সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী স্কুল অব আর্টে দাউ দাউ আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো স্কুল অব আর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এ ঘটনার শিকার হলো স্কুলটি। শনিবার সকালে স্কুলের ম্যাকিনটোশ ভবনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেই আগুন দেখতে দেখতে লাগোয়া ভবনসহ একটি নাইটক্লাবেও ছড়িয়ে যায়।

১২০ জনের বেশি অগ্নিনির্বাপককর্মী আগুন নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আগুন ধরার পর স্বয়ংক্রিয় সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটের দিকে। এসব তথ্য জানায় স্কটিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।

স্কটিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের ডেপুটি চিফ অফিসার আইয়ান বুশেল বলেন, এটা দারুণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল পরিস্থিতি ছিল। চার ঘণ্টা আগেও তিনি জানিয়েছেন যে, আগুন নেভাতে দারুণ বেগ পেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত বা নিহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।

ম্যাকিনটোশ ভবনটির ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত স্থপতি চার্লস রেনি ম্যাকিনটোশ। ২০১৪ সালে আরেক অগ্নিকাণ্ডে ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই এই ভবনের সম্প্রসারণসহ মেরামতের কিছু কাজ চলছিল। আগামী বছর খুলে দেয়া হতো এটি।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন তার টুইটবার্তায় বলেন, সবাই নিরাপদে আছেন। কিন্তু গ্লাসগোর স্কুল অব আর্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রেললাইনের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েন সুমন জাহিদ-প্রত্যক্ষদর্শী শিশুর বর্ণনা

অনলাইন ডেস্ক: ট্রেন আসার শব্দ শুনে রেললাইনের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েছিলেন সুমন জাহিদ। ঘ টনাস্থলে থাকা এক শিশু ও এক নারী তাঁকে সরতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি সরেননি। একপর্যায়ে শিশুটি তাঁর পা ধরে টানলে তিনি লাথি মেরে শিশুটিকে সরিয়ে দেন। এরপরই দ্রুত গতির ট্রেনটি তাঁকে দ্বিখণ্ডিত করে চলে যায়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীনের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন জাহিদের দ্বিখণ্ডিত লাশ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাগিচা-সংলগ্ন রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার এমনটাই বর্ণনা দিচ্ছে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিশু। নাদিয়া আক্তার নামের শিশুটি খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছোট। তার মা নুরুন্নাহার বেগমের চায়ের দোকানটি ঠিক ঘটনাস্থলেই।

লাশ উদ্ধারের পর সুমনের স্বজনেরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পলাতক দুই যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জানান স্বজনেরা। পুলিশও বিষয়টি জানত। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করার পরামর্শও দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ঘটনার সময় নাদিয়াদের চায়ের দোকান বন্ধ ছিল। সে আরও তিনটি শিশুর সঙ্গে সেখানে খেলছিল। তাদের বাসাটিও ঘটনাস্থল থেকে ১৫-২০ কদম দূরে। আজ শুক্রবার দুপুরে সেখানে গেলে সুমন জাহিদের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেয় নাদিয়া। এ প্রতিবেদক যখন ঘটনাস্থলে যান, তখন বাজার থেকে চাল-ডাল, সেমাই কিনে মায়ের সঙ্গে ফিরছিল সে।

নাদিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা করে দোকানের সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল সে। তখন একটি লোককে (সুমন জাহিদ) সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। কিছুক্ষণ পর তিনি এসে দোকানে তার পাশে বসেন। নাদিয়া বলছিল, ‘আমি কেমন আছি তা জানতে চান লোকটা। বলি, ভালো আছি।’

সুমন জাহিদেসুমন জাহিদকিছুক্ষণ পর আরেক নারী এসে সেখানে বসেন। তিনিও নাদিয়াকে নানা প্রশ্ন করেন। একটু পরেই ট্রেন আসার শব্দ শোনা যায়। নাদিয়া বলে, ট্রেনের শব্দ শুনে সুমন চায়ের দোকানের পাটাতনের ওপর থেকে মাটিতে বসে পড়েন। নাদিয়া তখন তাঁকে সেখান থেকে উঠতে বলে। ঘটনাস্থলে থাকা নারীও সুমনকে উঠতে বলে রেললাইন পার হয়ে চলে যান।

নাদিয়া বলে, নারীটি যাওয়ার পরপর সুমন তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘সত্যি ট্রেন আসতেছে?’ নাদিয়া তাঁকে উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ সত্যি ট্রেন আসতেছে।’ নাদিয়ার মুখে পরবর্তী ঘটনার বর্ণনা, ‘তখন উনি (সুমন) ওখানে শুয়ে পড়েন। আমি বলি শুয়ে পড়ছেন কেন, ওঠেন। আমি পা ধরে টান দিই। তিনি তখন আমারে লাথি মেরে ফেলে দেন সেখান থেকে। ততক্ষণে ট্রেন আইসা গেছে। আমি উইঠা দাঁড়ায় চোখ বন্ধ কইরা ফেলি। চোখ খুইলা দেখি তাঁর মাথাটা রেললাইনের মাঝে পইড়া আছে। আমি দৌড়ায়া আম্মুর কাছে গিয়ে বলি। আম্মু আইসা কাপড় দিয়ে লাশ ঢাইকা দেয়।’

নাদিয়ার মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ১৫-২০ দিন ধরে তিনি ওই ব্যক্তিকে (সুমন) এই জায়গা দিয়ে চলাফেরা করতে দেখেছেন। যেই ফতুয়া ওনার গায়ে ছিল, সেই ফতুয়া গায়ে দিয়েই তিনি চলাফেরা করতেন। আরও মানুষও তাঁকে দেখেছে। যেই জায়গা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান দিয়ে তিনি রেললাইনের এপার থেকে ওপারে যেতেন, আবার ওপার থেকে এপারে আসতেন।

নুরুন্নাহার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাজার থেকে মাছ কিনে ফেরার সময় তিনি সুমনকে তাঁর দোকানে বসে থাকতে দেখেন। তখন তিনি সুমনের কাছে জানতে চান, ‘বসে আছেন কেন?’ তাঁর জবাব ছিল, ‘ভালো লাগছে না তো, এ জন্য বসে আছি।’ এরপর নুরুন্নাহার বাসার দিকে চলে যান। হাত থেকে মাছের ব্যাগটি রাখতে না রাখতেই নাদিয়া কাঁদতে কাঁদতে এসে তাকে বলে, ‘আম্মাগো আম্মাগো, আমার পাশে যে লোকটা বইসা ছিল, সে আত্মহত্যা করছে।’ তারা তখন দৌড়ে ঘটনাস্থলের দিকে যান।

সুমন জাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। থানা-পুলিশ ছাড়াও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং গোয়েন্দা বিভাগও ঘটনার তদন্ত করছে। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলেন, নাদিয়া, তার মা এবং আশপাশের আরও লোকজনের জবানবন্দি তাঁরা নিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চান না। ঘটনার সবদিক তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াসিন বলেন, সুমন জাহিদ ছিলেন ফারমার্স ব্যাংকের শান্তিনগর ব্রাঞ্চের সেকেন্ড অফিসার। সেখানে নিজের আত্মীয়স্বজনের কিছু টাকা তিনি বিনিয়োগ করছিলেন। পাঁচ মাস আগে ব্রাঞ্চটি বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর চাকরিও নেই। এ বিষয়গুলোর কোনো প্রভাব আছে কি না, তা–ও তারা খতিয়ে দেখছেন।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেশি আমিষ খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: আমিষ মানব দেহ গঠনের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। এটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ অনু বলা হয় যা কোষ গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এছাড়াও দেহের প্রত্যঙ্গগুলো এবং টিস্যু বা কলা নিয়ন্ত্রণ করে। নিসন্দেহে এটি অন্যতম মৌলিক ভূমিকা পালনকারী।

তার অর্থ এই নয় যে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে আমিষ খেতে হবে। আমিষ খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তা না হলে উপকারের চেয়ে অপকারের আশঙ্কাই বেশি। মানবদেহের মাত্র ৭% আমিষ, ৭০% পানি, ২০% চর্বি, ২ বা ৩% বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দিয়ে গঠিত।

সুস্থ দেহে কতটুকু আমিষ প্রয়োজন? গবেষণা অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষ মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ গ্রাম আমিষ খেতে পারবেন। এরমধ্যে ৮৫ শতাংশ আমিষ উদ্ভিদ থেকে গ্রহণ করতে হবে। যেমন- সশ্য, বীজ, শাক, সবজি, বাদাম ইত্যাদি থেকে প্রাকৃতিক আমিষ পেতে পারি। আর বাকি ১৫% প্রাণীজ আমিষ থেকে আমাদের দেহের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে, শিম জাতীয় বীজ, শাক, সবজি, বাদাম ও বীজ ইত্যাদিকে বলা হয় লাইভ ফুড বা জীবন্ত খাদ্য। অপরদিকে মানুষের তৈরী বা মুখরোচক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরী যেকোনো খাবারই দেহের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোকে বলা হয় ডেড ফুড বা মৃত খাদ্য। এগুলো অ্যাডিকটিভ উপাদান মিশিয়ে তৈরী করা হয় যা দেহের কোনো উপকার করে না।

মনে রাখতে হবে, মানুষ আমিষ ও নিরামিষ সবই খাবে তবে প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী। শুধু আমিষ বা শুধু নিরামিষ খেলে দেহ প্রয়োজন মতো তার উপাদানগুলো পাবে না। ফলে শারিরিক সমস্যা দেখা দেবে।

দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠনের দিক থেকে মানুষ একই সাথে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রাণী। মাংসাশী প্রাণী কোনো শস্য বা তৃণ খায় না অথবা একেবারেই কম পরিমাণে খায়। অপরদিকে মানুষ মাংসাশী হলেও তাদের গঠন প্রক্রিয়াটি বেশিরভাগ নিরামিষভোজী। খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ার দিক থেকে মানুষের ক্ষেত্রে এটিই প্রাকৃতিক ব্যখ্যা।

ফলে মানুষ যদি মাংশাশী প্রাণীর মতো শুধুমাত্র প্রাণীজ আমিষ বা ৭০% প্রাণীজ আমিষ বা মাংসজাত খাদ্য ও দুধ গ্রহণ করে, তাহলে ক্যানসার, ডায়েবেটিস, থাইরয়েড, মুটিয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা লাইফ স্টাইল জনিত নানা রোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকি থাকে।

তবে অরগানিক মাছ, ঘাস খেকো প্রাণীর মাংস, ঘি, অরগানিক মুরগী দেহের জন্য উপকারি। সবচেয়ে বড় কথা, খাবারগ্রহণে পরিমিতিবোধ ও সংযম থাকতে হবে।

যতো বেশি আমিষ খাবেন, দেহে ততোবেশি অ্যাসিড উতপন্ন হবে, বিপাক বা রাসায়নিক বিক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হবে এবং দেহে ছত্রাকজনিত বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

তাহলে কী খেতে হবে?
১। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি।
২। অলিভ অয়েল, মেডিসিনাল নারিকেলের তেল, বাদাম, বীজ, অ্যাভোক্যাডো, তিষি, তিলের তেল, গ্রাস ফেড ঘি বা বাটার খেতে হবে
৩। ৮৫%সশ্যজাত আমিষ খেতে হবে। যেমন-ডাল, ছোলা। এবং ১৫% প্রাণীজ প্রোটিন।
৪। বাদাম জাতীয় খাবার- কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, অলনাট, পাইন নাটস, ব্রাজিল নাটস ইত্যাদি।
৫। বাছাইকৃত শরকরা- কুইনোয়া, লাল আটা, লাল চাল, কালো চাল, মিষ্টি আলু ও জব খেতে হবে। এগুলো মোট খাদ্যের ১৫% থাকবে।
৬। ফলের পরিমাণ সামান্য। যেমন- আপেল, বেদানা, পেপে, ডুমুর, আনারস। এগুলোতে প্রচুর অ্যানজাইম রয়েছে যা বিপাক প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

এই খাদ্যাভ্যাস রপ্ত করতে পারলে প্রকৃতির মতোই সবুজ জীবন পাওয়া যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ইদুল ফিতর

এম. বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরা: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় ও পালিত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল ফিতর।
শনিবার সকাল ৮টা জেলা শহরের প্রধান ঈদের জামাত মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দীন, জাতীয় দলে খেলা.ক্রিকেটার রবিউল ইসলামসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিক কর্মী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে একাডেমিক মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় ঈদের জামাত।
নামায শেষে পরম করুনাময় মহান আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ঐক্য ও সংহতি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
এদিকে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সাতক্ষীরা আহলেহাদীসের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখার হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া কালেক্টরেট চত্বর, পুলিশ লাইন, সাতক্ষীরা স্টোডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং শহরের বাইরে বিভিন্ন স্থানেও ঈদের জামাত শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়
অন্যদিকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা সকল স্তরের মানুষের সাথে মিলিত হন পুলিশ লাইন চত্বরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বকাপ মিশন জয় দিয়ে শুরু করতে মুখিয়ে মেসিরা

খেলার খবর: রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। আজ শনিবার এই বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। দলকে তৃতীয়বারের মত শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিতে দলটির নজর এখন লিওনেল মেসির দিকে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই তারকা ফুটবলারের চমক দেখতে মুখিয়ে আছেন তার ভক্তরাও।

আজ ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে চায় আর্জেন্টিনা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া আইসল্যান্ড চায়, ভালো কিছু করে দেখাতে।

বাংলাদেশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের লড়াই।

অনেকটা ভাগ্যের জোড়েই বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনা। বাছাই পর্বে ১৮ ম্যাচে ৭ জয়, ৭ ড্র ও ৪ হারে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে তৃতীয়স্থান পেয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট কাটে হর্হে সাম্পাওলির শিষ্যরা। তবে সেসব এখন অতীত।

আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলি বলেন, অতীত এখন আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা ভবিষ্যত নিয়েই চিন্তা করছি। দল হিসেবে আমরা এখন অনেক বেশি গোছানো। আশা করি আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে।

বিশ্বকাপ শুরুর তিনদিন আগেই রাশিয়ায় পৌঁছায় আর্জেন্টিনা। ইতিমধ্যে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরোরা। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রস্তুত তারা।

গত আসরে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্য নিয়ে শেষ ষোলোতে উঠে আর্জেন্টিনা। এরপর সেখান থেকে টানা তিন জয়ে ফাইনালেও জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনা।

তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিততে ফাইনালে জার্মানির মুখোমুখি হয় মেসির দল। কিন্তু পুরো ফাইনাল ম্যাচে ভালো খেলেও অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে এক গোল হজম করে বিশ্বকাপে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে পারেনি আর্জেন্টিনা। তাই রানার-আপের তকমা গায়ে এটে ২১তম বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা।

চলতি বছর বিশ্বকাপের প্রীতি ম্যাচের আগে গেল মার্চে দুটি খেলায় অংশ নেয় আর্জেন্টিনা। এবারের আসরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব টপকাতে না পারা ইতালির বিপক্ষে ২-০ বিপক্ষে জয় পায় সাদা-নীল জার্সিধারিরা। তবে পরের ম্যাচে স্পেনের কাছে ৬-১ গোলের হারের লজ্জা পায় আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে গ্রুপ ‘আই’ থেকে ১০ খেলায় ২২ পয়েন্ট নিয়ে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আইসল্যান্ড। এই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পেল তারা। তাই প্রথমবারের মত পাওয়া সুযোগটা স্মরণীয় করে রাখতে মুখিয়ে আছে আইসল্যান্ড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরাবাসীকে পুলিশ সুপারের ঈদ শুভেচ্ছা

সাতক্ষীরাবাসীসহ সকলকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মানে আনন্দ, ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ উৎসব, উচ্ছাস আর আনন্দের ঝলকানি সর্বত্র। মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ধনী গরীবের ব্যবধান দূরীভূত হয়। শহর ও গ্রামের মেঠো পথ গুলোতে আগতদের হাটাচলার ধুম। ক্লান্তিহীন যাত্রা আর বিরামহীন পথচলা, নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা মানুষগুলোর জন্য কেবল সড়ক ও মহাসড়ক গুলো জনবহুল এবং কর্মচাঞ্চল্যে পূর্ণতা পাচ্ছে তা নয়, নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষগুলো পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবে। তাই সব ধরণের বন্ধুর পথকে অতিμম করার জন্য সাতক্ষীরা শহর ও গ্রামকে পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনা হয়েছে। নিরাপত্তা নির্বিঘেœ করতে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি

দেশের খবর: সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই জামাতে নামাজ আদায় করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ শনিবার সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। জামাতের মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় এবং দেশের সব সমস্যা দূর করতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।

ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বায়তুল মোকাররম এলাকা। গুনাহ মাফের জন্য দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ছাড়াও নামাজে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্পেন-পর্তুগাল কেউই যেতেনি জিতেছে রোনালদো

খেলার খবর: খেলা শুরুর আগেই দুঃসংবাদটি পেয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কর ফাঁকির অভিযোগে সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে স্প্যানিশ আদালত। সেই স্পেনের বিপক্ষেই কিনা দারুণ উজ্জীবিত ছিলেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। শুধু তাই নয়, রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করে দলকে পরাজয়ের হাত থেকেও রক্ষা করেন।

সোচিতে অনুষ্ঠিত স্পেন-পর্তুগালের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়েছে। ম্যাচে পর্তুগালের পক্ষে রোনালদো হ্যাটট্রিক করলেও, স্পেনের পক্ষে দিয়েগো কস্তা জোড়া গোল করেন।

এর আগে অবশ্য চতুর্থ মিনিটেই পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো, পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন তিনি। তবে এই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২৪ মিনিটে স্পেন গোলটি সমতা নিয়ে আসে স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তার গোলে।

১-১ গোলের সমতায় যখন প্রথমার্ধের খেলা শেষ হতে চলছিল, ঠিক তখনই রোনালদো ঝলক দেখান। ৪৪ মিনিটে ডি-বক্সের সামনে থেকে চমৎকার শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই রিয়াল তারকা। স্পেন গোলরক্ষের হাতফসকে বলটি জালে জড়ায়।

অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্পেন। ৫৫ মিনিটে দলের এবং ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করে খেলার সমতা ফেরান (২-২) কস্তা।

আর তিন মিনিট পর নাচো স্পেনকে এগিয়ে দেন (৩-২), বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে। তাঁর শট সাইডবারে লেগে জালে জড়ায়।

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পর সাবেক চ্যাম্পিয়নরা পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে নেয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবার ঝলক দেখান রোনালদো। বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার এক ফ্রি-কিকে গোল করে দলকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেন। আর নিজের ঝুলিতে রাখেন আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক।
রোনালদোর হ্যাটট্রিকে পর্তুগালের এই ড্র অনেকটা জয়ের সমান। এই ড্রয়ের ফলে দুই দল এক পয়েন্ট করে পেয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest