সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

দেবহাটার সখিপুরে ফিরোজা মজিদ ট্রাষ্টের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ফিরোজা মজিদ ট্রাষ্টের উদ্যোগে সখিপুর সরকারী দীঘিরপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। উক্ত বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সখিপুর সরকারী দীঘিরপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাতীয় যুব পুরষ্কারপ্রাপ্ত আবু আব্দুল্লাহ আল আজাদ। কর্মসূচীতে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় এবং তাদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফিরোজা মজিদ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান ইকবাল মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি সদস্য আকবর আলী, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আফসার আলী এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শেফালী মুখার্জ্জী। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে সহযোগিতা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এমআইএস অফিসার মনিরুজ্জামান মনির ও নাহিদ শাহরিয়ার সবুজ প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাইভেট কার চাপায় আহত সাতক্ষীরার শাহিন লাইফ সাপোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত সাতক্ষীরার টগবগে যুবক শাহীন কাদির এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে। গত ৩ জুন থেকে ১৫ দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। ডাক্তাররা বলছেন তার মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৭৫ ভাগ বিলুপ্ত হয়েছে। আঘাতজনিত কারনে মাথার ঘিলু নির্গত হয়েছে। কয়েকটি ¯œায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তপাত হয়েছে। মেরুদন্ডের উভয় স্কন্ধের হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া স্পাইনাল কর্ড ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। সারা শরীর থ্যাতলানো শাহীন কাদিরের লিভার বড় হয়ে গেছে। সে এখন অচেতন অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।
তরতাজা এই যুবক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শ্রীফলকাটি গ্রামের এসএম মুজিবর রহমানের ছেলে। সে সম্প্রতি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের চেষ্টা করছিল। অপরদিকে শ্যামনগরের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান একই উপজেলার হাওয়ালভাঙ্গি গ্রামের আবু দাউদ সরদারের ছেলে।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আনিসুর রহমান নিজে চালক না হয়েও বেপরোয়াভাবে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে শ্যামনগর অভিমুখে আসছিলেন। অপরদিকে শাহিন কাদির তার বন্ধু হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেলে বসে বিপরীতমুখে কালিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শ্যামনগরের খানপুরে ফিলিং স্টেশনের কাছে একটি ছোট কালভার্টের ওপর তার প্রাইভেট কারটি শাহিন কাদিরকে চাপা দেয়। তাকে গুরুতর আহত দেখেও চালক ডা. আনিস সরাসরি শ্যামনগরের দিকে পালিয়ে যান। গ্রামবাসী এ সময় তাকে তাড়া করেও ধরতে ব্যর্থ হন। স্থানীয়রা শাহীন কাদিরকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করলেও ডা. আনিস তার চিকিৎসায় সাহায্য করা এমনকি তার সামনেও আসতে অস্বীকৃতি জানান। শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমান জানান, তার ছেলেকে শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরায় পরে খুলনা এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শুরুর আগে ডা. আনিস তাকে বলেছিলেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিতে। চিকিৎসার সব খরচ তিনি বহন করবেন। অভিযোগ করে মুজিবুর রহমান আরও বলেন খরচ বহন করা দুরের কথা বরং চিকিৎসার ব্যাপারে কোন সহায়তা করার আশ্বাসও তিনি দেননি। এলাকাবাসী জানান, ডা. আনিসের মালিকানাধীন সাদা রঙের প্রাইভেটকারটি (রেজি নং- ঢাকা মেট্রো -গ- ৩৫-১২১১) তিনি নিজে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আনাড়ি চালক হওয়ায় তার গাড়িতে থাকা জনৈক সোহরাব মোড়ল তাকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষন দিচ্ছিলেন। এসময় গাড়ির মধ্যে উচ্চস্বরে কথোপকথন, হাসিঠাট্টা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবে কথা বলছিলেন তারা। তাদের খামখেয়ালির কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী। শাহীন কাদিরের বাবা এসএম মুজিবুর রহমানের অভিযোগ ডা. আনিসুর রহমান তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। চিকিৎসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এসব টাকা তিনি জমি বিক্রি ও বন্ধক এবং সমিতি থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করেছেন। এখন দৈনিক শাহীন কাদিরের পিছনে ২৫ হাজার টাকা করে ব্যয় হচ্ছে। মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে এসে বাবা মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিমের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আপনাদের কাছ থেকে মানবিক সহায়তা চাই’।
এদিকে নিজের গাড়ি চাপায় দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডা. আনিসুর রহমানের কাছে টেলিফোন করা হলে তিনি দাবি করেন, ওইদিন তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তার ড্রাইভার সোহরাব মোড়ল গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি রোগীর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন। শ্যামনগরের অনেক সংবাদকর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারি এবং সাধারন নাগরিকরা জানান ডা. আনিসুর রহমান মাদকাসক্ত এবং তিনি নিয়মিত ইয়াবা খেয়ে থাকেন। তার হাতে কোনো রোগী নিরাপদ নন দাবি করে তারা বলেন তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে। তার হাতে বহু রোগী মারা গেছে। তার দাপটে শ্যামনগর হাসপাতালে কোনো ভালো ডাক্তার টিকতে পারছেন না বলেও জানান তারা। তবে ডা. আনিস এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মাদকাসক্ত নন বলেও দাবি করেন।
এদিকে প্রাইভেট কার চাপায় গুরুতর আহত হবার পরও শ্যামনগর থানা পুলিশ শাহিনের বাবার দেওয়া মামলা গ্রহন করে নি। এলাকাবাসী জানান ওসির সাথে ডাক্তার আনিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওসি তার গাড়ি বিভিন্ন সময় ব্যবহারও করে থাকেন। পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করায় বাবা এসএম মুজিবর রহমান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করে আবেদন করেছেন। জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলি বলেন তারা কোনো এজাহার দেননি। এখনই এজাহার দিলে তিনি তা রেকর্ড করবেন বলে জানান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে দুর্ঘটনায় আহত শাহীন কাদিরের বাবা বলেন, আমার ছেলেটির জীবন বিপন্ন। তার বাক রুদ্ধ হয়ে গেছে। লাইফ সাপোর্ট খুলে দিলেই তার জীবনবায়ু শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় তিনি ডা. আনিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক বৃদ্ধার মৃত্যু

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালায় শিয়াল মারা ফাঁদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃত ওই বৃদ্ধার নাম রিজিয়া বেগম (৬৫)। তিনি শিরাশুনি গ্রামের মৃত. শওকত মোল্লার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রিজিয়া বেগম নিজেদের মুরগির ফার্মের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিয়াল মারা একটি ফাঁদে অসাবধান বশতঃ তার পা লাগে। এতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মেহেদী রাসেল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, এঘটনায় তালা থানায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৭।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নতুন সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ

তাকে আগামী ২৫ জুন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান পদে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন সোমবার জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

অর্থাৎ আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থাকবেন আজিজ আহমেদ।

তিনি জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে সেনাপ্রধান হবেন।

আজিজ আহমেদ বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্বে রয়েছেন। তার আগে আর্মি ট্রেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন্যাল কমান্ডের জিওসির পদে ছিলেন তিনি।

তারও আগে তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছর বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

বিএমএর অষ্টম  দীর্ঘমেয়াদি কোর্স শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন সেনাবাহিনীতে কমিশন পান আজিজ আহমেদ।

কর্মজীবনে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে জিএসও-৩ (অপারেশন্স), পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের গ্রেড-২ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদপ্তরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া আজিজ আহমেদের পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরে। তার বাবা ওয়াদুদ আহমেদ বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর তিনি এইচএসসি পাস করেছিলেন নটরডেম কলেজ থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জার্মানির বিরুদ্ধে মেক্সিকোর গোলে সাত সেকেন্ডের ভূমিকম্প!

খেলার খবর: বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে মেক্সিকোর জয়টা মেক্সিকানদের কাছে ছিল ঐতিহাসিক এক জয়। এটা এমনই এক জয়, যা রূপ দিয়েছিল কৃত্রিম ভূমিকম্পের! এমন কথা জানিয়েছে মেক্সিকোর আবহাওয়া অধিদফতর!

৩৫ মিনিটে হাভিয়ের এর্নান্দেস বাঁদিকে বল ঠেলে দিয়েছিলেন ঐতিহাসিক সেই গোলটির জন্যে। তাতে লোসানো কাট করে ঢুকে গিয়েছিলেন বক্সে। শক্তিশালী পাওয়ার শটে লক্ষ্যভেদ করে ফেলেন। সেই গোলের নিজেদের আবেগ আর রুখতে পারেননি মেক্সিকো শহরের মানুষ। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই লাফিয়ে লাফিয়ে গোল উদযাপন করেছেন। আর তাতে নড়ে বসেছিল রিখটার স্কেলের কাঁটা! সেখানকার ভূতাত্ত্বিক বিভাগ বলছে, খেলার ৩৫ মিনিট পর কৃত্রিম সেই ভূমিকম্পের রিডিং স্থায়ী ছিল সাত সেকেন্ড!

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে এমন বাঁধভাঙা উল্লাস ছিল মেক্সিকানদের। বাঁধভাঙা উল্লাসে কেউ কেউ তাদের জাতীয় সংগীতও গেয়েছিলেন সে সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৯৮ বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার নেইমার

খেলার খবর: সদ্যই চোট সারিয়ে ফিরেছেন। বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য বেশ ভালোই খেলেছিলেন। পুরো ম্যাচ খেলেননি একটি ম্যাচেও, কিন্তু যা খেলেছিলেন, তা দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অগুনতি ব্রাজিলীয় সমর্থক। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ আর বিশ্বকাপ যে এক নয়, সেটি বুঝিয়ে দিল সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিল–সমর্থকেরাও বুঝলেন, বিশ্বকাপ ম্যাচ আক্ষরিক অর্থেই ‘যুদ্ধ’। যুদ্ধের ঝাঁজ যে কতটা, সেটা বুঝলেন নেইমার। বিশ্বকাপে গত ২০ বছরে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা।কাল পুরো ম্যাচে দশ-দশবার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। সুইস খেলোয়াড়েরা যেন নেইমারকে লক্ষ্য বানিয়েই মাঠে নেমেছিলেন—সদ্য চোট থেকে ফেরা খেলোয়াড়েরা এমনিতেই একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। নেইমারও নিশ্চয়ই ছিলেন। অতিরিক্ত শরীরী ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়টিকে এলোমেলো করে দেওয়ার সুইস-কৌশল কাল বেশ কাজে লেগেছে। নিজেকে ঠিকমতো প্রস্ফুটিতই করতে পারেননি নেইমার।

নেইমারকে সুইস খেলোয়াড়েরা যেভাবে ফাউলে ফাউলে জর্জরিত করেছেন, সেটা একটা রেকর্ডই। ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার, সেই সময়ের সেরা ইংলিশ খেলোয়াড় ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলান শিয়ারারকে গুনে গুনে এগারোবার ফাউল করেছিল আফ্রিকার দল তিউনিসিয়া। কেবল ফাউলের শিকার ব্রাজিলিয়ানদের কথা হিসাবে নিলে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর এত বেশি ফাউলের শিকার হননি কোনো ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

পুরো ম্যাচে নেইমারকে মার্ক করার দায়িত্বে ছিলেন সুইস মিডফিল্ডার ভ্যালন বেহরামি। এই বেহরামি একের পর এক ট্যাকল করে গেছেন নেইমারকে। যতগুলো বল বাতাসে ভেসে এসেছে, বেহরামি তার কোনোটাই নেইমারকে আয়ত্তে নিতে দেননি। ৪৪টি পাসের মধ্যে ৪১টিতে সফল হয়েছেন। ট্যাকল করেছেন ছয়টির মতো! ফাউল করেছেন চারবার, বল কেড়ে নিয়েছেন দুবার। বেহরামির পারফরম্যান্স দিয়েই বোঝা যায়, নেইমারকে আটকানোই ছিল সুইজারল্যান্ডের মূল পরিকল্পনা। পরে বেহরামি একটা হলুদ কার্ড খেয়ে গেলে তাঁকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ। বেহরামির বদলে মাঠে নামা ডেনিস জাকারিয়া ম্যাচের বাকিটা সময় নেইমারকে ঠেকিয়েছেন কোচের নির্দেশমতোই। গ্রানিত শাকা, স্টেফান লিখটস্টাইনার, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, ফাবিয়ান শায়ের প্রমুখ খেলোয়াড়েরও মূল লক্ষ্য ছিলেন এই নেইমার।
নেইমারকে নিয়ে এখন সতর্ক হতেই হবে কোচ তিতেকে। বাকি ম্যাচগুলোতেও যে এমন হবে না—সেটা বলা যাচ্ছে না। নেইমারকে ছাড়া ব্রাজিল দলের কী অবস্থা হয়, সেটা তো ২০১৪ সালেই দেখেছে গোটা বিশ্ব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জীবিত বাঘের সঙ্গে মিমের ১০ মিনিট!

বিনোদন সংবাদ: ব্যাংককে বেড়াতে গিয়ে সত্যিকারের বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়েছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ভয় লাগলেও মুখে হাসি রেখে ছবি তুলেছেন। ঈদের আগের দিন মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংককে বেড়াতে যান।
ব্যাংককের নামুয়াং সাফারি পার্কে ঘুরতে গিয়েই মিম বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়েন। সেই ছবি ও ভিডিও পরে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। প্রায় ১০ মিনিট বাঘের খাঁচায় কাটিয়েছেন মিম।
ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে মিম লিখেছেন, মৃত্যুভয়ে এতটুকু হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ছবি তোলার জন্য হাসতে হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার মেলানিয়া

আন্তর্জাতিক সংবাদ: মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। মেক্সিকোর অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিচালিত কঠোর অভিযানে বিপুল পরিমাণ পূর্ণ বয়স্ক নারী-পুরুষ আটক হওয়ায় ১৯৯৫ জন শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রবিবার (১৭ জুন) ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম মার্কিন সংবাদমাদ্যম সিএনএন-কে জানিয়েছেন, অভিবাসী শিশুদের তাদের মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন করাকে ঘৃণার চোখে দেখছেন মেলানিয়া। বারাক ওবামার ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের অধীনে এ সংক্রান্ত আইন প্রণীত হলেও মেলানিয়া মনে করছেন, কখনও কখনও হৃদয় দিয়েও শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়। অভিবাসন নীতিতে সংস্কার আনতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুখতে সম্প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে সমালোচনার জবাবে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি নতুন কোনও অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেননি। বিগত ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের নেওয়া নীতি মেনেই মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। অবশ্য অবৈধ অভিবাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নকরণের ঘটনা পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনগুলোতেও দেখা গেছে। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সে সংখ্যাটা অনেক কম ছিল। অতীতে দেখা গেছে, যেসব লোক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতো এবং অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না তাদেরকে আইনের আওতায় অপরাধী সাব্যস্ত না করে শুধুই অস্থায়ীভাবে আটক করা হতো কিংবা বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হতো। মা ও শিশুরা সাধারণত একসঙ্গেই থাকতো। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর বিরুদ্ধে আইনগত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করার প্রথম ৬ সপ্তাহেই প্রায় ২ হাজার শিশু পরিবার-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অতীতে এমন নজির দেখা যায়নি।

মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতর-হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলরেছ, ১৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে সময়ের মধ্যে আটক হওয়া ১৯৪০ পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ১৯৯৫ জন শিশু পরিবার-বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে কার বয়স কতো, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। ওই শিশুরা হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় সরকারের ডিটেনশন ফ্যাসালিটিজ ও ফস্টার কেয়ারে রাখা হয়েছে তাদের। এভাবে শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার নীতির বিরোধিতা করেছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। মেলানিয়ার মুখপাত্র সিএনএন-কে জানান, ‘পরিবারের কাছ থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার দৃশ্যকে মেলানিয়া ঘৃণার চোখে দেখেন। তিনি আশা করেন, কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই পক্ষ শেষ পর্যন্ত অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রশ্নে একমত হতে পারবে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প শিশুদের এই বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী করছেন ‘ডেমোক্র্যাটদের প্রণীত’ আইনকে। তবে অতীতের অভিবাসন নীতির সঙ্গে সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পার্থক্য টানতে গিয়ে সমালোচকরা উল্লেখ করেছেন সে দেশের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্তকে। ডিপার্টমেন্টের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স-এর গত মাসে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, অপরাধী-নিরপরাধ নির্বিশেষে প্রথমবারের মতো কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। শিশুদের যেহেতু অপরাধী বিবেচনা করার সুযোগ নাই, সে কারণে তারা পূর্ণ বয়স্ক অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন।

জেফ সেশন্স এ মাসে বাইবেলকে উদ্ধৃত করে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির পক্ষে যুক্তি হাজির করেন। বাইবেল থেকে সেইন্ট পলকে উদ্ধৃত করে সেশন্স বলেন,তিনি জনসাধারণকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে বলেছিলেন,কেননা স্রষ্টা তার নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারকে দিয়েছেন। অভিবাসন প্রশ্নকে এরসঙ্গে যুক্ত করে তিনি বলেন,‘আমাদের নীতি সাময়িকভাবে শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে তবে এই সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয় ও অন্যায্য নয়’। তবে মেলানিয়ার অবস্থান ভিন্ন। তিনি মনে করেন যাবতীয় আইন অনুসরণের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি দেশ হওয়া উচিত, যার শাসনকার্য পরিচালিত হবে হৃদয়গত বোধ দিয়ে।

উল্লেখ্য, ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকেই শিশুদের সুরক্ষার প্রশ্নটিকে মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন। সাইবার অপরাধ ও আফিমের মহামারী থেকে শিশুদের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেছে তাকে। গত মে মাসে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে মেলানিয়া বলেন, ভবিষ্যতেও তিনি শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন। শিশুদের নির্দিষ্ট একটি সমস্যার সমাধানে আটকে না থেকে শিশুদের সুরক্ষামূলক বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করার প্রত্যয় জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest