সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

পাকিস্তানকে আটকে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

যুব অলিম্পিক হকির এশিয়া অঞ্চলের বাছাই প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী পাকিস্তানকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে সেমিফাইনালে উঠে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ১০-৪ এবং কম্বোডিয়াকে ২০-০ গোলে হারানোর পর ৭-৪ গোলে হেরেছিল মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার কাছে পাকিস্তান ১২-১ গোলে হারায় সেমিফাইনালের সম্ভাবনা টিকে ছিল বাংলাদেশের। এই ম্যাচে ড্র করলেই পাকিস্তানকে টপকে ফাইভ-এ সাইড এ প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠে যেতো তারা। সেই লক্ষ্যই পূরণ করে ফেললেন সবুজ-মহসিনরা।

১১ দলের এই বাছাই পর্ব থেকে সেরা দুই দল পাবে অক্টোবরে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য যুব অলিম্পিক গেমসের টিকিট। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বাছাই পর্বের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান খেলেছিলো নানজিন যুব অলিম্পিকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারকে চাপ দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অস্ট্রেলিয়ায় তিনদিনের সরকারি সফরের প্রথম দিন শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সিডনিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার চুক্তি করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিডনিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী এ হোটেলেই থাকছেন। আধাঘণ্টার এ বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন ও সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘ইমপ্রেশন লিডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) একজন ইমপ্রেশন লিডার। বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণে তার সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি মিয়ানমার যেন তাদের ফেরত নেয় সেজন্য চাপ বজায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট শুক্রবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে সিডনির কিংসফোর্ড স্মিথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান। এরপর মোটর শোভাযাত্রা করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয়। গ্লোবাল সামিট অব ওমেন সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর এ অস্ট্রেলিয়া সফর। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা রয়েছেন।

এদিকে সকালে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় এ হোটেলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাং থি নোক থিহ।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের ব্যবসা বেড়েছে এবং আরও বাড়া দরকার। বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি ফ্লাইট চালুরও প্রয়োজন রয়েছে।

এ দু’টি বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে একমত দুই কোরিয়া

এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শান্তির পায়রা উড়ছে যেন কোরীয় উপদ্বীপে। পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে মতৈক্যে পৌঁছেছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন ও মুন জে-ইন। পাশাপাশি প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক আগে শেষ হওয়া কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে এবং সংঘাতের পথ বন্ধ করতে চলতি বছরই শান্তি চুক্তি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দু’দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম ‘পানমুনজমে’ দুই প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়। ওই যৌথ ঘোষণায় সই করেন কিম ও মুন।

দুই নেতা যে বাড়িতে এই ঐতিহাসিক বৈঠক করেন, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’ বা শান্তির বাড়ি। এই শান্তির বাড়িতে কিম ও মুনের মধ্যে আলোচনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়ুন ইয়াং-চ্যান এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান দু’জন কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তারা গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছেন আন্তঃকোরিয়া সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও।

চ্যানের ওই বিবৃতির পর দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ‘পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে পরমাণুমুক্ত কোরিয়া উপদ্বীপ গড়ে তোলার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দৃঢ়ভাবে একমত। কোরীয় উপদ্বীপে আর কখনও যুদ্ধ হবে না। শান্তির নবযুগের সূচনা হলো।’

যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী মে মাসেই পিয়ংইয়ং ও সিউলের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক সংলাপ হবে। আর পূর্ণমাত্রায় চুক্তিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে নিয়ে বহুপাক্ষিক সংলাপও করবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।

যৌথ ঘোষণায় সইয়ের পর এক উচ্ছ্বাসমাখা বিবৃতিতে কিম জং-উন বলেন, ‘আমি আশা করি দুই কোরিয়া আবার ‘পুনর্মিলিত’ হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে ঐতিহাসিক আলোচনা হয়েছে, তা আর দীর্ঘায়িত হতে পারে না।’

গত শতাব্দীতে হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই আলাদা হয়ে যায় দুই কোরিয়া। ১৯৫০ সালের জুন থেকে ১৯৫৩ সালের জুলাই পর্যন্ত দুই কোরিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ হয়। তিন বছরেরও বেশি সময়ের এই যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে ছিল চীন ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)। আর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে ছিল জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ

পশ্চিমা জোট। এতে আনুমানিক সাড়ে সাত লাখ উত্তর কোরীয় ও পৌনে দুই লাখ দক্ষিণ কোরীয় নিহত হয়।

ওই যুদ্ধের পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে কেবল বিচ্ছিন্নতা, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে উত্তেজনার উত্তাপই ছড়াচ্ছিলো কোরীয় উপদ্বীপে। এমনকি গত বছরের শুরু থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত উপদ্বীপটি ঘেঁষে সামরিক যুদ্ধযানের মহড়াও আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলো। কিম ও মুনের বৈঠকের পর সেই কোরিয়া অঞ্চলেই এখন ছড়াচ্ছে ‘শান্তির বার্তা’ ।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাহুলকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে বহনকারী একটি বিমানে হঠাৎ ত্রুটি দেখা দেয়। আজ শুক্রবার সকালে ছোট ফ্যালকন জেট বিমানটির অন্যতম যাত্রী ছিলেন রাহুল। তবে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষ পেয়ে নির্বিঘ্নেই দিল্লি থেকে কর্নাটকের হুগলি বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তিনি।
জানা যায়, বিমানে কংগ্রেস সভাপতিসহ পাঁচজন ছিলেন। মাঝ আকাশে বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অটো–পাইলট ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। পরে তিনবারের চেষ্টায় ‘ম্যানুয়াল’ মোডে নিরাপদ অবতরণ করেন পাইলট। এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এ ঘটনায় সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস।
রাহুলকে বহনকারী বিমানের গুরুতর যান্ত্রিক ট্রুটির খবর সামনে আসার পর ভারত জুড়ে তোলপাড় শুর হয়েছে। এটি পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী তো সরাসরি চক্রান্তের কথা বলেছেন। ঘটনার পর নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন রাহুলের সঙ্গে।
বিধানসভা ভোটের প্রচারে শুক্রবার সকালে হুগলি যাচ্ছিলেন রাহুল। আবহাওয়া ভালই ছিল। পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শরৎচন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি

‘সাদিকা পারভিন পপি’ যিনি শোবিজ ভূবনে পপি নামে পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ গ্লামার নায়িকা তার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরো এক ভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই নায়িকা।

নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। ছবিটিতে শরৎ চন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি দেখা মিলবে গ্লামার নায়িকা পপিকে।

গেল সোমবার থেকে এফডিসিতে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবির শুটিং শুরু হয়। মাল্টিকাসটিং এর এই ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী নায়িকা পপি। বৃহস্পতিবার রাতে শুটিং এর ফাঁকে ছবিটি নিয়ে বিডি২৪লাইভের সাথে কথা হয় পপির। পপি বলেন, ‘পার্বতী আমার স্বপ্নের চরিত্র। এই চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমার অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি যে কতো খুশি সে বলে বোঝাতে পারবো না। কাজ করার জন্য আমি গল্প ফলো করছি, চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করছি।’

পপি ছাড়াও এই ছবিতে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস, শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত। আরো রয়েছেন আনিসুল হক মিলন, তমা মির্জা, মৌসুমী হামিদ সহ আরো অনেকে।

শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত পার্বতী অর্থাৎ পপিকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘পপির সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। আগে কখনও কাজ করা হয়নি। তো শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি খানিকটা আগেই এসে উপস্থিত হই। এদিন আমার ও পপির শটের মাধ্যমে ক্যামেরা ওপেন হবার কথা। আমি ভেবেছিলাম পপি হয়তো দেরী করেই আসবেন। কিন্তু না তিনি সঠিক সময়েই শুটিং সেটে এসে উপস্থিত হলেন। পপি পার্বতীর সাজে যখন সেটে এসে হাজির হলেন। তখন মনে হলো আমার কল্পনার সেরা পার্বতী পপি।’

ইভেন্ট প্লাস ও এম আর ফিল্মস এর প্রযোজনায় ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেছেন হাশিম আখতার মো: করিমদাদ। চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক আরিফ নিজেই।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে রুপালী পর্দায় অভিষেক হয় পপির। এরপর আর পেছেন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। মেঘের কোলে রোদ, কারাগার, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন এই নায়িকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫০ ধর্ষণ ও ১২ খুনের পর গ্রেফতার ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’

৪০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ডেন স্টেট কিলার’কে খুঁজে হয়রান হয়েছে। ডিএনএর সূত্র ধরে সম্প্রতি তাকে খুঁজে বের করা হয়। কেন এত সময় লাগল কুখ্যাত ওই অপরাধীকে খুঁজে বের করতে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ জোসেফ জেমস ডি অ্যাঞ্জেলো নামের সেই ব্যক্তি আগে পুলিশেরই সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন! আর তিনি নিজের এলাকাতেই এসব জঘন্য অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের পর কোথাও যাননি। নির্বিকারভাবে পরিবার নিয়ে সেই এলাকাতে ছিলেন তিনি।

এফবিআই তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কিছুতেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। মোট ১২টি খুন, ৫০টি ধর্ষণ এবং কয়েক ডজন বাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় জড়িত ছিলেন জোসেফ। বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৭২ বছর বয়সী জোসেফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টি এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছিল জোসেফ। রাতের বেলা বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ চালাত সে। পুরুষদের সামনেই মহিলাদের ধর্ষণ করত। কেউ বাধা দিতে গেলে খুন করত। ধর্ষণের পরে লুটপাট চালিয়ে পালাত। ১৩ বছরের কিশোরী থেকে ৪১ বছরের নারী, কাউকেই ছাড়ত না সে। পরপর কয়েক বছর খুন-ধর্ষণ চালাত, তার পর কয়েক বছর চুপ থাকত। এভাবে তিন দফায় তাণ্ডব চালায় জোসেফ। গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন, এই সব তিন জন দুষ্কৃতীর কাজ।

১৯৮৬-র পরে এ ধরনের আর ঘটনা ঘটেনি। দুষ্কৃতীও অধরা থেকে যায়। গোয়েন্দাদের দাবি, নিজে পুলিশে চাকরি করতে বলেই এত দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পেরেছিল জোসেফ। কয়েক সপ্তাহ আগে গোয়েন্দাদের হাতে কিছু ডিএনএ প্রমাণ আসে, যার সাহায্যে জোসেফকে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। স্যাক্রামেন্টোর শহরতলিতে জোসেফের বাড়ি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রাজিলে ড্রোন উড়িয়ে কোটি কোটি মশা ছেড়ে দেয়া হচ্ছে

দূর দূরান্তে ড্রোন উড়িয়ে দেশব্যাপী কোটি কোটি পুরুষ মশা ছেড়ে দিচ্ছে ব্রাজিল। মশা বাহিত রোগ জাইকা ও ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, ড্রোন উড়িয়ে কয়েক কোটি বাঁজা মশা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রাজিলের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে সেই মশা। এই পদ্ধতিতে কাজ শুরুর আগে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। তারপরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রাজিলে মশা বাহিত রোগ জাইকার প্রভাবে গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়ে ব্রাজিল। ২০১৫-১৬ সালে মহামারি আকার নেয় জাইকা। হাজার হাজার শিশু আক্রান্ত হয় এই রোগে। জাইকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়েরা হাজার হাজার অসুস্থ শিশু জন্ম দিতে থাকেন।

গবেষণাগারে প্রজনন করা এই বাঁজা মশাগুলো এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার পর এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বলে আশা ব্রাজিল সরকার। পুরুষ এডিস মশাগুলোকে ল্যাবরেটরিতেই তৈরি করে এলাকায় ড্রোন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা নারী মশাদের সঙ্গে মিলিত হবে। কিন্তু জাইকা ডেঙ্গুর মত মরণ রোগ ছড়ানো মেয়ে মশারা ডিম পাড়লেও সেই ডিম নষ্ট হয়ে যাবে। ইউনাইটেড নেশনের ইন্টারন্যাশনাল অটোমিক এনার্জি এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যেই এক মিলিয়ন মশা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের। তিন মাস ধরে এইভাবে মশা ছড়ানো হচ্ছে। মশা ঠিক যে সময় সবচেয়ে বেশি জন্মায় সেসময়ই জুয়াজেইরো এবং রিসিফির উত্তরপূর্ব শহরগুলোতে ড্রোন উড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে তাদের।

উই রোবোটিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম ক্লাপটোজ জানিয়েছেন, ‘এই প্রথম ড্রোন দিয়ে বিরাট সংখ্যক মশা সফলভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা এই পদ্ধতির মাধ্যমে অসংখ্য মশা পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটি খুবই কার্যকরী উপায়। এখনও ড্রোনগুলোতে খানিকটা উন্নতি করার দরকার রয়েছে। যাতে প্রতিবারে আরও অনেক বেশি মশা বহন করা যায়।’

বয়ার জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মন্টেনেগ্রো এবং গ্রিস এই ড্রোনের প্রতি উৎসাহ দেখিয়েছে। তারাও পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন দিয়ে শহরে বাঁজা মশা ছড়াতে চান। যাতে মশা ও পতঙ্গের বংশরোধ করা সম্ভব হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রের্কডিয় সম্পত্তিতে ধান কাটার অভিযোগ

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা তালার পল্লীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির রের্কডীয় সম্পত্তি থেকে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বিষুকাটী গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধান উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের জিম্মায় রেখেছেন। এ ঘটনায় জমির মালিক মৃত মারফাতুল্যাহ মোড়লের পুত্র বিলাত আলী মোড়ল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, মাগুরা মৌজার, ৩২৫ খতিয়ানের সিএস রের্কডীয় মালিক তৎকালিন জমিদার বিজয় কুমার আড্য গংদের নিকট থেকে ১৯৫৫ সালে উপজেলার বালিয়াদহ গ্রামের মৃত পরশউল্যাহ মোড়লের পুত্র মারফাতুল্যাহ মোড়ল ৪ একর ৩ শতক জমি ৩১৯০ নং ভাগরা, কৌলতি কোবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। পরে ১৯৬২ সালে তিনি এসএ রের্কডীয় মালিক হন। মারফাতুল্যাহর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ে ওয়ারেশ সুত্রে ওই জমির মালিক হন। পরবর্তীতে মারফাতুল্যাহ মোড়লের পুত্র বিলাত আলী মোড়ল তার মা, চার ভাই ও তিন বোনের নিকট থকে ২০০৮ সালে ৫১৫৬ নং হেবা ঘোষনাপত্র মুলে ২ একর ১ শতক জমি ক্রয় করে। উক্ত জমি ২০১৪ সালে নামপত্তন করে খাজনা পরিশোধ করে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ-দখল করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার ভোগদখলীয় জমিতে নিছার উদ্দীন মোড়ল গংরা যাহাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন সে জন্য তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গত ১৪/১১/১৭ তারিখে বিজ্ঞ আদালত একটি নির্দেশনাও দেন ।
এ ব্যাপারে বিলাত আলী মোড়ল জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সুত্রে ৪ একর ৩ শতক জমি আমরা শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোগ-দখল করে আসছি। কিন্তু বিষুকাটি গ্রামের মৃত মানিক মোড়লের ছেলে নিছার উদ্দিন মোড়ল গংরা জাল কাগজ সৃষ্টি করে উক্ত জমির দাবী করে দখলের পায়তারাসহ বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও জীবনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে তালা থানায় গত ২৭/১০/১৭ তারিখে ১৫/১৫৬ নং একটি মামলা দায়ের করি। বিষয়টি নিয়ে তালা থানায় দফায় দফায় বসাবসি হলেও প্রতিপক্ষ নিছার উদ্দীন গংরা সঠিক কোন কাগজ-পত্র দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাশকতা মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের নিয়ে নিছার উদ্দীন গংরা আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, আমি তালা থানা পুলিশের সহযোগীতায় ধান উদ্ধার করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি এ সময় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট সু-বিচারের জোর দাবী জানান।
তবে, এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ বিষুকাটি গ্রামের নিছার উদ্দীন মোড়ল জানান, আমার দাদী পাচী বিবির ওয়ারেশ সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই সম্পত্তি ভোগ-দখল করে আসছি।
এ বিষয়ে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়ে ধান গুলো উদ্ধার করে স্থানীয় উপি মেম্বরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সেখানে যাতে কোন বিশৃখংলা না ঘটে সেজন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। থানায় বসে বিষয়টি মীমাংশা করার চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest