সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান

ভিক্ষুকরা আসছে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পে

দেশের খবর: ৬০ লাখ পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী চলছে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প। নতুন করে প্রকল্পের আওতায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় একসঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি ভিক্ষুক পুনর্বাসন কাজ করা হবে।

ফলে প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধন আনা হবে। দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া ভিক্ষুকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু-ছাগল কেনাসহ আয়বর্ধক কাজে ঋণ দেবে সরকার।

ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে ভিক্ষুকমুক্ত হয়েছে উপজেলাটি। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই ‘ভিক্ষুকমুক্ত কিশোরগঞ্জ উপজেলা’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্দিকুর রহমান।

এই উপজেলায় ৯৫১ জন ভিক্ষুককে চিহ্নিত করে মোট ১২টি সমিতিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে উপজেলা প্রশাসন প্রত্যেকটি ভিক্ষুকের জন্য ৪ হাজার ৬শ’ টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে। এর সমপরিমাণ টাকা বোনাস হিসেবে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প থেকে দেওয়া হয় প্রত্যেক ভিক্ষুককে। ১২টি সমিতিতে ৩৬ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয় প্রকল্প থেকে। ঋণ গ্রহীতাদের ৮ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হবে।

এখন কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুকমুক্ত। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি ও পশুপালনে ব্যস্ত। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সারাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার। দারিদ্র্যতার পাশাপাশি দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে চায় সরকার।

ভিক্ষুকদের প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবারও সংশোধন আনা হবে। এই বিষয়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। সারাদেশের ভিক্ষুকদের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি অতি দরিদ্রপ্রবণ এলাকায় প্রকল্পের কাজের পরিধি আরও বিস্তার করা হবে। তবে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় কত বাড়বে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক নজির আহমদ বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। এই লক্ষ্যে প্রকল্পটি আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা পাইলট প্রকল্পটি হিসেবে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে পেরেছি। এরই আলোকে সারাদেশের সব ভিক্ষুককে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে দারিদ্র্যের হার এক নয়।
ফলে যেখানে দারিদ্র্য বেশি ওইসব এলাকায় প্রকল্পের কাজ আরও প্রসারিত করা হবে। বিশেষ করে নদীভাঙন, পাহাড়ি, উত্তরবঙ্গ এলাকায় প্রকল্পের কার্যক্রম বাড়নো হবে।

প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, তৃণমূলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা, তাদের সঞ্চয়ে উৎসাহ দেওয়া, সদস্য সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমাণ অর্থবোনাস দেওয়া, সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। এছাড়া রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পুঁজি গঠনে সহায়তা করা ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করাসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা।

এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ হাতে নেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রকল্পটি ফের চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।

ওয়ার্ডগুলোর অধীনে প্রতিটি গ্রামে ৬০টি গরিব পরিবারের সমন্বয়ে একটি গ্রাম-উন্নয়ন সমিতি গঠন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৫ লাখ দরিদ্র পরিবার এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রকল্পের আওতায় সরকার ৩ হাজার ১৩২ কোটি টাকা ব্যয় করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিয়ে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ। এসব পরিবারের মূলধন এখন ৪ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। যেখানে সরকার মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। একজন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন। একবার পরিশোধ করে পুনরায় ঋণ নিতে পারবেন।

প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আকবর হোসেন বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিয়ে প্রতি মাসে স্বাবলম্বী পরিবারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দরিদ্রতা নিরসনে সারাদেশে প্রকল্পের কার্যক্রম সফলভাবে চলছে। আরও অধিক মানুষের দরিদ্রতা নিরসনে প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির মতোই ব্যর্থ নেইমার, হতাশার ড্র ব্রাজিলের

খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপে অঘটনের তালিকা আরো দীর্ঘ হল ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে রুখে দিল সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে গিয়েও নেইমাররা ১-১ গোলে ড্র করে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

এর আগে ড্র হয়েছে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ডের ম্যাচও।

‘ডি’ গ্রুপে আইসল্যান্ডের কাছে আর্জেন্টিনার আটকে যাওয়া ও ‘এফ’ গ্রুপে মেক্সিকোর কাছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির হার কার্যত রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই অঘটন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রথমার্ধে কৌতিনহোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ২০ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাহির থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান। তবে বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫০ মিনিটের মাথায় সুইসদের সমতায় ফেরান স্টভেন জুভের।

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় রস্তব অন-ডন এরেনায় শুরু হয় ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১২

দেশের খবর: নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পিকাআপের মুখোমুেখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০জন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ রবিবার (১৭ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিকআপ ভ্যানটি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরীতে পিকনিক শেষে নীলফামারী ফিরছিলো। এসময় দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি নাইট কোচ পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা দিলে এটি উল্টে যায়। এতে পিকাআপ ভ্যানে থাকা আট জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার আরও চারজন মারা যায়।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাজাহান পাশা দুর্ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোস্টারিকাকে হারাল সার্বিয়া

খেলার খবর: গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে সার্বিয়া। অধিনায়ক আলেক্সান্দার কোলারভের গোলে কোস্টারিকাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো জয় পেল দলটি।

২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপ সার্বিয়া শুরু করেছিল ১-০ গোলে হেরে। ২০১৪ সালে বাছাই পেরুতে ব্যর্থ হওয়া দলটি সামারা অ্যারোনায় রবিবার কোস্টারিকার সঙ্গে প্রথম দেখায় জয়ের স্বাদও নিয়েছে।

গোলশূন্য প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে কোস্টা রিকার ওপর আধিপত্য করে সার্বিয়া। গনসালেস ফাঁকায় থেকেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে কোস্টা রিকাকে হতাশ করার পর চতুর্দশ মিনিটে সার্বিয়ার আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের শট এক খেলোয়াড়ে গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টালেও কেইলর নাভাসের গ্লাভসে জমে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় সার্বিয়ার। মিলিনকোভিচ-সেভিচের লব থেকে পাওয়া বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাভাসের গায়ে মারেন মিত্রোভিচ।

৫৬তম মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি সার্বিয়াকে। ২৫ গজ দূর থেকে এএস রোমার ডিফেন্ডার কোলারভের দুর্দান্ত বাঁকানো ফ্রি কিক কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা নাভাসও বলের নাগাল পাননি।

৭৬তম মিনিটে মিলিনকোভিচ-সেভিচের বাড়ানো ক্রস নাভাস ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্লাভস ছোঁয়াতে ব্যর্থ হওয়ার পর বল যায় মিত্রোভিচের পায়ে। কিন্তু ফুলহ্যামের এই ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ফাঁকা জালে বল ঠেলতে পারেননি। শেষ দিকে মিত্রোভিচ তালগোল পাকিয়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন।

সমতায় ফেরা গোলের জন্য শেষ দিকে মরিয়া হয়ে ওঠে কোস্টা রিকা। কিন্তু উরুগুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গত বিশ্বকাপ শুরু করা দলটি এবার শুরুতে চমক দেখাতে পারল না।

আগামী শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সার্বিয়া। একই দিন মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-কোস্টারিকা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সালমান খানের বাজিমাত

খেলার খবর: বক্স অফিসে সালমান খানের পা রাখা মানে চোখ বন্ধ করে কালেকশন ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া৷ নিন্দুকরা যতই খারাপ রিভিউ দিক না, এসবের ধার ধারেন না ভাইজান৷ তার ছবি কম ব্যবসা করবে এ তো দুঃস্বপ্নেও কেউ কখনও ভাবে না৷

ভাববেই বা কীকরে? প্রথমদিনেই যে জাদু তার ছবি দেখায় তা অন্য কোনও ছবির পক্ষে বেশ কঠিন৷ এবারেও তার অনথ্য হল না৷ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘রেস থ্রি’৷ প্রথম দিনেই বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুড়িয়ে দিল ‘রেস থ্রি’৷ মুক্তির প্রথমদিন ব্যবসা করলেন ২৯.১৭ কোটি৷

দর্শক অবশ্য জানতেন যে, সালমান খান যে ছবিতে হাত দেবেন সেটাই ৩০০ কোটি পার করে যায়৷ তবুও ফ্যানদের উন্মাদনা তুঙ্গে৷ ‘রেস থ্রি’র বক্স অফিসের সব রেকর্ড ভাঙার পেছনে যে সলমনের ভক্তরাই দায়ি তা বলাই বাহুল্য৷ এ বছরের হাইয়েস্ট ওপেনিং ফিল্ম ছিল ‘বাঘি টু’৷ ২৫.১০ কোটি ব্যবসা করে এতদিন সেরার সেরার শিরোপা ‘বাঘি টু’রই ছিল৷ তবে সেই ১৫ জুন আসতেই শিরোপা গিয়ে উঠল ‘রেস থ্রি’র মাথায়৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোল করলেই ‘বিবস্ত্র’ হবেন সুপার মডেল!

খেলার খবর: একজন নয়, দু’জন নয়! গোটা পেরু জাতীয় ফুটবল দলেরই ‘গার্লফ্রেন্ড’ উনি! বিশ্ব ফুটবলে পেরু হয়তো এখনও কোনও সম্ভ্রম জাগানো নাম নয়। তবে এই বান্ধবীর সৌজন্যেই আলোচনায় গোটা পেরু দল। কে এই বুক কাঁপানো সুন্দরী? খোলসা করে বলাই যাক। তিনি নিশু কাউটি।

অনেক সুন্দরীই আলোচনায় আসেন তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য। গত ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডাচ পর্নস্টার যেমন বলে দিয়েছিলেন, দেশ বিশ্বকাপ জিতলে টপলেস হবেন। তবে এখানে স্বতন্ত্র নিশু। তিনি বলে দিয়েছেন, কাপ জিততে হবে না। প্রতিবার তার দল গোল করলেই নিজের বক্ষ উন্মোচন করবেন।

পেরু খেলতে নামলেই ক্যামেরা তাক করে সুপার মডেলের প্রতি। তবে শনিবার পেরু বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে হতাশ হতে হয়েছে তাকে। এবং বাকি পেরু ভক্তদেরও। কারণ, ডেনমার্কের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।

তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না নিশু। তিনি বলে দিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার ফ্রান্স এবং মঙ্গলবারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তিনি নিজের দেশের ফুটবলারদের উদ্দীপ্ত করতে হাজির থাকবেন গ্যালারিতে। এর আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নিজের বিবস্ত্র ছবি পোস্ট করেছিলেন। পেরুর বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন লা টেন-এর প্রচ্ছদেও তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন।

তবে নিশুর সবচেয়ে বিখ্যাত কীর্তি ঘটেছিল দু’বছর আগে। তিনি বলে দিয়েছিলেন, লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে যদি পেরুকে হারাতে পারে, তাহলে তিনি প্রকাশ্যেই বিবস্ত্র হয়ে উরুগুয়ের জার্সি পড়বেন। সেই ম্যাচেই এডিনসন কাভানি একমাত্র গোলে হারিয়েছিল পেরুকে। নিজের প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন তিনি।

যাই হোক, আপাতত পেরু ভক্তরা অপেক্ষা করছেন তাদের দেশের ফুটবলারদের সাফল্যের জন্য। কারণ, তারা গোল করলেই যে ‘কেল্লাফতে’!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদেও আন্দোলনে শিক্ষকরা, কাল থেকে লাগাতার অবস্থান

দেশের খবর: ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না, এমপিও না দিলে বাড়ি ফিরে যাব না। একদফা এক দাবি এমপিওভুক্তিকরণ চাই’ ঈদের সময়েও এমন স্লোগানে মুখরিত প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে। সারাদেশে ঈদ উৎসব পালিত হলেও সেই আনন্দে শরিক না হয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বললেন। সোমবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছেন।

এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১০ জুন থেকে টানা ৮ দিন ধরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমানের রাস্তায় সহস্রাধিক শিক্ষক এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

নানা স্লোগানে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষকরাও। নিজেদের অধিকার আদায়ে অনেক নারী শিক্ষক ছোট সন্তান রেখেই এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ঈদের মতো এমন আনন্দের দিনেও বেতন না পাওয়ায় তারা রাজপথে ঈদ পালন করেছেন। তাদের পারিবারের সদস্যরাও না খেয়ে আছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

তিনি বলেন, রমজান ও ঈদের জন্য আমাদের আন্দোলন (অবস্থান কর্মসূচি) অর্ধবেলা হলেও আজ থেকে দিনরাত কর্মসূচি পালিত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিভুক্ত করা না হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথেই অবস্থান করব।

আন্দোলনরত বরিশালের জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, বিগত ১৮ বছর ধরে আমি শিক্ষকতা করছি। টিউশনি করে চলতে হয়। কোনো বেতন পাই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স করে শিক্ষাকতা পেশায় এসে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বিয়ে পর্যন্ত করতে পারিনি। বর্তমানে ছোট বোনের বিয়ের খরচ যোগাতে পারছি না। শিক্ষকতা পেশায় এসে কি তাহলে ভুল করেছি? বাধ্য হয়ে এখন আন্দোলনে যোগ দিয়েছি।

তার মতোই এমন সহস্রাধিক শিক্ষক দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করে বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার পরিজনদের মুখে খাবার তুলে দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই জীবনবাজি রেখে তারা ঢাকায় এসে এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।

তারা অভিযোগ করেন, তাদের শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, কিন্তু অন্ন যোগাতে বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা দেয়া হয় না। তারা ঈদের আনন্দ নয়, বেতনের নিশ্চয়তা চান।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা আরও বলেন, আমরা বেতন-ভাতার জন্য পরিবার ছেড়ে রাজপথে নেমেছি। ঈদের দিনেও পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারিনি। একটু মিষ্টি মুখে দেয়ার ভাগ্য হয়নি। শিক্ষকতা করে কি আমরা অপরাধ করছি? তাই ন্যায্য দাবি আদায়ে আমাদের স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।

এর আগে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে নামে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারি ফেডারেশন। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা অনশন ভঙ্গ করে ফিরে যায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তখন তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন।

সারাদেশে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে।

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব প্রতিষ্ঠানকে এখনো এমপিওভুক্ত না করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে দিল মেক্সিকো

খেলার খবর: সবশেষ বিশ্বকাপে জার্মানি প্রথম গোল হজম করেছিল ১৯৯৮ সালে। ওইবারও প্রতিপক্ষ ছিল মেক্সিকো। কিন্তু ২-১ গোলের ঘুরে দাঁড়ানো জয় পেয়েছিল জার্মানরা। এবার হলো না অতীতের পুনরাবৃত্তি। মেক্সিকোর চমৎকার সব কাউন্টার অ্যাটাকে তটস্থ হয়ে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রবিবার ‘এফ’ গ্রুপের লড়াইয়ে দারুণ শুরু হলো মেক্সিকোর। পঞ্চমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়ে জার্মানির বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা। অন্যদিকে এই ম্যাচ হেরে কঠিন গ্রুপের পথচলা আরও জটিল হয়ে গেল জার্মানদের। পরের দুই ম্যাচে সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। নয়তো ইতালি ও স্পেনের মতো লজ্জায় পড়তে হবে তাদের। চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলতে নেমে ২০১০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপেই বিদায় নিয়েছিল ইতালি ও স্পেন। প্রথম ম্যাচ হেরে এবার সেই শঙ্কায় থাকছে ইওয়াখিম ল্যোভের দল।

শুরু থেকেই দারুণ খেলেছে মেক্সিকো। ২ মিনিটে ইরভিং লোসানো বাম দিক দিয়ে দ্রুত গতিতে ডিবক্সে ঢুকে যান। জেরোম বোয়াটেং প্রতিহত করেন তার চেষ্টা। তৃতীয় মিনিটে ইয়াশুয়া কিমিখের থ্রো থেকে টিমো বেয়ারনার বল নিয়ে জার্মান বক্সে পৌঁছে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু গোলপোস্টের একটু দূর দিয়ে বল চলে যায়।

১০ মিনিটে মানুয়েল নয়ারের কঠিন পরীক্ষা নেয় মেক্সিকো। জার্মানির দুর্বল মাঝমাঠের সুযোগ নিয়ে এক্তর এরেরা দূর থেকে শট নিয়েছিলেন। কোনোভাবে বলটা হাতের মধ্যে নিয়ে নেন জার্মান গোলরক্ষক।

টোনি ক্রসের হ্যান্ডবলে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো ১৪ মিনিটে। ডিবক্সের মাঝে থেকে হেক্তর মোরেনো হেড করেছিলেন। কিন্তু নয়ারকে খুব বেশি ভুগতে হয়নি তাকে রুখে দিতে।

১৫ মিনিটে সুযোগ পায় জার্মানি, কিমিখ ডানদিক থেকে পোস্টের দিকে বল বাড়ান। খেদিরা বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন। সালসেদো দ্রুত বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে বিপদমুক্ত করেন।

২০ মিনিটে বেয়ারনারের দুর্বল শট জড়ায়নি জালে। দুই মিনিট পর গিয়েরমো ওচোয়া দূর থেকে নেওয়া ক্রোসের লম্বা শট ঠেকান।

মুহুর্মুহু আক্রমণে তটস্থ হয়ে পড়ে জার্মান রক্ষণভাগ। কিন্তু পারেনি তারা সেটা রক্ষা করতে। ৩৫ মিনিটে হাভিয়ের এর্নান্দেস বাঁ দিকে বল ঠেলে দেন, লোসানো কাট করে ঢুকে যান বক্সে এবং লক্ষ্যভেদ করেন শক্তিশালী শটে।

চার মিনিট পর আবারও ওচোয়া মেক্সিকোর ত্রাতা হন। ৩৯ মিনিটে ক্রোসের চমৎকার ফ্রি কিক আঙুলের আলতো ছোঁয়ায় পথভ্রষ্ট করেন এই গোলরক্ষক।

প্রথম ৪৫ মিনিটে সব মিলিয়ে শট হয়েছে ৯টি। ২০০৬ সালে টোগো ও ফ্রান্সের ম্যাচের পর সবচেয়ে বেশি।

প্রথমার্ধ মেক্সিকো শেষ করে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে। বিরতির পর গোলের জন্যে হন্যে হয়ে থেকেছে জার্মানি। কিন্তু বল কখনও রুখে দিয়েছেন মেক্সিকান ডিফেন্ডাররা, আবার কখনও গোলপোস্টের উপর দিয়ে গেছে মাঠের বাইরে।

তবে বিরতির পর প্রথম সুযোগ তৈরি করেছিল মেক্সিকো। এর্নান্দেস লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ হলে বল পাঠান ভেলার কাছে। কিন্তু বল নিজের পায়ে রাখতে পারেননি তিনি।

৬৫ মিনিটে বোয়াটেংয়ের ক্রস থেকে কিমিখ চমৎকার অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিক নেন। সেটা জালে জড়ায়নি। ওচোয়ার মাথার ওপর দিয়ে বল পড়ে জালের উপরে। দুই মিনিট পর ড্রাক্সলারে শট মেক্সিকোর ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে এলে বেয়ারনারের ভলি গোলবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৭০ মিনিটে এর্নান্দেস বল নিয়ে বক্সে ঢুকলে ম্যাট হামেলসের চ্যালেঞ্জে পড়ে যান। মেক্সিকোর পেনাল্টির জোর আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি।

এই ম্যাচে ৭৪ মিনিটে আন্দ্রেস গার্দাদোর বদলি নেমে ইতিহাস গড়েন রাফায়েল মারকেস। স্বদেশী আন্তোনিও কারবাজাল ও জার্মান লিজেন্ড লোথার ম্যাথাউসের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপে খেলার কীর্তি গড়লেন মেক্সিকোর অধিনায়ক।

অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারকে মাঠে পাওয়ার পর মেক্সিকো দুইবার সুযোগ নষ্ট করে। মিগুয়েল লাউনের দূরপাল্লার দুটি শট ৭৮ ও ৮২ মিনিটে গোলবারের খুব কাছ দিয়ে চলে যায়।

৮৪ মিনিটে ক্রোসের লম্বা শট সহজে ঠেকান ওচোয়া। ইউলিয়ান ব্রান্ট ৮৯ মিনিটে জার্মানিকে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বায়ার লেভারকুসেন মিডফিল্ডারের জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়।

আগামী ২৩ জুন সোচিতে জার্মানি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে সুইডেনের বিপক্ষে। একই দিন রোস্তভে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে শীর্ষে থাকা মেক্সিকো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest