সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের পরিচিতি সভাসীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি ইমন – সম্পাদক লিংকন,সাতক্ষীরায় জেলা তাঁতীদলের সভাপতি রিপন – সম্পাদক সাহেব আলীআশাশুনিতে এক রাতে ৪ দোকানে দুঃসাহসীক চুরিসাতক্ষীরা সদরে বাঁশদহা সমাজকল্যাণ পরিষদের অফিস উদ্বোধনউত্তর-পশ্চিম কাটিয়া জামে মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা : প্রতিবাদে মানববন্ধনআশাশুনিতে কিশোরীকে অপহরনের অভিযোগ: ৮ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশশ্যামনগরে কিশোর কিশোরী-যুবদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচ ও গ্রামীণ খেলাধুলা  সাতক্ষীরা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী  তালায় হাজরাকাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৫ মে থেকে শুরু মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আটক হয়েছেন ১৩ হাজার। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঘোষণার পর এই হত্যাকাণ্ড বেশি হচ্ছে।

জায়েদ রাদ আল হোসেন বলেন, ‘এত মানুষকে হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর সরকার বলছে, নিহতরা কেউই নির্দোষ নয়। বিশাল এই অভিযানে ভুল হতেই পারে।’ সরকারের এমন বক্তব্য খুবই বিপজ্জনক ও আইনের প্রতি অসম্মান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ মাদক সেবন বা বিক্রির কারণে মানবাধিকার হারাতে পারে না। নির্দোষদের রক্ষা করে দোষীদের আইনের আওতায় এনেই অপরাধ দমন করতে হবে।’

শত শত আটকের ঘটনায় জায়েদ রাদ আল হোসেন বলেন, ‘এত মানুষকে আটক করলে বোঝাই যাচ্ছে, অনেককে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আটক করা হয়নি। অনেকেই মানবাধিকারবঞ্চিত হয়েছেন।’

মানবাধিকার হাইকমিশনার বাংলাদেশ সরকারকে ‘বিচারবহির্ভূত’ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন করা না হয়। গত সপ্তাহে জেনেভায় আমাকে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি এই ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান।

জায়েদ রাদ আল হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্তিতে বসবাসকারীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া যারা অসুস্থতার জন্য ওষুধ খান, তাদেরও মাদক সেবক আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই মাদকের এই মাত্রা খুবই বিপজ্জনক। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যা, আটক এই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমি জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযয়ী একটি নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের প্রশংসা করা উচিত উল্লেখ করে জায়েদ রাদ হোসেন বলেন, ‘সারাবিশ্বের কাছে তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবাধিকার বিষয়েও আমি সেই সম্মান অর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার ভারতকে সাত উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

খেলার খবর: মেয়েদের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের পর এবার ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চলমান এই টুর্নামন্টে বুধবার ভারতকে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪১ রান করে ভারত। জবাবে দুই বল বাকি থাকতেই মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাঘিনীরা। ভারতের বিপক্ষে ১০ টি-টোয়েন্টি ও ৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর এবার প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ নারী দল।
বাংলাদেশের মেয়েদের এটিই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ রান ছিল কেবল ১৩৭। আর রান তাড়ার দিক থেকে বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ছিল মাত্র ৯৫ রানের। তাই আগের সব রেকর্ডই এবার ভেঙে দিয়েছেন ফারজানা-শামীমা-রুমানারা।
ফারজানা ও রুমানা চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মেয়েদের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ফারজানা টি-টোয়েন্টিতে মেয়েদের সর্বোচ্চ ৫২ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ বলে এই রান করেন তিনি।
বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ৬টি চারের মারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন রুমানা। এছাড়া ওপেনার শামীমা ২৩ বলে ৭ চারে করেন ৩৩ রান।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সদর উপজেলা যুবলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবু সায়ীদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমর্থন

ন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা শেষে এ সমর্থনের কথা জানান।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের মত মাদকবিরোধী অভিযানের মত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাদক দেশের তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে নারী ও শিশুদেরও ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানের প্রসংশা করছে। কেন্দ্রীয় ১৪ দলও সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন দান করেছে।
মাদক দ্রব্য পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, সরকারের যে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সে অভিযান চলবে।
সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে সফল করতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহদাত হুসেইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকে। নির্বাচন কমিশন যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে তারা আইন অনুযায়ী নিয়োজিত থাকবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী ৭ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট অর্জনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য সফলতার জন্য আওয়ামী লীগ তাঁকে গণসংবর্ধনা দেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল সে সংবর্ধনায় অংশ নেবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নবনির্মিত দলীয় কার্যালয় উদ্ধোধন করবেন। সে অনুষ্ঠানেও যোগ দেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান নাসিম।
এর আগে গণ-আজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ নাসিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাঁঠালের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা!

স্বাস্থ্য ডেস্ক: কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।

কাঁঠাল এর বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus (ইংরেজী নাম: Jackfruit) মোরাসিয়া পরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের ফল। কাঁঠালের বেশ কিছু জাত রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে চাষকৃত জাতসমূহ মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। গালা ও খাজা – এ দুটি জাত ছাড়াও কাঁঠালের আরো জাত আছে। গালা ও খাজা কাঁঠালের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে রয়েছে ‘রসখাজা’। এছাড়া আছে রুদ্রাক্ষি, সিঙ্গাপুর, সিলোন, বারোমাসী, গোলাপগন্ধা, চম্পাগন্ধা, পদ্মরাজ, হাজারী প্রভৃতি। তন্মধ্যে শুধুমাত্র হাজারী কাঁঠাল বাংলাদেশে আছে, বাকীগুলো আছে ভারতে। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক কাঁঠালের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

১। ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা ও বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে:

ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এতে থাকা পানি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং মুখের ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখে। যার ফলে অকালে ত্বকে বলিরেখা পরে না।

২। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে:

কাঁঠাল হচ্ছে কপারের একটি খুব ভালো উৎস ফলে এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভালো ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যেকোনো কড়া ঔষধ খাওয়ার আগে কাঁঠাল খেয়ে দেখতে পারেন।

৩। গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনে:

কাঁঠালে থাকা পুষ্টি উপাদান গর্ভধারণ ও স্তন্যদানকালে বেশ উপকারি। এতে থাকা নায়াসিন গর্ভবতী নারীদের শক্তি বৃদ্ধি করে, হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

কাঁঠালে রয়েছে lignans, saponins ও isoflavones নামক ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট অর্থাৎ এই পদার্থগুলোতে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী রয়েছে। এই পদার্থগুলোর রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধক ক্ষমতা।

৫। অ্যাজমা প্রতিরোধ করে:

কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে রয়েছে অ্যাজমা প্রতিরোধের গুণাবলী। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুটিয়ে পানিটা খাওয়া হয় তাহলে অ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাজী আবদুল ওদুদের ‘শাশ্বত বঙ্গ’- কবির রায়হান

কবির রায়হান
কাজী আবদুল ওদুদের ‘শাশ্বত বঙ্গ’

 

সমগ্র বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে কাজী আবদুল ওদুদ একজন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও বিশিস্ট মানবতাবাদী প্রবন্ধকার। তিনি যখন প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন, তখন বাংলার মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রচলন কেবল শুরু হয়েছে। তাই, তৎকালীন সময়ে বাঙালী মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত বিতর্কিত প্রবন্ধকার। যেহেতু মুসলমান ঐতিহ্যের মধ্যেই তাঁর জন্ম, এজন্য বাঙালী মুসলমান সমাজের সংকট ও সম্ভাবনা, গোড়ামী ও ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা ও অনুদারতা তাঁর প্রবন্ধ সাহিত্যের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে। তখনকার সময়ে তাঁর মত প্রাগ্রসর, উন্নত ও আধুনিক চিন্তাধারার মুসলমান লেখক কম ছিলেন। প্রখ্যাত ছন্দ বিশেষজ্ঞ ও কবিসমালোচক আবদুল কাদির সাহেব কাজী আবদুল ওদুদকে বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম ভাবুক ও চিন্তাবিদ হিসেবে অভিহিত করেছেন ।

তিনি অর্থনীতি শাস্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রীধারী হয়েও সরকারী কলেজে বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এটা তাঁর সাহিত্য প্রীতি ও সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতি। বাংলার মুসলমান সমাজের জড়তা, অন্ধতা ও গোড়ামীর মুলোৎপাটন করে আধুনিকতা, সভ্যতা ও মানবতার ঝা-াকে উড্ডীন করবার অভিপ্রায়ে ১৯২৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। একদল তরুণ অথচ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক ছিলেন এই সমাজের সদস্য। এঁদেরই অগ্রনায়ক ও প্রানপুরুষ ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ। মুসলিম সাহিত্য সমাজের কর্মমন্ত্র ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। তিনি আজীবন এই জ্ঞান, বুদ্ধি ও মুক্তি সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন। বিতর্কিত হয়েও তিনি বুদ্ধির মুক্তির মূলমন্ত্র থেকে বিচ্যুত হননি। একজন ভাবযোগী সাধকের মত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে দুঃসাহসী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং উত্তর সুরীদের উপর তাঁর চিন্তাধারার প্রভাব অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে পড়েছিল।
বাংলা প্রবন্ধ ও সমালোচনা সাহিত্যে তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর লেখক। গত শতাব্দীর বিশের দশকের প্রারম্ভেই বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে কাজী আবদুল ওদুদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সাহিত্য জীবন ‘মীর পরিবার’ নামক ছোট গল্প গ্রন্থ দিয়ে শুরু হলেও তাঁর আসল ও প্রধান পরিচয় তিনি একজন পরিশ্রমী প্রবন্ধকার ও সমালোচক। তিনি সর্বমোট বাইশ খানা গ্রন্থের রচয়িতা। সাহিত্য, সমাজ, ধর্ম, দর্শন ও রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ রয়েছে। ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’ (দুই খ-), ‘কবিগুরু’ গ্যেটে (দুই খ-) ও শাশ্বত বঙ্গ’’- এই তিনখানা তাঁর কালজয়ী গ্রন্থ। এই তিনখানি গ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা প্রবন্ধ ও সমালোচনা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমি আমার আলোচনা তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘শাশ্বত বঙ্গের’ মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবো।

কাজী আবদুল ওদুদের ‘শাশ্বত বঙ্গ’ পাঁচশত পৃষ্ঠাব্যাপী এক সুবিশাল প্রবন্ধ গ্রন্থ। তাঁর পূর্বপ্রকাশিত ‘নজরুল প্রতিভা’, ‘আজকার কথা’, ‘হিন্দু মুসলমানের বিরোধ’, ‘সমাজ ও সাহিত্য’, নবপর্যায় এবং ‘রবীন্দ্র কাব্য পাঠ’ নামক ছয়খানা ছোট ছোট প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘শাশ্বত বঙ্গ’ প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। একারনেই গ্রন্থখানির কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মান সাহিত্য, সংস্কৃত সাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন ও রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে এই গ্রন্থখানিতে বিচিত্রমুখী আলোচনা লক্ষণীয়। জার্মান সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা- কবি গ্যেটের সাহিত্য সাধনায় মুগ্ধ, আবার সংস্কৃত সাহিত্যের কালপুরুষ মহাকবি কালিদাশ তাঁর কাছে একজন বিষ্ময়কর প্রতিভা। ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা তাঁর কাছে এক বিষ্ময়।

বাংলাদেশের প্রবন্ধকার আবদুল হক আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন- ‘শাশ্বত বঙ্গের’ শ্রেষ্ট প্রবন্ধ ‘সম্মেহিত মুসলমান’। বস্তুতপক্ষে ‘সম্মোহিত মুসলমান’ প্রবন্ধের ভাবতম্ময়তা, বিশ্লেষন ধর্মিতা ও ভাষার কাব্যধর্মীতার জন্য বাংলা সাহিত্যে একটি অনত্যম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ হিসাবে পরিগনিত হয়েছে।’ কাজী আবদুল ওদুদ ‘সম্মোহিত মুসলমান’ নামক প্রবন্ধে বলেছেন-‘যুক্তি বিচার যতই অপুর্ণাঙ্গ হোক, জীবন পথে বাস্তবিকই এ যে মানুষের এক অতি বড় সহায়। এর সাহায্যের অভাব ঘটলে পূর্বানুবর্তিতা পাষানভারের মতই মানুষের জীবনের উপরে চেপে বসে, দেখতে দেখতে তাঁর সমস্ত চিন্তা ও কর্ম প্রবাহ শুষ্ক ও শীর্ন হয়ে আসে’। এই প্রবন্ধের অন্যত্র বলেছন- ‘কোন সাধনার উত্তরাধিকার বংশসূত্রে নির্নীত হয় না, গতানুগতিক শিষ্যত্ব সূত্রেও নির্নীত হয় না, হয় সাধনা সূত্রেই’। যুক্তি, বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনা পূর্বক জীবন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে যেতে হবে। স্বকীয় কর্মপ্রয়াস ও নিরলস সাধনার ফলশ্রুতি হিসেবেই সাফল্যের জয়মাল্যে ভূষিত হওয়া যায়।

মোস্তফা কামাল পাশা আধুনিক মুসলিম জীবনে একজন প্রবল পরাক্রান্ত কর্মীপুরুষ ও রাষ্ট্রনায়ক। সমগ্র মুসলিম জগতে তুর্কী বীর কামাল পাশা সর্বপ্রথম ধর্মনিরপেক্ষ ইহজাগতিক চেতনায় উদ্দীপ্ত হন এবং তুর্কী জাতিকে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও গোড়ামীমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেন। এই কর্মীপুরুষ সম্পর্কে আলোচনা বাংলা ভাষায় তেমন হয়নি। কাজী আবদুল ওদুদ তাঁর ‘মুস্তফা কামাল সম্বন্ধে কয়েকটি কথা’ প্রবন্ধে বলেছেন- ‘মানুষের যে জাগতিক জীবন, এই জাগতিক জীবন যদি সুন্দর না হয়, সুব্যবস্থিত না হয়, তবে সত্যকার নৈতিক জীবন, আধ্যাত্মিক জীবন, তার পক্ষে সুদুরপরাহতই হয়ে থাকে’। একথা দিবালোকের মত স্পস্ট যে, অর্থনৈতিক জীবনই মানবজীবনের স্তম্ভস্বরূপ। মানুষের এই অর্থনৈতিক জীবন যদি নড়বড়ে হয়, অব্যবস্থিত হয়, তবে সেই মানুষ ও জাতির পক্ষে কোনো মহৎ কাজ আশা করা যায় না। তিনি উক্ত প্রবন্ধে আশা প্রকাশ করেন যে, ‘সত্যের আঘাত বড় প্রচন্ড। মুসলমানের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে গতানুগতিকতাকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে নব সৃষ্টির প্রয়োজন ও সম্ভাবনা দেখিয়ে, মুসলমান সমাজের বুকে কামাল যে সত্যকার আঘাত দিয়েছেন, আশা করা যায়, এই আঘাতেই আমাদের শতাব্দীর মোহ নিদ্রার অবসান হবে। ধর্মে, কর্মে জাতীয়তা, সাহিত্যে সমস্ত ব্যপারেই আমাদের ভিতরে স্থান পেয়েছে যে জড়তা, দৃষ্টিহীনতা, মনে আশা জাগছে, যেমন করেই হোক এইবার তার অবসান আসন্ন হয়ে এসেছে।’

কাজী আবদুল ওদুদ যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, আসলে কি মুসলমানের বিশেষ করে বাঙালী মুসলমানের সেই জড়তা ও দৃষ্টিহীনতার অবসান হয়েছে? বাঙালী মুসলমানদের গতানুগতিক ও নিরানন্দ বন্ধ্যা সাংস্কৃতিক জীবন পর্যবেক্ষন করলে এ কথা স্পস্টতই প্রতীয়মান হয় যে, তার মোহনিদ্রার অবসান তেমন ঘটেনি। পর্যাপ্ত আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটলেও তার জীবন দর্শনে ও জীবন জিজ্ঞাসায় এখনো পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকতা, ইহজাগতিকতা ও আধুনিকতার মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়নি। তিনি উক্ত প্রবন্ধের শেষাংশে বলেছেন- ‘জীবন-সমস্যার চরম সমাধান কোনোকালেই শেষ হয়ে যায়নি। নূতন করে সে সমস্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া আর তার মীমাংসা করতে চেষ্টা করা- এইই জীবন।’ মানুষের জীবনে সমস্যার অন্ত নেই। একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এসে মানুষের জীবনে অসংখ্য সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সমস্যা বিহীন জীবন অকল্পনীয়। তবুও মানুষ জীবন জিজ্ঞাসু মানুষ অগনিত সমস্যার সমাধানকল্পে ক্লান্তিহীনভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ পরিশ্রম ও সাধনা চলবে অনন্তকাল ধরে। তিনি এই প্রবন্ধের অন্যত্র বলেছেন- ‘হযরত ওমর আর হারুন-অর-রশীদ উভয়েই ছিলেন খলিফা, কিন্তু একজনের এফতারী ছিল চারটি ছোলা আর একজনের বাবুর্চিখানার দৈনিক খরচ ছিল দশ হাজার দিরহাম। অথচ হারুন-অর-রশীদকে মুসলমান ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া চলে না, বাদ দিলে মুসলমানের গৌরব সৌধের এক বিরাট স্তম্ভই ভূমিসাৎ হয়ে যায়। তেমনভাবে ইবনে রুশদ আর ইমাম গাজ্জালী দুজনেই মহাপন্ডিত মুসলমান, কিন্তু একজনের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান চিন্তার স্বাধীনতা, যুক্তি বিচার, আর একজন শাস্ত্র¿ানুগত্যকে শ্রেয়োলাভের এক বড় পথ বলেই জানেন।’ বাঙালী মুসলমান বৈচিত্রহীনতা, সংস্কৃতিহীনতা ও চিন্তাহীনতা থেকে মুক্ত হয়ে সবল, সুস্থ্য ও শক্তিশালী হয়ে উঠুক- কায়মনোবাক্যে কাজী আবদুল ওদুদ আমৃত্যু তাই কামনা করেছিলেন।

তিনি প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন একটা আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই। তিনি সাহিত্যকে কেবল মাত্র ভাবসর্বস্ব, কল্পনা সর্বস্ব ও কলানৈপুন্যের বাহন মনে করেননি। তাঁর আদর্শ ছিল বুদ্ধির মুক্তি। তিনি বলেছেন- ‘সাহিত্যের উদ্দশ্য জীবনের সমস্যার সমাধানের প্রয়াস। এই প্রয়াস জ্ঞাত সারেও হতে পারে, অজ্ঞাত সারেও হতে পারে। সাহিত্য হচ্ছে সৌন্দর্যময় জ্ঞান’। সাহিত্য সাধনাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বাঙালী মুসলমান সমাজের সংকট ও সম্ভাবনাই ছিল তার প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রধান বিষয়বস্তু। তিনি চেয়েছিলেন- বাঙালী মুসলমান জীবনের সর্বক্ষেত্রে গোড়ামী মুক্ত হোক, মোহমুক্ত হোক, জ্ঞানের সাধনায় দিগি¦জয়ী হোক, সমাজ, ধর্ম ও জীবন জিজ্ঞাসায় বস্তুনিষ্ঠ হোক; বস্তুবাদী ও ইহজাগতিক চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হোক; সৌম্য, নিরাসক্তও নিরপেক্ষভাবে জ্ঞান সাধনায় এগিয়ে আসুক, হয়ে উঠুক সর্বসংস্কার মুক্ত, আধুনিক ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী, চেতনা ও মন-মানসিকতায় হয়ে উঠুক উদার ও অসাম্প্রদায়িক, রাখুক বুদ্ধিকে পরিচ্ছন্ন ও নিষ্কলুষ এবং সর্বোপরি বেড়ে উঠুক একাধারে জাতীয়তাবাদী বাঙালী ও প্রগতিশীল মুসলমান হিসেবে। কাজী ওদুদের চিন্তা বিফলে যায়নি। তার প্রমান আজকের বাংলাদেশে একদল শক্তিশালী, উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষিত মানুষ তৈরী হয়েছে।

‘শাশ্বত বঙ্গ’ প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখক কাজী আবদুল ওদুদ বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও সাহিত্যে একজন মুক্ত বুদ্ধি সম্পন্ন উদার চিন্তাশীল অসাম্প্রদায়িক ও শক্তিমান প্রবন্ধকার এবং ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজ তথা বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের একজন অন্যতম প্রধান অগ্রপথিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইমরান এইচ সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে র‍্যাব

ন্যাশনাল ডেস্ক: গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে বুধবার রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিকেলের দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল র‍্যাব।

র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান রাত ১১টার দিকে  বলেন, ‘ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ইমরানের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখব।’ তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক।

ইমরান এইচ সরকার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, র‍্যাব তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাসার দিকে যাচ্ছেন। ইমরান বলেন, র‍্যাব তাঁকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। ইমরান আরও বলেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করছি। ভয়ের কি আছে। লড়াই চালিয়ে যাব।’

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহবাগ থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় র‍্যাব-৩-এর চারটি গাড়ি শাহবাগে ছিল।

চলমান মাদকবিরোধী কর্মসূচি ঘিরে বিকেল চারটার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি ছিল। ইমরান এইচ সরকারকে ওই কর্মসূচি থেকেই আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি র‍্যাব। প্রাথমিকভাবে র‍্যাব জানিয়েছিল, অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ায় ইমরানকে আটক করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতের যে কোন সময়ে বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামের আব্দুর সাত্তার সরদারের পুত্র আলহাজ্ব মোশাররফ সরদারের মৎস্য ঘেরে। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, বিষ প্রয়োগের ফলে ঘেরের প্রায় ৭৫ হাজার টাকার রুই, কাতলা, মৃর্গেল ও সিলভার কার্প মাছ নিধোন করা হয়েছে। ঘের মালিক আলহাজ্ব মোশাররফ সরদার জানান, বিগত দুই বছর থেকে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক বৈউলা গ্রামের হাকিম বিশ্বাসের পুত্র লাভলু বিশ্বাসের সাথে ঘেরের বেড়ি বাধ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত কয়েক দিন থেকে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতি সাধন করার হুমকিও দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে তাকে ঘেরের পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। রাতে সেহেরী সেরে নামাজ পড়ে ঘেরে গিয়ে মরা মাছ ভাসতে দেখে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারি। বিষ প্রয়োগের ফলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মাছ মরে গছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest