমুক আমি আর কতদিন বাঁচব। এসব কথাবার্তা বলছে। আমি বলছি দেখেন, আমার ফিউচার লাগবে না। এখন যে অবস্থা, আপনি আমাকে বিয়ে করতে পারেন। আমার তাতে কোনো ফিউচার লাগবে না। আমার তো একটা মানসম্মান ইজ্জত নিয়ে বাঁচতে হবে। আমার পরিবার আছে। আমি পরিবার থেকেও এখন জায়গা পাচ্ছি না। বাসা থেকেই কিছুদিন পরে হয়তো আমাকে বের করে দিবে।’

এ বিষয়ে জানতে মো. শাহ আলমের কাছে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে সাত মাদকসেবীর জরিমানা

প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে পুলিশের মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে আটক সাত মাদকসেবীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা হলেন, উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের সুবর্ণগাছী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ফিরোজ হোসেন (২২), মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিন (২৫), বসন্তপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২০) বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের পচাবাদী মোড়ল এর ছেলে বাবুর আলী মোড়ল (২৬), মৌতলা ইউনিয়নের মৌতলা গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে রায়হান (২২), কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) এবং শ্যামনগর উপজেলার মাজাট গ্রামের আবু বক্কার গাজীর ছেলে সুমন ইসলাম (২৩)। থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার সকাল থেকে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দিন হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটককৃতদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ‘অনুপ্রবেশ’

বিনোদন সংবাদ: অবশেষে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাপসকুমার দত্তের প্রথম ছবি অনুপ্রবেশ। এর আগে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি থেকে ৩০ মার্চ ও ২০ জুলাই দুই দফা মুক্তির তারিখ ঠিক করার পরও বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায় এ ছবির মুক্তি।

ছবিটি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, রাশিয়ার গোল্ডেন ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ব্রিটেনের রেইনবো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-সহ এখন পর্যন্ত অনুপ্রবেশ বিশ্বের ছয়টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত ও প্রশংসিত হয়েছে।

সময় প্রকাশন থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় তাপস কুমারের (অদ্বয় দত্ত) ‘অনুপ্রবেশ’ নামের একটি পরাবাস্তববাদী উপন্যাস। এর পরের বছর উপন্যাসটির চলচ্চিত্রায়নের কাজ শুরু করেন লেখক নিজে।

তাপসকুমার বলেন, সম্পূর্ণ মৌলিক কাহিনির ছবি অনুপ্রবেশ- যার প্রকরণ বা ধরন (জেন্র)-এর মতো সিনেমা বাংলাদেশে আগে কখনো নির্মিত হয়নি। কারণ, অনুপ্রবেশ-এ রয়েছে বিস্ময়কর তিনটি টাইম ট্রাভেল। এ-জন্য অনুপ্রবেশ ছবিটা দেখতে দেখতে একজন দর্শক কখনই বুঝতে পারবেন না, এর পরে কী হবে!
কিন্তু ছবির নাম কেন অনুপ্রবেশ রাখা হলো-এ প্রশ্নের জবাবে পরিচালক ও প্রযোজক তাপসকুমার বলেন, বছর পাঁচেক আগে মার্কিন এক গবেষকের একটি রিপোর্ট পড়ে বেশ চমক লাগে। সেই গবেষক নানা রকম তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, এই পৃথিবী মানুষের শরীরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, কারণ পৃথিবীতে মানুষ হলো অনুপ্রবেশকারী। মানুষের পূর্বপুরুষের জন্ম অন্য একটি গ্রহে। তাপসকুমার এই তত্ত্বকে অবলম্বন করে রচনা করেন সুররিয়েলিস্টিক ও ফিলসফিক্যাল উপন্যাস ‘অনুপ্রবেশ’। ২০১৬ সালে শুরু করেন এই উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়নের কাজ।

‘অনুপ্রবেশ’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ভারতের বিখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশের পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, আলতাফ হোসেন, অলিউল হক রুমীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সম্পূর্ণ নতুন দুটি মুখ আনোয়ার সায়েম ও সানজিয়া ইসলাম। দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রূপঙ্কর ও শুভমিতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে এএসআই রুবেলের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রুবেলের বিরুদ্ধে ইসমাইল হোসেন (২৮) নামে এক নিরীহ যুবককে আটক করে বেধড়ক মারপিট ও মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের উজায়মারী গ্রামের আমির আলী গাজীর ছেলে। আহত ওই যুবক কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে ব্যথা ও যন্ত্রণায় কাতরানো অবস্থায় সরেজমিনে দেখাযায়। ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি ইটভাটায় ট্রলিতে মাটি বহনের কাজ করেন। জ¦রে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ধলবাড়িয়া চৌমুহনী বাজার থেকে ওষুধ কিনে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌছানোর পর পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে পরিচিত চরদাহ গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে রাজমিস্ত্রী খোকনের ছেলে খালিদ হোসেন (২৬) ও মোটরসাইকেলে থাকা অপর দু’ব্যক্তি হঠাৎ তাকে মারপিট শুরু করে। তিনি মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে বেপরোয়া মারধর করে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সাদা পোষাকে ঘটনাস্থলে পৌছান কালিগঞ্জ থানার বহুলালোচিত উপ-সহকারী পরিদর্শক রুবেল। পৌছেই ইসমাইলের মুখে কানে চড় মারেন রুবেল। এতে তার কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এএসআই রুবেল মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ইসামাইলকে আখ্যায়িত করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দেয়া (ডিএমসি) ফুটবল মাঠের পাশে নিয়ে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখে। সেখানে আবারও মারপিট করে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে স্বাকারোক্তি আদায়ের জন্য আরেক দফা চেষ্টা করা হয়। ব্যর্থ হয়ে এএসআই রুবেলসহ অন্যরা ইসমাইল হোসেনকে কালিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে পিছমোড়া করে দু’হাতে কড়া লাগিয়ে মোটরসাইকেলের সাথে বেধে হাত ও পায়ের গিরায় লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে রুবেল ও অপর দু’ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর ইসমাইল হোসেনের নিকট থেকে তার পিতার মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন রুবেল। টাকা আদায়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে থাকে কথিত সোর্স খালিদ হোসেন। ইসমাইলের পিতা আমির আলী গাজী অনেক কাকুতি মিনতি করে এএসআই রুবেলকে ৩০ হাজার টাকায় তার ছেলেকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে রাজি করান। খালিদের উপস্থিতিতে এএসআই রুবেলকে ৩০ হাজার টাকা এনে দিলে রাত ২ টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের পিছন থেকেই ইসমাইল হোসেনকে তার পিতার হাতে তুলে দেয়া হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে পরবর্তীতে ধরে এনে ক্রসফায়ার দেয়া হবে হুমকি প্রদান করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা।
একদিকে প্রচন্ড জ¦র, অপরদিকে পুলিশের বেধড়ক মারপিটে আহত ইসমাইল হোসেন বাড়িতে চিকিৎসা করে উপকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। ইসমাইল হোসেনের পিতার নিকট মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে জানার জন্য এএসআই রুবেল হোসেনের মুঠোফোনে (০১৭২৯৭২৮৭৭৪) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, এব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এএসআই রুবেলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দেয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘এর চেয়ে ব্রাজিলের কাছে হারা ছিল সম্মানের’

খেলার খবর: সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল বেলজিয়ামের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু পল পগবা, কিলিয়ান এমবাপেদের ফ্রান্সের কাছে এই হার গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে তাদের।। তাদের কাছে ফ্রান্স কোনো ভালো দলই নয়! মঙ্গলবার রাতে দিদিয়ের দেশ্যমের দেশের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে রোমেলু লুকাকুরা। দলটির গোলকিপার থিবো কুর্তোস কোনোভাবেই এই পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না।

ব্রাজিলের বিপক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে অনবদ্য কিছু সেভ করেছিলেন থিবো কুর্তোস। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষেও বেশ কয়েকটি ভালো সেভ দিয়েছেন বেলজিয়ামের এই গোলকিপার। কিন্তু তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচের ৫১ মিনিটের সময় ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি হেড থেকে করা গোলে শেষ পর্যন্ত জয় পায় ফ্রান্স। কুর্তোস বলেছেন, ‘কোনো ভালো দলের কাছে হারিনি। এমন দলের কাছে হেরেছি যারা আমাদের থেকে খারাপ খেলেছে।’

ফ্রান্সের খেলার ধরণে কুর্তোয়া হতাশ। বেলজিয়ামের গোলকিপার বলছিলেন, ‘ফ্রান্স ফুটবল খেলেনি এই ম্যাচে। ১১ জন ফুটবলারকে গোলপোস্টের ৪০ গজের মধ্যে রেখে শুধু ডিফেন্স করে গেছে। আমরা একের পর এক আক্রমণ করেছি। আর ওরা শুধু সেগুলো রুখেছে। ফ্রান্সের জয় তাই ফুটবলের লজ্জা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ওরা ফ্রি-কিক আর বিপক্ষ গোলকিপারের ভুলে জিতেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে আমাদের জিততে না পারাটা হতাশার।’

যদিও পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। মাত্র ৩৬ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও ফ্রান্স ১৯টি শট নিয়েছে বেলজিয়ামের গোল লক্ষ্য করে। এদিকে, বেলজিয়াম মোট ৯টি শটের মধ্যে ৩টি রাখতে পেরেছে ফ্রান্সের গোলে। তবে ক্ষেপে থাকা কুর্তোস আরও বলেছেন, ‘কর্নার থেকে একটা হেড ছাড়া ফ্রান্স আর কিছুই করেনি। তাদের স্ট্রাইকাররাও নিজেদের ৩০ গজের বাইরে খেলেননি। আমি কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের হারকেই বেশি পছন্দ করতাম। কারণ তারা এমন একটি দল ছিল, যারা অন্তত ফুটবলটা খেলতে চেয়েছিল।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বহিস্কৃত দলিল লেখকদের ছবি সম্বলিত ব্যানার টানালো সাতক্ষীরা রেজিস্ট্রি অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ৫ দলিল লেখককে ছবি সম্বলিত ব্যানার ঝুলিয়ে জনসাধারণ কে শতর্ক করেছে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) এর কমিশনার এ.এফ. এম আমিনুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখার হোসেনের নির্দেশে সদর সাব রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্যা স্বাক্ষরিত এ ব্যানার টানানো হয়।
গত ৩ জুলাই সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত গনশুনানী অন্তে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ৯ জুলাই উক্ত বিজ্ঞপ্তি টানানো হয়। যার গনশুনানী নং-৯৫।
ওই ৫ দলিল লেখক হলেন, রেজিষ্ট্রি অফিস পাড়া এলাকার এ.কে এম মুনসুর রহমান(লাইসেন্স নং- ০১/৯৫), খানপুর এলাকার মোঃ শাহিদুজ্জামান (লাইসেন্স নং- ৫৬/৮৭), চেলারডাঙ্গী এলাকার হারুনার রশিদ(লাইসেন্স নং- ১৭/১০), কাটিয়া এলাকার খায়রুল ইসলাম খান(লাইসেন্স নং- ৪৪/৭৯) ও সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাটিয়া এলাকার মনিরুজ্জামান মনি(লাইসেন্স নং-০৯/০৬)।
ব্যানারে জনসাধারণের শতর্ক করে উক্ত ৫ দলিল লেখকদের সাথে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ করা হয়েছে। যদি কেউ তাদের আর্থিক লেনদেন তার দায় রেজিষ্ট্রি অফিস গ্রহণ করবে না। এছাড়া উক্ত দলিল লেখকদের অফিস চত্বরে চলাচল এবং অফিসে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় বিশ^ জনসংখ্যা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় বিশ^ জনসংখ্যা দিবস-২০১৮ তে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে “পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার” এই শ্লোগানে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রনজিৎ কুমার রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা ইউএনওর বৃক্ষ রোপনে জাতীয় পুরষ্কার  লাভ

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো ॥ দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার ২০১৭ সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় বন শাখা-২ এর ২২.০০.০০০০.০৬৭.৪৩.০০০৯.১৬-১৬৩ নং স্মারকে “গ” শ্রেনীতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই পুরষ্কারের জন্য মনোনিত হন। আগামী ১৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী এই পুরষ্কার প্রদান করবেন বলে সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ দেবহাটা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বৃক্ষ রোপনের উপর কাজ করেন। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি দেবহাটা উপজেলার মধ্যে একটি ঔষধী গাছের বাগান রোপন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রজাতির দূর্লভ গাছের চারা রোপন করেছেন। এছাড়া তিনি প্রায় ৩ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলজ, ভেষজ (ঔষধী) ছাড়াও শোভাবর্ধনকারী ও দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় গাছের চারা রোপন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দেশীয় ফল, টক জাতীয় ফল, ঔষধী গাছ রক্ষা, নতুন প্রজন্মকে বর্নিত গাছসমূহের সাথে পরিচিতি ঘটানো এবং বিলুপ্তপ্রায় গাছসমূহকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাওয়া পুরষ্কার সকল দেবহাটাবাসীর বলে তিনি জানান। ইউএনও বলেন, আরো একাধিক বাগান সৃষ্টি এবং বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষ রোপন করে জনগনকে সম্পৃক্ত করে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহ প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ দেবহাটায় যোগদানের পর থেকে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর, দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভকে আরো উন্নত ও বিনোদনমূলক করা, উপজেলা গেট নির্মান, উপজেলা মুক্ত মঞ্চ নির্মান, উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে সেবা গ্রহনকারীদের জন্য কাচারী ঘর নির্মান, উপজেলা পরিষদের শোভা বর্ধন করা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করেছেন।

1 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest